Category: বিশেষ খবর

  • সীতাকুণ্ডে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ : খুশি ক্রেতা, খুশি জেলেরাও

    সীতাকুণ্ডে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ : খুশি ক্রেতা, খুশি জেলেরাও

    সীতাকুণ্ডের সদ্বীপ চ্যানেলের বিভিন্ন ঘাট দিয়ে জোঁতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ। তবে মহাজন বা দাদনদের হাতে জিম্মি উপজেলার প্রায় ৩৮ হাজার জেলে।

    সরকার ঘোষিত চিহ্নিত উপকূলীয় এলাকার ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রসহ সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ফলে এসময় উপজেলার মৎস্যজীবীরা ইলিশ ধরার জন্য সাগরে নামতে পারেনি।

    বেধে দেওয়া সময়ের পর সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর, বাঁশবাড়ীয়া, বোয়ালীয়াকুল, কুমিরা,সোনাইছড়ি, সলিমপুর, শেখেরহাট, মুরাদপুর, বাড়বকুন্ড, ভাটিয়ারী, ফৌজদারহাটসহ বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে পরিবারের সদস্যরা এখন ইলিশ শিকারে ব্যস্ত।

    জানা যায়, ইলিশ মৌসুম বলতে শ্রাবন, ভাদ্র, আশ্বিন এই তিন মাসকে বোঝায়। তবে মৌসুমের শুরুতে তারা ইলিশ শিকারে গহীন সাগরে অবস্থান করলেও মাছ না পেয়ে ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ে। ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার টানা ৬৫ দিন পর এবার উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে।

    নদীতে জাল ফেললেই জেলেদের জালে ধরা পরছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। মহাজন ও বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে জেলেরা মাছ ধরেন। এ অবস্থায় মাছের দাম ভালো থাকলে ঋণ পরিশোধে এ বছর জেলেদের সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তারা। গত দুুই/তিনদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমান ইলিশ ধরা পড়ছে।

    বেশি মাছ ধরা পড়াতে জেলেরা যেমন খুশি তেমনী দামও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় ক্রেতারাও খুশি। সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ঘাটে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিতে ৪/৫ টা ধরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কেজি এবং কেজিতে ১টি এমন ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪শত থেকে ৫শ টাকা কেজি দরে সীতাকুন্ড উপজেলা জুড়ে ৩৩টি জেলে পল্লীর প্রায় ৩৮ হাজার জেলে পরিবারের সদস্য রয়েছে।

    তবে সাগরে আগের মত জলদস্যুর উৎপাত দেখা না গেলেও ইলিশ মৌসুম ছাড়া অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা সাগরে। ফলে তারা সংসার চালাতে দাদনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। তাই দাদন সমস্যা রোধ করা না গেলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রুস্ত হবে সরকার, অন্যদিকে মাছ তথা আমিষ থেকে বঞ্চিত হবে সাধারন মানুষ।

    এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শামীম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা দাদনদের কাছে জিম্মি বিষয়টি শুনেছি। জেলে সম্প্রদায়ের মানুষগুলো অর্থের ভাবেই দাদনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জাল,নৌকা কিনে এবং সংসার চালায়। তাই তারা দাদনদের কাছে ইলিশ মাছ দিতে বাধ্য হচ্ছে।

    তবে এ বিষয়ে কোন জেলে সহযোগিতা চাইতে উপজেলায় আসেনি। বর্তমানে মৎস্য জীবীদের প্রয়োজন তারা অন্যত্র থেকে ঋণ নিয়ে জাল ও নৌকা কিনতে পারলে দাদনদের সাথে তাদের যে সমস্যা সেটা আর থাকবেনা। ফলে তারা মাছেরও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

    এদিকে গত কয়েক বছর ইলিশ মাছের অনেকটা আকাল ছিল সমুদ্রে। কিন্তুু এবার দেশের সবগুলো উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের মুখে হাসি। প্রতি ১৪ থেকে ১৫ বছর অন্তর এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলেও জানিয়েছেন সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা।

    দেশের অন্যান্য জেলার মত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডেও সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। লবণ ও বরফের দাম বেড়ে যাওয়ায় সব মাছ সংরক্ষণ করতে না পারায় ইলিশ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলেরা। অনেকেই তরতাজা মাছগুলো রেখে বাসি-পঁচা মাছ ফেলে দিচ্ছেন।

    উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের কুমিরাঘাট, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়াকুল, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফকিরহাট সাগরপাড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে-সেখানে পঁচে যাওয়া ইলিশ পড়ে আছে। এতে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। খালের পানিতেও প্রচুর পঁচা ইলিশ ভাসতে দেখা গেছে।

    জেলেরা তরতাজা ইলিশগুলো রেখে বাকি মাছ ফেলে দিচ্ছেন। কুমিরার জেলে নিতাই দাশ বলেন, গত তিন দিন এত বেশি মাছ পড়েছে যে অনেকে জালের কিছু অংশ কেটে সাগরে ফেলে দিয়ে এসেছেন। অনেকে জাল থেকে মাছ খুলতে না পারায় জাল-মাছ একসঙ্গে তীরে নিয়ে এসেছেন। এ সময় পঁচে যাওয়ায় অনেক মাছ ফেলে দিতে হচ্ছে।

  • পেঁয়াজ এখন রড সিমেন্টের দোকানে! অভিযানে ৫টন জব্দ

    পেঁয়াজ এখন রড সিমেন্টের দোকানে! অভিযানে ৫টন জব্দ

    কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির আশায় কমদামে পেঁয়াজ নিয়ে কিনে মজুদ করে রেখেছে এক ব্যবসায়ি। এমন অভিযোগ পেয়ে হাটহাজারী পৌরসভার পুড়াহাট এলাকায় আমির হোসেনের মালিকানাধীন একটি রড সিমেন্টের গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।

    ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে হাটহাজারী থানার দক্ষিণ পাশের একটি রড সিমেন্টের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে মিলে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় রড সিমেন্টের ব্যবসার আড়ালে এ পেঁয়াজের আড়তের জন্ম হয় মাত্র ৪ থেকে ৫ দিন আগেই। ১৪ টন পেঁয়াজ মজুদ করা হয় এ গোডাউনে।

    এ আড়ৎ থেকে স্থানীয় বাজারে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার তথ্য নিশ্চিত করলেও পাইকারী বাজার থেকে কত করে পেঁয়াজ ক্রয় করেছে তার সঠিক কোন হিসেবে বা নথিপত্র দেখাতে পারেনি আড়তদার। তিনি একবার ৬০ টাকা আবার ৬৫ কিছুক্ষন পর ৬৮ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজগুলো ক্রয় করেছেন বলে ভ্রাম্যমান আদালতকে তথ্য দিয়েছেন।

    ফলে রড সিমেন্টের এ গোডাউন থেকে প্রায় ১শত বস্তা ৫টন পেঁয়াজ জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ করায় পেঁয়াজের পাইকারী ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।

    আড়তদারের সাথে কথা হলে তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, তিনি ৬৮ টাকা কেজি ধরে ১৪ টন পেঁয়াজ কিনেছেন তবে তাকে কোন ধরনের রশিদ দেয়া হয়নি। তিনি বলছেন পেঁয়াজ যিনি আমদানি করেছে এবং এলসি’র মাধ্যমে এসব পেঁয়াজের চালান যার মাধ্যমে কাটা হয়েছে তারা একটি দর ধরে শুধুমাত্র স্কেলে ওজন মেপে মৌখিকভাবে তাদের কাছে পেঁয়াজগুলো হস্তান্তর করেছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, পেঁয়াজের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্দ্যেশে মজুদ করেছেন ব্যবসায়ি আমির হোসেন। মনিটরিংয়ে এসে তার কাছ থেকে পাওয়া বক্তব্য মোটেও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। কোন ধরনের কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় ৫টন পেঁয়াজ জব্দ করা হয়েছে।

    হাটহাজারীতে এ ধরনের অসংখ্য গুদামে পেঁয়াজ মজুদ রাখা আছে জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, যারা মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করার মত অসাধু পথ অবলম্বন করবেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিয়ান অব্যাহত রেখে প্রত্যেক অসাধু ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত এবং বাজারেও যথেষ্ট পেঁয়াজ আছে জানিয়ে এ নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে হাটহাজারীবাসির বিভ্রান্তিতে পড়ার কোন সুযোগ নেই।

    জব্দকৃত পেঁয়াজগুলো কি করা হবে এমন প্রশ্নে রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, এ গোডাউন থেকে একশ বস্তা প্রায ৫টন পেঁয়াজ জব্দ করা হয়েছে। আড়তদার যদি তার পেঁয়াজ ক্রয়ের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারে এবং তা সুলভ মূল্যে বিক্রি করার অঙ্গিকারনামা দিলে জব্দকৃত পেঁয়াজগুলো তাকে পুনরায় ফেরত দেওয়া হবে।

  • ক্যাসিনো সেলিম মাসে কোটি টাকা পাঠাতেন তারেকের কাছে!

    ক্যাসিনো সেলিম মাসে কোটি টাকা পাঠাতেন তারেকের কাছে!

    অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান গ্রেফতার হওয়ার পর বেরিয়ে এসেছে আরো চমকপ্রদ সব তথ্য।অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় রিমান্ডে থাকা বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার ডান হাত ছিলেন সেলিম প্রধান। এছাড়া বাবা হান্নান প্রধানসহ তার পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সেলিমের রয়েছে দারুন সখ্যতা। যা এখনো আর্থিক লেনদেন ও নানা অনৈতিক কর্মকাল্ডে দুজনের সম্পর্ক টিকে রয়েছে।

    গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মনিপুরীপাড়ার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া আটক হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে লোকমানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে গোপনে দেশ ত্যাগের উদ্দ্যেশে যাত্রীবাহী বিমানটি ছাড়ার আগ মূর্হুতে তাকে আটক করা হয়।

    জানা যায়, বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার হাত ধরেই মোহামেডান ক্লাবের সহসভাপতির দায়িত্ব পান সেলিম। তবে দায়িত্ব পালনকালেও লোকমানের ক্যাশিয়ার হিসেবেই নিয়োজিত ছিলেন সেলিম। তাছাড়া লোকমানের হাত ধরেই রমরমা ক্যাসিনো ব্যবসা চালু করেন সেলিম প্রধান। শুরু করেন অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনো ব্যবসা।

    নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা সেলিম বর্তমানে থাকতেন ঢাকার মোহাম্মাদপুরে নূরজাহান রোডের একটি বাসায়। সেখান থেকেই পরিচয় লোকমানের সাথে। শুরু হয় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা।

    র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপরাশেন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার বলেন, অনলাইনে কয়েন বিক্রি করে ক্যাসিনো খেলায় জুয়ারিদের উদ্বুদ্ধ করতেন সেলিম। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুলেছিলেন গোপন ক্যাসিনো। এসব অর্জিত টাকা পাচার করতেন বিদেশে।

    র‌্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, লোকমান ছাড়াও সেলিম প্রধানের সাথে অন্যতম ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে। যার হাত ধরেই ক্যাসিনো থেকে আয় করা কোটি কোটি টাকা তিনি বিদেশে পাচার করতেন। আর এ টাকার বড় একটা অংশ যেত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। এমনকি প্রতি মাসে তারেক রহমানকে এক কোটি টাকা পাঠাতেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। থাইল্যান্ডে সেলিমের নিজস্ব বাড়ি ও হোটেল রয়েছে বলেও সূত্র পেয়েছে র‌্যাব।

    জানা যায়, ক্যাসিনো ব্যবসার পাশাপাশি অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন সেলিম প্রধান। তারেকের নৈশ পার্টিতে সুন্দরী নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চত করতেন এ সেলিম। এছাড়া বিউটি পার্লারে যেসব ভিআইপিদের আনাগোনা ছিল, তাদের মনোরঞ্জনের জন্য সেলিম ইউরোপিয়ান দেশগুলো থেকে তরুণীদের নিয়ে আসতো বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

    জানা গেছে, অনালাইনে কয়েন বিক্রি করে ক্যাসিনো ব্যবসা চালাতেন সেলিম। এ ব্যবসার জন্য প্রধানগ্রুপ নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখানে উল্লেখ আছে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর লাইভ ক্যাসিনো মার্কেট পি২৪ লিমিটেড নামের গেমিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়। গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর রোডের ১১/এ বাংলাদেশ অফিসের ঠিকানা ব্যবহার করা হয় ওয়েবসাইটে। কর্পোরেট অফিসের ঠিকানায় উল্লেখ করা হয় ডি-১ মমতাজ ভিশন, গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর রোড ১১/এ। এছাড়া বিদেশি ঠিকানায় ১৬৫/৯৬ মো ১০, সুরাসাক, শ্রী রাখা, চনবুন থাইল্যান্ড, ২০১১০ ব্যবহার করা হয়েছে।

    সেলিম আটক হওয়ার পর তার দেয়া তথ্যমতে যে ভবনে পি২৪ এর অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালনা করতেন, গতকাল সোমবার রাতে র‌্যাব গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর সড়কের ১১/এ নম্বর অনুযায়ী ওই ভবনে অভিযান চালায়।

    সেলিমের গুরু বিসিবির পরিচালক লোকমান ভূঁইয়াকে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে আরো দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। পূর্বের রিমান্ড শেষ হলে সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে আবারও ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। (সুত্র : একুশে টিভি)

  • ওয়ান ইলেভেনের মতো ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান-প্রধানমন্ত্রী

    ওয়ান ইলেভেনের মতো ঘটনা পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান-প্রধানমন্ত্রী

    দেশে ওয়ান ইলেভেনের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তির কোন সম্ভাবনা নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং জনগণ যেন উন্নয়নের সুফল পায় সে কারণেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে অভিযান চালানো হচ্ছে।

    নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে ৭৪ তম জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ দিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বলাই যায় (স্পষ্টত) যে, ওয়ান ইলেভেন পুনরায় ঘটবে না। যদি কোনও অনিয়ম থেকে থাকে, আমি ব্যবস্থা নেব, আমরা ব্যবস্থা নেব এবং সে যেই হোক না কেন, এমনকি তারা আমার দলের হলেও। যদি আমি দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিতে চাই, আমার ঘর থেকেই তা আগে শুরু করতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্প প্রস্তুতি থেকে শুরু করে প্রকল্পের কাজ পাওয়ার জন্য অর্থ বিতরণের সুযোগ নিয়ে কিছু লোক বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছেন। এই অর্থ চটের বস্তাতেও লুকিয়ে রাখা হচ্ছে এবং ওয়ান ইলেভেনের পট পরিবর্তনের পর আমরা এটা দেখেছি।

    জনগণের জন্যই তার রাজনীতি এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় এসেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সব সময় জনগণের মঙ্গলের কথাই চিন্তা করি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। ঋণ খেলাপি কমিয়ে আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। বলেন, ‘দেশে চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে অনেকেই অখুশি, কিন্তু কিছু করার নেই। দুর্নীতি করে কোনো অপরাধীই ছাড় পাবে না। এমনকি দলীয় লোক হলেও ছাড় পাবে না। দেশে আর যেন ওয়ান ইলেভেন না হয়, সে কারণেই দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। জুয়া ও ক্যাসিনো সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের আবারও সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) নূর-ই এলাহী মিনা।

  • ছিলেন রিকশা চালক,পরিচয় দেন যুবলীগ নেতা এখন ছিনতাইকারী

    ছিলেন রিকশা চালক,পরিচয় দেন যুবলীগ নেতা এখন ছিনতাইকারী

    চারজনের গ্রুপ। বয়স ২৫ থেকে ৫০। সাধারণ মানুষের মতোই ভদ্রবেশে নগরীর বিভিন্ন অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায় তারা রিকশায় চড়ে। চিপাচাপা গলিতে ঢুকে ভাবখানা হয়ে যায় অন্যরকম, চলাফেরায় রুপ নেয় ভিন্ন স্টাইলে আর তখনই নিজেদেরকে যুবলীগ নেতা দাবী করে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। কথা বলতে বলতেই লোকের পকেট হয়ে যায় ফুটো।

    যুবলীগের পরিচয় দেয়া এসব ভদ্রবেশি মুখোশধারীর আসল পেশা ছিনতাকারী। চট্টগ্রাম মহানগরীর অন্তত শতাধিক ছিনতাই ঘটনার সাথে তারা জড়িত। আর যুবলীগ নেতা পরিচয় বহন করা এসব লোকের মুখোশটি উন্মোচন করেছে নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। অস্ত্রসহ গ্রুপ লিডার নজরুল ইসলামসহ গ্রুপের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করার পর তাদের স্বীকারোক্তিতেই বেরিয়ে আসে এসব অজানা তথ্য।

    পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় গ্রুপটি অস্ত্র নিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশে নগরীর বৌদ্ধ মন্দির লাভলেইন এলাকায় অবস্থান করছে গোপন তথ্য পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরি ওয়ান শুট্যার গান, স্টিলের ছোরা, টিপ ছোরা, তাদের ব্যবহৃত একটি ব্যাটারি চালিত রিকশা, তিনটি বিভিন্ন ব্যাংকের মাস্টার কার্ড ও তিনটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নজরুল ইসলাম (৫০), গাজী মো. তমিজউদ্দিন (৪৮), মো. হাসান ওরফে হারুন (২২) ও মিঠুন নায়ক (২৬)।

    এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান। তিনি ছিনতাইকারী চক্রের মূল দলনেতাসহ পুরো গ্রুপকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতার ছিনতাকারী চক্রটির মধ্যে নজরুল মুল দলনেতা। নজরুল এর আগে সিএনজি অটো রিকশা চালক ছিলেন। রিকশা চালকের ভেসে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ঘটনায় সে চিহ্নিত হয়ে যায়। এর আগে পুলিশের হাতে ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধে ৬ বার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন নজরুল।

    কারাগার থেকে বের হয়ে আবারো সে ছিনতাই কাজে পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেন। তবে এবার খোলশটা একটু বদলে ফেলেছে। ছিনতাইয়ের নতুন কৌশল হিসেবে তমিজ উদ্দিন নামে ৪৮ বছর বয়সী আরো এক ব্যাক্তিকে তার সাথে নিয়েছে। দুজনে নিজেদের যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে রিকশা চালক হাসান ও মিঠুনকে সাথে রেখে নতুন উদ্দ্যেমে নগর জুড়ে ছিনতাইকাজ পরিচালনা করে আসছে।

    কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, রোববার সন্ধ্যায় নগরীর লাভলেইন এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে অভিনব ছিনতাইকারী চক্রটির পুরো গ্রুপকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    গ্রেফতারের পর চক্রটির দলনেতা জানিয়েছে পাঁচলাইশ এলাকার স্থানীয় কিছু যুবলীগ নেতার সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময়ে মিছিল-সমাবেশে যোগ দিতেন নজরুল। সেটাকেই পুজি করে ছিনতাইয়ের নতুন কৌশল হিসেবে নিয়ে নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ছিনতাই করতেন।

    ওসি বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পোশাকে পরিপাটি হয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা করে ঘুরে বেড়াতো নজরুল ও তমিজ। নির্জন এলাকায় লোকজনকে টার্গেট করে রিকশা থেকে নেমে নিজেদেরকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে তাদের সাথে কথা বলতেন।

    কথা বলার ফাঁকে রিকশা চালক ভেশে ছিনতাইকারী চক্রের অপর সদস্য এবং গ্রুপের অন্য সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার মোবাইল, মানিব্যাগ ও অন্যান্য দামি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতো। ঠিক এভাবে গত এক মাসে নগরীর কোতোয়ালী, সদরঘাট থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা শতাধিক ছিনতাই করেছে বলে জানান ওসি মহসিন।

    রাজীব সেন প্রিন্স..

  • দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত: প্রধানমন্ত্রী

    দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত: প্রধানমন্ত্রী

    দুর্নীতি না হলে দেশের চেহারা পাল্টে যেত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফাঁকফোকর কোথায় এবং কারা উন্নয়ন প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

    আর অসৎ দুর্নীতি-অনিয়ম-উচ্ছৃঙ্খলতায় জড়িত থাকলে দলের লোকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

    শনিবার বিকেলে নিউ ইয়র্কের ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য আসে।

    তিনি বলেন, “আমি একটা কথা স্পষ্ট বলতে চাই, এই অসৎ পথ ধরে কেউ উপার্জন করলে, অনিয়ম, উচ্ছৃঙ্খলতা বা অসৎ কাজে যদি ধরা পড়ে, তবে সে যেই হোক না কেন, আমার দলের হলেও ছাড় হবে না, এর বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যহত থাকবে।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ব্যাপকভাবে উন্নয়ন প্রকল্প নিচ্ছি। যে পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প আমরা নিচ্ছি, তার প্রতিটি টাকা যদি সঠিকভাবে ব্যয় হত, ব্যবহার হত, আজকে বাংলাদেশ আরও অনেক বেশি উন্নত হতো পারত।

    “এখন আমাকে খুঁজে বের করতে হবে এখানে কোথায় লুপহোল, কোথায় ঘাটতিটা, কারা কোথায় কীভাবে এই জায়গাটা ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”

    চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এক দলীয় সভায় ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এরপর ঢাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের তত্ত্বাবধানে ক্যাসিনো চালানোর খবর সংবাদমাধ্যমে এলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে ও বারে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব অভিযানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। কয়েকজনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে, বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

    প্রবাসীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বলেন, “যারা সৎভাবে জীবন যাপন করতে চায়, তাদের জন্য বা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য সৎভাবে জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে যায়, যখন অসৎ উপায়ে উপার্জিত পয়সা সমাজকে বিকলাঙ্গ করে দেয়।

    “কারণ একজনকে সৎভাবে চলতে গেলে তাকে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে চলতে হয়। আর অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে এই ব্র্যান্ড, ওই ব্র্যান্ড, এটা সেটা হৈ চৈ,… খুব দেখাতে পারে।”

    শেখ হাসিনা বলেন, “ফলাফলটা এই দাঁড়ায়, একজন অসৎ মানুষের দৌরাত্মে যারা সৎভাবে জীবন যাপন করতে চায় তাদের জীবনযাত্রাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ ছেলেমেয়েরা ছোট শিশু, তারাতো আর এতটা বোঝে না। ভাবে যে ওরা এইভাবে পারে তো আমাদের নাই কেন।

    “এটা স্বাভাবিক, তাদের মনে এই প্রশ্নটা জাগবে। ওত ছোট ছোট বাচ্চারা, তারা সৎ-অসতের কী বুঝবে। তারা ভাবে আমার বন্ধুদের এত আছে, আমাদের নাই কেন? স্বাভাবিকভাবে মানুষকে অসৎ উপায়ের পথে ঠেলে দেবে।”

    সমাজের এই যে বৈষম্য দূর করার জন্য সরকার ইতোমধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আরেকটা জিনিস আমি দেখতে বলে দিয়েছি, সেটা হল কার আয়-উপার্জন কত, কীভাবে জীবন যাপন করে, সেগুলো আমাদের বের করতে হবে।

    “তাহলে আমরা সমাজ থেকে এই ব্যাধিটা, একটা অসম প্রতিযোগিতার হাত থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে পারব, আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারব।”

    দুর্নীতি পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথাও অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান, সেটাও অব্যহত থাকবে। এই মাদক একটা পরিবার ধ্বংস করে, একটা দেশ ধ্বংস করে। এর সঙ্গে কারা আছে সেটাও আমরা খুঁজে বের করব। বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক দূর করে বাংলাদেশের মানুষকে আমরা উন্নত জীবন দিতে চাই।”

    জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস যে কেবল বাংলাদেশের সমস্যা না, গোটা বিশ্বের জন্যই যে এটি একটি হুমকি, সে কথাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এখন দেশের উন্নতির জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার।

    “জনগণের শক্তিই বড় এবং আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতেই বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নতি হয় এবং জনগণ উন্নত জীবন লাভ করে বলেই আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস আছে।”

    শেখ হাসিনা তার সরকারের সময় দেশের শিক্ষাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া এবং বাজেট বাড়ানোর কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

    এত উন্নয়নের পরও দেশে ‘একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী পরশ্রীকাতর’ আচরণ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশের উন্নয়নে যত ভালো কাজই করা হোক, তারা কখনোই ভালো বলবে না।”

    সেই ‘বুদ্ধিজীবীদের’ তিনি বিএনপির-জামায়াতের সময় দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির কথাও বলেন।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একজন রাজনৈতিক নেতা হতে হলে দেশের মানুষের

    কল্যাণে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।”

    ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা ও বাঙালির বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি, পাকিস্তানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা ধর্ষণ ও গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের প্ররোচনাতেই ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

    লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেভাবেই হোক সমুন্নত রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি তাদের দেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান এ অনুষ্ঠানে।

    জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুপুরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    আট দিনের এই সফর শেষে ১ অক্টোবর ভোরে প্রধানমন্ত্রীর দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

  • রামু ট্র্যাজেডির ৮ বছর : আটক সবাই জামিনে,বৌদ্ধরা শঙ্কিত

    রামু ট্র্যাজেডির ৮ বছর : আটক সবাই জামিনে,বৌদ্ধরা শঙ্কিত

    আজ সেই ভয়াল ২৯ সেপ্টেম্বর। ২০১২ সালের এ দিনে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়।

    ২০১২ সালের এই দিনে সাম্প্রদায়িক উগ্রপন্থীরা ঝলসে দিয়েছিল কক্সবাজারের রামু উখিয়ার বৌদ্ধ বিহার ও পল্লী। বিভীষিকাময় সেই রাতে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে প্রাণে বাঁচতে দিগবিদিক ছোটাছুটি করেছিলেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাজারো অসহায় নারী-পুরুষ।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে এ দিনে কক্সবাজারের রামুর ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘর এবং পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর উখিয়া ও টেকনাফে ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। লুট হয় প্রাচীন ও দূর্লভ অনেক বৌদ্ধ মূর্তি। এর পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর একই ধরনের হামলা সংঘটিত হয় উখিয়ার বিহারে।

    সে ট্র্যাজেডিরই আজ ৮ বছর পূর্ণ হলো। সেদিনের এ নারকীয় ঘটনাটির জন্য আজও বাংলাদেশের মাটিকে কলঙ্ক বহন করতে হচ্ছে। ঘটনার ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও ধরা পরেনি মূল অপরাধীরা। এতে শঙ্কায় আছেন বৌধ সম্প্রদায়ের মানুষ।

    তবে খুব কম সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে যাওয়া মন্দির, বিহার এবং বসতবাড়ী আধুনিক নকশা ও শৈলীতে দৃষ্টিনন্দন করে সংস্কার আর পুননির্মাণ করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এক বছর পার না হতেই দিগন্ত মাথা তুুলে দাঁড়িয়েছে নবনির্মিত বৌদ্ধ মন্দিরগুলো। এই নির্মাণ শৈলী বৌদ্ধদের হৃদয় মন্দিরে দিয়েছে দোলা। ভূলিয়ে দিয়েছে অতীতের সকল যাতনা।

    জানা যায়, এই দুই দিনে রামু ও উখিয়ার ১৯টি বৌদ্ধ বিহার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৮টি মামলা করেন। ঘটনার পর ৯৯৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বিচারাধীন ১৮টি মামলায় সাক্ষী না পাওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। এ নিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছুটা হতাশা আর আতঙ্ক রয়েছে।

    উপযুক্ত সাক্ষীর অভাবে মামলাগুলোর বিচার কাজ শেষ করা যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত। দেশে-বিদেশে আলোচিত এই ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের একজনও বর্তমানে জেল হাজতে নেই। সবাই এখন জামিনে আছেন। এদের মধ্যে অনেকে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন।

    এতে মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগী বৌদ্ধ সম্প্রদায়। আতঙ্কে রয়েছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন। এ সম্প্রদায়ের নেতা অলক বড়ুয়া বলেন, ‘সমস্যা না হলেও আমরা একটু শঙ্কিত। কারণ মূল আসামি যারা তারা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে। সেজন্য আমরা শঙ্কিত।

    এদিকে রামুর ঘটনার ৮ বছর উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ভোর ৫ টায় বুদ্ধপূজা, সকাল ৭ টায় জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ৯টায় অষ্ট পরিষ্কার দান, দুপুরে অতিথি ভোজন, দুপুর ২ টায় শান্তি শোভাযাত্রা, সাড়ে ৩ টায় স্মরণসভা, সন্ধ্যা ৬ টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা। বৌদ্ধ মন্দিরে দেয়া আগুন নিভে গেছে। তবে সম্প্রদায়ের মনে যে ব্যাথার দাগ পড়েছে তা মুছবে কি কখনও।

  • রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার পরিষদে ৩৭-২ ভোটে বাংলাদশের জয়

    রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার পরিষদে ৩৭-২ ভোটে বাংলাদশের জয়

    মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার আশ্বাস দিলেও ঠিকই শেষ পর্যন্ত মিয়ানমারের পাশেই দাড়ালো চীন। রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়নের আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচারের আহ্বানসংবলিত প্রস্তাবকে একপেশে বলে অভিহিত করে এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মানবাধিকার পরিষদে ভোটাভুটির আহ্বান জানিয়েছিল চীন। একই সঙ্গে চীন ও মিয়ানমার সবাইকে প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

    ভোটের শেষে ফলে দেখা গেছে, চীন ও ফিলিপাইন ছাড়া কেউই ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়নি।

    ভারত, জাপান, নেপাল, কঙ্গো, ক্যামেরুন, অ্যাঙ্গোলা ও ইউক্রেন—এই সাতটি দেশ ‘অ্যাবস্টেইন’ ভোট দিয়ে কারো পক্ষ নেওয়া থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে ৩৭-২ ভোটে।

    ► মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইইউ ও ওআইসির যৌথ প্রস্তাব ৩৭-২ ভোটে গৃহীত
    ► রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচার ও রাষ্ট্রহীনতা দূর করতে হবে, মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নের তাগিদ

    ভোটের হিসাবে দেখা যায়, ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদে গতকাল মিয়ানমার ইস্যুতে ভোট দেয়নি কিউবা। জানা গেছে, কিউবার প্রতিনিধিরা ভোটের সময় অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা দৃশ্যত প্রস্তাবটির পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভোট দেওয়া থেকেই বিরত থেকেছেন। সাধারণত কিউবা সুনির্দিষ্ট কোনো দেশভিত্তিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে থাকে।

    ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে মিয়ানমারের পক্ষে এবারই সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের সমান্তরাল নীতিতে চলা রাশিয়া বর্তমানে মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নয়। প্রস্তাবসম্পর্কিত দেশ হিসেবে মিয়ানমার মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বক্তব্য দিলেও সদস্য না হওয়ায় ভোট দিতে পারেনি।

    বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান ও অন্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ বিষয়ে এবারের প্রস্তাবটি এনেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। গৃহীত প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যৌন অপরাধসহ সব ধরনের অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনসংশ্লিষ্ট সব আন্তর্জাতিক বিধান ও আন্তর্জাতিক বিচারপ্রক্রিয়া তথা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য তদন্তপ্রক্রিয়া জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে (আইসিসি) চলমান প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) শরণাপন্ন হওয়ার উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক পরিসরে উৎসাহিত করা হয়েছে।

    এ ছাড়া মিয়ানমারবিষয়ক ‘নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশনের’ প্রতিবেদনগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সব অঙ্গ-সংগঠনের বিবেচনার্থে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলমান সব প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে এরূপ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এখতিয়ারের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

    জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শামীম আহসান গতকাল সন্ধ্যায় ভোটের আগে মানবাধিকার পরিষদকে বলেন, মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। তবে, দুই বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার এখনো উত্তর রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

    গৃহীত প্রস্তাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী উত্তর রাখাইন অঞ্চলে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে নিজেদের আবাসস্থলে ফিরে যেতে উৎসাহিত করতে মানবাধিকার পরিষদ মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে প্রস্তাবে রোহিঙ্গারা ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের গুরুভার বহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।

    বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে এই প্রস্তাব একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে।

    ভোটের আগেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, মিয়ানমার তার অভ্যন্তরীণ বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সক্ষম। প্রস্তাবে কেবল একটি সম্প্রদায়ের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

    চীনা প্রতিনিধিও প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকসহ সাম্প্রতিক সময়ে যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো তুলে ধরতে এই প্রস্তাব ব্যর্থ হয়েছে।

    ফিলিপাইনের প্রতিনিধি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলে এই সংকটের মূল কারণগুলো সমাধানের ওপর জোর দেন। জাপানের প্রতিনিধি মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান।

  • সীতাকুণ্ডে ১৫ লক্ষ টাকার চোরাই সেগুন কাঠ জব্দ

    সীতাকুণ্ডে ১৫ লক্ষ টাকার চোরাই সেগুন কাঠ জব্দ

    জেলার সীতাকুণ্ডে চোরাই সেগুন কাঠসহ একটি কভার্ড ভ্যান আটক করেছে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফৌজদার হাট বিট-কাম-চেক ষ্টেশন।

    আজ শুক্রবার (২৭সেপ্টেম্বর) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট বিট-কাম-চেক ষ্টেশনের সামনে কাঠ বোঝায় কভার্ডভ্যান আটক করে বন কর্মকতারা। কভার্ডভ্যানটিতে অনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার চোরাই সেগুন কাঠ ছিল বলে জানায় বন কর্মকতারা।

    জানা যায় চট্টগ্রাম শহর থেকে চোরাই কাঠ বোঝায় করে ঢাকার উদেশ্যে যাচ্ছিল (ঢাকা মেট্রো ট ১৮-১৩৮৩) কভার্ডভ্যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভগের বিভাগীয় উর্ধতন বন কর্মকতার নির্দেশে ফৌজদারহাট বিট-কাম-চেক ষ্টেশনের ষ্টেশন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ, ফরেস্টার স্টেশনের অন্যান্য সহযোগী কর্মকতারাসহ কাঠ বোঝাই কভার্ড ভ্যানটি মাদামবিবির হাট থামানোর সংকেত দিলে গাড়ি চালক সংকেত অমান্য করে ঢাকার অভিমুখে দ্রুত গতিতে চলে যায়। বন বিভাগের কর্মকর্তরা গাড়িটির পিছনে মটর সাইকেল যোগে ধাওয়া করে, এক পর্যায়ে সীতাকুন্ড উপজেলার ভাঙ্গাপুল এলাকায় গতিরোধ করে, এসময় গাড়ির চালক ও হেলপার রাস্তার পার্শে কভার্ড ভ্যান রেখে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়।

    এই বিষয়ে বন আইনে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান। ষ্টেশন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ।

  • ইউনিসেফ অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রধানমন্ত্রী

    ইউনিসেফ অ্যাওয়ার্ড পেলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ’ সন্মাননায় ভূষিত করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল- ইউনিসেফ।

    বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের ইউনিসেফ ভবনে ‘অ্যান ইভনিং টু অনার হার এক্সিলেন্সি প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তার হাতে এ সন্মাননা তুলে দেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।

    এ সময় ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডর বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি টোয়েন্টির অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

    তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে।

    ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই সন্মান আমার একার নয়, বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে দেশের ও বিশ্বের সব শিশুদের। এ সম্মাননা তাদের উৎসর্গ করলাম।

    দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড এবং শিক্ষা ছাড়া কোনও জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার বিভিন্ন মাধ্যমের শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করেছে।

    তিনি উল্লেখ করেন, লাখ লাখ তরুণ তাদের দক্ষতার সঙ্গে আমাদের জীবন ও জীবিকা নির্বিঘ্ন করে চলেছে। একটি দায়িত্বশীল ও জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ গঠন করতে আমাদের অবিচল পদক্ষেপেরও প্রকাশ করে এই স্বীকৃতি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন যুবকদের সম্ভাবনা কাজে লাগানো ব্যতীত দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়। আমরা জ্ঞানসম্পন্ন একটি তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যারা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়তা করতে পারবে।

    তিনি উল্লেখ করেন, সরকার দক্ষতা উন্নয়নের দিকে গুরুত্বারোপ করেছে এবং যুবকদের যথাযথ জ্ঞান ও দক্ষতায় গড়ে তোলার করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। যুবসমাজকে নিজ নিজ কর্মসংস্থানের জন্য যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের নিজ নিজ কর্মসংস্থানের জন্যও উৎসাহ দিচ্ছি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য ইউনিসেফকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

    অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত এবং দেশের ক্রিকেট আইকন সাকিব আল হাসান বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই শিশুদেরকে নীতিমালার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে বাংলাদেশ। শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, শিক্ষায় শিশুদের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করার পাশাপাশি স্কুলে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। আর এই প্রচেষ্টায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    এই ক্রিকেট সুপারস্টার আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন, সরকারের নীতি ও কর্মসূচি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সাম্য এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্জনে আরও ভূমিকা রাখবে।

    তরুণদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে ‘ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট পলিসি বাস্তবায়ন’, শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ভূমিকার জন্য শেখ হাসিনার সরকারের প্রশংসা করেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর।

  • উখিয়ায় একই পরিবারের ৪ জনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

    উখিয়ায় একই পরিবারের ৪ জনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

    কক্সবাজারের উখিয়ায় একই পরিবারের চারজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পূর্ব রত্না এলাকার তালাবদ্ধ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

    নিহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত প্রবীণ বড়ুয়ার স্ত্রী সখি বড়ুয়া ও তার ছেলের বউ এবং নাতনী বলে জানান গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

    উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল মনছুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হত্যাকারীরা দরজা তালা লাগিয়ে দেওয়ায় বাড়ির ছাদ দিয়ে ঢুকে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।