Category: ধর্ম

  • আজ পবিত্র শবে মেরাজ

    আজ পবিত্র শবে মেরাজ

    যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের প্রতিটি মসজিদে ‘লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

    শবে মেরাজ রাতটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ হওয়ায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ রাতে নফল ইবাদত-বন্দেগির মধ্যদিয়ে অতিবাহিত করেন। এই দিনে অনেকে নফল রোজাও রাখেন।

    এদিকে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার দুপুর দেড়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররাম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে মেরাজ’র গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোহা. বশিরুল আলম। আলোচক হিসাবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুল কাদির।

    ইসলামে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থাৎ (ফরজ) নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।

    এজন্য মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টির আাশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে, বাড়িতে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগির মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করবেন।

    উল্লেখ্য, ‘শবে মেরাজ’ অর্থ ঊর্ধ্ব গমনের রাত। মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, ২৬ রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) আল্লাহ তা’য়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন।

    রজব হিজরি সনের বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস। এ মাস আসে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে। তাই এই রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে হবে। এ মাসের বড় বৈশিষ্ট্য হলো— এ মাস আল্লাহ প্রদত্ত চারটি সম্মানিত মাসের (আশহুরে হুরুমের) একটি।

  • পবিত্র শবে মেরাজ ১৮ ফেব্রুয়ারি

    পবিত্র শবে মেরাজ ১৮ ফেব্রুয়ারি

    পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (২৬ রজব) শনিবার দিবাগত রাতে পালিত হবে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে ১৪৪৪ হিজরির রজব মাস গণনা শুরু হবে।

    সোমবার বাদ মাগ‌রিব বায়তুল মোকারর‌মে ইসলা‌মিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে অনু‌ষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা ক‌মি‌টির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৪ হিজরি, ৯ মাঘ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গে‌ছে।

    এজন্য মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ২৬ রজব ১৪৪৪ হিজরি, ১৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপিত হবে।

    আরবি শব্দ ‘লাইলাতুল’ অর্থ রাত, আর ‘মেরাজ’ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, ২৬ রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। এ বছর সেই রাতটি পড়েছে আগামী ২২ মার্চ।

    লাইলাতুল মেরাজ মুসলমানদের কাছে বিশেষ মর্যাদার। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে এই মূল্যবান রাত কাটান। অনেকে নফল রোজাও রাখেন এ দিন।

    আমাদের দেশে লাইলাতুল মেরাজের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ দিন ঐচ্ছিক ছুটি।

  • ইজতেমায় দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত

    ইজতেমায় দেশের বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত

    টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন শুক্রবারে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে নামাজ শুরু হয়। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী এতে ইমামতি করেন।

    দেশের বৃহত্তম এ জুমার জামাতে অংশ নিতে রাত থেকেই মুসল্লিরা ভিড় করেন ইজতেমা ময়দানে।

    নামাজ শুরুর আগে কথা হয় উত্তরা থেকে আগত মুসল্লি শেখ সালমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রথম পর্বের জুমার নামাজে শামিল হতে পারিনি। তাই আজ চলে এলাম। ভালোই লাগছে, কারণ গতবারের চেয়ে ভিড় কম।

    আশুলিয়া থেকে আগত সাদ্দাম হোসেন বলেন, জুমার নামাজটা ইজতেমায় সবার সঙ্গে আদায় করার জন্য এখানে এলাম। আশা করি আল্লাহপাক নামাজ কবুল করবেন।

    সন্তানসহ এসেছেন মুসল্লি তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিজের ছেলেকে নিয়ে আজ এ বিশাল ময়দানে লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে নামাজ আদায় করব, ভাবতেই ভালো লাগছে।

  • আম বয়ানে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

    আম বয়ানে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

    গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব (সাদপন্থী)।

    আজ শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।

    তাৎক্ষণিকভাবে আম বয়ানের বাংলায় তরজমা করছেন মাওলানা জিয়া বিন কাসিম।

    ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাঠ বুঝে নেওয়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেন। তারা ময়দানের নির্দিষ্ট খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। মুসল্লিদের জন্য দুই দিন আগে থেকে প্রাথমিক আম বয়ান শুরু হলেও ইজতেমার মূল পর্ব আজ শুক্রবার বাদ ফজর থেকে শুরু হয়েছে। ইজতেমা ময়দান এরই মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আরও মুসল্লি বাস, ট্রাক, পিকআপ, ট্রেন ও নৌপথে ময়দানের উদ্দেশ্যে আসছেন।’

    গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান দ্বিতীয় পর্বের সাদ অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বিদের কাছে ইজতেমার ময়দান বুঝিয়ে দেন। এর আগে ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম পর্বের আয়োজক হাফেজ জুবায়ের অনুসারী শীর্ষ মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নানসহ অন্য মুরব্বিরা জেলা প্রশাসনের কাছে ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেন।

    গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও বিশ্ব ইজতেমায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

    ইজতেমা উপলক্ষে গাড়ি পার্কিং সংক্রান্তসহ নির্দেশনায় ডিএমপির প্রগতি সরণি থেকে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহনকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন করা হবে। ২২ জানুয়ারি উত্তরার বাসিন্দা, উড়োজাহাজের যাত্রী ও উড়োজাহাজের ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালককে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

    এছাড়া, বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একটি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, দুটি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে এবং একটি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহণ সার্ভিসের জন্য ভোররাত চারটা থেকে মোতায়েন থাকবে।

    গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।

    চার দিন বিরতি দিয়ে আজ শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আগামী রোববার (২২ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।

  • তুরাগ তীরে জুমার নামাজে লাখো মুসল্লির জমায়েত

    তুরাগ তীরে জুমার নামাজে লাখো মুসল্লির জমায়েত

    বিশ্ব ইজতেমার প্রথমদিনে জুমার নামাজে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির জমায়েত। আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে তুরাগ নদীর তীর। শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করেন সবাই। মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কাল পেরিয়ে আবারো সমবেত হতে পারায় শুকরিয়া আদায় করেন তারা। পুরো আয়োজন ঘিরে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। কাজ করছে পুলিশের সাইবার টিমও।
    তুরাগতীরে বিশ্ব ইজতেমায় জুমার নামাজ আদায় করেন লাখো মুসল্লি

    শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ইজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হলো স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজের জামাত। নামাজ শুরু হয় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে; ইমামতি করেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের।

    ইজতেমায় যোগদানকারী মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমাস্থলে হাজির হন। ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মুসল্লিদের ঢল নামে। দুপুর ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সব স্থান পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

    বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটে আসেন জুমার নামাজ আদায় করার জন্য। মাঠে স্থান না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়ক ও অলিগলিসহ যে যেখানে পেরেছেন চটের বস্তা কিংবা খবরের কাগজ বিছিয়ে নামাজে শরিক হন। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

    মো. ইসমাঈল হোসেন নামে নরসিংদী থেকে আসা এক মুসল্লি বলেন, বড় জামাতে নামাজ আদায় করা অনেক ফজিলত। তাই জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ভোরেই বাড়ি থেকে বের হয়েছি। রাস্তায় যানবাহনে প্রচুর ভিড় থাকায় ইজতেমা ময়দান পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেক কষ্ট হয়েছে।

    এদিন ফজরের পর মাঠে আমবয়ান করেন মাওলানা জিয়াউল হক। সকাল ১০টায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উদ্দেশে বিশেষ বয়ান করেন আলীগড়ের প্রফেসর সানাউল্লাহ। একই সময় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বয়ান করেন পাকিস্তানের ড. নওশাদ। মাঠে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশে বয়ান করেন হায়দরাবাদের মাওলানা আকবর শরীফ। আরব জামাতের উদ্দেশে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহীম দেওলা।

    জুমার আগে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা, জুমার খুতবা পড়েন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের। তিনি ইমামতিও করেন। জুমার পর মাঠের মূলমঞ্চ থেকে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা। বাদ-আছর বয়ান করবেন মাওলানা যোবায়ের ও বাদ-মাগরিব ভারতের মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করবেন। বয়ান অনুবাদ করবেন বাংলাদেশের মাওলানা উমর ফারুক।

  • আম বয়ানে বিশ্ব ইজ‌তেমা শুরু, আজ বয়ান কর‌ছেন যে মুরুব্বিরা

    আম বয়ানে বিশ্ব ইজ‌তেমা শুরু, আজ বয়ান কর‌ছেন যে মুরুব্বিরা

    বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) পা‌কিস্তা‌নের মাওলানা জিয়াউল হক বাদ ফজর আম বয়ান করেন। তাঁর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

    ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফ‌তি জ‌হির ইব‌নে মুস‌লিম জানান, বাদ জুমা ইজতেমায় বয়ান করবেন মাওলানা ইসমাইল, বাদ আছর মাওলানা জুবায়ের এবং বাদ মাগরিব মাওলানা আহামদ ও ওমর ফারুক বয়ান করবেন।

    এসব শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের বয়ান শুনে কাটবে বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম পর্বে অংশ নেওয়া লাখ লাখ মুসুল্লির প্রথম দিন।

    আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত এভাবেই প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিরা বয়ান করবেন। এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ গাজীপুরে টঙ্গী তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে এসে জড়ো হয়েছেন। তাবলীগ জামাত আয়োজিত বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ সমাবেশ হলো বিশ্ব ইজতেমা।

    কনকনে শীতের মধ্যে চলমান বিশ্ব ইজতেমায় অনেক মুসল্লি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ পর্যন্ত শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে এক হাজার ৩১৩ জন মুস‌ল্লি চি‌কিৎসা নি‌য়ে‌ছেন। এর ম‌ধ্যে একজন ভার‌তের মুস‌ল্লিসহ ১০জন মুস‌ল্লি ভ‌র্তি আ‌ছেন। তিনজন‌কে ঢাকা মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে পাঠানো হয়ে‌ছে। হাসপাতা‌লের তত্ত্ব্বধায়ক জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য জানান।

    আগামী রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

  • ইসলাম ইমামদের যে মর্যাদা দিয়েছে

    ইসলাম ইমামদের যে মর্যাদা দিয়েছে

    ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান নামাজ। নামাজে সবাইকে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন মসজিদের ইমাম। মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ইমাম। ইমাম শব্দের অর্থ পথপ্রদর্শক, নেতা ও পরিচালক। ইমাম শুধু মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন বরং মুসলিম সমাজেরও নেতা তিনি। ইমামতি ছাড়াও মুসলমানদের যাবতীয় ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।

    ইসলামের প্রথম ইমাম আল্লাহর রাসুল সা.

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন ইসলামের প্রথম ইমাম। তাঁর পরে খোলাফায়ে রাশেদিন ইমামতির গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ইমাম হলেন (সালাতের সার্বিক) জিম্মাদার। আর মুয়াজ্জিন হলেন আমানতদার। হে আল্লাহ, ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০৭)

    ইমামকে সর্বোচ্চ সম্মান

    ইমাম কোনও দিন মজুর কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নন, ইমাম-মুয়াজ্জিন সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তারা সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার অধিকার রাখেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা মানুষের স্তরভেদ অনুপাতে তাদের সম্মান দাও।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৪৮৪২)

    পরিপূর্ণ সওয়াবের অধিকারী

    ইমামদের সম্পর্কে এক হাদিসে হজরত উকবা ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সঠিক সময়ে লোকদের নিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করেছে, এ জন্য সে (ইমাম) নিজে ও মুকতাদিরাও পরিপূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে।

    অপরপক্ষে যদি কোনো সময় ইমাম সঠিক সময়ে নামাজ আদায় না করে তবে এজন্য সে দায়ী হবে; কিন্তু মুকতাদিরা পরিপূর্ণ সওয়াবের অধিকারী হবে। -(আবু দাউদ : ৫৮০, ইবনু মাজাহ, ৯৩৬, আহমাদ৪/১৪৫, ২০১)

    ইমামদের জন্য আল্লাহর রাসুলের দোয়া

    আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, হে আল্লাহ! তুমি ইমামদের সঠিক পথ দেখাও। এর অর্থ, ‘ইলমের ব্যাপারে সঠিক পথ দেখাও। আর তার ‘ইলমের মধ্যে শরিয়তে মাসআলা মাসায়েলের সঠিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, হে আল্লাহ! তুমি মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা কর। -(তিরমিজি : ২০৭, মিশকাত, ৬৬৩, আবু দাউদ, ৫৩০)

    সবার আগে ইমামের অবস্থান

    জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে ইমাম সবার আগে দাঁড়াবেন। অর্থাৎ ইমামের কাতার সবার কাতারের আগে হবে। ইমামের আগে কেউ দাঁড়াতে পারবে না। ইবনে হাজর আসকালানি (রহ.) বলেন, ‘মূলনীতি হলো ইমাম মুক্তাদিদের আগে থাকবেন।’ (ফাতহুল বারি : ২/৩৯১),

    হানাফি, শাফেয়ি ও হাম্বলি মাজহাব (প্রসিদ্ধ অভিমত) অনুযায়ী, ইমামের আগে কেউ দাঁড়ালে তার নামাজ হবে না। (ইসলামওয়েব ডটনেট, ফাতাওয়া নম্বর : ৩৩৯৯৩)

    ইমামের অনুমতির জন্য অপেক্ষা

    নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে ইমামকে এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছে যে তাঁর অনুমতিক্রমে ইকামত দিতে হবে। আলী (রা.) বলেন, ‘মুয়াজ্জিন আজানের মালিক আর ইমাম ইকামতের মালিক।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ৪১৭১; তিরমিজি, হাদিস : ২০২),

    তবে ইমাম যদি কিছু না বলে ইকামতের অপেক্ষা করেন, তাহলে সে ক্ষেত্রেও ইকামত দেওয়া যাবে। কেননা চুপ থাকা ইমামের অনুমতি হিসেবে গণ্য হবে। (বাদায়েউল ফাওয়ায়েদ : ৩/৮০)

    সব কাজে ইমামের অনুসরণ জরুরি

    জামাতে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে সব কাজে ইমামের অনুসরণ করতে হবে এবং তাঁর চেয়ে অগ্রবর্তী হওয়া যাবে না।

    আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অনুসরণ করার জন্যই ইমাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করবে না। তিনি যখন রুকু করেন তখন তোমরাও রুকু করবে।

    তিনি যখন ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলেন, তখন তোমরা ‘রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ/ রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলবে। তিনি যখন সিজদা করবেন তখন তোমরাও সিজদা করবে। তিনি যখন বসে সালাত আদায় করেন, তখন তোমরাও বসে সালাত আদায় করবে। আর তোমরা সালাতে কাতার সোজা করে নেবে। কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। -(বুখারি, হাদিস : ৭২২)

  • রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিনিয়ত যে দোয়া পড়বেন

    রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিনিয়ত যে দোয়া পড়বেন

    সুস্থতা আল্লাহর নেয়ামত! সুস্থ হলে মানুষ বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করতে পারে। শোকর আদায় করে কৃতজ্ঞ হতে পারে। আর অসুস্থ হলে আল্লাহ তায়ালা মর্যাদা বৃদ্ধি করেন, গুনাহ ক্ষমা করেন। মানুষ নানান ধরনের রোগে আক্রান্ত হয় এবং অসুস্থ হয়। অসুস্থ হলে মানুষ দুশ্চিন্তিত হয়। আল্লাহর কাছে আরোগ্য কামনা করে।

    হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা’য়ালা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি।’ (বুখারী, খন্ড-২য়, পৃষ্ঠা-৮৪৮, হাদীস নং-৫২৭৬; তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫)

    রোগ থেকে মুক্তি পেতে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসা নেওয়া রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। চিকিৎসার পাশাপাশি দোয়াও পড়েন মুসলমানরা। হাদিসে রোগ মুক্তির বিভিন্ন দোয়া বর্ণিত হয়েছে। কোরআনের আয়াতের ওপর আমল করেও রোগ থেকে মুক্তি লাভ হয়।

    তফসীরবিদ ইমাম বায়হাকী (রহ.) বলেন, পবিত্র কোরআনে যেমন- আত্মার যাবতীয় রোগ এবং মন্দ প্রবণতার চিকিৎসা রয়েছে, তেমনি দেহের যাবতীয় রোগ-ব্যাধিরও চিকিৎসা রয়েছে।

    তাফসিরে কুরতুবিতে লেখা হয়েছে, যে ব্যক্তি কোরআনের মাধ্যমে আরোগ্য তালাশ করে না, তার কোন শেফা নেই। (তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-১০ম, পৃষ্ঠা-২৩৫)

    এখানে কোরআনের এমন ৬টি আয়াত তুলে ধরা হল; যা আমল করলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব—

    ১. ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং আল্লাহ মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন (সুরা তাওবা : ১৪)।

    ২. ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য (সুরা ইউনূস : ৫৭)।

    ৩. ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফা-উ লিন্না-সি। অর্থ : তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার (ছুরা নাহল : ৬৯)।

    ৪. ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল ক্বুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতিুল লিলমু’মিনি-ন। অর্থ : আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত (সুরা বনী ইসরাইল : ৮২)।

    ৫. ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি। অর্থ : এবং (যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন) (সুরা আশ-শেফা : ৮০)।

    ৬. কুল হুওয়া লিল্লাযীনা আ-মানূ হুদাওঁ ওয়া শিফাউন। অর্থ : (বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার) (সুরা হা-মীম : ৪৪)।

  • ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ২০৮ কিশোর

    ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ২০৮ কিশোর

    কমলমতি শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম। সেই ঘোষণার উদ্বুদ্ধ হয়ে টানা ৪০ দিন মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেলসহ বিভিন্ন পুরস্কার জিতে নিয়েছে ২০৮ জন কিশোর।

    শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিহারীপুর গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন স্থানে নওগাঁ জেলা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে সাইকেলগুলো দেওয়া হয়। এ সময় ইউনিয়নের ৯ টি মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেমকে বিচারকের দায়িত্ব পালন করায় বিশেষ উপহার দেওয়া হয়।

    জানা যায়, এসো ভাই নামাজ পড়ি, এসো বন্ধু সমাজ গড়ি লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইউনিয়নের আট ওয়ার্ডের আট মসজিদে গত পহেলা অক্টোবর এ নামাজ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। একটানা ৪০ দিন চলমান প্রতিযোগিতায় স্বস্ব মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেম বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিযোগিতায় তিন শত পঞ্চাশ জন ৮ হতে ১৮ বছরের কিশোররা অংশগ্রহণ করে দুই শত আট জন বিজয়ী হয়।

    এ ব্যাপারে পাঁচুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম বলেন, আগামী প্রজন্মকে নেশা মুক্ত ধর্মজ্ঞান সম্পন্ন বিবেকবান আদর্শ সমাজিক মানুষ, ইসলাম ধর্ম সঠিকভাবে জানা ও বোঝা এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

  • ৭ নভেম্বর পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম

    ৭ নভেম্বর পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম

    আগামী ৭ নভেম্বর সোমবার পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

    ফলে আগামীকাল ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আগামী ২৮ অক্টোবর শুক্রবার থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ৭ নভেম্বর সোমবার পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত হবে।’

    আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার।

    সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

    সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, উপ-ওয়াকফ প্রশাসক মো. গিয়াস উদ্দিন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস মেহেদী, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হেলাল কবির, সরকারী মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতী মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

  • ওমান আল-হোবরা শাখায় ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন

    ওমান আল-হোবরা শাখায় ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন

    আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ’ত মতাদর্শ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংগঠন আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশ (একেএমবি) সালতানাত অব ওমান কেন্দ্রীয় পরিষদের আওতাধীন আল-হোবরা শাখার ব্যবস্থাপনায় ‘আল-হোবরা, শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, মিলাদ মাহফিল হোবরা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। 

    হাফেজ মুহাম্মদ নুরুল আবছারের কোরাআন তেলাওয়াতও নাত-এ রাসূল (দ.) পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন একেএমবি ওমান কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইব্রাহিম সাহেব।

    প্রধান বক্তা ছিলেন একেএমবি কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাহেরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন একেএমবি কেন্দ্রীয় পরিষদের সংগঠক ও সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম আবদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন একেএমবি কেন্দ্রীয় পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম দুলাল।

    বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মুহাম্মদ বাবু চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন একেএমবি ওমান কেন্দ্রীয় পরিষদের সংগঠক ও অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু শাহাদাৎ।

    বিশেষ বক্তা ছিলেন একেএমবি ওমান কেন্দ্রীয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহাম্মদ সিফাত আলমদার পাশা ও একেএমবি নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ আলমগীর প্রমূখ।

    বক্তারা বলেন, রাসূল (দ.) আদর্শই মুক্তির একমাত্র পথ। রাসূল (দ.) আদর্শীক নেতৃত্ব তাবৎ পৃথিবী হয়ে ওঠে শান্তির জনপদ। গোটা বিশ্বই পরিণত হয় সকলের বাসযোগ্য আবাসস্থল। তাই রাসূল (দ.) আগমনে খুশি উৎযাপন করাটা নৈতিক দায়িত্ব নয় বরং ঈমানের দাবি ও বটে।

    রাসূল (দ.) শুভাগমনের আহবান বিশ্বের নির্যাতিত মানুষেরা ফিরে পাক তাদের ন্যায্য অধিকার। বিশ্বের সকল সমাজ ও রাষ্ট্র  হোক সন্ত্রাস, অশ্লীলতা, হিংসা-বিদ্বেষ, দুনীর্তি, দুঃশাসন, হানাহানি, মারামারি, উগ্রতা ও যুদ্ধমুক্ত শান্তির বিশ্ব গড়ে উঠুক।

    মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিলে আগতদের ধন্যবাদ জানিয়ে মুসলিম উম্মাহ, দেশ, জাতির মঙ্গল কামনা করে মুনাজাত করেন ওমান একেএমবি কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইব্রাহিম সাহেব। উপস্থিত সকল মেহমানদের তাবারুক বিতরণের শেষে মিলাদুন্নবী(দ.) এর মাহফিল সফল সমাপ্তি হয়।

    ২৪ ঘণ্টা / জেআর

  • পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: আজ

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: আজ

    হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল আজ। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা: দুনিয়াতে আসেন। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির ঠিক এ দিনেই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশে দিনটি সরকারিভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: হিসেবে পালিত হয়। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী সা:-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া পত্রিকায় ক্রোড়পত্র ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারিত হবে।

    ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য : ঈদ, মিলাদ আর নবী তিনটি শব্দ যোগে দিবসটির নামকরণ হয়েছে। ঈদ অর্থ-আনন্দোৎসব, মিলাদ অর্থ জন্মদিন আর নবী অর্থ ঐশী বার্তাবাহক। ঈদে মিলাদুন্নবীর অর্থ দাঁড়ায় নবীর জন্মদিনের আনন্দোৎসব। ১২ রবিউল আউয়াল একই সাথে মহানবীর জন্ম ও মৃত্যু দিবস হলেও তা শুধু জন্মোৎসব হিসেবেই পালিত হয়। পৃথিবীর যেকোনো মানুষের মৃত্যুই তার পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করে। কিন্তু মহানবীর মৃত্যু মানবসমাজ ও সভ্যতার কোনো পর্যায়ে কোনো শূন্যতার সৃষ্টি করেনি। যদিও তাঁর মৃত্যুর চেয়ে বেশি বেদনাদায়ক কোনো বিষয় উম্মতের জন্য হতে পারে না। তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন সমগ্র পৃথিবীর জন্য আল্লাহর রহমত হিসেবে। এক সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এ অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ সা: প্রেরণ করেন এ ধরাধামে।

    চল্লিশ বছর বয়সে নবুওয়াতি লাভের পর ২৩ বছর হজরত মুহাম্মদ সা: কঠোর পরিশ্রম ও শত বাধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রচার করে গেছেন। তার দেখানো পথে পৃথিবীতে নেমে আসে শান্তি। এজন্য তার প্রতিটি কাজ, কথা আমাদের জন্য আদর্শ। বর্তমান অশান্ত পৃথিবীতে তার দেখানো পথেই আসতে পারে শান্তি ও মানবতার মুক্তি। আল্লাহতায়ালা সূরা আল আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: সম্পর্কে বলেন, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।

    রাষ্ট্রপতির বাণী: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, হজরত মোহাম্মদ সা:-এর আদর্শ ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সঙ্ঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আরো বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহতায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা:কে ‘রহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। তিনি বলেন, দুনিয়ায় তার আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা।

    প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হজরত মুহাম্মদ সা:-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জন্ম এবং ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল তথা ঈদে মিলাদুন্নবী সা: বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিম উম্মাহ্কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।’

    বিশ্বমানবের কাছে এক আলোকিত বিস্ময় হজরত মোহাম্মদ সা:। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার অপসারিত করতে এ দিনে তৌহিদের বাণী নিয়ে এসেছিলেন এ মহামানব। মানবজাতির মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহ সা:- কে প্রেরণ করেন এ ধরাধামে। কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি তাওহিদের বাণী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। অনন্য

    ব্যক্তি, অনুপম আচরণ, সৃষ্টির প্রতি অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা, অতুলনীয় বিশ্বস্ততা, সীমাহীন দয়া ও ক্ষমার জন্য তিনি মানবজাতির এক অনুকরণীয় আদর্শ।

    মহানবী সা:-এর আবির্ভাব ও ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার সারা বিশ্বে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল। বিভ্রান্ত মানুষ সত্যের সন্ধান পেয়েছিল। আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয় নবীকে বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। ইসলামের মর্মবাণীই হচ্ছে শান্তি ও সহাবস্থান।

    ঈদে-মিলাদুন্নবী সা: উপলক্ষে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। তাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

    ইসলামি ফাউন্ডেশন : এ দিকে এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

    গতকাল শনিবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান প্রধান অতিথি হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। এর আগে তিনি বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার উদ্বোধন করেন।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কুরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সাথে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, কিরাত মাহফিল, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা ও চরিত্র গঠন বিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।

    এ ছাড়াও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    জেএন/এও