Category: খেলা

  • টাইগারদের দাপুটে জয়

    টাইগারদের দাপুটে জয়

    একমাত্র টেস্টে জয়ের পর তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেও জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ দল। হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। এবার মিশন টি-টোয়েন্টি। যেখানে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। পরে লিটন দাসকে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

    ম্যাচের শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন দুজন। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে তোলেন ৫৯ রান। তবে দুর্দান্ত শুরু করলেও খানিক আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তামিমকে। ৩৩ বলে ৪১ রান করে আউট হন তিনি।

    তামিম না পারলেও অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন। ৩১ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রানের কোটা ছোঁয়ার পর ৫৯ রানের সময় সিকান্দার রাজার শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন তিনি। ৫টি চারের সাথে ৩টি ছক্কার মারে নিজের ইনিংসটি সাজান লিটন।

    এরপর মুশফিকুর রহিমও ১৭ রান করে আউট হলে দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১৪ রানের সাথে শেষদিকে ফিফটি তুলে নেওয়া সৌম্যর ৩৯ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে করা ৫৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সমান ২০০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল।

    ২০১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ব্যক্তিগত ১ এবং দলীয় ১১ রানের রানের সময় শফিউল ইসলামের বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রেন্ডন টেলর। এরপর ৮ রানে থাকা ক্রেইগ আরভিন মুস্তাফিজের বলে আউট হলে মাধেভেরে রান আউট হন ৪ রান করে।

    কামুনহুকামুয়ে ও উইলিয়ামস কিছুটা চেষ্টা চালালেও ইনিংসের নবম ওভারে দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরান স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। খানিক পর রাজাও একই পথের সারথি হলে ৮৩ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে।

    শেষদিকে আর কোনো ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে না পারলে ১৫২ রানেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে ৪৮ রানে ম্যাচ জিতে ২ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ দল। টাইগারদের সমান ৩টি করে উইকেট নেন লেগস্পিনার বিপ্লব ও পেসার মুস্তাফিজ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    বাংলাদেশ: ২০০/৩ (২০ ওভার)
    সৌম্য ৬২*, লিটন ৫৯, তামিম ৪১; ভাধেভেরে ১/১৫, রাজা ১/৩১।

    জিম্বাবুয়ে: ১৫২/১০ (১৯ ওভার)
    কামুনহুকামুয়ে ২৮, মুম্বা ২৫, উইলিয়ামস ২০; বিপ্লব ৩/৩৪, মুুস্তাফিজ ৩/৩৪।

    ফল: বাংলাদেশ ৪৮ রানে জয়ী।

  • নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম

    নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম

    গুঞ্জন ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ওডিআই অধিনায়ক করা হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক হলেন তামিম ইকবাল। রোববার অধিনায়ক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    তামিম অধিনায়ক হচ্ছেন-এমন একটা খবর রোববার সকাল থেকেই ভেসে বেড়াচ্ছিল ক্রিকেটাঙ্গনে। তবে অনেকেই এগিয়ে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। তিনিই যে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তবে তার ফর্ম নিয়ে কিছুটা শঙ্কা আছে। এ কারণেই ওপেনার তামিমকে বেছে নিয়েছে বিসিবি।

    জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার জায়গায় এখন দেখা যাবে তামিমকে। এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়েই অধিনায়ক তামিমের আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হবে।

  • মাশরাফি বললেন, মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালবাসত শুধু তোমাদের….

    মাশরাফি বললেন, মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালবাসত শুধু তোমাদের….

    সসম্মানে, শ্রদ্ধার সঙ্গে অধিনায়কত্ব থেকে বিদায় নিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অধিনায়ক এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দলকে রেখে গেছেন সাফল্যের চূড়ায়। স্বভাবতই সতীর্থ ও ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। সেটা টেরও পেয়েছেন ম্যাশ। সেই সূত্রেই বিদায়ের পর বিষাদের কালো মেঘ কণ্ঠ ছুঁয়েছে তার।

    শনিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাশরাফি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন,

    শেষ বেলায় ভুলে যেও অভিমান।
    মনে রেখ কেবল একজন ছিল, ভালবাসত শুধু তোমাদের…. 🇧🇩

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ দিয়ে ক্যারিয়ারে অধিনায়কত্বের ইতি টেনেছেন মাশরাফি। বিদায়ী ম্যাচে তাকে রেকর্ড রাঙা জয় উপহার দিয়েছেন সতীর্থরা। বাংলাদেশের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস (১৭৬) খেলেছেন লিটন দাস। পাশাপাশি দেশের পক্ষে তামিম ইকবালের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে গড়েন ২৯২ রানের রেকর্ড। অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকান ড্যাশিং ওপেনারও।

    শেষ অবধি বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১২৩ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। তাতে নেতৃত্বের শেষ ম্যাচে টাইগারদের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে জয়ের হাফসেঞ্চুরি করেন মাশরাফি। ম্যাচ শেষ হতেই সতীর্থদের ভালোবসায় প্লাবিত হন তিনি।

    জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটটি শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সেসময় বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ের মনোযোগ ছিল মাশরাফির দিকে। যে যেখানে ফিল্ডিং করছিলেন সেখান থেকে দৌঁড়ে তার কাছে চলে আসেন। সবাই হাত মেলাতে থাকেন প্রিয় অধিনায়কের সঙ্গে।

    পরে মাশরাফিকে কাঁধে তুলে নেন তামিম। অন্যরাও সঙ্গে ছিলেন। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ মাঠ প্রদক্ষিণ করেন তারা। আর হাত নেড়ে দর্শকদের বিদায় জানান নড়াইল এক্সপ্রেস। সবচেয়ে বড় চমক দেখা যায় এরপরই। দলের সবাই পরেন মাশরাফির জার্সি! তার নেতৃত্বের শেষ ম্যাচের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি হয় এগুলো। সবার জার্সিতে লেখা ছিল ‘মাশরাফি’, তার প্রতীক হয়ে ওঠা নম্বর ‘২।’ জার্সির সামনে লেখা ছিল ‘থ্যাঙ্ক ইউ ক্যাপ্টেন।’

    মাশরাফিকে ঘিরে বয়ে যায় আবেগের জোয়ার। তবে এমনি এমননি এ সম্মান পাননি তিনি। অধিনায়কত্ব কালে সতীর্থদের অগাধ ভালোবাসতেন ম্যাশ। একান্ত আপনজনের মতো করে সবাইকে স্নেহ ও শাসন করতেন। অসামান্য ভালোবাসার ডোরে সবাইকে বেঁধে রাখতেন। মূলত এ কারণেই দীর্ঘ অর্ধযুগ একই ছাতার নিচে নিয়ে আসতে সক্ষম হন পুরো দলকে।

    এদিন সেই ছাতা সরে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের মাথার ওপর থেকে। লিটন-মোস্তাফিজরা উপলব্ধি করতে পেরেছেন মাশরাফির এ মায়াভরা হাত আর তাদের মাথায় পড়বে না, কারো কাঁধে রাখবেন না। স্বভাবতই তারা ভারাক্রান্ত।

    মাশরাফি সেটা বুঝেই মাত্র দুই লাইনের পোস্টে বলে দিলেন অব্যক্ত মনের কথা। আকুতি জানালেন, কারো কোনো অভিমান-অনুযোগ থাকলে যেন সব ভুলে যান তারা। উল্লেখ্য, তার স্ট্যাটাসটি দেশবরেণ্য ব্যান্ড তারকা জেমসের ‘ঠিক আছে বন্ধু’ অ্যালবামের একটি গানের পঙ্‌ক্তি।

    https://www.facebook.com/262373203828838/posts/3031156250283839/

  • হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    হোয়াইটওয়াশ দিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি যুগের অবসান

    বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ডানওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়েকে ১২৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। সিলেটে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ ম্যাচ। লিটন-তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ স্মরণীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে অনায়াসেই।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির বাগড়ায় পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। তবে তার আগেই দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। বৃষ্টিতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৩ ওভারে নেমে আসলে ফের মাঠে নেমে মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন দুই ওপেনার।

    একপর্যায়ে দেশের হয়ে যেকোনো উইকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও গড়ে ফেলেন দুজনে। দলীয় ২৯২ রানে বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। আগের ম্যাচে তামিম ইকবালের গড়া ১৫৮ রানের রেকর্ড ভেঙে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়ে সাজঘরে ফেরেন ১৭৬ রান করা লিটন। ১৪৩ বলের মোকাবেলায় হাঁকিয়েছেন ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কা।

    লিটন সাজঘরে ফিরলেও তামিম থাকেন অপরাজিত। ১০৯ বলে ১২৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে, যে ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ও অভিষিক্ত আফিফ হোসেন ধ্রুব ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আরেক অভিষিক্ত নাইম শেখ ব্যাট হাতে নামারই সুযোগ পাননি।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে তিনটি উইকেটই শিকার করেন কার্ল মুম্বা। নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২২ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪২ রান।

    বড় জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার চেষ্টা করে জিম্বাবুয়ে। এতে দলটি নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাতে থাকে। শন উইলিয়ামস, রেগিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলে মাধেভেরেরা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। সতীর্থদের ব্যর্থতায় দল চাপে পড়ে গেলে তাদের প্রচেষ্টা দলের জয়ের কারণ হতে পারেনি। শেষপর্যন্ত ৩৭.৩ ওভার ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১৮ রানে।

    দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর গড়েন রাজা- ৫০ বলের মোকাবেলায় ৬১ রান। এছাড়া মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪ ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক উইলিয়ামস ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন চারটি, তাইজুল ইসলাম দুটি এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: জিম্বাবুয়ে

    বাংলাদেশ ৩২২/৩ (৪৩ ওভার)
    লিটন ১৭৬, তামিম ১২৮*, আফিফ ৭
    মুম্বা ৮-০-৬৯-৩

    জিম্বাবুয়ে ২১৮/১০ (৩৭.৩ ওভার)
    রাজা,৬১ মাধেভেরে ৪২, চাকাভা ৩৪, উইলিয়ামস ৩০
    সাইফউদ্দিন ৪১/৪, তাইজুল ৩৮/২, আফিফ ১২/১, মুস্তাফিজ ৩২/১, মাশরাফি ৪৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী (ডি/এল পদ্ধতিতে)
    সিরিজ: বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী

  • টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ নাসুম

    টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ নাসুম

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক করে ঘোষিত দলে নতুন মুখ নাসুম আহমেদ। তাছাড়া লম্বা বিরতির পর দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া স্বেচ্ছায় পাকিস্তান সিরিজের দল থেকে বাইরে থাকা মুশফিকুর রহিমও ফিরেছেন দলে।

    নাসুম ও সাইফউদ্দিনের জাতীয়ে দলে ডাক পাওয়ার ভীড়ে দল থেকে বাদ পড়েছেন তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন ও রুবেল হোসেন। সবশেষ বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন তারা।

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ডাক পাওয়া নাসুম বল হারে নজর কেড়েছিলেন বিপিএলে। খুব আহামরি পারফরম্যান্স না করলেও পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করার সক্ষমতায় প্রশংসা কুঁড়িয়েছিলেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ১৩ ম্যাচ থেকে ৬ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা এ বাঁ-হাতি অর্থোডক্স বোলার।

    ওয়ানডে সিরিজ শেষে ঢাকায় ফিরবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এরপর মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে উভয় দল। হোম অব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ই মার্চ।

    টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল খান, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইদলাম, আল-আমিন হোসেন, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।

  • ইন্ডিপেনডেন্ট টিভিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সময় টেলিভিশন

    ইন্ডিপেনডেন্ট টিভিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সময় টেলিভিশন

    টিভি জার্নালিস্ট এসেসিয়েশন চট্টগ্রামের আয়োজনে “মিডিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২০” এর ফাইনালে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভিকে ২০ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সময় টেলিভিশন।

    বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে ডিবিসিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে সময় টেলিভিশন অপর ম্যাচে জিটিভিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি।

    ফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধরিত পাঁচ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান সংগ্রহ করে সময় টেলিভিশন জবাবে ৪৭ রানে অল আউট হয়ে যায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। ফাইনালে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় সময় টেলিভিশনের নবাব মিয়া।

    দুই দিনব্যাপী এ টুর্নামেন্টে চট্টগ্রামে বিভিন্ন টেলিভিশনে কর্মরত সংবাদকর্মীদের ৮টি দল অংশ নেয়। ফাইনাল খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন রানাআপ ও অংশগ্রহনকারী দলসমুহের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি।

    এসময় তিনি বলেন, দেশের ক্রিড়াঙ্গণকে সমৃদ্ধ করতে সাংবাদিকদের ভুমিকা প্রশংসনীয়, শরীর ও মনকে ভাল রাখতে খেলাধুলা ও বিনোদনের কোন বিকল্প নাই নানান ব্যস্থতার মাঝে চট্টগ্রামের টিভি সাংবাদিকদের এ আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

    টিভি জার্নালিস্ট এসেসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের মিডিয়া উপদেষ্ঠা অবিক ওসমান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ, টিভি জার্নালিস্ট এসেসিয়েশন চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি শামসুল হক হায়দারী, টিভি জার্নালিস্ট এসেসিয়েশন চট্টগ্রামের সাধারন সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুল হক, অর্থ সম্পাদত আরিফুর রহমান সবুজ, টুর্নামেন্টর সমন্বয়ক ও নির্বাহী সদস্য তৌহিদুল আলম প্রমুখ।

    এর আগে গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বেলুন উড়িয়ে “মিডিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২০” এর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

  • কাল শেষ টস করতে নামবেন মাশরাফি

    কাল শেষ টস করতে নামবেন মাশরাফি

    বাংলাদেশের কিংবদন্তী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অনেকদিন ধরেই। তবে কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি জানিয়েছিলেন, অবসর না নিলেও দ্রুতই অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাবেন মাশরাফি।

    বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণাই দিলেন।

    বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফির নামের পাশে কালকের পর থেকেই বসে যাবে সাবেক অধিনায়ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটির আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমনটায় জানিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস,

    ‘অধিনায়ক হিসাবে কালকে আমার শেষ ম্যাচ। আজকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাচ্ছি। আগামীকাল জিম্বাবুয়ের সাথে তৃতীয় ওয়ানডে আমার অধিনায়ক হিসাবে শেষ ম্যাচ।’
    বাংলাদেশের পরবর্তী অধিনায়ককে শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি সুযোগ পেলে তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন মাশরাফি, ‘সুযোগ আসলে খেলোয়াড় হিসাবে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। আমার শুভকামনা থাকবে পরবর্তী অধিনায়কের জন্য। আমার বিশ্বাস তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। এবং আমি দলে থাকলে আমিও চেষ্টা করব তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার।’

    এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মাশরাফি, ‘আমার প্রতি এতদিন আস্থা রাখার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই আমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলে যারা খেলেছে তাদের সবাইকে। আমি নিশ্চিত, এই প্রক্রিয়াটা এত সহজ ছিল না গত ৪-৫ বছরে। টিম ম্যানেজমেন্ট যারা ছিল যাদের অধীনে আমি খেলেছি, অধিনায়কত্ব করেছি, তারা সবাই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। সিদ্ধান্তটা আমি নিজেই নিয়েছি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমার অধিনায়কত্ব শেষবারের মতো শুরু হয় হাথুরাসিংহের অধীনে, তারপর খালেদ মাহমুদ সুজন, স্টিভ রোডস; এখন ডমিঙ্গো দিয়ে শেষ হচ্ছে। নির্বাচক এবং বোর্ডের কর্মকর্তা, বোর্ডের সকল স্টাফকে। আপনাদের মিডিয়া কর্মীদেরকেও ধন্যবাদ, আপনারাও সহযোগিতা করেছেন। সবশেষে সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ, আপনাদের সবার সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব হতো না।’

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৮৭টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। যারমধ্যে ৪৯টি ম্যাচে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। হিসাব করলে দেখা যায়, ওয়ানডে অধিনায়ক হিসাবে তার জয়ের হার ৫৭.৬৪, যা কিনা বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের পক্ষে তিনি খেলেছেন ২১৭টি ওয়ানডে ম্যাচ যেখানে জয়ে দেখেছেন মোট ৯৬ বার।

  • টাইগারদের সিরিজ জয়

    টাইগারদের সিরিজ জয়

    সিলেটে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আজকের জয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা। এর আগে প্রথম ম্যাচে ১৬৯ রানের বিশাল জয় পেয়েছিল টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বড় স্কোরের বিপক্ষে লড়াকু পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছে জিম্বাবুয়ে।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩২২ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবাল দুঃসময় পেছনে ফেলে ১৫৮ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন, যার মাধ্যমে গড়েন অনেকগুলো রেকর্ড।

    ১৩৬ বলের মোকাবেলায় তামিম এদিন হাঁকান ২০টি চার ও ৩টি ছক্কা। ক্রিজে ছিলেন ৪৬তম ওভার পর্যন্ত। তামিমের যোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছিলেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রান, ৫০ বলের মোকাবেলায়। মুশফিক হাঁকিয়েছেন ৬টি চার। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫৭ বল ৪১ ও মোহাম্মদ মিঠুন ১৮ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

    জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুটি করে উইকেট শিকার করেন ডোনাল্ড টিরিপানো ও কার্ল মুম্বা।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা জিম্বাবুয়ে শুরুতেই হারিয়ে ফেলে ওপেনার রেগিস চাকাভাকে। সুবিধা করতে পারেননি ব্রেন্ডন টেলর ও অধিনায়ক শন উইলিয়ামসও। তবে ওয়েসলে মাধেভেরেকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামুয়ে। ৭০ বলে ৫১ রান করে বিদায় নেন কামুনহুকামুয়ে।

    এরপর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে লড়াই চালয়ে যান মাধেভেরে। যদিও অর্ধ-শতক তোলার পর সাজঘরে ফেরেন মাধেভেরেও (৫৭ বলে ৫২)। দলীয় রান ২০০ পার হওয়ার পর রিচমন্ড মুতুম্বানিকে হারিয়ে চাপে পড়া জিম্বাবুয়ে অর্ধ-শতক হাঁকানো রাজাকেও (৫৭ বলে ৬৬) হারালে খেই হারায়। শেষদিকে টিনোটেন্ডা মুতমবদজি ও ডোনাল্ড টিরিপানোর প্রচেষ্টা পরাজয়ের ব্যবধান কমালেও দলকে জয় এনে দিতে পারেনি, যদিও বাংলাদেশের মনে ভীতির সঞ্চার করতে পেরেছিলেন সফলভাবেই।

    নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩১৮ রান। মুতমবদজি ২১ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৫টি ছক্কা হাঁকানো টিরিপানো ২৮ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষদিকে টিরিপানোর মারকুটে ব্যাটিং জিম্বাবুয়ের জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও অল্পের জয় জয়বঞ্চিত থাকে সফরকারীরা। ৫০তম ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০ রান, জিম্বাবুয়ে সংগ্রহ করে ১৫ রান।

    বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম তিনটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, শফিউল ইসলাম ও আল-আমিন হোসেন একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় ওয়ানডে)

    টস: বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৩২২/৮ (৫০ ওভার)
    তামিম ১৫৮, মুশফিক ৫৫, রিয়াদ ৪১, মিঠুন ৩২*
    টিরিপানো ৫৫/২, মুম্বা ৬৪/২

    জিম্বাবুয়ে ৩১৮/৮ (৫০ ওভার)
    রাজা ৬৬, টিরিপানো ৫৫*, মেধেভেরে ৫২, কামুনহুকামুয়ে ৫১
    তাইজুল ৫২/৩, মিরাজ ২৫/১, মাশরাফি ৫২/১, শফিউল ৭৬/১, আল-আমিন ৮৫/১

    ফল: বাংলাদেশ ৪ রানে জয়ী
    সিরিজ: এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী।

  • টেস্টেও ভারতকে ধবলধোলাই করলো নিউজিল্যান্ড

    টেস্টেও ভারতকে ধবলধোলাই করলো নিউজিল্যান্ড

    দওয়ানডে সিরিজের পর টেস্ট সিরিজেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ বা ধবলধোলাইয়ের শিকার হয়েছে বিরাট কোহলির দল।

    তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পরাজয়ের পর দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। যদিও এর আগে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াটওয়াশ করেই শুরু করেছিল সফরকারীরা।

    ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে কিউইরা পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়। এই টেস্টে উইকেট পড়ছিল মুড়িমুড়কির মত। দুই দিনেই পতন ঘটে ২৬টি উইকেটের। ৯৭ রানের লিড নিয়ে ৪ উইকেট হাতে রেখে তৃতীয় দিন শুরু করা ভারত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।

    প্রতিরোধহীন ব্যাটিংয়ে রবীন্দ্র জাদেজারা (১৬) গুটিয়ে যান ১২৪ রানে। এতে জয়ের জন্য মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের সামনে। স্বাগতিক দলের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট চারটি ও টিম সাউদি তিনটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই উড়ন্ত সূচনা এনে দেন টম লাথাম ও টম ব্লানডেল। অবশ্য লাথাম ৫২ ও ব্লানডেল ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে (৫) হারাতে হলেও উইলিয়ামসনের সমান রান করে অপরাজিত থেকে রস টেলর ও হেনরি নিকোলস দলের জয় নিশ্চিত করেন।

    এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। জবাবে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২৩৫ রানে। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন কাইল জেমিসন। সিরিজ সেরার খেতাব পেয়েছেন টিম সাউদি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত ১ম ইনিংস- ২৪২ (৬৩ ওভার)
    বিহারী ৫৫, পৃথ্বী ৫৪, পূজারা ৫৪
    জেমিসন ৪৫/৫, সাউদি ৩৮/২, বোল্ট ৮৯/২

    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস- ২৩৫ (৭৩.১ ওভার)
    লাথাম ৫২, জেমিসন ৪৯, ব্লানডেল ৩০
    শামি ৮১/৪, বুমরাহ ৬২/৩

    ভারত ২য় ইনিংস- ১২৪ (৪৬ ওভার)
    পূজারা ২৪, কোহলি ১৪, জাদেজা ১৬*
    বোল্ট ২৮/৪, সাউদি ৩৬/৩

    নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস- ১৩২/৩ (৩৬ ওভার) (লক্ষ্য ১৩২রান)
    ব্লানডেল ৫৫, লাথাম ৫২
    বুমরাহ ৩৯/২, উমেশ ৪৫/১

    ফল: নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জিতে ২ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে বিজয়ী।

  • জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

    জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

    সিলেটে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১৬৯ রানের বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৫ রান করেন লিটন এবং বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন ।

    আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। সেটির লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় এক রানে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হন জিম্বাবুয়ে দলের ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিও বেশি বড় হয়নি। মাত্র দলীয় ২৩ রানে ফের বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাইফউদ্দিন। চাকাভাকে এলবিডব্লুতে পরাস্ত করেন সাইফ।

    দীর্ঘ সময় পর জাতীয় দলে ফিরে নিজের প্রথম উইকেট করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক চিবাবার উইকেট নিয়ে। দলের বিপদ বাড়ে দলীয় ৪৪ রানে ব্রেন্ডন টেইলর আউট হলে। তাইজুলের বলে বোল্ড হন তিনি। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজা। দুইজন মিলে বেশ দায়িত্ব নিয়েই ব্যাটিং করেন। তবে রাজার ধৈর্যর বাঁধ ভাঙে দলীয় ৭৯ রানে। মুস্তাফিজের বলে ব্যক্তিগত ১৮ রান করে ক্যাচ তুলে দেন রাজা।

    নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মাধেভেরেও। মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অবশ্য ম্যাচের অর্ধেকের বেশি ততক্ষণে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। ব্যক্তিগত ১৭ রান করে শান্তর দারুণ থ্রোতে রান আউটের শিকার হন মুতুম্বাবি। দলীয় ১০৯ রানে ৮ম উইকেটের পতন হয় জিম্বাবুয়ের। শেষ পর্যন্ত রানেই শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

    এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩২১ রান তুলে বাংলাদেশ। তিনশ করার পেছনে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন লিটন। ব্যাট হাতে ১২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। যদিও ক্রিজে থাকতে পারলে ব্যক্তিগত রান আরও হলেও হতে পারত লিটনের। পায়ের মাংশ পেশিতে টান লাগায় সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন লিটন।

    পরবর্তীতে আর মাঠে নামেননি। লিটন বাদে ফিফটি করেছেন মিঠুন। ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়াও শেষদিকে ১৫ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ ৩২১-৬ (ওভার ৫০)

    লিটন ১২৬*, মিঠুন ৫০: এমপোফু ২-৬৮

    জিম্বাবুয়ে ১৫২ (ওভার ৩৯.১)

    মাধেভেরে ৩৫, রাজা ১৮: সাইফউদ্দিন ৩-২২

    ফলাফলঃ ১৬৯ রানে জয়ী বাংলাদেশ।

  • ফুটবলকে আরো এগিয়ে নিতে চায় সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    ফুটবলকে আরো এগিয়ে নিতে চায় সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    ফুটবলকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের ফুটবলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

    তিনি বলেন, ‘ফুটবল হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা-এটা হচ্ছে বাস্তবতা। কাজেই এই ফুটবল সামনে এগিয়ে যাক, সেটাই আমরা চাই।’

    প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চায় শিশুদের অধিকহারে যুক্ত রাখার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতির থেকে দূরে রেখে তাঁদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার তাঁর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশু-কিশোররা অত্যন্ত মেধাবী এবং আমরা এই মেধা বিকাশের সুযোগই করে দিতে চাই। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতি থেকে তাঁদের দূরে রেখে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

    প্রধানমন্ত্রী শনিবার (২৯ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল অনুর্ধ্ব-১৭ এবং মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল অনুর্ধ্ব-১৭ এর ফাইনাল খেলা উপভোগ শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশু-কিশোর এবং তরুণদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়, তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে এবং মনও যথেষ্ট উদার হয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো দেশের জন্য গৌরব বয়ে নিয়ে আসতে পারে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে ক্রীড়াক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছি। এই অগ্রগতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

    বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবলে অতিরিক্ত সময়ে গোলে বরিশাল বিভাগ ২-১ গোলে চট্টগ্রাম বিভাগ দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। আর মেয়েদের বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল অনুর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতার ফাইনালে খুলনা বিভাগ দল ট্রাইবেকাওে ৪-৩ গোলে ঢাকা বিভাগ দেলকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে। নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ গোলে অমীমাংসিত ছিল।

    প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপ দলকে ট্রফি এবং প্রাইজ মানি সহ খেলোযাড়দের হাতে ব্যক্তিগত পুরস্কারও তুলে দেন।

    যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.আখতার হোসেন, বাংলাদেশে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবারাজা ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র,বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সরকারের পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

    রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত শিক্ষার্থী সহ বিপুল সংখ্যক ক্রীড়ামোদী দর্শকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্টেডিয়ামে আসেন এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা গোন্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল ম্যাচের খুলনা বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বিতীয়ার্ধ, অতিরিক্ত সময় এবং টাই বেকারের পুরো সময় ধরে ভিআইপি গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করেন।

    মেয়েদের খেলার মানোন্নয়নের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও খেলা দেখেছি। কিন্তু এবারের খেলায় আমি দেখলাম আমাদের মেয়েরা অত্যন্ত চমৎকার খেলেছে। এতে আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। কাজেই ফুটবলের আরো উন্নতি হোক।’

    তিনি বলেন, এইযে আজকে বিভিন্ন অনুর্ধ্ব দলগুলো উঠে আসছে তারাইতো আমাদের জাতীয় প্রতিযোগিতাগুলোতে খেলবে এবং এতে আমাদের খেলাধুলার উৎকর্ষতা যে অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে তাতে আর কোন সন্দেহ নাই।

    ‘প্রতিটি বাঙালি ছেলে-মেয়েকে আন্তর্জাতিক পরিন্ডলে সবধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মানসিকতায় আমরা গড়ে তুলতে চাই,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা এই ক্রীড়াক্ষেত্রটাকে আরো প্রসারিত করার উদ্যোগ নেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দাদা শেখ লুৎফর রহমান এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল খেলাধূলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

    শেখ কামাল আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে দেশের ক্লাব ফুটবলকে আধুনিক পর্যায়ে উন্নীত করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাজেই আমিও একজন স্পোটর্স ফ্যামিলির সদস্য।’

    শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি খেলাধূলার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।

    ‘প্রত্যেক জেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। এটার অর্থ হলো ১২ মাসই এখানে খেলাধূলা চলতে পারবে সে সুযোগটা আমরা করে দিচ্ছি। স্কুল-কলেজের লেখাপড়ায় যাতে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সেজন্যই এই ব্যবস্থা, ’যোগ করেন তিনি।

    প্রাথমিক থেকে অনুর্ধ্ব ১৭ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে আন্তঃকলেজ এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতারও আয়োজন করবো। তাতে সুবিধা হবে, ছোট থেকেই যারা খেলছে তারা আরো সুযোগ লাভ করবে এবং খেলাধূলার মধ্যদিয়েই চরিত্র গঠন, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং মেধা বিকাশের সুযোগ ঘটবে।

    তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আজকের ছেলে-মেয়েরাই আগামীতে বিশ্ব আসরে তাঁদের নিজস্ব আসন করে নিতে পারবে বলেই আামি বিশ্বাস করি।’

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের বালকদের ফাইনালে বরিশাল ২-১ গোলে চট্টগ্রামকে হারিয়ে শেষ হাসি হেসেছে।

    নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হলে ছেলেদের ফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। বাড়িয়ে দেয়া সময়ে গোল করে বরিশালের ছেলেরা বাজিমাত করে।

    ৪৮ মিনিটে তৌহিদুলের গোলে চট্টগ্রাম এগিয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পরপরই। রাশেদুল ইসলামের গোলে বরিশাল সমতায় ফেরে ৬৬ মিনিটে। বাকি সময় কোনো দল গোল করতে না পারলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

    অতিরিক্ত সময়ের ১১ মিনিটে বরিশালের গোলাম রাব্বী জয়সূচক গোল করেন।

    অন্যদিকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগ টাইব্রেকারে জয়লাভ করে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে। অতিরিক্ত সময়ে কোন দল গোল করতে না পারলে শিরোপার নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। ৪-৩ গোলে তাঁরা হারায় ঢাকা বিভাগকে।

    নির্ধারিত সময়ে রওশন আরার গোলে এগিয়ে যায় ঢাকা বিভাগ। কুরুশিয়া জান্নাতের গোলে সমতায় ফেরে খুলনা। প্রথমবারের মতো খুলনাকে এগিয়ে দেন উন্নতি খাতুন। কিন্তু শেষ দিকে গোল করে ম্যাচটাকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান ঢাকার ফাহমিদা।

    সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা গোলকিপার, ম্যান অবদি ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়দের হাতেও পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    খুলনার উন্নতি খাতুন সেরা খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলাদাতার পুরস্কার লাভ করেন।

    বরিশাল বিভাগের গোলাম রাব্বিকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ অনুর্ধ্ব -১৭ বালকদের টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

    ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট টুর্নামেন্ট দু’টোর লোগো এবং ট্রফি উন্মোচন করা হয় এবং ১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে বালক ও বালিকা আসরের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

    টুর্নামেন্ট দু’টোতে উপজেলা পর্যায় থেকে বালকদের খেলা এবং জেলা পর্যায় থেকে বালিকাদের খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

    বালক বিভাগে উপজেলা পর্যায়ে ৪৮২৮টি, জেলা পর্যায়ে ৫৮১টি, বিভাগীয় পর্যায়ে ৬৮টি ও জাতীয় পর্যায়ে আটটি দলের ৯৮ হাজার ৭৩০ জন ফুটবলার অংশ নেন।

    অন্যদিকে বালিকা বিভাগের খেলায় জেলা পর্যায়ে ৫৮১টি, বিভাগীয় পর্যায়ে ৬৮টি ও জাতীয় পর্যায়ে আটটি দলে ১১ হাজার ৮২৬ জন ফুটবলার অংশ নেন।

  • এশিয়া কাপ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে

    এশিয়া কাপ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে

    আরব আমিরাত প্রতিনিধি : এশিয়া কাপ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে এবং দ্বি-বার্ষিক টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান উভয়ই অংশ নেবে, শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এ কথা জানিয়েছেন।

    শুক্রবার ইডেন গার্ডেনে সৌরভ সাংবাদিকদের বলেন, “দুবাইতে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই খেলবে।”

    অনুষ্ঠানটি এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে।

    এ বছর পাকিস্তান এশিয়া কাপের আয়োজক হওয়ার কথা ছিল তবে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ও পাকিস্তানের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের মধ্যে বিসিসিআই বলেছে যে ভারতীয় দল সেখানে ভ্রমণ করবে না।

    ভারত ও পাকিস্তান সর্বশেষ আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১২ খেলেছিল যেখানে মেন ইন ব্লু ৯৯ রানে জয়ী হয়েছিল।

    বৃহস্পতিবার মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন রানের জয়ে আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম দল হওয়ার জন্য ভারতীয় দলকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি।

    গাঙ্গুলি বলেছিলেন, “তারা কিছু দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে এবং যোগ্যতা অর্জন করেছে। বিশ্ব টুর্নামেন্টে কেউই পছন্দ করে না।