Category: ধর্ম

  • বিশ্ব ইজতেমা শুরু

    বিশ্ব ইজতেমা শুরু

    আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামাতের বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা।

    শুক্রবার বাদ ফজর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

    বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা খোরশেদের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আজ প্রথম দিন।

    ইজতেমায় অংশ নিতে গতকাল থেকেই ময়দানে আসতে থাকে মুসল্লিরা। আসেন বিদেশি মুসল্লিরাও। আজও তা অব্যাহত রয়েছে। মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান।

    উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লি বয়ান, তাশকিল, তাসবিহ-তাহলিলে সময় কাটাচ্ছেন। তবে শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুসল্লিদের প্যান্ডেলের বাইরে যেতে দেখা যায়নি।

    এবারের ইজতেমা গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম বৃহৎ এ ধর্মীয় জমায়েত দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। বিশ্ব ইজতেমায় এবারও পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরের আগেই আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব।

    শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় গাজীপুরসহ আশপাশের অঞ্চলগুলো থেকেও বিপুল মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করতে ইজতেমা ময়দানে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    দেশ-বিদেশের কয়েক লাখ মুসল্লির আসায় ইতোমধ্যে টঙ্গী স্টেশন রোড ও কামারপাড়াসহ বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় মুসল্লিদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। তিল ধারণের ঠাঁই নেই কোথাও। এত বিপুল সংখক মুসল্লির নিরাপত্তায় হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

  • যেসব আমল পাল্টে দিতে পারে আপনার জীবন

    যেসব আমল পাল্টে দিতে পারে আপনার জীবন

    কিয়ামতের দিন ছোট কোনো আমলও অনেক মূল্যবান হয়ে যাবে। তাই ছোট ছোট নেক কাজকে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ ইখলাসের সঙ্গে ছোট ছোট কাজই আমাদের এনে দিতে পারে বড় প্রাপ্তি।

    কুরআনে কারিমে বলা হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। কারণ তাদেরকে তাদের কৃতকর্ম দেখানো হবে। সুতরাং কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করে থাকলে সে তা দেখতে পাবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করে থাকলে তাও দেখতে পাবে। (সুরা জিলজাল, ৬-৮)

    রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, ‘তোমার ইমানকে খাঁটি করো, অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম : ৭৮৪৪)

    অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, ‘কোনো ভালো কাজকে কখনোই তুচ্ছজ্ঞান কোরো না। এমনকি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় সাক্ষাৎ করার ক্ষেত্রেও।’ (সহিহ মুসলিম ১৪৪)

    হজরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. ইরশাদ করেনম যে ব্যক্তি সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পাঠ করে তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি ৩৪৬৪)

    অন্য হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী, আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম। (বুখারি ৬৪০৬)

    সদকায়ে জারিয়াহ : রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, ‘যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়; কিন্তু তিনটি জিনিস বন্ধ হয় না- সদকায়ে জারিয়াহ, ওই ইলম, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়; সুসন্তান, যে তার মৃত বাবার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি : ১৩৭৬)

    সুরা ইখলাছের ফজিলত : রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কি কেউ প্রতি রাতে কোরআন শরিফের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করতে অক্ষম? তাহলে সে প্রতি রাতে সুরা ইখলাছ পড়বে। তাহলে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যাবে।’ (মুসনাদে আহমদ : ২৩৫৫৪)

    জুমার নামাজ : হজরত আউস ইবনে আউস আস্সাকাফি রা. বলেন, আমি রাসুল সা. -কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন উত্তমরূপে গোসল করবে, অতঃপর কোনো রকম যানবাহনে না চড়ে হেঁটে আগে আগে মসজিদে যাবে, ইমামের নিকটবর্তী বসবে, চুপ থাকবে এবং অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকবে, তবে তার জন্য বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত প্রতি কদমে এক বছরের রোজা ও কিয়ামুল লাইলের সওয়াব লেখা হবে। (আবু দাউদ : ৩৪৫)

    জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত : হজরত উসমান বিন আফ্ফান রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতে আদায় করে, সে অর্ধরাত্রি ইবাদতের সাওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি এশা ও ফজর নামাজ জামাতে আদায় করবে, সে পুরো রাত ইবাদতের সওয়াব পাবে।’ (আবু দাউদ : ৫৫৫)

    হজরত আবু উমামা রা সূত্রে বর্ণিত, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি হেঁটে নামাজ পড়তে যাবে, সে হজের সওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি নফল নামাজের জন্য হেঁটে যাবে, সে নফল ওমরাহর সওয়াব পাবে।’ (আল মু’জামুল কাবির : ৭৫৭)

    এশরাক নামাজের ফজিলত : হজরত আনাস রা. সূত্রে বর্ণিত, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর জিকিরে থাকে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, সে পরিপূর্ণ একটি হজ ও ওমরাহর সওয়াব পাবে। (তিরমিজি : ৫৮৬)

    গোপনে নফল পড়ার ফজিলত : রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘জনসম্মুখের তুলনায় লুকিয়ে নফল নামাজ পড়ার মধ্যে ২৫ গুণ বেশি সওয়াব।

  • হজ কোটা বৃদ্ধি, এবার হজপালন করবেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯১ জন

    হজ কোটা বৃদ্ধি, এবার হজপালন করবেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯১ জন

    আগামী বছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য ১০ হাজার হজ কোটা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে হজপালন করার সুযোগ পাবেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯১ জন।

    বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে মক্কায় ২০২০ সালের হজ চুক্তির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি আরবের হজ ও উমরা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুল ফাত্তাহ বিন সোলায়মান মাশাতের নেতৃত্বে সৌদি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

    বৈঠক শেষে হজ কোটা বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন আব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাৎ হোসাইন তাসলিম।

    উল্লেখ্য যে, মুসলিম জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের অনুকূলে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ হজ কোটা বরাদ্দ দেয়। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজপালনের সুযোগ পেয়ে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অনুকূলে হজ কোটা বাড়ানোর জন্য বলা হচ্ছিল। বাংলাদেশের দাবি মেনে এবার ১০ হাজার কোটা বাড়ানো হলো।

    চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২০ সালে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে ১ আগস্ট। বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে ২৫ জুন।

  • রাউজানে জিকিরে মোস্তফা (দঃ) মাহফিল শুক্রবার: ব্যাপক প্রস্তুতি

    রাউজানে জিকিরে মোস্তফা (দঃ) মাহফিল শুক্রবার: ব্যাপক প্রস্তুতি

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : রাউজান আমিরহাট ১০দিন ব্যাপি শোহাদায়ে কারবালা মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে পবিত্র জসনে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন উপলক্ষে ২২ নভেম্বর শুক্রবার গর্জনীয়া জামে মসজিদ ময়দানে বাদে জুমা হতে অনুষ্টিতব্য বিশাল জিকিরে মোস্তফা (দঃ) মাহফিল সফলের লক্ষে সর্বশেষ প্রস্তুতি সভা রবিবার রাত ১০টায় জহুর-আম্বিয়া ভিলাতে অনুষ্টিত হয়।

    সাংবাদিক মাওলানা এম বেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত ও বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মাওলানা তাজ মুহাম্মদ রেজভীর সঞ্চালনায় এতে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন নুর-এ-হারামাইন হজ্ব কাফেলার পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আলী সিদ্দিকী।

    উপস্থিত ছিলেন সচিব মুহাম্মদ জাবেদ, সৈয়দ কপিল উদ্দিন, সদস্য মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন, মুহাম্মদ হাসান, মুহাম্মদ মুবিন, মুহাম্মদ সাজ্জাদ, নাজিম উদ্দিন ভান্ডারী, আবুল বশর বাদশা, মোহাম্মদ মোজাফফর, মাওলানা নঈমুদ্দিন, মজিবুল বশর সাজেদ, মুহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ মামুন প্রমুখ।

    শুক্রবারের মাহফিল সফলের লক্ষে শৃংখলা, আপ্যায়ন, তাবরুক বিতরন, সাজসজ্জা, পাবলিসিটি সহ বিভিন্ন উপকমিটি করে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়।

    এদিকে শুক্রবারের মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আহছান হাবিব (মা.জি.আ)। প্রধান অতিথি থাকবেন আলহাজ্ব আল্লামা গোলাম মোস্তফা শায়েস্তাখান আল আযহারী।

    নাত পরিবেশন করবেন সারা জাগানো নাতখাঁ আলহাজ্ব মুখতার আহমেদ রেজভী, আলহাজ্ব হাসান মুরাদ কাদেরী, আলহাজ্ব এমদাদুল ইসলাম কাদেরী, আলহাজ্ব ক্বারী তারেক আবেদীন কাদেরী, অন্ধ শায়ের হাফেজ মুহাম্মদ ইয়াকুব, শায়ের আবুতালেব, শায়ের আবদুল মাবুদ, শায়ের মিনহাজ্ব, শায়ের ওসমান প্রমুখ।

    প্রস্তুতি সভা শেষে মিলাদ কিয়াম পরিবেশন করেন শায়ের মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন কাদেরী ও আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন। পরে সকলের মাঝে তাবরুক বিতরন করা হয়।

  • শ্রীপুর বুড়া মসজিদের দানবাক্সের টাকা ৩১ দফায় গণনা

    শ্রীপুর বুড়া মসজিদের দানবাক্সের টাকা ৩১ দফায় গণনা

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার ঐহিত্যবাহী শ্রীপুর বুড়া মসজিদের দানবাক্সের টাকা ৩১ দফায় গণনা শেষে ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়েছে।

    রবিবার (১৭ নভেম্বর) মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা শেষে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৮শত ৪টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. একরামুল ছিদ্দিক।

    টাকা গণনাকালে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম, মসজিদের ওয়ারিশানদের পক্ষে মো. নুরুন্নবী চৌধুরী, মুয়াজ্জিন মো. এয়াকুব আলী, শেখ মো. কফিল উদ্দীন, আবদুল মান্নান, ফরিদুল আলম, মো. আশরাফ আলী, মো. নুরুল আলম, মো. আবদুল করিম আলকাদেরী, মো. ইদ্রিস, মো. আবদুল আল নোমান, মো. নুরুল হক, মো. বদিউল আলম, লোকমান হোসেন, পেশ ইমাম মাওলানা মো. সোহেল আজাদ।

    এ নিয়ে মসজিদের ব্যাংক হিসেবে ৩১দফায় দানবাক্সের টাকা জমা হলো ১কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৯৪৩ টাকা।

  • বিশ্বের প্রথম হাতের সেলাই করা কুরআন শরীফ

    বিশ্বের প্রথম হাতের সেলাই করা কুরআন শরীফ

    বিশ্বের প্রথম হাতে সেলাই করে পবিত্র কুরআন শরীফ লেখা সম্পন্ন করলেন পাকিস্তানী নারী নাসিম আক্তার। তিনিই প্রথম পবিত্র কুরআন শরীফ হাতে সেলাই করে লেকার গৌরব অর্জন করেছেন।

    ৩২ বছরের কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, নিবেদন এবং ইসলাম ও পবিত্র কোরআনের প্রতি ভালবাসা থেকে কাজটি তিনি সম্পন্ন করেছেন।

    নাসিম আক্তার বলেন, ‘আমি কুরআনটি সম্পূর্ণ হতে কতদিন লাগবে তা নিয়ে চিন্তা না করে পূর্ণ সংকল্প নিয়ে সেলাই শুরু করি। এই মহৎ কাজটি সম্পন্ন করার রহমত দানের জন্য আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি এটা করতে পেরে খুব খুশি। আমি আমার পুরো জীবনে আর কখনও এত খুশি হতে পারিনি।’

    তিনি জানান, ৩২ বছর আগে তার মনে হঠাৎ করেই এই ইচ্ছাটা জাগে এবং তিনি এটি কার্যকর করা শুরু করেন। তবে, তিনি জানতেন না যে তার এই কাজ শেষ হতে কয়েক দশক সময় লাগবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন।

    নাসিম আক্তারের মতে, ‘এই কাজটির সম্পূর্ণ করার মত তৃপ্তি ও আনন্দ তিনি জীবনে আর কখনই পাননি। তিনি এর জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।

    নাসিমার সেলাই করা পবিত্র কোরআনের ওজন ৬০ কেজি এবং এটি সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি। এটিকে পরিপূর্ণতা দিতে সোনালী এমব্রয়ডারিও করা হয়েছে। এর মলাট রেশমি কাপড় দিয়ে মোড়ানো হয়েছে। প্রতিটি পারার শুরুতে পৃথক কভার পৃষ্ঠা রয়েছে। তিনি কুরআনের সমস্ত আয়াতকে সজীব সবুজ বর্ণে সেলাই করেছিলেন। সব কিছুই তিনি নিজে হাতে করেছেন। কোন মেশিনের সাহায্য নেননি। এমনকি এই উদ্দেশ্যে তিনি কারও কাছ থেকে কোন সহায়তাও নেননি।

    সর্বোপরি তিনি শুধুমাত্র ওযু থাকা অবস্থাতেই সেলাই করতেন যা সরাসরি কাজের প্রতি তার উৎসর্গকে প্রতিনিধিত্ব করে।

    নাসিম আক্তার বর্তমানে পাকিস্তানের গুজরাটে থাকেন। সউদী কর্মকর্তারা তার কাজের কথা শুনে তাকে সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি খুশি মনে তার হাতের সেলাই করা পবিত্র কুরআনের অনুলিপিটি পবিত্র মদিনার মিউজিয়ামে দান করেন। সেটি এখন মদিনার পবিত্র কুরআনের জাদুঘরে প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। তার পরিশ্রম এবং ইসলামের প্রতি উৎসর্গের জন্য তার পুরো পরিবার গর্বিত।

  • রাউজানে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহর আগমনে প্রস্তুতি সভা

    রাউজানে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহর আগমনে প্রস্তুতি সভা

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজান উপজেলা (উত্তর) এর ব্যবস্থাপনায় আওলাদে রাসুল আল্লামা সৈয়্যদ তাহের শাহ (মাঃজিঃ আলী) এর শুভ আগমন উপলক্ষে আজ বিকাল ৪ টায় রাউজান দারুল ইসলাম মাদ্রাসায় এক বিশাল প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত হয়। আগামী ১৬ নভেম্বর শনিবার বিকাল ৩ টায় তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

    অধ্যক্ষ মাওলানা ইলিয়াস নুরীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা ইয়াসিন হোসেন হায়দরির সঞ্চালনায় আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহম্মদিয়া ট্রাস্টের প্রচার ওপ্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী শামসুর রহমান।

    অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তরজেলা গাউসিয়া কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব মুছা চৌধুরী, সাধরণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সহ-সভাপতি মুহাম্মদ জমির উদ্দিন মাষ্টার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান, অর্থ সম্পাদক খোরশেদ আলম মাষ্টার, মুহাম্মদ হারুন সওদাগর, দারুল ইসলাম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রফিক আহম্মদ ওসমানী,মাওলানা মারফাতুন নুর, বি,এম জসিম উদ্দিন হিরু,মাওলানা জয়নাল আবেদীন জামাল, মুহাম্মদ আব্দুল মোতালেব,মোহাম্মদ আবু বক্কর, মাষ্টার জাফর, মাওলানা আবদুল খালেক,আলহাজ্ব নুরুল আমিন, এস আসাদ উল্লাহ,এস এম কামাল উদ্দিন,মুহাম্মদ হানিফ,মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, এম এ মতিন,মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা শওকত,কে এম ফারুক, মোহাম্মদ মোরশেদ, আব্দুল আওয়ালা সুজন,

    উল্লেখ্য আওলাদে রাসুল, রাহনুমায়ে শরিয়ত ও ত্বরিকত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মাঃজিঃআলী) আগামী ১৬ নভেম্বর রোজ শনিবাত বিকাল ৩ টায় রাউজান সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে রাউজান উপজেলা গাউসিয়া কমিটির ব্যবস্থাপনায় “রাহমাতুল্লিল আলামিন সুন্নি কনফারেন্স” এতে প্রধান অতিথি হিসাবে তাশরিফ আনবেন। এতে বিশেষ মেহমান হিসাবে আরো উপস্থিত থাকবে হুজুরের শাহাজাদা হযরত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাশেম শাহ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ।

    হুজুর কেবলা রাউজান কলেজ মাঠে মাগরিব ও এশার নামাজের ইমামতি করবেন এবং বাদে আসর রাউজান স্কুল মাঠে সম্পুর্ন পর্দা সহকারে মহিলাদের বায়াত করাবেন।

  • কুমিল্লায় তারেক মনোয়ারসহ ৩ বক্তার ওয়াজ নিষিদ্ধ

    কুমিল্লায় তারেক মনোয়ারসহ ৩ বক্তার ওয়াজ নিষিদ্ধ

    ওয়াজ-মাহফিলে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে কুমিল্লায় তিন মাওলানার ওয়াজ এবং সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে কুমিল্লার জেলা প্রশাসন।

    ওয়াজ-মাহফিলে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে জনপ্রিয় ইসালামি বক্তা ও টিভি উপস্থাপক মাওলানা তারেক মনোয়ারসহ তিন বক্তা ওয়াজ করতে পারবেন না বলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) কুমিল্লা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান। নিষিদ্ধ অন্য বক্তারা হলেন- মাওলানা আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এবং মাওলানা জসিম উদ্দিন।

    জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, ‘উল্লেখিত ওয়াজকারী বক্তারা দীর্ঘ বছর ধরে ওয়াজের নামে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি করে আসছে। তাদের ওয়াজে ইসলামের আদর্শ দেশ প্রেমের চেয়ে উগ্রবাদ প্রকাশ পায়, তাই তাদের ওয়াজ কুমিল্লায় নিষিদ্ধ করা হলো।’

    জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কয়েকজন মাহফিলে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রাখেন। বিশৃঙ্খলা ছড়াতে তারা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন। ইতোমধ্যেই আমরা এমন তিনজনের তালিকা করেছি। এ তিনজন কোনও মাহফিলে বক্তব্য দিতে পারবেন না। বিভ্রান্তি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন এমন বক্তাদের চিহ্নিত করে তালিকা আরও বড় করা হবে।

  • রাউজানের উরকিরচর জনতা সংঘের ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) সম্পন্ন

    রাউজানের উরকিরচর জনতা সংঘের ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) সম্পন্ন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : রাউজানের উরকিরচর জনতা সংঘের উদ্যোগে ৪৫তম পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) গত ৭,৮ ও ৯ নভেম্বর উরকিরচর উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে সম্পন্ন হয়েছে।

    এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল পবিত্র জশ্নে জুলুছ, খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া, খতমে খাজেগান, নাতে রাসূল (সঃ), বিনা মূল্যে ব্লার্ড গ্রুপ নির্ণয়, প্রবাসী সংবর্ধনা, শিশু কিশোর সমাবেশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ক্বেরাত, নাতে রাসূল (সঃ), ইসলামী জ্ঞান কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণ, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) শীর্ষক আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও তবরুক বিতরণ।

    ৭ নভেম্বর মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা ডঃ মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, তকরীব করবেন মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা এহসানুল হক জেহাদী।

    ৮ নভেম্বর মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন রাণীরহাট আলামীন হামিদীয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ক্বারী নজরুল ইসলাম, তকরীর করবেন মাওলানা সেকান্দর হোসেন, মুফতি মাস্উদ রিজভী।

    ৯ নভেম্বর ১ম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ১২ নং উরকিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল জব্বার সোহেল, তকরির করেন, আল্লামা ড. এ এস এম বোরহান উদ্দীন, ২য় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা গাজী শফিউল আলম নেজামী, তকরির করেন, মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ ফরিদুল আলম রেজভী, আল্লামা মুফ্তি মনিরুজ্জামান, আল্লামা মুফ্তি মাছুম বিল্লাহ্, মাওলানা মুহাম্মদ হাসান রেজা।

    সমাপনী বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সুমন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন সাইফ এর সংঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কালাম মেম্বার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছগির আহমদ, নুরুল আমিন, সাবেক সভাপতি নুরুল আবছার মিয়া, মোঃ আইয়ুব, ইকবাল হোসেন, সরওয়ারুল আলম, সাবেক সভাপতি মোঃ নুর নবী, ইউছুপ আলী, মহিউদ্দীন ইমন, আবু তাহের সওদাগর, হাবিবুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী জহুরুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম, আবু বক্কর সিদ্দিকী, মোঃ আলী, মনছুর আলম, ওসমান গণি, আরিফুল ইসলাম, নেজাম উদ্দীন চৌধুরী করিম, সাজ্জাদ হোসেন, লোকমান আনছারি, জাবেদ হোসেন, ফরহাদ উদ্দীন বাবলু, তারেক আজিজ, মোঃ শাহেদ, আবু কাউছার, মোঃ ফিরোজ, আবদুর রহিম, নাজমুল রায়হান, ইয়াকুব আলী প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলিমের পরিত্রাণের পথ ও পাথেয় মহান আল্লাহর একমাত্র নিয়ামত মহানবী (দঃ)’র জীবন আদর্শ। মানুষে মানুষে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতির অনুসরণে মহানবী (দঃ)’র আদর্শ মানবকুলের সর্বময় জীবন শান্তি-সুখ ও কল্যাণের ধারা প্রবাহমান হবে।

    ঐতিহ্যবাহী জনতা সংঘ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন হলেও সুন্নিয়ত ও বেলায়তের ভিত্তিতে তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালনে ঐক্যবদ্ধ।

  • রাউজান রাসবিহারী ধামে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন

    রাউজান রাসবিহারী ধামে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : রাস লীলা উপলক্ষে রাউজান পৌরসভার মুন্সীরঘাটাস্থ রাসবিহারী ধাম প্রাঙ্গনে আয়োজিত ষোড়শ প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞ ও পালা কীর্তনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

    প্রাকৃতিক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানমালা পরিবর্তিত হয়ে আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। তবে আজ সোমবার রাতে রাউজান রাস বিহারী ধামে রাস পুজা অনুষ্ঠিত হবে।

    আগামী ২১ নভেম্বর থেকে চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার মধ্যে ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিকাল ৪টায় ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। একই দিন রাত ৯টায় ধর্মীয় গীতি নৃত্যনাট্য, রাত ১০টায় ষোড়শ প্রহরব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস।

    ২২ ও ২৩ নভেম্বর শুক্র ও শনিবার ষোড়শ প্রহরব্যাপী নামসুধা অভিসিঞ্চন এবং প্রতিদিন দুপুর ও রাতে মহা প্রসাদ বিতরণ এবং ২৪ নভেম্বর রবিবার রাত ১০টায় পালা কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে। পালা কীর্তনে অংশগ্রহন করবেন চট্টগ্রামের প্রখ্যাত পালা কীর্তনের স¤্রাট বিষ্ণুপদ সরকার ও আশুতোষ চক্রবর্ত্তী।

    চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালায় সকলের উপস্থিতি কামনা করেছেন রাউজান সার্বজনীন শ্রী শ্রী রাসবিহারী ধাম পরিচালনা পরিষদ ও উৎসব উদযাপন পরিষদ।

  • ইনসাফ সম্প্রীতি ও মানবকল্যাণই মহানবীর (দ.) আদর্শ : সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী

    ইনসাফ সম্প্রীতি ও মানবকল্যাণই মহানবীর (দ.) আদর্শ : সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : মহানবীর (দ.) দুনিয়ায় শুভাগমন দিবস ১২ রবিউল আউয়াল রাজধানী ঢাকার মিরপুরে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার উদ্যোগে ও মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ইমাম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) এর নেতৃতে লাখো লাখো নবী প্রেমী জনতার উচ্ছ্বাস মুখর অংশগ্রহণে জশনে জুলুস বের করা হয়েছে।

    কালেমা খচিত বিভিন্ন ফেষ্টুন, ব্যানার, প্লেকার্ড, জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা হাতে ধর্মীয় মানব শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা স্লোগানে স্লোগানে রাজধানীর রাজপথ প্রকম্পিত করে তুলে।

    ১০ নভেম্বর রবিবার সকালে মিরপুর-১ দারুস সালাম রোড থেকে জশ্নে জুলুস শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশ।

    এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, মানবজাতিসহ সমগ্র সৃষ্টি জগতের মাঝে আজ অফুরান আনন্দের হিল্লোল বয়ে যাচ্ছে। কেননা, ১২ রবিউল আউয়ালের এই দিনে পুরো জগৎকে আলোকিত করে তশরিফ এনেছেন মানবজাতির মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (দ.)।

    তিনি যখন দুনিয়ায় আগমন করেন তখন ছিল তমাসাচ্ছন্ন তথা আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগ। আরবের গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ বিগ্রহ লেগেই থাকতো। ঐ সময়ে কন্যা সন্তানকে অভিশাপ মনে করে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। নারী জাতির কোন মর্যাদাই ছিল না। নারীরা ছিল ভোগ-বিলাসিতার পণ্য। মহানবীর (দ.) এসবের অবসান ঘটিয়ে নারী জাতিকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

    শুধু তাই নয়, রাষ্ট্র ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় তিনি মদিনার সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেন। শান্তি সম্প্রীতি ও মানবকল্যাণই ছিল মহানবীর (দ.) অনুপম আদর্শ। তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ এবং যথাযথ স্মরণের মাধ্যমে আমরা জাগতিক জীবনে শান্তি এবং পরকালীন অনন্ত জীবনেও মুক্তির দিশা পেতে পারি।

    সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী আরো বলেন, বিশ্বজুড়ে আজ মানবতার আর্তনাদ ও গভীর হাহাকার শোনা যায়। নিপীড়ন, বঞ্চনা ও দলনে বিশ্বের লাখো লাখো জনগোষ্ঠীর জীবনে দুর্দশা ও মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। ইসলামসহ প্রতিটি ধর্মই শান্তির কথা বলে।

    শান্তি, সম্প্রীতি ও সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থানই এই মুহূর্তে বিশ্ববাসীর আকাঙ্খা। তাই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখা এবং সব ধর্মের মানুষ মিলে সহাবস্থানের হাজার বছরের ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। তিনি ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইয়েমেন, কাশ্মীর ও মিয়ানমারের নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বে শান্তি জননিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান।

    দুর্নীতি, মাদক, জুয়া, পর্নোগ্রাফি দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব সামাজিক অনাচার রুখতে রাষ্ট্রকেই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে।

    অনুষ্ঠানের উদ্বোধক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি॥ তিনি বলেন, দেশকে জঙ্গিবাদের মাধ্যমে সংকটের মধ্যে ফেলার প্রচেষ্টা ছিলো। কিন্তু হক্কানী আলেমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আলেমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করেছেন। আমি শুকরিয়া আদায় করছি ঘূীর্ণঝড় থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি আমি এই শান্তি সমাবেশে আসতে পেরে আনন্দিত।

    বিশেষ অতিথি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, শাহজাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন, পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আহমদ তিজানী বিন ওমর।

    মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেন, মহানবীর (দ.) শুভাগমনের এই দিনে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদেরকে শপথ নিতে হবে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। না হয় দেশ ও জাতি কঠিন প্রশ্নের সম্মুখিন ও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি ধর্মীয় সহিংসতায় জড়িতদের ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

    পরিশেষে মিলাদ কিয়াম পরিবেশন শেষে সকল প্রকার প্রকৃতিক দুর্যোগ ও বিশ্ব মানবতার কল্যাণ শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।

  • আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

    আজ রবিবার ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে এ দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। ঠিক এর ৬৩ বছর পর একই তারিখে ইন্তেকাল করেন তিনি। মুসলিম উম্মাহর কাছে দিনটি একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনার। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হবে।

    ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ গোত্রের সাধারণ পরিবারে জন্ম নেন রাসুল (সা.)। আরবি পঞ্জিকা অনুযায়ী দিনটি ছিল ১২ রবিউল আউয়াল। ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙতে মুক্তির বার্তা আনেন মানব জাতির জন্য। মহানবী (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এই বার্তা প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন।

    ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সারাবিশ্বের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নানা অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে নফল নামাজ আদায়, কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল।

    ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

    ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটির দিন। বন্ধ থাকবে সংবাদপত্রও। দেশের সব সরকারি, বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল দিনটিতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলোও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।

    ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) যথাযথ মর্যাদায় পালনে বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আলোচনা, মিলাদ, দোয়া মাহফিল প্রভৃতি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন পক্ষব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে।

    রোববার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মাহফিলের মাধ্যমে মিলাদুন্নবীর (সা.) অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করা হবে। ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমের পূর্ব সাহানে ওয়াজ মাহফিল করা হবে।

    ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বাদ আসর মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় প্রেসক্লাবে। প্রতি বছর মতো এবার আশেকানে মাইজভাণ্ডারি জশনে জুলুশের আয়োজন করছে। আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারিসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে।