Category: বিশেষ খবর

  • গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

    গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

    গণতন্ত্র সূচকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান দুই ধাপ এগিয়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) শুক্রবার ‘গণতন্ত্র সূচক ২০২২’ প্রকাশ করেছে। ১৬৭টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে এই সূচক তৈরি করা হয়েছে।

    পাঁচটি মানদণ্ডে একটি দেশের গণতন্ত্র পরিস্থিতি বিচার করে ইআইইউ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে ২০২২ সালে ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ৭৩ নম্বরে।

    ২০২১ সালে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৭ টি দেশের মধ্যে ৭৫ নম্বরে। সেবার বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৯৯।

    সবার শীর্ষে আছে নরওয়ে। দেশটির স্কোর ৯ দশমিক ৮১। দ্বিতীয় অবস্থানে ৯ দশমিক ৬১ স্কোর নিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড, তৃতীয় অবস্থানে ৯ দশমিক ৫২ স্কোর নিয়ে আছে আইসল্যান্ড। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড যথাক্রমে ৯ দশমিক ৩৯ ও ৯ দশমিক ২৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে।

    এই সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থানএবার যথাক্রমে ৪৬ ও ৬০। ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাও রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের শ্রেণিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে একই শ্রেণিতে রয়েছে নেপাল (১০১) ও পাকিস্তান (১০৭)।

  • চট্টগ্রামে টোল রোডে আতঙ্ক

    চট্টগ্রামে টোল রোডে আতঙ্ক

    চট্টগ্রামে টোল রোডে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। ফৌজদারহাট—বন্দর হয়ে মিশেছে পতেঙ্গার চট্টগ্রাম আউটার রিং রোডের সঙ্গে। সিএমপির ৫ থানার টহল চলে এই টোল রোড, বন্দর ও পতেঙ্গাকে ঘিরে। অভিযোগ রয়েছে, সন্ধ্যার পর থেকে পতেঙ্গা ও কাট্টলী বীচে আগত পর্যটকদেরকেও আতঙ্কে বাড়ী ফিরতে হয়। পুলিশের একাধিক টিম টহলে থাকলেও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে পাহারা দিয়েই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সন্ধ্যা হলেই অনিরাপদ হয়ে উঠে পুরো সড়ক। কারন এই সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না পুলিশ।

    অভিযোগ রয়েছে, বছর চারেক আগে উত্তর কাট্টলীস্থ টোল রোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত নিহতের ঘটনার পর থেকে ৫ থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

    ভিন্ন ভিন্ন অংশে পুলিশের টহল অব্যাহত থাকায় সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী পুলিশকে পাহারা দিচ্ছে। ঘটনার আগে ও পরে পুলিশের উপস্থিতের বিষয়টি মাথায় রেখেই সন্ত্রাসীরা ছিনতাই করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মোটর সাইকেলে থাকাদের টার্গেট করলেও বিদেশগামীদের গাড়ীও ঠেকাচ্ছে।

    আরো অভিযোগ রয়েছে, ফেনী, মীরসরাই, সীতাকুন্ড, কুমিরা, ভাটিয়ারী ও ফৌজদারহাট এলাকার প্রবাসী বা বিদেশগামীরা বিশেষ করে ফৌজদারহাট—বন্দর টোল রোড ব্যবহারে আতঙ্কগ্রস্থ।

    গত ৪ বছর ধরে চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড চালু হওয়ার পর থেকে বন্দর টোল রোড ব্যবহারকারীদের মাত্রা আরো বেড়েছে।

    বিভিন্ন সময়ে এই সড়কে আগতরা ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারানোর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানা নিধার্রন করতে না পেরে বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্থরাই আইনের সাহায্য নিতে পারছেনা।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফৌজদারহাট চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের আওতায়, দক্ষিন কাট্টলী আকবরশাহ থানার আওতায়, উত্তর কাট্টলী পাহাড়তলী থানা পুলিশের আওতায়,

    একটি অংশ হালিশহর থানা, ঈশানমিস্ত্রীর হাট প্রকাশ ইয়াছিন্নার হাট এলাকা বন্দর থানা এলাকায় এবং জাহাজ বিল্ডিং টু পতেঙ্গা এলাকা পতেঙ্গা থানার আওতায়।

    পাহাড়তলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর কাট্টলীস্থ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন পুরাতন টোল রোডের পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে নেজামত আলীর পুকুর।

    এই পুকুরকে ঘিরে বিভিন্ন সময়ে ছিনতাই কারীরা ওঁৎ পেতে থাকে। পুকুরের অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে থাকা অপরাধীদের পাকড়াও করতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।

    এ ব্যাপারে পাহাড়তলী থানার এক এসআই জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত ঐ সড়কে টহল দিচ্ছে পাহাড়তলী থানা পুলিশ। টোল রোড এলাকার উত্তর কাট্টলী অংশই শুধু পাহাড়তলী থানা পুলিশের।

    আরো ৪টি অংশ বিভিন্ন থানা পুলিশের। সেখানে পুলিশের নজরদারি যেমন রয়েছে তেমনি অপরাধীরাও পুলিশকে পাহারা দিচ্ছে।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • রেলের সরঞ্জাম বিভাগে কুচক্রীদের থাবা

    রেলের সরঞ্জাম বিভাগে কুচক্রীদের থাবা

    বিশেষ প্রতিবেদক: রেলে খালাসি পদের লোক দিয়ে যেমন দাফতারিক কর্ম সম্পাদন করা হয় তেমনি ওয়েম্যান দিয়ে স্টেশনে সিগন্যালের কাজ সম্পাদন করার মত ঘটনাও ঘটছে। ফলে রেল দুর্ঘটনায় যাত্রী নিহতসহ কোচ ও ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্তের ঘটনা বিরল নয়। সম্প্রতি ডিস্ট্রিক কন্ট্রোলার অব ষ্টোরস(ডিসিওএস/জি) এর আওতায় থাকা প্রিন্টিং প্রেস এর সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট ডিপোর কে, এল এবং এম ওয়ার্ডকে (ডিসিওএস/পাহাড়তলীর) আওতায় নিয়ে যাওয়ার কু—পরিকল্পনা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরঞ্জাম বিভাগের আওতায় থাকা প্রিন্টিং শাখায় মোট ২৭৯ জন কর্মরত থাকার কথা। নতুন করে এ শাখায় ৯টি পদ সৃজনের প্রস্তাবনা দেয়া হলেও সুপারিশ করা হয়েছে ৭টি।

    তবে বিলুপ্ত করা হচ্ছে ১৮২ টি পদ। রেলের নতুন জনবল কাঠামো কার্যকর হলে এ বিভাগে কর্মরত থাকবে মাত্র ১০৪ জন।

    বিলুপ্ত পদগুলোর মধ্যে সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক এর দুটি পদ বিলুপ্তসহ প্রিন্টার গ্রেড—১ এর ৫টি পদ, কম্পোজিটর গ্রেড—২ এর ১৪টি পদ, প্রিন্টার গ্রেড—২ এর ১৩টি পদ, সহকারী মেশিনম্যান ৭টি পদ, খালাসি ১২টি পদসহ ১৮২টি পদ বিলুপ্ত হবার কথা রয়েছে। এদিকে, ইনভেন্ট্রি কন্ট্রোল শাখায় ২২ জন কর্মরত থাকার কথা থাকলেও তা কমিয়ে ২০ জনে আনা হচ্ছে।

    সিনিয়র সহকারী পরিচালকের একটি ক্যাডার পদ নতুনভাবে সৃজন করা হচ্ছে। এ শাখায় স্টোর কিপার ১টি ও পরিদর্শক ২টি পদ বিলুপ্ত করার কথা রয়েছে। তিনটি পদ বিলুপ্তির পর এ শাখায় কর্মরত থাকবে ২০ জন।

    এ ব্যপারে সরঞ্জাম বিভাগের এক কর্মকতা ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, অর্গাণোগ্রাম বাতিল করে একটি চক্র এ ধরনের নীল নকশা্ তৈরী করে প্রিন্টিং প্রেসের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।

    এছাড়াও এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সরকারী আদেশনামা অমান্য করা হচ্ছে। চক্রটি প্রিন্টিং প্রেসের অবক্ষয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।

    এদিকে, পাহাড়তলীস্থ প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণ দফতরের লোকবল সংখ্যা ১৮৬ জন উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী/সরঞ্জাম দুটি পদ সৃষ্টি করার প্রস্তাবনা থাকলেও বিলুপ্ত করা হচ্ছে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ২ জন, প্রধান সহকারী ৪ জন, উচ্চমান সহকারী ৫৫ জন, কম্পিউটার অপারেটর ২ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ৪ জন, অফিস সহায়ক ১৮ জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১ জনসহ মোট ৮৬টি পদ বিলুপ্ত করা হচ্ছে। ফলে এ দফতরের জনবল কাঠামো হবে ১০২ জন।

    অপরদিকে, পাহাড়তলীস্থ ইন্সপেকশন শাখায় জনবল কাঠামো ছিল ১৫৬ জন। লিস্টার ট্রাক ড্রাইভারের একটি পদ নতুন সৃজন করে ৯৪টি পদ বিলুপ্ত করা হচ্ছে। বিলুপ্তকৃত পদের মধ্যে রয়েছে স্টোর কিপার ২ জন,

    সহকারী স্টোর কিপার ২ জন, উপসহকারী প্রকৌশলী (সরঞ্জাম) ১ জন, প্রধান সহকারী ১ জন, উচ্চমান সহকারী ১৭ জন, মেটেরিয়াল চেকার ৪ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ৪ জন, একজন করে টিনস্মিথ, কার্পেন্টার, গ্রিজার, পেকার, লেটারম্যান, লেবেলম্যান, দফতরি, ক্লিনার।

    এছাড়াও ২ জন লেবার সর্দার, ২ জন রেকর্ড সাপ্লাইয়ার, ৪৫ জন খালাসি, ৫ জন অফিস সহায়কসহ ৯৪টি পদ বিলুপ্ত করে ১৫৬ জনবল থেকে কমিয়ে ৬৩ জনে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

    আরো জানা গেছে, পাহাড়তলীস্থ সরঞ্জাম বিভাগের শিপিং শাখায় মোট জনবল কাঠামো ছিল ৪শ জন। এরমধ্যে থেকে বিলুপ্ত করা হচ্ছে ২৯৮ জনকে। নতুন করে সিনিয়র সহকারী নিয়ন্ত্রক একটি ক্যাডার পদ সৃজন করা হচ্ছে।

    অপরদিকে, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ক্যাডার পদটি বিলুপ্ত করার পাশাপাশি সহকারী স্টোর কিপার ৩টি, ওয়ার্ড কিপার ১৫টি, সহকারী পরিদর্শক ৪টি, উচ্চমান সহকারী ৬৩টি, মেটেরিয়াল চেকার ৪৬টি, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ১৭টি, খালাসি ৯০টি, অফিস সহায়ক ১৪টিসহ বিভিন্ন পদে ২৯৮ জনবল কাঠামোর পদ বিলুপ্ত করা হচ্ছে। এ শাখায় মাত্র ১০৩ জন জনবল কাঠামো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ঘণ্টা/জেআর

  • সিডিউল ব্যাংকের আমানতী ঋণে গ্রাহকরা মুশকিলে

    সিডিউল ব্যাংকের আমানতী ঋণে গ্রাহকরা মুশকিলে

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী সিডিউল ব্যাংকের আমানতের বিপরীতে গ্রাহক ৯০ শতাংশ ঋণ পাওয়ার ক্ষমতা রাখে। যা এক বছরের মধ্যে পরিশোধের নিয়ম রয়েছে। এ ধরনের ঋন নেয়া গ্রহীতারা ঋণ খেলাপী হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে ঋণ খেলাপীদের বিষয়টি। ফলে ডিপিএস ও স্থায়ী জামানতের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতারা মুশকিলে পড়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকে জমাকৃত আমানতের লিমিটের বিপরীতে আবার দুইশ টাকা কর্তন করে রাখা হচ্ছে সিআইবি রিপোর্টের জন্য।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ সেল সূত্রে জানা গেছে, কোন খেলাপী ঋণ গ্রহীতার পক্ষে কোন ব্যাংক, কোম্পানী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের ঋণ প্রদান করবে না।

    শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানী আইনের অন্য কোন ধারায় কোন কিছু বলা থাকলেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। এক্ষেত্রে খেলাপী ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    খেলাপী ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক, কোম্পানী বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপীর দায়ে ওই ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১ এর ২৭ এর ‘কক’ ধারা মতে খেলাপী ঋণ গ্রহীতার তালিকা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে হবে।

    অভিযোগ উঠেছে, সিডিউল ব্যাংকের উপর বংলাদেশ ব্যাংকের চাপাচাপির কারনে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতারা বেকায়দায় পড়েছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের(বিবি) ঋণ নিয়ন্ত্রণ কৌশল অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সিডিউল ব্যাংকের প্রধান ও বিভিন্ন শাখার বিরুদ্ধে।

    কারন বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রকারী সংস্থা হিসেবে সিডিউল ব্যাংক গুলোর উপর বেশকিছু নির্দেশনা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এই নির্দেশনার ফলে সিডিউল ব্যাংক গ্রাহকদের কাছ থেকে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্টের জন্য অনলাইন তদন্ত ফরম পূরণ করে নিচ্ছে।

    এ ফরমে গ্রাহকের যেমন স্বাক্ষর নেয়া হচ্ছে তেমনি সংশ্লিষ্ট সিডিউল ব্যাংকের কর্মকতার্ ও ব্যাংক ম্যানেজারের স্বাক্ষরও রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকে জমাকৃত আমানতের লিমিটের বিপরীতে আবার দুইশ টাকা কর্তন করে রাখা হচ্ছে।

    আরো অভিযোগ উঠেছে, ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতারা সিডিউল ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের শতকরা ৮০ থেকে ৯০ ভাগ। এই ঋণের সুদ ব্যাংক কতৃর্ক প্রদত্ত সুদের চেয়েও শতকরা ২৫ ভাগ বেশী। কিন্তু এই ধরনের ঋণের উপর বাংলাদেশ ব্যাংক কড়া নজর রাখতে শুরু করেছে।

    এরই জের ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালের আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহে সিডিউল ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে ডিপোজিটের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতাদের তথ্য জানতে।

    এমনকি প্রতি দুইমাস অন্তর ঋণ গ্রহনের পূর্বে ঋণ গ্রহীতাদের তথ্য তথা সিআইবি রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে জানাতে নির্দেশনা রয়েছে।

    আরো অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের স্থায়ী জমার উপর প্রাপ্য সুদের চেয়ে ঋণ গ্রহিতার প্রদেয় সুদের পরিমান অনেক বেশী।

    ফলে বেকায়দায় পড়লে ঋণ খেলাপী হতে পারে। গ্রাহকের ব্যাংক জমার বিপরীতে সবোর্চ্চ শতকরা ৯ ভাগ সুদ দিলেও ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২৫ ভাগ সুদসহ ঋণের সুদ আদায় করে সিডিউল ব্যাংক।

    এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বশীল এক কর্মকতার্ জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রকারী প্রতিষ্ঠান। ফলে সিডিউল ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঋণ খেলাপীর পরিমাণ অনেক বেশী হবে।

    চলতি অর্থ বছরেও সরকার চার শতাধিক ঋণ খেলাপীর নাম ঘোষণা করেছে। ডিপোজিটের বিপরীতে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রিয় ব্যাংক প্রত্যেক সিডিউল ব্যাংকে ১৯৭২ সাল থেকেই কড়া নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে।

    কোন ভাবেই ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) রিপোর্ট ব্যতিত ঋণ প্রদান করা যাবে না। আবার ব্যাংক কোম্পানী আইনের ভেতরে থেকেই সিডিউল ব্যাংক ঋণ প্রদান করতে হয়।

    ২৪ ঘণ্টা / জেআর

  • স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু টানেল

    স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু টানেল

    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামের উন্নয়নে মোট তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০২৪ সালে কক্সবাজারে ট্রেন, ২০২৩ সালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আর চলতি ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের(চউক) প্রথম দুটি ও বাংলাদেশ ব্রিজ অথোরেটি(বিবিএ)’র বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু টানেলের এ পর্যন্ত ৯২ ভাগ কাজ শেষ হওয়ায় আগামী ডিসেম্বরে চালু হয়ে যাবে বঙ্গবন্ধু টানেল ও এপ্রোচ সড়ক এমন ধারনা প্রকৌশলীদের।

    বাংলাদেশ সেতু বিভাগের(বিবিএ) সূত্রে জানা গেছে, সেতু বিভাগের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান টানেল’ দেশের প্রথম ও একামাত্র টানেল। চায়না কমিউনিক্যাশন কন্সট্রাকশন কোম্পানী (সিসিসিসি) নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এই টানেলের কাজ করছে। কনস্যালটেন্ট হিসেবে কাজ করছে এসএমইসি — সিওডব্লিওআই।

    বঙ্গবন্ধু টানেলের কারনে আনোয়ারার উন্নয়ন অর্শ্বের গতিতে ছুটে চলা উন্নয়নের স্বপ্ন। যা বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা পর্যটন এলাকার পরিপূর্ণতা পাবে। এদিকে, আনোয়ারায় ৪ হাজার ৯৫২ মিটার এপ্রোচ সড়কের উন্নয়নে মহা খুশি এলাকার সাধারন মানুষ।

    ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান টানেল’ এর অ্যালাইনমেন্ট হয়েছে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে কর্ণফুলী নদীর দুই কিলোমিটার ভাটির দিকে। বঙ্গবন্ধু টানেলের দুটি টিউব চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে।

    টানেলের প্রবেশপথ নেভি কলেজের কাছে আর বহির্গমন পথ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের সিইউএফএল সার কারখানা সংলগ্ন ঘাট দিয়ে। প্রকল্প সাইটের উভয়দিকে বগুড়ার আরডিএ কর্তক চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে প্রকল্পের পানির চাহিদা মেটানো হয়েছে।

    এছাড়াও পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উভয়দিকে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার পতেঙ্গা প্রান্তে ১৫ মেগাওয়াট স্থায়ী বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার আনোয়ারা প্রান্তে বিদ্যুত সাবস্টেশন নিমার্ণ করেছে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড।

    বিবিএ’র ইস্টিমিটেড কস্ট এনালাইসিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান টানেল’ মানেই ‘মাল্টি-ল্যান্ড রোড টানেল আন্ডার দ্যা রিভার কর্ণফুলী’। এই টানেলে থাকছে দুটি টিউবের ন্যায় চারলেনের সড়ক নিমার্ণ পরিকল্পনা।

    উভয়দিকে টানেলের মুখ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নিমার্ণ হচ্ছে। এই টানেলের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার বা ১০৫৫ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন।

    এরমধ্যে সরকারী অথার্য়ন থেকে আসছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ২৩ লাখ ৭৮ হাজার বা ৩৫০ দশমিক শূণ্য তিন মিলিয়ন।

    প্রজেক্ট এসিসট্যান্স থেকে বিনিয়োগ করা হচ্ছে ৫ হাজার ৬৪৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বা ৭৫০ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন।

    সেতু বিভাগের হিসেব অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বহুলেন বিশিষ্ট সড়ক নিমার্ণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

    প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী দেখা গেছে, ৪ লেন বিশিষ্ট এপ্রোচ সড়কের মধ্যে রয়েছে পতেঙ্গা অংশে ৫৫০ মিটার আর আনোয়ারা অংশে ৪ হাজার ৯৫২ মিটার। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ২৬৫ দশমিক ৯৭ মিটার।

    টানেলের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলের বাহিরে পতেঙ্গা এলাকায় কাটা হবে ২০০ মিটার আর আনোয়ারায় কাটা হবে ১৯০ মিটার। কার্যপরিধি ২৫ মিটার। আনোয়ারা অংশে ফ্লাই-ওভারের দৈর্ঘ্য ৬৩৭ মিটার। মোট ৫ বছর সময়ের মধ্যে প্রায় ৪ বছর অতিক্রান্ত হল।

    তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এই টানেলের কাজ শেষ হবে বলে সেতু বিভাগের কয়েক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ১২ মিটার বৃত্তাকার এই টানেল আচ্ছাদিত অংশ পতেঙ্গা অংশে ১৯৫ মিটার আর আনোয়ারা অংশে ২৩০ মিটার।

    বর্তমান সরকারের বৃহদায়তন প্রকল্পের উন্নয়ন টার্গেট অনুযায়ী, ২০২২ সালে পতেঙ্গাকে টার্নিং পয়েন্ট করতে এখন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের (চউক) দুটি ও বাংলাদেশ ব্রিজ অথোরেটি (বিবিএ)’র একটি প্রকল্প।

    ২০১৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমূদ্র উপকূলে গড়া এপ্রোচ সড়কে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান টানেল’ এর বোরিং কার্যক্রম আর চউকের ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে’র উদ্বোধন করেছেন।

    ২০২২ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটি (বিবিএ)’র তত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান টানেল ও চউকের অথার্য়নে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে।

    বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের কাছে টানেলের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হলে তিনি জরুরী বৈঠকে থাকায় তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    তবে প্রকল্পের সাইটে কর্মরত এক প্রকৌশলী বলেন,প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সংযোগ স্থাপন হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে।

    নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে। বদলে যাবে চট্টগ্রামের চিত্রও। বৃদ্ধি পাবে চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতা।

    ২৪ ঘণ্টা / জেআর

  • প্রতিনিয়ত ডোপ টেস্ট হচ্ছে সিএমপি সদস্যদের

    প্রতিনিয়ত ডোপ টেস্ট হচ্ছে সিএমপি সদস্যদের

    রেন্ডম ডোপ টেস্ট হচ্ছে সিএমপি’তে। মাদক সেবনের প্রশাসনিক অপরাধে চাকুরিচ্যুতির পর ৪০ পুলিশ সদস্য বর্তমানে কারাগারে। এদিকে, রাস্তায় যানজট কমাতে গণ পরিবহন প্রফিট শেয়ারিংয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে সিএমপি’র পক্ষ থেকে। নগরীর ট্রাফিক সিস্টেম, বঙ্গবন্ধু টানেলে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টানেলের উভয় পার্শ্বে দুটি থানাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ এখন অনিশ্চয়তায়।

    পুলিশের অপরাধ সম্পর্কে এক কর্মকতার্ বলেন, মাদকাসক্ত হওয়ায় ৪০ জন পুলিশ সদস্যকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ডোপ টেস্টের মাধ্যমে এদের সনাক্ত করার পর এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    যদিও ৭ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে এই সংখ্যা খুবই নগণ্য। তবুও রেন্ডম ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে সিএমপি’তে।
    এদিকে, স্যোসাল মিডিয়ায় তুলে ধরা বিভিন্ন ঘটনার বিষয়গুলোতে কড়া নজরদারী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের।

    অপরাধ হঠাৎ হতেই পারে ও আইনের প্রতি মানুষের অনাস্থা আসতেই পারে সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছে পুলিশ। কভিডের এর সময় জনগণকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ ছিল সচেষ্ট।

    কিন্তু নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি কপোর্রেশনের সঙ্গে সমন্বিত বৈঠক হয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের, কিন্তু এখনো কোন পরিবর্তন চোখে দেখা যাচ্ছে না।

    আরো জানা গেছে, সিএনজি টেক্সিকে একটি এ্যাপসের আওতায় আনা হয়েছে সঠিক পরিসংখ্যানের মাধ্যমে। শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সিএনজি ট্যাক্সি ও বাস চালাতে বাধ্য করার নানা কর্মসূচী সিএমপি’র। কারণ ক্রমান্বয়ে বাসকেও জরিপের মাধ্যমে এ্যাপসের আওতায় আনবে সিএমপি।

    এদিকে, নগরীতে পাবলিক পরিবহন মালিকরা যদি প্রফিট শেয়ারিং পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম কমে যাবে এমন ধারনা পুলিশের। সিট ক্যাপাসিটি অনুযায়ী প্রফিট শেয়ারিং করার জন্য পুলিশ পরিবহন মালিক সমিতিকে প্রস্তাবনা দিলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি।

    এদিকে, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারায় নিমার্ণ শেষের অপেক্ষায় থাকা বঙ্গবন্ধু টানেলের উভয় পার্শ্বে দুটি থানা নিমার্ণের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে পুলিশ হেডকোয়াটার্সসহ সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে। ট্রাফিক ব্যবস্থা স্মুথ করতে এধরনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। কারণ নিরাপত্তা প্রদান করবে থানা পুলিশ আর চট্টগ্রামে টানেলের পরিচালনা করবে নৌবাহিনী ।

    সিএমপিতে আরো চারটি থানা বাড়িয়ে ২০টিতে পরিণত করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে হেডকোয়াটার্সে। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর কারনে ট্রাফিক সিস্টেমের উপর চাপ পড়েছে লাখ লাখ গাড়ী চলাচল করছে চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে।

    এছাড়াও জঙ্গীবাদ বন্ধে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে আরো শক্তিশালী করতে হবে জনবল বাড়ানোর মধ্য দিয়ে। টানেলকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শিল্প পার্ক গড়ে তোলা হলে পুলিশের জনবল বাড়াতে সরকার ক্রমান্বয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা / জেআর

  • চট্টগ্রামে প্রেমের ফাঁদে পোশাককর্মী ধর্ষণ

    চট্টগ্রামে প্রেমের ফাঁদে পোশাককর্মী ধর্ষণ

    চট্টগ্রামে রং নাম্বারে মোবাইল কলের জের ধরে প্রেমের ফাঁদে পরে স্বর্বস্ব হারিয়েছে এক পোশাক কমীর্ অনামিকা। চট্টগ্রামে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে প্রতিকী নামের এই পোশাকমীর্কে ধর্ষণের পর আত্মগোপনে থাকতে সিকিউরিটির চাকরী নেয় যশোরের জাহিদ নামের এই প্রতারক। অবশেষে গত মঙ্গলবার নগরীর ইপিজেড এলাকায় নানা পরিচয়ে আত্মগোপনে থাকা আসামী জাহিদ হাসান প্রকাশ বোমা জাহিদকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব সেভেনের একটি টিম। তার বিরুদ্ধে যশোরে ও ঢাকায় ১০টি মামলা রয়েছে।

    গত মঙ্গলবার র‌্যাব চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে বর্ণিত ধর্ষণ মামলা এবং যশোরের ৯ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী মো. জাহিদ হাসান প্রকাশ বোমা জাহিদ প্রকাশ নাহিদুল হাসান সজিব চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে।

    এমন তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ইপিজেড থানাধীন এমজেডএম ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় র‌্যাব সেভেনের টিম। সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত অবস্থায় জাহিদকে আটক করে র‌্যাব সেভেনের দফতরে নিয়ে যায়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী স¦ীকার করে যে, সে ভিকটিমকে গত ২ আগস্ট বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় রমনা মডেল থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছিল।

    জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়, যশোরে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাসমূহ হতে গ্রেফতার এড়াতে সে চট্টগ্রাম এসে আত্মগোপন করেছিল।

    সে বিভিন্ন ধর্ষণ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত ছাড়াও একাধিক অস্ত্র, ডাকাতি, মাদক, প্রতারণা, বিস্ফোরক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।

    র‌্যাব সেভেন সূত্রে জানা গেছে, পোশাক শিল্পের কমীর্ ধর্ষিতা অনামিকা এক প্রতারকের ফাঁদে পড়ে স্বর্বস্ব হারিয়েছে। এমন অভিযোগ র‌্যাবের দফতরে জমা দিয়েছে।

    গত এক বছর পূর্বে আসামী মো. জাহিদ হাসান প্রকাশ বোমা জাহিদ এর সাথে রং নাম্বারে মোবাইলে কলের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় হয়। জাহিদ নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য এবং র‌্যাব সদস্য বলে পরিচয় দেয় তখন।

    প্রতারণার উদ্দেশ্যে সে ভিকটিমকে আরও জানিয়েছিল বর্তমানে সে এলপিআরএ আছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকায় এমজেডএম কোম্পানীতে কর্মরত রয়েছে।

    বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। আসামী জাহিদ ভিকটিমকে প্রায় সময়ই বিয়ের প্রলোভন দেখাতো এমনকি মোবাইলে তার মা ভাই, বোন এর সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দিত।

    একপর্যায়ে গত ২ আগস্ট আসামী জাহিদ ভিকটিমকে তার বাড়ি যশোরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে বলে জানায়। এজন্য তার মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে যায়।

    পরবতীর্তে জাহিদ ভিকটিমকে ঢাকার রমনা মডেল থানাধীন একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায় এবং সেখানে ভিকটিমকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

    ধর্ষণের পর আসামী জাহিদ ভিকটিমের কাছে থাকা তিন হাজার আটশত টাকা এবং একটি গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে সেখান হতে পালিয়ে যায়।

    পরবতীর্তে ভিকটিম হোটেল হতে বের হয়ে একজন ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় রমনা থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে যান।

    সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও মামলার আলামত দিয়ে আসামী জাহিদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন অনামিকা (মামলা নং-৫, তারিখ ০২ আগস্ট ২০২২ইং)।

    নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) তৎসহ ধারা ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড এ মামলা রুজু হয়েছে।

    কিন্তু প্রতারক জাহিদ ভিকটিমের কাছে তার আসল পরিচয় গোপন করায় রমনা থানায় দায়েরকৃত মামলার এফআইএর এ আসামীর নাম দেয়া হয় নাহিদুল হাসান সজিব।

    জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আসামীর নাম মো. জাহিদ হাসান। যশোরে মো. জাহিদ সরদার প্রকাশ বোমা জাহিদ নামে পরিচিত।

    সে যশোর জেলার বাঘারাপাড়া এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। যশোর জেলার বাঘারপাড়া এবং কোতয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, মাদক, প্রতারণা, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন অপকর্মের ০৯ টি মামলা রয়েছে।

    আরো জানা গেছে, এসব মামলায় গ্রেফতার এড়াতে সে যশোর হতে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে। পরবতীর্তে সে চট্টগ্রামে এসে ইপিজেড এলাকায় এমজেডএম কোম্পানীতে নাইট গার্ড এর ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে।

    ব্যক্তি জীবনে সে ২টি বিয়ে করেছে। যশোরে তার এক স্ত্রী এবং দুটি সন্তান রয়েছে এবং চট্টগ্রামে তার আরেকটি স্ত্রী রয়েছে। দুটি স্ত্রী থাকা সত্তে¦ও সে আরেকটি পোশাক কমীর্র সর্বনাশ করতে দ্বিধা বোধ করেনি।

    ক্রিমিনাল ডাটাবেস অনুযায়ী তথা সিডিএমএস পর্যালোচনা করে মো. জাহিদ হাসান প্রকাশ বোমা জাহিদ এর বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, মাদক, প্রতারনা, বিস্ফোরণ এবং ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপকর্মের রেকর্ড রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।

    জাহিদের বিরুদ্ধে যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানায় ৮টি, কোতয়ালী থানায় ১টি এবং ঢাকার রমনা থানায় ১টি মামলা সহ মোট ১০টি মামলার রেকর্ড পেয়েছে র‌্যাব সেভেনের আভিযানিক দল।

    ২৪ ঘণ্টা / জেআর

  • শতভাগ গ্যাসে রাউজানের বিসিক নগরী

    শতভাগ গ্যাসে রাউজানের বিসিক নগরী

    ‘বিসিক শিল্প নগরী রাউজান প্রকল্প’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হওয়ার পথে। স্বপ্নছোঁয়া কর্মযজ্ঞে রাউজানের বিসিক নগরীর প্লটগুলোতে গ্যাসে উৎপাদন নিশ্চিত করা হচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে। কারণ বিদ্যুতের মাধ্যমে সব ধরনের উৎপাদন সম্ভব নয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা এ প্রকল্প রাউজানকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে তুলবে এমন ধারনা সরকারের।

    সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন(বিসিক) এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে। সরকার কর্মসংস্থান বাড়াতে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ৯৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলছে রাউজান বিসিক শিল্প নগরী।

    এ পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যদিও ২০২২ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু অবকাঠামোগত উন্নয়ন শতভাগ শেষ না হওয়ায় সময় বাড়িয়ে তা ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

    এদিকে, বরাদ্দকৃত ভূমির ৩৫ একরের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী মাটি ভরাট কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রকল্প পরিচালনার জন্য অবকাঠামো নিমার্ণও প্রায় শেষ। প্রথম ধাপে ১৭ একরের মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে। এরপর থেকে ১৮ একরের মাটি ভরাট কাজ শেষ হয়েছে।

    আগামী বছরের জুনে ছোট বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রকল্পের ভেতরে কর্মসংস্থান হবে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কর্মজীবির। আর বাহিরেও এ প্রকল্পকে ঘিরে আরো প্রায় ৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।

    প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একনেকে অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পটি ৩৫ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত করার অনুমতি পেয়েছে। প্রতি একর ভূমির মূল্য পড়েছে প্রায় ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ৫’শ ৪২ টাকা।

    ৩৫ একর ভূমির মোট মূল্য প্রায় ২৩ কোটি ৬৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯’শ ৭১ টাকা। পরিকল্পনা কমিশন হতে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং শিল্প মন্ত্রনালয় হতে একই বছরের ৪ মার্চ প্রথম সংশোধনীর অনুমতি পেয়েছিল। ১৮৪টি শিল্প প্লটের মধ্যে ১৪৮টি শিল্প ই্উনিট তৈরী করা হবে।

    প্রকল্পের অঙ্গভিত্তিক প্রাক্কলন ব্যয় হচ্ছে রাজস্ব খাতে ১৬৩ দশমিক ৯৮ লাখ টাকা, মূলধন খাতে ৮ হাজার ৮’শ ৪৫ দশমিক ৪২ লাখ ফটাকা, প্রাইস কন্টিজেন্সি খাতে ১৭৯ দশমিক ৯০ লাখ টাকা, ফিজিক্যাল কন্টিজেন্সি খাতে ১৭৬ দশমিক ৭০ লাখ টাকাসহ মোট ৯ হাজার ৩৬৬ লাখ টাকা এ প্রকল্পের মোট ব্যয়।

    এ ব্যাপারে বিসিকের চট্টগ্রামস্থ জেলা কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল উদ্যোক্তাদের শিল্প প্লটের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করা। এক্ষেত্রে ১৪৮টি এসএমই ইউনিট স্থাপনের জন্য ১৮৪টি শিল্প প্লটের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধাগুলো তৈরী এখন প্রায় শেষ পযার্য়ে।

    প্রকল্পের ভেতরে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনসহ দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে জিডিপি বৃদ্ধি করা যাবে। প্রকল্পের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি করে তা ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরো জানা গেছে, প্রকল্পে বিদ্যমান খালের উভয়দিকে প্রায় সাতশ’ ফুট দীর্ঘ রিটেইনিং ওয়াল দেয়া হয়েছে মাটি ভাঙ্গন রোধে। পুরো প্রকল্প জুড়ে দেয়া হচ্ছে সীমানা প্রচীর। বিদ্যুত সংযোগের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) প্রায় এক কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।

    গ্যাস লাইনের জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডকে (কেজিডিসিএল)। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। সীমানা প্রাচীর ও বিসিকের একটি প্রশাসনিক ভবনের কাজও চলছে।

    প্রশাসনিক ভবনে একজন কর্মকতার্র অধীনে ৮জন কর্মচারী কাজ করবে। এ প্রকল্পে ‘এ’ ক্লাস প্লট ৩২ হাজার বর্গফুটের ১৮টি, ‘বি’ ক্লাস ১৭ হাজার ৬০০ বর্গফুট পরিমাপের ২টি, ‘সি’ ক্লাস প্লটগুলো ১১ হাজার ২০০ বর্গফুটের ১৭টি এবং স্পেশাল ক্যাটাগরির আওতায় রয়েছে ৬ হাজার ৪২৩ বর্গফুট থেকে ১৫ হাজার ৬৪৪ বর্গফুট পরিমাপের ২৮টি প্লট।

    ২০১৯ সালে যদিও এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ভূমি অধিগ্রহন নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ার কারনে এই প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বৃদ্ধি করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত নেয়া হয়েছিল এখন তা বর্ধিত করে ২০২৩ সালের জুনে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে প্রবেশের জন্য ৪০ ফুট প্রশস্থ এপ্রোস সড়ক তৈরী করাসহ প্রত্যেকটি প্লটের সামনে ৩০ ফুট প্রশস্থ রাস্তা থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা / জেআর

  • চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২ জন

    চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২ জন

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আবারো বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও এখন পরিস্থিতি খারাপের পর্যায়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে আশার বিষয় হলো, নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক রোগীর সংখ্যা খুবই কম। তারপরও সচেতন থাকতে হবে সবাইকে।

    চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৮ জন, জেনারেল হাসপাতালে ১ জন, উপজেলা পর্যায়ে ১ জন এবং বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে ১২ জন।

    পাওয়া তথ্য মতে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২২ জন। চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. অংসুইপরু মারমা বলেন, হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ২৬ জন রোগী ভর্তি আছে।

    গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন ভর্তি হয়েছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ২৬৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

    জে-আর

  • অনিয়মিত চার শতাধিক পত্রিকা চিহ্নিত করা হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    অনিয়মিত চার শতাধিক পত্রিকা চিহ্নিত করা হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    যেসব পত্রিকা নিয়মিত বের হয় না সেগুলো চিহ্নিত করেছি আমরা। ইতোমধ্যেই অনিয়মিত চার শতাধিক পত্রিকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২’শ পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    ১৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ (বিএসপি) আয়োজিত বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি একথা গুলো বলেন।

    সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস কাউন্সিলের সদস্য এবং দৈনিক প্রভাতের সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টু। এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সচিব মো. শাহ আলম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ জালাল প্রমুখ।

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে ১ হাজার ২’শ ৫০টি পত্রিকা, অথচ পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকালে দেখি সেখানে এতো পত্রিকা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদপত্রবান্ধব, সাংবাদিকবান্ধব সে কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

    কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে অনেক পত্রিকার ডিক্লারেশন আছে কাগজে কিন্তু সেগুলো নিয়মিত বের হয় না, যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়। অনেক পত্রিকার যিনি সম্পাদক, তিনিই রিপোর্টার।

    অনেক পত্রিকায় দেখা যায় যে, সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হয় কিন্তু তাদের বেতন দেওয়া হয় না, বলা হয় যে তোমার বেতন তুমি সংগ্রহ কর।

    ক্রোড়পত্র প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বৈশ্বিক যে অবস্থা বিরাজমান সেটি আপনারা জানেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দসীমার কথাও আপনারা জানেন। কোনো কোনো বড় পত্রিকার ১০-১২ কোটি টাকা বিলও বকেয়া রয়েছে। অবশ্য সরকারি বকেয়া বিল আজ হোক, কাল হোক অবশ্যই পাবেন। কিন্তু আগের মতো যথেচ্ছভাবে ক্রোড়পত্র দেওয়ার সুযোগ আর নেই।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের কাজ মানুষের কাছে শুধু সংবাদ পরিবেশন করাই নয়, সমাজ ও জাতিকে পথ দেখানো, এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হয়। মানুষ যদি স্বপ্ন না দেখে, যদি শুধু হতাশা দেখে, আশা না থাকে, সে এগুতে পারে না। সংবাদপত্র যদি ভালো সংবাদগুলো ভালো করে ছাপায় তাহলে জাতি স্বপ্ন দেখবে আশা থাকবে।

    দেশের সাফল্য, দেশ বদলে যাওয়ার কাহিনী, বিশ্ব কী বলছে, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, জাতিসংঘ কী বলছে, সেগুলো যদি আমরা সঠিকভাবে মানুষকে জানাই, মানুষ আশাবাদী হবে, স্বপ্ন দেখবে। সমাজে সমালোচনা থাকতে হবে, সমালোচনা তারই হবে যে দায়িত্বে থাকে, কিন্তু একই সঙ্গে ভালো কাজের প্রশংসাও থাকতে হবে।

    এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব ফখরুল সাহেব আজ বলেছেন, সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন। ক’দিন আগে তিনিই বলেছিলেন, আন্দোলনে আছেন, আবার এখন বলছেন নামবেন, কোনটা সঠিক সেটা বোঝা মুশকিল। গত সাড়ে ১৩ বছর ধরে আমরা শুনছি তারা আন্দোলনে নামবেন।

    আর তাদের আন্দোলন মানে হচ্ছে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা, গাড়ি ভাঙচুর, নিজেরা নিজেরা মারামারি করা, পুলিশের ওপর হামলা করা। এবার যদি এগুলো করা হয় তাহলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থাকবে।

    জে-আর

  • গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি পুলিশের দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে

    গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি পুলিশের দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে

    চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পালের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মিথ্যা মামলা দায়ের, মিথ্যা পুলিশ রিপোর্ট দাখিল ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় অভিযোগে মামলা করেছেন শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা। ওই মামলায় দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

    আজ ১৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলার আবেদন করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা।

    বিচারকের মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার আরিফুল আলম।

    তিনি বলেন, এক শিশুর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা, মিথ্যা পুলিশের রিপোর্ট ও সাক্ষী দেওয়ায় এসআই আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার করেছেন বিচারক। পেনাল কোডের ১৭৭, ১৮১, ১৯৩ ও ২১১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আদালতের বেঞ্চ সহকারী সৈয়দ নুর-এ খোদা বলেন, শিশুর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা, মিথ্যা পুলিশের রিপোর্ট ও সাক্ষী দেওয়ায় এসআই আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার করেছেন বিচারক। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে দুই জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার বাটারফ্লাই পার্ক থেকে মো. নাজমুল হাসান জুয়েল নামে এক শিশুকে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দুটি সোনার বার পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এ ঘটনায় পরের দিন চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানায় জুয়েলের বিরুদ্ধে এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সোনার বার পাচারের মামলা করেন।

    বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পতেঙ্গা থানার এসআই সুবীর পাল। তদন্ত শেষে শিশু নাজমুলকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

    পরে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মামলাটির রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরার আদালত। শিশুটি নির্দোষ বলে রায় দেন আদালত।

    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাহারাইন থেকে শিশু নাজমুলের আত্মীয় এএইচএম সুমন নামের এক ব্যক্তি শুল্ক বিধান না মেনে দুটি সোনার বার নিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আসেন।

    প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বিমানবন্দরে ব্যাগেজ পরিদর্শক ওই ব্যক্তিকে (সুমন) আটক করেন। পরে সুমন বিধি মোতাবেক শুল্ক পরিশোধ করেন। পরে সুমন সোনার বার দুটি নিজ হেফাজতে নিয়ে শিশুটির কাছে হস্তান্তর করে।

    কিন্তু শিশুটি সোনার বার বহন করছে এমন খবরে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই শিশুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

    পরে উদ্ধার করা সোনার বার দুটির মধ্যে একটি দাবি করে শিশুকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। শিশুটির মা সোনার বারের বৈধ কাগজপত্র দেখালেও প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মামলা করে পুলিশ।

    আদালত সূত্রে আরো জানা যায়, মামলার এজহারকারী তার দায়ের করা মিথ্যা মামলার সমর্থনে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করেন। ডি.ডবিøউ-২ কর্তৃক দেওয়া সোনার বারের কাগজপত্র উপস্থাপন করা সত্তে¡ও তা আমলে না নিয়ে মামলা দায়ের করে ওই পুলিশ সদস্য। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজস্ব অফিস থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ না করে মামলার বাদী পুলিশ কর্মকর্তাকে বাঁচানোর জন্য দায়িত্ব জ্ঞানহীন ও মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

    প্রকৃত সত্য জানার পরও মিথ্যা প্রতিবেদনের সপক্ষে শপথ গ্রহণপূর্বক আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করেন তিনিও। শিশুটি সম্পূর্ণ নির্দোষ হওয়া সত্তে¡ও ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ১ মাস ৬ দিন জেল হাজতে আটক থাকার পর একই বছর ২৮ মে জামিন পায়।

    জে-আর

  • সরঞ্জাম সংকটে কাস্টমস শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি বাড়ছে উৎপাদন খরচ

    সরঞ্জাম সংকটে কাস্টমস শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি বাড়ছে উৎপাদন খরচ

    দীর্ঘদিন ধরে সরঞ্জাম সংকটে ধুকছে দেশের রাজস্ব আয়ের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম সার্ভারে সমস্যা, অবকাঠামো সংকট এবং রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পর্যাপ্ত জনবল সংকটে লেগেই আছে। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়হীনতা। এসব সংকটে কাস্টমসের শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় বাড়ছে ধীরগতি। ফলে পণ্য খালাসে দেরি হওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে আমদানিকারকদের। এতে করে বিপাকে পড়ছেন তারা।

    প্রতিষ্ঠার শতবছরে রাজস্ব আদায়ে অগ্রগতি এলেও সেবা প্রদানের দিক থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস পিছিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বর্তমানে প্রতিদিন ছয় থেকে সাত হাজার বিল অব এন্ট্রিও জমা পড়ছে কাস্টমসে।

    তবে সেবা প্রদানের দিক থেকে কাস্টমসের চেয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল সংকটের পাশাপাশি সার্ভার সমস্যার কারণে কিছুটা সমস্যা হয়। তবে এ সংকট কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে বলেও দাবি তাদের।

    দেশের আমদানি-রপ্তানি থেকে শুরু করে সরকারের রাজস্ব আয়ের বড় অংশ আসে চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে। গত অর্থবছরেও রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব খাতে ৫৯ হাজার ২’শ ৫৬ কোটি টাকার যোগান দিয়েছে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ আর্থিক সংস্থাটি।

    বন্দরে পণ্য আসার পর বিল অব এন্ট্রি থেকে শুরু করে কাগজপত্র দাখিল, পণ্যের চালান পরীক্ষা, মূল্যায়ন, শুল্ক-কর পরিশোধের কাজ শেষ করতে হয়। এসব কাজ শেষ করা আমদানিকারকের জন্য সময় সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে।

    স¤প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রকাশিত টাইম রিলিজ স্টাডি ২০২২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে আমদানি পণ্যের চালান খালাসে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গড়ে ১১ দিন ৬ ঘণ্টা ২৩ মিনিট সময় লাগে। আর বেনাপোলে ১০ দিন ৮ ঘণ্টা ১১ মিনিট এবং ঢাকায় ৭ দিন ১১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট সময় লাগে।

    ২০১৩ সাল থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এ পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের প্রায় সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মাঝেই কেন্দ্রীয় সার্ভার সিস্টেম মাইগ্রেশনের কারণে দিনভর শুল্কায়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

    ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমদানিকারকদের। চলতি বছরের শুরুর দিকে একাধিকবার সার্ভারের ত্রæটির কারণে শুল্কায়ন কার্যক্রম টানা বন্ধ ছিল। এখনো সে সমস্যা রয়ে গেছে।

    সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে কোন পরীক্ষক নেই। ১২ জন পরীক্ষকের পদ থাকলেও বর্তমানে সবগুলো পদই শূণ্য রয়েছে। একজন সহকারী পরীক্ষক দিয়েই চলছে বর্তমান কার্যক্রম। পরীক্ষাগারে শুধু জনবল সংকটই নয়, অভাব রয়েছে পর্যাপ্ত সরঞ্জামেরও। ফলে ফরমালিন ও সাইট্রিক এসিড ছাড়া বর্তমানে কোনো ধরনের রাসায়নিক পরীক্ষা হয় না কাস্টমসের ল্যাবে।

    কাস্টমসের শীর্ষ পদেও রয়েছে বড় সংকট। প্রথম শ্রেণির পদে ২’শ ১০ কর্মকর্তার বিপরীতে ১’শ ১৫ জন, দ্বিতীয় শ্রেণির ৪’শ ৯৬ পদের বিপরীতে কাজ করছেন ২’শ ৫৮ জন। অতিরিক্ত কমিশনার পদে দুজন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন ১ জন ও ৪৭ জন সহকারী কমিশনার পদের বিপরীতে ৩০ জন কর্মরত আছেন।

    পাশাপাশি তৃতীয় শ্রেণির পদে ৪’শ ২৩ জনের বিপরীতে ১’শ ৬৮ জন ও তৃতীয় শ্রেণির পদে ১’শ ১৮ জনের বিপরীতে ৬৫ জন কর্মচারি কাজ করছেন।

    অপরদিকে উপ-প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক, সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক, প্রোগ্রামার, সহকারী পরিচালক (পরিসংখ্যান), প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান অনুসন্ধায়ক, অডিটর, ডাটা এন্ট্রি অপাররেটর, স্পীড বোড ড্রাইভার, রেকর্ড সাপ্লাইয়ার ও কুক পদে কোন জনবলই নেই।

    আমদানিকারকরা বলছেন, সার্বিকভাবে সেবা প্রদানে বন্দরের সার্বিক উন্নয়ন হলেও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে সেবার মান উন্নত হয়নি। বিশেষ করে পণ্য ক্লিয়ারেন্সের ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি নেই। শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি হবার কারণে উৎপাদন খরচও বাড়ছে বলে দাবি করছেন তারা।

    বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন কোন বিদেশি ক্রেতার (বায়ার) কাছ থেকে কাজের অর্ডার পাই তখন আমরা পণ্য উৎপাদনের জন্য এক মাস সময় পাই।

    কিন্তু কাস্টমসের মাধ্যমে কাঁচামাল খালাস করতেই আমাদের ১২ দিন সময় চলে যায়। পোশাক খাত জিডিপি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই শুল্কায়ান প্রক্রিয়ায় গতিশীলতা বাড়ালে আমদানিকারকরা অনেক বেশি উপকৃত হবে।

    সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, জনবলের অভাব ও সার্ভারে সমস্যার কারণে শুল্কায়নের কাজ বিঘিœত হচ্ছে। এসব সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধানসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারলে কাস্টমস আরও গতিশীল হবে।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর এখন জাহাজ জটমুক্ত। শুল্কায়ন প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হলে পণ্য খালাসও দ্রæত হবে।

    চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. আবু নুর রশিদ আহমেদ বলেন, পণ্য ছাড়ে বর্তমানে কিছুটা বেশি সময় লাগছে। একদিকে জনবল সংকট, অন্যদিকে মাঝে মাঝে সার্ভারে সমস্যা। তবে যাবতীয় সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চলছে।

    জে-আর/জে-এম