Category: বিশেষ খবর

  • স্মার্টফোনের লোভনীয় অফারের নামে প্রতারণা

    স্মার্টফোনের লোভনীয় অফারের নামে প্রতারণা

    অ আ আবীর আকাশ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে চটকদার বিজ্ঞাপন সাঁটিয়ে একশ্রেণীর প্রতারকরা একাউন্ট বা আইডি খুলে লোভনীয় অফার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।

    তেমনি ফেসবুকে কয়েকটি আইডির সন্ধান মিলেছে এসব প্রতারকের। ফোন কর্ণার শপ (phone conner shop), ব্র্যান্ডস শপ ৯৯ (Brands shop 99), বাইট বিডি শপ (Bite bd shop) নামের ফেসবুক আইডি থেকে স্মার্টফোনের লোভনীয় অফার করে গ্রাহকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

    তারা অফার করে গ্রাহকের কাছ থেকে সমুদয় টাকা বুঝিয়ে নিলেও গ্রাহককে স্মার্ট ফোনের বদলে পুরনো নষ্ট সস্তা একটা বাটন মোবাইল সেট কুরিয়ার করে। কুরিয়ার চার্জ পর্যন্ত গ্রাহককে দিতে হয়। দেখা যায় প্রাপ্ত মোবাইলের মূল্য কুরিয়ার খরচও নয়।

    তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উর্মি রহমান নামের এক কর্মজীবী নারী। তিনি একটি স্মার্টফোনের (অফার মূল্যসাড়ে চার হাজার টাকা) অর্ডার করে পেয়েছেন ৩০০ টাকা দামের বাটন সেট।

    এ প্রতিবেদককে উর্মি রহমান বলেন-‘ দুনিয়াতে বিশ্বাস শব্দটা উঠে গেছে। ফেসবুকে এত সুন্দর অফার দেখে স্মার্টফোনের অর্ডার করেছি, বিনিময়ে একটা পুরনো বাটন সেট পেয়েছি। কুরিয়ার চার্জ দিয়ে তুলেছি, কুরিয়ার খরচ পর্যন্ত হয়নি। পুরোটাই প্রতারণা করেছে। যে নাম্বারে কথা বলেছি, টাকা পাঠিয়েছি সে নাম্বারটা বন্ধ।’

    প্রতারণার বিষয়ে সমাজ বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল বলেন- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেরিত কোন অফার, কোন কেনাকাটা, শপিং করা, অর্ডার দেয়া মোটেই ঠিক নয়। জানা নেই, শোনা নেই অপরিচিতদের বিশ্বাস করা উচিত নয়।’

    উর্মি রহমানের মত এরকম বহু নারী-পুরুষ এসব প্রতারকের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এদের রুখতে পারে বলে অনেকেই বিশ্বাস করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নিজেরা বৃষ্টিতে ভিজলেও মানুষকে ভিজতে দেয় না

    নিজেরা বৃষ্টিতে ভিজলেও মানুষকে ভিজতে দেয় না

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃবছরের অনেকটা সময় ঘরের কোনেই থাকে। হয়ত কোথাও ঝুলিয়ে। ধুলোও জমেছে। সামান্য টোকা দিলেই ধুলা উড়িয়ে সোজা নাসিকায়। শুরু হয় হাঁচির উৎপাত। যাদের ধূলি-এ্যালার্জি তাদের ননস্টপ। এ আরেক যন্ত্রনা। তবু ওই ধূলির পরতে ভরা কালো কাপড়ের বস্তুটি শুধু হাতে না নিলেই নয়, বাইরে গিয়ে হাঁচিকে মাথা মারি গালি দিয়ে মেলেও ধরতে হবে। কারণ বাইরে অঝর ধারায় বৃষ্টি। বারিধারার দিন এসেই গিয়েছে। নীপবনে কৃষ্ণের বাঁশির ব্যঞ্জনাময় তান উঠেছে। মৃদু লয়ে নূপুরের রুমঝুম মধুছন্দে ধ্রুপদীর কোন তালে রাধাও উঠেছে নেচে।

    আকাশে সুরও ভেসে আসছে ‘এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে এসো কর দান নবধারা জলে…’।

    এর মধ্যেই গ্রামের মেঠো পথে সুরে সুরে হাঁক দেয় কোন টাইকর, আ——ছে ছেঁড়া— ফাটা কলপি বাঁকা— স্প্রিং নষ্ট লাঠি—- ভাঙ্গা ছা—-তা—-। টনক নড়ে গৃহস্থ কিষান চাষী মজুরদের। কখন বৃষ্টি নামবে কেউ জানে না। আকাশে কালো মেঘ দেখলেই বলাবলি হয় এই নামলো বলে। এই সময়ে ছাতা ঠিক না থাকেল কি চলে। দুরন্তপনার শিশু-কিশোর ছাড়া কে চায় ভিজতে!

    শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই রিকশাচালকরা চড়া ভাড়া দাবি করে। তখন মনে হয় বড় জলজটের বৃষ্টির মধ্যে ডুবসাঁতার দিয়েই বাড়ি পৌঁছা ভাল। এই অবস্থায় একমাত্র সাহায্যকারী বস্তুটির নাম ছাতা। এই ছাতা শীতে তো নয়ই ফাগুনের বসন্ত বেলাতেও নয়, গ্রীষ্মেরও অনেকটা সময় ঘরে বন্দী থাকে। ধুলো মুছে যত আপত্তি তো দূরে থাক খোঁজও কেউ নেয় না। ছাতাটা অসুস্থ হলো না মরল (অর্থাৎ কোথাও নষ্ট হলো না ইঁদুর কাটল) কে রাখে খোঁজ। বাইরে তখন ফুরফুরে আবহাওয়া। কিছুদিনের জন্য ছাতার কদর প্রায় ফুরিয়েই যায়। প্রকৃতিতে যেই বৃষ্টি ঝরার পালা শুরু অমনি খোঁজখবর কোথায় আছে বৃষ্টির বন্ধু ছাতা।

    বর্ষাকালের রোমান্টিকতার মূল আকর্ষণই বৃষ্টি। আমাদের কাব্যে সঙ্গীতে গল্পে উপন্যাসে সর্বোপরি মানব জীবনের চিরকালীন সত্তার রোমান্টিকতার অন্যতম উপাদান বৃষ্টি। আর বৃষ্টির সঙ্গে ছাতাকে উপমা দেয়া যায় গানের সুরে ‘দুই ভূবনের দুই বাসিন্দা বন্ধু চিরকাল রেললাইন বহে সমান্তরাল.।’ বৃষ্টি ও ছাতা প্রকৃতি ও বস্তুর দুই বাসিন্দা। এদের বয়ে যাওয়া সমান্তরাল।

    একটা সময় গল্পে উপন্যাসে চলচ্চিত্রে গ্রামের মানুষের চরিত্র চিত্রনে ছাতাকে টেনে আনা হতো। চামচারা ছাতা মেলে ধরত প্রভাবশালীর মাথার ওপরে, গ্রীষ্মে ছায়া দিতে ও বর্ষায় বৃষ্টি না পড়তে। গৃহস্থ ও কিষানরা গ্রীষ্ম বর্ষায় ছাতা ছাড়া ঘর থেকে বের হয় না। অনেক সময় ছাতা মর্যাদার প্রতীক। গ্রামের পাঠশালা ও স্কুলের মাস্টার মশাইয়ের হাতে অথবা বগলের নিচে ছাতা রেখে পথ চলা প্রতীকী পরিচয়ের। এই প্রতীকী পথচলার সঙ্গে মাটির স্পর্শের মাটির গন্ধে প্রাণের আকুলতায় বেড়ে ওঠা মানুষের পরিচয় বহন করে।

    রোদেলা তাপ বৃষ্টির ধারা থেকে মুক্তির ছোট্ট একটি বস্তুর প্রয়োজনটা যে কত তা মৌসুমই বলে দেয়। বর্তমানে কত রকমের যে ছাতা এসেছে…। ছাতার হাতলের সঙ্গে সুইচ টিপলেই মেলে ওঠে। ছাতা যত বড়ই হোক বহনের কত সুবিধা এখন। স্প্রিং ও স্টিল কর্ডে ছাতার টানির প্লাস্টিকের অংশকে নানা কায়দায় ছোট করে ছেলেরা প্যান্টের লুপের সঙ্গে এঁটে মেয়েরা ভ্যানিটি ব্যাগে ভরে বহন করতে পারে। ছাতার হাতলেও এসেছে কত পরিবর্তন। একটা সময় ছাতার হাতল বাংলা ট বর্ণের মতো বাঁকানো থাকত। বর্তমানে এই বাঁকানোকে কতই না দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়েছে। ছাতার কাপড়েও এসেছে পরিবর্তন। এখন কালো কাপড়ের ছাতার সঙ্গে নানা বর্ণের কাপড় ব্যবহার হয়। কোন কাপড়ে আবার নকশি করে বিক্রি হয়। ছাতা যত দৃষ্টিনন্দনই হোক মেলতে না চাইলে কখনও উল্টোমুখী হলে কখনও ভিতরের কোন পার্টসের জন্য বা সেলাই খুলে গেলে মেলতে অসুবিধা হলে ছাতা কারিগরদের ছাড়া গতি নেই।

    ছাতা মেরামতের এসব কারিগরের নাম একেক অঞ্চলে ভিন্নতা আছে। নামে যাই থাক তাদের ব্যাগে ছাতা মেরামতের যন্ত্র একই। সুই সুতো ছোট্ট হাতুড়ি সাঁড়শির সঙ্গে টুকরো কাপড়, ছাতার ভিতরের রিং স্পোক কাঁটা গুনা সহ কত জিনিসই থাকে।

    একজন টাইকর বললেন, ছাতা মেরামত করার সময় কোন জিনিস ফেলে দেয়া হয় না। নতুন করে পাল্টে নেয়ার পর ওই ভাঙ্গা টুকরো রেখে দেয়া হয়। যাদের ছাতায় সামান্য খুঁত আছে সেখানে বসিয়ে দেয়া হয়। এই ছাতা কারিগররা যে এতটাই এক্সপার্ট যে ছাতার যে কোন জায়গায় দ্রুত মেরামত করে দিতে পারে। গ্রামের পথে পথে (এমনকি শহরেও) এই সময়টায় ছাতা কারিগরদের কদর বেড়েছে। বর্ষায় ছাতা ঠিক না থাকলে পথ চলাই দায়। একটা সময় গ্রীষ্ম বর্ষায় ছাতা ছিল পার্ট অব ইউনিফর্ম। আজও আছে। তবে বাধ্যতামূলক নয়। মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ ছাতা হাতেই ঘর থেকে বের হয়। যাদের গাড়ি আছে ছাতা ব্যবহার না করলেও চলে। মোটরসাইকেল চালকদের রেইন কোট দরকার। অনেকেই রেইনকোট নিয়ে পথ চলেন। বর্তমানে রেইনকোটের চলও বেড়েছে। যতই বাড়ুক ছাতার কদরই আলাদা। আবার এই ছাতা হারায়ও বেশি। বৃষ্টির সময় ছাতা হাতে বের হওয়ার পর রোদ উঠলে ছাতা নেয়ার কথা মনে থাকে না। ছাতা হারিয়ে যাক আর নাই যাক বৃষ্টিতে ছাতার আকর্ষণ মানব জীবনের রোমন্টিকতার চাইতে কম নয়। ভাঙ্গা রোমান্স জোড়া দেয়ার কারিগর হয়ত নেই, ভাঙ্গা ছাতা জোড়া দিয়ে সরিয়ে তোলার ছাতা কারিগরদের আছে। তারা নিজেরা বৃষ্টিতে ভিজলেও মানুষকে ভিজতে দেয় না।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • লক্ষ্মীপুরে পরিবহন চাঁদাবাজি থামছেই না; উপজেলায় মাসে অর্ধ-কোটি টাকা উত্তোলন

    লক্ষ্মীপুরে পরিবহন চাঁদাবাজি থামছেই না; উপজেলায় মাসে অর্ধ-কোটি টাকা উত্তোলন

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে-রায়পুরে পরিবহন খাতে প্রতি মাসে অর্ধ-কোটি টাকা চাঁদা (জিপি) উত্তোলন করা হচ্ছে। বাস, ট্রাক, টেম্পো, মাইক্রো বাস, সিএনজি ও অটোরিকশা ও ট্রলির ৫টি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন এ চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগসহ তাদের সংগঠনের একদল নেতার হাতে জিম্মি এসব স্ট্যান্ড। চাঁদার ভাগ যায় বড় নেতা, পাতিনেতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। মাঝে মাঝে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হঠাৎ ধরপাকর হলেও আবারও শুরু হয় জিপির নামে চাঁদা উত্তোলন। পরিবহন মালিক ও চালকদের অভিযোগ, প্রতিটি বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মালিক সমিতি ও শ্রমিক সমিতির নামে বিভিন্ন সংগঠন।

    সিএনজি ও বাস মালিকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রতিটি স্ট্যান্ডকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ নামধারীরা স্বঘোষিত মালিক ও শ্রমিক নেতা সেজে কমিটি গঠন করে রেখেছেন। প্রতিটি স্ট্যান্ডে রয়েছে তাদের লাইনম্যান। এরা নির্ধারিত হারে বাস,ট্রাক, মাইক্রো, ট্রলি, সিএনজি ও অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করে থাকেন। চাঁদা পরিশোধ না করে কারও পক্ষে স্ট্যান্ড ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। চাঁদা পরিশোধ করা না হলে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ঈদের দুদিন পর মজুচৌধুরী ঘাট এলাকায় ৪টি মাইক্রো গাড়ি আটক করে মালিকের কাছ থেকে পুলিশের নামে ২০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।

    রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইসমাইল খোকনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে বৈধ ইজারার মাধ্যমে তিন স্ট্যান্ড থেকে টাকা তোলা হচ্ছে বলে জানান। এ টাকা পৌরসভার উন্নয়নে খরচ করা হয়। চলতি জুন-২০ইং মাসে নতুন করে ইজারার আহব্বানের কথা ছিলো। কিন্তু করোনার কারনে বন্ধ রয়েছে।

    রায়পুর পরিবহন সেক্টরের খোঁজ-খবর রাখেন এমন লোকজন জানান, বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার সিএনজি অটোরিকশা রয়েছে। পরিবহন চাঁদাবাজির সবচেয়ে বড় খাত হিসেবে দেখা দিয়েছে সিএনজি অটোরিকশা। রায়পুর থেকে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও চৌমুহনী সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ৮২ টি আনন্দ পরিবহন প্রতিদিন জনপ্রতি গাড়ী রায়পুরে ১১৫ টাকাসহ ৬৩৫ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। রায়পুর থেকে চট্রগ্রাম সড়কে ৪৭টি ও ঢাকা সড়কে ৪০ জোনাকি পরিবহন এবং ৫০টি শাহী পরিবহন জনপ্রতি গাড়ী ২০ টাকা ও ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। রায়পুর থেকে ঢাকা সড়কে চলাচলকারি ৩০টি ঢাকা এক্সপ্রেস বাস থেকে ১৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। রায়পুর থেকে কুমিল্লা সড়কে ১০টি বোগদাদ পরিবহনকে জনপ্রতি ৯০ টাকা করে দিতে হয়। প্রায় ১২০টি মাইক্রো গাড়ীকে জনপ্রতি চাঁদপুরে ৮০০ ও লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক বিভাগকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। রায়পুর ট্রাক ষ্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারি প্রায় ২ শতাধিক পন্যবাহী ট্রাককে জনপ্রতি ৭০/১২০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। ছোট-বড় পন্যবাহী থেকে পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত ১০/১৫ টাকা হারে নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ইজারাদার ওহীদ উল্লাহ তার ৬ জন লাইনম্যানের মাধ্যমে ৪০,৭০ ও ১২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন।

    লক্ষ্মীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইন্জিন) অনুজ চন্দ বলেন, জেলায় সিএনজি আটোরিকশার লাইসেন্স আছে ৭ হাজার ২’শটি। হাজার-হাজার সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে থাকে স্ট্যান্ড কমিটিকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে। গত মে-২০ইং মাসে অভিযান হয়নি। তাছাড়া প্রতি মাসেই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনা হয়ে থাকে। কোন চালক বা লোককে লাইসেন্স পেতে হয়রানি করা হয় না বলে দাবি।

    রায়পুর-লক্ষ্মীপুর সড়কের সিএনজি স্ট্যান্ডে কথা হয় সিএনজি চালক রহমত ও নূর ইসলামের সঙ্গে। তারা দুঃখের সঙ্গে বলেন, রুটে চলাচল করতে তাদের ভর্তি হিসেবে তিন-চার হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। গাড়ি চালাতে দিতে হয় প্রতিদিন ৩০ টাকা। চাঁদপুর রুটের তারেক হোসেন ও মনোয়ার জানান, তারা লাইসেন্সের জন্য দরখাস্ত করে রেখেছেন। কিন্তু বিআরটিএ লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে। এখন প্রতি মাসে ৩০০ টাকা পরিশোধ করে স্ট্যান্ড থেকে টোকেন নিতে হয়। রাস্তায় পুলিশকে স্ট্যান্ডের টোকেন দেখিয়ে চলাচল করতে হয়। টোকেন দেখাতে না পারলে গাড়ি আটক হয়ে যায়। মামলা করা হয়।

    রায়পুর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছে, প্রতিদিন শহরের থানার কর্নারে, বাসটার্মিনাল, সাবেক শহীদ মিনারের সামনে,মধ্যবাজারের মোড়ে এসব বাস, সিএনজি,অটো, ট্রাক ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা চাঁদা ওঠে। তবে করোনায় কয়েকটি স্পটে ১০, ৭০, ১২০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়াও ১০টি ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ স্থানে এসব ষ্টান্ড রয়েছে।

    পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেলার অন্যতম ব্যাস্ত রায়পুর-চাঁদপুর-কুমিল্লা, নোয়াখালি, রামগন্জ সড়কের রায়পুর বাসস্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, মেয়র ইসমাইল খোকন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহব্বায়ক তানভির হায়দার চৌধুরী রিংকু, সাবেক যুবলীগ সম্পাদক শফিক খান, আ’লীগ কর্মী মোঃ ডালিম, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম লিটন, আবুল কাশেম দেওয়ান, মোঃ বাবুল প্রমুখ। প্রায় ৫ বছর আগে ট্রাক মালিক ও শ্রমিকের নামে ৫০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করা হতো। গ্রুপিংয়ের কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়।

    উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ দেশে করোনার আগে বিভিন্ন স্ট্যান্ডে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি হয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে করোনায় সময়ে তা বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা না হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। বরং পরবর্তী সরকারের আমলে আরও বৃদ্ধি পাবে।

    সহকারি পুলিশ সুপার (রায়পুর ও রামগন্জ সার্কেল) স্পীনা রানী প্রামানিক জানান, গত ৮দিন আগে সড়কে পরিবহন থেকে চাঁদা উত্তোলনের বিষয়ে পুলিশ সুপার স্যার সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে সতর্ক করেছিলেন। পরিবহন মালিকরা অভিযোগ করলে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

    উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক তানভীর হায়দার চৌধুরী বলেন, স্ট্যান্ডে কোন চাঁদাবাজি হয় না। রায়পুর পৌরসভা থেকে গত জুন মাসে ২২ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে ১০ ও ২০ টাকা করে জিপি উত্তোলন করছি। রায়পুর-হায়দরগন্জ ও আলোনিয়া সড়ক নিয়ন্ত্রনকারি সাবেক যুবলীগ নেতা শফিক খান বলেন, ৩ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে ১০ টাকা করে উত্তোলন করছি। রায়পুর-চাঁদপুর- রামগন্জ-মীরগন্জ ও গাজিনগর সড়ক নিয়ন্ত্রকারি মোঃ ডালিম একই বক্তব্য দিয়েছেন।

    রায়পুর আনন্দ পরিবহনের মালিকদের সমন্বয়কারী শিপন ভুঁইয়া মোবাইলে বলেন, ৮২টির মধ্যে ৭০ পরিবহন চাঁদপুর-রায়পুর-লক্ষ্মীপুর ও চৌমহনী সড়কে চলাচল করছে। প্রায় ৮ মাস আগে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ অভিযানে কয়েকজন লাইনম্যানকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়েছে। অনিয়মতান্ত্রীকভাবে দায়িত্ব নেয়া শ্রমিকলীগ নেতা ভুট্রু ও খোকন তাদের দ্বায়ীত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এ চাঁদার টাকা রায়পুর পৌরসভা, মসজিদের চাঁদা, শ্রমিকদের মেয়েদের বিয়ে ও সংগঠনের নামে মামলার খরচে ব্যায় করা হচ্ছে। তাছাড়া এ পরিবহনের সকল কিছুই লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের ও আ’লীগ নেতা শাহজাহান হাজী পরিচালনা করছেন।

    লক্ষ্মীপুর পরিবহন শ্রমিক নেতা শাহজাহান হাজি মোবাইল ফোনে জানান,মহামারি করোনার সময় প্রায় পরিবহন বন্ধ রয়েছে। আনন্দ পরিবহন থেকে যে জিপির টাকা তোলা হয়, তা বিভিন্ন খাতেই ব্যায় হয়। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার সুযোগ নাই। সংগঠনের সভাপতি সদর পৌরসভার মেয়র পরিবহনের কোন টাকারই খোঁজ খবর নেন না।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রথম বিসিএসেই বাজিমাত করেছেন খাগড়াছড়ি সন্তান শাহেদ আরমান

    প্রথম বিসিএসেই বাজিমাত করেছেন খাগড়াছড়ি সন্তান শাহেদ আরমান

    ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে প্রশাসন ক্যাডারে (বিসিএস-এডমিন) সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে প্রথম বিসিএসেই বাজিমাত করেছেন চাকরিজীবী মা-বাবার বড় সন্তান শাহেদ আরমান।

    দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় বলেও জানালেন শাহেদ আরমান।

    ‘সেই ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি করব। প্রিয় দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব। আল্লাহ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।’ সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করে এভাবেই কথাগুলো বললেন ৩৮ তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সন্তান শাহেদ আরমান।

    তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় শাহেদ আরমান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে ইলেক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক শেষ করে প্রথমবারের মতো বিসিএস দিয়েই বাজিমাত করলেন।

    বাবা-মা এবং দুই ভাইয়ের সাথে শাহেদ আরমান

    প্রশাসন ক্যাডারে নতুন মুখ শাহেদ আরমান খাগড়াছড়ি জেলা সদরে টিঅ্যান্ডটি গেট এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল্লাহ ও আরজুমান আকতারের বড় ছেলে। বাবা মো. সাইফুল্লাহ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নাজির (উচ্চমান সহকারী) ও মা আরজুমান আকতার টিঅ্যান্ডটি গেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অপর দুই ভাইয়ের একজন শিফাত আরমান ঢাকা কলেজে প্রথম বর্ষে আর অন্যজন খাগড়াছড়ি নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুলে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।

    ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী শাহেদ আরমান খাগড়াছড়ি নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুল থেকে ২০১০ সালে এসএসসি, ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে ২০১২ এইচএসসি ও ইসলামীক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। একই প্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর করছেন পাহাড়ের মেধাবী মুখ শাহেদ আরমান।

    মা-বাবার ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণায় স্বপ্নচূড়া স্পর্শ করেছেন জানিয়ে শাহেদ আরমান বলেন, বিসিএস আমার স্বপ্ন ছিল। আজ আমার যা প্রাপ্তি সবটুকু আমার মা-বাবার জন্যই পেয়েছি। আমি মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই। অসামান্য পরিশ্রমের পর এমন ফলাফল পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এমন অর্জন পরিবার ও নিজের জন্য অনেক সম্মানের।

    ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা মো. সাইফুল্লাহ বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এ প্রাপ্তি আমাদের পরিবারের জন্য অনেক বড় অর্জন। সন্তানের এমন অর্জন আমাদের পরিবারের আনন্দকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সন্তানের এ অর্জনে সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা

    বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ঘাটতি ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই- মে) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা ঘাটতি হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এই পথে ভারতের সঙ্গে টানা আড়াই মাস আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আহরণ অর্ধেকে নেমে আসে।

    এছাড়া বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বৈধ সুযোগ সুবিধাবঞ্চিত সহ নানা কারণে ব্যবসায়ীরা এই পথে আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় অর্থবছরের শুরুতেই রাজস্ব আয়ে পিছিয়ে ছিল এই কাস্টমস হাউজ।

    কাস্টমস সূত্রে জানা গিয়েছে , চলতি ২০১৯ -২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ৬ হাজার ২৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বেনাপোল কাস্টমস হাউজকে। চলতি অর্থবছরে প্রথম ১১ মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেওয়া হয় ৫ হাজার ৬০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

    এই সময় লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আদায় করে মাত্র ২ হাজার ৫৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৩ হাজার ৭০ কোটি ১২ লাখ টাকা। এই সময় ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৮ মেট্রিকটন বিভিন্ন ধরনের পণ্য।

    এর আগেও ২০১৮ -১৯ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি ছিল। এই সময় লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৫ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
    এছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এসময় আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সেবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

    বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন, আড়াই মাস এই পথে আমদানি বন্ধ ছিল। এই কারণে রাজস্ব ঘাটতি আরো বেশি হয়েছে। এই পথে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন বাড়াতে হবে। এছাড়া বন্দরে বার বার রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডে অনেক ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন। বন্দর কোনো ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় তারা এই বন্দর ছেড়েছেন।

    বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, করোনার কারণে প্রথমত আড়াই মাস ধরে আমদানি বন্ধ ছিল। এছাড়া পণ্য খালাসে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বেড়ে যাওয়ায় কিছু ব্যবসায়ী এই বন্দর দিয়ে আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। এতে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

    বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানিয়েছেন, পণ্য ছাড়করণের ক্ষেত্রে বৈধ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায় আমদানি কমে যাওয়া একটি কারণ। এতে রাজস্ব দিন দিন ঘাটতি হচ্ছে।

    তিনি আরো জানিয়েছেন, এছাড়া শুরু থেকেই রাজস্ব ঘাটতি হয়ে আসছে তাতে চলতি অর্থবছর শেষে বিপুল পরিমাণে ঘাটতি দাঁড়াবে। বার বার রাজস্ব ঘাটতির কারণ হিসেবে তারা মনে করছেন, চাহিদা অনুপাতে বেনাপোল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়া এবং উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

    এছাড়া কিছু আমদানিকারক জানিয়েছেন, বেশি লাভজনক হওয়ায় সম্প্রতি বেনাপোল বন্দরে বৈধ পণ্যের সঙ্গে বিভিন্ন কৌশলে ভায়াগ্রার মত মাদক ঢুকছে। এসব চালানের ২/১ টা আটক করলেও অধিকাংশ চালান থাকছে ধরাছোঁয়ায় বাইরে। এসব দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনতে পারাই সাধারণ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছে। এতে অনেক ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য বন্দর দিয়ে আমদানি করছে।এতেও কিছুটা আমদানি কমেছে।

    উল্লেখ্য, যোগোযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দেশে স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। যা থেকে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসতো। এই পথে আমদানি পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, ক্যেমিক্যাল, অক্সিজেন বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কালের সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে হরিপুরের “রাজবাড়ী”

    কালের সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে হরিপুরের “রাজবাড়ী”

    গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার রাজবাড়ীতে এক সময় রাজা ছিল, রাজ্য ও রাজা রক্ষায় ছিল সৈন্যবাহিনী। কিন্তু সেই প্রাসাদে আজ রাজা নেই, আর রাজবাড়ীটিও ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে।

    উপজেলার স্থানীয় লোক জনের মাধ্যমে জানা যায়, এই প্রাসাদোপম অট্টালিকাটি নির্মিত হয় ১৮৯৩ সালে। নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঘনশ্যাম কুন্ডুর বংশধর রাঘবেন্দ্র রায় চৌধুরী। আর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন তারই ছেলে জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী।

    মুসলিম শাসন আমলে ঘনশ্যাম কুন্ডু নামে একজন ব্যবসায়ী এন্ডি কাপড়ের ব্যবসা করতে হরিপুরে আসেন। তখন মেহেরুন্নেসা নামে এক বিধবা মুসলিম মহিলা এই অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। তার বাড়ি মেদিনীসাগর গ্রামে। জমিদারির খাজনা দিতে হতো তাজপুর পরগনার ফৌজদারের নিকট। খাজনা অনাদায়ের কারণে মেহেরুন্নেসার জমিদারির কিছু অংশ নিলাম হয়ে গেলে ঘনশ্যাম কুন্ডু কিনেন। ঘনশ্যামের পরবর্তী বংশধরদের একজন রাঘবেন্দ্র রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বৃটিশ আমলে হরিপুর রাজবাড়ির কাজ শুরু করেন। কিন্তু তার সময়ে রাজবাড়ির কাজ শেষ হয়নি। রাঘবেন্দ্র রায়ের ছেলে জগেন্দ্র নারায়ণ রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। জগেন্দ্র নারায়ণ রায়ের শেষ করা রাজবাড়ির দোতলা ভবনে লতাপাতার নকশা এবং পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি আছে।

    এক শতাব্দীরও বেশি পুরোনো এই অট্টালিকাটির দৃষ্টিনন্দন কারুকাজের বিলুপ্তপ্রায় নিদর্শনগুলো প্রাচীনত্বের বিবেচনায় খুব মূল্যবান নয়। তদুপরি এ অঞ্চলের একটি আকর্ষণীয় স্থাপত্য কীর্তি হিসেবে এখনো মানুষকে কাছে টানে।

    জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী বৃটিশ সরকার কর্তৃক রাজর্ষি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সে সময়ে বৃটিশ সরকার তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই সামন্ত প্রভুদের বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করে খুশি করত। জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরীকে এই একই উদ্দেশে রাজর্ষি উপাধিতে ভূষিত করেছিল।

    যতটুকু জানা যায়, তা হচ্ছে এই উপাধি প্রদানের ক্ষেত্রে সম্ভবত আরো একটি বিষয় কাজ করেছিলো। আর সেটি হচ্ছে তার বিদ্যানুরাগ ও শিল্প সংস্কৃতি চর্চার ব্যাপারে আগ্রহ। রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ যেমন আকর্ষণীয় স্থাপত্য শৈলীর প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন তেমনি তিনি গড়ে তুলেছিলেন একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারও। শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে রাজর্ষির এই অনুরাগ শুধু তার ব্যক্তিগত সমৃদ্ধির পরিচয় বহন করে তা নয়। গোটা হরিপুরবাসীর মানসিক ঐশ্বর্যের উজ্জ্বল দিকটিকেও তুলে ধরে।

    শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার এই ধারায় যে আলোকিত জীবনের আকাঙ্খা সেদিন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিলো তা আজো অনেকটাই বহমান রয়েছে এই হরিপুরে।

    ভবনটির পূর্বপাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নাট মন্দির রয়েছে। রাজবাড়িতে ছিল একটি বড় পাঠাগার যার অস্তিত্ব এখন নেই। রাজবাড়িটির যে সিংহদরজা ছিল তাও নিশ্চিহ্ন হয়েছে। ১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হলে হরিপুর রাজবাড়িও দু’টি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। রাঘবেন্দ্র ও জগেন্দ্র নারায়ণ রায় কর্তৃক নির্মিত রাজবাড়িটি বড় তরফের রাজবাড়ি নামে পরিচিত। এই রাজবাড়ির পশ্চিম দিকে নগেন্দ্র বিহারী রায় চৌধুরী ও গিরিজা বল্লভ রায় চৌধুরী ১৯০৩ সালে আরেকটি রাজবাড়ি নির্মাণ করেন যার নাম ছোট তরফ।

    এই রাজবাড়ীর সংস্কার খুব জরুরি সে কথা জানালেন আশিতে পা রাখা স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুল হক। তিনি বলেন, প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে বাড়িটি দেখতে। যদি সংস্কার করা যায় তাহলে হয়তো এটা দর্শনার্থীদের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা যাবে। আর সংস্কার ছাড়া এভাবেই থাকলে একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

    রাজবাড়ী সংস্কার করা সম্পর্কে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এম. জে. আরিফ বেগ  বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে বাড়িটি পরিদর্শ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করা হয়। যদি সরকারিভাবে অনুদান পাওয়া যায় তাহলে খুব দ্রুত এর সংস্কার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। প্রশাসনও চেষ্টা করছে ঐতিহ্যকে ধরে রাখার।

    হরিপুর উপজেলার সর্বস্তরের লোকজনও চায় রাজবাড়ীটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক। এই জন্য স্থানীয়রা সরকারের সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছে।

    বিলুপ্তপ্রায় এ রাজবাড়িটি হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে
    আজো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যশোর বাসীর দুঃখ ভবদহ জলাবদ্ধতা

    যশোর বাসীর দুঃখ ভবদহ জলাবদ্ধতা

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যা বেশ পুরনো। ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে বহু কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হলেও ভবদহবাসীর দুঃখ যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না। এই সমস্যা নিয়ে আন্দোলনও কম হয়নি! দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই পুরনো সমস্যার সমাধানের দাবি দীর্ঘদিনের।

    কিন্তু ৩ দশক পরে এসেও ভবদহবাসীর দুর্দশা নিরসন করা যায়নি। যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল।

    ইতিহাস থেকে জানা যায়, সবুজায়নের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৬১ সালে ভবদহের ৫ টি স্থানে ৪৪টি পোল্ডার (সুইজ গেট) বসায়। বলা চলে, এরপর থেকে আশেপাশের নদ-নদীর নাব্যতা হ্রাস পেতে থাকে। ১৯৮১ সালের পর থেকে শুরু হয় জলাবদ্ধতা।

    জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে এলাকার মানুষ ১৯৯৭ সালে নদীর বেড়িবাঁধ কেটে জোয়ারের পানি পাশের ভায়না বিলে ঢুকিয়ে দেয়।

    এরপর সরকার থেকে ভবদহে ‘টিআরএম’ (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট)প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ফলে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভবদহে জলাবদ্ধতা হয়নি। এরপর এ অঞ্চলকে ঘিরে আর গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পরের ৩ বছর আবার জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ২০০৭ সালে বিল খুকসিয়ায় সরকার আবার ‘টিআরএম’ চালু করে। এর পরের কয়েক বছর আবার জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পায় ভবদহবাসী। সর্বশেষ গত ৩ বছর ভবদহ অঞ্চলে আবার জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

    বর্তমানে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকার কোনো বিলে ‘জোয়ারধার’ (টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট-টিআরএম) কার্যকর নেই।।

    বহু গবেষণা-বিশ্লেষণ, পর্যবেক্ষণ করে ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার অন্যতম সমাধান হিসেবে ‘জোয়ারধার’ পদ্ধতিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

    মূলত, নদীসংলগ্ন বিলে বাঁধ তৈরি করে নদীর পাড় কেটে দিয়ে জোয়ারের সঙ্গে নদী দিয়ে আসা পলি বিলে জমা হতে দেওয়া হয়। এতে নদীর নাব্যতা অটুট থাকে। বিলে বাঁধ দিয়ে ‘টিআরএমের’ মাধ্যমে পলি ব্যবস্থাপনার এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘জোয়ারধার’।

    পলি ব্যবস্থাপনার এই পদ্ধতি যশোরের এই অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে এবং পরে সরকারিভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবহার করা হতো। এই ব্যবস্থার ফলে ভবদহে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা হতো না।

    এ বাস্তবতায় বর্ষা মৌসুমে যে বছর ‘জোয়ারধার’ কার্যকর না থাকে সে বছর যশোরের ভবদহ অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষের দুঃখের অন্ত থাকে না।

    গত ২/৩ বছর ধরে ভবদহ অঞ্চলে আবার ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ভবদহে শত শত গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। হাজার হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান নষ্ট হয়ে যায়। পানিবন্দি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। এই অস্বাভাবিক জীবনযাত্রার ফলে ভবদহবাসীর জীবনে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। ফলে ভবদহ অঞ্চলের সার্বিক জীবন ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাবসহ অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।

    এলাকার কোনো বিলে বর্তমানে জোয়ারধার(টিআরএম) কার্যকর না থাকায় পলি জমে নদ-নদীর বুক উঁচু হয়ে গেছে। ফলে এ অঞ্চলের প্রায় ২৭টি বিলসহ ভবদহের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ মুক্তেশরী-টেকা-শ্রী-হরি নদীর তলদেশ পলিতে ভরে নাব্য হারিয়েছে।

    আশেপাশের কোনো বিলে ‘জোয়ারধারের’ মাধ্যমে নদীর পলি অবক্ষেপণ করলে বিলগুলো যেমন উঁচু হবে তেমনি নদীর গতিও ঠিক থাকবে। ভবদহ সুইজ গেটের উজান ও ভাটিতে পলি পড়ে আশীর্বাদের সুইজগেট এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে। সাগর থেকে আসা জোয়ারের পানি প্রতিদিন দুবার নদীগুলো (মুক্তেশরী, টেকা ও শ্রী হরি) দিয়ে ভবদহ অঞ্চলে প্রবেশে করে। আবার ভাটির সময় পানি সাগরে ফিরে যায়। এভাবে পলি পড়ে পড়ে নাব্য হারিয়েছে নদীগুলো। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা থেকে দ্রুত নিস্তার মিলছে না ভবদহবাসীর!

    তবে এই খনন কাজ হচ্ছে অপরিকল্পিত ও সমন্বয়হীভাবে। দায়সারাভাবে কাজ করার ফলে তা কোনো কাজেই আসছে না। এক নদীতে খনন করতে করতে অন্য খননকৃত নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদী দিয়ে প্রচুর পলি আসছে। খনন করে যে পরিমাণ মাটি কাটা হচ্ছে তা আবার পলিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীর মাটি কেটে নদীর পাড়েই স্তূপ করে রাখা হচ্ছে! সেই মাটির স্তূপ ভেঙ্গে কোনো না কোনোভাবে আবার নদীতেই পড়ছে। আবার নদী গভীর করে কাটা হচ্ছে না। এই সব কারণে যেনতেনভাবে নদী খনন করে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না।

    এবারও জলাবদ্ধতা হচ্ছে।
    প্রশ্ন হলো, আর কতকাল চলবে এই জলাবদ্ধতা? ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘জোয়ারধার’ যেমন কার্যকর রাখতে হবে তেমনি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য টিকিয়ে রাখতে হলে নদ-নদীগুলোও নাব্য সংকট থেকে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু সরকার কেন ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘টিআরএম’ প্রকল্প কার্যকর করতে পারছে না? কারণ হলো স্থানীয় চিংড়ি ঘেরের মালিক ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে (টিআরএম)চালু করতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নোবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি

    নোবিপ্রবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে লক্ষ্যে ২০০৬ সালে নোয়াখালী তে প্রতিষ্ঠা করা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সালের ২২ জুন ২০০৫-২০০৬ শিক্ষাবর্ষের ১৮০ জন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ২৭ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

    বাংলাদেশের প্রধানতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) বিশ্ববিদ্যালয় দিবস প্রত্যক্ষ করলে দেখা যায় তাদের সবাই শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দিনটিকেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে। একই কারণে ২২ জুনকেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পালন করা হয়।

    বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০০৮ সালের নিবার্চনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পরেও নোবিপ্রবির ২য় এবং ৩য় ভিসির মেয়াদকালেও ২২ জুনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরের ২২ জুন এই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। কিন্তু গত ২০১৬ সাল থেকে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আসলে এ নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন সংক্রান্ত তথ্য থেকে দেখা যায় প্রাক্তন উপাচার্য এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী স্যারের সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবার অত্যন্ত আড়ম্বর আয়োজনের মাধ্যমে পুরো নোয়াখালী জুড়ে এই দিবসটি পালিত হয়। যা নোয়াখালীবাসির মনে আজও ঠায় নিয়ে আছে। ২০১৫ সালে নোবিপ্রবির ৪র্থ ভিসি অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান স্যার দায়িত্বে এলে তিনিও প্রথমবার ২২জুনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করেন।

    পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তের কারণে ১৫ জুলাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবস ঘোষণা করা হয়। এবং বর্তমানেও সেটি বহাল রয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন তথ্য হতে দেখা যায়, ১৯৯৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের ১২টি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যার মধ্যে নোবিপ্রবি অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

    পরবর্তীতে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই “নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১” পাশ হয়, ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সেই আইন কার্যকর হয় এবং ২০০৫ সালের ২৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

    দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনটিই আইন পাশের দিনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে না।

    উপরন্তু সবক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের সূচনাকেই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়েছে।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৬ সালে ২২ জুন শুরু হয়েছিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। ২২ জুনকে নোবিপ্রবি দিবস হিসেবেই পালন করা হচ্ছিল।

    কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৬ সালে তৎকালীন ভিসি ড. অহিদুজ্জামান আইন পাশ করলেন, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ১৫ জুলাই।

    কারণ বা যুক্তি হিসেবে জানালেন, ২০০১ সালের ১৫ জুলাই সংসদে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন পাশ হয়। অর্থাৎ, ২০০১ সালের ১৫ জুলাই যদি সংসদে এই আইন পাশ না হত তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হত না। তাই ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। কিন্তু, প্রশ্ন এসেছিল তাহলে ২২জুন? তিনি বললেন, ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয় জন্মদিন।

    এই ঘটনা নেপথ্যে কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ড. অহিদুজ্জামান নোবিপ্রবিতে ভিসি হিসেবে যোগ দেন ২০১৫ সালে। ওই বছর ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও বিশ্ববিদ্যালয় জন্মদিন একই ছিল এবং পালন হয়েছে।

    কিন্তু, ওই দিবসে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি তারেক রাশেদ উদ্দিন বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, আমি অনুরোধ করব বর্তমান ভিসিকে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক সংসদে আইন পাশের (২০০১সাল ১৫ জুলাই) দিনকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস করা হোক।”

    উপরোক্ত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কয়েকজন সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, তার মানে আমরা কী ধরে নেব আফিসার্স এসোসিয়েশনের ওই নেতার কথায় ভিসি প্রভাবিত হয়েছেন? এযাবতকাল আমরা দেখে আসছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইন অনুযায়ী ভিসি নয়, ভিসি অনুযায়ী আইন হয়। যা দেখা গিয়েছে আহমদ ছফার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লেখা “গাভি বৃত্তান্ত “আর মুহাম্মদ জাফর ইকবালের “মহব্বত আলির একদিন” দুটি উপন্যাসে। আহমদ ছফার গাভি বৃত্তান্তে ভিসির ইচ্ছায় একটি গাভি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ত্বপূর্ণ জিনিস। আর মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মহব্বত আলির একদিনে, ভিসির ইচ্ছায় বিশেষ রাজনীতিক দলের গুণ্ডা দিয়ে শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করা হয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • করোনায় ঘরবন্দি শিশুদের সঙ্গী ভার্চুয়াল আড্ডা

    করোনায় ঘরবন্দি শিশুদের সঙ্গী ভার্চুয়াল আড্ডা

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃকোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বন্ধ স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। ঘরবন্দী লাখো শিক্ষার্থী। ক্লাস-কোচিং, খেলার মাঠ, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠান কিংবা উপাসনালয়ে গিয়ে প্রার্থনা, কিছুই করার সুযোগ নেই। ফলে এখন অনেকটা বাধ্য হয়েই ভার্চুয়াল আড্ডায় নির্ভর করতে হচ্ছে ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স এ করোনার দিনে তাদের সঙ্গী। আর এসব অনলাইন দুনিয়াই এখন তাদের জগৎ।

    করোনায় আক্রান্ত সারা বিশ্ব। বাংলাদেশেও করোনার আক্রমন থেকে মু্ক্তি পাচ্ছেনা। এখন বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা লম্বা একটা ছুটি কাটাচ্ছে নিজ নিজ গৃহে বসে। শহরে শিশুদের খেলার সুযোগ এমনিতেই কম। যেটুকু সুযোগ ছিল শিশুদের খেলাধুলার , তাও কেড়ে নিয়েছে প্রাণঘাতী মহামারী নভেল করোনা ভাইরাস। লকডাউনের এই সময়ে পরিবারের সাথেই ঘরে আটকে আছে শিশুরাও।

    সময় কাটাতে বর্তমানে বিনোদনের জন্য সঙ্গী হয়েছে ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইউটিউব।

    বড়রা আবার অনলাইনে পড়াশোনা করতেছে। ঘরে বন্দি থাকতে থাকতে অলস সময় কাটাতে শিশুরা মোবাইলে বা ল্যাপটপে কার্টন ছবি দেখছে বা গেইম খেলছে। প্রযুক্তি যেমন আশির্বাদ হয়ে আসছে তেমনি প্রযুক্তি অতিমাত্রায় ব্যবহারে হতে পারে ক্ষতির কারণ।

    তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র নয়ন গত। গত ১৭ মার্চ থেকে ঘর থেকে বের হতে পারছে না । ফলে মোবাইল এখন তার একমাত্র সঙ্গী। এই দুই যন্ত্রে সিনেমা দেখে ও বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েই দিন কাটে নয়নের।

    নয়ন বলেন, সারাদিন ঘরে বসে তো সময় কাটে না। বাইরের বেরোনোরও সুযোগ নেই। তাই মোবাইলে বন্ধুদের সাথে ভার্চুয়াল আড্ডা দিয়ে আর সিনেমা দেখেই সময় কাটাতে হয়।

    নবম শ্রেণীর ছাত্র সোহরাব। ঠাকুরগাঁওয়ের একটি নামকরা বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। নিয়মিত স্কুলে যায়, বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করে, একসাথে আড্ডা দেয় ঠিকমতো পড়ালেখা করে। ভালোভাবেই চলছিলো তার দিনগুলো। কিন্তু মার্চ মাসের মাঝামাঝি হতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়, বাড়ির বাইরে যাওয়ার বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। হঠাৎ সে নিজেকে চার দেয়ালে বন্দি অনুভব করে। তাই সময় কাটাতে মোবাইলের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। এখন তার দিন কাটে মোবাইলে ভিডিও গেমস খেলে, ফেইসবুক চালিয়ে আর মুভি দেখে। উপরের চরিত্রটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে এরকম অনেক নয়নকে খুঁজে পাওয়া যাবে।

    করোনা ভাইরাস তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে সমগ্র বিশ্বে এবং যার ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন। আমাদের দেশে এ বছরের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কাজেই শিক্ষার্থীসহ সকলে নিজেদের ঘরে জীবনযাপন করছে। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই দেশের ও বিদেশের আত্মীয়স্বজনদের খোঁজ খবর হোক কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডাই হোক প্রায় সব কিছুই এখন মোবাইলে করতে হচ্ছে। দিনের বেশিরভাগ সময় এখন আমাদের কাটছে মোবাইলে।

    ফলে অনেকেই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। ঘরবন্দি থাকার কারণে মোবাইল ফোন হয়ে গেছে আমাদের পরম বন্ধু। মোবাইলে গেমস, ফেসবুক চ্যাটিং, ইউটিউব দেখার পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। একটু পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে মানুষ নিজ নিজ প্রয়োজনে যতটুকু পরিমাণ মোবাইল ব্যবহার করতো এখন সেই ব্যবহার আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে মোবাইলের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে অনেকেই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তাদের স্বাস্থ্যের উপর সৃষ্টি হচ্ছে বিরূপ প্রভাব। এ ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী।

    তাছাড়া অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার মাথায় টিউমারের সৃষ্টি করে, ঘুমের সমস্যা বা নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। মোবাইলের প্রতি আসক্ত হওয়ার কারণে একঘেয়েমি, স্মৃতিশক্তি লোপ এবং বিভিন্ন মানসিক সমস্যা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হয় মোবাইলের পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিত। করোনায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো।

    কেননা যে কোনো সেবার জন্য ফোন করলে আগে করোনার সতর্কতা বিষয়ক ম্যাসেজ দেয় তবে তা বিনামূল্যে নয়। এর জন্য টাকা কেটে নেয়। আমার মনে হয় এটা অমানবিক। করোনার সতর্কতার মেসেজটি বিনামূল্যে দিতে পারতো। তাছাড়া এখন অনেকের অবসর সময়ের সঙ্গী হচ্ছে মোবাইল ফোন।

    ফলে মোবাইল ফোনের ব্যবহার অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু-কিশোরদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন-কম্পিউটার যতটা সম্ভব দূরে রাখাই ভালো। এগুলো তাদের কল্পনাশক্তিকে সীমিত করে ফেলে। এছাড়া চোখ ও মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করে। মোবাইলের অপব্যবহার আমাদের জীবনের মূল্যবান অনেক সময় তাকে নষ্ট করছে। মোবাইল সারা দুনিয়াকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। আমরা চাইলে এখন মুহূর্তের মধ্যেই মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো তথ্য জেনে নিয়ে নিজেদের আরও সমৃদ্ধ করতে পারি। তাই মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রোডাক্টিভ হয়ে সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত।

    তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে আমরা অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে অবসর সময় পেয়েছি। কাজেই আমাদের পরিবারের সাথে খুব ভালোভাবে সময় কাটানো উচিত। অবসর সময় কাটানোর জন্য আমরা অনেক গল্পের বই পড়তে পারি। ঘরের বিভিন্ন কাজে পরিবারের মানুষদের সাহায্য করতে পারি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • তালেবানের গুলিতে টানা ৪৯দিন জীবনমরন সন্ধিক্ষণে থাকা নোবেল জয়ী সেই মালালা এখন অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট

    তালেবানের গুলিতে টানা ৪৯দিন জীবনমরন সন্ধিক্ষণে থাকা নোবেল জয়ী সেই মালালা এখন অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট

    নারী শিক্ষার বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন।

    এই তরুণী শুক্রবার (১৯ জুন) এক টুইটে নিজেই একথা জানিয়েছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি মার্গারেট হল থেকে রাজনীতি, দর্শন এবং অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণী।

    ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর তালেবান জঙ্গিরা গুলি করে মালালার মাথায়। এরপর পাকিস্তান ও যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে টানা ৪৯ দিন যুদ্ধ করেন জীবনের সঙ্গে। হারিয়ে দেন মৃত্যুকে। পরে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার জয় করেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এত কম বয়সে নোবেল জয়ের ঘটনা এটাই প্রথম।

    অক্সফোর্ড থেকে স্নাতক শেষ করার আনন্দ নিজের পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে মালালা। টুইটারে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি, যার প্রথমটিতে তাকে কেক মাখিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং অন্যটিতে পরিবারের সঙ্গে কেক কাটার দৃশ্য। ফলাফল হাতে পেয়েই মালালা টুইটার পোস্টে লেখেন, আমি জানি না সামনে কী হবে। আপাতত, নেটফ্লিক্স, বই পড়া এবং ঘুম নিয়েই আছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/আলীউর

  • এক মহীয়সী মায়ের বিদায়/ মানব কল্যাণে নিয়োজিত সমাজের সর্ব উচ্চ শিখরে থাকা ৪ সন্তান

    এক মহীয়সী মায়ের বিদায়/ মানব কল্যাণে নিয়োজিত সমাজের সর্ব উচ্চ শিখরে থাকা ৪ সন্তান

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আলীউর রহমান : ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ডাক্তার তাহমিনা বানু, ডাক্তার মহসীন জিল্লুর করিম, ড. আদনান মোর্শেদ চারজনই দেশের নক্ষত্র। তাদের মা জোহরা বেগম (৮৭) মঙ্গলবার রাত দুইটায় পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন।

    নিরবে আড়ালে থেকে আজীবন তিনি নিজ সন্তানদের মানুষের কল্যাণে কাজ করার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। একজন মায়ের চার সন্তান সমাজের সর্ব উচ্চ শিখরে অবস্থান করে গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে এমন নজির দেশে বিরল। তিনি চন্দনাইশের বড়মা গ্রামের ডাক্তার আবদুল মতিন স্ত্রী।

    চার সন্তানের পরিচিতি :

    (১) ড. হোসেন জিল্লুর রহমান : জন্ম ২৬ জুলাই ১৯৫১। তিনি একজন শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের চেয়ারম্যান। তিনি ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন এবং বাণিজ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

    বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ, ডেনিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা, টেকসই উন্নয়ন কমিশন, অ্যাকশন এইড, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থার পরামর্শদাতা ছিলেন। তাছাড়াও বাংলাদেশের নীতি নির্ধারক ও সুশীলদের একজন হিসেবে পরিচিত ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

    (২) ডাক্তার তাহমিনা বানু : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহনকারী এই মহিয়সী নিজে ঘর সংসার করেননি। দেশের ক্রটি নিয়ে জন্মগ্রহণ কারী কঠিন রোগে কষ্ট পাওয়া শিশুরাই তার সন্তান।

    ১৯৯৩ সালে ডা. তাহমিনা বানুর হাত দিয়ে যাত্রা করে শিশু সার্জারি বিভাগ। দেশে অসংখ্য শিশুর ক্রিটিক্যাল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে ‘শিশুবন্ধু’ খ্যাত এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে। অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছেন শিশু সার্জারিসহ চিকিৎসা নিয়ে নানা গবেষণা।

    শিশু সার্জারি জগতে আন্তর্জাতিক আঙিনায় ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন নিজের সর্বোচ্চ অবস্থান। দেশি ৬৯টি এবং আন্তর্জাতিক ৪১টি চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ।

    বিশ্বে প্রথম তিনি জন্মগত ত্রুটির ওপর গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ২০১৩ সালে। এর আগে বিষয়টি ভারতে আলোচনা হলেও লিখিতভাবে প্রথম আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ হয়। তাছাড়া, বর্তমানে দেশের একমাত্র চিকিৎসক তিনি, যিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অক্সফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে ক্লাস নেন।

    তাঁর ‘লো কস্ট কোলাবোরেট’ ফান্ড ২০১৭ সালে যাত্রা করা এ ফান্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ২৫০ জন রোগীর সেবা দেওয়া হয়েছে। যেখানে কোটি টাকার চিকিৎসা খরচ হয় শিশুদের এমন জটিল রোগ বিনা পয়সায় অথবা সামর্থ্য অনুযায়ী ফিতে করা হয়।

    (৩) ডাক্তার মহসীন জিল্লুর করিম : MBBS, MRCP, FRCP, FACC. Cardiacare Heart and General HospitalSt। দেশের নাম করা কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞ। তিনি গত ১৫ বছর ধরে নিজ এলাকা চন্দনাইশে ফ্রি ক্লিনিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামে যে কোন চ্যারিটি চিকিৎসা ক্যাম্পে ডাকলেই চলে আসেন।

    (৪) ড. আদনান মোর্শেদ : তিনি বর্তমানে স্কুল অফ আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিং, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন ডিসির সহযোগী অধ্যাপক। এমআইটি, এবং বি আর্চ থেকে আর্কিটেকচারে মাস্টার্স ওপিএইচডি করেছেন।

    তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। ওয়াশিংটন, ডিসির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের জাতীয় বায়ু ও মহাকাশ যাদুঘরে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তিনি।

    তিনি সোসাইটি অফ আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিস্টসের পরিচালনা পর্ষদে, মানবিক অনুদানের জন্য জাতীয় অনুদানের জন্য জুরি এবং সম্প্রতি, অ্যালিস ডেভিস হিচকক বই পুরস্কারের জন্য সোসাইটি অব আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিয়ানস কমিটির সভাপতিত্ব করেছেন।

    আদনান মোর্শেদকে ন্যাশনাল গ্যালারী অফ আর্টের ভিজ্যুয়াল আর্টস (সিএএসভিএ) এর সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিতে ওয়াইথ ফেলোশিপ, অন্যদের মধ্যে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন; ওল্ফসোনিয়ান-ফ্লোরিডা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়; আর সোসাইটি অফ আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিয়ানস।

    তাঁর গবেষণা গ্রাহাম ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল এন্ডোমেন্ট ফর হিউম্যানিটিস এবং এমআইটি থেকে সম্মানজনক গবেষণা অনুদান পেয়েছে। তিনি ইম্পসিবল হাইটস: স্কাইস্ক্রেপার্স, ফ্লাইট এবং মাস্টার বিল্ডার (ইউনিভার্সিটি মিনেসোটা প্রেস, ২০১৫) এবং ওকুলাস: অ্যাডসাইড অফ ইনসাইটস ইন বাংলাদেশি অ্যাফেয়ার্স (ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ২০১২)।

    তিনি আধুনিক স্থাপত্য ও নগরবাদের ইতিহাস এবং তত্ত্ব, নগর পরিবেশ ও জেন্ডার ন্যায়বিচার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে টেকসই নগর পরিকল্পনার বিষয়ে বিশ্বজুড়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।

    তাঁর নিবন্ধগুলি সোসাইটি অফ আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিয়ানস, জার্নাল অফ আর্কিটেকচারাল এডুকেশন, জার্নাল অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, থ্রেশহোল্ডস (এমআইটি), সেন্টার (আর্ট গ্যালারী অফ আর্ট), কনস্ট্রাক্টস (ইয়েল), নিউ জিওগ্রাফিজ (হার্ভার্ড), স্থাপত্য নকশা এবং dition ঐতিহ্যগত আবাসন এবং সেটেলমেন্ট পর্যালোচনা। আরো পড়ুন : মারা গেছেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা

    তিনি বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রেফার্ড জার্নালের জন্য পর্যালোচক হিসাবে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি শহর: ঢাকা, দিল্লি এবং চণ্ডীগড়ে সোসাইটি অব আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিয়ান্সের অধ্যয়ন সফরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

    বর্তমানে তিনি প্রফেসর মার্ক জারজমবেকের নেতৃত্বে এমআইটি’র গ্লোবাল আর্কিটেকচার হিস্ট্রি টিচিং কোলাবরেটিভকে M1M মেলন ফাউন্ডেশন মঞ্জুরি বোর্ডেও কাজ করছেন। একজন অনুশীলনকারী স্থপতি এবং নগরবিদ, আদনান মোর্শেদ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, লেবানন, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশে ভবনগুলি নকশা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • হাসপাতালে-হাসপাতালে ঘুরেছি/আকুতি মিনতি করেও চিকিৎসা জুটেনি, বাঁচাতে পারলাম না বাচ্চাকে!

    হাসপাতালে-হাসপাতালে ঘুরেছি/আকুতি মিনতি করেও চিকিৎসা জুটেনি, বাঁচাতে পারলাম না বাচ্চাকে!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। বিশেষ প্রতিবেদন : চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকায় অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়েছে চার বছরের শিশু শাওন। তার নাক দিয়ে ব্লিডিং শুরু হলে স্বজনরা তাকে নিয়ে প্রথমে ছুটে যান নিকটস্থ বেপজা হাসপাতালে।

    অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে শিশুটিকে নিয়ে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ছুটে গেলেন স্বজনরা। সেখানেও চিকিৎসা জুটেনি। এরপর আহত শিশুটিকে নিয়ে স্বজনরা ছুটে গেলেন সাউথ পয়েন্ট হাসপাতালে। সেখানেও জুটেনি তার চিকিৎসা!

    অবশেষে তাকে নিয়ে শেষ ভরসাস্থল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলেও ততক্ষনে শিশু শাওনের দেহ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শিশুর স্বজনদের কঠিন কথাটি শুনালেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বললেন শিশু শাওন আর বেঁচে নেই।হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও চিকিৎসা পায়নি শাওন

    মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটলেও আহত শিশুটিকে নিয়ে তার একটু সুচিকিৎসা ব্যবস্থার করার জন্য স্বজনরা বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময় নষ্ট করেছেন শুধুমাত্র এ হাসপাতাল টু ওই হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে। এমন শংকটাপণ্ন অবস্থার পরও কোন হাসপাতালের মন গলাতে পারেনি শিশু শাওনের পরিবার।

    সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চার বছরের শিশু বাচ্চার চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার এমন অভিযোগ করে শাওনের বাবা জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে শাওন আজ মঙ্গলবার দুপুরে পতেঙ্গা এলাকায় অটোরিকশার সাথে ধাক্কা খেলে গুরুতর আহত হয়। তার নাক দিয়ে ব্লিডিং শুরু হলে তাকে প্রথমে নিকটস্থ বেপজা হাসপাতালে নেয়া হয়।

    এরপর তাকে নিয়ে নগরীর আরো দুটি হাসপাতালে ঘুরেছি। কোনো হাসপাতাল ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার পৌনে ৩টার দিকে যখন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলো তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক জানালেন শিশু শাওন আর নেই! এক ঘণ্টার মধ্যে যদি তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হতো তাহলে শাওন সুস্থ হয়ে যেতো বলে দাবী তার।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু শাওনের স্বজনদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠে হাসপাতালের পরিবেশ। শিশুটির বাবা জাহিদ হোসেন কান্না করতে করতে গণমাধ্যমকে বলেন, এত আকুতি মিনতি করেও আমার বাচ্চাকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার শিশু পুত্রটির এমন কি অপরাধ ছিলো যে চিকিৎসা না পেয়ে মরতে হলো। এর চেয়ে ব্যর্থতা কি হতে পারে।

    এদিকে হাসপাতালের স্ট্রেচারে রাখা শাওনের মরদেহ নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন স্বজনরা। নানা তার নাতি হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে গড়াড়ড়ি খাচ্ছেন। এ এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য।

    জানা যায়, গ্রামের বাড়ি রংপুর হলেও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় থাকেন শিশু শাওনের পরিবার। শাওনের মরদেহ রংপুর নিয়ে যাবে এবং সেখানেই দাফন কাজ সম্পন্ন করবে বলে জানালেন নিহত শাওনের পরিবার।

    প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির পর থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও একটি আইসিইউ বেডের অভাবে মৃত্যু হয়েছে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর।

    হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পেয়ে স্বজন হারানোর অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার পরিবারও। হাইকোর্টের আদেশ, সরকারি নির্দেশ, মেয়রের হুমকি জনগণের প্রবল প্রতিবাদেও এই করোনাকালে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর যেন মন গলছে না!

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স