Category: খেলা

  • গোপনাঙ্গে কামড় দিয়ে নিষিদ্ধ ফরাসি ফুটবলার

    গোপনাঙ্গে কামড় দিয়ে নিষিদ্ধ ফরাসি ফুটবলার

    ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে ঘটে গেলো এক বিরল ঘটনা। এমন ঘটনা ফুটবল ইতিহাসে আর ঘটেছে বলেও মনে হয়না। উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে এক ফুটবলার কামড়ে ধরলেন অন্য আরেকজনের গোপনাঙ্গ!

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৭ নভেম্বর স্থানীয় টুর্নামেন্টের ম্যাচে খেলছিল টারভিল এবং সটরিচ। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। কিন্তু ম্যাচের পরে দুই দলের খেলোয়াড়রা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।

    ম্যাচ শেষে স্টেডিয়ামের কার পার্কিং অঞ্চলে টারভিল ও সটরিচের দুই খেলোয়াড় কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকলে টারভিলের এক খেলোয়াড় এগিয়ে আসেন তাদের থামানোর জন্য। কিন্তু উল্টো সটরিচের খেলোয়াড় মেজাজ হারিয়ে টারভিলের দ্বিতীয় খেলোয়াড়ের গোপনাঙ্গে কামড় দিয়ে বসেন। কামড়ের তীব্রতা এতোই বেশি ছিলো, টারভিলের সে খেলোয়াড়কে আক্রান্ত স্থানে ১০টি সেলাই দিতে হয়েছে এবং চারদিন পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকতে হয়েছিল।

    সে ঘটনার সূত্র ধরেই পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে সটরিচের খেলোয়াড়কে। এছাড়া টারভিলের কামড় খাওয়া ফুটবলারকেও দেয়া হয়েছে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা।

  • ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের কাবাডি বিশ্বকাপ জয়

    ভারতকে হারিয়ে পাকিস্তানের কাবাডি বিশ্বকাপ জয়

    শক্তিশালী ভারতকে পরাজিত করে কাবাডির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। ফাইনালে ৪৩-৪১ পয়েন্টের ব্যবধানে ভারতকে হারিয়ে কাবাডি বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।

    এই প্রথম কাবাডির বৈশ্বিক আসরের শিরোপা জিতল পাকিস্তান। আনন্দটা দ্বিগুণ তাদের এ জন্যই যে, ফাইনালে তারা হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে।

    রোববার লাহোরের পাঞ্জাব স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে জেতার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চ্যাম্পিয়নদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা। হোক না সেটা ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন কিংবা কাবাডি ম্যাচ। আর যদি ফাইনাল ম্যাচ হয়, তাহলে উত্তেজনার পারদ আরও বেড়ে যায়। আবারও সেটিই দেখল ক্রীড়াবিশ্ব।

    চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে খুশি পাকিস্তানের অধিনায়কসহ পুরা দেশ। ম্যাচ শেষে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে কাবাডি দলের অধিনায়ক ইরফান মানা বলেন, এই জয় শুধু খেলোয়াড় বা দলের নয়, পুরো দেশের। যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তার জন্য অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করছে।

    রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার অনুমতি পায়নি ভারতীয় কাবাডি দল। পরে মন্ত্রণালয়কে না জানিয়ে পাকিস্তানে কাবাডি বিশ্বকাপ খেলতে যায় তারা। সেখানে হোটেলে ওঠার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দেয়ার পর ভারতীয় মন্ত্রণালয় জানতে পারে তাদের খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে কাবাডি বিশ্বকাপে অংশ নিতে গেছেন।

  • টেস্ট দল ঘোষণা : নতুন মুখ ২, বাদ ৪ ক্রিকেটার

    টেস্ট দল ঘোষণা : নতুন মুখ ২, বাদ ৪ ক্রিকেটার

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য একমাত্র টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    বাংলাদেশের সবশেষ খেলা রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দল থেকে মোট চার পরিবর্তন এনে ঘোষণা করা হয়েছে দলটি।

    পাকিস্তান সফরের দলে থাকলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে জায়গা হয়নি চার ক্রিকেটারের। তারা হলেন- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আল-আমিন হোসেন, সৌম্য সরকার ও রুবেল হোসেন। দল থেকে তাদের ছিটকে যাওয়ার বিপরীতে দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, ও তাসকিন আহমেদ।

    তাছাড়া রবিবার ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ইয়াসির আলি চৌধুরী ও পেসার হাসান মাহমুদ।

    প্রসঙ্গত, দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফর। একমাত্র টেস্টের আগে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে প্রস্তুতি ম্যাচটি। দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দু’দলের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

    টেস্টের পর সিলেট পাড়ি জমাবে উভয় দল। সেখানে ১, ৩ ও ৬ মার্চ তিনটি ওয়ানডেতে লড়বে দুই দল। দিবারাত্রির সবকয়টি ওয়ানডেই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

    ওয়ানডে সিরিজ শেষে আবারও ঢাকায় ফিরে আসবে দু’দল। এরপর মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে উভয় দল। হোম অব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ই মার্চ।

    প্রায় মাসব্যাপী সফর শেষে ১২ই মার্চ নিজ দেশে ফিরে যাবে সফরকারীরা।

    জিম্বাবুয়ে টেস্টের বাংলাদেশ দল: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও ইয়াসির আলি চৌধুরী।

  • পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ঢাকায় জিম্বাবুয়ে

    পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ঢাকায় জিম্বাবুয়ে

    তিন ওয়ানডে, দুই টি-২০ ও এক টেস্টের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আজ ঢাকায় পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল।

    বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে জিম্বাবুয়ে দল।

    একমাত্র টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে টেস্ট। তার আগে দু’দিনের একটি প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে।

    সিরিজের তিনটি ওয়ানডে যথাক্রমে ১, ৩ ও ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে। ওয়ানডে শেষে দু’ম্যাচের টি-২০ সিরিজে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। মিরপুরে ৯ ও ১১ মার্চ হবে দু’টি টি-২০। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ শেষে ১২ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করবে জিম্বাবুয়ে দল।

    প্রথমবারের মত সন্তানের বাবা হওয়াতে একমাত্র টেস্টে থাকছেন না জিম্বাবুয়ের নিয়মিত অধিনায়ক সিন উইলিয়ামস। তার পরিবর্তে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রেইগ আরভিন।

    টেস্টে না খেললেও, ওয়ানডে ও টি-২০ ফরম্যাটে খেলবেন উইলিয়ামস। আরভিনের নেতৃত্বে টেস্ট খেলতে জিম্বাবুয়ে দল এখন ঢাকায়।

    বাংলাদেশ সফরে জিম্বাবুয়ে টেস্ট দল : ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাবা (উইকেটরক্ষক), কেভিন কাসুজা, তিমিসেন মারুমা, প্রিন্স মাসভাউরি, ক্রিস্টোফার এমপফু, ব্রিয়ান মুদজিনগানিয়ামা, কার্ল মুম্বা, তিনোতেন্দা মুতোম্বোজি, আইনসলে এনডলোভু, ভিক্টর নায়ুচি, ব্রেন্ডান টেলর, ডোনাল্ড ত্রিপানো ও চার্লটন টিসুমা।

    বাংলাদেশ সফরে জিম্বাবুয়ের সূচি :
    ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি : দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ,
    ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি : একমাত্র টেস্ট, মিরপুর
    ০১ মার্চ : প্রথম ওয়ানডে, সিলেট
    ০৩ মার্চ : দ্বিতীয় ওয়ানডে, সিলেট
    ০৬ মার্চ : তৃতীয় ওয়ানডে, সিলেট
    ০৯ মার্চ : প্রথম টি-২০, মিরপুর
    ১১ মার্চ : দ্বিতীয় টি-২০, মিরপুর
    ১২ মার্চ : জিম্বাবুয়ে দলের ঢাকা ত্যাগ

  • পঞ্চম কন্যা সন্তানের বাবা হলেন আফ্রিদি

    পঞ্চম কন্যা সন্তানের বাবা হলেন আফ্রিদি

    আবারো বাবা হলেন কিংবদন্তী অলরাউন্ডার পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ খান আফ্রিদি। এবারও আফ্রিদি-নাদিয়া দম্পতির কোল আলোকিত করে এসেছে কণ্যা সন্তান। এ নিয়ে পঞ্চম কন্যা সন্তানের বাবা হলেন তিনি।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফ্রিদি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    আফ্রিদির আগের সন্তানের নাম- আকনা, আনসা, আজয়া ও আসমারা। পঞ্চম সন্তানের নাম এখনো ঠিক করেননি আফ্রিদি।

    আফ্রিদি ভক্তদের সুখবর দিয়ে লিখেছেন, ‘সর্বশক্তিমানের অসীম আশীর্বাদ ও করুণা আমার উপর। ইতোমধ্যে চারটি কন্যা আমাকে দেয়া হয়েছে, আমি এখন পঞ্চম কন্যা সন্তানের বাবা। আলহামদুলিল্লাহ। আমার শুভাকাঙ্খীদের সাথে এই সুসংবাদটি ভাগ করে নিচ্ছি।’

    ৩৯ বছর বয়সি আফ্রিদি পাকিস্তানের হয়ে ২২ বছর ক্রিকেট খেলেছেন। নেতৃত্বও দিয়েছেন জাতীয় দলকে। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই বললেও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন মারকুটে ব্যাটসম্যান। বিভিন্ন দেশে টি-টোয়েন্টি ফেরি করে বেড়ানো এ ক্রিকেটার নিয়মিত খেলছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)।

  • আকবরদের ফুলের মালায় বরণ

    আকবরদের ফুলের মালায় বরণ

    চ্যাম্পিয়নরা আসছে, তাই বিমানবন্দরে ঘণ্টা তিনেক আগেই ক্রিকেট ভক্তদের জটলা। চ্যাম্পিয়ন দলকে বরণ করে নিতে তর সইছে না তাদের। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে জেতা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি নিয়ে বেরিয়ে এলেন। বিকেল ৫ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামে চ্যাম্পিয়নদের বহন করা বিমানটি। পরে ভিআইপি লাউন্ঞ্জে যুব ক্রিকেট দলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। নাজমুল হাসানের সঙ্গে ছিলেন বিসিবির পরিচালকেরা। প্রায় একসঙ্গে মিষ্টিমুখও করানো হয় ক্রিকেটারদের।

    ক্রিকেটারদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মিরপুরে স্টেডিয়াম জুড়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। প্রধান ফটকের সামনে ঝুলছে বিশাল আকৃতির ব্যানার। বড় অক্ষরে লেখা- ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন। এখন শুধুই আকবরদের অপেক্ষা। টাইগার যুবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দর থেকে ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি।

    গত ৯ ফেব্রুয়ারি আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের ছেলেদের কোণঠাসা করে বিশ্বকাপের ট্রফিটা নিজেদের দেশে নিয়ে এসেছ আকবর আলীরা। দেশের প্রথম বিশ্বজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে ক্রিকেটাঙ্গন। তাইতো বিশ্বজয়ী যোদ্ধাদের বরণ করে নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিভিন্ন আয়োজন করেছে। সেই আয়োজনের অংশ হিসেবে টাইগার যুবাদের বহণ করার জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেটির গায়ে লাল-সবুজে সাকিব-অভিষেকদের বিশ্বজয়ের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।

    চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বজয়ের উপলক্ষে বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে কাটা হবে বিশাল কেক। সেখান থেকে ভিআইপি প্রোটোকলে খেলোয়াড়দের ক্রিকেট বোর্ডে নিয়ে আসবে বিসিবি। সেখানে ক্রিকেটারদের নিয়ে আলাদা কথা বলবেন বিসিবি সভাপতি। এরপর সন্ধ্যা সাতটায় অধিনায়ক আকবর, বিসিবি সভাপতি পাপন ও কোচ নাভিদ নেওয়াজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন।

  • বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরল আকবর বাহিনী

    বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরল আকবর বাহিনী

    বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলকে বরণ করে নেয়ার জন্য নানান আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অপেক্ষার পালা শেষ করে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ঢাকায় পা রেখেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ দলকে বহনকারী বিমানটি।

    এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে করে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে আকবর আলির দল।

    বিমানদবন্দরে তাদেরকে বরণ করে নেয়ার জন্য বিসিবির পাশাপাশি বিমানবন্দর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষসহ অনেকেই অপেক্ষারত ছিলেন।

    জুনিয়র টাইগারদের বের হওয়ার পথে সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে।

    বিমানবন্দর যুবাদেরকে ‘ওয়াটার স্যালুট’ দিয়ে প্রথমে বরণ করে নেয়া হয়। সেখানে ফুলেল সংবর্ধনাসহ কেক কাটা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

    যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রথমেই ফুল দিয়ে যুবাদের বরণ করে নেন। এছাড়া বিসিবির প্রধান নির্বাহি নিজামউদ্দিন চৌধুরি এবং খালেদ মাহমুদ সুজন, শেখ সোহেল, জালাল ইউনুসসহ বিসিবি পরিচালকরা উপস্থিত আছেন।

    বাংলাদেশ দলকে বিমানবন্দর থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন লেখা বাসে আকবর-শরিফুলদের উল্লাসের ও ট্রফি হাতে ছবি বিরাজ করছে।

    একইভাবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও নেমেছে মানুষের ঢল। সেখানেও টাইগারদের অভ্যর্থনার মূল আয়োজন করা হবে। যুবাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ও আলোকসজ্জায় ঝলমলে এখন হোম অব ক্রিকেট।

    প্রসঙ্গত, গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ দল। উত্তেজনাকর ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে ৩ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জয় করে জুনিয়র টাইগাররা। বিশ্বকাপজয়ী এই যুবাদের বরণ করে নিতে এখন মুখিয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুভ্যানুধায়ীরা। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করায় সবার মাঝে উচ্ছ্বাসটা একটু বেশিই বিরাজ করেছে।

  • চট্টগ্রাম-আগরতলা সাংবাদিক টি-২০ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে চট্টগ্রাম সাংবাদিক দল বিজয়ী

    চট্টগ্রাম-আগরতলা সাংবাদিক টি-২০ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে চট্টগ্রাম সাংবাদিক দল বিজয়ী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-আগরতলা সাংবাদিক টি-২০ প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে জিতল চট্টগ্রাম সাংবাদিক দল। ভারতের আগরতলার স্যন্দন একাদশের সাংবাদিক দলকে ৪ রানে হারায় তারা।চট্টগ্রাম-আগরতলা প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ আগরতলা সাংবাদিক দল

    আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম মাঠে এ প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ওভারের ম্যাচে প্রথমে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম একাদশ।

    সুমন গোস্বামীর ৩১ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট ১৩০ রান তোলে চট্টগ্রাম একাদশ। জবাবে আগরতলার সাংবাদিক দল-স্যন্দন একাদশ ১৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১২৬ রান।
    চট্টগ্রাম-আগরতলা প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ চট্টগ্রাম

    ফলাফল ৪ রানে জেতে চট্টগ্রাম একাদশ। চট্টগ্রাম সাংবাদিক একাদশের হয়ে ৩১ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সুমন গোস্বামী। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস।ম্যাচ সেরা সুমন গোস্বামী

    এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবউদ্দিন শামীম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শফিকুল আলম জুয়েল।
    চট্টগ্রাম-আগরতলা প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ

    মুজিব বর্ষ- উপলক্ষে ভারতের এিপুরা রাজ্যের জনপ্রিয় দৈনিক স্যন্দন পএিকার নেতৃত্বে গেল ১১ ফেব্রুয়ারী ৪ দিনের সফরে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম আসেন ২০ সদস্যের ভারতীয় সাংবাদিক দল। সফরকালে ভারতের সাংবাদিক প্রতিনিধি দল প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত এবং নগরীর পর্যটন স্থানগুলো ঘুরে দেখবেন।

    আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবেন তারা।

  • ভারতকে ধবলধোলাই করল নিউজিল্যান্ড

    ভারতকে ধবলধোলাই করল নিউজিল্যান্ড

    তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটিতেও হেরে তিন দশকেরও অধিক সময় পর তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের (ধবলধোলাই) স্বাদ পেলো ভারত।

    শেষ ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিং করে লোকেশ রাহুলের শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ভারত সংগ্রহ করে ২৯৬ রান। জবাবে ৫ উইকেট ও ১৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

    সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে মাউন্ট ম্যানগুনায়তে টস হেরে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দলীয় ৩২ রানের মধ্যে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও বিরাট কোহলি। ৪০ রান করা পৃথ্বী শ বিদায় নেন দলীয় ৬২ রানে।

    চতুর্থ উইকেটে রাহুলের সাথে ঠিক ১০০ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন শ্রেয়াশ আইয়ার। জেমস নিশামের শিকার হওয়ার আগে শ্রেয়াশ করে ৬৩ বলে ৬২ রান। পঞ্চম উইকেটে আরও একটি শতরানের জুটি দেখে ভারত। এবারে রাহুলের সাথে ১০৭ রানের জুটি গড়েন মনিশ পাণ্ডে। রাহুল আউট হলে ভেঙে যায় তাদের জুটি।

    হামিশ বেনেটের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন রাহুল। ২ ছয় ও ৯ চারে ১১৩ বলে ১১২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে শুরু করা এই ব্যাটসম্যান। পরের বলেই মনিশকেও তুলে নেন বেনেট। মনিশের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৪২ রান।

    নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৬ রান। বেনেট শিকার করেন ৪টি উইকেট।

    জবাবে ঝড়ো শুরু করেন হেনরি নিকোলস ও মার্টিন গাপটিল। নিকোলস কিছুটা ধীরে সুস্থে খেললেও গাপটিল ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন। তাদের উদ্বোধনীতে আসে ১০৬ রানে। ১৭তম ওভারে গাপটিল ৪৬ বলে ৬৬ রান করে আউট হলে ভেঙে যায় জুটি। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছয়।

    কেন উইলিয়ামস (২২), রস টেলর (১২) ও নিশাম (১৯) দ্রুতই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তবে এক প্রান্ত আগলে ছিলেন নিকোলস। ১০৩ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে শার্দুল ঠাকুরের শিকারে পরিণত হন তিনি।

    টম লাথামকে সাথে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়েন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। এই অলরাউন্ডার ২৮ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত টর্নেডো ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন। লাথাম অপরাজিত ছিলে ৩২ রানে।

    ১৭ বল হাতে থাকতেই নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়। সিরিজের প্রথম দুইটি ম্যাচেও নিউজিল্যান্ড জিতেছিল। ফলে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হলো ভারত।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত ২৯৬/৭ (৫০ ওভার)
    রাহুল ১১২, শ্রেয়াশ ৬২, মনিশ ৪২, পৃথ্বী ৪০;
    বেনেট ৪/৬৪।

    নিউজিল্যান্ড ৩০০/৫ (৪৭.১ ওভার)
    নিকোলস ৮০, গাপটিল ৬৬, গ্রান্ডহোম ৫৮*, লাথাম ৩২;
    চাহাল ৩/৪৭।

    নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।

  • বিশ্বকাপের সেরা একাশের নেতৃত্বে আকবর আলী

    বিশ্বকাপের সেরা একাশের নেতৃত্বে আকবর আলী

    ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ২৩ বল আগেই ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশ্ব একাদশ সাজিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

    বাংলাদেশকে শিরোপা জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক আকবর আলী। দৃঢ় মনোবল নিয়ে শক্ত হাতে দল সামলানোর পাশাপাশি ফাইনালে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস, যা একইসাথে জিতিয়েছে শিরোপাও। সেই আকবরকেই বিশ্বকাপ একাদশের অধিনায়ক হিসেবে বাছাই করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

    আকবর ছাড়াও একাদশে রয়েছেন ৩ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। আসরে দ্বিতীয় হওয়া ভারতেরও ৩ জন ক্রিকেটার রয়েছেন একাদশে। এছাড়া আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ২ জন করে এবং শ্রীলঙ্কা থেকে ১ জন ক্রিকেটার একাদশে ঠাই পেয়েছেন।

    আকবর ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন সেমিফাইনালের নায়ক মাহমুদুল হাসান জয় ও তিনটি ম্যাচে অপরাজিত থাকা শাহাদাত হোসেন। আসরে ৬ জন ব্যাটসম্যানকে ডিসমিসালে পরিণত করা আকবরকে অধিনায়কত্বে পাশাপাশি উইকেটরক্ষক হিসেবেও দেখেছে আইসিসি।

    আইসিসির সেরা একাদশ: যশস্বী জাসওয়াল, ইবরাহিম জাদরান, রাভিন্দু রাসান্থা, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন, নিম ইয়ং, আকবর আলী (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শফিকউল্লাহ ঘাফারি, রবি বিষ্ণই, কার্তিক ত্যাগি, জায়ডেন সিলস।

    দ্বাদশ খেলোয়াড়: আকিল কুমার

  • সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবাদের সংবর্ধনা

    সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবাদের সংবর্ধনা

    ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ী যুবাদের শিগগিরই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংবর্ধনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের গণসংবর্ধনা দেয়ার কথা জানিয়েছেন।

    মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কথার রেশ ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত পরপর চার বার চ্যাম্পিয়ন, তাদের হারানো বেশ কঠিন ছিল।

    যখনই কেউ জিতে এসেছেন তখনই সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গণসংর্বধনা ওদেরও দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

    গতকাল রোববার মুজিববর্ষের প্রাক্কালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে জয় লাভ করে বাংলাদেশ।

    কোচ, ম্যানেজার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা প্রকাশ করেন, এ খেলোয়াড়ি মনোভাব ধরে রেখে এভাবেই ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হবে।

    ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিরোপা এনে দিয়েছে বাংলার যুবারা। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে চার বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস মেথডে হারায় ৩ উইকেটে।

  • ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেল সিনিয়ররা

    ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেল সিনিয়ররা

    গতরাতেই অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিকারী আকবর বাহিনী।

    তবে তারা যতটা মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন আজ ঠিক ততটাই ম্লান করলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিকারী সিনিয়র দল৷ রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের কাছে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের মধ্যেই ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরেছে মমিনুল-তামিমরা। এই নিয়ে বিদেশের মাটিতে টানা ৪ টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ৷

    তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার। আজ সকালে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে বাকি ব্যাটসম্যানরা সেটাই ছিল দেখার বিষয়। দিনের শুরুতেই মমিনুলের আউটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় টাইগার ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নের পথে হাটা। আবারো সেই একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তি। সেট হয়ে ফিরে যাওয়া৷ মমিনুক ফিরেন ৪১ রানে।

    তারপর রুবেলকে নিয়ে ২৬ ও রাহিকে নিয়ে ৯ রান যোগ করেন লিটন। তিনি নিজেও আবারো কাটা পড়েন বলতে গেলে সেই ৩০ এর ঘরেই। এই নিয়ে শেষ ১১ ইনিংসে ৮ বারই সেট হয়েও ফিফটির দেখা পাননি লিটন। ইয়াসির শাহর বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে যান ২৯ রানে। লিটনের যাওয়ার সাথেই সাথেই পরাজয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত তারা অল আউট হয় ১৬৮ রানে৷ ফলে ইনিংস ও ৪৪ রানের জয় পায় পাকিস্তান৷ পাকিস্তানের নাসিম শাহ ও ইয়াসির শাহ ৪ টি করে উইকেট নেন।

    এর আগে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ ও পাকিস্তান ৪৪৫ রান করে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    বাংলাদশ (১ম ইনিংস):
    ২৩৩/১০, মিথুন- ৬৩, শান্ত- ৪৪। আফ্রিদি- ৪/৫৩

    পাকিস্তান (১ম ইনিংস):
    ৪৪৫/১০, বাবর- ১৪৩, মাসুদ- ১০০। রাহি- ৩/৮৬, ৩/১১৩।

    বাংলাদেশ (২য় ইনিংস):
    ১৬৮/১০, মমিনুল- ৪১, শান্ত- ৩৮। নাসিম- ৪/২৬, ইয়াসির- ৪/৫৮।