Category: ধর্ম

  • মসজিদে না গিয়ে বাসায় নামাজ আদায়ের নির্দেশ

    মসজিদে না গিয়ে বাসায় নামাজ আদায়ের নির্দেশ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ ::: করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বিস্তার রোধে মসজিদে জামাতে নামাজের মুসল্লির সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

    এখন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মসজিদে জামাতে মুসল্লির সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ পাঁচজন। আর জুমার নামাজে মুসল্লি থাকবে এক মসজিদে সর্বোচ্চ ১০ জন।

    সোমবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা ছাড়া অন্য সব মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসায় নামাজ আদায় করতে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

    জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

    এতে আরও বলা হয়, মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচজন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। বাইরের মুসল্লি মসজিদে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত ১২৩ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩ জন।

    এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববীসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও মসজিদে জামাত আদায়ের ক্ষেত্রে একই ধরনের নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে।

  • সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ

    সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ ::: আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান (১৪৪১ হিজরি) মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।বছর ঘুরে আবারও আসছে মুসলিম জাতির জন্য অত্যন্ত পবিত্র এ মাসটি।

    আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী আগামী ২৫ এপ্রিল রমজান মাস শুরু হবে। যদিও প্রথম রমজান চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    নিচে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেয়া হলো:

    ইসলামী বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ৯ম মাসকে পবিত্র রমজানের মাস হিসেবে পালন করে থাকে গোটা মুসলিম বিশ্ব। ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মাঝে সাওম বা রোজা পালন ৩য়। মহিমান্বিত এ মাসে নাজিল হয়েছে মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন।

  • শবে বরাত নিয়ে ইফা’র নির্দেশনা

    শবে বরাত নিয়ে ইফা’র নির্দেশনা

    দেশে বিরাজমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে নিজ নিজ বাসস্থানে দোয়া ও নামাজ আদায় করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    শনিবার (৪ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধকল্পে সরকার সকল সরকারি বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সব ধরণের সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করতে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও মসজিদে জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সীমিত রাখার আহ্বান করা হয়েছে। অযু, নফল ও সুন্নত নামাজ বাসায় আদায় করার অনুরোধ করা হয়েছে।

    এতে আরো বলা হয়, এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা মান্য করে আগামী ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ নিজ বাসস্থানে বসে পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • ২২২ বছর পর প্রথম বাতিল হতে পারে হজ

    ২২২ বছর পর প্রথম বাতিল হতে পারে হজ

    মহামারি আকার ধারণ করা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্ব অবরুদ্ধ হয়ে আছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সৌদি আরবেও করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই দেশটির পবিত্র দুই নগরীতে মক্কা-মদিনাতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কারফিউ জারি করা হয়েছে। পুরো দেশে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন।

    এমন অবস্থায় মুসলিমদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় জমায়েত পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে কি-না সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

    করোনাভাইরাসের বর্তমান ভয়াবহতা অব্যাহত থাকলে ২২২ বছর পর এবার প্রথম বাতিল হতে পারে হজ।

    সর্বশেষ ১৭৯৮ সালে বাতিল হয়েছিল হজের আনুষ্ঠানিকতা। এ ছাড়া মহামারি ও যুদ্ধের কারণে আরও প্রায় ৪০ বার এই বার্ষিক জমায়েত বাতিল হয়েছে।

    করোনাভাইরাসের কারণে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হজ নিয়ে এখনই কাউকে চুক্তি না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের দেওয়া ইঙ্গিত পর্যালোচনা করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাতিল হতে পারে এ বছরের হজ।

    জুলাই মাসের শেষের দিকে শুরু হওয়ার কথা এ বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা। তবে হজের নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এখনও বন্ধ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিমদের হজে অংশগ্রহণের বিষয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

    এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের পুরো দেশে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন। দেশটির পবিত্র দুই নগরী মক্কা ও মদিনাতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কারফিউ জারি করা হয়েছে, যা হজযাত্রার কেন্দ্রবিন্দু।

    ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির সময়ও এই দুটি শহর বন্ধ করা হয়নি।

    লন্ডনের কিংস কলেজের ওয়ার স্টাডিজের লেকচারার সিরাজ মাহের বলেন, ‘সৌদি কর্তৃপক্ষ মানুষকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করছে যে এবারের হজ বাতিল হতে পারে।’

    অতীতের ঐতিহাসিক উদাহরণ উল্লেখ করে সিরাজ মাহের বলেন, ‘বিপর্যয় বা সংঘাতসহ বিভিন্ন কারণে হজ বাতিল করা হয়েছিল। আমার মনে হয়, এটি সেই বৃহত্তর প্রচেষ্টা যাতে মানুষকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে, হজ যদি বাতিল করা হয়েই থাকে তাহলে তা একেবারেই কোনো অভূতপূর্ব ঘটনা নয়।’

    সিরাজ মাহের জানান, ইসলামে কেয়ামতের ইঙ্গিতের যে ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে সেখানে বলা হয়েছে হজ বাতিল হয়ে যাবে। কেউ কেউ বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে হজ বাতিল হলে তা কেয়ামত নিকটে আসার ইঙ্গিত বহন করবে।

    আবার কেউ কেউ বলছেন, তা যথাযথ নয়। কারণ কেয়ামতের ইঙ্গিত দিতে গিয়ে হজের ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে, মহামারির কারণে হজ বাতিল তো আলাদা ব্যাপার।

    সিরাজ মাহেরের দাবি, ভবিষ্যদ্বাণী কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে।

    এদিকে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বান্তেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘সৌদি আরব সমস্ত মুসলিম ও নাগরিকের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুত। এ কারণেই আমরা পরিষ্কার ধারণা না পাওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে হজের বিষয়ে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্বের সমস্ত মুসলিমদের কাছে এই মুহূর্তে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর না করার জন্য অনুরোধ করেছি।’

  • পবিত্র শবে বরাত ৯ এপ্রিল

    পবিত্র শবে বরাত ৯ এপ্রিল

    আজ বুধবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে।

    আগামী শুক্রবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সেই হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।

    সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

    শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। সেই হিসেবে আগামী ৯ এপ্রিল (বুধবার) দিবাগত রাতই শবে বরাতের রাত। শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এবার এ ছুটি পড়েছে ১০ এপ্রিল (শুক্রবার), অর্থাৎ সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যেই।

    শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।

    ‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে পরিচিত লাইলাতুল বরাতে পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন।

  • করোনা সংক্রমনরোধে বারুণী স্মান ও বাসন্তী পূজো সীমিত রাখার আহবান

    করোনা সংক্রমনরোধে বারুণী স্মান ও বাসন্তী পূজো সীমিত রাখার আহবান

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী মহামারীতে রুপ নেওয়া ভয়াবহ করোনা ভাইরাস সংক্রমনরোধে সর্তকতা স্বরূপ আসন্ন বসন্তকালীণ দূর্গাপুজা তথা বাসন্তী পূজোয় কেবলমাত্র মাঙ্গলিকতায় সীমাবদ্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলা শাখা।

    চট্টগ্রাম জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার দেব এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।

    বিবৃতিতে আসন্ন বাসন্তী পুজা, অন্যান্য যে কোন ধরণের পুজা পার্বণে জনসমাগম বা মেলা আয়োজন, সংগীতানুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালাসহ ধর্মসভা, মহোৎসব-নামসংকীর্তন ইত্যাদি আয়োজন পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ- করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ও নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য পূজার্থী, পুজা সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব ধরণের সাংগঠনিক সভা সমাবেশ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানান।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু ড. ধর্মসেন মহাথের আর নেই

    বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু ড. ধর্মসেন মহাথের আর নেই

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু মহামান্য দ্বাদশ সংঘরাজ শ্রীমৎ ড.ধর্মসেন মহাথের আর নেই। অনিচ্চাবত সাংখারা।

    শুক্রবার (২০ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা ৫৮মিনিটে চট্টগ্রাম নগরের রয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোকগমন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তিনি গত ১জানুয়ারি থেকে রয়েল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

    চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ঊনাইনপূরা গ্রামের সদ্ধর্মপ্রাণ উপাসক মহীরাজ বড়ুয়ার ঔরসে পুণ্যবতী উপাসিকা সুরবালা (বড়ুয়া) দেবীর কোল আলোকিত করে ১৯২৮ সালের ১৭ জুন রবিবার ভূমিষ্ট হয়েছিল এক নবজাতক পুত্র সন্তান। শুভক্ষণে তার নাম রাখা হয় রসধর বড়ুয়া।

    কালের ধারাবাহিকতায় রসধর বড় হতে থাকে। কিন্তু কিশোর বয়সে হঠাৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হন। অনেক চিকিৎসার পরও সুস্থ না হলে একপর্যায়ে মা বুদ্ধের প্রতিবিম্বের সামনে একাগ্রমনে ছেলের রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনায় ইচ্ছে পোষণ করলেন যে, ছেলে রসধর রোগ থেকে মুক্তি পেলে শাসন সদ্ধর্মে দান করবেন।

    অতঃপর রসধর সুস্থ হলে ১৪ বছর বয়সে ১৯৪২ সালে পবিত্র আষাঢ়ী পূর্ণিমায় জ্ঞানতাপস আর্যশ্রাবক ভদন্ত জ্ঞানীশ্বর মহাথেরো মহোদয়ের নিকট প্রব্রজ্যা ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করে ধর্মসেন শ্রামণ নাম ধারণ করেন। গুরুর স্বানিধ্যে শ্রামণ ধর্মসেন ধর্মীয় শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন।

    পরে ১৯৪৭ সালে ঊনাইনপূরা লংকারামে (বিহার) দানোত্তম কঠিন চীরব দানানুষ্ঠানে আচারিয়া পূর্ণাচার সীমালয়ে জ্ঞানীশ্বর মহাথেরোর উপাধ্যায়ত্বে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপসম্পদা ( ভিক্ষু ) গ্রহণ করেন।

    ভিক্ষুত্ব জীবনে বুদ্ধের সদ্ধর্ম জানার লক্ষ্যে ধর্ম-বিনয় সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান অর্জনে নিজেকে নিয়োজিত রেখে ১৯৫৩ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বৌদ্ধের পবিত্র ধর্মীয় গন্থ ত্রিপিটকের সর্বোচ্চ উপাধি ‘ত্রিপিটক বিশারদ’ ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে তাঁর অর্জিত জ্ঞান সমাজ ও সদ্ধর্মে প্রচার ও প্রসারিত করার মানসে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মদেশনার মাধ্যমে বিকশিত করেছেন।

    মহামান্য দ্বাদশ সংঘরাজের লিখিত পুস্তক/গ্রন্থ গুলো সমূহ – ত্রিরত্ন বন্দনা ( ১৯৬২ ), বিনয় সংগ্রহ ( ১৯৭৮ ), বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা ( ১৯৮১ ), ত্রি-মহাজীবন (১৯৯০ ) উল্লেখযোগ্য। মহামান্য দ্বাদশ সংঘরাজ কর্ম জীবনে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি সহ বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    একাদশ সংঘরাজ ভদন্ত শাসনশ্রী মহাথেরো মহোদয়ের প্রয়াণের পর ২০০৪ সালে ২৯ শে জানুয়ারি বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাধারণ সভার ভিক্ষুসংঘের উপস্থিতিদের সর্বসম্মতত্রুমে উপ-সংঘরাজ ভদন্ত ধর্মসেন মহাথেরো মহোদয়কে বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু “সংঘরাজ” পদে অভিসিক্ত করা হয়।

    তখন থেকে দ্বাদশ সংঘরাজ হিসেবে তাঁর সাধনপীঠ চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার ঊনাইনপূরা লংকারামে অবস্থান করে পুরো বৌদ্ধ জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন।

    মহামান্য দ্বাদশ সংঘরাজ ভদন্ত ধর্মসেন মহাথেরো দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশি বৌদ্ধদের অবস্থান সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরেছেন। তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা ও ধর্মীয় গুনাবলীর স্বীকৃতি স্বরূপ ‘অগ্গমহাসদ্ধর্মজ্যোতিকাধ্বজক'( মিয়ানমার ), ত্রিপিটক সাহিত্য চক্রবর্তী ( শ্রীলংকা ), ওয়ার্ল্ড পিস মডেল ( থাইল্যান্ড ), সুপ্রিম বুড্ডিস্ট লিডার ( জাপান ), এ্যাওয়ার্ড সহ ‘অতীশ দীপংকর ও বিশুদ্ধানন্দ’ স্বর্ণপদক অর্জন করেন।

    ২৪ ঘন্টা/আরএসপি

  • করোনা: ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ বন্ধ

    করোনা: ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ বন্ধ

    করোনা ভাইরাস সতর্কতায় টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমার নামাজ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতার অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জরুরি বৈঠকে বসে মসজিদ কমিটি। জনসমাগম ঠেকাতে শুক্রবার জুমার নামাজ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে বিষয়টি এলাকাবাসী, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকেও জানায় কমিটি।

    প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে মসজিদটিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটে। এছাড়াও প্রতিদিন মসজিদটির নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ-বিদেশের হাজারো দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।

    টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পাথালিয়া এলাকায় ২০১৩ সালে ১২ বিঘা জমির ওপর ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।

  • সৌদিতে মসজিদে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ

    সৌদিতে মসজিদে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে এবার সৌদি আরবের সব মসজিদে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে মক্কা এবং মদীনার প্রধান দুই মসজিদ ‘মসজিদে নববী’ এবং ‘হেরেম শরীফ’ এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

    মঙ্গলবার সৌদি সংবাদমাধ্যম সৌদি গ্যাজেট জানায়, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংগঠন দ্য কাউন্সিল অব স্কলার্স এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    তবে মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। সেখানে শুধু জামায়াতে নামাজ পড়া সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। নিয়মিত আজান হবে এবং সবাইকে বাসায় নামাজ পড়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সৌদি আরবে ১৩৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কেউ আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি দেশটিতে। এখন পর্যন্ত কেউ মারাও যাননি। আক্রান্তদের মধ্যে ৬ জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ কেস ১২৭ জন।

    সৌদি বানিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদিতে পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য দ্রব্যাদি মজুদ রয়েছে। এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ পরিদর্শকরা নিয়মিত বিভিন্ন মজুদাগার পরিদর্শন করছেন। কোনও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করলে অনলাইনে অভিযোগ দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনও রকমের সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • জ্বর-হাঁচি-কাশি থাকলে মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ

    জ্বর-হাঁচি-কাশি থাকলে মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ

    বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯)। এর প্রভাবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। এদিকে, বিদেশফেরত, জ্বর, হাঁচি ও কাশিতে আক্রান্ত এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মসজিদে গমন পরিহারের পরামর্শ দিয়েছে ইসলামি ফাউন্ডেশন (ইফা)।

    মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান ইফার মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আনিস মাহমুদ।

    ইফার মহাপরিচালক জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ সমগ্র মানবজাতিকে সুরক্ষা, নিরাপদ ও সতর্ক করার লক্ষ্যে বিদেশফেরত ব্যক্তি, করোনার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তি এবং জ্বর-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত ও অসুস্থ ব্যক্তিদের মসজিদে গমনসহ জনসমাগম পরিহারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পরামর্শ প্রদান করা হলো। ’

    এ বিষয়টি দেশের সব মসজিদে জুমার খুতবায় গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করার জন্য বলেছেন ইফার মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ।

  • আজ সিঙ্গাপুরে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে না

    আজ সিঙ্গাপুরে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে না

    বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ প্রভাব ফেলেছে মুসলিমদের ধর্মীয় কার্যক্রমেও। ছোঁয়াচে হওয়ায় এই ভাইরাস মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সিঙ্গাপুরের সকল মসজিদ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। শুক্রবার (১৩ মার্চ) থেকে আগামী পাঁচদিন দেশটির ৭০টি মসজিদের সবগুলোই বন্ধ থাকবে। এমনকি শুক্রবার জামায়াতে জুমার নামাজও অনুষ্ঠিত হবে না।

    দেশটির সরকার জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার সেলানগরে একটি ধর্মীয় গণজমায়েতে অংশ নেয়ার পর সিঙ্গাপুরের দুই নাগরিক করোনা সংক্রমিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সিঙ্গাপুরের অন্তত ৯০ জন নাগরিক ওই ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নেন। তাদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় কিছু মসজিদে সমবেত হতেন।

    সিঙ্গাপুরের ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিল অব সিঙ্গাপুর বলছে, ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েকদিনের জন্য সাময়িকভাবে দেশের সব মসজিদ বন্ধ থাকবে।পাঁচদিন ধরে বন্ধ থাকা সব মসজিদে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হবে।

    পরিষ্কার করার জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এই ধর্মীয় কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার দেশটির মুসলিম কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী ম্যাসাগোস জুলকিফলি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশে ফেরত আসার পর এক ব্যক্তির শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। ওই ব্যক্তির যাতায়াত আছে এমন চারটি মসজিদ শনাক্ত করা হয়েছে।

    মুসলিম সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্যই সব মসজিদ বন্ধের অস্থায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেশটির পরিবেশ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করছেন মুসলিম কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী ম্যাসাগোস জুলকিফলি।

    তিনি বলেন, মসজিদে প্রার্থনায় অংশ নেয়া বৃদ্ধরা বিশেষ ঝুঁকিতে আছেন। আমাদের নিজেদের, সম্প্রদায় এবং প্রিয়জনদের রক্ষা করা দরকার। এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে কোভিড-১৯ এ সংক্রমণের বেশি ঝুঁকিতে আছেন জ্যেষ্ঠ এবং বয়স্করা।

    ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিল অব সিঙ্গাপুর বলছে, মসজিদের সব ধরনের কার্যক্রম যেমন, বয়ান, ধর্মীয় শিক্ষার ক্লাস আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আগামী ১৬ মার্চ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর খুলে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

  • প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে আত্মরক্ষার আমল

    প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে আত্মরক্ষার আমল

    প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) এতদিন সারাবিশ্বের আতঙ্ক থাকলেও বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের আস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছি আইইডিসিআর। ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ ১০৫টি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।

    আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৮ জন। মারা গেছে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ।

    আল্লাহ তায়ালা বলেন, জল–স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল। ( সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)। মানুষের গুনাহ ও কৃতকর্মের কারণেই এ ধরনের বিপর্যয় ঘটে থাকে। সমাজে অন্যায়-অনাচার বেড়ে গেলেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বেশি আশঙ্কা থাকে।

    তাই বিভিন্ন হাদিসে রাসূল (সা.) প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন। রাসূল (সা.) নিজেও উম্মতের ওপর এসব দুর্যোগের ব্যাপারে শঙ্কিত ছিলেন। এই উম্মতকে যেন কোনো গজব বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়ে একসঙ্গে ধ্বংস করা না হয় এ জন্য রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।

    এ জন্য আমাদের বেশি বেশি গুনাহ থেকে তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে। কারণ গুনাহের কারণেই এ জাতীয় মহামারি আসে বলে কোরআনের আয়াত দ্বারা বুঝা যায়।

    পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সচেতনতা ও সতর্কতার পাশাপাশি কয়েকটি আমল করা যেতে পারে।

    ১. আয়তুল কুরসী, সূরা ইখলাস, ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পড়ে প্রতিবার হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে মুছলে শরীর যে কোনো বিপদ থেকে নিরাপদ থাকা যায়।

    ২. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহামারি থেকে বাঁচতে বেশি বেশি এই দোয়া পড়তে বলেছেন।

    اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ، وَالْجُنُونِ، وَالْجُذَامِ، وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ

    উচ্চারণ: আল্লহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাচি, অল জুনুন, অল জুজাম, অ-মিন সাইয়্যিইল আসকম।

    ৩. إنا لله وإنا إليه راجعون، أللهم أجرني في مصيبني وأخلف لي خيرا منها

    উচ্চারণ: ইন্নালিল্লাহি অ-ইন্না- ইলাইহি রজিউন। আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুসীবাতী অ আখলিফলী খইরান মিনহা।

    ৪. এই দোয়াটিও পড়া যেতে পারে

    لااله الا انت سبحانك اني كنت من الظالمين

    উচ্চারণ: লা- ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ-লিমীন।

    ৫. সূরা আহজাবের ১৩ নাম্বার আয়াতের অংশ বিশেষ পাঠ করলেও এ জাতীয় মহামারি থেকে আত্মরক্ষা করা যায়।

    ياهل يثرب لا مقام لكم فارجعوا

    উচ্চারণ: ইয়া- আহলা ইয়াসরিব, লা- মুকামা লাকুম, ফারজিউ।

    ৬. এই দোয়াটিও বেশি বেশি পড়া যেতে পারে।

    اللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِن منْكَرَاتِ الأَخلاقِ، والأعْمَالِ والأَهْواءِ والأدواء ) رواهُ الترمذي وقال: حديثُ حَسَنٌ(.

    উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক, অল আমাল, অল আহওয়া, অল আদওয়া। (তিরমিযী শরিফ)

    তাছাড়া সকাল-সন্ধ্যার আমলগুলোর প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে। কারণ সকাল-সন্ধ্যার আমলগুলো দ্বারা শরীর হেফাজত হয়।

    ৭. সকাল-সন্ধ্যা তিনবার করে পড়ুন:

    بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

    উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল্লাজী লা- ইয়া দুররু মাআসমিহী শাইউন ফিল আরদি অলা- ফিসসামা, অহুওয়াস সামীউল আলীম।

    ৮. তিনবার : أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

    উচ্চারণ: আউজুবি কালিমা-তিল্লাহিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খলাক।

    একটি বিশেষ সুন্নাহ হলো, আক্রান্ত ব্যক্তি নিজ এলাকা থেকে বের হবে না অন্যান্য ব্যক্তি ঐ এলাকায় যাবে না।

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোনো এলাকায় মহামারি (সংক্রামক ব্যাধি) ছড়িয়ে পড়ে তখন যদি তোমরা সেখানে থাকো, তাহলে সেখান থেকে বের হবে না। আর যদি তোমরা বাইরে থাকো তাহলে তোমরা সেই আক্রান্ত এলাকায় যাবে না। (বুখারি ও মুসলিম)

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের করোনাসহ সব মহামারী ও বিপর্যয় থেকে রক্ষা করুন। আমিন।