বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সফলতম অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার করোনা টেস্ট পজিটিভ হয়েছে। এর আগে কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন মাশরাফি। জ্বর বেশ কয়েকদিন স্থায়ী হলে করোনা টেস্ট করান নড়াইল এক্সপ্রেস। বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন বলে জানা গেছে।
দুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন সংসদ সদস্য মাশরাফি। তার উপসর্গ ছিল গা ও মাথা ব্যথা। এ জন্য শুক্রবার (১৯ জুন) পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন তিনি।
এর আগে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের শাশুড়ি ও তার স্ত্রী সুমনা হকের এক ভাগনি। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। তবে তাদের সংস্পর্শে আসেননি মাশরাফি। আক্রান্ত হয়েছে অন্য কোনোভাবে।
করোনাভাইরানের প্রকোপ শুরুর পর এলাকার মানুষের সহায়তার জন্য দুই দফায় নড়াইল গিয়েছিলেন মাশরাফি। তবে সেটিও বেশ আগে। নড়াইল থেকে ঢাকায় ফিরে আলাদা একটি বাসায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন দুই সপ্তাহ। তার পর বাসায় ফিরে সাবধানেই ছিলেন। বাইরে খুব-একটা যাননি। তার পরও রক্ষা পেলেন না আক্রান্ত হওয়া থেকে।
স্পোর্টস ডেস্ক : আরেকবার মানবিকতার পরিচয় দিলেন বাংলদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
নিজ শহর বগুড়া থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রেকর্ড ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬৭ নম্বর পাওয়া ফল বিক্রেতার মেয়ে তাইরিনা সাবরিন তোরার পড়ালেখার সব দায়িত্ব নিয়েছেন বগুড়ার সন্তান টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক।
মুশফিকের পক্ষ থেকে শনিবার তোরার হাতে বই, পোশাক ও ভর্তির খরচের টাকা তুলে দেন চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎস পরিষদ (স্বাচিব) বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সমাজকর্মী ডা.শামির হোসেন মিশু ও মিতুর সহপাঠী স্বেচ্ছাসেবী মাসুদুর রহমান বাপ্পী।
দুপুরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (ভিএম) এই অর্থ প্রদান করা হয়। এ সময় তাইরিন সাবরিনা তোরার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন এবং তোরা বাবা তোয়ায়েল আহম্মেদ ও মা শামিমা আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুশফিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাসুদুর রহমান বাপ্পী।
শনিবার (১৩ জুন) ফেইবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানান, গত ৮ জুন দুপুরে মুশফিক তাকে ফোন করে। বিভিন্ন কথার মাঝে একটি খবরের কথা জানিয়ে বলে, এই বিষয়ে তাকে আগে কেন জানানো হয়নি।
খবরটি ছিল এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ১৩০০ নম্বরের মাঝে ১২৬৭ নম্বর পেয়ে বগুড়া জেলার ভেতর রেকর্ড নাম্বার পেয়ে পাস করেছে তোরা। সেখানে তোরার পারিবারিক অস্বচ্ছলতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছিল।বাপ্পী আরো জানান, মুশফিক নিজেই তোরার স্কুলের (বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষিকা ও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পড়ালেখার যাবতীয় খরচ একাই বহন করবে বলে জানিয়ে দিতে বলেন। প্রাথমিকভাবে কলেজে ভর্তি, পোষাক আর বইয়ের জন্য কিছু অর্থ পাঠিয়ে দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। শনিবার তোরার হাতে এই টাকা তুলে দেন বাপ্পী ও সামীর হোসেন মিশু।
এছাড়া তোরাকে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে। কলেজ শুরু হলে সেখানে প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বৃত্তি হিসেবে দেবেন মুশফিক, যা দিয়ে অনায়াসে তোরা লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারবে। ভবিষ্যতে ফরম ফিল-আপ ও রেজিষ্ট্রেশন ফি’র জন্যেও আলাদা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন মুশফিক।শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নন, মানুষ হিসেবেও যে মুশফিক বড় মনের একজন মানুষ তার প্রমাণ আরো একবার দিলেন তিনি।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঝুঁকি নিয়েই ময়দানে নেমেছিলেন তিনি। বেশ ক’দিন ধরেই ঘরবন্দি পাকিস্তানের বিভিন্ন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
কিন্তু পাকিস্তান তো বটেই, গোটা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দুশ্চিন্তার খবর। শহীদ আফ্রিদি নিজেই এখন করোনা আক্রান্ত।
তাঁর লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে শনিবার।
এরপর থেকে আইসোলেশনে রয়েছেন আফ্রিদি এবং কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে তার পরিবার।
ফ্যানদের কাছে তার আবেদন, ‘আমি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠি, সেই প্রার্থনাই আপনারা সবাই করুন। ’
করোনা মোকাবিলায় প্রায় পুরো বিশ্বেই এতদিন চলেছে লকডাউন।
এখন লকডাউন উঠলেও কোভিড পরিস্থিতির কোনও উন্নতি নেই ভারত-পাকিস্তানের মতো অনেক দেশেই। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের রুটি-রুজি সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে, তাদের পাশে অনেক দিন আগেই দাঁড়িয়েছেন আফ্রিদি। নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আফ্রিদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের দিকে। যা দেখে টুইটারে এর আগে প্রশংসাও করেন হরভজন সিং। সেই আফ্রিদির কোভিড পজিটিভের খবর পেয়ে স্বভাবতই ভেঙে পড়েছেন তার ফ্যানরা।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর ঘর বিতাড়িত এক নারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মোর্তজা। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নোংরা শিরোনামে খবর প্রকাশ করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুন) একটি দৈনিক পত্রিকা ও একটি অনলাইনে খবর প্রকাশের জেরে সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান এ তারকা।
মঙ্গলবার সকালে থেকেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ‘মাশরাফি বিন মোর্তজা অন্যের স্ত্রীকে কাছে টেনে নিয়েছেন’ শিরোনামে একটি খবর। শিরোনাম দেখে বোঝার উপায় নেই প্রকৃত ঘটনা কী। বরং নোংরা হেডলাইনে ভুল বার্তা পেয়েছে পাঠক।
বিষয়টি মাশরাফির দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর প্রতিবাদ জানিয়ে ম্যাশ লিখেছেন,
~What a headline, journalism at his best….. যারা বছরের পর বছর এ পেশাটাকে শুধু পেশা হিসাবেই না সর্বচ্চো সম্মানের সাথে করে আসছেন উনারাও এসব দেখে লজ্জা পান, মনে হয়….”
ক্যাপ্টিন ফেন্টাসন্টিকের এমন প্রতিবাদের পর মূহুর্তেই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মাশরাফির ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছেন।
জানা গেছে, নড়াইলের লোহগড়ায় ১ জুন ইতি খানম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে যান তার স্বামী তিতাস কাজী। নির্যাতন সইতে না পেরে অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন ইতি। পরে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ।
এরপর থেকে স্বামী, শ্বশুরবাড়ি কিংবা বাবার বাড়ির কেউ খোঁজখবর নেয়নি ইতির।
পরে স্থানীয় এমপি মাশরাফি ঘটনাটি জানতে পারলে নির্যাতিতা ইতিকে তার শ্বশুর বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওই নারীকে আশ্বস্ত করেন। তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতায় পাশে থাকবেন বলেও জানান মাশরাফি।
এ ঘটনাকে নিয়ে খবর প্রকাশ করতে গিয়ে নোংরা শিরোনাম ব্যবহার করা হয়। অবশ্য মাশরাফি প্রতিবাদ করার পর শিরোনাম পরিবর্তন করেন সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম।
বহুদিন ধরেই কালোদের প্রতি অত্যাচার-নির্যাতন হয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্যাতনে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড। তার মৃত্যুতে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিলেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান।
ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর সম্প্রতি মাইকেল জর্ডান বলেন, আমি গভীরভাবে দুঃখিত, ব্যথায় ভারাক্রান্ত এবং একই সঙ্গে ক্ষুব্ধও। আমাদের বুঝতে হবে, কালোদের জীবনও গুরুত্বপূর্ণ এটা আমাদের মানতে হবে। তাদের জীবনমান, নিরাপত্তার উন্নতি করতে হবে।
শুক্রবার জর্ডান আরও বলেন, কালোদের প্রতি অত্যাচার-নির্যাতন যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। তাদের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসা, সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তার উন্নয়নে আমাদের সবার এগিয়ে আসা উতিত।
মাঠের খেলা বন্ধ, তাই বলে যে রেকর্ড গড়া বন্ধ থাকবে এমনটা মানতে যেন নারাজ পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। খেলা দিয়ে যেহেতু রেকর্ড গড়া সম্ভব নয়, তাই এবার নিজের ক্যারিয়ারের উপার্জন দিয়েই রেকর্ড গড়লেন তিনি।
ফুটবল ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিলিয়নিয়াল ক্লাব তথা ১০০ কোটি ডলার আয় করা ফুটবলার হলেন রোনালদো। চলতি মৌসুমে ১০৫ মিলিয়ন (সাড়ে ১০ কোটি) ডলার আয় করার মাধ্যমে শত কোটি ডলারের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন রোনালদো।
তার আগে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে বিলিয়নিয়ার হয়েছেন কেবল চারজন- বাস্কেটবলে মাইকেল জর্ডান, গলফে টাইগার উডস, প্রো-বক্সিংয়ে ফ্লয়েড মেওয়েদার এবং ফর্মুলা রেসিংয়ে মাইকেল শুমাখার। এ তালিকার পঞ্চম এবং সবশেষ সদস্য হিসেবে নাম লেখালেন পর্তুগিজ তারকা।
করোনাভাইরাসে কারণে চলতি মৌসুমে তুলনামূলক অনেক কমই আয় হয়েছে রোনালদোর। গত মৌসুমে তিনি শুধুমাত্র নিজ ক্লাব জুভেন্টাস থেকেই পেয়েছিলেন ১০৯ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু চলতি মৌসুমে এটি কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬ মিলিয়ন ডলারে।
তবে অন্যান্য ব্যক্তিগত ব্যবসা এবং বিজ্ঞাপনী চুক্তির মাধ্যমে ঠিকই অর্থবছরে ১০৫ মিলিয়ন ডলার জমা পড়েছেন রোনালদোর ব্যাংক একাউন্টে। যা তার ক্যারিয়ারের মোট আয়কে পৌঁছে দিয়েছে ১ হাজার মিলিয়ন ডলারে।
বিলিয়নিয়ার হওয়ার পথে শুধুমাত্র ফুটবলীয় চুক্তি তথা দলবদলের টাকা এবং ক্লাব থেকে বেতন মিলিয়ে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন রোনালদো। তার বাকি আয়ের পথ ছিল ব্যক্তিগত ব্যবসা এবং বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী চুক্তি।
শত কোটি ডলারের ক্লাবে নাম লেখালেও তবে চলতি বছর সর্বোচ্চ আয় করা ক্রীড়াবিদ নন রোনালদো। এ বছর সর্বোচ্চ ১০৬.৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন সুইজারল্যান্ডের টেনিস তারকা রজার ফেদেরার। এছাড়া রোনালদোর চির প্রতিদ্বন্দ্বী মেসির আয় ১০৪ মিলিয়ন ডলার।
২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। স্পোর্টস ডেস্ক : শৃঙ্খলা ভঙ্গ নতুন কিছু নয়। নারী কেলেঙ্কারি, দর্শক পেটানোর কারণে বহুবার পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন। আবারো নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হলেন টাইগার হার্ড হিটার সাব্বির রহমান রুম্মন।
ব্যাড বয় খ্যাত সাব্বির রহমানের দিকে এবার পরিচ্ছন্নতাকর্মী পেটানোর অভিযোগ উঠেছে! এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার (৩১ মে) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বেলদারপাড়া এলাকায় সিটি করপোরেশনের কর্মচারীকে পেটানোর ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয়দের দাবী।
তবে এ বিষয়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাব্বির রহমান রুম্মন দাবী করছে ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সঙ্গে ‘বাগবিতণ্ডা’য় জড়ালেও গায়ে হাত তোলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। উল্টো ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীই তাকে ‘চোখ রাঙিয়েছেন’।
সংবাদমাধ্যমকে সাব্বির বলেন, একটা কথা রটেছে যে আমি কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে মেরেছি। না। এরকম কিছুই না। একটা মানুষকে মারা এত সহজ না। তিনি বলেন,এর আগে যেসব অন্যায় করেছি, সেখান থেকে নিজেকে শুধরে নিয়েছি। আমার ক্যারিয়ার আছে। অতএব ওর গায়ে হাত তোলার প্রশ্নই উঠে না।
বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, সাব্বির বাদশার গায়ে হাত তুলেছে, এটা যেমন তিনি দেখেননি, তেমনি কেউ এ অভিযোগও করেনি। এমনকি বাদশাও কোনো অভিযোগ করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাদ দিয়ে ওসি আরও বলেন, বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ক্রিকেটার সাব্বির রহমান প্রাইভেটকারে চড়ে তার বাড়ির কাছে পৌঁছেন। এসময় বাড়ির রাস্তার সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ময়লা বহনকারী ভ্যান দেখে তিনি ভ্যানটি সরাতে বলেন।
তবে পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাদশা প্রতিউত্তরে বলেন, ‘আমাদের কাজই তো ময়লা সরানো। ময়লা নিয়েই চলে যাবো।’ কিন্তু সাব্বির পাল্টা ওই পরিচ্ছন্ন কর্মচারীকে বলেন, এটা কি তোর বাপের রাস্তা।’
এ নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে বাদশার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন সাব্বির। পরে অন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা খবর পেয়ে ছুটে এলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকে বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে বেড়িয়ে বাসায় ফিরছিলেন টাইগার হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান সাব্বির রাহমান। কিন্ত বাসার সামনে এসে দেখেন, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী তার বাসার ঠিক গেটের সামনে ময়লার ভ্যান দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। সাব্বির বারবার তাকে ভ্যান সরাতে বললেও তিনি ভ্যান সরাননি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ঘটে।
স্থানীয়রা দাবি করেন, রাসিকের পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাদশার গায়ে হাতও তুলেছেন সাব্বির। এ নিয়েই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে অন্য কর্মচারীদের মাঝে। তারা খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ মহানগরীর বেলদারপাড়া এলাকায় গিয়ে সাব্বিরের বাড়ির কাছে হাজির হন। এতে বিপাকে পড়েন সাব্বির। শেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রসঙ্গত : দুই বিপিএলেই আম্পায়ারকে গালি দিয়ে জরিমানা গুনেছিলেন, ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাজশাহী শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে জাতীয় লীগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ চলাকালীন এক কিশোর দর্শককে বেধড়ক পেটান সাব্বির।
দর্শককে পেটানোর অভিযোগে ছয় মাসের জন্য জাতীয় দল থেকে বহিস্কার হয়েছিলেন ক্রিকেটার সাব্বির রহমান। পাশাপাশি ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তার।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল দ্বিতীয়বার সন্তানের বাবা হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ মে) রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তার স্ত্রী অনিকা তাসলিমা অর্চি।
আশরাফুল বলেন, ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছি। ছেলে ও মা দুজনই সুস্থ রয়েছে। দোয়া করবেন।
এর আগে, চলতি মাসে বাবা হয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন এবং সাকিব আল হাসান।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর অনিকা তাসলিমা অর্চির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মোহাম্মদ আশরাফুল। তাদের ঘর আলোকিত করতে পরের বছরের সেপ্টেম্বরে জন্ম নেয় মেয়ে আরিবা তাসনিম আশরাফুল।
২০১৩ সালে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন বাংলাদেশের তারকা এ ব্যাটসম্যান। নিষেধাজ্ঞা কেটে গেলেও এখনো জাতীয় দলে ফিরতে পারনেনি। ফিক্সিংয়ে জড়ানো আগে ওয়ানডেতে ১৭৮ ম্যাচে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩ হাজার ৪৬৮ রান করেছেন। এখন পর্যন্ত ৬১ টেস্টে মোট ২ হাজার ৭৩৭ রান তুলেছেন।
অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে ২৩ ম্যাচে ৪৫০ রান করেন তিনি।
২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক সংবাদ : করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে দুই চব্বিশ পরগণা, কলকাতা। লণ্ডভণ্ড পুরো কলকাতা। তাণ্ডবে কলকাতা শহর ও বিভিন্ন জেলায় রাস্তায় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে।
বিদ্যুতের খুঁটি উপরে পড়েছে রাস্তার উপর। এখন পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটি। ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলীর বাড়িতেও আঘাত হেনেছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। কলকাতা বেহালার বীরেন রায় রোডে সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান থাবা বসিয়েছে।
আম্পানের তাণ্ডবে সৌরভের বাড়িতে বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে একটি আমগাছ। ২১ মে, বৃহস্পতিবার সেই গাছটিকে আগের অবস্থানে ফেরাতে অনেক কষ্ট করতে হয় তাকে। গাছের ডালে দড়ি বেঁধে আমগাছটিকে আবার পুরনো জায়গায় স্থাপন করে দেন। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ।
ওই ছবি টুইটারে পোস্ট করে সৌরভ লিখেছেন, ‘এই বয়সে লড়াই করে ঘাম বেরিয়ে গেলো’ আম্পানের আঘাতে হেলে পড়া আমগাছকে রক্ষার ওই ছবি এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
রাজ্যের বিপর্যয় আইনে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি টাস্ক ফোর্সও গঠন করেছেন। ৭ দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট হবে।
২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেটের ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবালের নিয়মিত ফেসবুক লাইভে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম।
লাইভে তিনি বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সাথে খেলাধুলার নানান স্মৃতিচারণ করেন তিনি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, বাঙালি সেই মাছের ঝোল (ফিশ ব্রোথ) আমি এখনো খুব মিস করি।’
আজ ২০ মে, তামিম ইকবালের নিয়মিত ফেসবুক লাইভে পাকিস্থানি সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক তিন অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন, আকরাম খান ও খালেদ মাসুদ পাইলট।
এসময় ওয়াসিম আকরাম বলেন,তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেটে বাংলাদেশ দীর্ঘ পথ এগিয়েছে এবং অনেক উন্নতি করেছে। আমি (মিনহাজুল, আকরাম ও পাইলট) সাথে অনেক ক্রিকেট খেলেছি এবং অবশ্যই আমি তাদের খুব ভালো করে জানি।
আমি যখন আবাহনীর হয়ে বাংলাদেশে খেলি তখন তাদের সাথে খেলতাম, আমি তাদের বিপক্ষেও খেলেছি। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমরা সবসময়ই খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। আমি যখন বাংলাদেশে ধারাভাষ্য দিতে আসি তখন তাদের সাথে আড্ডা দেই। বাংলাদেশ সবসময় আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে যাওয়া সবসময়ই সুন্দর ছিল। ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপুল উন্নতি আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। গত দশ থেকে ১২ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। এখন, তারা বিশ্বের শীর্ষ দলের মতো খেলে। তোমার মতো (তামিম) অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে যেমন- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মুস্তাফিজুর রহমান।’
তিনি বাংলাদেশের সাবেক তিন অধিনায়কের সাথে মজা করে বলেন, ‘তারা যখন বাংলাদেশের হয়ে খেলেন তখন তাদের ফিল্ডিং তেমন দুর্দান্ত ছিল না, তবে এখন বাংলাদেশের ফিল্ডিং সত্যই দুর্দান্ত। ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দলের একটি।’
১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট অবকাঠামো তেমন উন্নত না থাকলেও ওয়াসিম ঢাকা লীগে আবাহনীর হয়ে খেলেন। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও ওয়াসিম বাংলাদেশে এসে খেলার কারণ জানতে চাওয়া ছিল তামিমের প্রথম প্রশ্ন।
ওয়াসিম বলেন, ‘প্রথমত আমি দেখতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশিরা ক্রিকেটে কেমন আগ্রহী। আর্থিক লাভের কোনো চিন্তা ছিল না। আমি এসেছি কারণ কয়েকজন বাংলাদেশি বন্ধু আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং তাদের কথার না করা অসম্ভব ছিল।
আমি আবাহনীর হয়ে প্রথম যখন খেলি (মিনহাজুল, আকরাম এবং পাইলট সবাই আমার সতীর্থ ছিল)। আমি দেখলাম দর্শকে মাঠ ভরে গেছে। আমি কখনই ভাবিনি যে বাংলাদেশে ক্রিকেটের এত উন্মাদনা।’
সতীর্থ মুশফিকুর রহিমের সাথে প্রথম ফেসবুক লাইভ শুরু করেছিলেন তামিম। আর তাতে যোগ দেয়া চতুর্থ বিদেশি ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব ছিলেন ওয়াসিম আকরাম। ফাফ ডু প্লেসি ছিল প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার, এরপর রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিও এই শোতে অংশ নেন।
তামিমের পরের লাইভ শোতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সাথে কথা বলবেন। অনুষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় (বাংলাদেশ সময়) প্রচারিত হবে।
২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ:বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তীর হাতে সবসময় পরিহিত থাকা এক সামান্য ব্রেসলেটকে অসামান্য করে তুলেছে। রূপার এই ব্রেসলেটের ওজনটা বুঝা গেল আজ নিলামে। মাশরাফীর ১৮ বছরের এই সঙ্গীকে ৪২ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন লেইজিং অ্যান্ড ফিনেন্স কোম্পানিস অ্যাসোসিয়েশন-বিএলএফসিএ।
রোববার (১৬ মে) দিনগত রাত পৌনে একটায় শেষ হয় নিলামটি। ফেইসবুকে ‘Auction 4 Action’ পেইজ-এ নিলামে ব্রেসলেটটির ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ৫ লাখ টাকা। নিলামে তুমুল আগ্রহ ও লড়াই শেষে এটি কিনে নেয় বিএলএফসিএ।
এই অর্থ দিয়ে মাশরাফীর ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে অসহায় মানুষদের।
তবে নিলামে বিক্রি হলেও ব্রেসলেট থাকবে মাশরাফির হাতেই।
বন্ধুর মামাকে দিয়ে নিজের নাম খচিত এই ব্রেসলেট বানিয়েছিলেন মাশরাফি।
বিএলএফসিএর চেয়ারম্যান মমিন উল ইসলাম জানিয়েছেন, ব্রেসলেটটি তারা উপহার হিসেবে মাশরাফীকেই ফিরিয়ে দিতে চান।
লাইভে মমিন উল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ব্রেসলেটটি তারা কি করবেন? জবাবে তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটি উপহার হিসেবে মাশরাফীকেই দিতে চাই। তার হাতেই এটি সবচেয়ে বেশি শোভা পায়।
ব্রেসলেটটি মাশরাফীর হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেয়ার জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা জানান তিনি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য মাশরাফীকে অনুরোধ করেন।
সম্মতি জানিয়ে মাশরাফী বলেন, আপনারা যদি ব্রেসলেটটি নিজেদের কাছে রাখেন তাতেও আমি কষ্ট পেতাম না। আপনাদের হাত থেকে পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমি এটা আর পরবো না।
নিজের নাম খচিত এই ব্রেসলেট দীর্ঘ ১৮ বছর ব্যবহার করেছেন মাশরাফি। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের ক্যারিয়ারের উত্থান-পতন জড়িয়ে আছে এই স্মারকটিতে। শনিবার (১৬ মে) নিলাম শুরু হলেও নিলামের বিডের তথ্য প্রথমবার প্রকাশ করা হয় রবিবার (১৭ মে) সন্ধ্যার দিকে। ৬টা ১০ এর হালনাগাদ অনুযায়ী, নিলামের দর হাঁকানো হয় ৭ লাখ ৫০ হাজার বা সাড়ে ৭ লাখ টাকা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জানানো হয়, ব্রেসলেটের জন্য ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত মূল্য হাঁকানো হয়েছে। রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিড দেখানো হয় ১১ লাখ টাকা। রাত নয়টায় ব্রেসলেটের বিড ১২ লাখ টাকা জানানো হয়।
রাত পৌনে বারোটার দিকে মাশরাফিকে নিয়ে আয়োজকরা ফেসবুক লাইভ শুরু করেন। এরপর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে দাম। মাশরাফির ব্রেসলেট বিক্রির টাকা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সংকটে পড়া মানুষের সহায়তার কাজে ব্যয় করা হবে।
প্রিয় ব্রেসলেটের অজানা গল্প জানালেন মাশরাফি:
নিলামের সরাসরি সম্প্রচারিত পর্বে তিনি বলেন, ‘আমি যখন অনেক ছোট, বড়দের দেখতাম বিভিন্ন ধরনের ব্রেসলেট পরতেন। দুইটা জিনিসের প্রতি ছোটবেলা আমার অনেক শখ ছিল- ব্রেসলেট ও সানগ্লাস। কিন্তু বাবা-মায়ের ভয়ে, বিশেষ করে বাবার ভয়ে কখনো পরতাম না।’
২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাশরাফির যাত্রা শুরু হয়। এরপর ভাবলেন- একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে নিশ্চয়ই বাবা-মা ব্রেসলেট পরার যখন বকা দেবেন না! তখন হাতে ব্রেসলেট পরা শুরু করেন। যদিও পছন্দসই ব্রেসলেট পেতে সময় লেগেছে।
মাশরাফি বলেন, ‘একটি ব্রেসলেট পরা শুরু করি। কিন্তু ডাইভ দিলে সেটা হাত থেকে পড়ে যায়। পরে অবশ্য খুঁজে পেয়েছিলাম, তবে বেশিদিন টেকেনি। আমার এক বন্ধুকে বললাম ব্রেসলেট- আমাকে একটা তৈরি করে দে। সবাই যেরকম মূল্যবান ভাবছে ওরকম কিছু কিন্তু এটা না, অনেকে রুপার ভাবছে- সেটাও না। এটা অতি সাধারণ, স্টিলের তৈরি। আমার বন্ধুর মামার কাছ থেকে বানিয়ে নিয়েছি। এরপর থেকে পরি।’
দীর্ঘ ১৮ বছরে মাশরাফি কয়েকবার খুলেছেন এই ব্রেসলেট। তবে ব্রেসলেটটি হাতে থাকলেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। ক্যারিয়ারজুড়ে সবসময় সব অবস্থায়ই তাকে এই ব্রেসলেট হাতে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘কয়েকবার হাত থেকে খুলে রেখেছি। তবে এটা ছাড়া কখনো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিনি। এরপর থেকে এটাই আমার সঙ্গী। ভালোমন্দ সবকিছুর সাথেই এটা জড়িয়ে আছে। এটা ছাড়া আর কিছু ব্যবহারের চেষ্টা করিনি। শুধু অপারেশন থিয়েটারে স্টিলের কিছু রাখার অনুমতি করে না, কিংবা এমআরআই করতে গেলে। এই দুই সময় ছাড়া সাধারণত এটা খুলিনি। অবশ্য এই দুই জায়গায় অনেক বেশি গিয়েছি (হাসি)। তাছাড়া এটা সবসময় আমার সাথে ছিল ও আছে।’
২৪ ঘণ্টা ডট স্পোর্টস নিউজ : আবুধাবি সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে আগামী ১৯-২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য আবুধাবি টি ১০ ক্রিকেট লীগের ৪র্থ আসরে বাংলা টাইগার্স দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলেন দক্ষিন আফ্রিকার লিজেন্ড ও খ্যাতনামা কোচ ল্যান্স ক্লুজনার।
দক্ষিন আফ্রিকা দলের এক সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্রিকেটার ল্যান্স ক্লুজনার। ৪৯ টি টেস্ট ম্যাচ এবং ১৭১টি ওডিআই খেলা ক্লুজনার খ্যাতনামা ছিলেন তার আগ্রাসী ব্যাটিং এবং বোলিং স্টাইলের জন্য।
কোচ হিসেবেও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন ক্লুজনার। কাজ করেছেন জিম্বাবুয়ে দলের ব্যাটিং কোচ এবং আফগানিস্তান দলের হেড কোচ হিসেবে।
গত বছর আবুধাবি টি১০ ক্রিকেট লীগের ৩য় আসরে নতুন দল হিসেবে চমক দেখিয়ে প্রতিযোগিতার সেরা ৩য় দল হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করে বাংলা টাইগার্স।
দুর্দান্ত পারফরমেন্সের মাধ্যমে বিপূল দর্শক জনপ্রিয়তা পায় দলটি। বাংলা টাইগার্সের প্রতিটি খেলায় স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন হাজার হাজার মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী বাংলাদেশী।
বাংলা টাইগার্সের চেয়ারম্যান এবং এফএমসি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছনি চৌধুরী বলেন, র্টুণামন্টেরে এবারের আসরেও শক্তিশালী দল গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলা টাইগার্স, এরই অংশ হিসেবে দলের ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হলেন দক্ষিন আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার এবং প্রসিদ্ধ কোচ ল্যান্স ক্লুজনার।
তাঁর বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং কোচ হিসেবে অভিজ্ঞতা বাংলা টাইগার্স দলকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।