Category: ধর্ম

  • চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালনের শেষ তারিখ ৩১ মে

    চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালনের শেষ তারিখ ৩১ মে

    সৌদি আরব ছাড়া চলতি মৌসুমে অন্য কোনো দেশ থেকে যাওয়া মুসল্লিদের জন্য ওমরাহ পালন করার শেষ তারিখ ৩১মে।

    হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি সাওয়াল মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত এ মৌসুমে ওমরাহ পালনকারীদের জন্য অনুমোতি দেওয়া হয়েছে। খবর আরব নিউজের।

    সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আগামী ১৫ সাওয়াল পর্যন্ত ওমরাহর ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। এ জন্য নির্ধারিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নির্ধরিত সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

    করোনার কারণে গত দুই বছর বিদেশিদের জন্য হজ পালন বন্ধ ছিল। গত বছর কেবল মাত্র সৌদিতে বসবাসকারী ৬০ হাজার মুসল্লি হজ পালনের সুযোগ পান।

    এ বছর করোনার টিকা নেওয়া ৬৫ বছরের কম বয়সি বিদেশিরা হজ পালন করতে পারবেন।

    এন-কে

  • দিনাজপুরে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

    দিনাজপুরে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। ব্যাপক প্রচারণা থাকায় স্বতস্ফূর্তভাবে লোকজন এখানে ঈদের নামাজ আদায়ে দলে দলে সমবেত হন।

    মঙ্গলবার (৩ মে) সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত এ জামাতে প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি অংশ নেয় বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুরের জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

    করোনাভাইরাসের কারণে গত ২ বছর এখানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। এ বছর করোনার প্রভাব নিয়ন্ত্রণে থাকায় ঐতিহাসিক এ ময়দানে নামাজ আদায় করতে মুসল্লিদের ঢল নামে। ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশেপাশের জেলার মুসল্লিরা ছুটে আসেন।

    বৃহৎ এ ঈদ জামাতকে ঘিরে ঈদগাহ মাঠ জুড়ে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন তৎপর।

    নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত-কর্মী ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

    প্রসঙ্গত, একসঙ্গে এত লোক নামাজ আদায় করার মতো ঈদগাহ মাঠ উপমহাদেশে আর একটিও নেই। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। ঈদগাহটি তৈরি করা হয়েছে মোগল স্থাপত্যরীতির অনুসরণে। মেহরাবের উচ্চতা ৫৫ ফুট। ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট এই ঈদগাহে রয়েছে দুটি মিনার, প্রতিটির উচ্চতা ৬০ ফুট। মাঝের গেট দুটি ৪৭ ফুট করে চওড়া। এতে খিলান আছে ৩২টি। জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের পরিকল্পনায় ঈদগাহটি নির্মাণ করা হয়েছে। ঈদগাহ মিনারের মূল অংশ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট।

    দেশের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক গোড়-এ-শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকের প্রায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঈদগাহ মিনারটি। দৃষ্টিনন্দন হিসেবে উপস্থাপন করতে প্রতিটি গম্বুজে আছে বৈদ্যুতিক সংযোগ। সন্ধ্যার পর থেকেই মিনারে আলো ঝলমল করে ওঠে। এছাড়া ৫১৬ ফিট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে।

    ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

    এ সময় হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার ঈদের নামাজে দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে।

  • চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ মোবারক!

    চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ মোবারক!

    ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানি তাগিদ’– দীর্ঘ ৩০ দিন রোজা রাখার পর বাংলাদেশে মঙ্গলবার উদযাপিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

    গতকাল রোববার ঈদের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এ বছর ৩০ রমজান পূর্ণ হয়েছে। তাই মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ঈদের চাঁদ দেখা দেওয়ার পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই গান রেডিও, টেলিভিশনে সম্প্রচার শুরু হয়। শুরু হয় চাঁদ রাতেই ঈদের খুশি ও আনন্দ। পরস্পরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

    এবার ঈদের প্রধান জামাত শুরু হবে জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৈরী আবহাওয়া থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে বরাবরই এমনটা হয়ে আসছে বাংলাদেশে। মঙ্গলবার মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন।

    ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে গত রোববার সন্ধ্যায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে মঙ্গলবার উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। তিনি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে শুভেচ্ছা ভাষণ দেন।

    ঈদের প্রধান জামাত

    ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এবার রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে, বৈরী আবহাওয়া থাকলে সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

    বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ঈদের নামাজের পাঁচটি জামাত হবে। ঈদের দিন সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে জামাত শুরু হবে।

    জাতীয় সংসদ ভবনে ঈদের জামাত

    ঈদের দিন জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত শুরু হবে। এ জামাতে সংসদের চিফ হুইপ, হুইপ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। এ ছাড়া এ জামাত উন্মুক্ত হওয়ায় সবাই অংশ নিতে পারবেন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের ঈদ জামাত

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হবে। এ জামাতে ইমামতি করবেন বংশাল বড় জামে মসজিদের খতিব শাইখ মুহাম্মাদ মোস্তফা সালাফি।

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত সোয়া ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। তবে, মাঠে কোনো কারণে জামাত আয়োজন করা সম্ভব না হলে বুয়েটের নির্ধারিত তিনটি মসজিদে ঈদ জামাত আয়োজন করা হবে।

    গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের ঈদ জামাত

    রাজধানীর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে ঈদের নামাজের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের দিন ভোর ৬টায়, সকাল সাড়ে ৭টায় ও সকাল ৯টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

    এ ছাড়া রাজধানীর ধানমণ্ডির তাকওয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৯টায়, ধানমণ্ডি ঈদগাহ জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, মিরপুর দারুস সালাম এলাকার মীর বাড়ি আদি (মাদবর বাড়ি) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ও সকাল ৯টায়, মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের হারুন মোল্লাহ্ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায়, মতিঝিলের আরামবাগের দেওয়ানবাগ শরিফে সকাল ৮টা ও সাড়ে ৯টায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মারকাজুল ফিকহিল ইসলামী মসজিদে সকাল ৭টায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে উম্মে কুলসুম জামে মসজিদ (সি ব্লক) সকাল সোয়া ৭টায়, সকাল সাড়ে ৭টায় এফ ব্লক জামে মসজিদে, সকাল ৮টায় বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ (জি ব্লক), সকাল সাড়ে ৮টায় ফকিহুল মিল্লাত জামে মসজিদে (এন ব্লক) ঈদের জামাত শুরু হবে।

  • দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি, মঙ্গলবার ঈদ

    দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি, মঙ্গলবার ঈদ

    দেশের আকাশে আজ রোববার কোথাও ১৪৪৩ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ বছর ৩০ রমজান পূর্ণ হচ্ছে। সেই হিসেবে আগামী মঙ্গলবার দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।

    আজ রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সন্ধ্যায় ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

    বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সারা দেশে আমরা খোঁজ নিয়েছি। দেশের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই এ বছর রমজান ৩০টি পূর্ণ হবে এবং আগামী মঙ্গলবার দেশে ঈদ উদযাপন হবে।

    দুই বছর পর এ বছর জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রধান জামাত শুরু হবে। তবে আবহাওয়া ভালো না থাকলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত করার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।

    এদিকে সৌদি আরবে গতকাল শনিবার পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ কারণে দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামীকাল সোমবার (২ মে)। দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সৌদি গেজেট। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একই দিন ঈদ উদযাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উপসাগরীয় দেশগুলোসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ।

    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা পৃথক বাণীতে দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্ববাসীর সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।

    এক মাসের সিয়াম সাধনার পর উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মেতে উঠবে আনন্দ উৎসবে। বিগত দুই বছর করোনা পরিস্থিতির বিধিনিষেধের মাঝে ঈদ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে এবারের ঈদ যেন বাড়তি আনন্দ নিয়ে অপেক্ষা করছে। যারা এক মাস রোজা রেখে অভুক্ত থাকার কষ্টকে অনুভব করেছেন, নামাজ, তারাবি, ইবাদত-বন্দেগি ও ইসলামের অনুশাসন পালন করেছেন, তাদের জন্য এ ঈদ আনন্দ উপভোগের, উচ্ছ্বাসের ও শান্তির। তাদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের মহাপুরস্কার হচ্ছে ঈদ। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা মতে, এক মাস রোজা রাখার পর মুসলমানরা যখন নতুন পায়জামা-পাঞ্জাবি তথা পছন্দের পোশাক পরে, দেহে আতর-খুশবু মেখে ঈদগাহে যান, তখন ফেরেশতারা তাদের সংবর্ধনা জানান। প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

    এন-কে

  • সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক

    সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক

    আজ রোববার বাংলাদেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করা হবে। আর, দেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে সোমবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সে ক্ষেত্রে ঈদ উদ্‌যাপন করা হবে আগামী মঙ্গলবার।

    পবিত্র ঈদুল ফিতর সোমবার না মঙ্গলবার, তা জানা যাবে আজ রোববার। আজ সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে সভা করবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠেয় সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

    সভায় ১৪৪৩ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

    বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    এন-কে

  • পবিত্র জুমাতুল বিদা আজ

    পবিত্র জুমাতুল বিদা আজ

    আজ শুক্রবার পবিত্র জুমাতুল বিদা। ‘জুমাতুল বিদা’ মানে শেষ শুক্রবার বা শেষ জুমা। পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমার দিনটি মুসলিম বিশ্বে ‘জুমাতুল বিদা’ নামে পরিচিত।

    জুমার নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিরা বিশেষ দোয়া করে থাকেন। এ ছাড়া বিভিন্ন আমল ও নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। জুমার নামাজ শেষে মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে মুসলমানেরা ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন।

    নানা কারণেই মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনেক। রমজান মাস সীমাহীন ফজিলতের মাস। হাদিসে আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারী, মুসলিম)। তাই সারা বছরের মধ্যে মুমিনের কাছে রমজান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুমাতুল বিদার মাধ্যমে কার্যত রোজাকে বিদায় জানানো হয়।

    প্রতিবছরের মতো এবারও জুমাতুল বিদা উপলক্ষ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অতিরিক্ত মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    এন-কে

  • পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ

    পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ

    পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর আজ বৃহস্পতিবার। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে সারা দেশে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে। ইসলামে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। পবিত্র শবে কদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা তাই আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।

    ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে নাজিল হয়েছিল। এ রাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে রাতব্যাপী ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

    পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পবিত্র শবে কদরের রজনীতে দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার এক বাণীতে এ আহবান জানান তিনি।

    একই সঙ্গে রাষ্‌ট্রপতি পবিত্র শবে কদরের মহিমান্বিত রজনিতে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।

    রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, “পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রাত। এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরআন লাইলাতুল কদরে নাযিল হয়। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘আমি কদর রাতে কোরআন নাযিল করেছি।’ তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক।”

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকি লাভের সুযোগ এনে দেয় এই রাত। এই মহিমান্বিত রজনি সবার জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক—মহান আল্লাহর দরবারে এ মোনাজাত করি।’

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ মানুষের পাথেয়।

    শবেকদরের এই পবিত্র রজনিতে সব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

    ‘পবিত্র শবে কদর’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক মহিমান্বিত রজনি। সিয়াম সাধনার মাসের এই রাতে মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাজিল হয়। পবিত্র কোরআনের শিক্ষা আমাদের পার্থিব সুখ-শান্তির পাশাপাশি আখিরাতের মুক্তির পথ দেখায়।’
    শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত।

    প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই এই মহিমান্বিত রজনিতে মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে বিশেষভাবে ইবাদত ও দোয়া প্রার্থনা করি যেন আল্লাহ বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেন।’

    পবিত্র এই রজনিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন জানান, পবিত্র শবে কদর পালন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাদ যোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা এহসানুল হক।

    জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদেই তারাবির নামাজের পর থেকে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন থাকবে।

    পবিত্র শবে কদর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিওগুলোতে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

    এন-কে

  • হজ কোটায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ

    হজ কোটায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ

    সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় প্রতিটি দেশের জন্য হজ কোটা প্রকাশ করেছে। চলতি মৌসুমে ইন্দোনেশিয়া সর্বোচ্চ কোটা পেয়েছে। বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

    ফলে চলতি বছর হজের জন্য বাংলাদেশ থেকে যেতে পারবে ৫৭,৫৮৫ জন। ইন্দোনেশিয়া থেকে ১,০০,০৫১ জন, পাকিস্তান থেকে ৮১,১৩২ জন, ভারত থেকে ৭৯,২৩৭ জন, নাইজেরিয়া থেকে ৪৩,০০৮ জন, তুরস্ক থেকে ৩৭,৭৭০ জন।

    সৌদি হজ মন্ত্রণালয় জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক এবার হজ করতে পারবে। এরপর রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ।

    সৌদি আরব ১০ এপ্রিল ঘোষণা করেছিল যে তারা আসন্ন হজ মওসুমে দেশী ও বিদেশী মিলিয়ে মোট ১০ লাখ লোককে হজ করার সুযোগ দেবে।

    সাধারণভাবে ২৫ লাখের বেশি লোক হজ করে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি কর্তৃপক্ষ হজ খুবই সীমিত করে। ২০২২ সালে কিছুটা সম্প্রসারণ করলেও তা পুরোপুরি মুক্ত করেনি।

    ২০২১ সালে মাত্র ৬০ হাজার লোক হজ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর ২০২০ সালে হজ করেছিলেন মাত্র এক হাজার লোক।

    এবারের হজ হবে ০৭ বা ০৮ জুলাই। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করবে চূড়ান্ত তারিখ।

    এন-কে

  • এবছর হজের সুযোগ পাচ্ছেন ১০ লাখ মানুষ

    এবছর হজের সুযোগ পাচ্ছেন ১০ লাখ মানুষ

    করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বিদেশিদের জন্য হজ বন্ধ থাকলেও এবছর ১০ লাখ হাজীদের জন্য হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। ৬৫ বছরের কম বয়সী এবং সৌদির অনুমোদিত কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণকারিরা এবছর হজ করতে পারবেন।

    শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত করে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের হজে দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরের দেশের হাজীদের হজের অনুমোদন দিয়েছে।

    পবিত্র মক্কা ও মদিনা বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক মুসলমান নিরাপদে এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশে যেন পরিদর্শন করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আগ্রহী বলেও জানায় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

    হজযাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি মসজিদে নববীর দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক সৌদি সরকার।

    এবারের হজে নির্দিষ্ট দেশ থেকে কোটার মাধ্যমে বরাদ্দ অনুযায়ী হজযাত্রীরা হজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে সৌদি সরকারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় সুপারিশ মেনে হজে অংশগ্রহণ করতে হবে।

    হজ পালনে ইচ্ছুক অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি মুসুল্লিদের ওপর কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সেগুলো হলো:

    * সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেছেন এমন ব্যক্তিদের হজে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে তাদের বয়স ৬৫ বছরের কম হতে হবে।

    * হজ পালনে ইচ্ছুক সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিতে হবে।

    * সেই টিকা হবে ফাইজার, মর্ডানা, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের। এসব টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করা ছাড়া সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে না।

    * সৌদি আরবের বাহিরের দেশ থেকে আগত হাজীদের সৌদি আরবে প্রবেশের ৭২ ঘন্টা আগে কোভিড-১৯ নেগেটিভ পরীক্ষা ফলাফল জমা দিতে হবে।

    এছাড়াও হাজীদের নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সতর্কতামূলক নির্দেশনা অনুসরণ করে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হবে বলেও জানিয়েছে সৌদি মন্ত্রণালয়।

    উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে হজ এবং ওমরাহ পালনের জন্য প্রতি বছর সারাবিশ্ব থেকে লাখ লাখ মুসল্লি সৌদি আরব ভ্রমণ করতেন। অন্যান্য বছরগুলোয় সারাবিশ্ব থেকে ২০ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করতে করতেন। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও বাহিরের দেশের হাজীদের হজের অনুমতি ছিল না।

    সেই সময় সৌদি সরকার অল্প সংখ্যক হাজীদের নিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে।

    এন-কে

  • মাহে রমজানের বিশেষ দু’টি আমল

    মাহে রমজানের বিশেষ দু’টি আমল

    রমাজান। আরবি মাসসমূহের মধ্যে সবচে’ মর্যাদাপূর্ণ ও বরকতময় মাস। এ মাসের মর্যাদা ও ফজিলত অপরিসীম। মাহে রমজানের আগমনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক খুশি হতেন, আনন্দিত হতেন। দু’মাস আগ থেকেই এ মাসের খায়ের ও বরকত হাসিলের জন্য দোয়া করতেন।

    এ মাসে বিশেষ দুটি আমল: ১. পূর্ণ মাস রোজা রাখা। ২.তারাবির নামায পড়া।

    ইবনে মাজাহ শরীফে এসেছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজান এমন একটি মাস, যে মাসে আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর রোজা ফরজ করেছেন এবং আমি আল্লাহর রাসূল তোমাদের জন্য তারাবি পড়া সুন্নাত করেছি। যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ একিনের সাথে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় রোজা রাখে এবং তারাবির নামায আদায় করে, সে ঐদিনের মতো পাপমুক্ত হয়ে যাবে, যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।

    রমজান মাসে রোজা ফরজ করার রহস্য বা হেকমত কী?

    এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কারীমে ইরশাদ করেন: রমজান এমন একটি মাস, যে মাসে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে কারিম নাযিল করেছেন। সূরা বাকারা: ১৮৫

    কুরআনে কারিম আল্লাহ তায়ালার কালাম ও সিফাত, আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সর্বশেষ গ্রন্থ। যা কিয়ামত পর্যন্ত সুদৃঢ়ভাবে বহাল থাকবে। কুরআন জগৎবাসীর জন্য পথপ্রদর্শক, ঈমান এবং কুফুরের মাঝে পার্থক্যকারী। এতো মর্যাদাপূর্ণ ও মাহাত্ম্যপূর্ণ মহাগ্রন্থ যেহেতু এই রমজান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে, তাই এ মাসের মর্যাদা ও গুরুত্ব বেড়ে গেছে। এই মাসের মর্যাদা ও গুরুত্ব রক্ষার জন্য আল্লাহ তায়ালা বিধান দিয়েছেন: তোমাদের মাঝে যে মাহে রমজান পাবে, সে যেন এই মাসে রোজা রাখে।

    এইজন্য এ মাসে বিশেষ দু’টি আমল রয়েছে। ১. রোজা রাখা। ২. তারাবিহর নামাজ পড়া।

    রোজা হচ্ছে এই মর্যাদাপূর্ণ মাসের হক আদায়ের জন্য। আর তারাবিহ হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের হক আদায়ের জন্য। যে মহাগ্রন্থের কারণে এই মাসটি সম্মানিত হয়েছে।

    লেখকঃ মুফতি মোজ্জাম্মেল হক রায়পুরী, সিনিয়র শিক্ষক, মদিনাতুল উলুম বসুন্ধরা, ঢাকা।

  • ইফতারের সময় যেসব আমল করতেন নবীজি সা. ও সাহাবাগণ

    ইফতারের সময় যেসব আমল করতেন নবীজি সা. ও সাহাবাগণ

    ইফতার রোজাদারের পার্থিব পুরষ্কার। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের মুহূর্তটি রোজাদারের জন্য বয়ে আনে এক অপার্থিব আনন্দের বার্তা। নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীও এ কথাই বলে। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রোজাদারের দুটি আনন্দ। একটি ইফতারের সময় আর অপরটি তার প্রভুর সাক্ষাতে।” (বুখারী ও মুসলিম)

    এই আনন্দের মুহূর্তে কিছু করণীয় কাজের কথা বলেছেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যেগুলো আমাদের আখিরাতের কাঙ্ক্ষিত সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার সহায়ক হবে। আসুন জেনে নেই সে কাজগুলোর বিবরণ।

    ১. ইফতারের পূর্বে দোয়া করা:

    ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত তথা দিনের শেষ বেলা এমনিতেই দোয়া কবুলের সময়। আর রোজাদারের জন্য এ সময়ের রয়েছে আরো বিশেষ গুরুত্ব।

    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় একটি মকবুল দোয়া চেয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।” (ইবনে মাজাহ)

    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) ইফতারের পূর্বে তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দোয়া করতেন। (ইবনে মাজাহ) তাই ইফতারের পূর্বে দোয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া দরকার।

    ২. ইফতার জলদি জলদি করা:

    জলদি জলদি ইফতার করা মানে হলো সময় হয়ে গেলে ইফতারে বিলম্ব না করা। কেননা সময় হওয়ার পরও বিলম্বে ইফতার করা ইহুদি নাসারাদের স্বভাব। তারা এরূপ বিলম্ব করে থাকে। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)

    হযরত সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ততদিন মানুষ কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তারা শিঘ্র শিঘ্র ইফতার করবে”। (বুখারী ও মুসলিম)
    তাই সময় হয়ে গেলে যত দ্রূত সম্ভব ইফতার করে নেওয়া উত্তম।

    ৩.ইফতার গ্রহণের দোয়া পড়া:

    হযরত মুয়ায ইবনে যুহরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতার গ্রহণের সময়—

    “اللهم لك صمت و على رزقك أفطرت”

    এই দোয়া পড়তেন। (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু)।

    অর্থ:-“হে আল্লাহ! আপনার (সন্তুষ্টির) জন্য রোজা রেখেছি, আপনার দেয়া রিযিক দিয়ে ইফতার করেছি।”
    ইফতার গ্রহণের সময় এই দোয়া পড়া সুন্নত।

    ৪. খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার করা:

    খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে শুরু করা।

    হযরত সালমান ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ ইফতার করলে, যেন খেজুর দিয়ে শুরু করে। কেননা খেজুর বরকতপূর্ণ। আর খেজুর না পেলে যেন পানি দিয়ে শুরু করে। কেননা পানি পবিত্রতার উপকরণ।” (আহমদ ও তিরমিযী)

    ৫. রোজাদারকে ইফতার করানো:

    রোজাদারকে ইফতার করানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এর প্রতিদানও অনেক বিশাল।

    হযরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ” যে ব্যক্তি রমজান মাসে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, এই ইফতার করানোটা তার গুনাহ মাফের কারণ হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় হবে এবং ঐ রোজাদারের সওয়াব একটুও না কমিয়ে সমপরিমাণ সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।” (শুআবুল ঈমান লিল বায়হাকি)

    এই প্রতিদান পাওয়ার জন্য পেট পুরে খাওয়ানো আবশ্যক নয়। সাহাবায়ে কেরামের অক্ষমতার ওজরের জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তায়ালা তো এই সওয়াব তাকে দিবেন, যে কোন রোজাদারকে এক ঢোক দুধ বা একটি খেজুর বা এক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করাবে।”(প্রাগুক্ত)

    আর যে লোক কোন রোজাদারকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়াবে তার প্রতিদান সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তায়ালা তাকে আমার হাউজ তথা হাউজে কাওসার থেকে পান করাবেন। সে আর পিপাসার্ত হবে না। এমন কি জান্নাতে প্রবেশ করবে।”(প্রাগুক্ত)

    মহান আল্লাহ তায়ালা একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টি লাভের আশায় আমাদেরকে এ আমলগুলো করার তাওফীক দান করুন।

  • আজ পবিত্র শবে বরাত

    আজ পবিত্র শবে বরাত

    আজ শুক্রবার পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ দিনগত রাতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগির’ মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন।

    হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন।

    ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলায়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন।

    শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, ‘মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবে বরাতের এই পবিত্র রজনিতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমন্ডিত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।’

    পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে পবিত্র শবে বরাতের মহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

    অপরদিকে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আজ শুক্রবার বাদ মাগরিব ও বাদ এশা এবং রাত ২টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবেবরাত এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

    কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    এন-কে