Category: বিশেষ খবর

  • কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনা : বেঁচে গেলেন ফজলে করিম!

    কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনা : বেঁচে গেলেন ফজলে করিম!

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম স্পেশাল : ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।

    দুর্ঘটনা কবলিত তুর্ণা নিশীতা ট্রেনে করেই ঢাকা যাওয়ার কথা ছিলো সাংসদ ফজলে করিমের। ওই ট্রেনের টিকিটও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে রাষ্ট্রপতির সাথে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকের সিদ্ধান্তে হঠাৎ করেই তিনি যাত্রা পথ পরিবর্তণ করেন। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করেই তিনি ঢাকায় পৌছান।

    এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিমের এপিএস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল জব্বার সোহেল।

    তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। শোক বার্তায় ফজলে করিম নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং দুর্ঘটনায় আহত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

    এদিকে দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনে করে পিতার ঢাকা যাওয়ার পথ পরিবর্তণকে একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছা ব্যতীত আর কিছুই নয় বলে উল্লেখ করে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঝড়ে যাওয়া প্রাণগুলোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাংসদের জ্যৈষ্ঠ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী।

    আজ মঙ্গলবার দুপুর ২ টা ৫৭ মিনিটে ফারাজ করিম তার পোস্টটি পাবলিশড করেন।

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পাঠকদের জন্য ফারাজ করিমের স্ট্যাটাসটি হুবুহ তুলে ধরা হলো।

    দুর্ঘটনার শিকার তূর্ণা নিশীতা যা গতরাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলো, সেই ট্রেনে করে আমার বাবার আজ সকালে ঢাকা পৌঁছানোর কথা ছিল। সেই ট্রেনের টিকেট কিনেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে প্লেনে আসার পরিকল্পনাকে একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছা ব্যতীত আর কিছুই নয়।

    দায়িত্বরতদের কর্তব্যের অবহেলার কারণে এই ঘটনাগুলো ঘটছে, এটা বুঝতে আর কতগুলো তদন্ত কমিটি লাগবে? আগেও বলেছি, দায়িত্বে থাকা সকলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা আনুন। একটা উদাহরণ সৃষ্টি করুন।

    আমি নিশ্চয়তার সাথে বলছি, এধরণের ঘটনা ভবিষ্যতে শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। তবে ব্যবস্থা নেবেনই বা কেমনে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে চাকরি তদবির ও ঘুষের মাধ্যমেই হয়?

    মনে কষ্ট নিয়েই বলছি, আজ আল্লাহ যদি রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিকে সেই ট্রেনে যাওয়ার হুকুম করতেন, তাহলে কি দেশের রেল ব্যাবস্থায় কোন পরিবর্তন আসতো? ঝড়ে যাওয়া প্রাণগুলোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

  • পটিয়ায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ আমন ধান ও সবজী ক্ষেত, কৃষকের মাথায় হাত

    পটিয়ায় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ আমন ধান ও সবজী ক্ষেত, কৃষকের মাথায় হাত

    সনজয় সেন.পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার আমন এবং শীতকালীন সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যদিও পটিয়া কৃষি সম্পাচারণ বিভাগ দাবী করছেন পটিয়ায় ঘূর্নিঝড় বুলবুল তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনি।

    পটিয়া উপজেলায় এই বছর রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে কিছু জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে আবার কিছু জমির ধানের ফুল আসতে শুরু হয়েছে। আবার কিছু জমির ধান গাছে দানা এখনো কাচাঁ থাকলেও তা বৃষ্টি এবং বাতাসে মাটিতে নুয়ে গেছে।

    গত তিনদিনের বৃষ্টি এবং দমকা বাতাসে পটিয়া উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের কৃষকদের বেশ কিছু জমির পাকা ধান বাতাসে নুয়ে পড়ে পানি এবং মাটির সাথে মিশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একদিকে নষ্ট হচ্ছে গরুর খড় অন্যদিকে কৃষকের সারা বৎসরের পেটের খাবার।

    পটিয়া কৃষি সম্পাচারন বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আলী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, পটিয়ায় এইবার ১৬টি জাতের আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। যে পরিমান চাষাবাদ হয়েছে তার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সৃষ্ট টানা কদিনের বৃষ্টিতে কিছু সংখ্যক রোপা আমান মাটিতে নুয়ে পড়ে ক্ষতি হয়েছে এবং কিছু সংখ্যক কৃষকের সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে।

    তবে এখনও ক্ষতিগ্রস্থ ধানী জমি গুলো থেকে পানি বের করে দিতে পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে মতপ্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা। তাছাড়া সবজির ক্ষেত ছত্রাকে আক্রমণ হতে পরে। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে এসব সবজি ক্ষেত থেকেও ভাল ফসল পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।

    সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এবার উপজেলার সবচেয়ে বেশি সবজি উৎপাদিত হয়েছে  শ্রীমাই চরে। এ চরে কৃষকরা মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বরবটি, শসা, ঢেরশ, ধনিয়া পাতা ছাড়াও নানা রকমের শাক সবজির চাষ করেছে। তবে গত তিনদিনের বৃষ্টি এবং বাতাসে কিছু কিছু ক্ষেত পানিতে ঢুবে আছে আবার কিছু ক্ষেত বাতাসে মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

    কৃষক রতন দাশ এবং মো. শফিউলের সাথে কথা হলে তারা ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানিয়েছেন, এই চরে সবজি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পানি শ্রীমাই খালে থাকায় এখানে প্রায় ২শত কৃষক বিভিন্ন রকমের শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করেছেন। এমনকি ইতিমধ্যে অনেক ক্ষেতে ভালো ফলনও আসা শুরু করেছে।

    কয়েকজন চাষী কিছু কিছু সবজি উত্তোলন করে বিক্রিও করেছেন। বৃষ্টি এবং বাতাস অনুকুলে থাকলে ভালো লাভ হতো। কিন্তু কয়েকদিনের দমকা বাতাস এবং বৃষ্টিতে কৃষকদের স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দিয়েছে। অনেক ফসল এখন মাটিতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে দুঃস্বপ্ন নিয়ে শ্রীমাই চরের অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ জমির দিকেই তাকিয়ে আছে।

    জানা যায়, পটিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা প্রতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্ভর মাসে বিভিন্ন রকমের শীতকালীন সবজি চাষ করে নতুন সবজি বাজারে নিয়ে ভালো দাম পায়। উপজেলার খরনা, কচুয়াই, শ্রীমাই, কেলিশহর, হাইদগাঁও, ধলঘাট এলাকা থেকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে বাজারে নতুন নতুন সবজি নিয়ে বাজার ভরপুর করে এবং ক্রেতাদের নতুন সবজী দিয়ে মন কাড়ে। এই ইউনিয়নের উৎপাদিত সবজিতে পটিয়ার বাজার গুলোতে ভরপুর হয়ে থাকে।

    কিন্তু এবার আগাম শীতকালীন সবজি ক্ষেত করে এই বৃষ্টিতে তাদের বীজতলা এবং আগাম সবজি চারা নষ্ট হয়ে মাথায় হাত ওঠে। ভালো দাম পাওয়ার আশায় চাষাবাদ করলে এই বৃষ্টি বাতাসে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকের মুখের হাসি ফোটা বন্ধ হয়ে গেছে।

    কৃষকদের অভিযোগ শ্রীমাই খাল থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন এবং খালের পাড় থেকে অবৈধ ভাবে মাটি নিয়ে যাওয়ায় তারা প্রতি বৎসর বরাবরই ক্ষতিসাধিত হয়। যদি অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন না করে তারা সুন্দর ভাবে চাষা বাদ করে সবজি উৎপাদিত করে তবে ক্রেতাদের চাহিদা মেঠানোর পাশাপাশি তারা স্বচ্ছল থাকবে।

  • কক্সবাজারে পর্যটকরা হোটেল বন্দি,সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে

    কক্সবাজারে পর্যটকরা হোটেল বন্দি,সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে

    ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজার প্রতিনিধি : ‘বুলবুল’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। উত্তাল রয়েছে সাগর। ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি পূর্ণিমা থিতির জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে সাগরের জোয়ারের পানি বেড়েছে ৭-৮ ফুট।

    কক্সবাজারের সর্বত্র গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে হোটেলেই বন্দি সময় পার করছেন টানা তিনদিনের জন্য বেড়াতে আসা পর্যটকরা। ঘরবন্দি হয়ে আছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

    অপরদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে গিয়ে আটকা পড়েছেন প্রায় ১২০০ পর্যটক। তবে তারা নিরাপদে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ।

    তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, বুলবুলের প্রভাবে যে কোনো দুর্যোগকালীন মুহূর্তে স্থানীয়দের পাশাপাশি আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদ রাখতে সাইক্লোন শেল্টার এবং বহুতল ভবনগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় পর্যটকদের আহার ও আবাসন নির্বিঘ্ন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়া না কাটা পর্যন্ত তাদের দেখভাল করা হবে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

    তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, দ্বীপেও বৃষ্টির পাশাপাশি হালকা বাতাস রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে।

    ঢাকা থেকে পরিবার-পরিজন মিলিয়ে ২৫ জনের দল নিয়ে তিনদিনের জন্য কক্সবাজারে ঘুরতে আসা মাহমুদুল হাসান। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বেড়াতে এসে এখন হোটেল রুমে বন্দি হয়ে আছি। কক্সবাজারে সংকেত কম হলেও বৈরী আবহাওয়া এবং বৃষ্টির কারণে টিমের নারী ও শিশু-কিশোররা বের হতে ভয় পাচ্ছে। তাই কোথাও ঘুরা হচ্ছে না।

    পর্যটকদের মাঝে তরুণরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বালিয়াড়িতে ঘুরলেও বেশিরভাগ পর্যটক হোটেল কক্ষেই সময় কাটাচ্ছে।

    কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, দুপুর ১২টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের এক টানা গতিবেগ রয়েছে ১৩০ কিলোমিটার। যেটি দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যহত রয়েছে। ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে।

  • ঘূর্ণিঝড় বুলবুল : সতর্ক বন্দর, বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সব জাহাজ

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুল : সতর্ক বন্দর, বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সব জাহাজ

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ৯ ও কক্সবাজার ৪ নম্বর সংকেত এবং ৭ ফুট পর্যন্ত জলচ্ছ্বাসের আশংকা করা হচ্ছে।

    ফলে যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং। আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দরের মূল জেটির জাহাজগুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বহির্নোঙরে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাতটার মধ্যে জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে দিয়ে সাগরের গভীর নোঙ্গরে পাঠানো হয়েছে।

    ফাইল ছবি

    তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলো শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইয়ার্ড ও জেটিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলোকে রশি দিয়ে বেঁধে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে এলার্ট ফোর জারি করা হওয়ায় বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলো কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

    আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বন্দর চ্যানেল নিরাপদ রাখতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলেও তিনি জানান।

    তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের স্বাভাবিক বার্তা না আসা পর্যন্ত বন্দরে কন্টেইনার উঠানামা, খালাস ও ডেলিভারিসহ সব ধরণের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সমুদ্র শান্ত ও স্বাভাবিক হলে বন্দরের কার্যক্রমও পুনরায় স্বাভাবিকভাবে চালু করা হবে। আরো খবর : মোংলা ও পায়রায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রামে ৯

    শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার সকাল পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আকারে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

    ফাইল ছবি

    আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

    এর প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শনিবার (৯ নভেম্বর) ভোর থেকে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এছাড়া এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।

    ঝড়ের সঙ্গে উপকূলীয় জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। চট্টগ্রামকে ৯ নম্বও বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। আরো খবর : জরুরি প্রয়োজনে সরকারি কন্ট্রোল রুমের ফোন নাম্বার

    এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সারা দেশে নৌযান ও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। সেন্টমার্টিনে সহ¯্রাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। উপকূলে সতর্কতা বাড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক।

    শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

    চট্টগ্রামে দুর্যোগ মোকাবেলায় যেকোন পরিস্থিতিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌ বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-৭২৬৯১৬ এ যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

  • ভুল চিকিৎসার অভিযোগ : মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে পিএসসি পরীক্ষার্থী ইয়ামিন

    ভুল চিকিৎসার অভিযোগ : মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে পিএসসি পরীক্ষার্থী ইয়ামিন

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : চট্টগ্রামের হালিশহর ছোটপুল ব্রীক ফীল্ড রোড এলাকার ইয়াকুবের ছেলে ইয়ামিন (১২)। সে ছোটপুল সিটি স্কুলের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র।

    আগামী ১৭ নভেম্বর পিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিলো। পরীক্ষা দেয়া তো দুরে থাক বর্তমানে ঢাকার অ্যপোলো হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ইয়ামিন।

    অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হওয়ার পর ইয়ামিনের পরিবার বুঝতে পেরেছে তাদের সন্তান ভুল চিকিৎসায় কষ্ট পাচ্ছে। ফলে স্থানীয় ডাঃ সৈয়দ মোহাম্মদ মাহাম্মদ জাফর হোসাইনের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে হালিশহর থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইয়ামিনের পরিবার।

    এসব তথ্য ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ভুক্তোভোগী ইয়ামিনের চাচা বাবুল। তিনি বলেন, গত ৩১ অক্টোবর স্কুলে ছিলো ইয়ামিন। হঠাৎ চোখে যন্ত্রনা শুরু করলে সে বাসায় চলে আসে।

    সেদিন ইয়ামিনকে স্থানীয় ডাঃ সৈয়দ মোহাম্মদ মাহাম্মদ জাফর হোসাইনকে দেখানো হয়। বাবুলের অভিযোগ কোন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই এন্টিবায়েটিক ঔষধ প্রয়োগ করে ওই চিকিৎসক। তার দেয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষুদ সেবনের পর ইয়ামিনের পুরো শরীর লাল বিচি দেখা দেয়। অসহ্য যন্ত্রনায় চিৎকার করতে থাকে ইয়ামিন।

    পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় ইসলামিক ব্যাংক হাসপাতাল এরপর ২ নভেম্বর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হই।

    সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইয়ামিনের অবস্থা গুরুতর বললে ৪ নভেম্বর ঢাকা এ্যাপোলে হাসপাতালে নেওয়া হয় ইয়ামিনকে। চট্টগ্রাম এবং ঢাকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন ঔষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়ায় ইয়ামিনের এই অবস্থা।

    তিনি ডাঃ সৈয়দ মোহাম্মদ মাহাম্মদ জাফর হোসাইন এর বিরুদ্ধে ইয়ামিনের পরিবারের পক্ষ থেকে হালিশহর থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে  জানান।

    এই বিষয়ে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। আমরা এই ব্যাপারে তদন্ত করে দেখছি।

    এ্যাপোলোর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ঔষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়ায় ইয়ামিনের এই অবস্থা। প্রসাবের সাথেও রক্ত বের হচ্ছে। আল্লার উপর ভরসা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এমন খবরে ইয়ামিনের পরিবার স্বজন এবং এলাবাসীর মাঝে হতাশা এবং ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

    এদিকে এ বিষয়ে জানতে ডাঃ সৈয়দ মোহাম্মদ মাহাম্মদ জাফর হোসাইন এর মোবাইল ০১৮৬০….৮৫ ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

  • সেই চেয়ারে আর বসবেন না সাংসদ বাদল!

    সেই চেয়ারে আর বসবেন না সাংসদ বাদল!

    পুজন সেন, বোয়ালখালী :  চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের মরদেহ দেশে আসবে কাল শুক্রবার (৮নভেম্বর)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাংসদের ছোট ভাই মনির উদ্দিন আহমদ খান।

    সাংসদ বাদলের মৃত্যুর সংবাদে গ্রামের বাড়ি সারোয়াতলীর খান মহলে শুনশান নিরবতা। খান মহলের সামনে চলছে শেষ বারের মতো প্রিয়মুখ বাদলকে শ্রদ্ধার সাথে বিদায় জানানোর প্রস্তুুতি। খান মহলে অন্দরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর ভাই বোন স্বজনরা। ৫ ভাই ও ৩ বোনের মাঝে বাদল তৃতীয়।

    কথা হয় সাংসদের ছোট ভাই মনির উদ্দীন আহমদ খানের সাথে। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বাড়িতে আসলে ড্রয়িং রুমে সেই চেয়ারে তিনি (বাদল) আর বসবেন না। ভাইটি সেতুর জন্য পদত্যাগ করবেন বলেছিলেন। পদত্যাগের আগেই পরপাড়ে চলে গেলেন তিনি।

    তিনি জানান, বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান পিপলস ত্রিদেশীয় কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে এ কমিটি সভায় যোগ দিতে তিনি গত ১৮ অক্টোবর কলকাতা যান। এরপর ২৫ অক্টোবর বেঙ্গালুর নারায়ণা হৃদয়ালয়ে চেকআপ করাতে যান।

    সেখানে তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ব্রেন স্টোক করেন এবং তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পরে। তখনই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।

    এরই মধ্যে বাড়ির পাশের পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত পিতা-মাতার পাশেই দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মরদেহ দেশে পৌঁছলেই জানাযার সময় নির্ধারণ করা হবে।

  • সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    সিংহপুরুষ মাঈনুদ্দিন খান বাদল, বেঁচে থাকবেন হৃদয়ের মনিকোঠায়-নওফেল

    রাজীব সেন প্রিন্স : 
    মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও পার্লামেন্টারিয়ান মঈনউদ্দিন খান বাদল আর নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এ এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    প্রয়াত পিতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সাংসদ মাঈনুদ্দিন খানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ঠিক এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ও মহিউদ্দিনপুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার ১০টা ৫৭ মিনিটে তার ভেরিফাইড ফেসবুক ফেইজে আবেগঘন এক স্ট্যাটাসে এসব কথা উল্লেখ করেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের স্টাটাসটি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পাঠকের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।

    মাঈনুদ্দিন খান বাদল। বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় নেতা, অনলবর্ষী বক্তা, সংসদ সদস্য, বীর চট্টলার গৌরব, আরো অনেক কিছুতেই তাকে সম্বোধন করা যায়। না ফেরার দেশে তিনি আজ থেকে থাকবেন। ইন্না-লিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন। মনে হচ্ছে যেনো আবারো পিতৃহারা হলাম।

    দুবছর আগে হঠাৎ স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়েছিলেন যখন, তখন তার বন্ধু মহিউদ্দিন চৌধুরীও গুরুতর ভাবে অসুস্থ, হাসপাতালে। খুব আফসোস করতেন বন্ধুকে দেখে যেতে পারেননাই। অশ্রু সজল নয়নে স্মরণ করতেন। আজ থেকে আমরা তাকে স্মরণ করবো।

    চট্টগ্রামের স্বার্থে, মুক্তিযুদ্ধের স্বার্থে, দেশের সাধারন মানুষের স্বার্থে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে কোথায় ছিলোনা তার গর্জন? প্রথম তার সাথে আমার পরিচয় শৈশবে। এরশাদের দোর্দণ্ড শাসনের সময়। তৎকালীন পিজি হাসপাতাল, আজকের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের রাজবন্দীদের কক্ষে। আমার বাবা মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রিজন সেলের সহবন্দী ছিলেন। এরশাদের সাথে আপস করে মন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু বেছে নিয়েছিলেন বন্দী জীবন।

    আমাকে সমাজতন্ত্র শেখাতেন, দেখতেও ছিলেন স্টালিনের মত, ইম্পোজিং ব্যক্তিত্ব। আমার বাবার সাথে হাস্যরস আর গভীর রাজনৈতিক আলোচনায় মগ্ন থাকতেন। মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কাছ থেকে শুনতাম। পরবর্তীতে যখনই দেখা হতো, প্রতিবার তার কাছ থেকে শিখেছি।

    রাজনৈতিক আলোচনা যে শুধুই পদবির আর ক্ষমতার রাজনীতি নয় এবং রাষ্ট্রনীতি, আদর্শ, উন্নয়ন, এসবই হচ্ছে রাজনীতির মূল আলোচনা, বারবার তার সান্নিধ্যে এসে তা অনুভব করেছি এবং অনুপ্রাণিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে, তার সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্বের প্রশ্নে, সেই শৈশব থেকে দেখেছি অবিচল দৃঢ়তার সাথে তাকে বলতে।

    তিনি আর আমাদের মাঝে নাই। বাংলাদেশের রাজনীতি আরো একজন বিরল প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবিদ কে হারালো, এক অপূরনীয় ক্ষতি। জাতীয় সংসদ আর জাতীয় রাজনীতি, হয়তোবা এই সিংহের গর্জন আর শুনবেনা, কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ, বাংলাদেশের মানুষ, আদর্শিক রাজনীতির এই সিংহ পুরুষকে আজীবন স্মরণ করবেন। বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় মাঈনুদ্দিন খান বাদল, আমাদের হৃদয়ের মনিকোঠায়।

    নওফেল তার স্ট্যাটাসে প্রয়াত পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথে মাইনুদ্দিন খান বাদলের অপর একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, খালেদা সরকার যখন তার বাল্যবন্ধুকে দেয়া চট্টগ্রামের মানুষের ঐতিহাসিক জনরায় ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে তখন সারারাত জনতাকে জাগিয়ে রাখার গুরুদায়িত্ব নেয় বাদল। বিজয়ের হাসিতে মেয়র কামরান। এদের শ্রমে ঘামে আজকের অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল সরকারের ভীত রচিত হয়েছিলো।

    ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া মঈন উদ্দীন খান বাদল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম ৮ আসনের তিন তিন বারের সংসদ সদস্য। সংসদে অনলবর্ষী বক্তা হিসেবে খ্যাতি ছিল তার।

    বাদলের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলী গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গত ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হার্টফেল করায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাংসদ বাদলের ছোট ভাই মনির খান। দ্রুত সময়ের মধ্যে মরহুমের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

    ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা বাদল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বাঙালিদের ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্থান থেকে আনা অস্ত্র চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে খালাসের সময় প্রতিরোধের অন্যতম নেতৃত্বদাতা ছিলেন বাদল।
    মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাদল সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল গঠনেও বাদলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।

  • সীতাকুণ্ডে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ

    সীতাকুণ্ডে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ

    দেশের প্রধান সবজি উৎপাদনের ভান্ডার হচ্ছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড। সীতাকুণ্ডে চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন রকম সবজির চাষ হয়েছে। তবে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত উপজেলার প্রায় ১৯ হাজার কৃষক পরিবার।

    এ জেলার হাট-বাজার গুলোতে তেমন কোনো নিয়ন্ত্রন নেই বললে চলে। ফলে খুচরা দোকানীরা ৪০ টাকার সবজি তার দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন বলে প্রায় সময় ক্রেতা ও হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষকরা ক্ষোভের সাথে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে সিন্ডিকেটের থাবায় কৃষকদের সদ্য চাষকরা শীতকালীন সবজির প্রকৃত মূল্য পাবে কি পাবেনা তাও অনেকটা অনিশ্চিত।

    পৌরসভাস্থ মোহন্তের হাট বাজারে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকার তাদের পছন্দের শীতকালীন সবজি প্রতিটি শীত মৌসুমে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান করে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রিয়াজউদ্দিন বাজার, পাহাড়তলী,ওয়ার্লেস ঝাউতলা বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান আগত পাইকার।

    একটু ভাল দামের আশায় উপজেলার কৃষক পরিবার গুলো মৌসুম ছাড়াই আগাম বিভিন্ন রকম সবজির চাষ করে থাকেন। তবে পাইকারী বাজারে সবজির দাম কম থাকলেও খুচরা বাজারে কিন্তু অনেক বেশি। ফলে ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছে মত দাম নিয়ে অনেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে বলে ক্ষোভ বাজারে আসা একাধীক সল্প আয়ের ক্রেতাদের।

    এখানকার খুচরা দোকানীরা সবজিতে প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২০টাকা করে বেশি নিচ্ছেন। যা সাধারণ ক্রেতাদের অনেকটা হতাশ করে তুলছে।

    অভিযোগে জানা যায়, পৌরসদর মহোন্তের হাট, বড়দারোগা হাট, বাড়বকুণ্ড, শুকলালহাট, কুমিরা, ভাটিয়ারী, ফৌজদারহাটসহ উপজেলার অনেক হাটে কৃষকদের অধিক উৎপাদিত সবজি যখন সাপ্তাহিক হাটে নিয়ে আসেন। তখন এক ধরনের পাইকার তাদের কাছ থেকে খুব কমদামে সবজি ক্রয় করে বাইরে বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে সারা বছর সবজি চাষকরে যে লাভের কথা ভাবে কৃষক, তা আর হয়ে উঠেনা। এতে অধিক লাভবান হচ্ছেন পাইকার ও খুচরা দোকানি। মধ্যখানে শুধু লোকসান গুনতে থাকেন খেটে খাওয়া কৃষি পরিবারগুলো।

    এদিকে মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সাগরের বেড়িবাঁধ এলাকার পুরানো এক কৃষক মোঃ আলি ২৪ ঘন্টা যট নিউজকে জানান, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জমিতে ফসল উৎপাদন করেন তিনি। এবছর অন্তত ৫ একর জমিতে ছোট শশা ও শীতকালীন শিমের চাষ করেছেন। এতে তার শেষ পর্যন্ত খরচ পড়বে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা। পরিস্থিতি ও বাজার দর ভাল থাকলে তিনি কমপক্ষে ৮ লক্ষ টাকারও বেশি সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

    তিনি আরো বলেন, একটি সিন্ডিকেট ৬০ টাকার সবজি ৪০ টাকা করে বলেন। কাচা মাল পঁচে যাওয়ার ভয়ে আমরা কৃষক কম দামে পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেই। শুধুু তাই নয় ১০০ কেজি সবজি বিক্রি করলে ৮০ কেজির টাকা পাওয়া যায়। আর বাকি ২০ কেজি টাকা বিভিন্ন অযুহাতে বাদ দিয়ে দেন পাইকার সিন্ডিকেট।

    উপজেলা বিভিন্ন হাট বাজারে পাইকারী দামে কৃষক টমেটো বিক্রি করছে কেজি ৭০ টাকা, আর খুচরা বাজারে ১২০ টাকা, বেগুন ৩৫ ও খুচরা বাজারে কেজি ৫০, ঢেঁড়শ ৪০ খুচরা বাজারে ৫০, চিচিংগা কেজি ৩০, খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

    সীতাকুণ্ড উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্রনাথ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, বর্তমানে সবজি বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছে কৃষক। চলতি বছর সাড়ে ৫হাজার হেক্টর জমিতে ১৯ হাজার কৃষক তাদের নিজ নিজ জমিতে শিমসহ বিভিন্ন রকম শীতকালীন সবজির চাষ করেছেন। তার মধ্যে তিন হাজার হেক্টর জমিতে শিম ও আড়াই হাজার জমিতে অন্যান্য সবজির চাষ হয়েছে।

    তিনি বলেন চলতি মৌসুমে সবজি শিম প্রতি হেক্টরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ মেট্রিকটন। আর অন্যান্য সবজি হেক্টরে ৩৫ মেট্রিকটন।

  • পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত ১৫ জনের সিন্ডিকেট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তালিকা!

    পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত ১৫ জনের সিন্ডিকেট, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তালিকা!

    মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামের কারসাজিতে যুক্ত রয়েছে ১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটে রয়েছে টেকনাফ বন্দর, টেকনাফ উপজেলা, কক্সবাজার সদর এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ভিত্তিক পেঁয়াজ আমদানিকারক, সিএন্ডএফ, আড়তদার ও কতিপয় বিক্রেতা।

    এদের যোগসাজশে মিয়ানমার থেকে ৪২ টাকা দরে আমদানীকৃত পেঁয়াজ পাইকারী বাজার পর্যায়ে ৯০ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়িরা।

    আজ সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে আসে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এসব সিন্ডিকেটের তথ্য দেন খাতুনগঞ্জস্থ ব্যবসায়ীরা।

    সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অভিযান শুরুর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন, উপসচিব কর্তৃক জেলা প্রশাসন, কক্সবাজারের নিকট পেঁয়াজের দামে কারসাজিতে যুক্ত সিন্ডিকেটের তালিকাটি প্রেরণ করা হয়।

    তালিকায় কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার ৪ আমদানিকারক সজিব, মম (মগ), জহির ও সাদ্দাম। কাদের নামে একজন রয়েছে টেকনাফ স্থল বন্দরের সিএন্ড এফ অ্যজেন্ট এ। টেকনাফের পেঁয়াজ বিক্রেতা ফোরকান, দালাল শফি, বিক্রেতা গফুর, মিন্টু, খালেক, টিপু দখলে নিয়েছে পেঁয়াজের রাজত্ব।

    এদের সাথে যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আজমীর ভান্ডার, মেসার্স আল্লার দান স্টোর, নগরীর স্টেশন রোড নুপুর মার্কেটের মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজ, ঘোষাল কোয়ার্টার খাজা দস্তগীর ম্যানশনের নিচ তলার এ হোসেন ব্রাদার্স ও কক্সবাজারের টেকনাফ কে কে পাড়ার জেসি হাউজের মেসার্স আলীফ এন্টারপ্রাইজের মালিকরা।

    জানা যায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ ভিত্তিক উপরোক্ত সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আজ সোমবার বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই ও রিয়াজুদ্দিন বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের আড়তগুলো পরিদর্শন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপ-সচিব সেলিম হোসেন। এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

    আজকের অভিযানে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মাত্রাতিরিক্ত দামে মিয়ানমারের পেয়াজ বিক্রি করার দায়ে খাতুনগঞ্জের গ্রামীণ বাণিজ্যালয়কে ৫০ হাজার টাকা এবং রিয়াজুদ্দিন বাজারের রুহুল আমিন সওদাগরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তৌহিদুল ইসলাম এসব তথ্য ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, অভিযানে বিভিন্ন আড়তের নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মিয়ানমার থেকে পেয়াজের আমদানি মূল্য কেজি প্রতি পড়ছে ৪২ টাকা। ফলে পরিবহন খরচ, শ্রমিক খরচ, মুনাফা ও বিবিধ খরচসহ মিলিয়ে কেজিপ্রতি পাইকারি পর্যায়ে মিয়ানমারের পেয়াজের দাম ৫৫-৬০ টাকা দরে এবং খুচরা পর্যায়ে ৬৫-৭০ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশনা দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সেলিম হোসেন।

    অভিযানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিদা ফাতেমা চৌধুরী, র‍্যাব-৭, এপিবিএন, সিএমপি সদস্যগণ এবং বাজার পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

  • এবার জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে সীতাকুণ্ডের বাকপ্রতিবন্ধী দুইবোন ইরিনা-শারমিন

    এবার জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে সীতাকুণ্ডের বাকপ্রতিবন্ধী দুইবোন ইরিনা-শারমিন

    ইরিনা আক্তার ও শারমিন আক্তার দুইবোন। তারা জন্মগতভাবে বাকপ্রতিবন্ধী। কিন্তু এ প্রতিবন্ধকতা তাদের দমাতে পারেনি। কৃতিত্বের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করেছে পিএসসি। এবার তারা দিচ্ছে জেএসসি পরীক্ষা।

    অন্য আর ৫টি স্বাভাবিক শিশুর মতোই তারা লেখাপড়া শিখছে। সাধারণত বোবারা বোবা স্কুলেই লেখাপড়া করে। কিন্তু এ দুইবোন অন্য সব সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথেই স্কুলে পড়ালেখা করছে। তারা এবার সীতাকুণ্ডের দক্ষিণ সোনাইছড়ি মোস্তফা হাকিম কেজি এন্ড জুনিয়র হাই স্কুল থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, তারা দুইবোন হাতের ইশারায় সব কিছু বুঝে নেয়। বাকিটা বোর্ডে লিখে দিতে হয়। তারপরও শিক্ষকদের আলাদা একটা নজর তাদের দিকে দিতে হয়। সব শিক্ষকই তাদের প্রতি আন্তরিক। ফলে তারা এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে। তারা পিএসসি পরিক্ষায়ও ভালো রেজাল্ট করে।

    নগরীর কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, স্বাভাবিক অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে তারা পরিক্ষা দিচ্ছে। দেখে বুঝার উপায় নেই তারা দুইবোন যে বাক-প্রতিবন্ধি।

    সীতাকুণ্ড উপজেলার ৮ নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকার মো. আবদুল আজিজের ২ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে দুইজনই জন্মগতভাবে বাক প্রতিবন্ধি। ইরিনা আক্তার ও শারমিন আক্তার দুইবোন বাকপ্রতিবন্ধি হয়েও লেখাপড়ার পাশাপাশি ভাল ছবিও আঁকতে পারে।

    বাবা আব্দুল আজিজ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, তারা যে বাকপ্রতিবন্ধি এটা মানতে রাজি নয় তারা। ছেলেবেলা থেকেই লেখাপড়ার দিকে প্রচন্ড ঝোঁক তাদের। প্রথম প্রথম ভেবেছিলাম পড়ালেখা ওদের ভাগ্যে সম্ভব নয়। কিন্তু সে ধারণা পাল্টে গেছে আমার। এখন ভাবছি যত কষ্টই হোক লেখাপড়া করিয়েই ওদেরকে বড় দেখতে চাই।

    ইরিন ও শারমিনের বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা হাকিম কেজি অ্যান্ড জুনিয়র হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘ইরিনা ও শারমিন একসময় ব্র্যাক স্কুলে পড়লেও ওই স্কুলের শিক্ষকেরা তাদেরকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি। এজন্য খুব কান্নাকাটি করছিল শুনে আমি গিয়ে তাদেরকে আমার স্কুলে ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছি।

    ভর্তির পর দেখলাম তাদের মেধা ভালো। ইশারাতেই প্রায় সব বোঝতে পারে। বলেও ইশারায়। কিছু না বোঝলে বোর্ডে লিখে দিলে তারা বোঝে নেয়। সকল শিক্ষক এখন তাদের বুঝতে পারেন। সেভাবেই পড়াচ্ছেন তারা। শিক্ষকদের নির্দেশনা বোঝতে পারে বলেই সফলতার সাথে পড়াশোনা করে পাস করে যাচ্ছে।

    ৫ম শ্রেণির প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ওরা ভালোভাবেই পাস করে গেছে। জেএসসি পরীক্ষায়ও তারা ভালো ফলাফল করবেন আশা প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ‘ইরিন ও শারমিনের কথা জানতে পারার পর মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলম মনজু যতদিন তারা পড়াশোনা করবে তাদেরকে বিনা বেতনে পড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

    আমি এবং স্কুলের শিক্ষকরা যতদিন এখানে আছে আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাব।

  • ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালাল মুনাফালোভী, ১১০ থেকে এক লাফে ৭০ টাকায় পেঁয়াজের কেজি

    ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালাল মুনাফালোভী, ১১০ থেকে এক লাফে ৭০ টাকায় পেঁয়াজের কেজি

    পেঁয়াজের বাজারমূল্য মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে আজ বাংলাদেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চতুর্থ দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    অভিযানের খবর পেয়ে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে মিয়ানমারের পেয়াজ নিয়ে নতুন উপায়ে কারসাজির সাথে জড়িত মুনাফালোভী কমিশন এজেন্টরা গা ঢাকা দিয়ে মার্কেট থেকে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে অভিযান চলাকালীন মাত্র দু ঘন্টার ব্যবধানে মিয়ানমারের পেয়াজ ১১০ টাকা কেজি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৭০-৭৫ টাকা দরে নেমে আসে।

    আজ রবিবার বিকেল ৪ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। এসময় আমদানিকারকদের কাছ থেকে ক্রয় মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে খাতুনগঞ্জের চার আড়তদারকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের সদস্যরাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করেন।

    জানা যায়, অভিযানের সময় দোকানে সংরক্ষিত কাগজপত্র পরীক্ষা করে মিয়ানমারের পেয়াজের দামে কারসাজি ও প্রতারণার প্রমাণ পাওয়ায় মেসার্স খাতুনগঞ্জ ট্রেডিংকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরো খবর : খাতুনগঞ্জে ফের অভিযান : চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

    অন্যদিকে প্রতারণামূলকভাবে মূল্য তালিকা থেকে অধিক দামে পেয়াজ বিক্রি করার অপরাধে মেসার্স হাজী অছি উদ্দিন সওদাগরকে ৪০ হাজার টাকা এবং মিয়ানমারের পেয়াজ আমদানি মূল্যের চাইতে মাত্রাতিরিক্তভাবে ১০০-১০৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি করার অপরাধে সৌমিক ট্রেডার্স ও বেঙ্গল ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

    এছাড়া খাতুনগঞ্জের আরো শতাধিক আড়ত পরিদর্শণ করে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার জন্য মুল্য নির্ধারণ করে দিয়ে শেষবারের মতো সতর্ক করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    প্রায় দুঘন্টার অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে আজ বাংলাদেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চতুর্থ দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আরো খবর : দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    তিনি বলেন, অভিযানে খাতুনগঞ্জের শতাধিক আড়ত পরিদর্শন করা হয়। এসব আড়ত পরিদর্শন করে পেয়াজের দামে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়। আমদানিকারক, কমিশন এজেন্ট ও আড়তদাররা বাজারে পর্যাপ্ত পেয়াজ মজুদ থাকা সত্ত্বেও দামে কারসাজি করছে।

    আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে এবং নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দর পাইকারিতে কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১১০ টাকা করে বিক্রি করছে কিছু আড়তদার। অতচ প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে মাত্র ৪২ টাকা।

    তিনি বলেন, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে খাতুনগঞ্জের চারটি আড়তকে মোট এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং প্রতিটি আড়তকে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

    অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানের সময় গা ঢাকা দেওয়া কারসাজির সাথে জড়িত কমিশন এজেন্টদের ব্যাপারে সরেজমিনে খাতুনগঞ্জ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অধিক নজরদারির জন্য র‌্যাব ও পুলিশকে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

    প্রসঙ্গত : চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। এরপর থেকে বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

    এরপর একেবারে আকাশচুম্বিতে উঠে পেঁযাজের দর। একলাফে পাইকারি বাজারে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৯০-৯৫ টাকায় পৌঁছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ও নিয়মিত তদারকিতে মাঝে সামান্য দরপতন হলেও ফের লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার।

    বর্তমানে পাইকারিতে সেঞ্চুরি পেরিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

  • প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের বাড়ি কিনতে হলো আ’লীগ কর্মীকে

    প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের বাড়ি কিনতে হলো আ’লীগ কর্মীকে

    প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের জায়গা আছে বাড়ি নেই এমন হতদরিদ্রদের জন্য সরকারীভাবে বাড়ি করে দেওয়ার প্রকল্পের অধীনে তৈরী বাড়ি কিনে নিতে হলো এক আওয়ামীলীগ কর্মীকে।

    এজন্য ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ মহিলা মেম্বার ও অন্যান্যদের দিতে হয়েছে ৪৫ হাাজার টাকা।

    চরম দরিদ্র ও ভিক্ষা করে খাওয়া ওবায়দুল হক নামের ওই ব্যক্তির কোন রকমে গচ্ছিত টাকা ও এনজিও’র ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে হয়েছে বাড়ির মূল্য বাবদ।

    এ ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চওড়া বাজার গুয়াবাড়ি এলাকায়।

    সরেজমিনে গেলে হতদরিদ্র ওবায়দুল হক জানায়, আমি আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত প্রান কর্মী। যা ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ জানেন। আমি ভিক্ষা করে কোন রকমে জীবন নির্বাহ করি। অথচ আমার কাছ থেকেই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়ি বরাদ্দের জন্য ৪৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলিফ ওরফে ফকির নিয়েছে ২৫ হাজার আর ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আখতারা বেগম ও তার স্বামী বাচ্চা বাউ এবং সুমন নামের এক আওয়ামীলীগ কর্মী মিলে নিয়েছেন ২০ হাজার টাকা। অনেক কষ্টে ভিক করে সঞ্চয় করা কিছু টাকা আর দুইটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তাদের টাকা দিয়েছি। এখন এনজিও’র ঋণের টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হচ্ছে।

    তিনি আরও জানান, উপরোক্ত ব্যক্তিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের কথা বলে এসব টাকা নিয়েছেন। একারণে আমি টাকা দিয়েই বাড়িটি নিতে বাধ্য হয়েছি। তাছাড়া বাড়িটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ হওয়ায় এখানে উন্নতমানের ইট ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করার কথা থাকলেও ৩ নম্বর গুড়িয়া ইট দিয়ে বানানো হয়েছে। সে সাথে মিস্ত্রির খরচ ও খাওয়া, মালামাল আনার ভ্যান ভাড়াও দিতে হয়েছে। বাড়ির মেঝেতে মাটি ভরাটের জন্য লেবারের মজুরিও দিয়েছি। এগুলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের করার কথা থাকলেও তার ছেলে বুলবুল চৌধুরী দায়িত্ব নিয়েও সকল খরচ আমাকেই বহন করতে হয়েছে।

    এ ব্যাপারে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলিফ ওরফে ফকিরের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাড়িটি মূলত: সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন আওয়ামীলীগের দরিদ্র সদস্যের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। একারণেই আমি ২৫ হাজার টাকা নিয়েছি। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেই আপনাকে জানানো হবে।

    ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আখতারা বেগম ও তার স্বামীর বাচ্চা বাউয়ের বাড়িতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি। এ কারণে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা রিসিভ না করায় তাদের কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    ঠিকাদার তথা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরীর ছেলে বুলবুল চৌধুরী জানান, বাড়ির কাজ শেষ। এখন আপনি ২ নম্বর ইট খুজতেছেন? কোথাও কোন ২ নম্বর ইট দিয়ে বাড়ির কাজ করা হয়নি। কাজ করার কথা চেয়ারম্যানের সেখানে আপনি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বাবার পরিবর্তে আমিই কাজটি দেখাশোনা করছি। তাতে সমস্য কী?

    সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, ওবায়দুল হক আওয়ামীলীগের একজন কট্টর সমর্থক। তার ব্যাপারে আমি জানি। সে খুবই গরীব। সৈয়দপুর উপজেলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ দুর্গোয ও ত্রাণ মন্তনালয়ের ৩০টি বাড়ির মধ্যে ৫টি বাড়ি আমি পেয়েছি। তার একটি ওবায়দুলকে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। এক্ষেত্রে কেউ যদি আমার নাম করে বা অন্যকোনভাবে ওই দরিদ্র ওবায়দুলের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে থাকে তাহলে তা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আমি আমার চেষ্টা মত কাজ করেছি। মেম্বার চেয়ারম্যানরা অনিয়ম করে থাকলে তার দায়ভার আমরা নিবো না।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, টাকা নেওয়ার কোন প্রশ্নই আসেনা। কেউ যদি নিয়ে থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর নিম্নমানের ইট দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। কেননা বাড়ি করার জন্য ইট আমরাই সংগ্রহ করে সরবরাহ করেছি। এখানে দুই নম্বরি করার কোন সুযোগ নেই।

    উল্লেখ্য, সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের ৫টি বাড়ি দেওয়ার নামে প্রকাশ্যে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম করার মাধ্যমে হরিলুট করা হয়েছে। বিষয়টি যেন ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে।

    তাদের বক্তব্য হলো যে বাড়ি প্রধানমন্ত্রী গরীব লোকদের জন্য বিনামূল্যে দিয়েছেন। সেই বাড়ি দেওয়ার নামে আওয়ামীলীগের লোকজনই যদি আওয়ামীলীগের লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেয়। তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা? এতে আওয়ামীলীগসহ সরকারের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।