Category: খেলা

  • পাকিস্তানের পথে বাংলাদেশ দল

    পাকিস্তানের পথে বাংলাদেশ দল

    সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রথম ধাপে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।

    আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি অনুশীলন শেষে ২৪ জানুয়ারি লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে টাইগাররা।

    ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের উপর হামলার পর পাকিস্তানে বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অনেক চেষ্টার পর সেই শ্রীলঙ্কাকে দিয়েই ক্রিকেটে ফেরার ইঙ্গিত দেয় পাকিস্তান।

    সেই সুবাধে বাংলাদেশও যাচ্ছে পাকিস্তান। শুরুতে তিনটি টি-টোয়েন্টি আর দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও এই সফরে যোগ হয়েছে একটি ওয়ানডে ম্যাচও। দুই টেস্টের মাঝে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ম্যাচটি। দেশ ছাড়ার আগে সৌম্য সরকার, শফিউল ইসলামরাও প্রত্যই ভালো ফলাফল নিয়ে দেশে ফেরার।

    সৌম্য সরকার জানান, অবশ্যই দল হিসাবে প্রত্যাশা ভালো। আমরা যারা যাচ্ছি এবার সবাই বিপিএলে ভালো পারফর্ম করেছে। সবাই যদি বিপিএলের পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারে তাহলে দলের রেজাল্টটা ভালো আসবে।

    দলের অন্যতম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম যাচ্ছেন না পাকিস্তান। এই সফর নিয়ে আলোচনা চলাকালীনই মুশফিক আপত্তি জানান পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে।

    এ নিয়ে সৌম্য বলেন, অনেক সিনিয়রই নাই, থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। অবশ্যই রেসপন্সিবল ভাবে খেলতে হবে। চেষ্টা করবো ওভাবে খেলার।

    পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। বাংলাদেশ দলকে দেশটির স্পেশাল-ফোর্সসহ প্রায় দশ হাজার পুলিশ নিরাপত্তা দিবে বলে নিশ্চিত করেছে পিসিবি। তবে এসব নিয়ে আর ভাবতে চান না পেসার শফিউল ইসলাম। ‘কোন চিন্তা নাই আর। যেহেতু বোর্ড সবকিছু দেখেশুনেই পাঠাচ্ছে, তাই কোন চিন্তা নেই। ভালো করে দেশে যেন ফিরতে পারি, ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারি এটাই প্রত্যাশা।’

  • ভারতে চার দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফাইনালে বাংলাদেশি মেয়েরা

    ভারতে চার দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফাইনালে বাংলাদেশি মেয়েরা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। স্পোটর্স ডেস্ক : ভারতে চার দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশি মেয়েরা। সোমবার বিহারের পাটনায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে টাইগার যুবারা।

    ওইদিন ম্যাচের শুরুতে টস জিতে থাইল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় লাল-সবুজের দল। টাইগার যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২০ রানে থেমে যায় দ্বীপ রাষ্ট্রটির যুবাদের ইনিংস।

    ফিল্ডিংয়ে নেমে থাইল্যান্ড শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন নিগার সুলতানা। অন্যদিকে জাহানারা, অধিনায়ক সালমা ও নাহিদা আক্তারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব বেশি উইকেট না ফেলতে পারলেও রানের চাকাটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয় টাইগার যুবারা।

    অবশ্য সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জবাবে শামিমা সুলতানার ৩৭ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬.১ ওভারে ২ উইকেটেই ৯১ রান তুলে টাইগ্রেসরা। কিন্তু শামিমা এলবিডব্লিউ হওয়ার পরই যেন বিপর্যয় নেমে আসে লাল-সবুজের দলে।

    ২ উইকেটে ৯১ রান থেকে একটা সময় ৮ উইকেটে ১১২ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। ১৯তম ওভারে তিনটি উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায়ই পড়ে গিয়েছিল মেয়েরা।

    সেখান থেকে শেষ ওভারে চার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ও নাটকীয় এক ইনিংস খেলে দলকে উদ্ধার করেন ফাহিমা খাতুন। এতে করে শ্বাসরুদ্ধকর এ ম্যাচ গড়ায় শেষ বল পর্যন্ত। যেখানে ২ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

    অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতি হিসেবে এই চার দলের টুর্নামেন্ট খেলতে গেছে বাংলাদেশ। এখানে ভারতের দুটি দল-‘এ’ও ‘বি’ নামে খেলছে। ভারতীয় ‘বি’ দল উঠেছে ফাইনালে। আগামিকাল বুধবার পাটনায় তাদেরই মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা।

  • ক্রিকইনফোর দৃষ্টিতে বিপিএলের সেরা একাদশ

    ক্রিকইনফোর দৃষ্টিতে বিপিএলের সেরা একাদশ

    পারফরম্যান্স বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সপ্তম আসরের সেরা একাদশ প্রকাশ করেছে জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো। ক্রিকেট গণমাধ্যমটির বাছাইকৃত একাদশের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।

    রাসেলের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী রয়্যালস, যা প্রথমবারের মত রাজশাহী অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বকারী কোনো দলের বিপিএল শিরোপা। ফাইনালের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রাসেল পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও। ক্রিকইনফো তাই রাসেলকেই দিয়েছে নেতৃত্বের বাহুবন্ধনী।

    দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এই একাদশে রয়েছেন নাইম শেখ, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান রানা ও মুস্তাফিজুর রহমান।

    বিপিএলে একাদশে ৪ জন করে বিদেশি রাখার নিয়ম থাকলেও সার্বিক পারফরম্যান্সে ক্রিকইনফোর একাদশে জায়গা পেয়েছেন ৫ জন বিদেশি ক্রিকেটার। রাসেল ছাড়াও বাকিরা হলেন- রাইলি রুশো, ডেভিড মালান, মোহাম্মদ আমির ও মুজিব উর রহমান।

    একাদশে লিটন ও নাইমকে দেওয়া হয়েছে ওপেনারের ভূমিকা। মুশফিক রয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে। স্কোয়াডে স্পিনার হিসেবে আছেন ঢাকার হয়ে খেলা মেহেদী হাসান ও আফগান তরুণ মুজিব।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ইএসপিএনক্রিকইনফোর বাছাই করা বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সেরা একাদশে কোন দলের কোন কোন ক্রিকেটার রয়েছেন-

    নাইম শেখ- রংপুর রেঞ্জার্স
    লিটন দাস- রাজশাহী রয়্যালস
    রাইলি রুশো- খুলনা টাইগার্স
    মুশফিকুর রহিম- খুলনা টাইগার্স (উইকেটরক্ষক)
    ডেভিড মালান- কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স
    আন্দ্রে রাসেল- রাজশাহী রয়্যালস (অধিনায়ক)
    মেহেদী হাসান- ঢাকা প্লাটুন
    মোহাম্মদ আমির- খুলনা টাইগার্স
    মুজিব উর রহমান- কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স
    মেহেদী হাসান রানা- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
    মুস্তাফিজুর রহমান- রংপুর রেঞ্জার্স

  • পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ হাসান

    পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ হাসান

    পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবারো দলের নেতৃত্বে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

    ঘোষিত দলে নতুন মুখ হাসান মাহমুদ। তরুণ এই পেসার সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলেছিলেন।

    ভারত সিরিজের দল থেকে এই দলে বেশ কিছু পরিবর্তন রয়েছে। পাকিস্তান সফরে যেতে না চাওয়া মুশফিকুর রহিম নেই স্কোয়াডে। চোটের কারণে দলে নেই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। এছাড়া আরাফাত সানি, আবু হায়দার রনি ও তাইজুল ইসলাম দল থেকে বাদ পড়েছেন।

    এদিকে দলে ফিরেছেন বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত, ঢাকা প্লাটুনের হয়ে খেলা মেহেদী হাসান ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা রুবেল হোসেন।

    লাহোরে আগামী ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানে দলের পূর্ণাঙ্গ সফরের প্রথম ধাপে শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজই মাঠে গড়াবে।

    একনজরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের স্কোয়াড

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন, হাসান মাহমুদ।

  • বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মুস্তাফিজ

    বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মুস্তাফিজ

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এর সপ্তম আসরে সবার চাইতে কম ম্যাচ খেলেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার হয়েছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।

    আসরের শুরুর দিকে আলো ছড়াতে না পারলেও যতই সময় গড়িয়েছে, ততই নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মোস্তাফিজ। ১২ ম্যাচে এই বাঁহাতির সংগ্রহ ২০ উইকেট। গড় ১৫.৬০। ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৭.০১ রান।

    দুই নম্বরে আছেন বিপিএলের ইতিহাসের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়া পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার আমির। তার গড় ১৭.৭৫। ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৭.০৫ রান। উইকেট সংখ্যা ২০।

    তিনে থাকা রুবেলের ১৩ ম্যাচে উইকেট সংখ্যাও ২০টি। বিপিএলে নিয়মিত ভালো করা এই পেসার উইকেট শিকার করেছেন ১৭.৮৫ গড়ে। ইকোনমি ৭.৮৫।

    ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন পেস দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ফ্রাইলিঙ্ক। তার গড় ১৯.৬০। ইকোনমি ৭.৩৯।

    পাঁচে আছেন আরেক খুলনার পেসার শহীদুল ইসলাম। ১৩ ম্যাচে ঝুলিতে ভরেছেন ১৯ উইকেট। গড় ২০.৮০ আর ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৮.০৮।

    ১৮ উইকেট নিয়ে ষষ্ঠতে আছেন চট্টগ্রামের তরুণ বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা। ১০ ম্যাচে ১৫.৮৩ গড় ও ৭.৫০ ইকোনমি তার।

  • এবারও বিপিএলের সেরা রান সংগ্রাহক রাইলি রুশো

    এবারও বিপিএলের সেরা রান সংগ্রাহক রাইলি রুশো

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের মতো সপ্তম আসরেও টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো। আগের আসরে বিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫৫৮ রানের রেকর্ডের পর এবারের আসরে ৪৯৫ রান করে সবার শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন তিনি।

    রান সংগ্রাহকের দুইয়ে থাকা মুশফিকের রান রুশোর পিছেই। ৪ রান দুরে থেকে ৪৯১ রান নিয়ে বিপিএল শেষ করেছেন মুশফিক। এই রানে এক বিপিএলে স্বদেশী তামিমকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

    এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছেন মালান ও ইমরুল কায়েস। কুমিল্লার হয়ে খেলা মালান ১১ ম্যাচে করেন ৪৪৪ রান এবং চট্টগ্রামের হয়ে খেলা ইমরুল ১২ ম্যাচে করেন ৪৩৭ রান।

  • বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় রাসেল

    বিপিএলের সেরা খেলোয়াড় রাসেল

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের সপ্তম আসরে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম শিরোপা জিতে নিল উত্তরের বিভাগ রাজশাহী রয়্যালস। আর তাদের এই শিরোপা জয়ের পেছনে যার সবচেয়ে বড় অবদান তিনি হচ্ছেন রাজশাহীর অধিনায়ক ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল৷

    পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ক্যাপ্টেন্সির পাশাপাশি ব্যাট ও বল হাতে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে ‘ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল’ এবং ‘প্লেয়ার অব দি টুর্নামেন্ট’ নির্বাচিত হয়েছেন রাসেল। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে ১৩ ম্যাচে ১৮০ স্ট্রাইকরেটে ২২৫ ও বল হাতে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি৷

    রাসেলকে নিয়ে রাজশাহীর খেলোয়াড়দের উল্লাস

    তার এই দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স রাজশাহীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে তাই স্বভাবতই টুর্নামেন্ট সেরার মুকুটটাও উঠেছে তার হাতে।

  • বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী। ফাইনালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টাইগারর্সকে ২১ রানে হারিয়ে বিপিএল প্রথম শিরোপা ঘরে তুলে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়ালস।

    এর আগে ২০১৬ সালে ফাইনালে উঠে ঢাকা ডায়নামাইটের বিপক্ষে হেরে শিরোপ বঞ্চিত হয়েছিল রাজশাহী।তবে এবার আর হতাশ হতে হয়নি। শিরোপা নিয়েই বাড়ি ফিরেছে আন্দ্রে রাসেলের নেতৃত্বাধীন দলটি।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন ইরফান শুক্কর। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ২০ বলে ৪১ রান করেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রান করেন আন্দ্রে রাসেল।

    বিপিএল প্রথম শিরোপা জয়ের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শামসুর রহমান শুভ। তৃতীয় উকেটে রাইলি রুশোর সঙ্গে গড়েন ৭৪ রানের জুটি।

    ২ উইকেটে ৮৫ রান করা খুলনা এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শিরোপা জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে যায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। তার ইনিংসটি ৪৩ বলে ৪টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। এছাড়া ৩৭ রান করেন রুশো। ২১ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

    এর আগেআন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজের ব্যাটিং ঝড়ে বিপিএল ফাইনালে ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে রাজশাহী রয়েলস। ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০০ রান করা রাজশাহী পরের ৫ ওভারে তুলে নেয় ৭০ রান।

    শেষ ৩০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দেন রাসেল ও নওয়াজ। তাদের দায়িত্বশীলতায় লড়াই করার মতো পুঁপি পায় রাজশাহী। মাত্র ১৬ বল খেলে ৩টি ছক্কায় ২৭ রান করেন রাসেল। আর ২০ বল খেলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নওয়াজ।

    শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় রাজশাহী। দলীয় মাত্র ১৪ রানে ওপেনার আফিফ হোসেনের উইকেট হারায় তারা।

    তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কর। দলীয় ৬৩ রানে ফেরেন জাতীয় দলের তারকা ওপেনার লিটন দাস। তার আগে ২৮ বলে এক চার ও এক ছক্কায় করেন ২৫ রান।

    ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন ইরফান শুক্কর। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ঘরোয়া লিগের এ তারকা ক্রিকেটার আগের ম্যাচেও অসাধারণ ব্যাটিং করেছিলেন। ফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে খেলেছিলেন ৪৫ রানের ইনিংস।

    শুক্রবার দলীয় ৯৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইরফান শুক্কর। তার আগে ৩৫ বলে ৬টি চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ঝকঝকে ইনিংস।

    ইরফান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। পাকিস্তান ব্যাটসম্যান নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান রাজশাহীর ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    রাজশাহী রয়েলস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (ইরফান ৫২, নওয়াজ ৪১*, রাসেল ২৭*, লিটন ২৫, আফিফ ১০, শোয়েব মালিক ৯; আমির ২/৩৫)।

    খুলনা টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৪৯/৮ (শামসুর রহমান ৫২, রুশো ৩৭, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৮, কামরুল ইসলাম ২/২৯, আন্দ্রে রাসেল ২/৩২)।

    ফল: রাজশাহী রয়েলস ২১ রানে জয়ী।

  • কিংবদন্তী ইমরান ইউসুফ ক্রিকেট কার্নিভ্যালের ট্রফি উন্মোচন

    কিংবদন্তী ইমরান ইউসুফ ক্রিকেট কার্নিভ্যালের ট্রফি উন্মোচন

    আমরাই কিংবদন্তী (এসএসসি ২০০০ এবং এইচএসসি ২০০২) একটি অনলাইন ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ, যেখানে সারা বাংলাদেশের এসএসসি ২০০০ এবং এইচএসসি ২০০২ সালের ছাত্র-ছাত্রীদের একত্র করে একক প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা চলছে।

    বন্ধুদের একত্রিত করার প্রয়াস থেকেই প্রথমবারের মত সারা বাংলাদেশ থেকে ১০ টি দল নিয়ে আগামী শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২০; শ্যামলী ক্লাব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে কিংবদন্তী ইমরান ইউসুফ ক্রিকেট কার্নিভ্যালের।

    বুধবার (১৫ জানুয়ারী) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ফেল্ভার’স মিউজিক ক্যাফেতে জমকালো এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন করা হয়।

    ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের পক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকের প্রথম সেঞ্চুরির করার কৃতিত্বের অধিকারী মেহরাব হোসেন অপি। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার রুমানা আহমেদ এবং অভিনেতা ও মডেল অন্তু করীম। এছাড়াও প্রতিদলের টিম ম্যানেজার, অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক ও ফেস অব দা টিম এবং টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটি উপস্থিত ছিল।

    দশটি দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে একে অপরের মোকাবেলা করবে। দুই গ্রুপের সেরা চারটি দল সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে, এবং পরবর্তীতে সেরা দুই দলের ফাইনাল হবে শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শ্যামলী ক্লাব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ গুলো হবে ১৭, ১৮, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারী ২০২০। প্রতি দিনের খেলা শুরু হবে সকাল ৮ টায়।

    আয়োজনের অংশগ্রহন কারী দল গুলো হলঃ
    গ্রুপ- এঃ
    ১। উত্তরা টাইটান্স
    ২। খিলগাঁও এবেঞ্জারস
    ৩। বাসাবো টাইগার্স
    ৪। ডি এম স্মেসারস
    ৫। নওয়াব অব ওল্ড ঢাকা
    গ্রুপ- বিঃ
    ১। মিরপুর কিংস
    ২। স্টার অব কুষ্টিয়া
    ৩। সাইলেন্ট ওয়ারিওরস
    ৪। তেজগাঁও লায়ন্স
    ৫। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জারস

    প্রাথমিক ভাবে টুর্নামেন্টের নাম কিংবদন্তী ক্রিকেট কার্নিভ্যাল নির্ধারণ করা হলেও, পরবর্তীতে গত শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২০ সিটি ইউনিভার্সিটি মাঠে স্টার অব কুষ্টিয়া দলের পক্ষে ইমরান ইউসুফ একটি প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালীন খেলার মাঠেই অসুস্থ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। পরবর্তীতে টুর্নামেন্টের নামকরন কিংবদন্তী ইমরান ইউসুফ ক্রিকেট কার্নিভ্যাল করা হয়।

    উল্লেখ্য “মানবতার কল্যাণে কিংবদন্তী সবখানে” এই নীতিকথা থেকেই ১৫ নভেম্বর ২০১৭ থেকে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ২৭ হাজার সদস্যের পরিবারটি আগামীর পথে এগিয়ে চলেছে।

    এই গ্রুপটি এর আগেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিল; তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশ জুড়ে পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা, প্রতিবন্ধী শিশুদের সহায়তা কার্যক্রম, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ ও খাবার বিতরণ, বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ এবং রক্তদান কর্মসূচীসহ বিবিধ কার্যক্রম।

    একটি অনলাইন ভিত্তিক গ্রুপ হয়েও বন্ধুরা শুধু অনলাইনেই সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের, সমাজের বিভিন্ন কাজে এগিয়ে এসেছে বন্ধুদের গ্রুপটি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সমাজের কিছু সচেতন সু-নাগরিক, যারা এই গ্রুপটি কে প্রতিনিয়ত ভালো কাজে উৎসাহ দিচ্ছে।

    ধারাবাহিক ভাবে গ্রুপের পিছিয়ে পড়া সদস্যসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের অসহায় মানুষদের পাশে চিকিৎসা সেবা সহ সকল মৌলিক সেবা পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা করছে এই গ্রুপের সদস্যরা ।

  • অবশেষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ

    অবশেষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ

    নানান নাটকীয়তার পর অবশেষে পাকিস্তানের মাটিতে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ।

    পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, পিসিবির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী বাংলাদেশের সফর নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।

    জনপ্রিয় ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকইনফো আজ (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    Bangladesh will play three T20Is in Lahore from 24-27 January, with the first Test to be held in Rawalpindi from 7-11 February.

    After the PSL, the one-off ODI will take place in Karachi on 3 April, with the second Test to be played from 5-9 April.

    — ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) January 14, 2020

    সূচি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে পাকিস্তানে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। চলতি মাসের ২৪ থেকে ২৭ জানুয়ারি সিরিজের ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হবে লাহোরে।

    টি-টোয়েন্ট সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে আসবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এরপর ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাওয়ালপিণ্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টেস্ট। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই টেস্ট খেলে দেশে ফিরে আসবে টাইগাররা।

    পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শেষে বাংলাদেশ দল আবারো যাবে পাকিস্তান সফরে। ৩ এপ্রিল করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে একমাত্র ওয়ানডে। এরপর একই ভেন্যুতে ৫-৯ এপ্রিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত দুই দলের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

    অনেক জলঘোলার পর বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের সূচি চূড়ান্ত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত পিসিবি। পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী প্রকাশ করেছেন স্বস্তি। সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন খোদ আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর।

  • আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

    আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ফাইনালে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যাট হাতে যেমন আলো ছড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বোলিংয়েও তেমন দুর্দান্ত ছিলেন মোহাম্মদ আমির। এতেই শোয়েব মালিকের প্রতিরোধ উপেক্ষা করে ২৭ রানে ম্যাচ জয় খুলনা টাইগার্সের। যার ফলে প্রথম দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো খুলনা।

    এদিন আগে ব্যাট করে শান্তর ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স। ১৫৯ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বস্ত রাজশাহী রয়্যালস। ইনিংসের প্রথম ওভারে ওপেনার লিটন দাসকে ফিরিয়ে যার শুরু করেন খুলনার পেসার আমির।

    এরপর একে একে সাজঘরের পথ ধরেন আফিফ (১১), রবি বোপারা (১), অলক কাপালি (০), আন্দ্রে রাসেল (০) ও ফরহাদ রেজা (৩)। ফলে মাত্র ৩৩ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী। যেখানে একাই ৪ উইকেট নিজের ঝুলিতে পোরেন আমির। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা দলের পাকিস্তানি রিক্রুট শোয়েব মালিক।

    এরপর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে লড়ে যান মালিক। ৩৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। তবে ফায়দা হয়নি একেবারেই। এতে রাজশাহীর হারের ব্যবধানটা কমলো শুধু। পরে তাইজুলের ১২ রানের সাথে মালিকের ৫০ বলে ৮০ রানের কল্যাণে ১৩১ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। যেখানে বিপিএল ইতিহাসের সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি প্রথমবারের মত ৬ উইকেটের স্বাদ পান আমির। ফলে ২৭ রানে ম্যাচ জিতে প্রথম দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করলো খুলনা টাইগার্স।

    তবে এই ম্যাচ হারলেও ফাইনাল খেলার সুযোগ থাকছে রাজশাহী রয়্যালসের সামনে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী কোয়ালিফায়ার এক এর পরাজিত দল কোয়ালিফায়ার দুইয়ে মুখোমুখি হবে এলিমিনেটরের জয়ী দলের বিপক্ষে। সে হিসেবে এই ম্যাচ হারের ফলে ফাইনালে উঠার মিশনে পরবর্তী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী রয়্যালস।

    এর আগে টস হেরে খুলনার হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে আজ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি মিরাজ। মোহাম্মদ ইরফানের বলে আউট হয়েছেন ৮ বলে সমান ৮ রান করে। ওই ওভারেই দ্বিতীয় আঘাত হানেন ইরফান। এবার ফেরান রানের খাতা খুলতে না পারা রাইলি রুশোকে। দলীয় ১৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে খানিক বিপদে পড়ে খুলনা।

    সেখান থেকে শামসুর রহমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। তবে শামসুর ৩১ বলে ৩২ রান করে আউট হলে ভাঙে তৃতীয় উইকেটে দুজনের ৭৮ রানের পার্টনারশিপ। পরে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে মাত্র ৩৬ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে ইনিংসের ১৯তম ওভারে এসে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে। এর আগে ১৬ বলে ২১ রান করেন তিনি।

    শেষদিকে ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে শান্তর ৫৭ বলে ৭৮ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইগার্স।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    খুলনা টাইগার্স: ১৫৮/৩ (২০ ওভার)
    শান্ত ৭৮*, শামসুর ৩২, মুশফিক ২১; ইরফান ২/১৩, বোপারা ১/২৪।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৩১/১০ (২০ ওভার)
    মালিক ৮০, তাইজুল ১২, আফিফ ১১; আমির ৬/১৭, মিরাজ ২/৬, শহিদুল ১/১৫।

    ফল: খুলনা ২৭ রানে জয়ী।

  • চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে

    চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে

    বিপিএলের চলতি আসরে এলিমিনিটর ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের ৩ ও ৪ নম্বর দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অলিখিত সেমিফাইনালের (কোয়ালিফায়ার) টিকিট পেল দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে শাবাদ খানের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে চট্টগ্রামের সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ঢাকা। এই টার্গেট টপকাতে ক্রিস গেইলের সাথে ইনিংস শুরু করত আসেন জিয়াউর রহমান। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন জিয়া। মেহেদী হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ১২ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

    এরপর গেইল ধীরগতির ব্যাটিং করলেও অন্য প্রান্তে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন ইমরুল কায়েস। ৩টি ছয়ের সাথে ১টি চারের মারে মিরপুরের ভরা গ্যালারীকে আনন্দে ভাসান তিনি। শাদাব খানের বলে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২২ বলে ৩২ রান করেন ইমরুল। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের ভিত গড়া হয়ে গেছে চট্টগ্রামের।

    তবে এই ম্যাচে খোলস ছেড়ে বের হতেই পারলেন না গেইল। বাঁহাতে ১৪ সেলাই নিয়ে গালিতে দাঁড়িয়ে গেইলকে একহাতে তালুবন্দী করে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৩৮ রান করেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব।

    শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৪ বলে ৩৪ এবং চ্যাডউইক ওয়ালটনের ১০ বলে ১২ রানের সুবাদে ১৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই জয়ের ফলে অলিখিত সেমিফাইনালে টিকিট পেল বন্দরনগরীর দলটি। একই সাথে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হয়ে গেল তারকায় ঠাঁসা দল ঢাকা প্লাটুনের।

    এর আগে মুমিনুল হককে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ১০ বলে ৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হন তিনি। এরপর দলীয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে এনামুল হক বিজয় ও লুইস রিস শূন্য হাতে ফিরলে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।

    খানিক বাদে ৭ রান করে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান ও ০ রান করে জাকের আলীও আউট হলে ৯ ওভারে মাত্র ৪৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট যায় ঢাকা প্লাটুনের। তবে সতীর্থ্যরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান ওপেনার মুমিনুল হক। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে সমান ৩১ রান করে যান তিনি।

    এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন শাদাব খান। দুজনের ৪৪ রানের পার্টনারশিপের পর ১৩ বলে ২৫ করে আউট হন পেরেরা। শেষদিকে মাত্র ৩৬ বলের নিজের ফিফটির তুলে নেন শাদাব। শেষপর্যন্ত ৪১ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা প্লাটুন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৪৪/৮ (২০ ওভার)
    শাদাব ৬৪*, মুমিনুল হক ৩১, পেরেরা ২৫; এমরিট ৩/২৩, নাসুম ২/১১, রুবেল ২/৩৩।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৭/৩ (১৭.৪ ওভার)
    গেইল ৩৯, কায়েস ৩২, জিয়াউর ২৫; শাদাব ২/৩২, মেহেদী ১/২০।

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।