Category: সিলেট

  • আ.লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসিবি পরিচালক নাদেল করোনা আক্রান্ত

    আ.লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসিবি পরিচালক নাদেল করোনা আক্রান্ত

    কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিসিবির পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল জানান, শরীরে জ্বর থাকায় গত বুধবার নাদেল নমুনা পরীক্ষার জন্য শামসুদ্দিন হাসপাতালে আসেন। পরীক্ষার পর তার কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। তবে তিনি সুস্থ আছেন। নিজের বাসায় আইসোলেশনে আছেন।

    শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানান,গত ৩/৪ দিন থেকে তার হালকা জ্বর ও কাশি ছিল। এর প্রেক্ষিতে নমুনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে শারীরিকভাবে তিনি অনেকটা সুস্থ বলে জানান। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিলেট কারাগারে করোনায় দেশের প্রথম কারাবন্দির মৃত্যু

    সিলেট কারাগারে করোনায় দেশের প্রথম কারাবন্দির মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সিলেট ব্যুরো : সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) দেশের প্রথম কারাবন্দির মৃত্যু হয়েছে। রোববার করোনার উপসর্গ নিয়ে এক হত্যা মামলার আসামি মৃত্যু হয়।

    ওই বন্দির বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়। তিনি কানাইঘাট থানার একটি খুনের মামলায় গত দুই মাস ধরে কারাগারে ছিলেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান।

    তিনি জানান, রোববার করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে মারা যান। করোনার উপসর্গ থাকায় এদিন তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে ওসামানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়।

    সোমবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে।

    জানা গেছে, কানাইঘাট উপজেলায় একটি খুনের মামলায় গত ৫ মার্চ তাকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। গত ৮ মে তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাকে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন গত রোববার তিনি মারা যান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিশ্বের শীর্ষ ১০০ ভাষার তালিকায় চাটগাঁইয়া-সিলেটি

    বিশ্বের শীর্ষ ১০০ ভাষার তালিকায় চাটগাঁইয়া-সিলেটি

    সারা বিশ্বে সবেচেয়ে বেশি কথা বলা হয় যেসব ভাষায় সেগুলোর শীর্ষ ১০০টির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ভাষা।

    চিত্রের মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপনকারী ওয়েবসাইট ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

    শনিবার প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়, সর্বাধিক কথিত ১০০ ভাষার তালিকায় ১ কোটি ৩০ লাখ ভাষাভাষীর চাটগাঁইয়া ভাষার অবস্থান ৮৮ আর ১ কোটি ১৮ লাখ ভাষাভাষী নিয়ে সিলেটি ভাষার অবস্থান ৯৭তম।

    তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কথা বলা হয় ইংরেজি ভাষায়। প্রথম স্থানে থাকা এ ভাষায় কথা বলে ১১৩ কোটি মানুষ। দ্বিতীয় স্থানে মান্দারিন চাইনিজ ভাষায় কথা বলে ১১১ কোটি মানুষ। তৃতীয় স্থানে হিন্দিতে কথা বলে ৬১ কোটি মানুষ। চতুর্থ স্থানে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে ৫৩ কোটি মানুষ। এ তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে বাংলা ভাষা। সারা বিশ্বে প্রায় ২৬ কোটি মানুষ বাংলায় কথা বলে। এরপরই রয়েছে রাশিয়ান ও পর্তুগিজ ভাষা।

    বিশ্বের ৭ হাজার ১১১টি ভাষার মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহারকারী এই ১০০টি ভাষার তালিকা বানানো হয়েছে। বিশ্বের জনসংখ্যার হিসেব রাখা প্রতিষ্ঠান ইথনোলগ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে এ তালিকা তৈরি করতে।

    উল্লেখ্য,উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, চাঁটগাঁইয়া ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের ইন্দো-আর্য শাখার পূর্বাঞ্চলীয় ইন্দো-আর্যের উপশাখা বাংলা-অসমীয়ের সদস্য। ইন্দো-আর্যের হিন্দির সঙ্গে চাটগাঁইয়ার পরোক্ষ মিল রয়েছে।

    ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে, চাঁটগাঁইয়া পালি ভাষা থেকে এসেছে যা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের একটি কল্পিত পূর্বসূরী প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা এর উত্তরসূরী।

    প্রধানত বৃহত্তর চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দবানের মানুষেরা চাঁটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে।

    অন্যদিকে সিলেটি ভাষা বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে এবং ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় প্রচলিত একটি ইন্দো-আর্য ভাষা। এছাড়াও সিলেট বিভাগের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহ এবং ভারতের মেঘালয়, ত্রিপুরা, মণিপুর ও নাগাল্যান্ড রাজ্যের কিছু অংশেও ভাষার ব্যবহার রয়েছে।

  • মসজিদে টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ১৫ কিশোর

    মসজিদে টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ১৫ কিশোর

    মসজিদে জামাতের মাধ্যমে টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করায় ১৫ কিশোরকে পুরস্কৃত করেছে সিলেটের এক মসজিদ কমিটি।

    নিয়মিত নামাজ আদায়ের পুরস্কার হিসেবে এসব কিশোরদের প্রত্যেককে বাইসাইকেল দিয়েছেন তারা।

    এমন অভিনব কর্মসূচি পালন করেছে সিলেটে সৈয়দ হাতিম আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদ।

    শিশু কিশোরদের নামাজে আগ্রহী করতেই এই সাইকেল বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

    মঙ্গলবার বিকেলে ওই কিশোরদের পুরস্কার হিসেবে বাইসাইকেল দেয়া হয়।

    সৈয়দ হাতিম আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদ কমিটির সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় যেখানে ওই এলাকার ৩৩ জন শিশু-কিশোর অংশ নেয়। টানা ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে আদায় করতে সক্ষম হয় ১৫ কিশোর।

    মঙ্গলবার সেই ১৫ কিশোরকে অনুষ্ঠানিকভাবে বাইসাইকেল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তবে যারা টানা ৪০ দিন নামাজ আদায় করতে পারেনি তাদেরকেও নিরাশ করেনি আয়োজকরা। সেই ১৮ শিশু-কিশোরদের একটি করে জায়নামাজ প্রদান করেছেন তারা।

    এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তুরস্কের দেখাদেখি এমন প্রতিযোগিতার বিষয়ে ভাবনা হয় শিবগঞ্জের সৈয়দ হাতিম আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদ কমিটির। কমিটি ও তালীমুদ্দীন একাডেমির উদ্যোগে শিশু-কিশোরদের নামাজে উদ্বুদ্ধ করতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। এমন আয়োজন যেন দেশের সব মসজিদেই হয় সে আশা ব্যক্ত করেছেন তারা।

  • ডাউকি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত

    ডাউকি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত

    ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিক্ষোভ, সহিংসতা এবং কারফিউ জারির পর তামাবিল-ডাউকি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বিশেষ করে তামাবিল-ডাউকি শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশিদের যাতায়াত ও পণ্য রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের ইমিগ্রেশন।

    তামাবিল স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ বলেন, ডাউকি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে ঢুকতে দিচ্ছেন না সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। ফলে ভারতে বেড়াতে কিংবা ব্যবসার কাজে বাংলাদেশিদের যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কোনো পণ্য রফতানি হয়নি। তবে আমদানি অব্যাহত আছে।

    ডাউকি কাস্টমস কর্মকর্তা ডেকলিন রেনজা বলেন, কারফিউর কারণে শিলংয়ে হোটেল-দোকানপাট সব বন্ধ আছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হলে পর্যটকরা যেতে পারবেন।

    সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিক্ষোভ সহিংসতা, বিক্ষোভ এবং কারফিউ জারির পর এবার সিলেটের তামাবিল-মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিভাগ। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে বিক্ষোভ-সহিংসতা জেরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

    শুক্রবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণে যেতে চাইলে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। আবার ভারত থেকেও কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।

    তবে, এ বিষয়ে ভারতের ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন বিভাগকে অবহিত করা হয়নি।

  • চুনারুঘাটে বিএমডব্লিউ কার জব্দ

    চুনারুঘাটে বিএমডব্লিউ কার জব্দ

    হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের ভিতরে যেখানে নেই কোন পাকা রাস্তা, সেখান থেকেই গাজীউর রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়ী থেকে জব্দ করা হয়েছে বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ কার।

    আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে সিলেট শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে এই কার জব্দ করে।

    শনিবার সকালে গাড়ীটি শুল্ক বিভাগের হেফাজতে আনা হবে।

    সিলেট কাস্টম গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব জানান, আমরা গাড়ীটি সাময়িকভাবে জব্দ করে ইউপি মেম্বারের জিম্মায় রেখেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করেছি। শনিবার গাড়ীটি আমাদের জিম্মায় নিয়ে যাওয়া হবে। এর পর যদি এর মালিক বৈধ কাগজ দেখাতে পারেন তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় কাস্টমের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাড়ীটির মডেল থ্রি জিরো ডি বিএমডব্লিউ এক্স ৫। গাড়ীটি কার্নেট সুবিধায় বৃটেন থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল।

    চুনারুঘাট থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, তারা শুল্ক বিভাগকে সব ধরনের সহায়তা করবেন।

  • শ্রীমঙ্গলে ৩৮ বছর বেদখলে থাকা রেলওয়ের শতকোটি টাকার ভূমি উদ্ধার

    শ্রীমঙ্গলে ৩৮ বছর বেদখলে থাকা রেলওয়ের শতকোটি টাকার ভূমি উদ্ধার

    শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘ ৩৮ বছর পর শতকোটি টাকার ভূমি উদ্ধার করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

    বুধবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযানে রেল ও জেলা পুলিশের শতাধিক সদস্যের সহায়তায় ২টি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।

    এতে শহরের প্রভাবশালীদের দখলে থাকা ভানুগাছ সড়কের মুক্তিযোদ্ধা কৃষি নার্সারি প্রকল্প, পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট, গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম, ফার্নিচারের শো-রুম, সেলুন, চা পাতার দোকান, বাসাবাড়ি, ভ্যারাইটিজ ষ্টোর, ফার্মেসি, হার্ডওয়্যারের দোকান, ওয়ার্কশপ, ট্রান্সপোর্ট অফিসসহ শতাধিক পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার-ঢাকা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (রেল) মইনুদ্দিন আহমেদ, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা, জিআরপি শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আলমগীর হোসেন, রেলওয়ের কানুনগো ইকবাল মাহমুদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো শ্রীপদ এসময় উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন।

    সরেজমিন দেখা গেছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযানে রেলের ২৮৭ শতক জমির উপর বিভিন্ন স্থাপনা সম্পূর্ণ গুড়িয়ে রেলের এসব সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়। এসময় ভানুগাছ সড়কের উত্তর-পূর্ব দিক এক প্রকার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এর আগে সকালে শহরের এই অংশের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদকালে দ্রুত মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। ভ্যান রিক্সা ট্রাকযোগে মালামাল সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ীরা। এসময় উচ্ছেদ অভিযান দেখতে ভানুগাছ সড়কে বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা ভীর করেন। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

    জানা যায়, গত ৩৮ বছর ধরে অবৈধ দখলে ছিল রেলের শতকোটি টাকার ভূমি। এর আগে কয়েকদফা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও উদ্ধার করা যায়নি ভূমি। বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন শ্রীমঙ্গল স্টেশন এলাকার ভানুগাছ রোডের পূর্বপাশ সংলগ্ন রূপশপুর মৌজায় জেএল নং ৬৭, খতিয়ান নং-৩, এসএ দাগ-১৭৬১’এ ২৮৭ শতক ভূমি রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একাংশের নাম ভাঙ্গিয়ে এক শ্রেণীর দখলদার শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকায় ‘কৃষি নার্সারি প্রকল্প’র নামে ১৩৫ শতক ভূমি দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এছাড়া শহরের শতাধিক প্রভাবশালী একই দাগের ১৫২ শতক ভূমি দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন শতাধিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

    সূত্র মতে, এই ১৫২ শতক ভূমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। এতে সরকার এখাত থেকে বছরে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।

    একটি সূত্র জানায়, সরকারী রাজস্ব বাড়াতে ১৯৮১ সালে টেন্ডারের মাধ্যমে এসব জমিতে ১৮২টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। সে সময় হানিফ ও অপরাপর দখলদারদের করা একটি স্বত্ব মামলার জটিলতায় রেল বিভাগ সেসব প্লটের দখল বুঝিয়ে দিতে পারেনি।

    অভিযোগ রয়েছে, দখলদাররা রেলের আইন ও সংশ্লিষ্ট শাখার এক শ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া ও জাল দলিল সৃষ্টি করে ভূমি দখলে নিতে একের পর এক স্বত্ব মামলা করে। এরই মধ্যে এসব মামলা উচ্চ আদালত কর্তৃক খারিজ হয়। ফলে উচ্চ আদালতের রেলের পক্ষে রায় থাকা সত্বেও দখল ধরে রাখতে সামর্থ্য হয়েছিল প্রভাবশালীরা।

    জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধা কৃষি নার্সারি প্রকল্পসহ অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রেল বিভাগ এক অভিযান চালায়। এসময় দখলদাররা মুক্তিযোদ্ধা ব্যানার ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সামনে নিয়ে সেই অভিযানে বাঁধা দেয়। বাঁধার মুখে পড়ে রেল বিভাগ অভিযান স্থগিত করে চলে যায়।

    শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, এখানে সাধারণ ব্যবসায়ীরা দোকানকোটা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেছে। প্রতিটি দোকানে লাখ লাখ টাকার পণ্য আছে। এখানে প্রায় তিন চারশত কোটি টাকার মালামাল ও স্থাপনা ভাঙ্গা হয়েছে। এতে সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করবো ব্যবসায়ীদের যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এই ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লোন নিয়ে ব্যবসা করতেছে। তারা এখন যাবে কোথায়। হঠাৎ করে এ উচ্ছেদ করার ফলে ব্যবসায়ীরা পথে বসে গেছে।

    উচ্ছেদ অভিযানের ব্যাপারে রেলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে রেলের এই ভূমি উদ্ধার করে রাস্তা প্রশস্ত করা ও বাকি ভূমি লিজের আওতায় আনা হবে। ২০১৬ সালের ব্যর্থ উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে অতীতের অনেক ঘটনা আছে, আজকের এই উচ্ছেদের মাধ্যমে আমরা কলঙ্কমুক্ত হতে পারবো।

    তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে রেল লাইন থেকে ৫’শ ফুট পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করা আছে। গত পঞ্চাশ বছর ধরে প্রভাবশালীরা রেলের অনেক ভূমি দখলে নিয়ে রাখে। বর্তমান সরকার ভূমিগুলো দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করার কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই উচ্ছেদ অভিযান। এই উচ্ছেদটি রেল লাইন থেকে ৫ শত ফুট পর্যন্ত প্রায় ৫ একর জমি হবে তার মধ্যে প্রায় ৩ শতাধিক দোকানপাট হবে। আজকে আমরা প্রথম দিনের মতো উচ্ছেদ করেছি। আগামী দুই দিনে আমরা সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারবো। এরপর আগামী মাসে আমরা আবার এখানে ফিরে আসবো। আমরা চেষ্টা করবো এই জমিটি বাণিজ্যিকভাবে লিজ দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি।

  • কোম্পানীগঞ্জ কলাবাড়ী সড়কের বেহাল দশা বাড়াচ্ছে ভোগান্তি

    কোম্পানীগঞ্জ কলাবাড়ী সড়কের বেহাল দশা বাড়াচ্ছে ভোগান্তি

    শহীদুর রহমান জুয়েল : সংস্কারের অভাবে বেহাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ হতে শাহ আরপিন এবং ভোলাগঞ্জ হতে দয়ার বাজার দীর্ঘ ৭ কিলোমিটার রাস্তাটির চরম বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটিতে হরহামেশাই ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা।

    কলাবাড়ী সড়কে রয়েছে- কলাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কলাবাড়ী হাই স্কুল,কলাবাড়ী মহিলা মাদ্রাসা,মহজুলউল্লুম কলাবাড়ী মাদ্রাসা এতিমখানা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয় সহ আর অনেক স্কুল মাদ্রাসা।

    গোটা রাস্তায় পিচের আস্তরণ উঠে অংসখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক বর্ষণে ওই সব গর্তে জল জমে প্রায় ডোবায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যাতায়াত করাই দুষ্কর এই রাস্তা দিয়ে কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। চলে অংসখ্য ট্রেকার, বাস ও মিনিবাস।

    একজন স্থায়ী বাসিন্দা জানান,কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে এই রাস্তায় যাতায়াতকারী সকল মানুষ জিম্মি হয়ে আছে।তারা ব্যবসায়িক গাড়ি চালাবে ভালো কথা এজন্য তারা বিকল্প রাস্তা বানাতে পারত অথবা যাত্রী পরিবহনের জন্য আলাদা রাস্তা তৈরি করে দিতে পারত।কিন্তু বিষয়টা এমন দাড়িয়েছে যে সাধারণ মানুষগুলো বাচুক বা মরুক তাদের কোনোকিছু যায় আসেনা, তাদের পকেট ভারি করাই আসল বিষয়।

    কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ নূরজামান জানান, রাস্তায় অসংখ্য গর্ত বেশ কয়েকটি প্রাথমিক,উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা স্কুল ছাএ ছাএী এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয় এই রাস্তা উপরই নির্ভর করে লাখ বাসিন্দার জীবন আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

    কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ মাসুক মিয়া জানান,সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে এসব সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আবার রোদের সময় ধুলাবালুর কারণে চোখ-মুখ বন্ধ করে চলতে হয়। এসব রাস্তায় এখন জনগনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

  • বিএনপি থেকে মেয়র আরিফুলের পদত্যাগ

    বিএনপি থেকে মেয়র আরিফুলের পদত্যাগ

    সিলেটে যুবদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ তিনজন।

    রবিবার সকালে, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মেয়র আরিফুল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহরিয়ার।

    সবশেষ ২০০০ সালে সিলেটের যুবদলের নেতৃত্ব নির্বাচিত হয় কাউন্সিলের মাধ্যমে। দুই দশকের পুরনো কমিটি ভেঙ্গে গঠন করা হয় জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি। কারো মতামত না নিয়ে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি মেয়র আরিফুল চৌধুরীসহ দলের বেশকিছু সিনিয়র নেতা।

    বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয় তাদের পদত্যাগের হুমকির খবরও। সমস্যা সমাধানে কেন্দ্র উদ্যোগ না নিলে গণপদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন সদ্যবিদায়ী কমিটির নেতাকর্মীরা।