Category: ধর্ম

  • করোনাকালীয় সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন যে তিন তারকা

    করোনাকালীয় সময়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন যে তিন তারকা

    সারাবিশ্ব যখন অদৃশ্য শক্তি করোনাভাইরাসের আক্রমণে পুরোপুরি বিপর্যস্ত। ঠিক তখনই ছোট ছোট কিছু সংবাদ মুসলিম হিসেবে আমাদেরকে আপ্লুত করেছে।

    তা হল, করোনার এ সময়ে বিভিন্ন দেশের একাধিক জনপ্রিয় মডেল, তারকা ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু ইসলাম গ্রহণ করেই তারা ক্ষান্ত হননি। জাঁকজমকভাবে তা তারা উদযাপনও করেছেন।

    তাদের কেউ কেউ জীবনের প্রথম ইফতার, রমজানের অনুভূতিও মিডিয়াতে প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে ও সঙ্গীত গেয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।

    এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন তানাশা দোনা। পুরো নাম তানাশা দোনা বারবিয়ারি অকেচ। মুসলিম হওয়ার পর তার নাম রাখেন আয়েশা।

    তিনি কেনিয়ার জনপ্রিয় একজন রেডিও উপস্থাপক। উদ্যোক্তা ও মডেল। ‘ফর হার লাক্সারি হেয়ার’ নামক একটি হেয়ার ব্রান্ডের সিইও এবং ফাউন্ডার।

    তানাশার জন্ম ১৯৯৫ সনের ৭ই জুলাই। তানাশা জন্মসূত্রে একজন কেনিয়ান নাগরিক। তাকে অনেকেই মজা করে অর্ধেক কেনিয়ান ও অর্ধেক ইতালিয়ানও বলে।

    তার শৈশবের রঙিন দিনগুলো কাটে কেনিয়াতেই। এরপর ১১ বৎসর বয়সে বাবা মার সঙ্গে চলে যান ইতালিতে। সেখানে টুরিজম ম্যানেজমেন্ট ও ফরেন অ্যাফায়ার্স বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০ বৎসর বয়সে আবার চলে আসেন কেনিয়াতে।

    ইংরেজি ভাষাতে তো পারদর্শিতা ছিলোই। এছাড়াও ফ্রান্স, স্পেনিশ, ওলন্দাজ ও সোয়াহিলি ভাষাও ভালভাবে রপ্ত করেছিলেন তানাশা।

    তিনি অমুসলিম হলেও তার স্বামী একজন মুসলিম। তানজানিয়ার বিখ্যাত শিল্পী ও অভিনেতা ডায়মন্ড প্লাথনামজ। নাসিবু আব্দুল জুমা নামেও বেশ পরিচিত তিনি।

    তানাশা তার ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে প্রথম জানিয়ে ছিলেন তার স্বামীর বোন ইসমাকে। গত ২৫ এ এপ্রিল সর্বপ্রথম তিনি তার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি বন্ধু মহলে প্রকাশ করেন। সেদিনই জীবনের প্রথম রোজাটি তিনি পূর্ণ করেন এবং KTN TV এর উপস্থাপক জামাল গাদ্দাফিসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করেন।

    জামাল গাদ্দাফি ইফতারের ছবিটি তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর বিষয়টি ব্যপকভাবে মিডিয়াতে প্রচার হয়। এরপর এক টিভি প্রোগ্রামেও তিনি ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে বিস্তারিত অনুভূতি পেশ করেন।

    তানাশার ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে স্বামী ডায়মন্ড বলেন, আমি কখনো তাকে ইসলাম গ্রহণ করতে চাপ দেইনি তবে পরামর্শ দিয়েছিলাম। সে যদি তা গ্রহণ করতে চায় করবে। আমি তার জন্য দোয়া করব।

    এরপর সে যখন ইসলাম গ্রহণ করল আমরা তখন কিগমা শহরে ছিলাম। যখনআমাকে এসে বলল যে, সে ইসলাম গ্রহণ করতে চায় তখন আমি বললাম ভালোভাবে জেনে-শুনে পরে আসো। এরপর সে চলে গেল।

    কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে এসে বলল আমি ভালোভাবে জেনে শুনেই নিজের ভেতর পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি।

    কোভিড-১৯ এর আক্রমনে সারাবিশ্বের অন্যান্য মানুষের মতো অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় রেসলিং তারকা উইলহেলমও লকডাউনে হয়ে যান ঘরবন্দী। ঘরবন্দী সময়টাকে তিনি অযথা বসে না থেকে শুরু করে দেন ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা ও গবেষণা।

    একপর্যায়ে তিনি নিজের বিবেকের সঙ্গে বুঝা পড়া করে গ্রহণও করে ফেলেন চির সত্য ধর্ম ইসলামকে।

    শুধু তাই নয়। গত ১৬ এপ্রিল কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করে তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।

    ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেন, করোনার সংকট আমাকে আমার বিশ্বাস খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। ইসলাম বহু বছর ধরেই আমার মনোজগতের দখলে ছিল। যখনই আমার কঠিন সময় যাচ্ছিল তখনই ইসলামিক বিশ্বাস আমাকে প্রয়োজনীয় শক্তি দিয়েছে।

    তিনি আরো বলেন,আমার ধর্মবিশ্বাস এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি আমার প্রকৃত ইশ্বরকে চিনতে পেরেছি। গর্বের সঙ্গে কালেমায়ে শাহাদাতও পাঠ করতে পেরেছি। হ্যাঁ,এখন থেকে আমি একজন মুসলিম।

    ইলহেলমের ইসলাম গ্রহণের সংবাদ প্রচার হওয়ার পর অস্ট্রিয়ার মুসলিমসহ বিভিন্ন দেশের তার অসংখ্য ভক্তরা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে সমর্থন ও অভ্যর্থনা জানিয়েছে। উইলহেলমও তার এক পোস্টে তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    উইলহেলমের পূর্ণ নাম উইলহেলম ওট। মুসলিম হওয়ার পর নাম রাখেন খালিদ উইলহেলম ওট।

    তিনি অস্ট্রিয়ার MMA (মিক্সড মার্শাল আর্ট) এর একজন জনপ্রিয় রেসলিং খেলোয়ার।

    তার জন্ম ১৯৮২ সনে। পেশাদারিত্বের সঙ্গে তিনি রেসলিং শুরু করেন ২০০৮ সালে।

    MMA( মিক্সড মার্শাল আর্ট) এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচের ১৬টিতেই তিনি বিজয়ী হয়েছেন। মার্শাল আর্ট র্যাংকিংয়ে ৬১৫ জনের মধ্যেও হয়েছেন ৭৮তম।

    এ কয়েকদিনের ব্যবধানে যে কয়েকজন তারকা ইসলাম গ্রণের সংবাদ প্রকাশ করেছেন তাদের আরেকজন হলেন লিসা মার্সেদেজ।

    তিনি বৃটিশ জ্যামাইকার একজন প্রসিদ্ধ নৃত্যশিল্পী। ইসলাম গ্রহণের দুই মাস পর গত মাসের ৩ তারিখে ‘শাহাদা’ নামে একটি সঙ্গীত ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে তার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশ করেন।

    লিসার জন্ম জ্যামাইকার কিংস্টন শহরে। জন্মসুত্রে একজন খৃস্টান। তার মার সঙ্গে বাবার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর তার বাবার কাছেই সে বড় হতে থাকেন। ১৬ বৎসর বয়সে তার বাবা মারা যাওয়ার সে চলে যান লন্ডনে। সেখানে অনেক মুসলিমদের সাথে গাঢ় বন্ধুত্ব তৈরী হয়ে।

    ২০১৪ সনে তার ‘লেটস গেট মাতাল’ প্রকাশ হওয়ার পর ডিজে জগতে সে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

    তার ইসলাম গ্রহণ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি গবেষণা করে দেখেছি, ইশ্বরের নিকটবর্তী হওয়ার জন্য এটিই একমাত্র সঠিক ধর্ম।

    তিনি আরো বলেন, আমি একজন নৃত্যশিল্পী। আগে হট পোশাক পরতাম। এখন যেখানে সম্ভব হয় স্কার্ফ পরার চেষ্টা করি। তবে নিজেকে আগের তুলনায় আরো বেশি ঢেকে রাখি। আমি এখনো প্রতিনিয়ত শিখছি। পুরোপুরি ফিরে আসতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।

    ইসলাম গ্রহণের পর ভক্তদের সমর্থন পেয়ে তিনি দারুণ খুশি। শাহাদা গানটি রিলিজের পর এক ফেইক অ্যাকাউন্ট থেকে মৃত্যুর হুমকিও পান তিনি।

    তথ্যসূত্র: অল আফ্রিকা ডটকম, কেটিএন টিভি

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাস্টিন ট্রুডো

    মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জাস্টিন ট্রুডো

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে দেশ গঠনে মুসলিম কানাডীয়দের অবদানের স্বীকৃতি দিতে ঈদ একটা উপলক্ষ বলে মন্তব্য করে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

    ঈদুল-ফিতর উপলক্ষে রোববার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, মুসলমানরা ঈদুল-ফিতর উদ্যাপন করছে। আমরা আশা করি, প্রার্থনা ও আরাধনা দিয়ে তারা করোনা সংকট কাটিয়ে ওঠার শক্তি পাবে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রার্থনা ও আরাধনা মানব জাতিকে করোনাভাইরাস সংকট থেকে উত্তরণে শক্তি জোগাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    তিনি যোগ করেন, ‘গত কয়েকটা সপ্তাহ ও মাস ধরে আমরা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়েছি। এই অনভিপ্রেত সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে সহযোগিতা পেতে আমরা আমাদের বিশ্বাস, পরিবার ও সুহৃদদের ওপর নির্ভর করেছি।’এর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প উপাসনালয়গুলো খুলে দেয়ার নির্দেশ দেন।

    তিনি জানান, কঠিন এই সময়ে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা যাতে ধর্মীয় আচার পালনের মাধ্যমে শান্তি খোঁজে নিতে পারে সেজন্য উপাসনালয়গুলো খুলে দিতে নতুন গাইডলাইনের আশ্বাস দেন ট্রাম্প।

    ঈদ বার্তায় ট্রাম্প বলেন বর্তমান কঠিন সময়ে পরিস্থিতিতে যেকোনো সময়ের চেয়ে মানুষের শান্তিটা বেশি চাওয়া, যা ধর্ম চর্চার মাধ্যমে পাওয়া যায়।
    ‘সবাইকে শুভ ও আনন্দপূর্ণ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।’

    এদিকে কানাডা ও বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মাহকে মোবারকবাদ জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তুমুল জনপ্রিয় তরুণ এই রাজনীতিক কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

    প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক বিবৃতি ও টুইটার অ্যাকাউন্টে দেয়া ভিডিওতে ট্রুডো বলেন, সূর্য অস্ত যেতেই রাত থেকে কানাডা ও বিশ্বজুড়ে থাকা মুসলমানরা রোজা ও নামাজের পবিত্র মাস রমজানের শেষ উপলক্ষে শুরু করবে ঈদুল ফিতর উদ্যাপন।

    ভিডিওতে তিনি করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদ ভিন্ন পরিবেশে হতে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন।‘যেহেতু আমরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আছি, তাই এবারের ঈদের অনেক ঐতিহ্য ও উদ্যাপন ভিন্ন হবে। যেমনটা পুরো রমজান জুড়ে হয়েছে, মুসলিম কানাডীয়রা ঘরে নামাজ পড়বে। বিশেষ এই দিনটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে পালন করবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে আমরা এসব কঠিন সময় কাটিয়ে উঠব।’

    করোনা সংকটে কানাডীয় মুসলমানদের অবদানের কথাও ঈদ শুভেচ্ছা বার্তায় তুলে ধরেন ৪৮ বছর বয়সী ট্রুডো- ‘রমজান মাস জুড়েই খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে অসহায়দের সাহায্য করে গেছে মুসলিম কানাডীয়রা।

    অনেকে রোজা রেখেই স্বাস্থ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মী হিসেবে এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমাদের দেশকে আরও ভালো জায়গায় নিতে মুসলিম কানাডীয়রা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তার স্বীকৃতি দিতে এবং আমরা যে বৈচিত্র্যপূর্ণ জাতিতে পরিণত হয়েছি তা উদ্যাপন করতে ঈদুল ফিতর আমাদের সবার জন্য একটা সুযোগ।

    স্ত্রী সোফির পক্ষ থেকেও মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • আজ দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৬০ গ্রামে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর/ নামাজ আদায়

    আজ দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৬০ গ্রামে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর/ নামাজ আদায়

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ ২৪ মে রবিবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় ও ঈদ উৎসব পালন করছে।

    সৌদি আরবের সময় অনুসরণ করে প্রায় আড়াইশো বছর ধরে শাহ-সুফি মমতাজিয়া দরবার ও মির্জাখীল দরবারের প্রায় ৬০ গ্রামের মানুষ ঈদ, রোজা, কোরবান পালন করে আসছে।

    জানা যায়, সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশ শাহ-সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী চট্টগ্রামের ৭ উপজেলার প্রায় দুই হাজার পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন।

    আজ রবিবার সকাল ৯টায় চন্দনাইশস্থ কাঞ্চননগর শাহ সুফি জাহাঙ্গিরিয়া মমতাজিয়া দরবার শরীফ ময়দানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শাহ সুফি আলহাজ্ব মওলানা মোহাম্মদ আলী শাহ’র (ম.জ.আ) ইমামতিতে প্রধান ঈদের জামায়ত অনুষ্ঠিত হয় বলে দরবারের সাহেবজাদা মওলানা মতি মিয়া মনসুর জানিয়েছেন।সাতকানিয়া ঈদ উদযাপন

    একই দিন সকাল ৭টায় মির্জাখীল দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে দরবার শরীফের পীরজাদা মওলানা ড. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমানের ইমামতিতে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রতিবছর ঈদের জামাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের অনুসারীরা অংশ নিলেও এবার করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে তা হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব ও সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ এলাকায় ছোট পরিসরে ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছে দরবার কর্তৃপক্ষ।

    দরবার শরীফের পীরজাদা মওলানা ড. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান বলেন, প্রায় ২৫০ বছর ধরে সৌদি আরবের সময় অনুসরণ করে আমরা ঈদ, রোজা, কুরবানি পালন করছি। সে অনুযায়ী আমরা রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করব।

    আজ সকাল ৭টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। করোনার কারণে এবার দরবার শরীফে বড় ঈদ জামাতের আয়োজন হয়ান। নিজ নিজ এলাকায় ছোট পরিসরে ঈদের জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর কাছে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।

    জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে আগাম ঈদ পালন করেছেন সেগুলোর মধ্যে চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিনার পাড়া, ফকির পাড়া, চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারলা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিজুরি, পশ্চিম এলাহাবাদ, উত্তর কাঞ্চননগর, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, মাঝের পাড়া, দিঘির পাড়া, কুন্দুপাড়া, কেশুয়া, মোহাম্মদপুর, উত্তর হাশিমপুর, ছৈয়দাবাদ, খুনিয়ারপাড়া, শ্রীমাই, রুপকানিয়া, জলদী, গুনাগরি, কালিপুর, গন্ডামারার মিরিঞ্জিরতলা, ছনুয়া, সাধনপুর, তৈলারদ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, বড়হাতিয়া, চুনতি, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরানগড়, মনেয়াবাদ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ রোববার পবিত্র ঈদুল ফিতর এর নামাজ আদায় করছেন বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চাঁদ দেখা যায়নি, সোমবার ঈদ

    চাঁদ দেখা যায়নি, সোমবার ঈদ

    দেশের আকাশে আজ সাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। আজ ছিল ২৯তম রোজা। তাই আগামীকাল দেশে ৩০তম রোজা পালিত হবে। অর্থাৎ আগামী সোমবার উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর।

    শনিবার (২৩ মে) মাগরিবের নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

    কমিটির সভাপতি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ জানান, দেশের ৮টি বিভাগীয় এবং ৬৪টি জেলা কার্যালয় থেকে চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর থেকেও পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে। কিন্তু কোথাও চাঁদ দেখার খবর মেলেনি।
    তাই সোমবার বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

    এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজধানীতে এবার ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টায়। এরপর আরও চারটি জামাত হবে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং পৌনে ১১টায়।

    এদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো- তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়াতে কাল রবিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ রবিবার

    সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে ঈদ রবিবার

    সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি আজ।

    আজ শুক্রবার ছিল মধ্যপ্রাচ্যে ২৯তম রোজা। তাই আগামীকাল এসব দেশে ৩০তম রোজা পালিত হবে।

    অর্থাৎ আগামী রবিবার সেখানে উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর।

    এদিকে, শুক্রবার (২২ মে) শাওয়ালের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতেও রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সে হিসাবে আগামী রোববার (২৪ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে দেশ তিনটিতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ওই তিন দেশের সরকার এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

    তুরস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী রোববার উদযাপন হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

    ইন্দোনেশিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্র জানিয়েছে, সেখানেও রোববার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।

    আর অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় ইমাম পরিষদ বলেছে, শনিবার হবে রমজানের শেষ দিন। আর রোববার শাওয়ালের প্রথম দিনে উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর।

    করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে গোটা বিশ্বের মতো মুসলিম দেশগুলোতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। সে কারণে অনেক দেশেই স্বাভাবিকভাবে রমজানের তারাবিহ নামাজ পড়া যায়নি। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কিছু দেশ এবার ঈদের জামাত হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। কিছু দেশ একেবারেই সীমিত উপস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা

    আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা

    আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা। মাহে রমজানের শেষ শুক্রবার মুসলিম বিশ্বে জুমাতুল বিদা নামে পরিচিত। আজ জুমার নামাজ আদায়ের পর ধর্মপ্রাণ ও রোজাদার মুসলমানরা নিজের জন্য দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি দেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি তথা মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করবেন।

    আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক কয়েকটি পুণ্যময় দিন ও রাতকে মানুষের জন্য বিশেষভাবে মর্যাদাবান করা হয়েছে। রমজান মাসের সর্বোত্তম রজনী হলো লাইলাতুল কদর আর সর্বোত্তম দিবস হলো জুমাতুল বিদা, যা মাহে রমজানে পরিসমাপ্তিসূচক শেষ শুক্রবার পালিত হয়।

    জুমাতুল বিদার জামাত আদায়ের জন্য প্রতি বছর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই মসজিদগুলোতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ব্যক্তি ও পরিবারের জন্য কল্যাণ কামনার পাশাপাশি দেশ-জাতি ও গোটা মুসলিম উম্মার মঙ্গল ও বিশ্বশান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।

    কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে কিছুদিন মসজিদে যাওয়ায় বিধিনিষেধ থাকলেও পরে তা উঠিয়ে নেয়া হয়।

    এরপর থেকে দূরত্ব বজায়সহ বেশ কিছু শর্ত মেতে মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ আদায় করছেন। গত দুই জুমআয় মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

    আজ জুমাতুল বিদাতে অংশ নিয়ে মুসল্লিরা নিজের জন্য দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি দেশের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি তথা মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করবেন।

    ইতিমধ্যে রমজানে মুসলমানরা তিনটি জুমআ অতিবাহিত করেছেন। আজ রমজানের বিদায়ী জুমআর দ্বারপ্রান্তে। তাই কুরআন নাজিলের মাসের মর্যাদা ও বরকতের সঙ্গে জুমআর মর্যাদা ও ফজিলতে মুমিন রোজাদারের আমল ও হৃদয় হোক আলোকিত।

    জুমআর নামাজের মর্যাদা সম্পর্কে হজরত সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, `তোমরা জুমআর নামাজে উপস্থিত হও এবং ইমামের কাছাকাছি হয়ে দাঁড়াও। কেননা যে ব্যক্তি জুমআর নামাজে সবার পেছনে উপস্থিত হবে, জান্নাতে প্রবেশ ক্ষেত্রেও সে সবার পিছনেই পড়ে থাকবে।’ (মুসনাদে আহমদ)

    মুসলিম উম্মাহর কাছে জুমআর দিনটি সপ্তাহিক ইবাদতের দিন এবং ঈদ হিসেবে গণ্য। এ দিনের ফজিলত এমনিতেই বেশি। তবে রমজানের শেষ দশকে হওয়ার কারণে এ জুমআর সঙ্গে শেষ দশকের ফজিলতও যোগ হয়েছে। জুমআর ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সূর্যোদয় হওয়ার সবগুলো দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হলো জুমআর দিন। এই জুমআর দিনেই হজরত আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং জুমআর দিনই তাকে জান্নাত দান করেন এবং জুমআর দিনেই তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় প্রেরণ করেন এবং কেয়ামতও এই জুমআর দিনেই অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম)।

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের শেষ জুমআ আদায়ের মাধ্যমে নিজেদের বিগত জীবনের সব গোনাহ থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। জুমআর ফজিলত ও মর্যাদাকে রমজনের ফজিলতের সঙ্গে বাড়িয়ে মুমিনের সব আমলকে কবুল করার মাধ্যমে তাদের হৃদয়ে হেদায়েতের আলোতে ভরপুর করে দিন। আমিন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ৫ হাজার টাকা করে যাচ্ছে দেশের সব মসজিদে

    ৫ হাজার টাকা করে যাচ্ছে দেশের সব মসজিদে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ধর্ম ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন ও সরকারি বিধি নিষেধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে মুসল্লিদের দানের ওপর নির্ভর মসজিদগুলো। ফলে দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে সমস্যায় পড়ছে মসজিদগুলো।

    করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে দেশের দুই লাখ ৪৪ হাজার ৪৩টি মসজিদের প্রত্যেকটিতে পাঁচ হাজার টাকা করে ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

    বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী বিরাজমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণসহ নানা কারণে দেশের মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা স্বাভাবিকভাবে দান করতে পারছেন না। এতে দানসহ অন্যান্য সাহায্য কমে যাওয়ায় মসজিদের আয় কমে গেছে।

    ফলে মসজিদের দৈনন্দিন ব্যয়নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমান বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মসজিদের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে পাঁচ হাজার টাকা হারে অনুদান প্রদানে অনুমোদন করেছেন।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি মসজিদের অনুকূলে এ অনুদান ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা কার্যালয়ের পরিচালক/উপ-পরিচালকের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হল।

    সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক/উপ-পরিচালকের সমন্বয়ে অনুদানের অর্থ/চেক বিতরণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের জেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে দেশের সব মসজিদগুলোতে অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • আজ পবিত্র শবে কদর

    আজ পবিত্র শবে কদর

    ‘হাজার মাসের চেয়েও উত্তম’ সমগ্র মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পূণ্যময় রজনী- পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল কদর আজ।

    আজ বুধবার দিবাগত রাতে পালিত হবে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এই রাতে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে ‘কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল হয়। তাই মুসলমানদের কাছে শবে কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। কদরের রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

    ‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। তাই শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর বা সম্মানিত রাত। যে রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে, সে রাতই লাইলাতুল কদর।

    হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, অন্যান্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, শবে কদরের রাতে ইবাদত করলে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআনেও বলা আছে, হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম লাইলাতুল কদর।

    এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে তাই এই রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত।

    অধিকাংশ আলেম সমাজের মত হচ্ছে রমজানের ২৭ তারিখের রাতই লাইলাতুল কদর। সেই হিসেবে আজ ২৬ রমজান। সূর্যাস্তের পর ২৭ রমজানের রাত শুরু অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরের রাত।

    হযরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, নবী করিম (সা.) এরশাদ করেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশদিনে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো (বুখারি)। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোর একটি। অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯তম রাত।

    এজন্য নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করতেন। তবে ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই রমজান মাসের ২৭তম রাত অর্থাৎ ২৬ রমজান দিবাগত রাতকে পুণ্যময় মহিমান্বিত রজনী হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন।

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আসকারের মধ্যদিয়ে অতিবাহিত করবেন রাতটি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এবার ঘরে থেকেই ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দেবেন মহিমান্বিত এই রাত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মাহে রমজানের শেষ দশকে শাইখ সুদাইসের বিশেষ নির্দেশনা

    মাহে রমজানের শেষ দশকে শাইখ সুদাইসের বিশেষ নির্দেশনা

    পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশক উপলক্ষ্যে মক্কার মসজিদুল হারামে মক্কা-মদিনা বিষয়ক অধিদফতরের প্রেসিডেন্ট শাইখ আব্দুর রহমান সুদাইস গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন।

    বুধবার এশার পর মসজিদুল হারামে রমজানের শেষ দশকের আগমনে গুরুত্বপূর্ণ নসিহত প্রদান করেন।

    তার বক্তব্যের চুম্বুকাংশ পাঠকের জন্যতুলে ধরা হলো-

    আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলের ওপর দরুদ পাঠ করছি। শেষ দশকের আগমনে সবার প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ রইলো। আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ এবং সুউচ্চ গুণাবলীর মাধ্যমে তার কাছে ফরিয়াদ করছি, তিনি যেন এই শেষ দশককে আমাদের সকলের জন্য বরকতের কারণ বানান।

    আর আমাদের দিনের রোজা এবং রাতের নামাজকে কবুল করে নেন। সঙ্গে যেন লাইলাতুল কদরে ইবাদত ও তা পাওয়ার সৌভাগ্য দান করেন। যারা পূণ্যময় এই রজনীতে ঈমান ও সওয়াবের নিয়তে দাঁড়াবে, তাদের অর্ন্তভূক্ত করেন।

    প্রিয় মুসলমানগণ!

    রমজানের শেষ দশ দিনের মর্যাদার কথা আমাদের কারোরই অজানা নয়। এ সময়টি রাসুল (সা.) ইবাদতের জন্য নির্ধারণ করতেন, যেমনটি অন্য দিনকে করতেন না।

    হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) রমজানের শেষ দশকে এতো পরিমাণ ইবাদত করতেন, যেমনটি তিনি অন্য সময় করতেন না। (মুসলিম: ১১৭৫)

    অন্য এক হাদিসে হজরত আয়েশা (রাজি.) হতে বর্ণিত, যখন রমজানের শেষ দশকের আগমন হতো, রাসুল (সা.) সেসব রাত্রিগুলোতে বিনিদ্র থাকতেন, পরিবারের লোকদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতেন এবং (অধিক আমলের জন্য) শক্তভাবে কোমর বেঁধে নিতেন। (বুখারী: ২০২৪)

    তাই, আমাদের জন্য অধিকতর সমীচিন হলো শেষ দশকের দিন-রাতের পুরো সময়কে কাজে লাগানো।

    এসব রাতের মাঝে লাইলাতুল কদর নামে একটি মহিমন্বিত রাত রয়েছে, তা হাজারো মাস অপেক্ষা উত্তম। তাই এই রাতকে পেতে যথাযথভাবে রোজা পালন, নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, কল্যানমূলক কাজ, দান-সদকা এবং দোয়ার মাধ্যমে এ সময়গুলোকে মূল্যবান করতে হবে।

    শেষ দশ দিনে আমরা যেন বেশি বেশি দোয়ায় আগ্রহী হই। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কোন রাতটি লাইলাতুল কদর আমি যদি তা বুঝতে পারি; তাহলে সে রাতে আমি কি দোয়া করব?

    রাসুল (সা.) বললেন, তুমি এই দোয়া করবে, আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন, তুহিব্বুল আফওয়া; ফা’ফু আন্নী’। অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল-মহানুভব। আপনি ক্ষমা কতে ভালোবাসেন; তাই (অনুগ্রহপূবর্ক) আমাকে ক্ষমা করে দিন। (তিরমিজী: ৩৫১৩)

    এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। এই দোয়াটি অধিক পরিমাণে পাঠ করা উচিত। আর আমাদের উচিত হলো নিজেদের জন্য দোয়া করা এবং সব মুসলমানদের জন্য দোয়া করা; যাতে আমাদের উপর আপতিত এ মুসিবত বিদায় নেয়।

    হে মুসলিমগণ! বরকতের এ দিনগুলোতে আমাদের উচিত হলো সময়ের প্রতি যত্মবান হওয়া। কারণ সময় হলো সংরক্ষণের বিবেচনায় অতি মূল্যবান বস্তু। আর আমরা খুব সহজেই তা বিনষ্ট করে ফেলি।

    আজ সবচেয়ে প্রবঞ্চনা ও দূর্ভাগ্যের কারণ হলো, লোকজন আজ এমন কাজে নিজেদের সময় নষ্ট করে, যাতে তার কোন লাভ নেই। বিশেষ করে মোবাইল ফোন ব্যবহারে আমাদের আরো সতর্ক থাকা উচিত।

    তাই আমাদের কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, তাওবা, ইসতেগফার এবং দোয়ার প্রতি মনোনিবেশ করা দরকার।

    আল্লাহর ইরশাদ, ‘(হে নবী) আর আমার বান্দারা যখন আমার ব্যাপারে আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে, বস্তুত আমি তাদের সন্নিকটেই আছি। প্রার্থনাকারী যখন প্রার্থনা করে, তখন আমি তার প্রার্থনা কবুল করে থাকি। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎ পথে আসতে পারে।’ (সূরা বাকারা: ১৮৬)

    দোয়া মুমিনের মহান হাতিয়ার। বিশেষ করে বর্তমান বিশ্বে চলমান করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট হতে উত্তরণের জন্য।

    এসব দিনে মসজিদুল হারামে লাখো মুসল্লি ইতেকাফের জন্য অবস্থান করতেন। বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে না আসতে পারলেও নিঃসন্দেহে তারা সেসব আমল ও সওয়াবের ভাগিদার হবেন।

    আমি নিজেকে এবং সকলকে খোদাভীতি এবং বরকতের এই দিন-রাতগুলোতে অধিক পরিমাণে ইবাদতের অসিয়ত করছি।

    এসবের ভেতর দিয়ে আশা করি আমরা লাইলাতুল কদর পাবো, ইনশাআল্লাহ এবং জাহান্নাম হতে মুক্তির পরোয়ানাও পেয়ে যাবো।

    পরিশেষে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি আমাদের আমলসমূহকে কবুল করে নেন এবং লাইলাতুল কদর প্রাপ্তির সৌভাগ্য দান করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রমজানের আমল, আমলের রমজান

    রমজানের আমল, আমলের রমজান

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : পবিত্র মাহে রমজানের মহিমা ও ফজিলত আমরা সবাই জানি।রামাদান মাস আল্লাহ তা‘আলার এক বিশেষ নিয়ামাত। সাওয়াব অর্জন করার মৌসুম। এ মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস-রামাদান মাস।

    আলকুরআনে এসেছে,

    রামাদান মাস, যার মধ্যে কুরআন নাযিল করা হয়েছে লোকদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনারূপে এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে [সূরা আলবাকারাহ : ১৮৫]

    রামাদান মাসের ফযিলাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
    রামাদান- বরকতময় মাস তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। পুরো মাস রোযা পালন আল্লাহ তোমাদের জন্য ফরয করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো।

    দুষ্ট শয়তানদের এ মাসে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে দেয়া হয়। এ মাসে আল্লাহ কর্তৃক একটি রাত প্রদত্ত হয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল, সে বঞ্চিত হল (মহা কল্যাণ হতে) [সুনান আত-তিরমিযি: ৬৮৩]

    এ মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করার মাধ্যমে আমরা জান্নাতে যেতে পারি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে পারি।নিম্নে রমাদান মাসের আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। তবে এ আমলগুলো করার জন্য শর্ত হলো:

    এক. ইখলাস অর্থাৎ ‘‘একনিষ্ঠতার সাথে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যে আমল করা। সুতরাং যে আমল হবে টাকা উপার্জনের জন্য, নেতৃত্ব অর্জনের জন্য ও সুনাম-খ্যাতি অর্জনের জন্যে সে আমলে ইখলাস থাকবে না অর্থাৎ এসব ইবাদাত বা নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হবে না বরং তা ছোট শির্কে রূপান্তরিত হতে পারে। আল-কুরআনে এসেছে,

    “আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ‘ইবাদাত করে তাঁরই জন্য দীনকে একনিষ্ঠ করে” [সূরা আল-বাইয়্যেনাহ : ৫]

    দুই. ইবাদাতের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ। সহীহ হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে সকল ইবাদাতের কথা উল্লেখ আছে সেগুলো পরিপূর্ণ অনুসরণ করতে হবে।

    এ ক্ষেত্রে কোনো বাড়ানো বা কমানোর সুযোগ নেই। কারণ, ইবাদাত হচ্ছে তাই যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিখিয়ে দিয়েছেন। কুরআনে এসেছে

    ‘এবং রাসূল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও’ [সূরা হাশর: ৭]

    তাই একজন মুমিনের জন্য আবশ্যক কর্তব্য হলো, আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে পবিত্র রমজানে সকল প্রকার গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা এবং পূণ্য কাজে আত্মনিয়োগ করা

    এখানে রমজানের বিশেষ কিছু আমল উল্লেখ করা হলো-
    *সিয়াম পালন করা
    *কোরআন খতম ও তিলাওয়াত
    *সালাতুত তারাবীহ পড়া
    * সাহরী খাওয়া ও ইফতার করা
    *রোজাদারদের ইফতার করানো
    *তওবা ও ইস্তেগফার করা
    *সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়া
    *সদকা বা দান
    *অধিক হারে নেক আমল করা
    *কল্যাণকর কাজ বেশি বেশি করা
    *লাইলাতুলকদর তালাশ করা
    *তাকওয়া অর্জন করা
    *ফিতরা দেওয়া
    *ই’তিকাফ
    *কোরআন বুঝা ও আমল করা

    সুতরাং রমজান মাসে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার অধিক পরিমাণ নেক আমল করার দৃঢ় প্রত্যয় করতে হবে।

    লেখক: অনামিকা সুলতানা
    শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাজধানীতে করোনায় মৃত্যুর সেঞ্চুরি

    রাজধানীতে করোনায় মৃত্যুর সেঞ্চুরি

    রাজধানী ঢাকায় করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গোটা দেশে যে পরিমাণ মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে তার অর্ধেকই ঢাকার।

    বুধবার পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে ১১ হাজার ৭১৯ জন আক্রান্ত এবং ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মোট রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০০ জন রাজধানী ঢাকার।

    এছাড়া ঢাকা জেলায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ১, মাদারীপুর ২, নারায়ণগঞ্জ ৪১, মুন্সিগঞ্জ ৪, নরসিংদী ১, টাঙ্গাইল ৩, শরীয়তপুর ১।
    চট্টগ্রাম জেলায় ২, কুমিল্লা ৪, ব্রাহ্মণবারিয়া ২, লক্ষ্মীপুর ১, নোয়াখালী ১ জন। সিলেট জেলায় ২ ও মৌলভীবাজার ৩ জন। রংপুর বিভাগে ১, দিনাজপুর ১, মেহেরপুর ১, ময়মনসিংহ ৩, জামালপুর ৩, বরগুনা ১, পটুয়াখালী ১, জয়পুরহাট ১, পাবনা ১ ও রাজশাহীতে ২ জনের মৃত্যু হয়।
    আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৫ হাজার ৬৭৪ জন, ঢাকা জেলায় ১৬৮, গাজীপুর ৩২৮, কিশোরগঞ্জ ২০২, মাদারীপুর ৫৩, মানিকগঞ্জ ২৮, নারায়ণগঞ্জ ১ হাজার ৭২, মুন্সিগঞ্জ ১৭০, নরসিংদী ১৬৭, রাজবাড়ী ২৩, ফরিদপুর ২১, টাঙ্গাইল ৩০, শরীয়তপুর ৫৪, গোপালগঞ্জ ৪৫, চট্টগ্রাম ১১২, কক্সবাজার ৪০, কুমিল্লা ১৩০, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫৬, খাগড়াছড়ি ২, লক্ষ্মীপুর ৪৫, বান্দরবান ৪, নোয়াখালী ২২, ফেনী ৭, চাঁদপুর ৩৭, মৌলভীবাজার ২৯, সুনামগঞ্জ ৩৫, হবিগঞ্জ ৭০, সিলেট ২৭, রংপুর ৮২, গাইবান্ধা ২৪, নীলফামারী ৩১, লালমনিরহাট ৪, কুড়িগ্রাম ২২, দিনাজপুর ২৯, পঞ্চগড় ৮, ঠাকুরগাঁও ২০, খুলনা ১৭, যশোর ৭৫, বাগেরহাট ২, নড়াইল ১৩, মাগুরা ৮, মেহেরপুর ৪, সাতক্ষীরা ৪, ঝিনাইদহ ৩৩, কুষ্টিয়া ১৮, চুয়াডাঙ্গা ১৫, ময়মনসিংহ ১৯৮, জামালপুর ৭৯, নেত্রকোনা ৬২, শেরপুর ২৭, বরগুনা ৩৩, ভোলা ৬, বরিশাল ৪৪, পটুয়াখালী ২৮, ঝালকাঠি ১০, জয়পুরহাট ৩৪, পাবনা ১৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২, বগুড়া ১৮, নাটোর ১১, নওগাঁ ১৭, সিরাজগঞ্জ ৪ এবং রাজশাহীতে ২৬ জন রয়েছেন।

    রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে আরও ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মহামারীতে। অর্থাৎ ঢাকা বিভাগেই সর্বোচ্চ ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট মৃতের প্রায় ৮৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    ঢাকার পাশাপাশি গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জও করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই দুই জেলায় বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েক জনের।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগের সর্বোচ্চ আট হাজার ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৮৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

    ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৬৭৪ জন (৫৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ) এবং ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় দুই হাজার ৩৬১ জন (২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ) আক্রান্ত হন।

    অবশিষ্ট সাত বিভাগ মিলিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬৮৪ জন।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • কাল থেকে দেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে

    কাল থেকে দেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে

    শর্ত সাপেক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে) জোহরের নামাজের পর থেকে দেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে।

    সারাদেশে মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজ ও তারাবিহ পড়া যাবে। তবে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করতে হবে।

    আজকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।

    সূত্রটি জানায়, বৃহস্পতিবার জোহর থেকে দেশের মসজিদগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মসজিদে জামায়াতের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হল- দুইজন মুসল্লির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া দুই কাতার পর এক কাতারের জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।

    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আজকের মধ্যে জারি করা হবে।

    এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়, পবিত্র রমজানে স্টাফ ছাড়া অর্থাৎ খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেমরা ছাড়া কেউ মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবেন না। ঘরেই নামাজ আদায় করতে হবে।

    তার আগে ৬ এপ্রিল করোনায় সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘরেই সব নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে পাঁচটি দফা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ব্যতীত অন্য সব মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়। মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে অনধিক পাঁচজন ও জুমার নামাজে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও ধর্মীয় উপাসনালয়ের পরিবর্তে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করতে হবে।

    এতদিন ওই নির্দেশনাটিই বলবত ছিল। তারাবির জন্যও একই নির্দেশনা মানা হচ্ছিল।
    তবে এবার মসজিদ উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে মুসল্লিদের জন্য। যদিও জামায়াতে মুসল্লিদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং দুই কাতারের মাঝে এক কাতারের জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর