Category: ধর্ম

  • মার্কিন বিমান বাহিনীতে হিজাব ও পাগড়ি পরার অনুমতি

    মার্কিন বিমান বাহিনীতে হিজাব ও পাগড়ি পরার অনুমতি

    নতুন পোশাক বিধিমালা জারি করেছে মার্কিন বিমান বাহিনী। এখন থেকে মুসলমান ও শিখ ধর্মালম্বীরা নিজেদের ধর্মীয় আচার দাড়ি রেখে এবং হিজাব ও পাগড়ি পরে মার্কিন বিমান বাহিনীতে চাকরি করতে পারবেন।

    তবে এজন্য ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের অনুমোদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে জানা গেছে।

    নতুন পোশাক বিধিমালা অনুসারে, মুসলমান ও শিখরা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ধর্মীয় আচারের অনুমোদন পাবেন ৩০ দিনের মধ্যে। আর যারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে মোতায়েন আছেন তাদের ৬০ দিনের মধ্যে অনুমোদন দেওয়া হবে।

    এই নতুন বিধিমালার পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীতে কর্মরত মুসলমান ও শিখদের দাড়ি রাখতে এবং হিজাব ও পাগড়ি পরার অনুমতি নিতে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতো।

    এছাড়া এক এক করে বিবেচনা করে এই অনুমোদন দেওয়া হত। নতুন বিধিমালায় এই প্রক্রিয়া দ্রুততর ও সাধারণীকৃত করা হয়েছে।

    এখন পর্যন্ত খুব কম মুসলমান ও শিখদের মার্কিন বিমান বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যারা তাদের ধর্মীয় পোশাক পরে দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছেন।

    ২০১৮ সালে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে মায়সা অউজাকে হিজাব পরে চাকরি করার অনুমতি দেওয়া হয়। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের সহযোগিতায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর তাকে এই অনুমতি দেওয়া হয়।

    নতুন এই বিধিমালাকে স্বাগত জানিয়েছে মুসলিম ও শিখ সম্প্রদায়।

    কাউন্সিল অর আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স-এর জাতীয় কমিউনিকেশন পরিচালক ইব্রাহিম হুপার বলেন, ধর্মীয় পোশাকের অনুমোদন ও বাহিনীদের সব ধর্মের মানুষের অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে যাওয়া এই বিধিমালা।

    মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য ও কয়েক দশকের মধ্যে প্রথম শিখ ধর্মালম্বী হিসেবে পাগড়ি পরার অনুমতি পাওয়া কামাল সিং কালসি ‘বিমান বাহিনীর ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

  • ৮ হাজার বছরের ধর্ম বিশ্বাস ছেড়ে ৩০০ জনের ইসলাম গ্রহণ

    ৮ হাজার বছরের ধর্ম বিশ্বাস ছেড়ে ৩০০ জনের ইসলাম গ্রহণ

    বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ার তাওতাওয়ানা উপজাতির ৩০০ নারী-পুরুষ তাদের ৮ হাজার বছরের পুরনো পুুনরুজ্জীবন মতবাদের ধর্মবিশ্বাস ছেড়ে একসঙ্গে মুসলিম হয়েছেন। সুলাওসি দ্বীপের এসব অধিবাসী উত্তর মোরওয়ালির আল ফোরকান মসজিদে এসে কালেমা পাঠ করেন।

    শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার সুলাওসি দ্বীপের মসজিদে জুমাআর নামাজের পর তাঁরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন।

    শনিবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, ৩০০ নওমুসলিমের সকলেই পুনরুজ্জীবন মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। এসব নওমুসলিম তাওতাওয়ানা উপজাতীর সদস্য ছিলেন। তারা মধ্য সুলাওসি দ্বীপের টোকালা পর্বতের বাসিন্দা।

    গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আল-ফোরকান মসজিদে ৩০০ মানুষ একত্রিত হয়ে ইসলাম গ্রহণের আগে তাদের সামনে ইসলামের সৌন্দর্য সম্পর্কে বয়ান করা হয়। এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে তাঁরা কালেমা শাহাদাত পড়েন।

    উল্লেখ্য যে, সুলাওসি দ্বীপের টোকালা পর্বতে বসবাসকারী তাওতাওয়ানা উপজাতির এসব মানুষ দীর্ঘ ৮ হাজার বছর যাবত পুনরুজ্জীবন মতবাদে বিশ্বাস স্থাপন করে আসছিলেন বলে জানা যায়।

  • ইসলামি পবিত্রতা রক্ষায় ইন্দোনেশিয়ায় ভ্যালেন্টাইন নিষিদ্ধ

    ইসলামি পবিত্রতা রক্ষায় ইন্দোনেশিয়ায় ভ্যালেন্টাইন নিষিদ্ধ

    ইসলামী পবিত্রতা রক্ষায়’ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ শহর কর্তৃপক্ষ।

    দিনটি উপলক্ষে বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে সেখানকার সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিনোদনকেন্দ্রগুলোকে।

    শহরটির মেয়র আমিনুল্লাহ উসমান বলেন, ইসলামী মূল্যবোধের পবিত্রতা রক্ষা এবং ইসলামি আইন শক্তিশালী করতে আমরা জনগণকে জানাচ্ছি যে, ভ্যালেন্টাইনস ডে ইসলামী আইন পরিপন্থী এবং আচেহর সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না।

    মেয়র জানান, তিনি এ বিষয়ে গত সোমবার একটি সার্কুলার জারি করেছেন। এতে তরুণ যুগলদের ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন বিষয়ক যেকোনও কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

    এদিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন নিষিদ্ধে একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পশ্চিম জাভা প্রদেশের ব্যানডাং শিক্ষা সংস্থাও। গত সোমবার তারা প্রাথমিক ও জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।

    ব্যানডাং শিক্ষা সংস্থার সেক্রেটারি কুকু সাপুত্রা জানান, তার বিশ্বাস, ভ্যালেন্টাইনস ডে ইন্দোনেশীয় রীতি ও সংস্কৃতির বিরোধী। তাই এটি উদযাপনের নিষেধাজ্ঞা অন্তত আগামী কয়েক বছর জারি থাকবে।

  • ভক্ত, পূর্ণার্থী ও সন্নাসীদের মিলনমেলায় পরিণত বাঁশখালীর ঋষিকুম্ভ মেলা

    ভক্ত, পূর্ণার্থী ও সন্নাসীদের মিলনমেলায় পরিণত বাঁশখালীর ঋষিকুম্ভ মেলা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব প্রিন্স : চট্টগ্রামের বাঁশখালী ঋষিধামে বর্ণাঢ্য মহাশোভাযাত্রার মাধ্যমে গত ৩১ জানুয়ারি ১০ দিন ব্যাপী বিংশতম আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা শুরু হয়।

    আজ শনিবার ছিল মেলার নবম দিন। এ দিনে চলছে অহোরাত্র মহানাম সংকীর্তন। আগামীকাল রবিবার মেলার দশম ও শেষ দিনে মঙ্গল আরতি ও ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহা নামযজ্ঞের পূর্ণাহুতি, গঙ্গাপূজা ও মহাস্নান, বিশ্ব কল্যাণে গীতাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে।

    মেলার প্রথমদিনে মহাশোভাযাত্রার পৌরহিত্য করেন চট্টগ্রাম তুলসীধাম ও বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ। মহাশোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন দেশ হতে আগত সাধু সন্ন্যাসীগণ।

    মেলার শুরু থেকেই প্রতিদিন ঢল নামছে হাজার হাজার পূর্ণার্থীর। মেলা উপলক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সন্ন্যাসীরাও ভিড় জমিয়েছেন। প্রতিদিনই রুপ নিয়েছে ভক্ত, পূর্ণার্থী ও সন্নাসীদের মিলনমেলায়।

    বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের কোকদণ্ডী গ্রামের ঋষিধামের ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলায় অষ্টম দিন শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঋষিধাম মন্দিরে চলছে পূজা-অর্চনা। মন্দিরে ঢোকার মুখে পাশের মাঠে বসেছে মেলা। পাশেই রাখা হয়েছে দুর দুরান্ত থেকে আগত ভক্তদের জন্য প্রসাদ আস্বাদনের ব্যবস্থা। কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের গ্রামেও উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে।

    মন্দিরের সুদৃশ্য বিশাল ফটক দিয়ে শত শত মানুষের ভিড় ঠেলে মন্দিরে মন্দিরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় কিছু দূরে মঞ্চে কয়েকজন যোগবিদ শিশুদের যোগাসন শিক্ষা দিচ্ছেন। যোগাসনের মাধ্যমে রোগমুক্তির এই শিক্ষা দেখতে মঞ্চের সামনে ভিড় করেছেন শত শত নর-নারী।

    হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী ভারতের চারটি স্থানে কুম্ভমেলা হয়। এগুলো হলো হরিদ্বার, প্রয়াগ, নাসিক ও উজ্জয়িনী। তিন বছর পর চক্রাকারে চারটি স্থানে কুম্ভমেলা বসে। সে হিসাবে একেকটি স্থানে ১২ বছর পরপর এই মেলা ঘুরে আসে। বাংলাদেশে একমাত্র ঋষিধামেই তিন বছর পরপর এই মেলার আয়োজন করা হয়।

    মেলায় কথা হয় বিংশতম আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক দেবাশীষ পালিতের সাথে। তিনি মেলা সুন্দর ও শান্তিপুর্ণভাবে কার্যক্রম পরিচালনায় কমিটির পক্ষ থেকে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করায় কোন বিশৃঙ্খলা ছাড়াই মেলার অষ্টম দিন পর্যন্ত অতিবাহিত হয়েছে বলেন।

    তিনি জানায়, যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে ভারতের এই চারটি স্থানে গিয়ে তীর্থ করতে অক্ষম, তাঁদের কথা বিবেচনা করে বাঁশখালী ঋষিধামের প্রতিষ্ঠাতা মোহন্ত শ্রীমৎ অদ্বৈতানন্দ পুরী মহারাজ ১৯৫৭ সাল থেকে এখানে কুম্ভমেলার প্রবর্তন করেছিলেন। ভারতের চারটি স্থানের যেকোনো একটি মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার এক বছর পর বাংলা মাঘ মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে ঋষিধামে কুম্ভমেলা বসে।

    তিনি আরো বলেন, প্রতিবারই ভারতসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক সন্ন্যাসী আসেন। এটি এক মহা মিলনমেলা। মেলা উপলক্ষে দূরদূরান্ত থেকে ইতিমধ্যে অর্ধশতেরও বেশি সন্ন্যাসী এসেছেন।

    মন্দিরে আগত কয়েকজন সন্ন্যাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুম্ভ মানে কলস। অমৃতের কলস। অমরত্ব লাভের আশায় একবার দেবতাদের সঙ্গে অসুরকুলের সমুদ্রমন্থন হয়েছিল। সমুদ্রমন্থনের ফলে উঠে এল বহু মূল্যবান সামগ্রী। উঠল একটি অমৃতের ভাণ্ড। অসুরদের এই অমৃতকুম্ভ না দেওয়ার জন্য দেবরাজ ইন্দ্রপুত্র জয়ন্ত একসময় সেটি নিয়ে পালালেন।

    পালানোর সময় অমৃত ভাণ্ডার রাখা হয়েছিল চারটি স্থানে। হরিদ্বার, প্রয়াগ, ত্রিম্বকেশ্বর-নাসিক ও উজ্জয়িনী এই চারটি স্থানে কলস থেকে কয়েক ফোঁটা অমৃত রস পড়েছিল বলে ধারণা। তাই এই চারটি স্থানে অমৃত সুধারস আস্বাদনের জন্য বসে কুম্ভমেলা। এগুলো তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত।

    মেলা উপলক্ষে প্রতিদিনই চলছে নানা অনুষ্ঠান। গত ৯দিন ধরে মন্দির প্রাঙ্গণে শোভাযাত্রা, দেব-দেবীর পূজা, চণ্ডীযজ্ঞ, গঙ্গা স্নান, ঋষি সম্মেলন, ধর্মীয় সংগীতানুষ্ঠান, ধর্ম মহাসম্মেলন এমন নানা আয়োজনে মুখর হয়ে ওঠে বাঁশখালীর জনপদ। অংশ নেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা ঋষি-সন্ন্যাসীরা।

    এর আগে ঋষিকুম্ভ মেলা উপলক্ষে মঙ্গল আরতি ও জয়গানে মঙ্গল আহ্বান, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, তৈজস সামগ্রী সহকারে ভান্ডারগৃহের উদ্বোধন, মহাশোভাযাত্রা, গুরু মন্দিরে শ্রীগুরু বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা ও মন্দিরের মাঙ্গলিক কাজের উদ্বোধন, গুরু মহারাজের পূজা, ভোগরাগ ও সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

    এছাড়াও ধর্মসম্মেলন ও সঙ্গীতাঞ্জলি, সন্ধ্যারতি ও সমবেত প্রার্থনা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, গীতাপাঠ প্রতিযোগিতা, সঙ্গীতাঞ্জলি, চণ্ডীযজ্ঞ, ভগবান শ্রী বিষ্ণুর অভিষেক, সংগীতাঞ্জলি, ধর্ম মহাসম্মেলন, দেবাদিদেব মহাদেব’র অভিষেক, সংগীতাঞ্জলি, ধর্ম মহাসম্মেলন, নাটক যুগাবতার পরম পুরুষ স্বামী অদ্বৈতানন্দ, দশমহাবিদ্যা পূজা, ধর্মীয় সংগীতাঞ্জলি, স্বামীজি রচিত শ্রী শ্রী দশমহাবিদ্যা অনুসরণে ধর্ম মহাসম্মেলন, গঙ্গা পূজা ও মহাস্নান, ঋষিধ্বজা উত্তোলন, বেদমন্ত্র পাঠ, ১০৮ দীপমণ্ডিত মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, সাধু ভাণ্ডার ও আন্তর্জাতিক ঋষি সম্মেলন, গঙ্গারতি ও অদ্বৈতানন্দ সরোবরে দীপদান উৎসব, সমবেত প্রার্থনা, অষ্টপ্রহরব্যাপী মধুসুদন কীর্তনের শুভ অধিবাস, চতুষ্প্রহরব্যাপী অহোরাত্র কীর্তন, রাধাকৃষ্ণের অভিষেক, সংগীতাঞ্জলি, ধর্ম মহাসম্মেলন, ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞের অধিবাস, ষোড়শপ্রহর ব্যাপী মহানামযজ্ঞের শুভারম্ভ ও অহোরাত্র নামসংকীর্তন, গঙ্গাপূজা ও মহাস্নান, সপ্তশতী তুলসীদান, বিশ্বকল্যাণে পঞ্চাঙ্গ স্বস্থ্যয়ন, শান্তি হোম ও অঞ্জলি প্রদান, অন্নকূট উৎসব, গুরু মহারাজের ভোগরাগ ও সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানমালায় পৌরহিত্য করছেন ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ। বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে অংশ নেওয়া লাখো পুণ্যার্থীদের জন্য প্রতিদিন দুপুর ও রাতে থাকছে অন্ন প্রসাদ। লোকজ পণ্যের বিশাল পসরা বসেছে মেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় বাঁশ-বেতের জিনিসপত্র, দা-বঁটি, হাতপাখা, শিশুদের খেলনাসহ নানা পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

  • সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথে ঐতিহ্যবাহী শিব চতুদর্শী মেলা ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু

    সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথে ঐতিহ্যবাহী শিব চতুদর্শী মেলা ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কামরুল দুলু,সীতাকুণ্ড : কলি যুগের মহাতীর্থ হিসাবে খ্যাত হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় তীর্থস্থান সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দিরে ঐতিহ্যবাহী শিব চতুদর্শী মেলা শুরু হচ্ছে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে।

    তিনদিন ব্যাপী এ মেলায় পূর্ণার্থীদের নিরাপত্তা ও তীর্থস্থানের পবিত্রতা রক্ষায় বিশেষ উদ্দ্যেগ নিয়েছে মেলা আয়োজন কমিটি।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনদিন ব্যাপী শিব চতুদর্শী মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

    মেলা কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিশ্বের সনাতন ধর্মীয় জনসাধারনের ঐতিহ্যবাহী সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ তীর্থ একটি অতি পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ পূণ্যস্থান। মেলা হিসেবে পরিচিত হলেও এটি মুলত ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দির

    প্রাচীন এ তীর্থস্থানে দেশ বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পূর্ণার্থীর সমাগম ঘটে বিধায় কালক্রমে এটি বিশাল মিলন মেলায় রূপান্তরিত হয়েছে।

    তিনি বলেন, শিবচতুদর্শী মেলা সুন্দর, সুশৃঙ্খল, সমন্বয় ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রথমে স্থানীয়ভাবে, পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মেলা কার্যনির্বানী কমিটির এবং সর্বশেষ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও মেলা কেন্দ্রীয় কমিটি সভায় চুড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দির মেলা কমিটির সংবাদ সম্মেলন

    আগামী ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি শিব চতুদর্শী এবং ৮-৯ ফেব্রুয়ারি দোল পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হবে। সীতাকুণ্ড স্রাইন কমিটির পক্ষ থেকে পুরী লজিং এ্যাক্ট অনুযায়ী শিবরাত্রী পূজা অনুষ্ঠানে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্রাইন কমিটির পক্ষ থেকে বৈদিক সম্মেলন আয়োজন করা হবে।

    তিনি আরো বলেন, মেলায় সার্বিক আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষার জন্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীতাকুণ্ড সার্কেল শম্পা রাণী সাহা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আলম মোল্লা’র নেতৃত্বে প্রায় ৫শ ৫০ জন পুলিশ এবং বিশেষ করে এবার মহিলা পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া ৩০-৪০ জন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য মেলা চলাকালীন সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত থাকবে।

    মেলা উপলক্ষে তীর্থ যাত্রীদের আগমনের সুবিধার্থে তুর্ণা নিশিতা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতীসহ অন্যান্য আন্তঃনগর ট্রেন সমুহের যাত্রার ক্ষেত্রে সীতাকুণ্ডে ৩ মিনিট যাত্রা বিরতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দির মেলা

    তীর্থে মন্দিরসহ মেলায় স্থাপিত দোকান, স্টল, বিনোদন কেন্দ্র সমূহকে অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষা করা ও অসুস্থ তীর্থ যাত্রীদের জরুরী ভিত্তিতে সেবা দেয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ডসহ ফায়ার সার্ভিস বিভাগ সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত থাকবে।

    এছাড়া সীতাকুন্ড মেলা কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে পানীয় জলসহ ৩০ টি স্থায়ী-অস্থায়ী টয়লেট ব্যবস্থাপনার চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সীতাকুণ্ড বটতলী কালি মন্দির থেকে ইকো পার্ক হয়ে চন্দ্রনাথ মন্দির, বাড়বকুণ্ড ও লবণাক্ষে যাতায়াতের জন্য বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতা স্বাভাবিক থাকায় এবার মেলায় দেশে-বিদেশের লক্ষ লক্ষ পূর্ণাথীর আগমন ঘটবে বলে আশা করছে মেলা কমিটি।

    সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সীতাকু্ণ্ড পৌর ব্যাবসায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. বেলাল উদ্দিন, মুুুুক্তিযুদ্ধা আবুল কাসেম ওয়াহিদী, মেলা কমিটির অতিরিক্ত সম্পাদক সমীর কান্তি শর্মা, বাবুল কান্তি শর্মা, কানু কুমার বনিক, বুলবুল লালা, অধ্যাপক রনজিত সাহা প্রমূখ।

  • রাউজানে রাস বিহারী মন্দির উৎসর্গ ও রাধা কৃষ্ণ বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা বৃহস্পতিবার

    রাউজানে রাস বিহারী মন্দির উৎসর্গ ও রাধা কৃষ্ণ বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা বৃহস্পতিবার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : শ্রীকৃষ্ণ ভাবনায় নিবেদিত প্রাণ রাউজান সার্বজনীন রাস বিহারী ধাম পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত শ্রীশ্রী রাস বিহারী মন্দির উৎসর্গ ও শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আগামী ৬ ও ৭ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতি ও শুক্রবার ২দিনব্যাপী ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে।

    ৬ই ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট বাউল শিল্পী অনুপম দেবনাথ (পাভেল)। রাত ৮টায় শুভ অধিবাস, রাত ৯টায় পালা কীর্ত্তন পরিবেশন করবেন কুমারী সুমিতা সরকার মিতালী, রাই কিশোরী সম্প্রদায়, নওঁগা।

    ৭ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকাল ৯টায় শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা পূজা ও গীতাপাঠ, পরিচালনা করবেন কাঞ্চন চক্রবর্তী। সকাল ১০টায় শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞের শুভারম্ভ, পৌরহিত্য করবেন সীতাকুণ্ড শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। দুপুর ১টায় অন্নপ্রসাদ বিতরণ।

    দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় জাতি ধর্ম নির্বিশেষে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন রাউজান সার্বজনীন রাস বিহারী ধাম পরিচালনা পরিষদ।

  • সাড়ে ৪ মাসেই হাফেজ শিশু আউয়াল

    সাড়ে ৪ মাসেই হাফেজ শিশু আউয়াল

    সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থী শেণীর মেধাবি ছাত্র আবদুল আউয়াল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে শতভাগ নম্বর পেয়ে এখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে ৯ বছরের এই শিশু।

    স্কুলের পাশাপাশি সম্প্রতি মাদ্রাসায়ও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল অসম্ভব মেধাবী এই ছাত্র।

    গত বছর আগস্টে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ভর্তি হয়ে সে মাত্র সাড়ে ৪ মাসে কোরআনে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

    আবদুল আউয়াল ফরিদগঞ্জের ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রামের মৌলভি বাড়ির মো. মোশারফ হোসেন (মোশারফ মাস্টার) ও মাজেদা আক্তারের দুই সন্তানের মধ্যে বড়। তার বাবা একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

    চাচা মুফতি মুনওয়ার ও দাদির ইচ্ছা আউয়াল কোরআনে হাফেজ হবে।

    শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট তাকে স্কুলের পাশাপাশি ভর্তি করা হয় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন একটি মাদ্রাসায়। গত বছর ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার নুরানি ও নাজিরা শাখায় ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার অসম্ভব মেধার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় মাদ্রাসাজুড়ে।

    নুরানি ও নাজিরা শাখায় পর তাকে একই মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগে স্থানান্তর করা হয় গত বছর ৩১ আগস্ট। মাঝে স্কুলের সমাপনী পরীক্ষার কারণে মাদ্রাসা থেকে ১৫ দিনের ছুটি নেয় আউয়াল। পরীক্ষা শেষে ফের মাদ্রাসার পড়ায় মনোযোগ দেয়। ৩০ জানুয়ারি কোরআনে হাফেজের স্বীকৃতি পায় সে।

    কথা হয় আবদুল আউয়ালের বাবা মোশারফ হোসেন জানান, ২০১০ সালের ২ নভেম্বর আবদুল আউলের জন্ম। প্রথম থেকেই তার মেধার পরিচয় পাচ্ছিলাম। তাকে আমি যে স্কুলে শিক্ষকতা করি সেখানে নিয়ে আসি। বিশেষ যত্নে তাকে পড়াচ্ছিলাম। ভীষণ দুষ্টু, অল্প সময় টেবিলে বসলেই সব কিছু তার আয়ত্বে চলে আসে।

    তিনি জানান, দাদি ও চাচার ইচ্ছা আউয়াল হাফেজ হবে। সে কারণেই মাদ্রাসায় ভর্তি করা। আমি তাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাই।

    জামালুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইবনে আহমদ ওয়ালী উল্ল্যাহ জানান, আউয়াল এক বছরের মধ্যেই নুরানি ও নাজিরা শেষ করে। ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট হিফজ বিভাগে ক্লাস শুরু করে। সাড়ে চার মাসেই সে সফল হয়। অল্পতেই তার পড়া মুখস্থ হয়ে যায়।

  • কোরআন সুন্নাহ মত জীবন যাপন করলে শান্তি ফিরে আসবে-সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

    কোরআন সুন্নাহ মত জীবন যাপন করলে শান্তি ফিরে আসবে-সৈয়দ মুজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : মাইজভান্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন আলহাজ্জ সৈয়দ মুজিবুল বশর আল হাছানি মাইজভান্ডারী বলেছেন, অশান্ত মানব জাতীকে এক মাত্র কোরআন সুন্নাহ এনে দিতে পারে শান্তি।

    কোরআন সুন্নাহ মতে জীবন পরিচালনা করলে দেশ ও সমাজে অশান্তি, মারামারি, হানা-হানি,অরাজকতা সৃষ্টি হবেনা। দেশে শান্তি ফিরে আসবেই।

    তিনি বলেন নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত আদায় করে হক হালাল ভাবে জীবন পরিচালনা করাই মুমিন মুসলমানের কাজ। মিথ্যা, গীবত, জেনার কারনে মানুষ ধ্বংস হয়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন মানুষের বড় চরিত্র হচ্ছে নিজেকে খারাপ ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা।

    তিনি আরো বলেন শয়তান মানুষকে ধোকা দেওয়ার চেষ্টায় মুহুর্তে মুহুর্তে লিপ্ত, তাই শয়তানের প্রলোভন থেকে দুরে থেকে নামাজ, এবাদত বন্দেগী, দরুদ শরিফ, যিকিরের মাধ্যমে আমাদের আমল বাড়াতে হবে।

    তিনি সোমবার রাত ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের রাউজান এয়াছিন্নগর ফকিরটিলা ঈদগাহ ময়দানে বিশাল মাইজভান্ডারী মাহফিলে প্রধান মেহমানের তকরির করছিলেন।

    আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশন ফকিরটিলা বাজার ইউনিট শাখার উদ্যোগে ও মুহাম্মদ আবছারের সঞ্চালনায় আয়োজিত মাহফিলে তকরির করেন ইহরাম হজ্জ কাফেলার পরিচালক আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা শায়েস্তাখান আল আযহারী, মাওলানা জাকের হোসেন মাইজভান্ডারী, মাওলানা শামসুল আরেফিন নিজামী মাইজভান্ডারী।

    উপস্তিত ছিলেন হুজুরের ভগ্নিপতি মুহাম্মদ জামাল মিয়া, হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্বা শফিকুল ইসলাম, আশেকানে মাইজভান্ডারী ফকিরটিলা শাখার উপদেষ্টা ও আওয়ামীলীগ নেতা সাহাব উদ্দিন, রাজনীতিক ইমরান কাদের ইডেন, কাজী মাওলানা সাঈদুল আলম খাকী, মাওলানা কাজী তহিদ বাঙ্গলা, খাদেম মাওলানা মফিজুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল কাদের কাদেরী, সাংবাদিক মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য মুহাম্মদ তৈয়ব, মাওলানা আয়ুব আলী আনসারী,শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইউনুচ মিয়া, সহ সভাপতি মমতাজ ভান্ডারী, সহ সসভাপতি আবদুল মান্নান, সেক্রেটারী আবু তালেব, যুগ্ন সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম, আলহাজ্জ ইসমাইল সওদাগর, আলহাজ্জ আবদুল কুদ্দুছ জুনু, আবদুস সালাম মাষ্টার, আবুল কাসেম কালু ফকির, হাজী শফি মাইজভান্ডারী, আবুল ফকির মাইজভান্ডারী, মুহাম্মদ সরোয়ার আলম, সৈয়দ মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন মাইজভান্ডারী, হোসেন ফকির, টিপু ভান্ডারী, মুহাম্মদ আনোয়ার, মুহাম্মদ নাঈম, মুহাম্মদ আবু তাহের, মুহাম্মদ রোবেল, মুহাম্মদ মোরসেদ, মুহাম্মদ রিফাত, মুহাম্মদ আরিফ, মুহাম্মদ জাহেদ, মুহাম্মদ বাঁচা, মুহাম্মদ সোহেল ভান্ডারী, ইউছুপ কন্ট্রাকটার প্রমুখ।

    মাহফিলে কয়েক হাজার পুরুষের পাশাপাশি আলাদা প্যন্ডলে কয়েকশ মহিলারা হুজুরের বয়ান শুনেন। পরে মিলাদ কিয়াম, যিকির শেষে দেশ জাতী মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন সৈয়দ মুজিবুল বশর আলহাসানি মাইজভান্ডারী (মা.জি.আ)। পরে সকলের মাঝে তাবরুক বিতরন করা হয়।

  • নীলফামারীতে আজ মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসিরুল কুরআন মাহফিল

    নীলফামারীতে আজ মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসিরুল কুরআন মাহফিল

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার নীলফামারীতে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাঝে পবিত্র কুরআনুল কারিমের তাফসির মাহফিলকারীদের মধ্যে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ও জনপ্রিয় বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজাহারীর মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

    নীলফামারী সদরের চড়াইখোলা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিতব্য এ মাহফিলে প্রায় ১০ লক্ষ লোকের সমাগমের টার্গেট নিয়ে নীলফামারীর চড়াইখোলা মাঠ প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

    এই প্রস্তুতি দেখতে বিগত কয়েকদিন যাবত প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাজার লোকের সমাগম হয়েছে মাহফিল প্রাঙ্গনে। আশপাশের প্রায় প্রতিটি গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয় স্বজনর এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছে। নীলফামারী জেলার সবগুলো উপজেলাসহ আশপাশের দিনাজপুর, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষ এ মাহফিলে উপস্থিত হবেন বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।

    মাহ্ফিল এর স্থানে প্রস্তুত করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল

    আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মাহফিল উপলক্ষ্যে মাঠের প্যান্ডেল করা হয়েছে আট লক্ষ স্কায়ারফিট। স্টেজ ১২০০ স্কায়ারফিট। মাইকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৩০০ টি। সে সাথে মেডিক্যাল টিম ২ টি, এম্বুলেন্স ১ টি, ফায়ার সার্ভিস ১ টি, ভ্রাম্যমান টয়লেট প্রায় ১০০টি, ১ হাজার ৫০০ টি টিউব লাইট, ৫০ টি সার্চলাইট, প্রজেক্টর ১২টি, এল ই ডি পর্দা ২ টা (প্রতিটি২১৬ স্কায়ারফিট)। মোটর গ্যারেজ করা হয়েছে ৪ টি। এগুলো হলো ভাটারপার (চাঁদনি ভাটা), কালারবাজার স্কুলের মাঠ, চড়াইখোলা স্কুলের মাঠ ও চৌধুরী পাড়া। এই সব মটর গ্যারেজ মূল ষ্টেজ থেকে কয়েক কিমি দুরে। অর্থাৎ কয়েক কিলো হাটতে হবে। র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, সাদা পোশাকে পুলিশ সহ মোট কয়েকশত সদস্য নিরাপত্তায় নিযোজিত থাকবে। এছাড়াও কয়েক হাজার ভলান্টিয়ার থাকবে।

    মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। মাহফিলে যোগদানের উদ্দেশ্যে মাওলানা আজহারী আকাশ পথে ঢাকা থেকে বিকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হবেন। পরে তিনি নীলফামারী সার্কিট হাউজে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে বাদ এশা তিনি মাহফিল স্থলে পৌঁছাবেন বলে জানা গেছে।

  • হিন্দুদের পবিত্র তীর্থভূমি মেধস আশ্রমে আগত পূর্ণার্থীর দূর্ভোগ বাড়াচ্ছে একটি কালভার্ট

    হিন্দুদের পবিত্র তীর্থভূমি মেধস আশ্রমে আগত পূর্ণার্থীর দূর্ভোগ বাড়াচ্ছে একটি কালভার্ট

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পূজন সেন,বোয়ালখালী : একটি কালভার্টের জন্য চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার মেধস আশ্রমে যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন দূর দূরান্ত থেকে আগত পূর্ণ্যার্থী, পূজার্থী ও দর্শনার্থীরা। ফলে দিন দিন কমে আসছে পূর্ণার্থীর সংখ্যা।

    জানা যায়, গত বছরের জুলাই মাসে টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে মেধস আশ্রমের সন্ন্যাসী পাহাড়ের পাদদেশের কালভার্টটি ধসে যায়। এতে জোড়া তালি দিয়ে কোনো রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করেছেন আশ্রম কর্তৃপক্ষ।

    এ ব্যাপারে আশ্রমাধ্যক্ষ বুলবুলানন্দ ব্রহ্মচারী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, কালভার্টের কারণে গাড়ি নিয়ে আশ্রমের মূল প্রবেশদ্বারে আসা যায় না। পায়ে হেঁটে আসতে হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন আশ্রমে আগতরা।মেধস আশ্রমে দূর্ভোগ

    তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করার প্রায় ৭ মাস পেড়িয়ে গেছে। এখনো অবধি কালভার্ট নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এদিকে কালভার্টের দুরাবস্থার কারণে দিন দিন কমে আসছে পূর্ণার্থীর সংখ্যাও।

    উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, এ কালভার্টের বিষয়ে কেউ এতোদিন আমাদেরকে অবহিত করেনি। সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কালভার্ট নির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছে তিনি।

    চন্ডীতীর্থ মেধস আশ্রম সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থভূমি। এ আশ্রমে পুরাকালে দেবী দুর্গার প্রথম আর্বিভাব ঘটিয়েছিলেন ঋষি মেধস মুনি। তাঁর নির্দেশে বসন্তকালে রাজা সুরত ও সমাধি বৈশ্য মৃন্ময়ী প্রতিমা গড়ে অরণ্য অভ্যন্তরে প্রথম দুর্গা পূজা করেছিলেন বলে শ্রাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে।

    দুর্গার উৎপত্তিস্থল এ আশ্রমে প্রতিদিন সমাগম ঘটে পূজার্থী, পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের। অনুষ্ঠিত হয় নানা উপাচারে দেবী দুর্গার নিত্যপূজা। এছাড়া উদযাপন করা হয় মহালয়া, শরৎকালে শারদীয়া দুর্গোৎসব ও বসন্তকালে বাসন্তী পূজা।

  • মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে শেষ হলো ইজতেমা

    মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে শেষ হলো ইজতেমা

    মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা।

    তাবলীগ জামাতের জ্যেষ্ঠ শূরা সদস্য মাওলানা মোহাম্মদ জমসেদের পরিচালনায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের পরে শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। অশ্রু বিসর্জন আর আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।

    মূল ময়দান ছাড়িয়ে জনস্রোত নামে আশপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে। মোনাজাত শেষে গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। পরিবহনে চড়তে না পেরে হেঁটেই রওয়ানা দিয়েছেন অনেকে।

    মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এবার অর্ধ শতাধিক দেশের প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন বলে ইজতেমা সূত্র জানিয়েছে।

  • দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন

    দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় ইজতেমার আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন

    আখেরি মোনাজাতে দেশ-জাতি, বিশ্ব শান্তি এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও সৃমদ্ধি কামনায় শেষ হলো টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

    আজ রোববার বেলা ১১টার পর শুরু হওয়া এই মোনাজাতে অংশ নেয় লাখো মুসল্লি।

    মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমদ। মোনাজাতে লাখ লাখ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর।

    দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের অংশগ্রহণে ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আর ১৯ জানুয়ারি শেষ হবে তাবলিগ জামাতের এই বার্ষিক বিশ্ব সম্মেলন।

    আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকেই দূর দূরান্ত থেকে টঙ্গীতে আসতে শুরু করে মানুষ। যানবাহন না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে পৌঁছান।

    আখেরি মোনাজাতের আগেই কনকনে শীতের মধ্যে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান ও আশাপাশের অলি-গলি, রাস্তা, পাশের বাসাবাড়ি, কল-কারখানা ছাদ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়েও অনেকে মোনাজাতে হাত তোলেন।

    পুরুষদের পাশপাশি নারীদেরও ইজতেমা ময়দান ও আশেপাশে সড়ক ও অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে মোনাজাতে শামিল হতে দেখা যায়।

    আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ ছুটে আসেন ইজতেমা ময়দানের দিকে। ময়দানে জায়গা না পেয়ে যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন, সেখানে বসেই আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে দোয়া করেন। অনেকেই আশেপাশের রাস্তা, গাড়ি, নৌকা এবং বাসার ছাদ থেকে মোনাজাতে শরিক হন। ফলে ময়দানের চারদিকের তিন থেকে চার কিলোমিটার এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

    মোনাজাত শুরু করলে আমিন আমিন ধ্বনিতে প্রকম্পিত হতে থাকে টঙ্গী এলাকা। প্রথমে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। শেষে দোয়া হয় বাংলা ভাষায়। মুঠোফোন ও টেলিভিশনে সরাসরি সস্প্রচার হওয়ায় দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে।

    এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকেই। আল্লাহর দরবারে নিজ নিজ ভুলের ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি পরিবার, দেশ ও বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন মুসল্লিরা।

    আখেরি মোনাজাতের পর বাড়ির পথ ধরেছেন মুসল্লিরা। যারা আজকে এসছেন তারা আগেই চলে যাচ্ছেন। তবে প্রথমদিকে আসা মুসল্লিদের ফিরতে বিকেল হয়ে যাবে।

    এদিকে, গত চারদিনে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে আসা ১২ জন মুসল্লি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এবং বার্ধক্যজানিক কারণে মারা গেছেন।

    ইজতেমার প্রথম পর্বে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, কাজাখস্তান, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইথিওপিয়াসহ বিশ্বের ৪৬টি দেশ থেকে মুসল্লিরা অংশ নেন।

    গত শুক্রবার ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।