Category: বিশেষ খবর

  • জেএসসিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫, এগিয়ে মেয়েরা

    জেএসসিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫, এগিয়ে মেয়েরা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।রাজীব : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবারের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা।

    চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। গতবছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৮১ দশমিক ৫২ শতাংশ।

    গতবারের তুলনায় এ বছর জিপিএ ৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও ৮শ ১০ জন বেশি। এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৪১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৫ হাজার ২৩১ জন।

    মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ।

    চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে পাসের হার এবং জিপিএ-৫সহ সকল সূচকেই ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এবারের জেএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে। বেড়েছে শতভাগ পাসের বিদ্যালয়ের সংখ্যা। গত বার শূণ্য পাসের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও এবার একটিও নেই।

    জেএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এগিয়ে মেয়েরা : এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ২৭৪টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮ হাজার ৯৬২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা দিয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৮৭১ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৪ জন।

    এরমধ্যে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৯২ জন ছাত্রী জেএসসিতে অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৯৫ হাজার ৩৩২ জন। পাসের হার ছিলো ৮৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৮০ দশমিক ৯২। অন্যদিকে ৯১ হাজার ৭৯ জন ছাত্র শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাস করেছে ৭৫ হাজার ৪০২ জন শিক্ষার্থী। যার পাসের হার ৮২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮২ দশমিক ২৭।

    জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে মেয়েরা। এবছর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ৬ হাজার ৪১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে ৩ হাজার ৬২২ জন এবং ছাত্র রয়েছে ২ হাজার ৪১৯ জন।

    চট্টগ্রাম বোর্ডে বেড়েছে শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : এ বোর্ডে গতবারে তুলনায় শতভাগ পাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ১৩টি। এবার ১০২টি বিদ্যালয়ে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার ছিল ৮৯টি। তাছাড়া গতবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ১টি শূন্য পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও এবার তা ছিলনা।

    এদিকে শতভাগ ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে এবার। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, গণিত বিষয়ে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ শত ৭৫টি, যা গত বছর ছিলো ২ শত ৯টি। এছাড়া ইংরেজি বিষয়ে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২ শত ২২ টি, যা গত বছর ছিলো ১ শত ৯৩ টি।

    চলতি বছর জিপিএ ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ড সেরা তিনটি স্কুল নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, ডা. খাস্তগীর উচ্চ বিদ্যালয় ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় সেরা তিনে জায়গা করে নিয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল রয়েছে প্রথম স্থানে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ৩৪৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৩ জন।

    দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। ৩২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৭৮ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। তাছাড়া বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় (বাওয়া) রয়েছে তিন নম্বর স্থানে।এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০২ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪১ জন।

    সেরা তিনে স্থান করে নেওয়ায় এ তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন। শিক্ষার্থীরা জানায়, জেএসসির ফলাফলে সাফল্যতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো রেজাল্ট করে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে তারা চেষ্টা করবে।

    চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ জানিয়েছেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ, খাতা মূল্যায়নে আন্তরিক হওয়ার নির্দেশনা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়ার কারণে জেএসসির ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

  • মানবেতর জীবন-যাপন : ফটিকছড়ির সর্তা নদী গর্ভে বিলীন ১৩০ পরিবারের বসত ভিটা

    মানবেতর জীবন-যাপন : ফটিকছড়ির সর্তা নদী গর্ভে বিলীন ১৩০ পরিবারের বসত ভিটা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। এম জুনায়েদ, ফটিকছড়ি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে খিরাম ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তা নদীর ভাঙ্গনে গত ১ বছরে ১৩০ পরিবারের বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। সর্তার করাল গ্রাসে ভিটে মাটি হারানো পরিবার গুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।

    বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী পার্বত্য এলাকা থেকে উৎপন্ন হয়ে ফটিকছড়ির খিরাম ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তা নদীটির দু’পাড়ের মানুষ প্রতি বর্ষা মৌসুমে চরম উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করে।

    রাক্ষুসী সর্তা প্রতি বছর নদী পাড়ের মানুষগুলোর সহায় সম্বল ভিটে মাটি কেড়ে নিয়ে শত শত পরিবারকে করছে নিঃস্ব। গত বর্ষা মৌসুমে অবিরাম ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে খিরাম ইউনিয়নের হচ্ছারঘাট, মগকাঁটা, চৌমহনী এলাকার সর্তার ভাঙ্গনের কবলে পরে বহু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

    সরেজমিনে সর্তার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় গেলে দেখা যায়, খিরাম ইউনিয়নের প্রায় ৮ টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে। এ সকল এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে এমনও পরিবার আছে যাদের একমাত্র ভিটে মাটিটুকু ছাড়া আর কোন সহায় সম্বল নেই।

    হত দরিদ্র এ মানুষগুলো কেউ বর্গা নিয়ে অন্যের জমিতে চাষ করে, কেউ বা দিন মজুরী করে জীবন চালায়। এদের অধিকাংশের এমন কোন সামর্থ্য নেই যে, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসত গড়ে।

    মগকাটা এলাকার মো. আলতাফ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, এখান থেকে অনেক পরিবার ভাঙ্গন কবলে পড়ে অন্যত্র চলে গেছে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা না হয় অন্যত্র চলে যেতে পারছে। কিন্তু আমরা যাবো কোথায়? আমাদের তো পৈত্রিক এই বিটে মাটি ছাড়া আর কিছুই নেই।

    তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানান, যেন সর্তার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা গুলোতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে আমাদের দুর্দশা লাগব করে।

    এ বিষয়ে খিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সরওয়ার হোসেন সৌরভ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, সর্তা পাড়ের ভাঙ্গন কবলিত মানুষ গুলো হত দরিদ্র। প্রায় সকল মানুষ নিম্ন আয়ের। ইতোমধ্যে ১৪৩টি পরিবার সর্তার ভাঙ্গনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। এমনি ভাবে আরো অনেক পরিবার ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আমার আকুল আবেদন, সরকারের সহায়তায় সর্তার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা গুলোতে যদি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দেয়, তবে সর্তা পাড়ের মানুষ গুলো রক্ষা পাবে।

    এ বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলবো, আমাদের এমপি স্যারের সাথে কথা বলবো। স্যারের নির্দেশনা মতে দ্রুত যেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এই সর্তা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা যায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

  • ফৌজদারহাট : চারদিকে দেয়াল, ভেতরে স্পেকট্রা গ্রুপ কর্মকর্তাদের পাহাড় কাটার উৎসব

    ফৌজদারহাট : চারদিকে দেয়াল, ভেতরে স্পেকট্রা গ্রুপ কর্মকর্তাদের পাহাড় কাটার উৎসব

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কামরুল দুলু,সীতাকুণ্ড : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে পাহাড় কাটার উৎসবে মেতেছে কর্পোরেট শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে নাম সর্বস্ব সংগঠনগুলো। পাহাড় কেটে ভুমি দখল উৎসব প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে স্থানীয় বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও। বাদ যায়নি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও।

    গত কয়েক বছরে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার একর পাহাড় দখলের পর তা কেটে পরিণত করা হয়েছে সমতল ভূমিতে। সেখানে তৈরি হচ্ছে শিল্প-কারখানা। এমনকি প্লট তৈরি করে বিক্রির ঘটনাও ঘটছে। অভিযোগ রয়েছে নাকের ডগার ওপর পাহাড় ধ্বংসযজ্ঞ চললেও প্রশাসন রয়েছে দর্শকের ভূমিকায়।

    বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক থেকে ফৌজদারহাটের ঢাকা ট্রাংক রোড পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের বাইপাস সড়ক নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। চলছে সড়কের শেষ মূহুর্তের কাজ। তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব।

    সিডিএ এর কাছ থেকে কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্টান স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ফৌজদারহাট সড়ক দিয়ে অর্ধকিলোমিটার প্রবেশ করলে হাতের বাম পাশে দেওয়াল নির্মান করে পাহাড় কাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।পাহাড় কাটার উৎসবে স্পেক্ট্রা

    স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ এর নাম বিক্রিয় করে স্পেকট্রা গ্রুপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মমতাজ উদ্দিন এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. রবিউল হোসেন তাদের দু’জনের নামে ক্রয়কৃত ৩৫৯ নং দাগের জায়গাটি চারিদিকে দেওয়াল নির্মাণ করে ভিতরে দুটি পাহাড় সম্পূর্ণ কেটে ফেলেছেন।

    এই বিষয়ে এক্সপেক্টা গ্রুপের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মোঃ মমতাজ উদ্দিন এর সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন বলে জানান। এই বিষয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. রবিউল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

    এই বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর এর চট্টগ্রাম অঞ্চল এর সহকারী পরিচালক মুক্তদির হাসানের সাথে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তিনি আরো জানান সত্যতা নিশ্চিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বি : দ্র : স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের নাম দিয়ে অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পাহাড় নিধনের আরো তথ্যসহ নিউজ থাকছে পরের পর্বে। চোখ রাখুন

    স্থানীয়রা মনে করছেন এভাবে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হলে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্যের ওপর হুমকি তেমনি পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। এসকল ভূমিদস্যুদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।

    গত কয়েক বছরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার একর পাহাড় দখলের পর তা কেটে পরিণত করা হয়েছে সমতল ভূমিতে। সীতাকুন্ডে পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা। এমনকি প্লট তৈরি করে বিক্রির ঘটনাও ঘটছে।

    উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। এই এলাকায় এরই মধ্যে শত শত একর পাহাড় কেটেছে কথিত ছিন্নমূল নামে একটি সংগঠন। তারা এরই মধ্যে পাহাড় কেটে ছিন্নমূলদের জন্য তৈরি করা করেছে হাজার হাজার বসতবাড়ি। এখনো পাহাড় কেটে প্লট তৈরি করে নদী ভাঙা মানুষদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে।

  • রাউজানে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল!

    রাউজানে অটোরিকশা চালকের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল!

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে মো. রফিক (৫৫) নামে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত রফিক রাউজান ইউনিয়নের পূর্ব রাউজান এলাকার মৃত মুছা মিয়ার ছেলে।

    জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে রাউজান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কামালের নেতৃত্বে রাত্রি কালিন টহলরত রাউজান থানা পুলিশ চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের জলিলনগরে একটি অটোরিক্সাকে (চট্টগ্রাম-থ-১১-৬৭৪২) থামানোর সংকেত দেন। এসময় গাড়ীটিকে পুলিশ ডিউটি করার কথা বললে গাড়ীতে যাত্রী থাকায় চালক রফিক ডিউটি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

    তখন গাড়ীর গতি বাড়িয়ে দ্রুত ছুটতে থাকেন রফিক। পুলিশও তার পিছু নিলে সিএনজি চালক রফিক গাড়ীর গতি কমিয়ে সিএনজি রেখেই দৌঁড়ে পালিয়ে গিয়ে একটি খড়ের গাদার নিচে আশ্রয় নেন। পুলিশ গাড়ীটি থানায় নিয়ে আসেন।

    পরে খোঁজ নিয়ে সিএনজি চালক রফিকের স্বজনরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে সেখান থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    এই বিষয়ে রাউজান ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শনিবার দুপুরে সিএনজি চালক রফিকের দাফন সম্পন্ন হয়। তবে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে বলে জেনেছি।

    রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধুসুদন নাথ সাংবাদিকদের বলেন, রাতে পুলিশ সিএনজি অটোরিক্সাকে গাড়ি আটকাবে মনে করে এক অটোরিকশা চালক গাড়ি রেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে পুলিশের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি।

    গাড়িটা পরিত্যাক্ত হিসেবে থানায় আনা হয়। সিএনজি অটোরিকশাটি বর্তমানে রাউজান থানা হেফজতে রয়েছে। নিহত রফিক দুই মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।

  • সৈয়দপুর রেল কারখানায় রেলওয়ের মিউজিয়াম করা হবে

    সৈয়দপুর রেল কারখানায় রেলওয়ের মিউজিয়াম করা হবে

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ সৈয়দপুর রেল কারখানায় কোচ মেরামতের কাজে ব্যবহৃত পুরনো ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন মেশিনারিজ সংরক্ষণ করার জন্য একটি মিউজিয়াম করা হবে। রেলের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য এ মিউজিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে রেল কারখানা কর্তৃপক্ষ।

    প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো বাংলাদেশের অন্যতম এ রেল কারখানাটি কয়লা চালিত ইঞ্জিন মেরামত কারখানা হিসেবেই প্রথম ১৮৭০ সালে যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে এর প্রসারতা বেড়েছে।

    স্বাভাবিকভাবেই এ কারখানায় রয়েছে অনেক পুরনো এবং ঐতিহাসিক সব মেশিনারিজ। তাই সেগুলো সংরক্ষণে মিউজিয়াম করার প্রস্তাব দিয়েছে সৈয়দপুর রেল কারখানা কর্তৃপক্ষ।

    শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সৈয়দপুর রেল কারখানা ঘুরে দেখার একপর্যায়ে এ কারখানার দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জায়দুল ইসলাম এ কথা জানান।

    ১১০ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ কারখানায় একটি পরিত্যক্ত শেড পরিষ্কার করে সেখানেই মিউজিয়াম করার প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সৈয়দপুর রেল কারখানায় মিউজিয়াম করার ব্যাপারে জানতে চাইলে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জায়দুল ইসলাম বলেন, সৈয়দপুর রেল কারখানায় ঐতিহ্যবাহী মেশিনারিজ রয়েছে। এখানে রয়েছে কয়লা চালিত ব্রড গেজ ইঞ্জিন, ডিজেল চালিত মিটার গেজ ইঞ্জিন ও ন্যারো গেজ ইঞ্জিন। এগুলোসহ বিভিন্ন মেশিনপত্র সংরক্ষণের জন্যই মিউজিয়াম করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কারখানা শুরু হয়েছিল কয়লা চালিত ইঞ্জিনের মেরামত কারখানা হিসেবে। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে আজকের এ অবস্থায় পৌঁছেছে। তাই অনেক ঐতিহাসিক মেশিনারিজ, যাত্রীবাহী কোচ, মালবাহী কোচ রয়েছে। রেলওয়ের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকারী এসব মেশিনপত্রের কথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানোর জন্য একটি মিউজিয়াম থাকা জরুরি। তাই এগুলো সংরক্ষণ করা দরকার।

    তিনি আরো বলেন, আমি দেখেছি সৈয়দপুরে যত মানুষ ঘুরতে আসেন, সবাই একবার হলেও রেল কারখানা ঘুরে দেখে যেতে চান। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটি মিউজিয়াম থাকলে সেখান থেকে আমরা একটি রেভিনিউ আয় করতে পারব। একই সঙ্গে রেলের ইতিহাসও জানাতে পারব। সৈয়দপুর রেল কারখানায় একটি মিউজিয়াম করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে মিউজিয়ামের নাম এখনো ঠিক হয়নি। হয়তো রেলের ডিজি বিষয়টি ঠিক করবেন।

  • বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত অপরিকল্পিত ভবনে ঢেকে আছে

    বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত অপরিকল্পিত ভবনে ঢেকে আছে

    ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজারঃ প্রায় দুই দশক ধরে পর্যটনের নামে অপিরকল্পিত ভাবে বড় বড় ইমারতে ঢেকে দেয়া হয়েছে কক্সবাজারের পুরো সমুদ্র সৈকত। সৈকতের বালিয়াড়ির উপর তৈরী হয়েছে বিখ্যাত সব হোটেলের স্থাপনা। রয়েছে ছোটখাট হোটেল মোটেলও।

    এছাড়াও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নামে স্থানীয় প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছে ঝুপড়ি দোকানও। সৈকতকে সংকটাপন্ন ঘোষণা করে ১৯৯৯ এ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে নির্দেশনা আসে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি প্রশাসনের হেয়ালিতে।

    উল্টো নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে সৈকত জুড়ে দাম্ভিকতা আর প্রভাবের জোরে ১৫ কিলোমিটার বেশি এলাকায় ছড়িয়েছে ফাইভ স্টার, ত্রি স্টার মানের হোটেলের বিস্তার। তাছাড়াও রয়েছে অসংখ্যা অনুমোদনহীন হোটেল-মোটেল।

    সমুদ্র সৈকতের তীরে অপরিকল্পিত হোটেল-মোটেল

    জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, শহরের হলিডে মোড় থেকে কলাতলী পর্যন্ত গড়ে উঠা প্রায় সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেলের মধ্যে জেলা প্রশাসনের বাণিজ্যিক শাখার ছাড়পত্র রয়েছে মাত্র ৬৯ টির। বাকি সবাই জেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গড়ে তুলেছে বড় বড় ইমারত। দফায় দফায় উচ্ছেদ করার পরও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কাছে পরাজিত হয় প্রশাসন।

    সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, প্রশাসনের অবহেলাই এর একমাত্র কারন। প্রশাসন অভিযান কার্যকর করলে তা এতোদিনে একটি ফলাফল আসতো।

    কক্সবাজার আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আয়াছুর রহমান বলেন, সরকার ১৯৯৯ সাল থেকে ইসিএ এলাকা ঘোষণা করার পরও কিছু কিছু স্থাপনা গড়ে উঠেছে সৈকতের বাড়িয়ালিতে। এটা সম্পুর্ণ প্রশাসনের ব্যর্থতা। এরা ব্যবস্থা নিতে অবহেলা করায় এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

    চার শতাধিকেরও বেশি নির্মিত স্থাপনার পরিবেশ ছাড়পত্র নেই খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেলের একটিতেও নেয় পরিবেশ ছাড়পত্র। নোটিশ দিচ্ছি, অনেক সাড়া দিলেও বেশীর ভাগই থেকে যায় ধরা-ছোয়ার বাইরে। অনেকে মানেনি বিল্ডিং কোডও।

    তবে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব-পর্যটন সেল) মো. আশরাফুল আফসার বলেন, যেহেতু উচ্চ আদালতের রায় এসেছে স্থাপনা নির্মান বন্ধে। তাই আদেশের কপি হাতে পৌঁছালেই ব্যবস্থা নেয়া শুরু হবে। পরিকল্পনা করে যেভাবে উচ্ছেদ করা যায় আমরা সেভাবে করবো।
    প্রসঙ্গত যে, সোমবার হাইকোর্ট কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার ইসিএ এলাকার জায়গার লিজ বাতিলের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ওইসব জায়গায় গড়ে উঠা স্থাপনাগুলোও গুড়িয় দিতে বলা হয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে রায়টি প্রকাশ করা হয়।

    রায়ে বলা হয়, ‘শুধু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নয় জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সরকারকে নীতিমালা তৈরি করতে হবে। ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট লিভ টু আপিল খারিজ করে দেওয়া রায় বহাল রেখে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। রায়ে পাঁচ জনের করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

    ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিলের পর কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলা-তলী পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এরপরও, ওই এলাকায় লিজ দিয়ে গড়ে তোলা হয় একের পর এক স্থাপনা।

    এই নিয়ে পাঁচটি রিভিউ আবেদন খারিজের রায়ে আদালত ১৯৯৯ সালের পর নেওয়া হোটেল সাইমন, সি গালসহ বড় বড় বেশ কিছু হোটেলের লিজ বাতিল করেন আপিল বিভাগ। রায়ে গুঁড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে এসব স্থাপনা।

  • রাউজানে ইটভাটার মাটির জোগান দিতে কাটা হচ্ছে ফসলী জমি

    রাউজানে ইটভাটার মাটির জোগান দিতে কাটা হচ্ছে ফসলী জমি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নেজাম উদ্দিন রানা,রাউজান : চট্টগ্রামের রাউজানে ইটভাটার মাটির যোগান দেওয়ার জন্য অনেক স্থানে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। ফলে দিন দিন ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

    কৃষি জমির টপসয়েল কেটে ফেলার ফলে জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। শুধু কৃষি জমিই নয়, ইটভাটার থেকে ইট বিক্রির কাজে নিয়োজিত ভারী যান চলাচলের কারণে বিভিন্ন জায়গায় সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই চিত্র দেখা গেছে ডাবুয়া ইউনিয়নে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডাবুয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ডাবুয়া রাবার বাগানের আশপাশের বিভিন্ন ইটভাটার মাটির যোগান দিতে নির্বিচারে কৃষি জমির মাটি কেটে ফেলা হচ্ছে। শুধু কৃষি জমিই নয়, ডাবুয়া রাবার বাগানের মালিকানাধীন টিলাও বাদ যাচ্ছেনা।

    একদিকে কৃষি জমির মাটি অপরদিকে ইটভাটার জ্বালানীর উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বনাঞ্চলের অপরিপক্ক কাঠ ইটভাটার জন্য অত্যাবশ্যকীয় উৎস দুটির সহজলভ্যতার ফলে এখানে ইটভাটা করে দেদারছে ব্যাবসা করছেন এই ভাটাগুলোর সাথে জড়িত মালিকপক্ষগণ।

    ডাবুয়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ইটভাটায় সরবরাহের জন্য বেপরোয়া ভাবে মাটি কাটার ফলে জনগুরুত্বপূর্ণ শহীদ জাফর সড়কের একটি অংশ ধসের আশংকা রয়েছে। এই এলাকার ইটভাটা ভাটাগুলোর পাশে থাকা কৃষি জমিগুলো পুকুর দিঘিতে পরিণত হয়েছে।

    সরেজমিন পরিদর্শনকালে এই ইউনিয়নের মেলুয়া এলাকার এমবিসি ট্রেডমার্কের একটি ইটভাটায় মাটি কাটার ভয়াবহ চিত্র চোখে পড়েছে। এই ইটভাটাটির মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে আশপাশের কৃষি জমির প্রকৃত মালিককে না জানিয়ে তাদের জমি থেকে ইটভাটার জন্য মাটি উঠিয়ে নেয়ার।

    হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, হালিমা খাতুন ও ফটু আকতার নামের তার দুই নিকটাত্মীয়ের মালিকানাধীন প্রায় চার একর কৃষিজমির মাটি মালিকপক্ষকে না জানিয়ে ইটভাটার মালিক মাটি নিয়ে গেছে। জমির মালিক হালিমা বেগমের পুত্র শহীদুল্লাহ সিকদারও এই অভিযোগ করেছেন। শুধু এই ইটভাটা রাউজানের আরো বেশ কয়েকটি ইটভাটায়ও কৃষি জমি থেকে মাটি উঠিয়ে নেয়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

    উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বৃক্ষবানুপুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সড়কের পাশের কৃষি জমি থেকে মাটি নিয়ে ইটভাটার জন্য স্তুপ করে রাখা হচ্ছে।

    চলাচলের সড়কের আশপাশ থেকে মাটি কেটে নেয়ার ফলে রাউজান উপজেলা সদর থেকে পার্ব্বত্য উপজেলার সাথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম শহীদ জাফর সড়ক সড়কটি এখন ধসে পড়ার হুমকির মধ্যে পড়েছে। এখানকার দুটি বিদ্যুৎ খুটিও ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিতে আছে । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৃথক স্থানে দুটি ইটভাটা কোনোটিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ইটভাটার মাটি নিচ্ছে কৃষি জমি থেকে

    কৃষি জমি থেকে মাটি উঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করে ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ লোকমান দাবি করেন জমির মালিকের সাথে চুক্তি করেই মাটি উঠানো হচ্ছে। ভাটা চালানোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ট্রেড লাইসেন্স ও ভ্যাট দেয়ার কাজ আছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই।

    কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেনায়েদ কবির সোহাগ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, কৃষি জমি রক্ষায় সরকার ও উপজেলা প্রশাসন সব সময় সতেষ্ট । ফসলী জমি থেকে মাটি কাটা ও ভরাট করা বে-আইনী । তিনি বলেন মাটি কাটার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • বিজয়ের মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে চায় মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী

    বিজয়ের মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে চায় মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই : বিজয়ের মাস ডিসেম্বর মাস আর এ মাসেই প্লটের দখল হস্তান্তর করতে যাচ্ছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী কতৃর্তপক্ষ। এমনটাই জানালেন বিসিক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আহমেদ জামাল নাছের চৌধুরী।

    তিনি জানান আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী, ইতি মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে প্লট বরাদ্ধের কাজ। খুবশিগ্রই আরম্ভ হবে প্লটের দখল হস্তান্তর। প্লটের দখল হস্তান্তরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্লট গ্রহীতা শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ প্লটে স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় তাদের প্লট বরাদ্ধ ও দখল সত্ত বাতিল করা হবে।

    তিনি জানান, গত ১ বছর আগেও এই শিল্প নগরী উদ্বোধনের যাবতিয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিলো কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারনে এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে সকল জটিলতার অবসান হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই এটি বাস্তবায়নে আর তেমন কোন বাধা নেই।

    এই কর্মকর্তা জানান,দ্বিতীয় বারের মতো গত ২২ মে প্লট বরাদ্ধের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ১১৪ টি আবেদন পত্র জমা পড়ে। আবেদন পত্রের গ্রহণ যোগ্যতা যাচাই বাচাই করে সেখান থেকে ৮২টি উদ্যোক্তাকে প্লট বরাদ্ধের জন্য সনাক্ত করা হয়, বাদ পড়ে ৩২টি উদ্যোক্তার আবেদন পত্র। তবে বাচাইকৃত এই ৮২টি আবেদন পত্র থেকেও অনেকেই বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন।

    এই ৮২জনকেই এলটমেন্ট লেটার প্রেরণ করেছে বিসিক কর্তৃপক্ষ। এলটমেন্ট লেটার প্রাপ্ত ৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৮ ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে হালকা প্রকৌশল-১৯টি, খাদ্য ও খাদ্যজাত -১৯টি, রেডিমেড গার্মেন্টস-১৬টি, সিরামিকস ও নন মেটালিক-০৩টি, কেমিক্যাল এন্ড এলাইড-১০টি, রাবার, লেদার এন্ড এলাইড-৪টি, প্যাকেজিং-০৮টি, বন ও বনজাত-৩টি।

    তবে ৮২টি বরাদ্দকৃত আবেদনের বিপরীতে ডাউনপেমেন্ট পরিশোধ করেছেন মাত্র ৯জন উদ্যোক্তা। চলতি মাসে আরো দুই একজন উদ্যোক্তা থেকে ডাউনপেমেন্ট পাওয়া যেতে পারে বলে আশা ব্যাক্ত করেন তিনি। ডাউনপেমেন্ট পাওয়া গেলে চলতি মাসে নুন্যতম ১০জন উদ্যোক্তাকে তাদের প্লটের দখল সত্ত হস্তান্তর করা যেতে পারে। তবে যে সব উদ্যোক্তা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে ডাউন্টপেমেন্ট পরিশোধ করেছেন তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

    এলটমেন্ট লেটার পাওয়ার পরও যে সকল আবেদনকারী একমাসের মধ্যে তাদের ডাউনপেমেন্ট পরিশোধ করে প্লট বুঝে নিবে না হয়তো আমরা তাদের আরো কিছু সময় দিবো এটা হয়তো দুই মাস বা তিন মাস ও হতে পারে। এর মধ্যেও যদি তারা ডাউনপেমেন্ট পরিশোধে ব্যার্থ হয় তাহলে তাদের প্লটের বরাদ্দ বাতিল করা হবে। এসব বাতিলকৃত প্লটের জন্য নতুন বরাদ্দ চেয়ে আগামি দুই এক মাসের মধ্যে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

    জানা যায়, ২০০৯ সালের দিকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে মিরসরাইয়ে বিসিক শিল্পনগরী বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মিরসরাই পৌরসভার পূর্ব মঘাদিয়ায় তালবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করে ২০১০-২০১১ অর্থবছর প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

    প্রকল্প বাস্তবায়নে ১৫ দশমিক ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করে মাটি ভরাটের কাজও শুরু হয়। প্রথম অবস্থায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ২৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা করা হয়। ২০১৩ সালের শেষ দিকে প্রকল্প কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    সর্বশেষ ২০১৭ সালের শেষ দিকে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীর সামগ্রিক প্রস্তুতি শেষ হলেও নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নীতিনির্ধারকদের অবহেলার কারনে মুখ থুবড়ে পড়ে আশা জাগানো এই প্রকল্পটি। স্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের আশার জোয়ারেও ভাটা পড়ে যায় নিস্তেজ হয়ে পড়া প্রকল্পটির কারনে।

    স্থানীয় শিল্পউদ্যোক্তারা সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিভিন্ন আলোচনার টেবিলে। দোষারোপ করেছেন বিশেষ প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে। কৃষিজমিতে শিল্প স্থাপনা করা যাবে না এমন অযুহাত তুলে স্থগিত করা হয় এর বাস্তবায়ন।

    কিন্তু অনেকেই মনে করেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়য়ার কৃতীত্বে ইর্ষান্বীত হয়ে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল একটি স্বার্থন্বেষী মহল। তবে আশার কথা হলো সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী। এটি বাস্তবায়ন হলে মিরসরাইয়ে কম পক্ষে ৫হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন কর্র্তৃপক্ষ।

    মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরী ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে অবস্থিত। বিসিক শিল্পনগরী থেকে রেলপথের দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম। চট্টগ্রাম বন্দরে যাতায়াতও ভালো। যোগাযোগ সুবিধার কারনে এই প্রকল্পের প্রতি শিল্প উদ্যোক্তাদের আগ্রহ একটু বেশি।

    মিরসরাই পৌর সভার মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন সকল আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বিসিকের প্লট বরাদ্দের কাজ সম্পন হয়েছে। যারা এখানে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন তারা অতিশিগ্রই তাদের কার্যক্রম আরম্ভ করবেন বলে আশা করছি। আমাদের পৌরসভা থেকে যতটুকু সহযোগীতা করার প্রয়োজন আমরা প্রস্তুত আছি। এটি যতো শিগ্রই বাস্তবায়িত হবে আমাদের পৌরসভায় কর্মসংস্থার সূত্রপাত ঘটবে ততো তারাতারি।

    তিনি জানান, সরকার এখানে ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু কয়েকজন কর্মকর্তার অবহেলার কারণে মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর অগ্রযাত্রায় ভাটা পড়ে গিয়েছিলো। নতুন করে প্লট ভরাদ্ধ দেয়ার মধ্যদিয়ে সেই ভাটা কেটে উঠেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সুবিধা থাকায় এখানে প্লট নিতে আগ্রহীর সংখ্যা বেশি।

    তিনি আরও বলেন, পূর্বেও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০ জনকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়। তবে কেন বাতিল করা হয় সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি কর্তৃপক্ষ। পুনরায় প্লট বরাদ্দের কথা শুনে ভালো লাগছে। আমরা চাই অতিশিগ্রই এই শিল্প নগরী বাস্তবায়ন হোক। বিসিক শিল্প নগরী

    মিরসরাই বিসিক শিল্প নগরীর প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে, এই প্রকল্পে এ ক্যাটাগরিতে ২৭, বি ক্যাটাগরিতে ৩৩, এস টাইপ ক্যাটাগরিতে ২৮টিসহ মোট ৮৮ প্লট রয়েছে। এছাড়া এটি আরো সম্প্রসারণের লক্ষে পুনরায় আরো দশ একর জমি নতুন করে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিরসরাইকে মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

    তবে যতক্ষণ না এই প্রকল্প মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে ততোক্ষণ কাগজে কলমের বাস্থবায়নে বিশ্বাস করতে নারাজ প্রকল্প এলাকার লোকজন।

    স্থানীয় মাহবুবুল আলম নামে এক ব্যাক্তি জানান, সেই চার বছর ধরে শুনে আসতেছি এখানে মেইল ফেক্টরি হবে, অবকাঠামোর সকল কাজ সম্পন্ন। একবার শুনলাম কৃষি জমিতে কারখানা করেতে দিবে নাই তাই কাজ বন্ধ ছিলো অনেক দিন। এবকার শুনলাম প্লট বরাদ্ধ দিবে আবার শুনলাম বাতিল করছে এভাবেই চলতেছে গত চারবছর। তাই যেদিন এখান কারখানার কাজ শুরু হবে সেই দিন ছাড়া নিশ্চিম হওয়া মুশকিল আসলে এখানে কারখানা হবে কি না।

    তবে সরজমিনে দেখা যায় মিরসরাই বিসিক শিল্পনগরীর কাজ শতভাগ শেষ। তবে এখনো উৎপাদনের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দখল স্বত্ত বুঝে পায়নি। তাই কোন কারখার দেখাযায়নি কোন নমুনা ফলক। দাড়ায় নি কোন কারখানার দালান। তাই চার দিকে খোলা সবুজের মাঠ। কচি ঘাসে উর্বর যেন এক গো চারণ ভূমি। গোটা দশেক গো মহিষের দখলে পুরো এই শিল্প নগরী এলাকা।বিসিক শিল্প নগরী

    ফলে উৎপাদনের পরিবর্তে দেশের ৭৫তম এ প্রকল্পটি এখন গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাঠের দক্ষিন পাশে যেতেই দেখা মিললো পরিতেক্ত নেশার বোতল। বুঝতে বাকি রইলোনা সারাদিন গোচারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহার হলেও সন্ধ্যায় মাদক সেবিদের আস্তানায় পরিণত হয় শুন শান নিস্তব্ধ এই স্থানটি। সঠিক সময়ে উৎপাদনে না যাওয়ায় আগাছায় ভরে গেছে বিভিন্ন প্লট।

    নিন্মমানের কাজের জন্য দেবে গেছে রাস্তার বেশ কিছু অংশ। তবে এই শিল্পনগরীর বর্তমান অবস্থা যাই হোক না কেন পুনরায় প্লট বরাদ্ধ দেওয়ার খবরে আবারো আশার আলো দেখছে মিরসরাইয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তরা।

  • ডাউকি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত

    ডাউকি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত

    ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিক্ষোভ, সহিংসতা এবং কারফিউ জারির পর তামাবিল-ডাউকি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বিশেষ করে তামাবিল-ডাউকি শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশিদের যাতায়াত ও পণ্য রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের ইমিগ্রেশন।

    তামাবিল স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ বলেন, ডাউকি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে ঢুকতে দিচ্ছেন না সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। ফলে ভারতে বেড়াতে কিংবা ব্যবসার কাজে বাংলাদেশিদের যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কোনো পণ্য রফতানি হয়নি। তবে আমদানি অব্যাহত আছে।

    ডাউকি কাস্টমস কর্মকর্তা ডেকলিন রেনজা বলেন, কারফিউর কারণে শিলংয়ে হোটেল-দোকানপাট সব বন্ধ আছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হলে পর্যটকরা যেতে পারবেন।

    সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিক্ষোভ সহিংসতা, বিক্ষোভ এবং কারফিউ জারির পর এবার সিলেটের তামাবিল-মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিভাগ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে বিক্ষোভ-সহিংসতা জেরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

    শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণে যেতে চাইলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। আবার ভারত থেকেও কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।

    তবে, এ বিষয়ে ভারতের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন বিভাগকে অবহিত করা হয়নি।

  • বোয়ালখালীতে কমে আসছে আবাদযোগ্য জমি

    বোয়ালখালীতে কমে আসছে আবাদযোগ্য জমি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পূজন সেন,বোয়ালখালী : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দিনদিন কমে আসছে আবাদযোগ্য জমি। জলাবদ্ধতা, অপরিকল্পিত আবাসন, মিল কারখানা স্থাপন, জমির উর্বরতা হ্রাস ও খাল দখল দুষণের কারণে নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে নীট আবাদি জমির পরিমাণ ১৬হাজার ৯২০একর। এর মধ্যে এক ফসলী জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৫৩২ দশমিক ৪০ একর, দুই ফসলী জমির পরিমাণ ১২ হাজার ১৫২ দশমিক ৪০ একর, তিন ফসলী জমির পরিমাণ ১ হাজার ১৩৬ দশমিক ২০ একর।

    তবে সম্প্রতি কৃষি অফিসের এক জরিপে দেখা গেছে আবাদযোগ্য জমি জলাবদ্ধতা, অপরিকল্পিত আবাসন, মিল কারখানা স্থাপন, জমির উর্বরতা হ্রাস ও খাল দখল দুষণের কারণে অনাবাদি হয়ে পড়েছে প্রায় ১হাজার ৮৫২ একর জমি।

    কৃষি অফিসের হিসেব মতে, উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়নে প্রায় ১৩২ একর, পশ্চিম গোমদ-ী ইউনিয়নে প্রায় ২৭১ একর, পৌরসভায় প্রায় ৩৭০ একর, শাকপুরা ইউনিয়নে প্রায় ৩২১ একর, সারোয়াতলী ইউনিয়নে প্রায় ২৭১ একর, পোপাদিয়া ইউনিয়নে প্রায় ৯৮ একর, চরণদ্বীপ ইউনিয়নে প্রায় ৫০ একর, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নে প্রায় ৫০ একর ও আমুচিয়া ইউনিয়নে প্রায় ৫০ একর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে।

    অনাবাদি এসব জমিতে আমন মৌসুমে ২হাজার ৫শত মেট্রিক টন থেকে ৩হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হতো। এছাড়া রবি শস্য বা সবজি উৎপাদন হতো ৫হাজার মেট্রিক টন।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, স্থায়ী জলাবদ্ধতা, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ করে আবাদযোগ্য জমি নষ্ট করা হচ্ছে। এছাড়া জমির উর্বর মাটি বিক্রি করার ফলে চাষের উপযোগীতা হারাচ্ছে জমিগুলো।

    এভাবে দিনদিন অনাবাদি জমির পরিমাণ বাড়ছে। এ ব্যাপারে সচেতনতার পাশাপাশি চাষের জমি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে বোয়ালখালী খাল ও ছন্দরিয়া খালের মুখে স্লুইস গেইট স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে।

    কধুরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিউল আজম শেফু ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, এলাকার কৃষকদের নিয়ে পড়ে থাকা অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, চরণদ্বীপে অনাবাদি জমির পরিমাণ দিনদিন বাড়ছে। যেসব জমিতে তিন ফসলী চাষাবাদ হতো সেইসব জমিতে এখন বালুর মহাল গড়ে উঠেছে। ফলে কৃষকরা চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

    কৃষি ফসল উৎপাদন করে বাজারে বিক্রির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহকারি কৃৃষকরা জানান, পরিবারের খরচ নির্ভর করে এ চাষাবাদের উপর। তবে বর্তমানে জমিতে আগের মতো চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। এর বড় সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় আমন মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারিনি। এছাড়া পানি নেমে না যাওয়া এবারের সবজির চারা রোপণ করা যায়নি।

    এ জন্য তাঁরা খাল দখল করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠা, ইটভাটা নির্মাণ, অপরিকল্পিত কালভার্ট নির্মাণকে দায়ী করে কৃষকরা বলেন, খালের প্রবেশ পথ দখল হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে তাঁদের জমিগুলো অনাবাদী হয়ে যাচ্ছে।

    খালগুলো দখলমুক্ত করে খাল খনন ও খালের পাড়ে বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের নিকট আবেদন করেও সুফল মিলছে না। অবিলম্বে এসব খাল দখলমুক্ত করে খনন করা না হলে বর্ষাকালে চরম ভোগান্তি বাড়বে এলাকাবাসীর।

  • আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্থ সময় পার করছেন আনোয়ারার কৃষকরা

    আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্থ সময় পার করছেন আনোয়ারার কৃষকরা

    মো. জাবেদুল ইসলাম, আনোয়ারা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অধিকাংশ বাড়িতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। পরিণত হয়েছে ধান কাটার মহোৎসবে। হেমন্তের শেষে ধান কাটার যে রেওয়াজ রয়েছে তা অনুসরণ করেই জমিনে ফলিত আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে মহাব্যস্থ কৃষকরা।

    উপজেলার বৈরাগ, বটতলী, হাইলধর, বারখাইন, বরুমচড়া, জুঁইদন্ডিসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের বাড়িতে বাড়িতে চলছে আমন ধান কাটার উৎসব। আমন ধানের ঘ্রাণে মিস্টি হাসি বইছে কৃষকের মুখে। কাজের জন্য চাতরী চৌমুহনী, বটতলী রুস্তমহাট, জয়খালীর হাঁটসহ আনোয়ারার বিভিন্ন হাট থেকে দিনমজুর লোক আনা হয়েছে ধান কেটে ফলন ঘরে তুলতে।

    বৈরাগ ইউনিয়নের স্থানীয় কৃষক মাহবু আলমের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানায়, ধান গাছ রোপন করার পর সঠিক ভাবে পরিচর্যা এবং পানি ও সার ছিটিয়ে জমিতে নিয়মিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার ফলে ভাল ফলন হয়েছে। তিনি বলেন, এসব ফলন ঘরে তুলতে বেশ কয়েকজন দিনমজুর নিয়োগ করতে হয়েছে। একজন দিনমজুরের বেতন দৈনিক ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা সাথে খাবার এবং থাকার ব্যবস্তা করতে হয়। এরপরও যদি ধানের দাম কম হয় তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কৃষকরা যাতে ফলনে লাভবান হয় তার জন্য ৪৫০জন কৃষককে উন্নত জাতের বীজ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এবারে আমন রোপনের পরিকল্পনার নির্ধারিত ছিল প্রায় ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমি। আমনের যে লক্ষমাত্রা ছিল তা এবার লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেল। এবার আমনের যে পরিমান চাষাবাদ হয়েছে প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না ঘটলে উৎপাদিত ফসল হবে প্রায় ৪১ হাজার মেট্রিকটন।আমন ধানের বাম্পার ফলন

    আমনের বাম্পার ফলন নিয়ে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানের সাথে। ।তিনি বলেন, অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে ফসলে সমস্যা দেখা দেয়। এবার কিন্তু প্রাকৃতিক তেমন কোন দুর্যোগ ছিলনা। আমন রোপন থেকে পরিবেশ ভাল ছিল, বৃষ্টির পরিমান ভারসাম্য ছিল যার ফলে আশাকরি এবার উপজেলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকবে।

    তিনি আরো বলেন, এখন স্থায়ী বেড়ীবাঁধ হয়েছে বন্যার তেমন প্রভাব নাই, খাল খনন হওয়ায় পানি নিষ্কাশন দ্রুত হচ্ছে আর আমরা মাঠ দিবসের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করে যাচ্ছি যার ফলে ফসলের ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। সব মিলিয়ে আশা করা যায় আনোয়ারায় আমনে এবার ব্যাপক সাফল্য পাওয়া যাবে।

  • রোহিঙ্গা আশ্রয়: বিপন্ন উখিয়া-টেকনাফের জীব-বৈচিত্র্য

    রোহিঙ্গা আশ্রয়: বিপন্ন উখিয়া-টেকনাফের জীব-বৈচিত্র্য

    ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজার প্রতিনিধি : বন কেটে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়স্থল নির্মাণের কারণে বনাঞ্চলে দিন দিন কমছে প্রাণীর বিচরণ। হারিয়ে যাচ্ছে বানর, বনমোরগ, বনরুইসহ নানা প্রাণী। খাদ্য ও আবাস সংকটে বারবার লোকালয়ে চলে আসছে হাতি।

    আর রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপন ও জ্বালানির জন্য প্রতিদিনই উজাড় হচ্ছে একরের পর একর বনভূমি। ধ্বংস হচ্ছে কৃষি জমি ও বড় বড় পাহাড়। নানা সমস্যার মুখে পড়ছে স্থানীয়রা।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের যে পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা কখনোই পূরণ করার সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ার পাশাপাশি পর্যটন সম্ভাবনাও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। মিয়ানমার সেনা বাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে মানবিক কারণে আশ্রয় পাওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গা এখন সবদিক থেকে বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে দেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি বিলুপ্ত হচ্ছে বনাঞ্চলও।

    সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, রোহিঙ্গারা আসার পর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ৮ হাজার একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। এতে বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্র্যের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। প্রাণীবিদরা বলছেন, শুধু বনভূমিই ধ্বংস নয় এতে হারিয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির প্রাণী।

    বাংলাদেশ প্রাণী বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. গুলশান আরা লতিফা বলেন, “উখিয়া-টেকনাফের বনাঞ্চলে বানর, ক্যামেলিয়ান, বনরুই, সজারু, বনগাই, ময়ূর, বনমোরগসহ নানা প্রজাতির প্রাণী অনেক চোখের বাইরে চলে গেছে। যা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কারণে এলাকায় সেসব বন্যপ্রাণী এখন বিলুপ্তির পথে।”

    অতিরিক্ত মানুষের চাপে কক্সবাজার জেলার নদী ও খালে যেমন দূষণ বাড়ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে সমুদ্রের পরিবেশও। এতে এসডিজি বাস্তবায়ন এবং সমুদ্র অর্থনীতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করেন সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ।

    তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে প্রচুর ভূমি ধস ও ভূমি ক্ষয় হয়েছে। এটি হচ্ছে মাটিতে কোনো উদ্ভিদ না থাকার কারণে। উপকূলীয় বনাঞ্চল না থাকার কারণে বিশেষ করে এখানে যে অর্গানিক মেটার তৈরি হয় সেটা কিন্তু মাছের খাদ্য। এটি কিন্তু ধীরে ধীরে অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। অদূর অবিষ্যতে ফিরে আসার কোনো সম্ভবনা নেই।

    কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ। যেখানে রাস্তার দু’পাশে দেখা যেতো বড় বড় পাহাড়ে ছোট-বড় গাছ-গাছালি আর সবুজে ঘেরা ফসলি জমি। কিন্তু গত দু’বছর ধরে আর সে দৃশ্য চোখে পড়েনা। এখন শুধু তাকালেই দেখা যায় ক্ষতচিহ্ন আর রোহিঙ্গাদের বসতি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে গাছ-গাছালি, পাহাড় ও ফসলি জমি ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে ইচ্ছামত বসতি ও স্থাপনা। এতে বিপন্ন উখিয়া-টেকনাফের জীব-বৈচিত্র্যও।

    এড. আবুহেনা মোস্তফা কামাল বলেন, “দিন দিন রোহিঙ্গার সংখ্যাও বাড়ছে। এতে পরিবেশের উপর চাপও পড়ছে। ফলে এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হবে।

    পরিবেশ কর্মী ইব্রাহীম খলিল মামুন বলেন, “রোহিঙ্গারা রান্না জন্য বন উজাড় করছে। এছাড়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার পয়ঃবর্জ্যে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় হচ্ছে। তাদের অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হলে স্থানীয়দের বসবাস করা কঠিন হবে।

    এদিকে সম্প্রতি উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এসময় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপনের কারণে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে নেয়া কোনভাবে সম্ভব নয়। তবে যতটুকু সম্ভব এই ক্ষতি পরিমাণ, ধারণ নির্ধারণে কাজ শুরু হয়েছে। তা পুষিয়ে নিতে কি করা দরকার বিশেষজ্ঞরা কাজ করবেন।

    বন বিভাগের হিসাবে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের সাড়ে ছয় হাজার একর বনভূমিতে। তবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দাবি, এখন দশ হাজার একর বনভূমি ছাড়িয়েছে।