Category: ধর্ম

  • মাবুদিয়া দরবারে জশনে জুলুছ : প্রিয় নবী(সা.)’র আগমনে এলো শান্তির বারতা

    মাবুদিয়া দরবারে জশনে জুলুছ : প্রিয় নবী(সা.)’র আগমনে এলো শান্তির বারতা

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : শাহ্ মাবুদিয়া দরবারের সাজ্জাদান্শীন পীরে ত্বরিকত অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম আলকাদেরী (মা.) বলেছেন, প্রিয় নবী (সা.)’ আগমনে দুনিয়ায় এলো শান্তির বারতা। মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে পাঠিয়েছেন। ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে মিলাদুন্নবী (সা.)’র প্রতি সম্মান।

    শনিবার (৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার মাবুদিয়া দরবার শরীফের উদ্যোগে পবিত্র জশনে জুলুছ জুলুস ও ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

    আঞ্জুমানে আজিজিয়া মাবুদিয়া সুন্নিয়া কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যবস্থাপনায় জশনে জুলুছ দরুদ শরীফ, তাকবির ও জিকির সহকারে সকাল সাড়ে ৮টায় শাহ মাবুদিয়া দরবার থেকে শুরু হয়। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেলা সাড়ে ১২টায় খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া মাদ্রাসা ময়দানে জমায়েত হয়। এতে জুলুসের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ার‌্যমান মো. নুরুল আলম।

    মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলে তকরির পেশ করেন শাহজাদা আলহাজ্ব আল্লামা মুহাম্মদ আব্দুল করিম আলকাদেরী, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আলকাদেরী, মাওলানা সৈয়দুল হক আনসারী, মাওলানা মাহবুবুল আলম কাদেরী, সাংবাদিক কাজী এম এস এমরান কাদেরী, মাওলানা নুরুল ইসলাম রহীমি, মাওলানা মনছুর আলম কাদেরী, মাওলানা মনজুর হোসাইন,মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ আলকাদেরী, মাওলানা ইমাম উদ্দিন রহীমি, আলহাজ্ব জাফর আহমদ আলকাদেরী, মাওলানা আব্দুল খালেক কাদেরী, মাওলানা সরাফত হোসেন, মাওলানা রুহুল আমীন রহিমী প্রমুখ।

    যোহরের নামাজ আদায়, সালাত ও সালাম, ফাতেহা শেষে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন পীরে ত্বরিকত অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহীম আলকাদেরী (মা.)।

  • ঘূর্ণিঝড়ের সময় মহানবী (সা.) যেসব দোয়া পড়তেন

    ঘূর্ণিঝড়ের সময় মহানবী (সা.) যেসব দোয়া পড়তেন

    ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ো বাসাতসহ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্ত থাকতে মহানবী (স.) আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতেন। কেননা মহান আল্লাহই মানুষের সবচেয়ে বড় আশ্রয়দাতা। আল্লাহ ছাড়া মানুষকে বেশি নিরাপত্তা কেউ দিতে পারে না।

    পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে, তার নির্দেশে বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৬৪)

    তবে মানুষের গুনাহ ও কৃতকর্মের কারণেই এ ধরনের বিপর্যয় ঘটে থাকে। সমাজে অন্যায়-অনাচার বেড়ে গেলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বেশি আশঙ্কা থাকে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, জল–স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল। ( সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)।

    তাই বিভিন্ন হাদিসে রাসূল (সা.) প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন। রাসূল (সা.) নিজেও উম্মতের ওপর এসব দুর্যোগের ব্যাপারে শঙ্কিত ছিলেন।

    এই উম্মতকে যেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়ে একসঙ্গে ধ্বংস করা না হয় এ জন্য রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।

    প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে রাসূল (সা.) বিচলিত হয়ে পড়তেন। আল্লাহর শাস্তির ভয় করতেন। বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফার করতেন এবং সাহাবাদের তা করার নির্দেশ দিতেন। ঝড়-তুফান শুরু হলে রাসূল (সা.) মসজিদে চলে যেতেন। নফল নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।

    এ জন্য ঘূর্ণিঝড় ফনির আগমনে আমাদেরও এ আমলগুলোর প্রতি যত্মবান হতে হবে। বিশেষত অতীতের সব গুনাহ ও ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে রাসূল (সা.) কয়েকটি দোয়া শিখিয়েছেন।

    জোরে বাতাশ প্রবাহিত হলে যে দোয়া পড়তে হবে

    ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﻴْﺮَﻫَﺎ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻫَﺎ

    উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা

    অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণটাই কামনাকরি। এবং আপনার নিকট এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই।

    আবূ দাউদ ৪/৩২৬, নং ৫০৯৯; ইবন মাজাহ্ ২/১২২৮, নং ৩৭২৭।

    মেঘের গর্জন হলে যে দোয়া পড়তে হবে-

    হজরত আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর (রা.) যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং পবিত্র কোরআনের এই আয়াত তিলাওয়াত করতেন-

    سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ، والـمَلائِكَةُ مِنْ خِيْفَتِهِ

    উচ্চারণ: সুবহানাল্লাজি ইউসাব্বিহুর রা`দু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহি

    অর্থ: পাক-পবিত্র সেই মহান সত্তা- তাঁর প্রশংসা পাঠ করে বজ্র এবং সব ফেরেশতা।

    হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেঘের গর্জন শুনলে বা বিদ্যুতের চমক দেখলে সঙ্গে সঙ্গে এই দোয়া করতেন-

    اللَّهُمَّ لا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ ، وَلا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ ، وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ

    উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা- তাক্বতুলনা- বিগযাবিকা ওয়া লা-তুহলিকনা- বিআ’জা-বিকা, ওয়া আ’-ফিনা- ক্বাব্লা যা-লিকা।

    অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমাদেরকে তোমার ক্রোধের কারণে মেরে ফেলো না আর তোমার আযাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। বরং এর আগেই আমাদেরকে ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে নাও। (তিরমিজি)

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা বাতাসকে গালি দিও না। যদি তোমরা একে তোমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেখতে পাও, তবে এই দোয়া করবে-

    اَللَّهُمَّ اِنَّا نَسْئَالُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ خَيْرِ مَا فَيْهَا وَ خَيْرِمَا أُمِرَتْ بِهِ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ هَذِهِ الرِّيْحِ وَ شَرِّ مَا فَيْهَا وَ شَرِّ مَا أُمِرَتْ بِهِ

    উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরি মা ফিহা ওয়া খাইরি মা উমিরাত বিহি, ওয়া নাউজুবিকা মিন শাররি হাজিহির রিহি ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উমিরাত বিহি’ (তিরমিজি, মিশকাত)।

    অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট এ বাতাসের ভালো দিক, এতে যে কল্যাণ রয়েছে তা এবং যে উদ্দেশ্যে তা নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার উত্তম দিকটি প্রার্থনা করছি। এবং তোমার নিকট এর খারাপ দিক হতে, এতে যে অকল্যাণ রয়েছে তা হতে এবং এটা যে উদ্দেশ্যে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে এসেছে তার মন্দ দিক হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

    প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উম্মতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, যেন তার উম্মতকে দুর্যোগ ও বিপর্যয় দিয়ে এক সঙ্গে ধ্বংস করে দেয়া না হয়।

    এসব বিপদকালীন সময়ে বিশ্বনবী বেশি বেশি তাওবা ও ইসতেগফার করতেন এবং অন্যদেরকেও তা পড়তে নির্দেশ দিতেন। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত ঘূর্ণিঝড়, প্রবল ঝড়ো বাতাস ও বিপদ-আপদে উল্লেখিত দোয়া পড়া এবং বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা।

    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সব গুনাহ ক্ষমা করে ঘূর্ণিঝড় ফনিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ রাখুন। আমিন।

  • রাউজানে বিশাল জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত : হাজার হাজার নবী প্রেমিকদের ঢল

    রাউজানে বিশাল জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত : হাজার হাজার নবী প্রেমিকদের ঢল

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : উত্তর চট্টগ্রামের বিশাল ১৯ তম জসনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাউজানে ৮ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জসনে জুলুছে হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নেন।

    আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হলদিয়া ডাবুয়া কতৃক আয়োজিত বিশাল এ জুলুছে নেতৃত্ব দেন গর্জনীয়া ফাযিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ পীরে তরিকত সৈয়দ আলহাজ্ব আল্লামা আহসান হাবীব (মা.জি.আ)।

    প্রতি বছরের ন্যায় পায়ে হাটা পরিবর্তন করে মোটরযোগে উত্তর সর্তা দরগাহ বাজার হতে ফটিকছড়ির কোটের পাড়, তকিরহাট, রাউজান নোয়াজিষপুর, দলইনগর, কালাচান্দাহাট ব্রীজ, গহিরা চৌহমুনী হয়ে রাউজান সদরের মুন্সিরঘাটা, আদালত ভবন, সেবাখোলা, চৌধুরী বটতল হয়ে এয়াছিন শাহ্ পাবলিক কলেজ ময়দানে জুলুছের সমাপ্তি ঘটে। বিশাল এই জসনে জুলুছে হাজার হাজার আশেকে রাসুল অংশগ্রহণ করে।

    নারায়ে তাকবীর, নারায়ে রেছালাত স্লোগান ও বিভিন্ন নাত শরীফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমগ্র এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সকাল ৭টা থেকে নবী প্রেমীকরা ব্যানার, ফেস্টুন, কালেমা ও দরুদ শরীফ সম্ভলিত পতাকা নিয়ে উপস্থিত হতে থাকে দরগাহ বাজারে। শিশু থেকে শুরু করে বয়বৃদ্ধ পর্যন্ত এই জুলুছে অংশগ্রহন করে।

    এই জুলুছ কে কেন্দ্র করে রাউজানে ব্যাপক আনন্দ পরিলক্ষিত হয়। স্কুল কলেজ মাদ্রাসার পাশাপাশি সাধারন জনসাধারন এই জুলুছে শরিক হয়ে এলাকাবাসীকে জানান দে আজকে মোদের খুশির দিন, সকল ঈদের সেরা ঈদ, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)।

    জুলুস পরবর্তী আলোচনা সভা কলেজ মাঠে অধ্যক্ষ আল্লামা সৈয়দ আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জুলুছ কমিটির মহাসচিব ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম ও সৈয়্যদ মোহাম্মদ আলী আকবর তৈয়্যবীর যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ইহরাম হজ্ব কাফেলার পরিচালক আল্লামা গোলাম মোস্তফা শায়েস্তা খান আল আযহারী।

    বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা এস এম বাবর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আল্লামা ইদ্রিছ আনছারী, স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংবাদিক মাওলানা এম বেলাল উদ্দিন। এতে মিলাদ কিয়াম পরিচালনা করেন সাবেক সচিব মাওলানা মুনছুর আলম নেজামী।

    এতে উপস্থিত ছিলেন গর্জনীয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল্লামা সাঈদুল আলম খাকী, মাওলানা কলিম উল্লাহ নুরী, আল্লামা সোলায়মান মকবুলী, আল্লামা ইয়াছিন হোসাইন হায়দারী,জাহাঙ্গীর আলম সিকদার, মেম্বার শামসুল আলম চৌধুরী, আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ আলী ছিদ্দিকী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম রেজভী, মাওলানা শামসুল আলম নঈমী, আলহাজ্ব আবদুচ সালাম মাস্টার, আল্লামা বাহাউদ্দিন ওমর, তরুন রাজনীতিক জিয়াউল হক চৌধুরী সুমন, মেম্বার মোহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ সাহাবু সওদাগর, সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, আল্লামা নুরুল আবছার রেজভী, আলহাজ্ব সোলায়মান চৌধুরী, মাস্টার জামাল উদ্দিন, গাউছিয়া কমিটির সভাপতি হোসেন মাস্টার, মওলানা আব্দুল মালেক, আলহাজ্ব নুরুল হুদা মেম্বার।

    আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ক্বারী মাওলানা ওসমান গণী, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, মাস্টার ফরিদুল আলম, যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ মনছুর, মাওলানা দিদারুল আলম ক্বাদেরী, মাওলানা ইয়াছিন ভান্ডারী, মুহাম্মদ নুরুল হায়দার, মাওলানা আহমদ হোসেন রেজভী, মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, আবুল হাসেম রেজভী, মাওলানা সৈয়্যদ লুৎফুর রহমান, সৈয়দ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ ওসমান, মাওলানা জাফর নুরী, মাওলানা জিলহাজ্ব উদ্দিন, মওলানা আবছার উদ্দিন, মাওলানা আলমগীর, মাওলানা আবুল বশর ভান্ডারী।

    উপস্থিত ছিলেন মাওলানা তাজ মুহাম্মদ রেজভী, মাওলানা মামুন, হাফেজ ওমর ফারুক, মাওলানা শফি, মাওলানা সালেহ আকবর, মাওলানা রফিক, হক কমিটির সেক্রেটারী মাস্টার জাকের হোসেন, সর্তারকুল দায়রা শাখার সভাপতি মামুন মিয়া, নাজিম উদ্দিন মাইজভান্ডারী, প্রবাসী আব্দুল কাদের, মাওলানা মুনছুর আলম রেজভী, গাউছিয়া কমিটির ইলিয়াছ তাহেরী, মওলানা নেজাম তৈয়্যবী, শায়ের মাওলানা আব্দুল মাবুদ, মাওলানা মোজাম্মেল হোসাইন, শায়ের মুহাম্মদ মিনহাজ্ব, মুহাম্মদ জাবেদ, শায়ের মো. জিয়া উদ্দিন, শায়ের মো. ওসমান, ছাত্রসেনা নেতা সাদ্দাম হোসেন, মুসা মাহমুদ, কুতুব উদ্দিন, জমির উদ্দিন সানী, মাওলানা কুতুব উদ্দিন, মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন,কামাল উদ্দিন, মাওলানা ইকবাল হোসেন, মুহাম্মদ মমতাজ ড্রাইভার। পরে আখেরী মোনাজাত ও তাবারুক বিতরন করা হয়।

  • মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু জগদ্ধাত্রী পূজার আনুষ্ঠানিকতা

    মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু জগদ্ধাত্রী পূজার আনুষ্ঠানিকতা

    রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের অখিল মহাজনের বাড়ীর শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী মাতৃমন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী জগদ্ধাত্রী পূজার আনুষ্ঠানিকতা।

    সোমবার সকালে এক শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় এক হাজারের অধিক নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। এরপর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আশুতোষ মহাজন। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় চিকিৎসক রনজিৎ কুমার দে’র সভাপতিত্বে ও মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি কানু রাম দাশের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশুতোষ মহাজন।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শুভধন মহাজন, প্রদীপ কান্তি মহাজন, সুমন মহাজন, বিশ্বনাথ মহাজন, প্রনব কান্তি দাশ, বাপ্পা রাম দাশ, জুয়েল মহাজন সাজু রাম দাশ প্রমুখ।

    তিনদিনব্যাপী পূজার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে চন্ডীপাঠ, গীতাপাঠ ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অবন্তী সিঁথি ও মিরাক্কেল কৌতুক অভিনেতা আরমানের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে।

    বিগত ৪০ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজন হয়ে আসছে। তিনদিনব্যাপী পূজায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পূজার্থীর সমাগম ঘটে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

  • রাউজানে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শেরে বাংলা (রহঃ) স্মৃতি সংসদের জুলুছ

    রাউজানে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শেরে বাংলা (রহঃ) স্মৃতি সংসদের জুলুছ

    চট্টগ্রামের রাউজানে গাজী শেরে বাংলা (রহঃ) স্মৃতি সংসদের ব্যবস্থাপনায় ও আজিজিয়া তাহেরীয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে আজ ৪ নভেম্বর সোমবার বেলা দুইটায় মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা সভাপতি আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মাহমুদুল হক আল কাদেরীর নেতৃত্বে এক স্বাগত জুলুছ বের হয়।

    জুলুছে দুই শতাধিক বাই সাইকেল, শতাধিক মোটর সাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা, পিকআপ ভ্যানযোগে এক হাজারের অধিক মুসল্লির অংশগ্রহণে জুলুছটি নোয়াপাড়া আজিজিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে নোয়াপাড়া পথেরহাট, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক পথ হয়ে কমলার দীঘি, সামমাহালদার পাড়া, কচুখাইন, মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসা হয়ে দক্ষিণ নোয়াপাড়া প্রদক্ষিণ শেষে মাদ্রাসা মাঠে এসে শেষ হয়।

    গাজী শেরে বাংলা (রহঃ) স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা কাজী নাজমুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি প্রধান শিক্ষক মাওলানা আজিজুল হক, ইউপি সদস্য হাজী ইউসুফ, সাবেক ইউপি সদস্য বজল আহমদ, মাওলানা এয়াছিন কাদেরী, আবু সৈয়্যদ, ফয়সাল, জানে আলম, খোরশেদ কোম্পানী, নাজিম উদ্দিন, হান্নান, ইয়াছিন, রানা, ওমর ফারুক, শাহেদ, তৈয়ব, রকিব উদ্দিন, দেলেয়ারসহ স্থানীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    উল্লেখ্য ১৯৯৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর এই জুলুছটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। জুলুশ শেষে মোনাজাত ও কিয়াম পরিচালনা আলহাজ্ব কাজী মাওলানা মাহমুদুল হক আল কাদেরী।

  • বোয়ালখালীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)কে স্বাগত জানিয়ে গাউছিয়া কমিটির শোভাযাত্রা

    বোয়ালখালীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)কে স্বাগত জানিয়ে গাউছিয়া কমিটির শোভাযাত্রা

    চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)কে স্বাগত জানিয়ে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ বোয়ালখালী শাখার উদ্যোগে মোটর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার (৩ নভেম্বর) সকালে গাউছিয়া কমিটি বোয়ালখালী শাখার খান্কা থেকে শুরু হয়ে এ শোভাযাত্রা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চরখিজিরপুর গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া ছালেহ রাবেয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে শেষ হয়।

    এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় গাউছিয়া কমিটি বোয়ালখালী শাখার সভাপতি মো.নুরুল ইসলাম চৌধুরী মুন্সির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব ইলাহী সিকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন গাউছিয়া কমিটি দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ মাষ্টার।

    মাওলানা ফখরুদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গাউছিয়া কমিটি দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি কাজী ওবাইদুল হক হক্কানী, যুগ্ম সম্পাদক শেখ মো. সালাউদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আজম শেফু, এরশাদ খতিবী, এসএম মমতাজুল ইসলাম, ইদ্রিস বিকম, সৈয়দুল হক কোম্পানী, হাফেজ নুরুল হক, মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহেদুল হক তালকুদার, মহিউদ্দিন আলকাদেরী, জয়নাল আবেদীন আলকাদেরী, আবুল মনসুর সিকদার, আয়ুব আলকাদেরী, আলম খান, এসএম ফজলুল কবির, ইস্কান্দর আলম দিদার, মো. ইদ্রিচ সওদাগর, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, প্রিয় নবী করিম (দ.) দুনিয়ায় আগমন করে ঈমানী আহ্বানে যে ভাবে বিশ্বের সকল জাতিকে, সকল ধর্মের হানাহানি থেকে মুক্ত করে শান্তির পরশ দিয়েছিলেন ঠিক ওই শিক্ষাকে গ্রহণ করে আমাদেরকে দ্বীনি খেদমতে এগিয়ে যেতে হবে।

  • অন্ধ নারী শুনে শুনে ২ বছরেই কুরআনে হাফেজ

    অন্ধ নারী শুনে শুনে ২ বছরেই কুরআনে হাফেজ

    জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। যায়নাব ইসরা (৩১)। ছোটবেলায় তার কুরআন শেখার সুযোগ না হলেও এই বয়সে এসে শুনে শুনেই পুরো কুরআন মুখস্ত করেছেন তুরস্কের এই নারী।

    জানা গেছে, তুরস্কের খাটায় প্রদেশের আলেকজান্দ্রিয়া শহরের সরিসিকির বাসিন্দা ইসরা চার বছর আগে নারীদের এক কুরআন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হন।

    সেখানেই শুনে শুনেই মুখস্ত করতে থাকেন পবিত্র কুরআন। মাত্র দুই বছরে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করতে সক্ষম হন তিনি

    ২০১৭ সালে তুরস্কের কিয়েসারি শহরে অনুষ্ঠিত এক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এরপর বেশ কয়েক বার তিনি পবিত্র কুরআনুল পুরোপুরি পড়ে শুনিয়েছেন।

    যায়নাব ইসরা জানান, প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হয়েই আমি পবিত্র কুরআনের অডিও ফাইল শুনতে শুরু করি। অডিও ফাইল শুনে শুনেই ২ বছরে পুরো কুরআন মুখস্ত করতে সক্ষম হই।

  • সংঘাতের আশঙ্কা : বোয়ালখালীতে বৌদ্ধবিহারে পাল্টাপাল্টি আয়োজনে উত্তেজনা

    সংঘাতের আশঙ্কা : বোয়ালখালীতে বৌদ্ধবিহারে পাল্টাপাল্টি আয়োজনে উত্তেজনা

    চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার হাজারীরচর জ্ঞানাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে আগামী ৩ নভেম্বর রবিবার পাল্টাপাল্টি আহুত আয়োজন নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে বিশৃঙ্খলা এড়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

    জানা গেছে, হাজারীরচর জ্ঞানাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের গত ১৭ নভেম্বর মারাামারির ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। এ বিরোধ নিরসনে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ মিমাংসা হয় চলতি বছরের গত ১২ সেপ্টেম্বর।

    আপোষকারী একাংশ একতরফাভাবে আগামী ৩ নভেম্বর জ্ঞানাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে দানোৎত্তম শুভ কঠিন চীবর দান উৎসবের আয়োজন করায় আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বৌদ্ধ গ্রামবাসীদের মধ্যে। এ ব্যাপারে ৩০ অক্টোবর প্রতিকার ও আপোষ বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ২শত গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন।

    অপর অংশও একই বিহারে একই সময়ে প্রয়াত ধর্মশ্রী মহাথের’র ১০ মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে কর্মসূচি পালনের আয়োজন করছে। ফলে আবারো সংঘাত সংঘর্ষে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

    এলাকাবাসী জানান, এ বৌদ্ধ পল্লীতে ১২০টির মতো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পরিবার রয়েছে। তাদের নিয়েই হাজারীরচর বৌদ্ধ বিহার পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে বিহার পরিচালনা কমিটি নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তির ইন্ধনে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে মারামারি সংঘাতে লিপ্ত হয়ে পড়ে গ্রামবাসী।

    উপজেলা প্রশাসন ও প্রাজ্ঞ ভিক্ষুদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও একটি পক্ষ আগামী ৩ নভেম্বর একতরফা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিরোধকে উস্কে দিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিরসন করা হয়েছিলো। কিন্তু দু:খের বিষয়, তারা একে অপরে মিলে মিশে চলার অঙ্গীকার করেও তা বাস্তবায়ন করছেন না।

    এ নিয়ে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করা হলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)কে স্বাগত জানিয়ে রাউজানে গাউসিয়া কমিটির মোটর শোভাযাত্রা

    ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)কে স্বাগত জানিয়ে রাউজানে গাউসিয়া কমিটির মোটর শোভাযাত্রা

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও মাহে রবিউল আওয়াল মাসকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের রাউজানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জসনে জুলুছ ( মোটর শোভাযাত্রা)।

    বুধবার বিকেলে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজান উপজেলা (দক্ষিণ) শাখা এই জসনে জুলুছের আয়োজন করে। তিন শতাধিক গাড়ী নিয়ে কালেমা খচিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জসনে জুলুছের মোটর শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাহাড়তলী ইউনিয়নের চুয়েট গেইট থেকে শুরু হয়ে উরকিরচর ইউনিয়নের মদুনাঘাট প্রদক্ষিণ করে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গাউসিয়া কমিটি রাউজান উপজেলা (দক্ষিণ) শাখার সভাপতি আলহাজ আবু বক্কর সওদাগর।

    এতে উদ্বোধক ছিলেন পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তরজেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ আহসান হাবিব চৌধুরী।

    সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হানিফের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন জসনে জুলুছ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক সৈয়দ জামাল উদ্দিন, সচিব মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আলহাজ হাবিবুল ইসলাম চৌধুরী, আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার, অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ আবু মোস্তাক আল কাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ শওকত হোসেন রেজবী, অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ গোফরান, মুহাম্মদ জাহেদুল হক, মুহাম্মদ আজম কোম্পানী, মাওলানা আশোকুর রহমান আল কাদেরী, সৈয়দ মুহাম্মদ এরশাদুল হক মুন্না, মুহাম্মদ নওশাদ হোসাইন, ফিরোজুল ইসলাম চৌধুরী, মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, মুহাম্মদ আব্দুল করিম, মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম শাহ, মুহাম্মদ ইউনুছ আলম, আলহাজ ফজল আকবর, মুহাম্মদ আব্দুস সালাম, হাফেজ মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুহাম্মদ আলী, মুহাম্মদ আরমান, হাফেজ মুহাম্মদ আজিজ উদ্দিন, মাওলানা কাজী শওকত উদ্দিন, মাওলানা বখতিয়ার উদ্দিন প্রমুখ।

  • পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১০ নভেম্বর

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১০ নভেম্বর

    দেশের আকাশে আজ ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১০ নভেম্বর রবিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে। ৩০ অক্টোবর বুধবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

    এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মসচিব ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সহ-সভাপতি মো. আনিছুর রহমান।

    সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

    মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপন করা হয়ে থাকে।

  • দীপাবলি উৎসবের আতশবাজির আগুনে ৭ জনের মৃত্যু

    দীপাবলি উৎসবের আতশবাজির আগুনে ৭ জনের মৃত্যু

    হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব দীপাবলি উপলক্ষ্যে আতশবাজির আগুনে ভারতজুড়ে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

    দিল্লির ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, রবিবার গোটা ভারতে আতশবাজির কারণে ৭ নিহতের কথা জানা গেলে শত শত মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

    দীপাবলির আতশবাজিকে কেন্দ্র করে রাজধানী দিল্লিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। রোববার একদিনে শুধু দিল্লিতে তিন শতাধিক স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আর সবগুলো ঘটনাতেই দিল্লির ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা (ডিএফএস) দক্ষতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    পুলিশ বলছে, দিওয়ালি উপলক্ষ্যে আতশবাজির ঘটনায় ছত্তিশগড় রাজ্যের কোন্ডাগাঁও জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। উড়িষ্যার ভুবেনশ্বর জেলায় একজন দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সরকারি এক কর্মকর্তা আতশবাজির আগুনে পুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর এলাকার কালীপুজোয় আতশবাজি পোড়ানোর সময় হঠাৎ একটি তুবড়ি ফেটে গেলে আদি দাস নামে ৫ বছর বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    মহরাষ্ট্রের সাংলি শহরে আতশবাজি থেকে সৃষ্ট আগুনে বেশ কিছু দোকান পুড়ে গেছে। আগুন ধরেছে অনেক ভবনে। গোটা দেশেই আতশবাজির ঘটনায় রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন মুদি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের দমকল বাহিনী হাজার হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মোকাবিলা করেছে। এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

    এনডিটিভি আরও জানায়, রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের এক হাসপাতালেই আতশবাজিতে দগ্ধ হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৯৮ জন। যার মধ্যে ১০৮ জনের অবস্থা গুরুতর। এদের অনেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। রোববার চেন্নাইয়ের এক সরকারি হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন ৩১ অগ্নিদগ্ধ।

    ওই হাসাপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এরা সবাই আতশবাজির ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের আঙ্গুল মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে আর তাদের বেশিরভাগই তরুণ।

  • জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা

    জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা

    আগামী বছরের বিশ্ব ইজতেমা তাবলিগ জামাতের বিবদমান দু’পক্ষ আলাদাভাবে আয়োজনে সম্মত হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১২ এবং ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি দু’পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করবে।

    ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের বিষয়ে আলোচনার জন্য সোমবার তাবলিগ জামাতের দু’পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাদ অনুসারীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। অপরদিকে সাদবিরোধীদের পক্ষে মাওলানা জুবায়ের নেতৃত্ব দেন।

    বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ার হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    জানা গেছে, দু’পক্ষকে সন্তুষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আলাদাভাবে ইজতেমার অনুমতি দেয়া হয়েছে। আগামী ১০,১১ ও ১২ জানুয়ারি সা’দ বিরোধী অংশ টঙ্গী ময়দানে ইজতেমা আয়োজন করবে। পরের সপ্তাহেঅর্থাৎ ১৭,১৮ ও ১৯ জানুয়ারি মাওলানা সা’দের অনুসারীদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।

    বৈঠকে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা সাদ কান্ধলবি অংশ না নেয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    এ ছাড়া দু’পক্ষই আলাদাভাবে ইজতেমার আগে ৫ দিনের জোড় করবে। তবে তা টঙ্গী ময়দানে করা যাবে না।

    কয়েক লাখ লোকের জমায়েতের কারণে বিশ্ব ইজতেমাকে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বলা হয়। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হলেও তাবলিগ জামাতের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে গতবছর তা বিলম্বিত হয়।

    পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু’পক্ষ দুদিন করে চার দিন ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন।