Category: বিশেষ খবর

  • আগের চার কোটি টাকা জলে : ১২ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প

    আগের চার কোটি টাকা জলে : ১২ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প

    চট্টগ্রাম নগরীর জাতিসংঘ পার্কে আধুনিকায়নে আগের চার কোটি টাকা জলে গেলেও নতুন করে নেয়া হয়েছে প্রায় পৌনে ১২ কোটি টাকার প্রকল্প। পার্কটিতে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর। এ জন্য পূর্বের চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুটি সুইমিংপুল ও একটি জিমনেশিয়াম ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। গত ৪ জুলাই গণপূর্তের জাতিসংঘ সবুজ উদ্যান উন্নয়ন’ নামে এ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পের কাজ আগামী ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর উদ্যান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে গণপূর্তের চিঠি পাওয়ার পর সিটি করপোরেশন সুইমিংপুল-জিমনেশিয়াম অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

    সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ পার্কে গণপূর্ত অধিদপ্তর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ জন্য সুইমিংপুল ও জিমনেশিয়াম ভেঙ্গে ফেলতে হবে। এগুলো অপসারণের জন্য চলতি মাসেই নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। ঠিকাদার নিয়োগের এক মাসের মধ্যে স্থাপনাগুলো অপসারণ করা হবে।

    প্রকল্পের বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে গতমাসের শুরু দিকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছেন। এখন চট্টগ্রামের গণপূর্ত অধিদপ্তর দরপত্র আহŸান করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে পার্কে থাকা দুটি সুইমিংপুল ও একটি জিমনেশিয়াম অপসারণ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেয়রকে চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়।

    গণপূর্ত অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ বলেন, জাতিসংঘ পার্কের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। পার্কের বিদ্যমান স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ব্যবহার উপযোগী ও আধুনিক সবুজ উদ্যান স্থাপনের জন্য সুপারিশ করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন।

    প্রকল্পের নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় ২ দশমিক ২৭ একর জায়গার ওপর জাতিসংঘ পার্কের অবস্থান। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ না করায় উদ্যানটি বর্তমানে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে উদ্যান ৩ থেকে ৪ ফুট পানির নিচে ডুবে থাকে।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে গণপূর্তের মালিকানা দ্ব›েদ্ব উদ্যোগটি স্থবির হয়ে পড়ে। পরে অবশ্য তা নিষ্পত্তি হয়।নতুন প্রকল্পের আওতায় সীমানাপ্রাচীর, প্রবেশ ফটক, অফিস, দোকান, টিকিট কাউন্টার ও শৌচাগার নির্মাণ করা হবে। হাঁটার জন্য থাকবে আলাদা পথ। বসার জন্য থাকবে আসন। থাকবে ঝরনা। এ ছাড়া উদ্যানে আসা শিশুদের জন্য খেলাধুলা ও শরীরচর্চার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা হবে।

    পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সভায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, জিমনেশিয়াম-সুইমিংপুল পরিকল্পিত ও মানসম্মতভাবে নির্মাণ করা হয়নি।

    জাতিসংঘ উদ্যানের দুটি অংশ। একটি অংশে রয়েছে জিমনেশিয়াম ও সুইমিংপুল। জিমনেশিয়াম-সুইমিং পুল সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। মূল ফটকে সব সময় তালা ঝোলানো থাকে। ভেতরে প্রবেশের সুযোগ নেই। সুইমিংপুল দুটি ময়লা পানিতে ভর্তি।

    উদ্যানের আরেকটি অংশের এক পাশে বৃষ্টির পানি জমে আছে। বসার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। মাটির স্তুপ ফেলা হয়েছে। এর মধ্যেই বিকেলে লোকজন ঘুরতে আসে।

    এদিকে সুইমিংপুল-জিমনেশিয়াম পরিকল্পিত ও মানসম্মতভাবে নির্মাণ করা হয়নি গণপূর্ত অধিদপ্তরের এমন অভিযোগ মানতে নারাজ চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র মনজুর আলম। তিনি বলেন, তাঁর সময়ে প্রকৌশলীদের পরামর্শ নিয়েই পরিকল্পিতভাবে সুইমিংপুল-জিমনেশিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।

    জিমনেশিয়াম ভবনটি সাত হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয়েছে। তবে জিমনেশিয়ামের ভেতরে শরীরচর্চার কোনো সরঞ্জাম নেই।

    ২০১৫ সালের জুন মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্থাপনাগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে। একই বছরের জুলাইয়ে সিটির নতুন মেয়রের দায়িত্ব নেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। মেয়র বদলের পর পার্কটির সুইমিংপুল-জিমনেশিয়াম কোনো কাজে লাগানো হয়নি। ২০১৬ সালে পার্কের মালিকানা নিয়ে গণপূর্তের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের বিরোধ দেখা দেয়।

    জে-আর/জে-এম

  • চট্টগ্রাম বন্দরের অকশন ইয়ার্ডের কন্টেইনারে পাওয়া গেলো মনোকুলারসহ বন্দুক

    চট্টগ্রাম বন্দরের অকশন ইয়ার্ডের কন্টেইনারে পাওয়া গেলো মনোকুলারসহ বন্দুক

    চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মনোকুলারসহ তিনটি বন্দুক পাওয়া গেছে। বিদেশ থেকে নিলামযোগ্য পণ্যভর্তি একটি কনটেইনারে বন্দুক গুলো পাওয়া গেছে। এগুলো কে বা কারা এনেছে, কখন এনেছে, সচল আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল ১১ সেপ্টেম্বও (রোববার) চট্টগ্রাম বন্দরের গুপ্তখালের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে (অকশন ইয়ার্ড) ইনভেন্ট্রির সময় বন্দুকগুলো পাওয়া যায়।

    প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো পাখি শিকারের কাজে ব্যবহৃত এয়ারগান। কোনো শৌখিন প্রবাসী কিংবা বিদেশি নাগরিক নিজের ব্যবহৃত এসব বন্দুক ব্যাগেজের আওতায় বন্দরে এনেছিলেন। খালাসে জটিলতা বা অন্য কোনো কারণে বছরের পর বছর বন্দরেই পড়ে ছিল। বন্দুকগুলোর দু-এক জায়গায় জং ধরলেও মেরামত করলে সচল হতে পারে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা বলেন, নিলামযোগ্য পণ্যভর্তি কনটেইনারের ইনভেন্ট্রির সময় তিনটি বন্দুক পাওয়া গেছে। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা, কার নামে এসেছে, কে পাঠিয়েছেন, কবে এসেছে বন্দরে ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, আমদানি, রফতানি, নিলামের সব কনটেইনার বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের হেফাজতে থাকলেও ইনভেন্ট্রিকালে পাওয়া অস্ত্রগুলো পুলিশ হেফাজতে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

    জে-আর/জে-এম

  • আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম

    আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম

    আন্তর্জাতিক বাজারে বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমলেও দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম। বিশ্ববাজারে কিছু পণ্যের দাম ৬ থেকে ১৯ শতাংশ বাড়লেও দেশে বেড়েছে ১০ থেকে ৬৭ শতাংশ। আন্তর্জাতিক ও দেশের পণ্যবাজারের দামের এমন ব্যবধানের তথ্য উঠে এসেছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে। এতে করে সংকটে আছে গরিব-নিম্ন-মধ্যবিত্ত সব পেশার মানুষ।

    বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশে চালের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ, আটা ৮ গুণ: প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল এক বছরে বিশ্ববাজারে সরু চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ, তবে দেশে বেড়েছে ১৩ শতাংশ।

    মাঝারি চালের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৭ শতাংশ বাড়লেও দেশে বেড়েছে ১০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। বিশ্ববাজারে এ মানের চালে দাম বেড়েছে ৭ শতাংশের কিছু বেশি। বিপরীতে বাংলাদেশে বেড়েছে ১৯ শতাংশ।

    তথ্য বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, এক বছরে বিশ্ববাজারে গড়ে ৭ শতাংশ কমেছে। তবে দেশে বেড়েছে দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১৪ শতাংশ। একইভাবে এক বছরে আটার দাম বিশ্ববাজারে বেড়েছে ৮ শতাংশ। তবে বাংলাদেশে বেড়েছে এর ৮ গুণের বেশি, অর্থাৎ ৬৭ শতাংশ।

    এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ কে এম আলী আহাদ খান সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববাজার পরিস্থিতির সঙ্গে দেশের বাজারে নিত্যপণ্যসহ অন্য জিনিসপত্রের দাম সমন্বয় করার দায়িত্ব ট্যারিফ কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

    তাদের সঙ্গে তিন-চার দিন আগে বৈঠক হয়। বিশ্ববাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে তাদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা বিচার-বিশ্নেষণ করে দেশের বাজারে পণ্যের দাম পুনঃনির্ধারণ করা হবে।

    এদিকে মসুর ডাল, পেঁয়াজ ও চিনির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে বাংলাদেশে দাম না কমে উল্টো অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বিশ্ববাজারে ডালের দাম গড়ে কমেছে ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে দেশে বড় দানার মসুর ডালের দাম ৩৯ শতাংশ এবং মাঝারি ও ছোট দানার ডালের দাম প্রায় ২৯ শতাংশ বেড়েছে।

    গত এক বছরে দেশে ৯ শতাংশ দাম বেড়েছে পেঁয়াজের, যা বিশ্ববাজারে কমেছে প্রায় ২৮ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে গড়ে দাম বেড়েছে ৩২ শতাংশ। এ সময় দেশে চিনির দামও বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। অথচ বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল পাঁচ বছরে খোলা তেলের লিটারে ৭৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং বোতলজাত তেলে ৮৩ টাকা ২৫ পয়সা দাম বেড়েছে।

    রডের দাম বিশ্ববাজারে কমেছে ১৪ শতাংশ, দেশে বেড়েছে ১৬ শতাংশ । দেশে এসএম রডের চাহিদা রয়েছে ৮০ লাখ টনের, যার সিংহভাগই উৎপাদন হয় দেশে। বিশেষায়িত কিছু রড আমদানি হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ৪ দশমিক ৬ লাখ টন।

    এ বছরের শুরুর দিকে বিশ্ববাজারে রড উৎপাদনের কাঁচামাল স্ক্র্যাপ স্টিলের দাম বাড়লেও গত জুলাইতে তা কমে দেড় বছর আগের অবস্থানে ফিরে যায়। জুলাইয়ে কমে প্রতি টনের দাম ৪০০ ডলারের নিচে নেমে আসে। অর্থাৎ গত এক বছরে বিশ্ববাজারে রডের দাম কমেছে ১৪ শতাংশ। তবে বাংলাদেশে দাম না কমে বরং বেড়েছে ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ।

    দেশে বছরে ৩৩৬ লাখ ৫০ হাজার টন সিমেন্টের ব্যবহার হয়, যার সিংহভাগই স্থানীয়ভাবে আমদানি হয়। রডের মতো বিশেষায়িত কিছু সিমেন্ট আমদানি হয়। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বিশ্ববাজারে এক বছরে দাম ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়লেও দেশে বেড়েছে ৩১ শতাংশ।

    এদিকে উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম কমলেও ডলারের দাম বাড়ার কারণে কিছু খাতের ব্যবসা লোকসানে রয়েছে। এ ছাড়া কিছু সিন্ডিকেট ও মজুতদারের কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে এখন বিশ্ববাজারে দাম কমছে, ভোক্তারা এর সুফল পাবেন আরও দেড় থেকে দুই মাস পর।

    চালের দাম বাড়ার পেছনে মূল কারিগর কিছু সিন্ডিকেট ও মজুতদার বলে জানান উৎপাদনকারীরা। বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচআর খান পাঠান সাকি বলেন, মিল মালিকরা ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে আড়তদারদের মোটা চাল সরবরাহ করে। সেই চাল পাইকার ও খুচরা বিক্রেতা হয়ে তিন হাত ঘুরে ভোক্তার কাছে যায়। ফলে দাম বেড়ে যায়। তবে এত দাম বাড়ার কোনো যুক্তি নেই।

    জে-আর/জে-এম

  • সংবাদ প্রকাশের জেরে : আনোয়ারায় সড়কের গর্ত ভরাট করে দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান

    সংবাদ প্রকাশের জেরে : আনোয়ারায় সড়কের গর্ত ভরাট করে দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান

    চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় শাহ মোহছেন আউলিয়া (র.) সড়কের বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাফকো সেন্টার থেকে কবিরের দোকান পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কের ওই গর্ত ভরাট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন বারশত ও বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

    শাহ মোহছেন আউলিয়া (র.) সড়কের বারশত ইউনিয়নের কবিরার দোকান এলাকায় সৃষ্টি হওয়া গর্তের অংশ ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ুম শাহ এবং বৈরাগ ইউনিয়নের কান্তির হাট এলাকায় সড়কের গর্তের অংশ ইট বালি দিয়ে ভরাট করে দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী।

    এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর সময়ের কাগজের ৮-এর পাতায় ‘আনোয়ারায় সড়কের গর্তে হাটু পানি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে সড়ক মেরামত উদ্যোগ নিয়েছেন বারশত ও বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

    বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) এর অধীনে শাহ মোহছেন আউলিয়া (র.) সড়কের কাফকো সেন্টার থেকে কবিরার দোকান পর্যন্ত বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

    এতে অল্প বৃষ্টিতে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই জনসাধারণ ও গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি মহোদয়ের নির্দেশে

    ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে সড়কের গর্ত ভরাটের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে সড়কের গর্ত গুলো ভরাট হলে মানুষের ভোগান্তির কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

    জে-আর

  • বাবুল আক্তার অত্যন্ত চতুর : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বাবুল আক্তার অত্যন্ত চতুর : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার অত্যন্ত চতুর মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বাবুল আক্তার কখন কী বলেন সেটা তার ব্যাপার। এখানে আমার মন্তব্য নেই জানিয়ে তদন্তের পরেই সব চলে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাবুল আক্তার যে অভিযোগ করেছেন সেগুলো বাস্তবসম্মত কিনা তদন্ত হলেই বোঝা যাবে। বাবুল আক্তারের বিষয়টি যেহেতু পিবিআইর কাছে তদন্তাধীন তাই তদন্ত শেষ করার আগে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। বাবুল আক্তার যে কথা বলেছেন সেগুলো বাস্তবসম্মত কিনা সেটা তদন্ত হলেই বোঝা যাবে।

    তিনি বলেন, পিবিআইর ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে। পিবিআই যতগুলো অনুসন্ধান করেছে সবগুলোই বাস্তব সম্মতভাবে করেছে। ৩০ বছর আগের খুনের মামলারও তারা আসামি চিহ্নিত করেছে এবং আসামি গ্রেফতার করেছে। পিবিআই যেটা করবে সেটা ভুল করবে না বলে আমার বিশ্বাস। বাবুল আক্তার যে প্রশ্নগুলো তুলেছেন আমার মনে হয় তদন্তের পর আপনারা সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

    যারা তদন্ত করছেন তাদের প্রধানের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, সেক্ষেত্রে তদন্তে গাফিলতির সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাবুল আক্তার অত্যন্ত চতুর মানুষ। বাবুল আক্তার কখন কী বলেন সেটা তার ব্যাপার। এখানে আমার মন্তব্য নেই জানিয়ে বলেন তদন্তের পরেই সব চলে আসবে।

    বাংলাদেশের মিয়ানমার সীমান্তে একাধিকবার গোলা এসে পড়েছে, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার সিমান্ত ক্রস করে দু-একটি গোলা আমাদের সিমান্তের কাছাকাছি এসে পড়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমাদের বিজিবি তাদের বিজিপির কাছে প্রতিবাদ করেছে।

    রাষ্ট্রদূতকে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে, সমস্ত কিছু বলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সকল পর্যায়ে প্রতিবাদ করেছি। আমরা মনে করি খুব শিঘ্রই তারা সংযত হবেন। তাদের গোলাগুলি যেন এদিকে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য আমারা তাদেরকে বলেছি।

    তারা বার বার একই ভাবে গোলা ফেলছে সেক্ষেত্রে এ বিষয়টা আন্তর্জাতিক ফোরামে তোলা হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো তাদের প্রথমে ডেকে বলেছি। এর পরে যদি আসে আমরা বিষয়টি জানাবো।

    নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থানায় থানায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তালিকা করা হচ্ছে, এমন কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা অনেক সময় অনেক কথা বলেন। এগুলো বিএনপির আরেকটা কৌশল।

    জে-আর/জে-এম

  • দুদকের মামলায় জব্দ করা হচ্ছে ওসি শাহজাহানের বাড়িসহ দেড়কোটি টাকার সম্পদ

    দুদকের মামলায় জব্দ করা হচ্ছে ওসি শাহজাহানের বাড়িসহ দেড়কোটি টাকার সম্পদ

    দুদকের মামলায় আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হচ্ছে লোহাগাড়া থানার সাবেক ওসি শাহজাহানের বিলাস বহুল বাড়িসহ দেড়কোটি টাকার সম্পদ। চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজার হাইলেভেল রোডের ১৪ নম্বর বাড়ি ‘পরশ মঞ্জিল’ নামের বাড়িটির বর্তমান মালিক পুলিশ কর্মকর্তা ওসি শাহজাহানের স্ত্রী ফেরদৌসী আকতার।

    বাড়িটি ছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভার চার কাঠা জমি, সৌদিয়া পরিবহনের মাধ্যমে পরিচালিত দুটি বাসসহ প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দের অনুমতি দেন আদালত। বাড়িটিতে রিসিভার নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে দুদক।

    ইতোমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফেরদৌসী আকতারের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদ জব্দের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

    দুদক সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে গত ২৮ জুলাই পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহানের স্ত্রী ফেরদৌসী আকতারকে প্রধান আসামি করে মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগের সম্পদ অর্জনে স্ত্রীকে সহযোগিতা করায় ওসি শাহজাহানকেও আসামি করা হয়।
    মামলায় ১ লাখ ৭১ হাজার ৭’শ ৩৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন, এক কোটি ৪৮ লাখ ৪ হাজার ৪’শ ১৩ টাকার মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন, হস্তান্তর ও রূপান্তরের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় দুদক আইনের ২৬ (২), ২৭ (১), ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) ও ৪ (৩) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারাসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ করা হয়।

    পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহজাহান বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম অঞ্চলে কর্মরত। এর আগে তিনি লোহাগাড়া ও স›দ্বীপ থানায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে নগরের খুলশী থানার লালখান বাজার হাইলেভেল রোডের পরশ মঞ্জিলে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
    হাইলেভের রোডের ‘পরশ মঞ্জিল’ নামের বাড়িটির নির্মাণের সময় ওসি শাহজাহান এবং

    তার স্ত্রী ফেরদৌসী আকতার যৌথ নামে কাজ শুরু করলেও পরে ওসি শাহজাহান তার মালিকানার অর্ধেক স্ত্রীকে হেবামূলে দান করেন। জমি ও নির্মাণ খরচ মিলে ৮৬ লাখ ২১ হাজার ৪’শ ৩৫ টাকা দেখানো হলেও ছয়তলা বাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকার বেশী।

    জে-আর/এ-জে

  • ২৭১ কনটেইনার রাসায়নিক পণ্যের ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম বন্দর

    ২৭১ কনটেইনার রাসায়নিক পণ্যের ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম বন্দর

    ২৭১ কনটেইনার বিপজ্জনক রাসায়নিক পন্যেও ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দরের বিভিন্ন শেডে পড়ে আছে কন্টেইনার ভর্তি বিপদ জনক এসব রাসায়নিক পন্য। এর আগে বন্দর শেডে আগুনের পর তড়িঘড়ি কওে কিছু রাসায়নিক পন্য নিলামে বিক্রি এবং কিছু সরিয়ে নেয়া হলেও রয়ে গেছে আরো ২৭১ কন্টেইনার রাসায়নিক পণ্য।

    চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র বলছে, চট্টগ্রাম বন্দরে এখন সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি ধ্বংসযোগ্য কনটেইনার রয়েছে। এরমধ্যে ২৭১টি কনটেইনারে রাসায়নিক পণ্য রয়েছে।

    যার মধ্যে রয়েছে সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ফর্মালডিহাইডের মত ঝুঁঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পণ্য এক শেডের নিচে। এভাবে একসঙ্গে নানা ধরনের রাসায়নিক পণ্য থাকাটা বন্দরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে বিস্ফোরক পরিদপ্তর।

    জরাজীর্ণ জারে খোলা অবস্থায় পড়ে থাকা এসব রাসায়নিক পণ্যের গায়ে নেই মেয়াদোর্ত্তীর্ণের তারিখও। যদিও বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি রাসায়নিক পণ্যগুলো ঝুঁঁকিপূর্ণ নয়। তবে আগামী সোমবার বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংস নিয়ে একটা বৈঠক করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা কিভাবে নিরাপদে পণ্যগুলো ধ্বংস করবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

    বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মুহাম্মদ মেহেদী ইসলাম খান বলেন, আমরা ৫৪ টি নরমাল রাসায়নিক পণ্য নিয়ে কাজ করি। সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ফর্মালডিহাইড নামের রাসায়নিক পণ্যগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি না। তবে যেহেতু রাসায়নিক এ পণ্যগুলো খোলা জারে আছে, তাই এটি অবশ্যই ঝুঁঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে শেডের ভেতরে সালফিউরিক এসিড পরে আছে। এখন সেখানে কেউ গেলে তার চামড়া পুড়ে যাবে।

    চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, বন্দরের ‘জে’ গোলার ভেতর চার ধরনের ঝুঁঁকিপূর্ণ এসিড পণ্য রয়েছে। এরমধ্যে ৫৫টি জারে ২ হাজার ১০১ কেজি সালফিউরিক এসিড রয়েছে। পাশাপাশি ফসফরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড ও হাইড্রো এসিড মিলে মোট ১৩৮ কেজি পণ্য রয়েছে। একই শেডে আট কেজি পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও ১শ লিটার ফর্সালডিহাইড রয়েছে।

    তাছাড়া বন্দরের ‘আই’ শেডে ১০ কোটা ফ্যানল, ‘কে’ শেডে ৫০ কেজি এসিটিক এসিড, ‘এম’ শেডে ১ হাজার ৯৯৫ কেজি ফসফরিক এসিড, ‘সি/৭’ শেডে ৩২ কেজি ওয়াশিং কেমিক্যাল, ‘সি-২’ শেডে ৩৭৮ কেজি ডায়েসিড এইচপি ও ‘পি’ শেডে ২৭০ কেজি হাইড্রোক্লোরিক এসিড রয়েছে।

    চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের শেডে থাকা রাসায়নিক পণ্যগুলো দ্রæত বন্দর থেকে সরানোর বিষয়ে আমাদের চিন্তা রয়েছে। কাস্টমস প্রতি মাসে নিলামের আয়োজন করছে। সেখানে কিছু পণ্য বিক্রি হয়। যেগুলো একেবারেই বিক্রি হয়না সেগুলো ধ্বংস করা হয়। ইতোমধ্যে ২৭১ কনটেইনার বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে রাসায়নিক পণ্য যাতে বন্দর ইয়ার্ডে না নেমে জেটিতে ভেড়া জাহাজ থেকে সরাসরি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-লরিতে করে আমদানি কারকের কারখানায় নেয়া যায় তার উদ্যোগও আমরা নিচ্ছি। এতে করে বন্দর আরো সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকবে।

    গত ২৮ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক বিষয় নিয়ে বন্দর ভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পর চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস না হওয়া দীর্ঘদিনের পুরনো পণ্য সরাতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে আহŸায়ক (সার্বিক) এবং চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনারকে সদস্য সচিব করা হয়।
    চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন বলেন, বন্দরের বিভিন্ন শেডে পরে থাকা রাসায়নিকসহ অন্যান্য পণ্যগুলো আমরা প্রথমে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করি। বিক্রি না হলে তা ধ্বংস করে ফেলা হয়।

    জে-আর/এ-জে

  • লাখ টাকার লোভে মা-ছেলেকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন হোসেন

    লাখ টাকার লোভে মা-ছেলেকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন হোসেন

    চট্টগ্রামে সম্পদের লোভে সৎ মায়ের পরিকল্পনায় নাবালক ছেলে ও তার মাকে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে র‌্যাব জালে উল্টো ফেঁসে গেলেন আবুল হোসেন (৩৯)। তিন লাখ টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে ঠিক করেন স্বামী মো. ইউসুফ ও দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর। পরিকল্পনা অনুযায়ী নাটক সাজালেও শেষ রক্ষা হয়নি হোসেনের। অন্যদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন ৬ মামলার আসামি আবুল হোসেন।

    বুধবার রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র‌্যাব। আবুল হোসেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া মরিয়মনগর ইউপি আমিন কোড়ালপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। বর্তমানে কাপ্তাই রাস্তার মাথা সংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি গ্যাস কলোনির পাশে একটি ভবনের চতুর্থ তলায় বসবাস করেন।

    র‌্যাব জানান, এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি ওয়ান শ্যুটারগান, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড কার্তুজ ও ২ হাজার ২৫০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। তবে মাদক-অস্ত্র নাটক পরিকল্পনার মূল হোতা ইউসুফ ও দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর পালিয়ে গেছেন।

    পলাতক আসামিরা হলেন— রাঙ্গুনিয়া পশ্চিম মুহরা শেখপাড়া সৈয়দবাড়ীর মৃত মাওলানা আবুল খায়েরের ছেলে মো. ইউসুফ (৬০) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর (৪০)। তারা চান্দগাঁও দেওয়ান মহসিন সড়ক গোলাপের দোকানের পূর্ব পাশে থাকতেন।

    আসামি আবুল হোসেনের তথ্য মতে, বেডরুমের ফলস ছাদের ওপর ১টি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, ১টি দেশীয় লোহার তৈরি ককিং হ্যান্ডেল যুক্ত পাইপ গান, ১টি কার্তুজসহ ওয়্যারড্রপের ড্রয়ারে ২ হাজার ২৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ সময় নাসরিন জানান, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।

    র‍্যাব কর্মকর্তারা জানায়, মোহরা এলাকায় ইউসুফের দুই স্ত্রী। স্বামীর জায়গা জমি নিয়ে প্রথম স্ত্রী নাসরিন আকতারের সঙ্গে কোহিনুর আকতারের বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরে নাসরিন আকতার ও তার নাবালক ছেলে মো. সোহানকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে কোহিনুর আকতার।

    তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নাসরিন ও তাঁর নাবালক ছেলে ঘরে না থাকা অবস্থায় গত সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এসব অস্ত্র, গুলি এবং ইয়াবা ঘরে রেখে আসে তাঁরা। র‍্যাবের অভিযান শেষ হলে এ বাবদ কোাহিনুর ও ইউসুফ ৩ লাখ টাকা দেবেন বলে জানান আবুল হোসেনকে।

    পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে চান্দগাঁও থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানান র‌্যাব।

    জে-আর

  • রাশেদুল আলম আবারো আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয়

    রাশেদুল আলম আবারো আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয়

    নব্বই দশকের তুখেড় ছাত্রনেতা ও চট্টগ্রামে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের শাসন আমলে ছাত্রলীগের জনপ্রিয় নেতা রাশেদুল আলম রাশেদ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। করোনা মহামারীতে সাধারণ মানুষের কাতারে গিয়ে আর্থিক ও ভোগ্যপণ্য দিয়ে অনেকের নজর কাড়া সাবেক এ ছাত্রনেতা প্রতিনিয়ত দলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া বিগত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে মেয়র পদে জয়লাভকারী রেজাউল করিম চৌধুরী ও একাধিক কাউন্সিলরের জন্য ভোট কামনা করে সকলের প্রিয়ভাজন হয়ে উঠেন তিনি।

    এক সময়কার এরশাদ সরকারের পেটুয়া বাহিনীর হামলা-মামলা ও কারা ভোগের এক পর্যায়ে তিনি উচ্চ শিক্ষার্থে কানাডায় পাড়ি জমালেও সেখানে আওয়ামী রাজনীতি থেকে দূরে থাকেননি। টানা ১৫ বছর কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদ-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রায় দীর্ঘ দেড়যুগ কানাডায় অবস্থানের পর ২০১৭ সালে দেশে ফিরে আবার চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জোরালো ভূমিকা রেখে চলেছেন সাবেক এ নির্যাতিত ছাত্রনেতা।

    স্বৈরাচার হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ আমলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মি যখন হামলা- মামলা ও নির্যাতনের ভয়ে আত্মগোপনে বা গৃহছাড়া,তখন রাশেদুল আলম রাশেদ সরকারী দলের ক্যাডার বাহিনীর কাছে ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক এবং আওয়ামী ঘরানার লোকজনের কাছে ছিলেন সাহস ও নির্ভরতার প্রতীক।

    ১৯৮৮ সালে বঙ্গবন্ধুর খুনী কর্ণেল ফারুক রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়ে এরশাদের সরাসরি ইন্ধন ও প্রশ্রয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সামনের মাঠে সমাবেশ করতে এলে কয়েক’শ পুলিশের কর্ডন ভেঙে সেই সমাবেশ পন্ড করে দিয়ে রাশেদুল আলমের নাম একেবারে সামনের কাতারে চলে আসে।

    জানা যায়, রাশেদুল আলম ১৯৮৩ সালে হাজ্বী মোহাম্মদ মহসিন কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্ধুত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগরী শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    ১৯৮৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯০ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত তৎকালীন চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শ্রদ্ধেয় আক্তারুজ্জামান বাবুর নেতৃত্বে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন বলে সাবেক ছাত্রনেতারা জানান।

    তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে নেতৃত্বের কোন্দল করে স্বৈরাচারী এরশাদ প্ররেয়াচনায় দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে বাকশাল গঠন করেন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে বিভক্ত করে বিভিন্ন অপপ্রচার ও অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। চট্টগ্রাম শহরে রাশেদুল আলম ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের দিয়ে তাদের কঠোরভাবে প্রতিরোধের পাশাপাশি এক পর্যায়ে তাদের আন্দরকিল্লাস্থ দলীয় অফিস বন্ধ করে দেন।

    আওয়ামী লীগের আরেক ত্যাগী নেতা জানান, ১৯৮৫ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার বিতর্কীত উপজেলা নির্বাচনের ঘোষণা দিলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তা প্রত্যাখান করেন এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাক দেন। তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এম এ মান্নান এবং চট্টলবীর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে রাশেদুল আলম এবং চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন অন্যতম নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদ, কফিক উদ্দিন, সফিক আদনান ও ফয়জুল্লাহ বাহাদুরসহ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এমনকী রাজপথে প্রতিহত করেন।

    এ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় রাশেদুল আলমকে অস্ত্র-বিস্ফোরক মামলা দেয়া হয়। ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে তৎকালীন জাসদ ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির যৌথভাবে হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিলে তৎকালীন মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ডাক্তার নাসির এসে রাশেদুল আলমকে এ বিষয় অবহিত করেন। ঐ রাতেই রাশেদুল আলম নগর ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদেরকে নিয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে সাহসিকতার সাথে ছাত্রশিবির ও জাসদ ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করেন।

    ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম নগর ইসলামী ছাত্রশিবির আন্দরকিল্লায় তৎকালীন এরশাদ সরকারের পুলিশ বাহিনীর ছাত্রছায়ায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করলে রাশেদুল আলম ওই সভা প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেন। একই সাথে রাশেদুল আলম দলবল নিয়ে সভা চলাকালীন সময়ে মিছিল সহকারে হামলা চালিয়ে ওই সভা পন্ড করে আলোচনায় আসেন। এ ঘটনায় দুজন শিবির কর্মী নিহত হলে রাশেদুল আলমের বিরুদ্ধে জোড়া হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৭ সালের এপিলে রাশেদুল আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ি বহর নিয়ে এক সভায় যাওয়ার প্রাক্কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নাম্বার সড়কের মুখে তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় ছাত্রসমাজ (স্বৈরাশাসক এরশাদের সন্ত্রাসী বাহিনী) সভাপতি জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাশেদুল আলমকে হামলা করলে ভাগ্যক্রমে তিরি প্রাণে বেঁচে যান এবং সন্ত্রাসী জসিম নিহত হয়। এ ঘটনায় রাশেদুল আলমের সাথে ছিলেন তৎকালীন নগর ছাত্রলীগ নেতা ফয়জুল্লাহ বাহাদুর, আব্দুল মোনায়েম, সুরজিত দাস ও ছোটনসহ অন্যান্যরা। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

    জানা যায়, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন স্বৈরাশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের লালদিঘা মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ডাক দেয়া সভায় শেখ হাসিনা যোগ দিতে আসলে রাশেদুল আলমসহ অন্যান্যরা শেখ হাসিনাকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে থেকে রিসিভ করে সভার কাছাকাছি আসলে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য এলাপাতাড়ি গুলি চালায়।

    এ সময় শেখ হাসিনা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও মূহুর্তেই ২৪ জন ছাত্র-জনতার প্রাণ নিভে যায়। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী কর্ণেল ফারুক রহমান, খুনী ফারুক চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজের পার্শ্ববর্তী খালি প্রাঙ্গণে এক জনসভার আয়োজনের ঘোষণা দিলে তৎকালীন দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেয়।

    ওই দিন বিকেল ৩ টায় রাশেদুল আলমসহ অন্যানরা কাজীর দেউড়ি মোড়ে জামায়েত হন। ঐদিন রাশেদুল আলমের সাথে ছিলেন তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা বখতেয়ার উদ্দিন খান, ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাবর, মুজিবর রহমান, সফিক আদনান, শেখ আতাউর রহমানসহ অনেকেই। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের হাজারো পুলিশ বাহিনী সভাস্থল ও পুরো এলাকা ঘেরাও করে রেখেছিল।

    পরিকল্পনা অনুযায়ী মিছিলসহকারে এগিয়ে গিয়ে সভা পন্ড করার কোন উপায় না দেখে রাশেদুল আলম মোটর সাইকেলে তার দুজন সঙ্গী নিয়ে আচমকা পুলিশের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎবেগে এগিয়ে সভামঞ্চের খুব কাছাকাছি গিয়ে হামলা চালায় এবং সভা চক্রভঙ্গ হয়ে যায়। হামলা শেষে তারা দ্রুত পালিয়ে আসেন।

    এছাড়া ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনের দিন রাশেদুল আলম চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আ’লীগের দলীয় প্রার্থী আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিনের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে তৎকালীন এরশাদ সরকারের মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সন্ত্রাসীদের ছোড়া বোমা হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন।

    ১৯৮৮ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলামের সভা পন্ড করে আসার পর সন্ধ্যায় মোমিন রোড থেকে গ্রেফতার হন। ১২টি মামলা ও অবৈধ আটকাদেশসহ রাশেদুল আলম এক নাগাড়ে ১৮ মাস কারাবরণ করেন। ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আবারও রাশেদুল আলম গ্রেফতার হন এবং ১৯৯০ সালের মার্চে মুক্তি লাভ করেন।

    অন্যদিকে মামলা-হামলায় অতিষ্ট হয়ে ১৯৯০ সালের ১০ নভেম্বর রাশেদুল আলম দেশত্যাগ করেন। ২০০১ সালে তিনি ফের দেশে ফিরে এসে নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সক্রিয় হন। এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান এবং হাটহাজারী বিএনপি সাবেক সংসদ ওয়াহিদুল আলম রাশেদুল আলমকে আবারও দেশ ত্যাগ করার জন্য হুমকি দেন।

    রাশেদুল আলমও তাদেরকে পাল্টা হুমকি দিলে ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে রাশেদুল আলমকে মোমিন রোড থেকে গ্রেফতার করে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় কারাগারে প্রেরণ করলে আট মাস কারাভোগ করে মুক্তিলাভ করেন। রাশেদুল আলম মুক্তি লাভের পর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালালে ২০০৪ সালে খালেদা জিয়া সরকার অবৈধ বাহিনী দিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা করা শুরু করলে রাশেদুল আলম আবারও কানাডায় পালিয়ে যান।

    কানাডায় দীর্ঘ ১৫ বছর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে কানাডার রাজধানী অটোয়াস্থ তৎকালীন খালেদা সরকারের দূতাবাসও ঘেরাও করেন।

    জে-আর

  • চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে অনাবৃষ্টিতে লেবু চাষে ধস

    চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে অনাবৃষ্টিতে লেবু চাষে ধস

    চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বৃষ্টির অভাবে লেবুর ফলন তেমন ভালো হয়নি। জানা যায়, উপজেলার আমুচিয়া, জ্যৈষ্ঠপুরা ও কড়লডেঙ্গার বিপুল পরিমাণ পাহাড়ি এলাকায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য লেবুর বাগান। গত বছর লেবু চাষ করে লাভবান হওয়ায় এ বছর লেবু চাষের দিকে ঝুঁঁকেছে উপজেলার অইেশ তরুণ যুবক। এতে পিছিয়ে থাকা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে এ জনপদে।

    লেবু চাষের প্রতি এলাকার বেকার যুবকদের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও এ কাজে সরকারি সহায়তা কিংবা উপজেলা কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ পায়না বলে থাকার পরও অভিযোগ এখানকার চাষিদের। ব্যক্তিগত কিংবা বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ধার-কর্জ নিয়েই এ অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা লেবুচাষ করে থাকেন।

    একদিকে বৃষ্টির অভাবে ফলন কম অন্যদিকে যে পরিমাণ লেবু উৎপাদন হয় হিমাগার বা উপযুক্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় লেবু পচন ধরে নষ্ট হয়ে যায়।

    যার কারণে কম দামে লেবু বিক্রি করতে হয় বলে চাষিরা ব্যাপক আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। উৎপাদিত লেবু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারলে বিদেশেও রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

    বোয়ালখালী উপজেলাস্থ আমুচিয়া, জ্যৈষ্ঠপুরা ও কড়লডেঙ্গা থেকে প্রতিদিন ট্রাক-পিকআপ ও বিভিন্ন যান যোগে চট্টগ্রাম সহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বড় বড় পাইকারী ও খুচরা বাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হচ্ছে।

    চাষী রফিক উদ্দিন বলেন, ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে লেবুর ফুল আসতে শুরু করে আর ফলন দেয় জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র মাসজুড়ে। এছাড়াও আমুচিয়া, জ্যৈষ্ঠপুরা ও কড়লডেঙ্গা পাহাড়ে বছরের প্রায় ১২ মাসই বিভিন্ন জাতের লেবু চাষ হয়ে থাকে।

    তবে জ্যৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র এ ৪ মাসে লেবু ফলন বেশি হয়ে থাকে। দেশে বিভিন্ন জাতের লেবু থাকলেও এখানে সাধারণত কাগজী, বাতাবি, পাতি ও এলাচি লেবুর আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে কাগজী ও বাতাবি লেবুর চাষই বেশি হয়।

    জৈষ্ঠপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল মোকাররম বলেন, এসব পাহাড়ি ভূমি লেবু চাষের জন্য উপযোগী জায়গা। এখানকার চাষিদের যদি উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রযুক্তিগত ভাবে প্রশিক্ষণসহ নানাভাবে সহায়তা করলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি ফিরে আসবে আর্থিক সচ্ছলতা।

    এ ব্যাপারে আমুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল দে মনে করেন, এখানে বন বিভাগের হাজার হাজার হেক্টর ভূমি পরিত্যক্ত ও অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এসব ভূমি উদ্ধার করে সরকারিভাবে যদি লেবু চাষের আওতায় আনা যায় তাহলে এসব ভূমিতে লেবু চাষ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিপুল পরিমাণ লেবু বিদেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে।

    জে-আর

  • চট্টগ্রামের চন্দনাইশে লেবুর চমক

    চট্টগ্রামের চন্দনাইশে লেবুর চমক

    চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি লেবু উৎপন্ন হয় চন্দনাইশ উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল। এবার লেবু চাষ করে চমক দেখিয়েছে লেবু চাষীরা। বিস্তৃীর্ণ পাহাড়ি জমিতে উৎপন্ন লেবু এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। লেবুর জনপ্রিয়তা এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এ লেবুর চাহিদা বিদেশেও দিন দিন বাড়ছে। তবে পুষ্ট, অপেক্ষাকৃত বড় ও দেখতে সুন্দর এমন লেবুর রপ্তানির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    এদিকে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লেবুর বাম্পার ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। অন্যদিকে লেবুর ন্যায্য দাম পেয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীরাও মহাখুশি।আবহাওয়া খরা রোদে তাপদাহে যখন সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ,

    তখন মৌসুমের ফল লেবুর চাহিদা প্রচুর থাকায় চাষি ও খুচরা-পাইকারি বিক্রেতারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। দীর্ঘদিনের টানা গরমের কারণে এবং নানান পরিস্থিতিতে লেবু বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।

    চন্দনাইশ পাহাড়ী এলাকায় প্রতি বছর লেবুর চাষ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লেবুর ফলন ভালো হয়েছে।

    সে সাথে লেবুর দাম চড়া থাকায় কৃষকদের খরচ পুষিয়ে লাভের মুখ দেখছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু ফলটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্য বহন করে।

    তথ্য সূত্রে জানা যায়, মূলত চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়ন জুড়ে, দোহাজারী ইউনিয়নের লালুটিয়া, রায়জোয়ারা, হাশিমপুরের ছৈয়দাবাদ, কাঞ্চনাবাদের লর্ড এলাহাবাদ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা জুড়ে লেবুর বাগান রয়েছে এবং সেখানে প্রতি বছরই প্রচুর পরিমাণে লেবুর চাষ হয়ে থাকে।

    ফাল্গুন-চৈত্র মাসে লেবুর ফুল আসে এবং জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ মাস জুড়ে ফলন পাওয়া যায়। উপজেলার ১ হাজার ৫’শ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে লেবুর চাষ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

    চাষি ও পাইকারী ব্যবসায়ী ছাড়াও ১-২ হাজার খুচরা ব্যবসায়ী লেবু বিপণনের সাথে জড়িত। সবমিলে চন্দনাইশে লেবু চাষে প্রায় ৪-৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লেবুর ফলন ভালো হয়েছে।

    প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাগান মালিকরা লেবু নিয়ে এসে উপজেলার দোহাজারী, কাঞ্চননগর, বাদামতল, খাঁনহাট রেল স্টেশন ও বাগিচাহাটে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখেন বাজার লেবু বিক্রির প্রধান কেন্দ্রস্থলে।
    লেবু চাষীদের সূত্রে জানা যায়, লেবু সাধারণত ৫ জাতের হয়ে থাকে।

    এগুলো হচ্ছে-কাগজী লেবু, পাতী, এলাচী, বাতাবী ও নতুন জাতের হাইব্রীড সিডলেস নামে একটি লেবু চাষও বর্তমানে হচ্ছে। কাগজী লেবু ছোট আকৃতির হয়। চট্টগ্রাম ছাড়া আর কোথাও এত বিপুল পরিমাণ লেবু উৎপাদন হয় না।

    স্থানীয়ভাবে লেবুর দুই টুকরি বা ঝুড়ি নিলে এক ভার হয়। সে রকম প্রতি ভারে ৫’শ থেকে ৬’শ পর্যন্ত লেবু থাকে। বর্তমানে প্রতি ভার লেবুর দাম ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

    গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে ৫-৬ গুণ দাম বেশি পাচ্ছে কৃষকেরা। ফলে কৃষকেরা বেজায় খুশি। ১টি লেবু খুচরা মূল্যে প্রকৃতি ভেদে ৭/৮ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সবচাইতে বেশি লেবুর চাষ হয় চন্দনাইশে।

    চন্দনাইশের হাশিমপুর, ধোপাছড়ি, লালুটিয়া, রায়জোয়ারা, কাঞ্চননগর এলাকায় বেশকিছু লেবুর বাগান রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণ লেবু উৎপাদিত হয়ে থাকে। এখান থেকে পাইকারী ক্রেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন।

    দক্ষিণ চট্টগ্রামের উৎপাদিত এ লেবু ঢাকার কাওরানবাজার, সেনবাজার, মগবাজার, সদরঘাটসহ দেশের বিভিন্ন বড় বড় বাজারে সরবরাহ করে থাকেন ব্যবসায়ীরা।

    সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে লেবু বাজারজাত হয়। ট্রাক, বাস এবং ট্রেন হচ্ছে লেবু পরিবহনের মাধ্যম। অনেক সময় বিভিন্ন স্থানে দ্রæত লেবু সরবরাহে বিলম্ব হলে শত শত মেট্রিক টন লেবু পচে-গলে নষ্ট হয়ে যায়।

    এ কারণে এ অঞ্চলের লেবু ও পেয়ারা সংরক্ষণে বিভিন্ন সময়ে হিমাগার স্থাপনের দাবি উঠলেও রহস্যজক কারণে তা আজও উপেক্ষিত। ফলে লেবুর ফলন হলেও এর সুফল পাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ৫ জাতের লেবুর মধ্যে কাগজী লেবুর গুনগতমান উন্নত।

    তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে দিন দিন এর উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। চন্দনাইশে শত শত একর বনভূমি মাত্র ১৫শ হেক্টর ভূমিতে লেবু চাষ হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিপুল পরিমাণ লেবু বিদেশে রপ্তানী করা হচ্ছে।

    স্থানীয় চাষীদের মতে, সবজি রাখার জন্য হিমাগার না থাকায় উৎপাদিত লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি সংরক্ষণ করতে না পারার কারণে অনেক সময় কম দামে শাকসবজি বিক্রি করতে হয়। লেবু চাষীদের মতে চলতি বছর প্রতিটি বাগান থেকে গড়ে কমপক্ষে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকার লেবু বিক্রি করা সম্ভব হবে।

    বাগান মালিক লিয়াকত আলী দৈনিক সময়ের কাগজকে জানান, বাগানে প্রচুর লেবুর ফলন হয়েছে। কিন্তু সরকারি ভাবে বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং হিমাগার না থাকায় মালিকরা তাদের ন্যায্যমূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।

    তারা পরিত্যক্ত পাহাড়ি ভূমি চাষিদের লিজ দিয়ে লেবু চাষের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের কাছে আহŸান জানান। তাহলেই বিশেষায়িত জমি তৈরি করে পুষ্ট ও ভালো মানের রফতানিযোগ্য লেবু উৎপাদন ও রফতানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন ওই বাগান মালিক ও চাষিরা।

    জে-আর

  • দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি দুধের বাজারেও চলছে অস্থিরতা

    দ্রব্যমূল্যের পাশাপাশি দুধের বাজারেও চলছে অস্থিরতা

    নিত্য প্রয়োজনী দ্রবের সাথে সাথে দুধের বাজারেও চলছে অস্থিরতা। গত মাস থেকেই দুধের দর ঊর্ধ্বমুখী। পাস্তরিত তরল দুধের দাপট বাড়ছে দেশীয় কোম্পানিগুলোর। যদিও গুড়ো দুধের বাজার বিদেশনির্ভর। ডলারের উচ্চ মূল্য, জাহাজভাড়া বৃদ্ধি আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহনের বাড়তি খরচের প্রভাব পড়েছে দুধের মোকামে এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহের ব্যবধানে লিটার প্রতি পাস্তরিত তরল দুধের দাম বেড়েছে অন্তত ১০ টাকা। আর গুড়ো দুধের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ টাকা। ক্রেতারা মনে করছেন, দুধের বাজারে ভোক্তা অধিকারের যথাযথ তৎপরতা অভাবে সুযোগ নিচ্ছেন আমদানিকারক ও উৎপাদকরা।

    চলতি বছরের মে মাস থেকে ধাপে ধাপে সব ধরনের গুড়ো দুধে ও পাস্তুরিত তরল দুধের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত তরল দুধের প্যাকেটের নির্ধারিত মূল্য লিটার প্রতি ৯০ টাকা। যা সপ্তাহের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ১০ টাকা। গত মে মাসে দাম ছিল ৭০ টাকা।

    বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারের বাজেট কাটছাট করছেন অনেকেই। কেউ কেউ দুধ কেনাও কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান অনেকে।

    ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র পরিসংখানে দেখা গেছে, ডানো ১ কেজির দাম ৮’শ ১০ টাকা, ডিপ্লোমা ৮’শ টাকা, মার্কস ৭’শ ২০ টাকা আর ফ্রেশ ৭’শ টাকা।

    মাসের ব্যবধানে ডানো ও ডিপ্লোমার দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। আর বছরের ব্যবধানে সব ধরনের দুধের দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত ১’শ ৩০ থেকে ১’শ ৫০ টাকা। তবে বর্তমানে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আরও বাড়তি দরে।

    খুচরা দোকানীরা বলছেন, লাগামহীনভাবে বাড়ছে দুধের দাম। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই বাজারে ভোক্তা অধিকারের তদারকি প্রয়োজন।

    জে-আর