Category: ধর্ম

  • ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০, সর্বোচ্চ ২২০০ টাকা

    ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭০, সর্বোচ্চ ২২০০ টাকা

    চলতি বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ফিতরার সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা।

    আজ সোমবার (৪ মে) সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শায়লা শারমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২৭০ টাকা, গম দ্বারা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৫০০ টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২ হাজার ২০০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

    দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, গম, কিসমিস, খেজুর ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে উপর্যুক্ত ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।

    উল্লেখ্য, উপরোক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।

    সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, শোলাকিয়া ঈদগাহ কিশোরগঞ্জ-এর প্রধান ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ, জাতীয় মুফতি বোর্ডের সদস্য সচিব মো. নূরুল আমীন, লালবাগ মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মো. ইয়াহিয়া, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, তেজগাঁও এর অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, জামিয়া আশ্রাফিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ. আলীম ফরিদী উপস্থিত ছিলেন।

    এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জামিয়া শারইয়্যাহ মাদ্রাসার সহকারী মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান সিকদার, মো. আনিছুর রহমান সরকার, উপ-পরিচালক ও মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ূর রহমান খান, সম্পাদক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, সম্পাদক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, মুফাসসির ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবু সালেহ পাটোয়ারী, মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ড. মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, মিজানুর রহমান সাঈদ প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মক্কায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারাবিহ

    মক্কায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারাবিহ

    পবিত্র রমজান মাসে মসজিদ-আল-হারামে তারাবিহ’র নামাজ পড়া হবে না তা কল্পনার বাইরে ছিলো মুসলমানদের। যা কোনো দিন বিশ্ববাসী দেখেনি তা বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে দেখতে হলো।

    করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পবিত্র মক্কা ও মদিনা বন্ধ করে দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে মসজিদ-আল-হারাম বন্ধ থাকলেও অবশেষে সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে তারাবিহ শুরু করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার মসজিদ-আল-হারামে তারাবিহ আদায়ের একটি ভিডিও প্রকাশ করে আরব নিউজ।

    ক্যাপশনে বলা হয়, ‘মক্কার সবচেয়ে বড় মসজিদ থেকে সরাসরি এশা ও তারাবিহ আদায় দেখুন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি বছর মক্কা খালি রয়েছে।’

    ভিডিওতে দেখা যায়, ‘এশার নামাজের জন্য আজান দেওয়া হচ্ছে মসজিদ-আল-হারামে।

    এরপর এশার নামাজের পর শুরু হয় তারাবিহ। পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজে অংশ নেন মুসুল্লিরা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা মেয়র জাহাঙ্গীরের

    মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা মেয়র জাহাঙ্গীরের

    গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ নেই, সেসব এলাকায় আগামী শুক্রবার থেকে সব মসজিদ মুসল্লিদের স্বাভাবিক প্রবেশের জন্য খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

    আজ মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

    মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাজীপুর জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় গার্মেন্ট কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কৃষিকাজও চলছে। এছাড়া গাজীপুরের আটটি থানা ও ৫৭ ওয়ার্ডের কোথাও তেমনভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। তাই সামাজিক দূরত্ব মেনে, সামনে চার ফুট ও পাশে দুই ফুট জায়গা রেখে মসজিদে নামাজের সুযোগ দেওয়া হবে। এটা রোজার মাস, মসজিদে প্রার্থনার সুযোগ দেওয়া উচিত। যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ নেই, সেসব এলাকায় মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারবেন।’

    ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং গাজীপুর জেলা এই দুটি এলাকাকে নিয়েই গাজীপুর বলা হয়। সেজন্য আমরা বলছি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে করোনা পজিটিভের সংখ্যা অনেক এলাকার চেয়ে কম বলে আমরা মনে করি। এটা আমরা নথিপত্র ঘেঁটে দেখেছি। সেজন্য আমরা মনে করি যেহেতু গার্মেন্ট চালু করে দিয়েছে বিজিএমইএ, সেহেতু আমাদের যেসব ওয়ার্ডে কোনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই সেগুলোতে আগামী শুক্রবার থেকে মসজিদভিত্তিক মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন।

    মেয়র বলেন, মুসলমানদের জন্য বছরের সবচেয়ে উত্তম মাস রমজান মাস। আর এই রমজান মাসে মুসলমানগণ প্রতি দিন মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করে থাকেন।

    তাই মুসল্লিদের সুবিধার্থে মসজিদ খুলে দেয়া হলো।

    তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা মসজিদে যাবেন। এক মহল্লার লোক অন্য মহল্লায় যাবেন না।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনেই মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দুবাইয়ে চার মাসে ৮৫২ জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

    দুবাইয়ে চার মাসে ৮৫২ জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

    ওবায়দুল হক মানিক,আরব আমিরাত প্রতিনিধি:::সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মুহাম্মাদ বিন রাশেদ ইসলামিক সেন্টারে ২০২০ সালের প্রথম চার মাসে বিভিন্ন ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ৮৫২ জন।

    সোমবার (২৭ এপ্রিল) ইসলামিক সেন্টার কালচার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় গণমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করে।

    এসময় আরো বলা হয় গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৮৩৮ জনে। ইসলামের আদর্শ ও মুসলিম কমিউনিটির সহনশীলতা ভিন্নধর্মী মানুষগুলোকে ইসলামের ছায়া তলে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

    ইসলামিক কালচার সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কেউ যদি ইসলাম সম্পর্কে জানতে চান বা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চান তাহলে IACAD এপস ডাউনলোড করে ইসলামিক বই পড়তে পারেন বা তথ্য জানতে পারেন।

    এছাড়া ৮০০৬০০ হেল্প লাইনে কল দিয়ে মুহাম্মদ বিন রাশেদ ইসলামিক কালচার সেন্টার কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/মানিক

  • স্বামীবাগের ইসকন মন্দির লকডাউন, পুরোহিত সেবায়েতসহ ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত

    স্বামীবাগের ইসকন মন্দির লকডাউন, পুরোহিত সেবায়েতসহ ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা আক্রমনের শিকার হয়েছেন রাজধানীর পুরান ঢাকার স্বামীবাগের ইসকন মন্দির।

    মন্দিরের পুরোহিত-সেবায়েতসহ একে একে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের শরীরে করোনার অস্থিত্ব মিলেছে।

    একজন সহকারী উপপরিদর্শক মন্দিরের নিরাপত্তার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। নমুনা পরীক্ষায় তারও করোনা পজেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। শনিবার রাত ৮ টায় গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ মন্দিরটি লকডাউন করে দেয়।

    ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ্ ইফতেখারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, মন্দিরের ভেতরে অবস্থান করা কয়েকজনের সর্দি কাশি হলে মন্দিরের ভেতরে থাকা ৩৬ জন সকলের করোনা পরীক্ষা করায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রথম পরীক্ষায় সবারই করোনা পজিটিভ এসেছে। আগামী সোমবার দ্বিতীয় পরীক্ষা করানো হবে।

    গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া বলেন, ‘মন্দির লকডাউন। দাফতরিক ভাবে আমরা ৩১ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। এছাড়া আরও প্রায় ৫০ জনের মতো লোককে কোয়ারেনটাইনে থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত মন্দিরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

    জানা যায়, এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে এক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর ওই মন্দির থেকে একের পর এক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর আজ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে মন্দিরটি লকডাউন করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • কাল থেকে সৌদি আরবে রোজা শুরু

    কাল থেকে সৌদি আরবে রোজা শুরু

    সৌদি আরবের আকাশে বুধবার রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে আজ। সে হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার জুমাআ’র দিন থেকে দেশটিতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে।

    আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে তারাবির নামাজ পড়ে শেষ রাতে সেহেরি খাবেন সৌদি প্রবাসীরা।

    স্থানীয়ভাবে চাঁদ দেখার ভিন্নতা হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে রোজা শুরু হয়। ভৌগোলিক অবস্থার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর বাংলাদেশে রোজা বা ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে আগামী শনিবার থেকে বাংলাদেশে রমজান শুরু হবে। ইতোমধ্যে বাসায় তারাবির নামাজ পড়তে দেশের জনগণকে অনুরোধ করেছে সরকার।

    তারাবির নামাজের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি সরকার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শুধু কাবা ও মসজিদে নববীতে সীমিত মুসল্লিদের অংশগ্রহণে ১০ রাকাত তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

    এবারের রমজান মাসটি বিশ্ববাসীর কাছে একটু ব্যতিক্রম। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বেশির ভাগ দেশেই চলছে লকডাউন। সৌদি আরবে এবার রমজানে ঘরেই তারাবি আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনেক দেশেই বাসায় অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে এবারের রমজানের রোজা পালন করবেন মুসলিমগণ।

    মক্কা ও মদিনা মসজিদের প্রধান শেখ আবদুর রহমান আস সুদাইসি জানান, সীমিত সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে রমজানে ওয়াক্তিয়া নামাজ, তারাবিহ ও শেষ ১০ দিন তাহাজ্জুদের জামাত চলবে। তবে এসব সিদ্ধান্ত শুধু মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর ক্ষেত্রে। দেশের অন্য মসজিদে জামাতের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রমজানে মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদে সংক্ষিপ্ত তারাবির অনুমতি সৌদি বাদশাহ’র

    রমজানে মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদে সংক্ষিপ্ত তারাবির অনুমতি সৌদি বাদশাহ’র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ধর্ম ডেস্ক : সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র রমজানের বাকি মাত্র কদিন। করোনাভাইরাস বিস্তারের লাগাম টানতে আসন্ন রমজানে দেশটিতে জামাতে তারাবি হবে কি হবে না এমন আলোচনা চলে আসছিলো।

    আলোচনার ইতি ঘটিয়ে মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তারাবিহ পড়ার অনুমোদন দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। তবে মুসল্লিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

    খবর রয়টার্স ও আল-আরাবিয়াহর সূত্রে বলা হয় বুধবার এক বিবৃতিতে মসজিদে হারামের প্রধান ইমাম ও হারামাইন শরীফাইনের প্রেসিডেন্সির প্রধান শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস এমন খবর দিয়েছেন।

    এর আগে মঙ্গলবার তিনি বলেন, পবিত্র দুই মসজিদে তারাবির নামাজ হবে ১০ রাকাতে, কিন্তু তাতে কেবল ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

    রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, রমজানে কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করার পরিকল্পনা করেছে সৌদি সরকার, যাতে নিজেদের মহল্লার বাইরে গিয়ে লোকজন প্রয়োজনীয় সওদা করতে পারেন।

    এদিকে করোনাভাইরাস বিস্তারের লাগাম টানতে পরীক্ষার পরিসর বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে ১১ হাজার ৬৩১ জনের শরীরে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে।

    এর আগে গত ১২ এপ্রিল রবিবার সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয় দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, আসন্ন রমজান মাসে তারাবির নামাজ কেবল ঘরেই আদায় করা হবে। কারণ, করোনাভাইরাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে না।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • ১৪ শর্তে মসজিদ খোলা রাখার আহ্বান আহমদ শফীসহ শীর্ষ আলেমদের

    ১৪ শর্তে মসজিদ খোলা রাখার আহ্বান আহমদ শফীসহ শীর্ষ আলেমদের

    সুস্থ মানুষদের জন্য মসজিদে জুমা, জামাত ও তারাবির নামাজ আদায়ের জন্য সকল মসজিদ খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা আহমদ শফীসহ দেশের শীর্ষ আলেমরা।

    মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্যাডে সংস্থাটির অফিস সম্পাদক মু. অছিউর রহমান কর্তৃক পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা হয়েছে।

    পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, রমজান মাস অত্যাসন্ন। এ মাস রহমত ও নাজাতের মাস। করোনাভাইরাসহ সমস্ত বালা-মসিবত থেকে মুক্তির জন্য এ মাসের সদ্ব্যবহার একান্ত জরুরি। তাই নিম্নোক্ত ১৪ শর্ত মেনে সরকারের প্রতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও দেশের শীর্ষ আলেমরা সুস্থ ব্যক্তিদের জুমা, পাঁচ ওয়াক্তের জামাত ও তারাবি আদায়ের জন্য নামাজের সময় সব মসজিদ খোলা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

    হেফাজত আমিরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল্লামা শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী।

    যেসব শর্তপূরণ সাপেক্ষে মসজিদ খোলা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে-

    ১. মসজিদে কার্পেট, জায়নামাজ বা গালিচা বিছানো যাবে না।

    ২. জুমার বয়ান, খুতবা, জামাত ও দোয়া সংক্ষিপ্ত করা হবে এবং নামাজের আগে বা পরে মসজিদের ভেতরে বা সামনে জড়ো হওয়া যাবে না।

    ৩. পঞ্চাশোর্ধ বয়সের মুসল্লি এবং ১২-১৩ বছর পর্যন্ত বয়সের বালক মসজিদে আসবে না।

    ৪. যাদের সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে- যারা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন কিংবা যারা উক্তরূপ মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন তারা মসজিদে আসবে না।

    ৫. যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং যারা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত তারা মসজিদে আসবেন না।

    ৬. যারা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তারাও আসবেন না।

    ৭. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদকে জীবাণুনাশক ইত্যাদি দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করবে এবং অজুখানায় অবশ্যই সাবান ও পর্যাপ্ত টিস্যু রাখবে।

    ৮. মুসল্লিদের দু’জনের মাঝে অন্তত দুই ফুট পরিমাণ জায়গা ফাঁক রেখে দাঁড়াতে হবে।

    ৯. বাসা থেকে অজু করে যেতে হবে এবং হাত ও পা ভালোভাবে ধুয়ে মুছে যেতে হবে।

    ১০. বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। পরস্পর হাত মেলানো ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকতে হবে।

    ১১. সম্মিলিত ইফতারের আয়োজন করা যাবে না।

    ১২. মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

    ১৩. ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেম সাহেবদের প্রশাসনের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

    ১৪. বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখার জন্য প্রতি মসজিদে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করতে হবে।

    বিবৃতিতে বলা হয়, এ সব বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কিংবা কোনো এলাকায় আক্রান্ত সংখ্যা অস্বাভাবিক হয়ে গেলে প্রশাসন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান এই বিস্তার নিঃসন্দেহে মহান স্রষ্টার সীমাহীন ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। এতে মানবজাতির জন্য বিরাট পরীক্ষা ও চিন্তার খোরাক রয়েছে; জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি ও অগ্রগতি সত্ত্বেও মানুষ কত অসহায়! তাই মানবজাতির সর্বপ্রথম করণীয় হলো- নিজেদের অক্ষমতা প্রকাশ করে মহান মালিকের শ্রেষ্ঠত্ব ও বড়ত্ব স্বীকারপূর্বক তার শরণাপন্ন হওয়া এবং এই বিপদ থেকে মুক্তির জন্য সকাতর প্রার্থনা করা। একজন মুসলিমের জন্য এ অবস্থায় প্রধান করণীয় হলো- সকল প্রকার গোনাহ থেকে তওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা এবং হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত মোতাবেক জীবনযাপন করা।

    বিবৃতিদাতারা হলেন: আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা শাহ আহমদ শফী, কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি মো. ওয়াক্কাস, মাওলানা মুহাম্মাদ নুরুল ইসলাম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপর), মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা আব্দুল হালিম বোখারি, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মুফতি শাসমুদ্দীন জিয়া, মাওলানা মুহিব্বুল হক, মাওলানা আব্দুল বাছীর, মুফতি আরশাদ রাহমানি, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, মুফতি মোহাম্মাদ আলী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মুফতি মাহফুজুল হক, মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা আনাস মাদানি, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা মোশতাক আহমদ, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা ছফিউল্লাহ, মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল, মুফতি আব্দুল মালেক, মুফতি দেলোয়ার হুসাইন, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মুফতি এনামুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মাওলানা রিজওয়ান, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি, মাওলানা মনজুরুল ইসলাম, মাওলানা মাসঊদুল করিম, মাওলানা মুফতি নাজমুল হাসান

  • মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারী আর নেই

    মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারী আর নেই

    প্রখ্যাত মোফাসসিরে কুরআন ও বরেণ্য ইসলামী আলোচক আল্লামা মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার সকাল ১০টায় তার প্রতিষ্ঠিত জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি একাধিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।

    তিনি ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের একজন বীর সেনানী ও আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যক্তিত্ব। এ ছাড়া ইসলামী আলোচক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার বিশ্বজুড়ে।

     

  • ঘরে ‘তারাবির নামাজ’ পড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    ঘরে ‘তারাবির নামাজ’ পড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    পবিত্র মাহে রমজানের তারাবির নামাজ ঘরে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, আল্লাহ যেকোনো স্থান থেকে ইবাদত করলেই কবুল করেন। আপনারা জানেন করোনাভাইরাসের কারণে মক্কায় মসজিদে নামাজ বন্ধ হয়েছে। কাজেই ঘরে বসেই নামাজ আদায় করুন।

    বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, আসন্ন রমজানে পণ্য সরবরাহ যেন সচল থাকে সেজন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিম্নবিত্তদের জন্য ১০ টাকার চাল দিব। ৫০ লাখ রেশন কার্ড আছে, আরও ৫০ লাখ রেশন কার্ড দেব।

    দেশের এ কান্তিকালে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

  • শবে বরাত:ঘরে নামাজ, কবরস্থান-মাজারে যাওয়া যাবেনা

    শবে বরাত:ঘরে নামাজ, কবরস্থান-মাজারে যাওয়া যাবেনা

    পবিত্র শবে বরাতের রাতে কবরস্থান ও মাজারে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    আজ বুধবার (৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে মাজার ও কবরস্থানের গেট বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর আগে করোনার বিস্তার রোধে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। শাবান মাসের ১৪ তারিখে দিবাগত রাতটিকে মুসলমানরা সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পালন করেন। অনেকের মতে, মহিমান্বিত এ রাতে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। মুসলমানরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে। বিরাজমান এ পরিস্থিতিতে শবে বরাতের রাতে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে ইবাদত বন্দেগি করতে বলা হয়েছে। এ সময় ব্যক্তিগত দোয়া ও প্রার্থনা ছাড়াও করোনাভাইরাসের মহামারির আক্রমণ থেকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি, মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীকে নিরাপদ রাখার বিষয়ে আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়ার জন্য দেশের সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

    দেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, খতিব, ঈমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে এই দোয়া ও প্রার্থনার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র শবে বরাতে জিয়ারতের জন্য কবরস্থান ও মাজারে অনেক লোকের সমাগম হয়। এ ছাড়া কবরস্থান ও মাজারের ভেতরে-বাইরে অনেক ভিক্ষুক, অসহায়, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ওর রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য সমবেত হয়। এ ধরনের জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে শবে বরাতে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে না গিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে থেকে মৃত আত্মীয়-স্বজনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

    সেইসঙ্গে কবরস্থান ও মাজারের গেট বন্ধ রাখাসহ কবরস্থানের ভেতর ও বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগম না করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো ও গুজবে বিশ্বাস করা থেকে বিরত থাকার জন্যও সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

  • মসজিদে নামাজ পড়ার বিষয়ে যা বললেন আজহারী

    মসজিদে নামাজ পড়ার বিষয়ে যা বললেন আজহারী

    মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ পড়ার বিষয়ে ধর্মমন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে; সেটাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

    মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) রাত দশটার পর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে পোস্টে একথা জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজের পাঠকদের জন্য সেই পোস্টটা তুলে ধরা হলো:

    বিদেশে বসে স্বদেশ ভাবনা॥
    .
    দেরি করে হলেও, একাধিক বৈঠক শেষে, সাধারন মুসল্লিদের মসজিদে না যাওয়ার ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের শক্ত সিদ্ধান্ত এসেছে। প্লিজ, এবার অন্তত সবাই ঘরে সালাত আদায় করুন। আসলে, ফতোয়া বা নির্দেশনা বেশী ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে, যতটা সহজ ভাবে উপস্থাপন করা যায় ততোই ভালো। আরো আগে থেকেই যদি এই সিদ্ধান্তে আমরা উপনীত হতে পারতাম, তাহলে হয়তো করোনা সংক্রামন আরো কমানো যেত। তারপরও ধন্যবাদ জানাতে চাই এই টাইমলি ডিসিশনের জন্য।
    .
    আল্লাহ তায়ালা তাঁর দ্বীনে কোন কাঠিন্যতা রাখেননি। এটি একটি সহজ, সাবলীল ও পরিবেশ বান্ধব ধর্ম। এজন্যই ইসলাম কালজয়ী। যুগ, সময় এবং কাল ছাপিয়ে এতোটা অনন্য উচ্চতায় এজন্যই ইসলামের অবস্থান যে, এটি যে কোন যুগ বা সময়ের সাথে সহজেই খাপ খেতে পারে। ইসলাম ধর্মের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল যে, এর বিধান পালন করা সহজ এবং সুবিধাজনক। এধর্মের কোন বিধান কখনো সমস্যা তৈরী করে না বরং সমস্যার যুগোপযোগী সমাধান করে। আর এ সমাধান উপস্থাপন করার দায়িত্ব সম্মানিত আলেম ওলামাগণের। কিন্তু সেই কাংখিত সমাধান সময় মত উপস্থাপন করতে যদি আলেম ওলামাগণ ব্যর্থ হন, তাহলে আলেম ওলামাগণ ধীরে ধীরে সমাজের জন্য অপ্রাসংগিক হয়ে পড়বেন এবং সাধারন ধর্মপ্রাণ লোকজনও আলেম ওলামাদের থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবে। সে ক্ষেত্রে ইসলামের কোন দায়ভার নেই দায়ভার আমাদের। কুরআন বলছে:
    “আর তিনি ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি”।
    [সূরা হজ্জ, আয়াত:৭৮]
    “তিনি তোমাদের জন্য সহজ করতে চান জটিল করতে চান না”।
    [সূরা বাকারাহ, আয়াত:১৮৫]

    তাই, আসুন সহজভাবে ইসলামকে উপস্থাপন করি। সূদুরপ্রসারী চিন্তায় ও দূরদৃষ্টি ভাবনায় কুরআন ও সুন্নাহ থেকে রহমের বানী তালাশ করি।
    .
    মসজিদে জামায়াত আপাতত বন্ধ হলেও, আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি ঘরকেই এখন মসজিদ বানিয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!! তাই, এখনি সময় আত্নোপলব্ধির, রবের দিকে ফিরে আসার এবং প্রভুর দুয়ারে হাজিরা দেবার। পরিবারের সকলকে নিয়ে বাসায় জামায়াতে সালাত আদায় করুন। সমাজ বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ।
    .
    গণ পরিবহন বন্ধকরে পায়ে হাটিয়ে শ্রমিকদের ঢাকায় এনে আবার ছুটির ঘোষণায় রীতিমত স্তব্ধ হয়েছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ভাষ্যমতে তিনি অনেক কিছুই জানেন না এবং অনেক বিষয়ে ওনার পরামর্শ নেয়া হচ্ছে না। এই যে সংকট উত্তরণে সরকারি কাজে সমন্বয়হীনতা এর সমাধান কোথায়? এভাবে আর কত?
    .
    এই কঠিন দুর্যোগে চাল চুরি এবং ত্রাণ চুরিই প্রমান করে যে, এদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থায় নৈতিক শিক্ষার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এতটুকু মূল্যবোধের জন্য মহা জ্ঞাণী হতে হয় না। শুধু মানুষ হতে হয়। মানুষের মত মানুষ। একটা কথা আমি প্রায়শই বলে থাকি যে, গরুর পেট থেকে বের হলেই সেটা গরু হয়। ছাগলের পেট থেকে বের হলেই সেটা ছাগল হয়। বিড়ালের পেট থেকে বের হলেই সেটা বিড়াল হয় কিন্তু মানুষের পেট থেকে বের হলেই সেটা মানুষ হয় না। বরং সেটাকে মানুষ বানাতে হয়।
    .
    তাই, মানুষের মত মানুষ হতে হলে নৈতিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এ সমাজে মিথ্যা, অন্যায়, অবিচারের বিপরীতে সত্য, ন্যায়নিষ্ঠা, সুবিচার ও মানবিকতার চিহ্ন যতটুকু অবশিষ্ট আছে, তা নৈতিক তথা ধর্মীয় শিক্ষার কারণেই অবশিষ্ট আছে। তাই, পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি নৈতিক ও মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে আপনার সন্তানদেরকে গড়ে তুলুন। দেখবেন তখন ওরা দেশের ও জনগনের সম্পদের এক অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করবে।
    .
    এই মহা দুর্যোগকালে প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, মিডিয়াকর্মী, এবং খাদ্য বা ত্রান বিতরণকারী ভলান্টিয়ারস্ ভাইবোনেরা যারাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার কল্যানে আউটডোর এক্টিভিটিতে ব্যস্ত, আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আপনারাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কোটি মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আছে আপনাদের সাথে।
    .
    দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে করোনার বিস্তৃতি হচ্ছে এবং রাস্তাঘাটে যেভাবে অজ্ঞাত লাশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে যে, ইতোমধ্যে এটা ব্যাপক কমিউনিটি স্প্রেড হয়ে গিয়েছে। আর আমাদের নীতিনির্ধারনী মহলের সমন্বয়হীনতা এভাবে চলতে থাকলে কিছু বুঝে উঠার আগেই সব শেষ হয়ে যাবে। তাই, চলতি পুরো মাসটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন নিজ নিজ দায়িত্বে সাবধান থাকতে হবে সবাইকে। ঘরের বাইরে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া অবশ্যই না।
    .
    বিশেষ করে, আমার প্রিয় যুবক ভাইয়েরা, এখন ক্রিকেট খেলা, ফুটবল খেলা এবং বিকেল বেলা বাইরে ঘুরাঘুরির সময় না। সকল আবেগ, অবহেলা এবং খামখেয়ালিপনা উপেক্ষা করে নিজেকে বাসায় বন্দীরাখার সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকুন তোমদেরকে করতে হবে। তোমরা পারবে। আর পারতে তোমাদেরকে হবেই।
    .
    বাঁচলে যত রঙিন স্বপ্ন
    সবই যাবে বোনা,
    এখন একটু কষ্ট হলেও
    ঘরে থাকিস সোনা।
    .
    Stay Home, Stay Safe
    May Allah protect us all from this Outbreak.

    https://www.facebook.com/688769427897838/posts/2843535122421247/