Category: খেলা

  • হাতে ১৪ সেলাই,মাশরাফির বিপিএল শেষ

    হাতে ১৪ সেলাই,মাশরাফির বিপিএল শেষ

    বিপিএলের চলতি আসরে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে শীর্ষ দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার আশা চূর্ণ হয়েছে ঢাকা প্লাটুনের। সেই সাথে আরও একটি দুঃসংবাদ পেয়েছে ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি। দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা পড়েছেন চোটে।

    মাশরাফির ইঞ্জুরিটি বেশ গুরুতরই। খুলনা টাইগার্সের ইনিংসে ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন বাঁ হাতের আঙুলে। চোট পাওয়া সেই হাতে লেগেছে ১৪টি সেলাই!

    খুলনার ইনিংসের ১১তম ওভারে মেহেদী হাসানের বলে সজোরে হাঁকান রাইলি রুশো। এক্সটা কভারে ছুটে যাওয়া বলটি তালুবন্দি করতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে আঘাত পান মাশরাফি।

    সেই আঘাতের পর আর মাঠেই থাকতে পারেননি। তীব্র ব্যথায় কাতর হয়ে মাঠ ছেড়ে যান ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত ক্রিকেটার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সাজঘরে ফেরে চোটাক্রান্ত স্থানে লেগেছে ১৪টি সেলাই।

    ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা প্লাটুনের প্রতিনিধি এনামুল হক বিজয় বলেন-

    ‘মাশরাফি ভাইয়ের হাতে সেলাই পড়েছে দশটার বেশি। বাঁ হাতের অনেকখানি কেটে গেছে। বড় সেলাই পড়েছে যেহেতু উনার জন্য পরের ম্যাচগুলো খেলা একটু কঠিনই হয়ে যায়। এখনো নিশ্চিত না। পরের ম্যাচ খেলা তার জন্য অবশ্যই কঠিন হবে।’

    এই চোটের কারণে মাশরাফির বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বাকি অংশে অংশগ্রহণ একপ্রকার অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছে। ১২ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে থেকে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করেছে ঢাকা প্লাটুন। এলিমিনেটর ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে উঠতে হলে দলটিকে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলতে হবে।

    মাশরাফির এই চোটের কারণে বেশ বেকায়দায় পড়বে ঢাকা। তিনি পরের ম্যাচে না থাকলে ‘নকআউট’ হয়ে ওঠা খেলায় দলের নেতৃত্বেও আসবে পরিবর্তন। চোট পাওয়ার দিনে ৩ ওভার বল করে ২৬ রান খরচ করেন মাশরাফি, পাননি কোনো উইকেট। ইঞ্জুরিতে মাঠ ছাড়ায় চার ওভারের কোটাও পূর্ণ করতে পারেননি।

  • প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম ও বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। ৪২টি ম্যাচ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে প্লে-অফের লাইন-আপও।

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকায় খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস ফাইনালে যাওয়ার জন্য দুটি সুযোগ পাচ্ছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে থাকায় দল দুটির জন্য বিপিএল যাত্রা হয়ে উঠেছে ‘নকআউট’, অর্থাৎ কোনো ম্যাচে হারলেই বিদায়।

    রাউন্ড রবিন লিগের পর এক দিনের বিরতি শেষে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে শেষ চারের লড়াই। ১৩ জানুয়ারি ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ।

    দিনের প্রথম খেলায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও চতুর্থ দল ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনাল খেলার জন্য আরও একটি সুযোগ পাবে, পরাজিত দল আসর থেকে বিদায় নেবে।

    দিনের দ্বিতীয় খেলায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস। এই ম্যাচের জয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দলের মোকাবেলা করবে।

    দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। ফাইনালে ওঠা দুই দল শিরোপার জন্য লড়বে ১৭ জানুয়ারি।

    একনজরে শেষ চারের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

    ম্যাচ তারিখ ও সময় লড়াই
    এলিমিনেটর ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), দুপুর দেড়টা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম ঢাকা প্লাটুন

    প্রথম কোয়ালিফায়ার ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা খুলনা টাইগার্স বনাম রাজশাহী রয়্যালস

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১৫ জানুয়ারি (বুধবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল বনাম এলিমিনেটরের জয়ী দল

    ফাইনাল ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার), সন্ধ্যা সাতটা প্রথম কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল বনাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল

  • মুশফিক-মিরাজ ঝড়ে কুমিল্লাকে বিদায় করে প্লে-অফে খুলনা

    মুশফিক-মিরাজ ঝড়ে কুমিল্লাকে বিদায় করে প্লে-অফে খুলনা

    বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এই ম্যাচ হেরে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হলো কুমিল্লার। তবে ৯২ রানে ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও মাত্র ২ রানের আক্ষেপে পুড়তে হলো টাইগার্স দলপতি মুশফিকুর রহিমকে।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করত নামে খুলনা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করত এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ইরফান হোসেনের বলে আউট হয়েছেন ১ রান করে। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড় তুললেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি রাইলি রুশো। ১১ বলে ৩টি ছয়ের মারে করেন ২৪ রান।

    এরপরের গল্পটা কেবলি মুশফিক আর মেহেদী হাসান মিরাজের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুমিল্লার বোলারদের নাস্তানুবাদ করে ছাড়েন দুজন। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মিরপুরের ভরা গ্যালারীকে আনন্দে ভাসান এ দুই ক্রিকেটার। শুরুতে মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মিরাজ। খানিক পর একই পথে হাঁটেন মুশফিকও। ফিফটি পূরণ করতে মুশফিকের লাগে ৩৮ বল।

    তবে বিপত্তি বাঁধে ইনিংসের ১৯তম ওভারে। ৭৪ রানে থাকা মিরাজকে ফিরতে হয় পেশিতে টান পেয়ে। মিরাজের সুযোগ না থাকলেও মস্ত বড় সুযোগ পেয়েছিলেন মুশফিক। তবে আজও সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া হয়নি তার।

    শেষপর্যন্ত মাত্র ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজি থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ততক্ষণে রান পাহাড়ে চেপে বসেছে খুলনা টাইগার্স। ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে জমা করে ২১৮ রান।

    হারলেই বিদায় নিশ্চিত। এমন সমীকরণ নিয়ে ব্যাট করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেনি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ইনিংসের শুরুর ওভারে কোন রান না করে ফেরেন সাব্বির রহমান। পরে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৪১ রান তুলতে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যার দুইটা শিকার করেন শহিদুল ইসলাম, একটা মোহাম্মদ আমিরের।

    এরপর কুমিল্লার হাল ধরার চেষ্টা করেন উপুল থারাঙ্গা ও সৌম্য সররকার। তবে চতুর্থ উইকেটে ২৮ রানের বেশি যোগ কর‍তে পারেননি দুজন। যেখানে আউট হওয়ার আগে থারাঙ্গার ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। খানিক পর আমিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সৌম্য ফেরেন ১০ রান করে।

    পরে ইয়াসির আলী ২০ ও ফারদীন ২২ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে না পারলে মাত্র ১২৬ রানে থামে কুমিল্লার ওয়ারিয়র্সের ইনিংস। ফলে ৯২ রানের জয়ে চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে খুলনা টাইগার্স। এই ম্যাচ হারের ফলে ১২ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করলো কুমিল্লা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    খুলনা টাইগার্স: ২১৮/২ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৯৮*, মিরাজ ৭৪, রুশো ২৪; মুজিব ১/১৮, ইরফান ১/৩৮

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১২৬/৯ (২০ ওভার)
    থারাঙ্গা ৩২, ইয়াসির ২০, ফারদীন ২২; শহিদুল ৩/২৮, বিপ্লব ২/১৯, আমির ২/২৪।

    ফল: খুলনা ৯২ রানে জয়ী।

  • ঢাকার বোলিং তোপে রংপুরের বিদায়

    ঢাকার বোলিং তোপে রংপুরের বিদায়

    বিপিএলের চলতি আসরে ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছিল ঢাকা প্লাটুন। বাকি ৩ ম্যাচে একটা জয় পেলেই নিশ্চিত হতো শেষ চার। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে আজ রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬১ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।

    এদিন আগে ব্যাট করে রংপুরের সামনে ১৪৫ রানের টার্গেট দাঁড় করে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বস্ত রংপুর। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে নাইম শেখ এবং শেন ওয়াটসনের উইকেট তুলে নেন স্পিনার মেহেদী হাসান। এরপর ২০ রানে থাকা ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে ফেরান ফাহিম আশরাফ।

    সেখান থেকে একে একে ফজলে মাহমুদ (৩), লুইস গ্রেগরি (৫) এবং আল-আমিন জুনিয়র (২৩) আউট হয়ে গেলে মাত্র ৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায় দলটির জয়ের আশা। পরে মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে রংপুরের হারের ব্যবধানটাই কমলো শুধু।

    রংপুরকে ৮৪ রানে আটকে দিয়ে ৬১ রানে ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ পর্ব নিশ্চিত করে ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচ হারের ফলে খালি হাতে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হলো রংপুর রেঞ্জার্সের।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন লুইস গ্রেগরি। বিজয় করেন ৭ বলে ১১ রান। এর আগে ব্যাট হাতে চমক দেখানো মেহেদী হাসান মাঠ ছাড়েন ৬ বলে ১ রান করে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ঢাকার তৃতীয় উইকেটটি শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ১২ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরিফুল হক।

    সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল হকও। ৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। পরে তাসকিনের বলে শেন ওয়াটসনের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে তামিম করেন ৩৮ বলে ৪০ রান। এরপর আসিফ আলিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও পূরণ করতে পারেননি তাসকিন।

    জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন থিসারা পেরেরা। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পেরেরার উইকেট শিকারের মাধ্যমে মেহেদী হাসান রানার সাথে যৌথভাবে চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন মুস্তাফিজ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান। শেষের দিকে ১৯ বলে ৩১ রানের ছোট ক্যামিও দেখান শাদাব খান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৪৫/৯ (২০ ওভার)
    তামিম ৪০, শাদাব ৩১*, আরিফুল ১৩;
    তাসকিন ৩/৩২, মুস্তাফিজ ৩/৩৪, নবী ২/২১।

    রংপুর রেঞ্জার্স: ৮৪/১০ (১৫.৩ ওভার)
    আল-আমিন ২৩, ডেলপোর্ট ২০, নবী ১২; মেহদী হাসান ২/১২, মাশরাফি ২/১৮।

    ফল: ঢাকা ৬১ রানে জয়ী।

  • বিপিএলে রানের চাকায় তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক

    বিপিএলে রানের চাকায় তামিমকে টপকে শীর্ষে মুশফিক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। খেলা ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু’ বিপিএলের এবারের আসরের ১৫তম ম্যাচে সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে ১২ রান নিয়ে যোগ করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। 

    এবারের বিপিএল আসরে তিনি খেলছেন খুলনা টাইগার্স এর অধিনায়ক হিসেবে। গত শনিবার নিজেদের ৪র্থ ম্যাচে সিলেট থান্ডার্সের কাছে হেরে গেলেও ওই দিন নিজের থলিতে ১২ রান যোগ করে পেছনে ফেললেন বিপিএলে বাংলাদেশের হয়ে শীর্ষে থাকা তামিম ইকবালকে।

    এর আগে বিপিএল ইতিহাসে ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল ৬১ ম্যাচের ৬০টি ইনিংস খেলে ৩৫.৮৩ গড় নিয়ে ১৯৩৫ রান তুলে শীর্ষে ছিলেন। শনিবার বিপিএলে নিজের ৭৫ তম ম্যাচে ৭১ তম ইনিংস খেলতে নেমে ১২ রান যোগ করে ১৯৩৬ রান তুলে এ তালিকায় শীর্ষে উঠে আসেন। তামিমের চেয়ে মাত্র ১ রানে এগিয়ে থাকলেও মুশির গড় রান রেট ৩৪.৫৭।

    বিপিএলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের এ তালিকায় ২৫.৬৮ গড়ে ১৬৯৫ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে এবারের আসরের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি ৭৮টি ম্যাচে ৭৪টি ইনিংস খেলে এই রান সংগ্রহ করেন।

    চতুর্থ স্থানে আছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। তিনি ৭৪ ম্যাচে ৭৩ টি ইনিংস খেলে ২৩.৫৯ গড়ে ১৫৫৭ রান সংগ্রহ করেন। এবারের আসরে খেলা না হলেও ১৪৮৩ রান নিয়ে এখনো তালিকার পঞ্চম স্থানে আছেন সাকিব আল হাসান। তিনি বিপিএলে ৭৪টি ম্যাচে ৭৩টি ইনিংস খেলে ২৫.১৩ গড়ে রান সংগ্রহ করেন।

    তবে এবারের আসরে দুদলেরই এখনো অনেক ম্যাচ বাকি আছে। শেষ পর্যন্ত রানের চাকার তালিকায় কে থাকছেন শীর্ষে তা দেখার অপেক্ষায় ক্রীড়ামোদি দর্শক।

  • বিশাল রানের পাহাড়ে চাপা দিয়ে খুলনার জয়রথ থামাল সিলেট

    বিশাল রানের পাহাড়ে চাপা দিয়ে খুলনার জয়রথ থামাল সিলেট

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। খেলার ঘন্টা : আন্দ্রে ফ্লেচারের ৫৭ বলে ১০৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ২৩৩ রানের পাহাড়সম টার্গেটে চাপা দিয়ে উড়ন্ত খুলনার জয়রথ থামিয়ে দিলো সিলেট থান্ডার্স।

    দাপুটে ম্যাচে টানা ৪ ম্যাচ পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে নিজেরাও পেয়েছে প্রথম জয়ের স্বাদ। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে খুলনা টাইগার্সকে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে সিলেট।

    শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আন্দ্রে ফ্লেচারের সেঞ্চুরি এবং জনসন চার্লসের ৯০ রানে ভর করে ২৩২ রানের পাহাড় গড়ে সিলেট। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার রহমতুল্লাহ গুরবাজকে ০ রানে রানে হরিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। রাইলি রুশোর ৫২ এবং রবি ফ্রাইলিঙ্কের ৪৪ রানের ইনিংস কেবল ব্যবধানই কমিয়েছি। তারপরেও বড় হার এড়াতে পারেনি খুনলা।

    ইনিংসের ৯বল বাকি থাকতে ১৮ ওভার তিন বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে খুলনা সংগ্রহ করে ১৫২ রান। সিলেটের পক্ষে ক্রিসমার স্যান্টোকি তিনটি এবং মনির হোসাইন ও এবাদত হোসাইন ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

    সিলেট থান্ডার্সের হয়ে ১০৩ করে অপরাজিত থাকেন ফ্লেচার এবং ৯০ রান করেন চার্লস। মূলত এ দুজনের ব্যাটেই ওই বড় সংগ্রহ পায় ভাটি অঞ্চলের দলটি। যে ম্যাচে স্বভাবতই সেরা খেলোয়াড়টি হন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার।সিলেট থান্ডার্স

    স্কোর: সিলেট থান্ডার: ২৩২/৫ (২০)। সিলেটের হয়ে আন্দ্রে ফ্লেচার ৫৭ বলে ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ৩৮ বলে ৯০ রান তুলেন জনসন চার্লস। খুলনার রবি ফ্রাইলিঙ্ক ৪ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে তুলে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া শফিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও রবিউল হক একটি করে উইকেট শিকার করে নেন।

    খুলনা টাইগার্স: ১৮২/১০ (১৮.৩)। এ দলের রাইলি রুশো সব্বোচ্চ ৫২ রান তুলেন। এ রান তুলতে তিনি খরচ করেছে ৩২ বল। তাছাড়া রবি ফ্রাইলিঙ্ক ২০ বল খেলে ৪৪ রান তুলে নেন। সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন ক্রিসমার সান্তকি। এছাড়া এবাদত হোসেন ও মনির হোসেন ২টি করে এবং নাভিদ উল হক নেন ১টি উইকেট।

  • রংপুরকে উড়িয়ে দিল কুমিল্লা

    রংপুরকে উড়িয়ে দিল কুমিল্লা

    ব্যাট হাতে শুরুটা একেবারে সুখকর হয়নি। তবে ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে লাগাম নিজেদের হাতে তুলে নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। অধিনায়ক দাসুন শানাকার অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও আলো ছড়াল কুমিল্লা। এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে হারালো ১০৫ রানের ব্যবধানে।

    দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ আগে ব্যাট করে রংপুরকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় কুমিল্লা। এই টার্গেট টপকাতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি উত্তরাঞ্চলের দলটি। শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের (১৩) উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর জহুরুল ইসলাম ৫, ফজলে রাব্বির ১ ও লুইস গ্রেগরি কোন রান না করে বিদায় নিলে ৩৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর।

    রংপুরের ব্যাটসম্যানদেরকে আর খোলস ছেড়ে বের হতে দেননি কুমিল্লার বোলাররা। মোহাম্মদ নবী ১১ রান করে সাজঘরে ফিরলে খানিক বাদে একই পথের সারথি হন সঞ্জিত সাহা (০), নাঈম (১৭) ও তাসকিন আহমেদ (১)। ফলে ৫৭ রানে ৮ উইকেট হারায় দলটি। শেষদিকে মুস্তাফিজের ৮ রান জয়ের ব্যবধানটা কমিয়েছে শুধু।

    পরে শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে জাকির হাসান ব্যাটিংয়ে না নামলে রংপুর আটকে যায় ৬৮ রানে। ফলে ১০৫ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা। বল হাতে আল-আমিন ৩ ও সানজামুল এবং সৌম্য নেন সমান ২টি করে উইকেট।

    এর আগে ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক শানাকা। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী রাব্বি ও ভানুকা রাজপাকশা। তবে ইনিংসের শুরুর বলেই কুমিল্লা শিবিরে আঘাত হানেন রংপুরের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। শূন্য রানে আউট করেন রাব্বিকে। এরপর সৌম্য সরকার করেন ২৬ রান। পরবর্তীতে ডেভিড মালান ২৫ ও সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।

    শেষদিকের রোমাঞ্চ যেন তুলে রেখেছিলেন শানাকা। মুস্তাফিজের করা দলীয় ১৯ তম ওভারে টানা ৪টা ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান, যেখানে দুইটা বাউন্ডারিকে আছড়ে ফেলেন একেবারে স্টেডিয়ামের বাইরে। এরই সাথে নিজের অর্ধশতটা তুলে নেন লঙ্কান ক্রিকেটার। পরে শানাকার ৩১ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ঝড়ে দলীয় ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এদিন ৩টা চারের সাথে ৯টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন শানাকা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৭৩/৭ (২০ ওভার) দাসুন শানাকা ৭৫, সৌম্য সরকার ২৬, ডেভিড মালান ২৫, সাব্বির রহমান ১৯; মুস্তাফিজুর রহমান ২/৩৭, সঞ্জিত সাহা ২/২৬, লুইয়া গ্রেগরি ১/২৫

    রংপুর রেঞ্জার্স: ৬৮/১০ (১৪ ওভার) নাইম শেখ ১৭, মোহাম্মদ শেহজাদ ১৩, মোহাম্মদ নবী ১১; আল-আমিন হোসেন ৩/১৪, সানজামুল ইসলাম ২/৪, সৌম্য সরকার ২/১২

    ফলাফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১০৫ রানে জয়ী।

  • চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’র জার্সি উন্মোচন : কাল উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডার্স

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’র জার্সি উন্মোচন : কাল উদ্বোধনী ম্যাচে প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডার্স

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। খেলার ঘন্টা : আজ রাত পেরুলেই আগামীকাল মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট উৎসব বঙ্গবন্ধু বিপিএল। সাত দলের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে এবারের বিপিএল। অংশগ্রহনকারী দলগুলোর মধ্যে সবার আগে জার্সি উন্মোচন করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে জার্সি ও ক্রিকেটারদের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান করে চ্যালেঞ্জার্স। এ জার্সি পড়েই আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবারের আসরের উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে চিটাগং চ্যালেঞ্জার্সের খেলোয়াড়রা।

    আখতার গ্রুপের মালিকানাধীন দলটি নিজেদের ব্র্যান্ডিংয়ে জার্সি জড়িয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম প্রতিপক্ষ সিলেট থান্ডার্স’র মুখোমুখি হবে। মাহমুদুল্লাহর ইনজুরিতে প্রথম দুই ম্যাচে চট্টগ্রামকে নেতৃত্ব দেবেন ইমরুল কায়েস।

    জার্সি উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রিফাতুজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান সাজনিন খান, একমির পরিচালক ফাহিম সিনহা, টিম ডিরেক্টর ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসসহ দলের ক্রিকেটাররা। বিদেশি ক্রিকেটার রায়াদ এমরিদ, রায়ান বার্ল, অভিস্কা ফার্নান্দোসহ আরো অনেক ক্রিকেটার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    করাচিতে দিবা রাত্রির টেস্টে বাংলাদেশ খেলবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রাম টিম ডিরেক্টর ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস জানান, পাকিস্তান সিরিজই এখনও নিশ্চিত নয়।

    বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের প্রতিপক্ষ থাকছে রংপুর রেঞ্জার্স।

  • রাশিয়া আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

    রাশিয়া আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ

    বিশ্বের সব বড় বড় আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আসরে রাশিয়াকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি।

    এর মানে হচ্ছে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকস এবং ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে রাশিয়ার জাতীয় পতাকা দেখা যাবে না কিংবা রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত বাজবে না।

    যেসব রুশ অ্যাথলিট প্রমাণ করতে পারবেন যে তারা বলবর্ধক মাদক ব্যবহার কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত নন, তারা অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক খেলাধুলায় অংশ নিতে পারবেন। তবে রুশ পতাকার পরিবর্তে একটি নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে তাদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে।

    সুইটজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়।

    এর আগে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (রুসাডা) বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে এই কেলেংকারির তদন্তে তারা সহযোগিতা করছে না।

    ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তারা ল্যাবরেটরি পরীক্ষার যেসব তথ্য হস্তান্তর করেছিল, তাতে কারসাজি করা হয় বলে অভিযোগ করছে ওয়াডা।

    রাশিয়ায় সরকারি মদতে খেলাধুলায় ব্যাপকভাবে বলবর্ধক মাদক ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে কয়েক বছর ধরে। এর আগেও তিন বছরের জন্য রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছিল, যদিও সিদ্ধান্তটি ছিল বেশ বিতর্কিত।

    এবারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য রাশিয়াকে ২১ দিন সময় দেয়া হয়েছে।

    ২০১৮ সালের শীতকালীন অলিম্পিকসে রাশিয়ার ১৬৮ জন প্রতিযোগী অংশ নিলেও তাদের রুশ পতাকার পরিবর্তে নিরপেক্ষ পতাকা বহন করতে হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার কারণে।

    ২০১৪ সালে রাশিয়ার সোচিতে যে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস হয়েছিল, তখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ডোপিং কেলেংকারির অভিযোগ ওঠে। রাশিয়া সেবার ১৩টি স্বর্ণপদক সহ মোট ৩৩টি পদক জিতেছিল।

    রাশিয়া একটি দেশ হিসেবে যে কোন ধরণের আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে নিষিদ্ধ।

    তবে এবারের এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ‘ইউরো ২০২০’ ফুটবল টুর্নামেন্টে রাশিয়া অংশ নিতে পারবে। কারণ ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা ‘ইউয়েফা’র বেলায় অ্যান্টি ডোপিং সংস্থার নিয়ম-কানুন প্রযোজ্য নয়।

    ‘ইউরো ২০২০’ টুর্নামেন্টের স্বাগতিক নগরী হচ্ছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ।

    যেভাবে রাশিয়া এই কেলেংকারিতে জড়ালো
    রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ডোপিং এর অভিযোগ ওঠে ২০১৫ সালে। সেবছরের নভেম্বরে রাশিয়ার অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা ‘রুসাডা’ মাদক বন্ধে সহযোগিতা করছে না বলে ঘোষণা করে ওয়াডা। সংস্থার এক রিপোর্টে তখন বলা হয়েছিল, রাশিয়ায় সরকারি মদতেই ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেটিক্সে ব্যাপকভাবে মাদক ব্যবহৃত হচ্ছে।

    এরপর ২০১৬ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, রাশিয়ায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চার বছর ধরে ডোপিং কর্মসূচি চলেছে যাতে করে তাদের প্রতিযোগীরা গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করতে পারে।

  • আর্চারিতে দশে দশ বাংলাদেশ

    আর্চারিতে দশে দশ বাংলাদেশ

    নেপালে চলমান ত্রয়োদশ এসএ গেমসের আরচারি ইভেন্টে ১০টির সবক’টি স্বর্ণপদক জয়ের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। পোখারা স্টেডিয়ামে আজ আরো চারটি স্বর্ণপদক জয় করেছে বাংলাদেশের আরচাররা।

    একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় আগেরদিন রোববার ছয়টি স্বর্ণপদক জয় করেছিল বাংলাদেশ। সব মিলে এই একটি ইভেন্ট থেকে বাংলাদেশের সংগৃহীত স্বর্ণপদক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০টি। এই নিয়ে চলতি গেমস থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট স্বর্ন পদক সংখ্যা হল ১৮টি। এর আগে ২০১০ আসরে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক এই গেমস থেকে সমানসংখ্যক স্বর্ণপদক জয় করেছিল বাংলাদেশ।

    আজ সকালে ফের বাংলাদেশের স্বর্ণপদক জয়ের সুচনা করেন তীরন্দাজ সোমা বিশ্বাস ও সোহেল রানা। দুই জনই কম্পাউন্ডের একক ইভেন্ট থেকে স্বর্ন জয় করেন। মহিলা বিভাগে সোমা শ্রীলংকার অনুরাধা করুনারত্নকে ১৪২-১৩৪ পয়েন্টে এবং পুরুষ বিভাগে সোহেল ভুটানের তানদিন দর্জিকে ১৩৭-১৩৬ পয়েন্টে হারিয়ে স্বর্ণপদক জয় করেন।

    এরপর মহিলাদের রিকার্ভ এককে ভুটানের প্রতিপক্ষকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার উৎসবে যোগ দেন ১৪ বছর বয়সি ইতি খাতুন। গতকাল মহিলাদের রিকর্ভ ইভেন্টে দলগত মিশ্র বিভাগে স্বর্ণ জয় করেছিলেন ইতি।

    আর‌্যারি থেকে বাংলাদেশের শেষ স্বর্ণপদকটি জয় করেন দেশ সেরা তীরন্দাজ রোমান সানা। পুরুষ রিকার্ভের একক ইভেন্টের ফাইনালে ভুটানের প্রতিপক্ষকে পাত্তাই দেননি তিনি। স্বর্ণ জয় করেন ৭-১ সেট পয়েন্টে হারিয়ে।

    এর আগে রোববার থেকেই পোখারার সংস্কারকৃত স্টেডিয়ামটি হয়ে উঠে এসএ গেমসে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফল ভেন্যুতে। স্টেডিয়ামটি পরিণত হয় বাংলাদেশের জন্য সোনার খনিতে।

  • ভারোত্তলনে স্বর্ণ জিতলেন সীমান্ত

    ভারোত্তলনে স্বর্ণ জিতলেন সীমান্ত

    বিগত এসএ গেমসে ভারোত্তলনে সোনা জেতার পর কেঁদে আলোচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের ভারত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। এবারও স্বর্ণ জেতার জন্য ফেবারিট ছিলেন তিনি।

    চলমান ১৩তম এসএ গেমসে আবারও বাংলাদেশকে সোনার পদক পাইয়ে দিয়েছেন সীমান্ত। ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। এ নিয়ে তিনদিন পর নেপাল গেমসে স্বর্ণের দেখা মিললো বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম স্বর্ণ পদক।

    আর ৮১ কেজিতে রৌপ্য জিতেছেন বাংলাদেশের জোহরা খাতুন নিশা।

    গতবার পদক গ্রহণের সময় সীমান্তের কেঁদে ওঠার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এবার স্বর্ণ জিততে তিনি হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রিয়ান্থিকে। এই নিয়ে পঞ্চম স্বর্ণ জিতলো বাংলাদেশ।

  • সীতাকুণ্ডে শেখ রাসেল স্মৃতি দিবারাত্রি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

    সীতাকুণ্ডে শেখ রাসেল স্মৃতি দিবারাত্রি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে শেখ রাসেল স্মৃতি দিবারাত্রি শর্টপিস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার বার আউলিয়াস্থ সোনাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উক্ত টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিস।

    মাসব্যাপী এই দিবারাত্রী ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মোট ৩২টি টিম অংশ গ্রহণ করে। উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় বি.এফ.সি ফাইটার্স বনাম অপরাজয়া ক্রীড়া সংঘ।

    ছাত্রনেতা মোঃ সাদেকের সঞ্চলনায় উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনাইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. ইসমাইল, সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নুরুল আলম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম চৌধুরী, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু, ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন, ছাত্রনেতা জসিম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিনসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    বক্তরা বলেন, খেলাধুলা ছেলেদের শারীরিক গঠন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাদের মন মানসিকতা প্রফুল্ল রাখে।

    পড়ার পাশাপাশি ছেলেদের খেলাধুলার প্রয়োজন রয়েছে। যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই।