Category: ধর্ম

  • আলামিয়া- নুরুল ইসলাম স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে পবিত্র কছিদা বুরদা শরীফ খতমে খাজাগান, খতমে শেফা শরীফও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    আলামিয়া- নুরুল ইসলাম স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে পবিত্র কছিদা বুরদা শরীফ খতমে খাজাগান, খতমে শেফা শরীফও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    ২৪ ঘণ্টা নিউজ ডেস্ক: সেচ্ছাসেবী সংগঠন আলামিয়া- নুরুল ইসলাম স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা ও বিশ্বময় মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি কামনায় পবিত্র কছিদা বুরদা শরীফ, খতমে খাজাগান, পবিত্র খতমে শেফা শরীফ ও দোয়া মাহফিল গতকাল ২৪ সেপ্টম্বর২০২০ বৃহস্পতিবার বাদে মাগরীব থেকে নগরীর আতুরার ডিপোস্হ তাহেরাবাদ আবাসিক এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

    সংগঠনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।এতে অংশগ্রহণ করেন মাওলানা জিয়াউল হক আলকাদেরী,মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন আলকাদেরী,মাওলানা মুহাম্মাদ আতাউর রহমান নঈমী,মাওলানা জামাল উদ্দীন আলকাদেরী, মাওলানা তারেকুল ইসলাম আলকাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ শহীদ উদ্দীন আলকাদেরী, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল কাশেম আলকাদেরী, মাওলানা সোলাইমান আলকাদেরী, মাওলানা সেলিম রিয়াদ আলকাদেরী, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ নুরুচ্ছাফা,মাওলানা মোহাম্মদ আশরাফুল আলেম সাইমুন।

    আরো উপস্থিত ছিলেন হাজ্বী মোহাম্মদ সোলায়মান ছৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাদা মফিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসান সিকদার নওসাদুল আলম জিসান, মোঃ ইকবাল, সাইফুল ইসলাম ইমন,হানিফ মুহাম্মদ শিবলু,মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম,আনিস মুহাম্মদ বিবলু,সাইফুল ইসলাম শাকিল প্রমুখ। মাহফিল শেষে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দীন আলকাদেরী ।

    ২৪ঘণ্টা/এন এম রানা

  • ৪ অক্টোবর থেকে পবিত্র ওমরাহ চালু হচ্ছে

    ৪ অক্টোবর থেকে পবিত্র ওমরাহ চালু হচ্ছে

    মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ৪ অক্টোবর থেকে পবিত্র ওমরাহ চালু হচ্ছে।

    তবে ওমরাহ পালনের সময় মুসল্লিদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়।

    আরব নিউজ জানিয়েছে, তিনটি ধাপে ওমরাহ চালু হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে শুধু সৌদি আরবের স্থানীয়রা ৪ অক্টোবর থেকে উমরাহ হজে অংশ নিতে পারবেন।

    প্রথম অবস্থায় উমরাহ হজের মোট ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩০ শতাংশ অর্থাৎ একদিনে ছয় হাজার জনকে পবিত্র মসজিদুল হারামে ঢোকার সুযোগ দেয়া হবে। উমরাহ হজের সম্পূর্ণ সময়ে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক থাকবে।

    দ্বিতীয় ধাপে ১৮ অক্টোবর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার জন উমরাহ করতে পারবে। এই সময়ে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি পবিত্র মসজিদুল হারামে ঢুকতে পারবেন। যা সম্মিলিতভাবে মোট ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশ।

    তৃতীয় ধাপে ১ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করা এবং বাইরে থেকেও হজ ও ইবাদতের উদ্দেশে সব মুসলিমকে মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেয়া হবে। সে সময় প্রতিদিন ২০ হাজার জন উমরাহ হাজি এবং ৬০ হাজার ইবাদতকারীকে মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেয়া হবে, যা মোট ধারণক্ষমতার সমান।

    আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সৌদি আরবে অবস্থানকারীরা উমরাহ হজের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করার আগে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

    এছাড়া পবিত্র স্থানগুলাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলা, মুখোশ পরা, অন্যের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং শারীরিক যোগাযোগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চির নিদ্রায় শায়িত হলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফি

    চির নিদ্রায় শায়িত হলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফি

    নুর মোহাম্মদ রানা ও মো: পারভেজ, চট্টগ্রাম : লাখ লাখ মুসল্লিদের কাঁদিয়ে চির নিদ্রায় শায়িত হলেন হাটহাজারী আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার সদ্য পদত্যাগ করা মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমির শাইখুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফি।

    শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার দিকে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হুজুরের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ এর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত নামাযে জানাযা শেষে শতবর্ষী বরেণ্য এ আলেমেদ্বীনকে হাটহাজারী মাদ্রাসার বায়তুল আতিক জামে মসজিদ সংলগ্ন মাক্ববারায়ে জামিয়া কবস্থানে দাফন করা হয়।

    এর আগে শনিবার সকাল ৯ টায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আল্লামা শফীর লাশ ঢাকা থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন হুজুরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয়। এসময় সর্বস্তরের জন সাধারণ ও ভক্তদের জন্য হুজুরের লাশ মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে রাখা হয়।

    এদিকে হুজুরের জানাযায় অংশ নিতে ফযরের নামাযের পর পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান হতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ দলে দলে এসে হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গন এবং এর আশে পাশে জড় হতে থাকে। মাদ্রাসার ছাত্র সহ হাজার হাজার মুসল্লি হুজুরের রূহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করতে থাকে।

    উল্লেখ্য চলতি মাসের ১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে আল্লামা শফী বার্ধক্য জনিত অসুস্থ্য নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। আইসিইউতে রাখার পরও অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    ১০৩ বছরের অধিক বয়সী আল্লামা শাহ আহমদ শফী চলতি বছরে মাথা ব্যাথা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকস, রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কারণে নানা সমস্যা নিয়ে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

    আল্লামা শাহ আহমদ শফী একজন ইসলামি ব্যক্তিত্ব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আমির। তিনি একইসঙ্গে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিতয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান। তিনি হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক ছিলেন।

    শাহ আহমদ শফী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বরকত আলী ও মায়ের নাম মেহেরুন্নেছা। তিনি আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম ও ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় শিক্ষালাভ করেন। শফী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামে একটি ধর্মীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

    ২৪ঘণ্টা/এন এম রানা/পারভেজ

     

  • হাটাহাজারীতে আল্লামা শফীর মরদেহ, জানাজায় জনতার ঢল

    হাটাহাজারীতে আল্লামা শফীর মরদেহ, জানাজায় জনতার ঢল

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী বড় মাদরাসার দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মরদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় পৌঁছেছে।

    শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে লাশবাহী গাড়ী রওয়ানা দিয়ে সকাল ৯ টায় মাদরাসায় পৌঁছে।মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আল্লামা আহমদ শফীকে শেষবারের মতো দেখানোর ব্যবস্থা করেছে। মাদরাসার দারুল হাদিস ভবনের নিচতলায় রাখা হয়েছে আল্লামা শফীর মরদেহ।

    সেখানে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে, শেষবারের মতো বিদায় জানাতে ভিড় করছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। জোহরের নামাজের পর হাটাহাজারী মাদরাসা মাঠে আল্লামা শফীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

    জানাজা শেষে আল্লামা শফীর অসিয়ত অনুযায়ী মাদরাসা সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে। ইতোমধ্যে কবর খননের কাজও শেষ হয়েছে। আল্লামা শফীর নামাজে জানাজার ইমামতি করবেন বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ।

    এদিকে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নামাজে জানাজায় অংশ নিতে হাটহাজারীতে জনতার ঢল নেমেছে। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার পরও পায়ে হেটে দুর দুরান্ত থেকে মানুষ হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় যাচ্ছেন। গতকাল রাত থেকেই মাদরাসায় আসতে শুরু করেছে আলেম-উলামা, ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ জনতা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ চট্টগ্রাম অভিমুখী রাস্তায় দেখা যায় জানাজাগামী গাড়ির স্রোত।

    জানা যায়, আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি দীর্ঘদিন এই মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। জানাজায় অংশ নিতে শোকার্ত মানুষের ভিড়।

    কানায় কানায় পূর্ণ  হয়ে গেছে মাদরাসার ক্যাম্পাস, মাঠ, রাস্তা ও আশপাশের এলাকা। শুধু সাদা টুপি-পাঞ্জাবি পরিহিত মানুষ আর মানুষ। এখনই সামাল দেওয়া কষ্ট হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী মাদরাসায় উপস্থিত মোশাহিদ রহমান।

    হাটাহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন জানান, আহমদ শফীর মৃতদেহ সকাল ৯টার দিকে হাটহাজারীতে পৌঁছেছে এবং দুপুরে জানাজা শেষে সেখানে দাফনের সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

    হাটহাজারী বাসস্টেশন থেকে মাদরাসামুখি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী গেণ্ডারিয়াস্থ আসগার আলী হাসপাতালে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।

    তার ইন্তেকালের খবরে আলেম সমাজের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি হেফজাতে ইসলামের আমির ছাড়াও কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সফলতায় ১৫ বছরে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট

    গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সফলতায় ১৫ বছরে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট

    সংগঠন সংবাদ : গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সফলতায় ১৪ বছর অতিক্রম করে ১৫ বছরে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। সারাদেশে ধর্মীয় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির ১৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

    তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে ধর্মীয় বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে।

    আজ ১৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পটিয়াস্থ গৌরাঙ্গ নিকেতনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক ও শিক্ষক সুমন দাশ। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট পটিয়া শাখা

    পরবর্তীতে সংগঠনের মঙ্গল কামনায় শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ, গীতা পুষ্পযজ্ঞ, নাম কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার প্রত্যয়ে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভগবান শ্রী রাম এই ধরাধামে আবির্ভূত হয়ে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের যে নীতি আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সে নীতি আদর্শ সর্ব যুগে সর্ব সমাজে একান্ত উপযোগী।

    আজকের এই শুভ দিনে আমাদেরকেও শ্রী রামের জীবনী থেকে সংগ্রামের অনুপ্রেরণা নিয়ে অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সর্বদা সংগ্রাম করে যেতে হবে।বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট পটিয়া শাখা

    তাছাড়া কোন অশুভ শক্তি যাতে কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ নির্যাতন করে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশের সকল মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।

    মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন ও সংক্ষিপ্ত ধর্মীয় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাগীশিক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক রুপক শীল, পটিয়া উপজেলা সভাপতি পুলক চৌধুরী, দক্ষিন জেলা অর্থ সম্পাদক মিশন দত্ত সপু, হিন্দু মহাজোট চট্রগ্রাম জেলার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিজন দে মুন্না, দক্ষিণ জেলা যুব মহাজোট এর সহ সভাপতি গৌতম দে পলাশ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রনি চৌধুরী, হিন্দু যুব মহাজোট এর পটিয়া উপজেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি রিটু নন্দী, সিনিয়র সহ সভাপতি সুজন কুমার শীল, সাধারণ সম্পাদক রতন দত্ত, সহ সাধারণ সম্পাদক অ্যডভোকেট অনিক দে যীশু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রিমন চৌধুরী, বিপ্লব চক্রবর্তী রিগ্যান, মঠ ও মন্দির বিষয়ক সম্পাদক সৈকত চক্রবর্তী, দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়ন যুব মহাজোট এর আহবায়ক রাসেল দেব নাথ, সজীব শীল, আদিত্য দাশ পার্থ, বিজয় চক্রবর্তী,তন্ময় চৌধুরী,জয় শীল,রাজীব চৌধুরী প্রমুখ। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট পটিয়া

    তাছাড়া মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, যুব মহাজোট ও ছাত্র মহাজোট পটিয়া উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও শ্রীমদ্ভগবত গীতা পাঠ শ্রবণ করেন বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। শেষে মিষ্টি বিতরনের মধ্য দিয়ে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • আজ পবিত্র আশুরা

    আজ পবিত্র আশুরা

    পবিত্র আশুরা আজ। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার এই দিনটি ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে। বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হবে। এদিন সরকারি ছুটি।

    পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম (এই দিন) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবার এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। কারবালার ঘটনা স্মরণ করে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের মহান আদর্শকে সমুন্নত রাখতে তাদের এই আত্মত্যাগ মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল রয়েছে। কারবালার শোকাবহ এ ঘটনা অর্থাৎ পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী সবাইকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরণা জোগায়।

    বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির কারণে আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সব ধরনের তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল নিষিদ্ধ করেছে। তবে ধর্মপ্রাণ নগরবাসী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমাম বাড়াগুলোতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন। বুধবার ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কর্মসূচি নিষিদ্ধের কথা জানিয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধর্মপ্রাণ নগরবাসী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমাম বাড়াসমূহে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন। এসব অনুষ্ঠানস্থলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই আদেশ পবিত্র আশুরা উপলক্ষে অনুষ্ঠান শুরু হতে শেষ পর্যন্ত বলবত থাকবে।

    দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক আজ বিশেষ প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও-টিভি চ্যানেলও এই দিনের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ৩০ আগস্ট পবিত্র আশুরা

    ৩০ আগস্ট পবিত্র আশুরা

    বাংলাদেশের আকাশে আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট) ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

    ফলে আগামীকাল শুক্রবার থেকে পবিত্র মুহাররম মাস গণনা শুরু আগামী ৩০ আগস্ট রবিবার সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে। অতএব আগামী ৩০ আগস্ট রোববার সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

    সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

    সভায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মিজান-উল-আলম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ ,বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ আবদুল মান্নান, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: আলমগীর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহসহ বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ ২৯ জিলহজ ১৪৪১ হিজরি, ০৫ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২০ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মুহাররম মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে।

    এমতাবস্থায়, আগামীকাল ০৬ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২১ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ শুক্রবার থেকে পবিত্র মুহাররম মাস গণনা শুরু হবে। এই প্রেক্ষিতে, আগামী ১০ মুহাররম ১৪৪২ হিজরি, ১৫ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ৩০ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

    জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রাম মহানগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আজ শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় প্রধান ঈদ জামাত শুরু হয়। এতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হজরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।

    নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।

    নামাজের আগে মুসল্লিদের প্রবেশের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়।

    একই মসজিদে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ৯টায়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

    বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

    দুঃসময়ের আঁধারে প্রত্যাশার আলো নিয়ে এসেছে ঈদুল আজহা। স্বাস্থ্যবিধি আর সামাজিক দূরত্বের বাধ্যবাধকতার মধ্যেই ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন মুসল্লিরা। করোনার কারণে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াসহ এবারও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে হচ্ছে না ঈদের নামাজ।

    শনিবার (১ আগস্ট) সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনামুক্তিসহ মানবজাতির কল্যাণ কামনা করেন মুসল্লিরা। একে একে আরো ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে এ মসজিদে।

    এদিকে, সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গভবনে ঈদের জামাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। সকাল পৌনে ৮টায় চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রথম জামায়াত।

    এছাড়া, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত। পরে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করবেন সামর্থ্যবান মুসল্লিরা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঈদুল আজহার দিনের সুন্নতসমূহ

    ঈদুল আজহার দিনের সুন্নতসমূহ

    কুরবানি মুসলিমদের এক আনন্দময় দিন। এ দিনে মুসলমানগন লক্ষ লক্ষ পশু জবাইয়ের মাধ্যমে আত্মত্যাগের পরিচয় দেন। পৃথিবীতে কুরবানীর ইতিহাস রচিত হয় হাবিল ও কাবিল নামীয় দুই ভাইয়ের মাধ্যমে। আল্লাহ তায়ালা হাবিলের উদারত্বের কারণে তার কুরবানীকে কবুল করেন আর কাবিলের ধৃষ্টতা ও কৃপনীয় আচরণের জন্য তার কুরবানীকে প্রত্যাখ্যান করেন। আমাদেরও এরকম মন মানষিকতার কারণে হাজারও কুরবানী প্রত্যাখাত হচ্ছে যা আমাদের অজানা।

    আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যই হবে আমাদের সফলতার রাজপথ। ঈদুল আজহা বা কুরবানির দিনে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য রয়েছে কিছু মজলুম সুন্নত! যা আমরা ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গিয়ে ভুলে যাই।

    ঈদের দিনের সুন্নতসমূহ

    ১. খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা। ২. গোসল করা। ৩. মিসওয়াক করা। ৪. সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন পোশাক পরিধান করা। ৫. আতর ব্যবহার করা। ৬. মহল্লার মসজিদে গিয়ে জামায়াতে ফজরের নামাজ আদায় করা। ৭. ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া। ৮. ঈদুল আজহার দিন সকালে কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া।

    ৯. ঈদুল আজহার দিন পবিত্র কুরবানীর গোশত দিয়ে খাওয়া শুরু করা। ১০. ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা। ১১. সকাল সকাল পবিত্র ঈদের নামাজ পড়ার জন্য যাওয়া। ১২. ঈদের নামাজ ঈদগাহে গিয়ে পড়া, সম্ভব না হলে মহল্লার মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়া।

    ১৩. নিম্নোক্ত দোয়া পড়তে পড়তে ঈদগাহে যাওয়া: الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله والله اكبر الله اكبر ولله الحمد আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ। ১৪. শরীয়তের সীমার মধ্যে থেকে খুশি প্রকাশ করা।

    (সূত্র: ফতওয়ায়ে শামি ১: ৫৫৬, ৫৫৭, ৫৫৮, হেদায়া ২: ৭১, বোখারী ১: ১৩০)

    লেখক: আব্দুল্লাহ খান, শিক্ষার্থী, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকা

  • হজের খুতবায় করোনা থেকে মুক্তি ও গুনাহ মাফের জন্য দোয়া

    হজের খুতবায় করোনা থেকে মুক্তি ও গুনাহ মাফের জন্য দোয়া

    মক্কার অদূরে আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার এ বছরের পবিত্র হজ পালিত হয়েছে।

    আরাফা থেকে ফেরার পথে রাতে মুজদালিফায় অবস্থান করে সকালে ফের মিনার তাবুতে অবস্থান নিয়েছেন হাজীরা। সেখান থেকেই জামারাতে কংকর নিক্ষেপ করে কুরবানী করে ইহরাম ভঙ্গ করবেন হাজীরা।

    এদিকে আরাফায় অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে দেয়া হজের খুতবায় শায়খ আবদুল্লাহ বিন সোলায়মান আল মানিয়া মহামারি থেকে মুক্তি, গোনাহ মাফ, আল্লাহর রহমত কামনাসহ নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এবছর করোনা পরিস্থিতিতে মাত্র দশ হাজারের মতো মুসলিমের অংশগ্রহণে পবিত্র হজ পালিত হয়। অন্যান্য বছর বিশ্বের ১৬০টি দেশের প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজ পালন করে আসছিলেন।

    বৃহস্পতিবার স্থানীয় হিসাব অনুযায়ী ৯ জিলহজ দুপুর সাড়ে বারোটায় হজের খুতবা শুরু করেন শায়খ মানিয়া। এ বছরের হজের খুৎবার জন্য তাকে মনোনীত করেন সৌদি বাদশা। লিখিত খুতবায় সীমিত পরিসনে হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন।

    তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, খুব দ্রুত বৈশ্বিক এই মহামারি কেটে যাবে। আবার আগের মতো হজ ও উমরা যাত্রীদের আগমনে মুখরিত হবে পবিত্র এই ভূমি।

    ৩০ মিনিটব্যাপী খুতবার শেষের দিকে তিনি সৌদি সরকারের জন্য দোয়া করেন, বিশ্বে শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করেন। রোগ মুক্তি চান। করোনাকে মহামারি উল্লেখ করে এর থেকে বিশ্ববাসীর হেফাজতের জন্য দোয়া করেন। সর্বাবস্থায় আল্লাহর দরবারে যাবতীয় সমস্যার জন্য বেশি বেশি দোয়া করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।

    খুতবায়, মানুষের অধিকার বিশেষ নারীর অধিকার ও উত্তরাধিকার সম্পত্তি বন্টনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। ওয়াদাপালন, মাতাপিতার সেবা, সৎকাজের আদেশ, অসৎকাজের নিষেধ, মানবসেবা, রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় নাগরিকদের সচেতন হওয়ার বিষয়ও উল্লেখ করেন তিনি।

    কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে মানুষকে ইসলামের পূর্ণাঙ্গ অনুসারী হওয়ার আহ্বান জানান। আরাফাতের ময়দানে করণীয়সহ হজের পরবর্তী বিষয়গুলো তুলে ধরেন। নামাজ, পবিত্রতা অর্জন, রোগীর সেবা, মহামারি উপদ্রুত এলাকায় প্রবেশ না করা এবং ওইসব এলাকা থেকে অন্যত্র না যাওয়ার শরীয়তের বিধানগুলো বর্ণনা করেন।

    খুতবার পর জোহরের নামাজের আজান দেন মসজিদের হারামের মুয়াজ্জিন শায়খ ইমাদ বিন আলি ইসমাইল। এরপর দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন আলাদা জামাতে।

    এ বছর পবিত্র হজের আরবি খুতবা অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও অনুবাদ করে সম্প্রচার করা হয়। বাংলা ছাড়াও বাকি নয়টি ভাষা হলো- ইংরেজি, মালয়, উর্দু, ফার্সি, ফ্রেঞ্চ, মান্দারিন, তুর্কি, রুশ ও হাবশি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কোরবানির ঈদ ১ আগস্ট

    কোরবানির ঈদ ১ আগস্ট

    দেশের আকাশে ১৪৪১ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী ১ আগস্ট সারা দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

    মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশ থেকে চাঁদ দেখা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কমিটি।

    ধর্মসচিব নুরুল ইসলামের সভাপত‌িত্বে সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদসহ আলেম ওলামাসহ কমিটির সদস‌্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ তথ‌্য নিশ্চিত করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন।

    এদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ৩১ জুলাই। আর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুলাই। যদিও করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার খুবই সীমীত পরিসরে হজ পালিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর