Category: ধর্ম

  • পবিত্র শবে মেরাজ আজ

    পবিত্র শবে মেরাজ আজ

    বাংলাদেশে আজ সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করা হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এ মহিমান্বিত রাতটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করবেন।

    লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনি, যা সচরাচর শবে মেরাজ হিসেবে আখ্যায়িত হয়, ইসলাম ধর্ম মতে, যে রাতে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, এটি সেই রাত।

    ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়তপ্রাপ্তির একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের ওপর আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হচ্ছে ‘মেরাজ’। মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুয়তের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য কোনো নবী এ পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি।

    ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে, এ মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মে নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।

    এন-কে

  • আজ সরস্বতী পূজা: মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের আরাধনা

    আজ সরস্বতী পূজা: মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের আরাধনা

    হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। আজ (শনিবার) সকাল থেকে সারাদেশের মন্ডপে মন্ডপে ও নিজ নিজ বাড়িতে সরস্বতীর পূজা উদযাপন হচ্ছে।

    তবে করোনার কারণে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি ও বিধি-নিষেধ মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে এবারের পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। আজ সকাল ৭টা ৭ মিনিটে শুরু হয় পঞ্চমী তিথি। আগামীকাল রবিবার সকাল ৭টা ৯ মিনিটে পূজার তিথি সমাপ্ত হবে।

    সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় এ উৎসবটি শনিবার সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভক্তদের বাসা ও পূজামণ্ডপে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি গ্রহণ করেন। তাছাড়া এদিনে অসংখ্য শিশুদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়।

    শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী, মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ তিথি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক।

    কল্যাণময়ী, ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবী সরস্বতীর আরাধনা করেন।

    বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদ্যা ও শিল্পকলার দেবী সরস্বতীর পূজা হয়ে থাকলেও নভেল করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় এ বছর পূজামণ্ডপে সীমিত আকারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হচ্ছে।

    সরস্বতী বৈদিক দেবী হলেও সরস্বতী পূজা বর্তমান রূপটি আধুনিককালে প্রচলিত হয়েছে। তবে প্রাচীন কালে তান্ত্রিক সাধকেরা সরস্বতী-সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন বলে জানা যায়।

    সরস্বতী দেবী শ্বেতশুভ্র বসনা। দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা। এ জন্য তাকে বীণাপাণিও বলা হয়। সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী তার আশীর্বাদের মাধ্যমে মানুষের চেতনাকে উদ্দীপ্ত করতে প্রতি বছর আবির্ভূত হন ভক্তদের মাঝে।

    সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখন্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন।

    দেবীর এই পূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের বিভিন্ন পুজা মন্ডপে মন্ডপে ভক্তদের ঢল নামে। পূজাকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে উঠে সনাতন ধর্মালম্বীরা।

    চট্টগ্রামের পটিয়া খরনা ইউনিয়নের পশ্চিম মুজাফরাবাদ সেন বাড়ির ঐতিহ্যবাহী নারায়ণ মন্দিরের পুরোহিত কাজল জানায়, মায়ের কাছে বিদ্যা বুদ্ধিদানের পাশাপাশি রোগশোগ থেকে মুক্তিলাভের প্রার্থনা করা হয়েছে। সবাই যেন ভালো থাকে এ জন্য মায়ের চরণে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

    ২৪ ঘন্টা/প্রিন্স

  • ‘শুভ বড়দিন’ আজ

    ‘শুভ বড়দিন’ আজ

    খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এই দিনে (২৫ ডিসেম্বর) বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন বলেই তাঁর অনুসারী খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন।

    খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।

    বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরাও আজ শনিবার যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্যদিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করবেন।

    এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয়প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এ ছাড়া বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা হেটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার।

    এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।

    রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সবার জন্য অশেষ আনন্দ ও কল্যাণ কামনা করে বলেন, ‘সবার জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক’।

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

    ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি’- এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দেশ আমাদের সবার। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।’

    বড়দিন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটি সত্ত্বে শনিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    অপরদিকে দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হযেছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর।

    খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বড়দিনকে বেছে নেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গিয়েছেন গ্রামের বাড়িতে।

    এদিকে, রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।

    রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আলোকসজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভিতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তাক্লজ।

    বড়দিনের প্রাক্কালে শুক্রবার রাতে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর শনিবার সকাল থেকে শুরু হবে বড়দিনের প্রার্থনা।

    এন-কে

  • ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

    আজ ১২ রবিউল আউয়াল। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস । এ দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালিত হয়। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের পরিবেশে দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

    এক হাজার ৪৫১ বছর আগের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্ম নেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।

    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    বাণীত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবীর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। করোনা মহামারিসহ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতসময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।’

    ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে মসজিদে-মসজিদে এবং নিজ-নিজ বাসায় কোরআন খতম ও জিকির আজকারের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিনের বিশেষ রহমত কামনা করেন।

    দিবসটি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। এছাড়া দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলাসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্যোগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর ওপর পক্ষকালব্যাপী আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি গতকাল সন্ধ্যা থেকেই পালন করা শুরু হয়েছে।

    এ উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা।

    মঙ্গলবার বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে।

    এন-কে

  • আজ পবিত্র আশুরা

    আজ পবিত্র আশুরা

    পবিত্র আশুরা আজ শুক্রবার। কারবালার শোকাবহ এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালন করা হবে।

    হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাঁদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।

    কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়।

    বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে দিনটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ বিভাগ। একই সঙ্গে পবিত্র মহররম উপলক্ষে সব ধরনের তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে আবশ্যক সব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিপালন করা হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এর আগের আরোপিত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।

    সরকারি ছুটি আজ

    দিবসটি উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি। জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো আজ বিশেষ প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও-টিভি চ্যানেলও এই দিনের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

    এন-কে

  • আগামীকাল পবিত্র আশুরা

    আগামীকাল পবিত্র আশুরা

    আগামীকাল শুক্রবার ১০ মহররম। পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ও সংক্ষিপ্ত কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র আশুরা পালিত হবে

    হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। এ ঘটনা স্মরণ করে বিশ্ব মুসলিম যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে।

    কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা যোগায়।

    বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ বিভাগ।

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এবার পবিত্র মহররম উপলক্ষে সব ধরনের তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা, মিছিল বন্ধ থাকবে।

    আজ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এর আগে আরোপিত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।

    একই সাথে পবিত্র মহররম উপলক্ষে সকল প্রকার তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণপূর্বক আবশ্যক সকল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিপালিত হবে।

    দিবসটি উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার সরকারি ছুটি। এ উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো আগামীকাল বিশেষ প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রকাশ করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও-টিভি চ্যানেলও এই দিনের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

    এন-কে

  • আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিল

    আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিল

    চন্দ্র প্রথম মাস ‘মহররম’। এ মাসের দশম তারিখকে ইসলামের পরিভাষায় ‘আশুরা’ বলা হয়। এই দিনে একদিকে যেমন রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত, অন্যদিকে রয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। আর তাই এ দিনটি নানা কারণে পৃথিবীর ইতিহাসে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।

    মহান আল্লাহ তাআলার কাছে বছরের বেশ কিছু দিন মাস ও মুহূর্ত বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন। এসবের মধ্যে হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ ইয়াওমে আশুরাও একটি। এই আশুরা শব্দটি আরবি। এটি অর্থ দশম। শব্দটি হিজরি বর্ষের ১০ তারিখকে বুঝায়। হিজরি বছরের হিসেব মতে আগামী ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হবে আশুরার শুভক্ষণ। যা শুক্রবার সন্ধ্যা তথা সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

    আশুরার তাৎপর্যপূর্ণ ফজিলত
    ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে অনন্য আশুরা। আশুরার অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ফজিলত আছে। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-

    ০১.এক বছরের গুণাহ মাফের সুযোগঃ-
    রাসূল (সা)-এর পবিত্র মুখ নিঃসৃত বাণী—
    صِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ ” رواه مسلم 1162.

    অর্থাৎ,আমি আল্লাহর নিকট প্রতিদান প্রত্যাশা করছি, আশুরার রোজা বিগত বছরের গুনাহ মার্জনা করবে।”[সহিহ মুসলিম]

    ০২. আশুরার রোজার ব্যাপারে রাসূল (সা) এর আগ্রহঃ
    عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ : مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَحَرَّى صِيَامَ يَوْمٍ فَضَّلَهُ عَلَى غَيْرِهِ إِلا هَذَا الْيَوْمَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَهَذَا الشَّهْرَ يَعْنِي شَهْرَ رَمَضَانَ . ” رواه البخاري 1867.
    ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: “ফজিলতপূর্ণ দিন হিসেবে আশুরার রোজা ও এ মাসের রোজা অর্থাৎ রমজানের রোজার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যত বেশি আগ্রহী দেখেছি অন্য রোজার ব্যাপারে তদ্রূপ দেখিনি।”[সহিহ বুখারি]

    عَنْ ‏‏أَبِي هُرَيْرَةَ ‏‏رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ‏‏قَالَ : ‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏: ” ‏أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ ، وَأَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ ” . أخرجهُ مسلمٌ (1163) .
    আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,রাসূল (সা) বলেছেনঃ- রামাদানের পরে সবচেয়ে বেশী ফজিলতের সিয়াম হলো আল্লাহর মাস মুহাররামের সিয়াম এবং ফরজ সালাতের পরে সর্বাপেক্ষা ফজিলতপূর্ণ সালাত হলো রাতের সালাত(ক্বিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ)।[সহিহ বুখারী]

    আশুরার রোজার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ
    ===============================

    ما رواه البخاري (1865) عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَرَأَى الْيَهُودَ تَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ مَا هَذَا ؟ قَالُوا : هَذَا يَوْمٌ صَالِحٌ ، هَذَا يَوْمٌ نَجَّى اللَّهُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ عَدُوِّهِمْ فَصَامَهُ مُوسَى، قَالَ فَأَنَا أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ ”
    বুখারির বর্ণিত হাদিস (১৮৬৫) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনায় এলেন তখন দেখলেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখে। তখন তিনি বললেন: কেন তোমরা রোজা রাখ? তারা বলল: এটি উত্তম দিন। এ দিনে আল্লাহ বনি ইসরাঈলকে তাদের শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করেছেন; তাই মুসা আলাইহিস সালাম এ দিনে রোজা রাখতেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তোমাদের চেয়ে আমি মুসার অধিক নিকটবর্তী। ফলে তিনি এ দিন রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরকেও রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন।”

    আশুরার রোজা পালনের নিয়মঃ
    =========================
    রামাদানের রোজা ফরজ হওয়ার পূর্বে আশুরার রোজা ফরজ ছিল।কিন্তু যখন রামাদানের রোজা ফরজ হয়ে গেলো তখন আশুরার রোজা ঐচ্ছিক হয়ে যায়। ঐচ্ছিক হলেও এই রোজার গুরুত্ব অত্যধিক,কারণ নবী করীম (সা) কখনোই আশুরার রোজা ছেড়ে দেন নি।

    রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রথমে ১০ মুহাররম রোজা পালন করেছেন। কিন্তু ইহুদি ও নাসারারা ১০ মুহাররমকে সম্মান করত এবং এদিন তারা রোজা পালন করত। তাই রাসুল (সা.) তাদের নিয়মের বিপরীত করার জন্য ১০ মুহাররমের সঙ্গে তার আগের অথবা পরের দিনকে যোগ করে রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব, সুন্নত হলো ৯ ও ১০ মুহাররম কিংবা ১০ ও ১১ মুহাররম রোজা পালন করা।

    এ সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার রোজা পালন করলেন এবং সবাইকে রোজা পালনের নির্দেশ দিলেন, তখন সাহাবায়ে কেরাম (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! ইহুদি নাসারারা এ দিনকে (১০ মহররম) পালন করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আগামী বছর বেঁচে থাকলে ইনশাআল্লাহ আমরা ৯ মুহাররমসহ রোজা রাখব।’ বর্ণনাকারী বলেন, পরের বছর মুহাররম আসার আগেই তাঁর ওফাত হয়ে যায়। (মুসলিম : ১১৩৪)।

    অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং ইহুদিদের বিরোধিতা করো। তোমরা আশুরার সঙ্গে তার আগের এক দিন অথবা পরে এক দিন রোজা রাখ।’ (সুনানে বাইহাকি, ৪ খ- ২৮৭)। [এই হাদীসটিকে মুহাদ্দীসীনদের কেউ কেউ দুর্বল বলেছেন।

    অতএব, সর্বোত্তম হবে ৯ ও ১০ তারিখ রোজা রাখা। কারণ, ৯ ও ১০ তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসটি সহীহ এবং এ ব্যাপারে মুহাদ্দীসীনগণের কোনো দ্বিমত নেই।

    √√ নোটঃ
    আশুরার রোজা দ্বারা কি ১ বছরের সকল গুণাহ মাফ হয়ে যায়?

    এ ব্যাপারে উলামায়ে ক্বেরাম বলেছেন,

    تكفير الذنوب الحاصل بصيام يوم عاشوراء المراد به الصغائر ، أما الكبائر فتحتاج إلى توبة خاصة .

    قال النووي رحمه الله :

    يُكَفِّرُ ( صيام يوم عرفة ) كُلَّ الذُّنُوبِ الصَّغَائِرِ , وَتَقْدِيرُهُ يَغْفِرُ ذُنُوبَهُ كُلَّهَا إلا الْكَبَائِرَ .

    وقال شيخ الإسلام ابن تيمية رحمه الله : وَتَكْفِيرُ الطَّهَارَةِ , وَالصَّلاةِ , وَصِيَامِ رَمَضَانَ , وَعَرَفَةَ , وَعَاشُورَاءَ لِلصَّغَائِرِ فَقَطْ . الفتاوى الكبرى ج5 .

    অর্থাৎ,
    আশুরার রোজা দ্বারা শুধু সগিরা গুনাহ মার্জনা হবে। কবিরা গুনাহ বিশেষ তওবা ছাড়া মোচন হয় না।

    ইমাম নববী (রহঃ) বলেন: আশুরার রোজা সকল সগিরা গুনাহ মোচন করে।হাদিসের বাণীর মর্ম রূপ হচ্ছে- কবিরা গুনাহ ছাড়া সকল গুনাহ মোচন করে দেয়।

    শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন: পবিত্রতা অর্জন, নামায আদায়, রমজানের রোজা রাখা, আরাফার দিন রোজা রাখা, আশুরার দিন রোজা রাখা ইত্যাদির মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ মোচন হয়।[আল-ফাতাওয়া আল-কুবরা, খণ্ড-৫]

    এন-কে

  • মহররম মাসের যে আমল ধন্য করবে

    মহররম মাসের যে আমল ধন্য করবে

    হিজরি বছরের প্রথম মাস মহররম। মহররম শব্দের অর্থ সম্মানিত। ইসলামের ইতিহাসে এই মাসটি এমন কতগুলো উল্লেখযোগ্য স্মৃতিবিজড়িত, যে স্মৃতিগুলোর সম্মানার্থেই এই মাসকে মহররম বা সম্মানিত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

    তাইতো এ মাসের ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখে ২টি রোজা রাখা উত্তম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হিজরি সনের শুভ সূচনা হয়।

    ইসলামি সন তথা হিজরি সন মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় ঘটনার অবিস্মরণীয় স্মারক।

    হিজরি বছরের প্রত্যেকটি মাসেরই রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। ইসলামে এ মাসের অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। মুহাররম মাস শুধুমাত্র কারবালার ঘটনা স্মরণ করার মাস নয় বরং মুসলিম বিশ্বকে নতুন করে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার মাস ।

    হাদিসে বর্ণিত হয়েছে হজরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রোজা রাখার জন্য এত অধিক আগ্রহী হতে দেখিনি যত দেখেছি এই আশুরার দিন এবং রমজান মাসের রোজার প্রতি।’ (বুখারি)

    হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি একবার রাসুল (সা. )-এর দরবারে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমরা রমজানের পর সবচেয়ে বেশি রোজা রাখব কোন মাসে? তিনি বলেন, তোমরা যদি রমজানের পর কোনো মাসে রোজা রাখতে চাও, তাহলে মহররম মাসে রাখো। কেননা এটি আল্লাহর মাস। এই মাসে এমন একটি দিন আছে, যেদিন আল্লাহ আগের এক জাতির তাওবা কবুল করেছেন এবং পরবর্তীদের তাওবাও কবুল করবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৪০; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৪২)

    অপর এক হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রমজানের রোজার পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো মহররম মাসের রোজা।’ (মুসলিম)

    তাই আমরা চেষ্টা করব এ মাস ইবাদত-বন্দেগিতে রত থেকে অতিবাহিত করা। আমরা যেন এমন কিছু না করি যা আমাদেরকে ইসলাম অনুমতি দেয় না। যেমন কান্নাকাটি করা, মাতম-মর্সিয়া করা, শরীরের রক্ত বের করা ইত্যাদি করা থেকে আমরা বিরত থাকব।

    ১০ মহররমকে কেন্দ্র করে অতিরঞ্জিত কিছু না করে আমরা চেষ্টা করব হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) সত্য প্রচারের যে আদর্শ রেখে গেছেন তা যেন আমরা সব সময় আঁকড়ে ধরে রাখতে পারি আর এর জন্য আমাদেরকে প্রাণপন চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

    ১০ই মহররমে আমাদের অঙ্গিকার থাকবে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরাও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে মহররম মাসের গুরুত্ব উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুন, আমিন।

    লেখক: ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট
    masumon83@yahoo.com

  • পবিত্র আশুরা ২০আগস্ট

    পবিত্র আশুরা ২০আগস্ট

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    দেশের কোনো জায়গায় সোমবার (৯ আগস্ট) মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায় নি। তাই আগামী ২০ আগস্ট বাংলাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে। বুধবার (১১ আগস্ট) শুরু হচ্ছে মহররম মাস ও নতুন বছর ১৪৪৩ হিজরি রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ,সভায় ধর্ম সচিব জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে কোথাও হিজরি ১৪৪৩ সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। বুধবার থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২০ আগস্ট (১০ মহররম) শুক্রবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।হিজরি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম।

    আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়ারা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকে।কারবালা প্রান্তরে হজরত মুহাম্মদের (স.) দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেনের (রা.) শাহাদাতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত আমাদের দেশে আশুরা পরিচিত। তবে ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা আরও কিছু তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আশুরার রোজা (আশুরার দিন এবং আগে বা পরে একদিন) রাখার বিষয়ে বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে হাদিসে

    ২৪ঘণ্টা /রাসেল

  • আজ পবিত্র হজ

    আজ পবিত্র হজ

    লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শরীকা লাকা লাব্বাইক।’ হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির কণ্ঠে এ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে আরাফাত ময়দান।

    করোনাকালে দ্বিতীয় বছরের মতো সীমিত পরিসরে হজ পালিত হচ্ছে। অবশ্য গত বছরের চেয়ে এবারে শর্তসাপেক্ষে বেশি সংখ্যক মানুষজনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশের হজ করতে ইচ্ছুক এমন সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি আবেদন অনলাইনে জমা পড়ে। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে ১৫০ দেশের মাত্র ৬০ হাজার মানুষ এবারে হজ করার অনুমতি পেয়েছেন। তবে শর্ত থাকে যে করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে।

    গত শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। গতবারের মতো এবারও করোনার মহামারির মধ্যে সীমিত পরিসরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে হজ পালন করা হচ্ছে।

    সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে মিনা থেকে ৩ হাজার বাসে করে হজযাত্রীদের আরাফার ময়দানে সুশৃঙ্খলভাবে পৌঁছানো হয়েছে। হজযাত্রীরা আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করে আল্লাহর কাছে মোনাজাতের মাধ্যমে জীবনের সব গুনাহ মাফ করার জন্য প্রার্থনা করবেন।

    হাজিরা মসজিদে নামিরা থেকে দেওয়া হজের খুতবা শ্রবণ, যোহর, আসরের এক আজানের দুই ইকামতে কসরের সঙ্গে আদায় করবেন। তাঁবুতে অবস্থানকারী হাজিরা তাঁবুতে নামাজ আদায় করবেন।

    আরাফাত ময়দান থেকে সূর্য অস্ত যাবার পর হাজীরা রওনা দেবেন মুজদালিফার উদ্দেশে। মুজদালিফায় পৌঁছে তারা মাগরিব ও এশা একসঙ্গে আদায় করবেন।

    মুজদালিফার খোলা ময়দানে রাত্রি যাপন করবেন। শয়তানকে নিক্ষেপ করার জন্য সৌদি সরকার পক্ষ থেকে জীবাণুমুক্ত কংকর প্রত্যেক হজযাত্রীকে সরবরাহ করা হবে। এজন্য হাজীদের নিজ উদ্যোগে মুজদালিফা ময়দান থেকে কংকর সংগ্রহ করতে হবে না। ময়দান থেকে আগামীকাল ফজরের নামাজ পড়ে সূর্যোদয়ের পর মিনা পৌঁছে হাজিরা প্রথম দিন বড় জামারায় সাতটি কংকর নিক্ষেপ করবেন, পাশাপাশি পশু কোরবানি দিয়ে মাথা মুণ্ডন করে ঈদ আনন্দে মেতে উঠবেন।

    হাজিরা মিনা-ময়দানে এভাবে তিন দিন অবস্থান করে পর্যায়ক্রমে শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করবেন।

  • রাউজানে জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রা উদ্বোধন করলেন মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ

    রাউজানে জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রা উদ্বোধন করলেন মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ

    রাউজান(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:

    রাউজানে জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ জুলাই মঙ্গলবার সকালে রাউজানেরর ঢেউয়াপাড়া শ্রী শ্রী জগন্নাথ সেবাশ্রমে লকডাউনের পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জগন্নাথ দেবদেবীর রথ যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

    সেবাশ্রের নতুন নির্মিত রথে প্রথম বারের মতো জগন্নাথ দেবদেবী উঠানো হয়। নতুন রথের জগন্নাথের আগমনের উদ্বোধন করেন রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ। এসময় মেয়র নব-নির্মিত রথ টেনে রথ যাত্রার উদ্বোধন করেন। সংক্ষিপ্ত পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেবাশ্রমের সভাপতি দিলীপ কুমার চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক টিপু কান্তুি দে’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর জানে আলম জনি, এডভোকেট দীলিপ কুমার চৌধুরী, এস আই অজয় কুমার শীল, যুবলীগ নেতা আবু ছালেক, জগন্নাথ সেবাশ্রম পরিচালনা কমিটির কাজল বোস, অশোক পালিত, ধীলন মুহুরী, প্রদীপ শীল, তপন দে, দিপলু দে দিপু, অনুপ চক্রবর্তী, চন্দ্র শেখর দে, সমীর শীল, রনজিত শীল, বিজন চৌধুরী, মিঠু চৌধুরী, ভানু শীল প্রমুখ। হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুসারে জগন্নাথ, বলবদ্র ও শুভেদ্রা দেবী প্রতি বছর পীসির বাড়ীতে এক সাপ্তাহের জন্য গমন করেন। সেখানে এক সপ্তাহ পর পুনরায় জগন্নাথ দেবালয়ে উদ্যােগে ফিরতি রথে ফিরে আসে।

    ২৪ঘণ্টা /নিজাম

  • পবিত্র ঈদুল আজহা ২১ জুলাই

    পবিত্র ঈদুল আজহা ২১ জুলাই

    বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসেবে ১২ জুলাই জিলহজ মাস শুরু হবে এবং আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

    রোববার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

    বৈঠকে সভাপতিত্বে করেছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনূর মিয়া, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মুহ. আছাদুর রহমান, ঢাকা জেলার এডিসি ইলিয়াস মেহেদী, মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ আলমগীর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, আজ ১১ জুলাই (রোববার) বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে অনুযায়ী কাল ১২ জুলাই জিলহজ মাস শুরু হবে। ঈদুল আজহা পালিত হবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ অর্থাৎ ২১ জুলাই।

    এদিকে রোববার সন্ধ্যায় ফেনীতে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    গতকাল শুক্রবার সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সে হিসেবে রোববার (১১ জুলাই) সেখানে জিলহজ মাস শুরু হয়েছে। দেশটিতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ২০ জুলাই (মঙ্গলবার)।

    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহার জামাতও হবে মসজিদে। সেক্ষেত্রেও নামাজ পড়তে হবে দূরত্ব বজায় রেখে, করা যাবে না কোলাকুলি।

    জিলকদ মাসের পরই আরবি বছরের শেষ মাস জিলহজ মাস। জিলহজ মাসে মুসলমানেরা পবিত্র মক্কায় হজ করতে যান। জিলহজ মাসের ৮-১০ তারিখে হজ অনুষ্ঠিত হয়। ১০ তারিখে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা অনুষ্ঠিত হয়। এই ঈদে কোরবানি দেন মুসলমানেরা।