Category: সিলেট

  • বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেটের ৫৩৬ কিলোমিটার সড়ক

    বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেটের ৫৩৬ কিলোমিটার সড়ক

    সিলেট প্রতিনিধিঃ বন্যার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সিলেট জেলা শহরের সাথে সদর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেটের ৫৩৬ কিলোমিটার সড়ক। এর মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন সিলেট জেলার ১০টি উপজেলার ৬৬টি সড়কে ২৩০ কিলোমিটার। সড়ক ও জনপথ সিলেটের আওতাধীন ৮টি সড়কে ৫৫ কিলোমিটার বন্যা প্লাবিত হয়েছে। এসব রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিলেট জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের আঞ্চলিক সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানও ভেঙ্গে গেছে।

    সিসিক সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরের ৫০০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডের প্রায় ২৫০ কিলোমিটার সড়কে বন্যার পানি উঠে গেছে। এসব সড়কের অনেক স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

    সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারি-গোয়াইনঘাট ২য় থেকে ১৬তম কিলোমিটার পর্যন্ত ১২ দশমিক ৪০০ কিলোমিটার সড়ক ১ থেকে সাড়ে ৪ ফুট উচ্চতার পানির নিচে তলিয়ে যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

    সিলেট-তামাবিল-জাফলং সড়ক ১ দশমিক ২০ কিলোমিটার ১ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। কানাইঘাটের দরবস্ত-কানাইঘাট-শাহবাগ সড়ক ৭ থেকে ২৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ১ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ৩য় থেকে ৫ম এবং ৮ থেকে ১৩তম কিলোমিটার পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটারে ১ থেকে ২ ফুট পানি উঠেছে। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর-লামাকাজি সড়ক ১৫ থেকে ১৭ তম কিলোমিটার পর্যন্ত ২ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ২ থেকে ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ-ছাতক সড়ক ১ থেকে ১২তম কিলোমিটার পর্যন্ত ১০ দশমিক ২৫ পর্যন্ত ১০ দশমিক ২৫ কিলোমিটারে ১ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় পানিতে তলিয়ে গিয়ে যান চলাবল বন্ধ রয়েছে। শেওলা সুতারকান্দি সড়কে ১ থেকে ৪র্থ কিলোমিটার পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ৫ থেকে ১ ফুট পর্যন্ত পানি উঠে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিমানবন্দর-বাদাঘাট-কুমারগাঁও (টুকেরবাজার) সড়কে ৫ থেকে ৯, ১১ ও ১২তম কিলোমিটারের মধ্যে ১ থেকে সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত পানি উঠে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

    এলজিইডি সিলেট সূত্রে জানা যায়, বন্যা কবলিত জেলার গোয়াইনঘাটে ২৭টি সড়কে ৮২ দশমিক ১৩ কিলোমিটার, কানাইঘাটে ১৫টি সড়কে ৩০ দশমিক ৫ কিলোমিটার, জৈন্তাপুর উপজেলার ১১টি সড়কের ৩২ দশমিক ১ কিলোমিটার, সিলেট সদরের ১২টি সড়কে ২১ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার, গোলাপগঞ্জে ১০টি সড়কে ২২ দশমিক ৩ কিলোমিটার, কোম্পানীগঞ্জে ৪টি সড়কে ৩৪ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার, দক্ষিণ সুরমার ৪টি সড়কে সাড়ে ৩ কিলোমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ১টি সড়কের দেড় কিলোমিটার, ওসমানীনগর উপজেলায় ১টি সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার, বালাগঞ্জে ১টি সড়কে দেড় কিলোমিটার। টাকার অংকে পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরিমাণ ১৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

    সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, সিসিক এলাকার ৫০০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডের প্রায় আড়াইশ’ কিলোমিটার সড়কে বন্যার পানি উঠে গেছে। এসব সড়কের অনেক স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল কবীর বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন সিলেট জেলার ১০টি উপজেলার ৬৬টি সড়কে ২৩০ কিলোমিটার পানিতে তলিয়ে জেলা ও উপজেলা সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। টাকার অংকে পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পরিমাণ ১৭২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

    সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৫৫ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে অনেক স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

  • ই-বিজনেজ দক্ষতা অর্জনে আমাদের কাজ করে যেতে হবে সিসিক মেয়র

    ই-বিজনেজ দক্ষতা অর্জনে আমাদের কাজ করে যেতে হবে সিসিক মেয়র

    অনলাইন ক্রস-বর্ডার সুবিধার মাধ্যমে জাতীয় গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে
    ই-বিজনেজ দক্ষতা অর্জনে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।শুধু মাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নির্ভর না করে নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে ব্যবসাকে টেকসই করতে হবে। আমরা যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম বানিয়ে না ফেলি।

    বাংলাদেশ অনলাইন এন্টারপ্রিনিয়ার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনার ও ওয়ার্কশপে বক্তারা এ
    অভিমত ব্যক্ত করেন।বাংলাদেশ অনলাইন এন্টারপ্রিনিয়ার্স এসোসিয়েশন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোস্তারী মোরশেদ স্মৃতির সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর মির্জা জঙ্গল রোডস্থ হোটেল নির্ভানা ইন এর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি ও এফবিসিসিআই
    এর পরিচালক তাহমিন আহমেদ, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর জাকির
    হোসেন, প্রফেসর ডক্টর মনিরুল ইসলাম, সিলেট জেলা যুবলীগ এর সভাপতি শামিম আহমেদ।সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বর্তমান সিলেট এর তরুন উদ্যোগতারা যেভাবে কাজ করছেন সেটা খুবই প্রসংসনীয়। বাংলাদেশ অনলাইন এন্টারপ্রিনিয়ার্স এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে এই সেশন তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রানিত করবে।বাংলাদেশ অনলাইন এন্টারপ্রিনিয়ার্স এসোসিয়েশন সদস্য আর এস রীমা এর সনচালনায় ডিসকাশন ও

    প্রশ্নোত্তর পর্বে আরো আখতারুজ্জামান মিঠু, জাহিদুল আলম শাহ, ইফতেখার আবেদিন চৌধুরী,
    গোফরান উদ্দিন, আখতার মাহমুদ পারভেজ সহ আরো অনেকে। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সেভ
    সিলেট এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আয়ান মমিনুল হক।বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার এর ইশতেহার অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ এর বিনির্মানে
    সরকার টেকসই ই-বিজনেজ এর ক্ষেত্রে তরুণ উদ্যোগক্তাদের বিভিন্ন প্রনোদনার মাধ্যমে সহযোগিতা
    করছে যার সুফল এরই মধ্যে উদ্যোক্তারা পেতে শুরু করেছে।

  • ইউএসএনের সিলেট বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়কারী হলেন রোটারিয়ান রায়হানা বেগম চৌধুরী

    ইউএসএনের সিলেট বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়কারী হলেন রোটারিয়ান রায়হানা বেগম চৌধুরী

    জাতীয় মানবাধিকার পরিবেশবাদী, সমাজ উন্নয়ন মূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন United Social Network- USN সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষে প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো.মুজিব উল্ল্যাহ চৌধুরী তুষার সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারী ২২) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক – (ইউএসএন) সিলেট বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়কারী করা হয় রোটারিয়ান রায়হানা বেগম চৌধুরীকে।

    নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত বিপর্যয় ও দেশের কল্যাণে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বাড়ানোর মধ্যদিয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য অংগীকারবদ্ধ হওয়া। সমাজের অবহেলিত মানুষগগুলোকে সঠিক রাস্তা দেখানোই United Social Network USN’র প্রথম কাজ। একতাবদ্ধ হয়ে দেশ ও সমাজের অসংগতি নিয়ে কাজ করা। মানবাধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য স্যানিটেশন,পরিবেশ ও জলবায়ু, ভূমি, হাঙ্গার,অভিবাসন নিয়ে কাজ করা, সচেতন করা। মানুষের পাশে থেকে মানুষের দু:খ দুর্দশা সুবিধা অসুবিধা সরকারের নজরে এনে কাজ করতে এগিয়ে যাওয়া জন্য প্রধান সমন্বয়কারী করা হয়।

    এন-কে

  • ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক-ইউএসএন সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

    ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক-ইউএসএন সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

    জাতীয় মানবাধিকার পরিবেশবাদী, সমাজ উন্নয়ন মূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন United Social Network- USN সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষে প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মো.মুজিব উল্ল্যাহ চৌধুরী তুষার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক – (ইউএসএন) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারী ২২) আশরাফুল আহমদকে সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী,সামিয়া আক্তার লিনাকে যুগ্ম সমন্বয়কারী করে ১১(এগার) সদস্য বিশিষ্ট সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন :ইমরান আলি সিলেট জেলা, এম.এ আলী সিলেট মহানগর ,শাহাদাৎ মাহমুদ শ্রাবণ সুনামগঞ্জ জেলা,আব্দুল কুদ্দুস মৌলভী বাজার জেলা,ফয়সাল আহমদ হবিগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী করা হয়েছে। সম্মানিত সদস্য করা হয়, এস.কে নাঈমুল ইসলাম,মো. আআব্দুল্লাহ (রনি),লুবনা আক্তার লিসাকে।এছাড়া ইমরানুল ইমাকে ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক-ইউএসএন এর শুভেচ্ছা দ্রুত করা হয়।

    নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত বিপর্যয় ও দেশের কল্যাণে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বাড়ানোর মধ্যদিয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য অংগীকারবদ্ধ হওয়া। সমাজের অবহেলিত মানুষগগুলোকে সঠিক রাস্তা দেখানোই United Social Network USN’র প্রথম কাজ। একতাবদ্ধ হয়ে দেশ ও সমাজের অসংগতি নিয়ে কাজ করা। মানবাধিকার, শিক্ষা স্বাস্থ্য স্যানিটেশন,পরিবেশ ও জলবায়ু, ভূমি, হাঙ্গার,অভিবাসন নিয়ে কাজ করা, সচেতন করা। মানুষের পাশে থেকে মানুষের দু:খ দুর্দশা সুবিধা অসুবিধা সরকারের নজরে এনে কাজ করতে এগিয়ে যাওয়া জন্য সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

  • কাফনের কাপড় পরে শাবি শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল

    কাফনের কাপড় পরে শাবি শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল

    উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মিছিল করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ক্যাম্পাসের গোলচত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চেতনা একাত্তর হয়ে পুনরায় গোলচত্বরে শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, চলমান আমরণ অনশনের আজ চতুর্থ দিন। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। এখনো উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনে আছেন ৭ জন। এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর দিকে গেলেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

    এ কারণেই তারা বাধ্য হয়ে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের এক দাবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাণ দিয়ে দেবে তবু আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না। ইতোমধ্যে অনশনরত অনেক শিক্ষার্থী মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তবু তারা অনশন ভঙ্গ করেননি। শাবির পরিস্থিতি এবং তাদের দাবির কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদের কাছে চিঠি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তারা এই সমস্যা সমাধানের আবেদন জানাচ্ছেন।

  • সিলেটের সড়কে তৎপর মোটরসাইকেল ছিনতাই কারীচক্র

    সিলেটের সড়কে তৎপর মোটরসাইকেল ছিনতাই কারীচক্র

    সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে মোটরসাইকেল ছিনতাইকারীচক্র তৎপর রয়েছে। মোগলাবাজার থানাধীন হাজীগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত এ চক্রটি মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের স্পট হিসেবে ব্যবহার করছে। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার হাজীগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুরের শেষ সীমানার নির্জন স্থানগুলো তাদের টার্গেট। গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে ওই এলাকায় মোটরসাইকেল রাইডার হত্যাকাÐের ঘটনায় এখনো অনেকে আতষ্কে আছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ সুরমার হাজীগঞ্জ বাজার থেকে ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুর বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার যেন অপরাধীদের ‘সেফ জোন’। জনমানব শূন্য এই সড়কে হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপরাধ নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে।

    গত সোমবার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মহিদপুর গ্রামে সিলেট-মৌলভীবাজার সড়কের পাশে নির্জন এলাকার একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

    এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সেই অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পায়নি পুলিশ। এলাকার সচেতন অনেকে ধারণা করছেন, অজ্ঞাত উদ্ধারকৃত লাশ হয়তো কোনো মোটরসাইকেল রাইডারের। আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর বয়সের লাশটির পরনে ছিল লাল ও কালো রঙের জ্যাকেট এবং একটি কালো রঙের প্যান্ট।

    জ্যাকেটের মাঝখানে যার মধ্যে ইংরেজিতে লেখা (উঊঅণঐ অউউঊজঝ গঘডকঅ)। শীতের মধ্যে এই রকম জ্যাকেট সাধারণত মোটরসাইকেল আরোহী ও রাইডাররা পরে থাকেন। গত বছরের ৯ এপ্রিল মাসে এ সড়কের মোগলাবাজার এলাকার গফুরের বাঁধ এলাকার যাত্রী ছাউনির ভেতরে মোটরসাইকেল রাইডার রাজুকে মৃত ভেবে ফেলে গিয়েছিল ছিনতাইকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

    রাজুর স্বজনরা জানিয়েছিলেন, গত ৮এপ্রিল মোটরবাইক নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি রাজু। পরদিন সকাল পৌনে ৮টার দিকে মোগলাবাজার থানার গফুররগাঁও এলাকার একটি যাত্রী ছাউনি থেকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। গত ১১ মে হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে মোটরবাইকার রেদোয়ান রশিদ চৌধুরীকেও ওই যাত্রী ছাউনির সামনে নিয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে ছাউনির পেছনে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করে লাশ কচুরিপনাযুক্ত কাঁদা পানির ডোবায় ফেলে বাইক নিয়ে চলে যায় ছিনতাইকারী। নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান চালিয়ে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার হাজীগঞ্জ মুহাম্মদপুর এলাকার একটি ডোবা থেকে ঈদের আগের দিন উবার চালক রেদওয়ান রশীদ চৌধুরী সৌরভের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    একই এলাকায় পরপর দুটি ঘটনায় টনক নড়ে মোগলাবাজার থানা পুলিশের। নানা প্রযুক্তি ও সোর্স মারফড়ত বছরের মে মাসে সিলেট নগরের কদমতলী এলাকা থেকে মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের সদস্য মজিবুর রহমানকে আটক করে। সে এক হোটেলের কর্মচারী। আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মোটরবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মজিবুর রহমান। ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনা সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য দেয়। তার দেয়া তথ্য মতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এনাম আহমদকেও গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশ একেক করে জুয়েলুর রহমান ও শামসুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

    পুলিশ জানায়, ছিনতাই চক্রের সদস্য এনাম আহমদ নগরের হুমায়ুন রশিদ চত্ত¡র হতে মোটরবাইকার গোলাম কিবরিয়া রাজুকে মোটরসাইকেল ভাড়ায় নিয়ে মোগলাবাজারের মোহাম্মদপুর গফুরের বাঁধ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পাশে যাত্রী ছাউনির সামনে মোটরসাইকেল থামিয়ে তাকে যাত্রী ছাউনির পেছনে নিয়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মারা গেছে ভেবে ডোবায় ফেলে রেখে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। রাইডারদের টার্গেট করে গড়ে উঠেছিলো তাদের একটি ছিনতাই সিন্ডিকেট। তারা শহর থেকে রাইডারদের ভাড়ায় নিয়ে যেতো শহরতলীর নির্জন স্থানে। সেখানে খুন করে নিয়ে যায় মোটরসাইকেল।

    ফেঞ্চুগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ বলেন, গত সপ্তাহে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে উদ্ধারকৃত লাশটির এখনো পর্যন্ত কোনো ওয়ারিশের খোঁজ না পাওয়ায় বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।

    এন-কে

  • সিলেটে স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু

    সিলেটে স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু

    সিলেটে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার সিলেট নগরের চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকাদান এ কর্মসূচির উদ্ভোধন করা হয়। এদিন চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬০০ শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণ করেন। এছাড়া সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলায় আগামী শনি ও রবিবার থেকে টিকাদান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিভাগের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থীর তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেটের মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবীর জানান, শুধু সিলেট জেলা থেকে এক লাখ ৭০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থীর তথ্য পাঠানো হয়েছে। যাদের জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিটে নেই তারাও বিশেষ বিবেচনায় টিকা নিতে পারবে। তবে টিকার সনদ পেতে গেলে পরবর্তীতে ১৭ ডিজিটের নিবন্ধন আপডেট করতে হবে।

    সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, পর্যায়ক্রমে তালিকায় থাকা সবাই টিকা পাবে। প্রথম দিন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বøু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও পুলিশ লাইন্স উচ্চ বিদ্যালয় বুথে টিকা দেওয়া হবে। এর আগে বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিকে সাড়ে ৬ লাখ শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন।

    এর আগে গত ১৪ অক্টোবর ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ১২০ স্কুল শিক্ষার্থীর মধ্যে ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) গত ১৭ অক্টোবর মাধ্যমিকের স্কুল শিক্ষার্থীদের তথ্য চায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১২-১৭ বছরের মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ লাখের তথ্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে সিলেট জেলা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থীর তথ্য পাঠানো হয়।

    সিলেট জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, তথ্য পাঠালেও এসব শিক্ষার্থীকে তখন ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। শিক্ষার্থীদের ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এজন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকতে হয়। কিন্তু সিলেটের স্কুলগুলোতে এই ব্যবস্থা না থাকায় ভ্যাকসিন দেওয়ার গতি পায়নি। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করতে গিয়েও সমস্যায় পড়ে। কেননা, অনেক শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদই অনলাইনে ছিল না। সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী সোমবার সিলেট নগরের চারটি প্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া জন্ম নিবন্ধন সনদের বাধ্যবাধকতাও এখন তুলে দেওয়া হয়েছে। এচারটি স্কুলে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, একটি বুথে প্রত্যেক ৩০০ জন টিকা দিতে পারবে। এভাবে ৪টি কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ৩০০ জন করে টিকা দিতে পারবে।

    সিলেট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় দিতে হয়। বেশির ভাগ স্কুলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ নেই। আপাতত মহানগরীর চারটি স্কুলে ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। অন্যান্য স্কুলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ প্রস্তুতর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে সেগুলোতেও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

    এন-কে

  • অস্তিত্বহীন ফাজিলপুর ঘাটের ইজারা নিয়ে জনমনে অসন্তোষ বছরে মোটা অংকের চাঁদা আদায়

    অস্তিত্বহীন ফাজিলপুর ঘাটের ইজারা নিয়ে জনমনে অসন্তোষ বছরে মোটা অংকের চাঁদা আদায়

    তাহেরপুর  থেকে ফিরে ঘাটের কোনো অস্তিত্ব নেই, তবে আছে ইজারা। এলাকাবাসি জানান গত ২০ বছর আগে ছিল তাহিরপুরের রক্তি নদীর তীরে ফাজিলপুর খেয়া ঘাটটি। তবে এখনও আছে কাগজে-কলমে, যার কারণে ইজারা দেওয়া হয়। এ অস্তিত্বহীন ঘাটের ইজারা বাতিল করতে বিগত বছরে একাধিকবার মানববন্ধনও করেছেন এলাকাবাসি। তবে এখনও বাতিল হয়নি অস্তিত্বহীন ঘাটের ইজারা। কোনো প্রকার রশিদ ছাড়াই নৌকা থেকে আদায় করা হয় টাকা ,স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ ঘাটে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫০টি নৌকা থেকে গড়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয় চাঁদা। এ হিসেবে প্রতি বছরে চাঁদা ওঠে কমপক্ষে ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ চাঁদাবাজির বৈধতা পেতে নেওয়া হয় অস্তিত্বহীন ঘাটের ইজারা। আর ইজারা নেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা মিলে। এ ঘাটে এখন আর কেউ স্বেচ্ছায় নৌকা ভেড়ান না, কিন্তু জোর করে নৌকা ভেড়াতে বাধ্য করা হয়। না হলে মাঝনদীতে নৌকা আটকে রাখা হয়। আর এভাবেই এখানে নৌকা ঘাটের নামে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। বর্তমানে যাদুকাটা নদীর লাউড়েরগড় মহাল থেকে বালু ও পাথর বোঝাই করে নৌযান ফাজিলপুর দিয়ে চলাচল করছে।জানা যায়- চলতি বাংলা সালের জন্য ৩১ লাখ টাকায় অস্তিত্বহীন ঘাটের ইজারা নিয়েছেন উজান তাহিরপুর গ্রামের মৃত আলী নুরের ছেলে মঈনুল হক। তার সঙ্গে আরো ৭ জন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা জড়িত, আছেন বিএনপির কর্মীও। আর এদের পিছনে রয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও এক সাংগঠনিক সম্পাদক। গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রক্তি নদীর পশ্চিম পাড় ফাজিলপুর আর পূর্ব পাড় বড়খলা। বর্তমানে টোল আদায় করা হচ্ছে বড়খলা থেকে। তবে পশ্চিম পাড়ে ঘাটের কোনো অস্তিত্ব নেই। সেই সাথে এ ঘাটের নৌকা ভিড়ানোর কোনো ধরনের প্রয়োজনীয়তা চোখে পড়েনি।

    এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ নদী দিয়ে চলাচলকারী একাধিক নৌকা মালিক ও শ্রমিকেরা জানান, ফাজিলপুরে তাদের নৌকা কোনো কারণেই ভিড়াতে হয় না। তবে মাঝনদীতে বালু-পাথর বোঝাই নৌকা আটকিয়ে টাকা আদায় করা হয়। টাকা না দিলে নৌকা আটক করে রাখে ইজারাদারের লোকজন। এসময় তারা খারাপ ভাষায় গালাগলি ও মারধর করে। স্থানীয় বালুপাথর ব্যবসায়ী নজির আহমদ জানান, এ নদীতে চলতি নৌকা থেকে টাকা আদায় করা অবৈধ। নৌকা ঘাটে ভিড়ায়ে মাল লোড-আনলোড করলে টাকা আদায় করা বৈধ। তবে অনেক বছর আগে ফাজিলপুরে লোড-আনলোড হতো, কিন্তু দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এখানে নৌকা থেকে বালুপাথর লোড-আনলোড হয় না। একটি নৌকাও ফাজিলপুরে ভিড়ানোর প্রয়োজন পড়ে না।এ নদী দিয়ে চলাচলকারী বেশির ভাগ বড় নৌকা বাজিতপুর নৌপরিবহন বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের। এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, নৌকা মালিক শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছি এ চাঁদাবাজি বন্ধ করতে, কিন্তু এলাকার স্থানীয় কয়েকজন লোকের কারণে বন্ধ হচ্ছে না। অচিরেই আমরা এ চাঁদাবাজি বন্ধের আন্দোলনে নামবো। এ ঘাটটি বন্ধ করলে নৌযান চালক ও মালিকরা স্বস্তি পাবে।ফাজিলপুর-আনোয়ারপুর ক্রাশার মিল শ্রমিক সর্দার সমবায় সমিতির সভাপতি ফেরদৌস আলম বলেন, এই ঘাটের ইজারার প্রয়োজনীয়তা গত ২০বছর আগে ছিল। এখন অস্তিত্বহীন ঘাটের ইজারা দেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এখানে ইচ্ছে মতো বালুপাথর বোঝাই নৌকা থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। চলন্ত নৌকা থামিয়ে টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি চলে। কোনো প্রকার রশিদ ছাড়াই তারা এ চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।যাদুকাটা নৌযান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক মিয়া বলেন, এ ঘাটটি উঠে গেলে এ নদী দিয়ে চলাচলকারী নৌকা ও শ্রমিকদের জন্য ভালো হয়। প্রতিদিন বড় ও মাঝারি মিলে প্রায় দেড় শতাধিক নৌকা প্রতিদিন এই নদী দিয়ে চলাচল করে।

    ইজারাদার মঈনুল হক বলেন, বৈধ ইজারাদার হিসেবে টোল আদায় করছি। রশিদ দিয়েই টাকা নেওয়া হচ্ছে নৌকা থেকে। উপজেলা প্রশাসন আমাদের বৈধ ইজারা দিয়েছে। তবে মাঝনদীতে বালু-পাথর বোঝাই নৌকা আটকিয়ে টাকা আদায় করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সব প্রক্রিয়া মেনে ফাজিলপুর নৌকাঘাট হিসেবে এটি ইজারা হচ্ছে। এ নৌকাঘাটে নৌকা ভেড়ালে টোল আদায় করা যাবে। নৌকা না ভিড়ালে টোল আদায় করার কোনো নিয়ম নেই। অতিরিক্ত টোল আদায় বা ইজারার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট বিভাগে চলছে পরিবহণ ধর্মঘট

    পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট বিভাগে চলছে পরিবহণ ধর্মঘট

    শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি বন্ধ, মেয়াদোত্তীর্ণ সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে সিলেট বিভাগের চার জেলায় একযোগে পরিবহণ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

    সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে আজ সোমবার ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এ পরিবহণ ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটের কারণে আন্তজেলা বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

    সকাল থেকে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন শ্রমিকেরা। দাবি আদায়ের জন্য বাসসহ সব ধরনের দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রেখেছেন তারা। কিছু কিছু জায়গায় শ্রমিকদের রাস্তায় নেমে পিকেটিং করতেও দেখা গেছে। ধর্মঘটের কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

    সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সেজাউল করিম বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবি আদায়ের জন্য সুনামগঞ্জে সোমবার ভোর থেকে ধর্মঘট চলছে। শ্রমিকদের দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।’

    এন-কে

  • দেড় বছর পর খুলেছে শাবির আবাসিক হল ফুল আর চকলেট দিয়ে শিক্ষার্থী বরণ সিলেট

    দেড় বছর পর খুলেছে শাবির আবাসিক হল ফুল আর চকলেট দিয়ে শিক্ষার্থী বরণ সিলেট

    দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। গত সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নেয় হল কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাস। এদিকে সকাল ১০টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে  শিক্ষার্থীদের আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হলে তোলা হবে। এদিন সকালে কয়েকটি আবাসিক হলে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা লাইন ধরে হলে ঢুকছেন। ফটকের ভেতর হল প্রভোস্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র আছে কি না, তা যাচাই করে দেখছেন। সকাল থেকেই রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন উপায়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসেন, সঙ্গে আছে ট্রাংক, বাক্স ও ব্যাগে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র। প্রতিটি হলের সামনে সকাল ১০টার আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করে। প্রতিটি হলে বসানো হয়েছে হাত ধোয়ার বেসিন। হলের দেয়ালগুলো চুনকাম ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজও শেষ হয়েছে।
    বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাতকোত্তরের শিক্ষার্থী তাসনিম জেরিন বলেন, ‘এতদিন পর হল খুলে দিয়েছে, কতটা ভালো লাগছে বলে প্রকাশ করা যাবে না। ক্যাম্পাস লাইফটা অনেক মিস করেছি। আশা করছি পড়াশোনার যে ঘাটতিটা হয়েছে, সেটি আমরা দ্রæতই পুষিয়ে উঠতে পারবো।’
    বিশ্ববিদ্যালয় শাহপরান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, আমাদের জন্য খুব আনন্দের দিন। অনেকটা মনে হচ্ছে যেন ঈদের দিনের মতো। দীর্ঘদিন পর শাবিপ্রবির সব হল খুলে দেওয়া হয়েছে। এরই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আমরা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দিতে ফুল, মাস্ক ও চকলেট দিয়ে বরণ করেছি।

  • দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গোৎসব সিলেটের ৬০৫ মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গোৎসব সিলেটের ৬০৫ মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    আর কয়েকদিন পরই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। তাই চোখে ঘুম নেই, প্রতিমা কারিগরদের। চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ।শুরু হয়েছে দেবীপক্ষের গণনা। এদিকে এবার সিলেটে ৬০৫টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। ধরণীর শক্ত মাটি নরম করে তাতে খড়, বাঁশ, রশি দিয়ে নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে প্রতিমার অবয়ব। গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে সিলেট নগরে দেখা গেছে- মাটির কাজ শেষ করে এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। রঙের আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নানা সাজে। রঙ, পোশাক আর গহনা দিয়ে সাজানো হচ্ছে দেবীকে। দেবী দুর্গার সাথে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে কার্তিক, গণেশ, লক্ষী আর সরস্বতী দেবীকেও। যেন দম ফেলার সময় নেই মৃৎশিল্পীদেও, পুরুষদের কাজে সাহায্য করছে বাড়ির নারীরাও। গত বছর পূজার উৎসবে ছেদ পড়লেও এবার করোনা সংক্রমণ কমে আসায় সিলেটের পূজা মণ্ডপগুলো আবার ফিরে পাচ্ছে পূজার সেই রঙ।

    উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার পাশাপাশি সিলেট নগরের মণ্ডপগুলোকে প্রতি বছর নতুন নতুন সাজে সাজানোর ব্যাপক প্রস্তুতি চোখে পড়েছে। এবার দেবী দুর্গা আসছেন ঘোড়ায় চড়ে, যাবেন পালকিতে চড়ে। আগামী রবিবার মহাপঞ্চমীর মধ্যে দিয়ে শারদ উৎসব শুরু হবে। শারদ উৎসব উপলক্ষে সিলেট নগরের বিপনী বিতান গুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সনাতন ধর্মের ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। সনাতন ধর্মের লোকজন নতুন পোশাক ক্রয় করতে এ মার্কেট ওমাকের্টে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এবার সিলেট জেলায় ৬০৫টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে সার্বজনীন ৫০টি, পারিবারিক ১৫ টি পূজোর আয়োজন হবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সার্বজনীন ৫০টি ও পারিবারিক ১৫টি পূজো অনুষ্ঠিত হবে। পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা সূত্রে জানা যায়, এ বছর সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সার্বজনীন আয়োজনে ৫০ টি ও পারিবারিক আয়োজনে ১৫ টি পূজো অনুষ্ঠিত হবে। সিলেট সদর উপজেলায় সার্বজনীন ৫৮ টি। দক্ষিণ সুরমায় ২১ টি ও পারিবারিক ১ টি। গোলাপগঞ্জে সার্বজনীন ৫৮ টি ও পারিবারিক ৩ টি। বালাগঞ্জে সার্বজনীন ৩০ টি ও পারিবারিক ২ টি। কানাইঘাটে সার্বজনীন ৩৮ টি। জৈন্তাপুওে সার্বজনীন ২৩ টি। বিশ্বনাথে সার্বজনীন ২৩ টি ও পারিবারিক ২ টি। গোয়াইনঘাটে সার্বজনীন ৩৬ টি। জকিগঞ্জে সার্বজনীন পূজা ৪ টি। বিয়ানীবাজারে সার্বজনীন পূজা ৩৭ টি, পারিবারিক ৯ টি। কোম্পানীগঞ্জে সার্বজনীন ২৭ টি। ফেঞ্চুগঞ্জে সার্বজনীন ৩৮ টি । ওসমানীনগরে সার্বজনীন পূজা ২৭ টি ও পারিবারিক ৮ টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ পাঁচটি দিন যথাক্রমে মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়াদশমী নামে পরিচিত। আগামী ১০ অক্টোবর রবিবার মহাপঞ্চমী, ১১ অক্টোবর সোমবার মহাষষ্ঠী, ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার মহাসপ্তমী, ১৩ অক্টোবর বুধবার মহাঅষ্টমী, ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহানবমী, ১৫ অক্টোবর শুক্রবার বিজয়া দশমী।পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা, জেনারেটর রাখা ও পরিদর্শন বই রাখার জন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি। এবার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় শারদ উৎসব আনন্দ-উল্লাসে পালিত হবে।

  • সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ময়ানমার থেকে অস্ত্র-মানব পাচার রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি

    সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ময়ানমার থেকে অস্ত্র-মানব পাচার রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি

    মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মানব পাচার ও চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এমপি। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের অ্যাম্বুলেন্স হন্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সকল ধরনের চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি না জালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিলো।

    কিন্তু অবৈধ কর্মকান্ডে বন্ধে এখন থেকে গুলি চালানো হবে। তাহলেই মানব, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান বন্ধ হবে। তবে এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান ড. একে আব্দুল মোমেন। এম্বুলেন্স হন্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামী সহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এ সময় অতিথিরা অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট হন্তান্তর করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ রোহিঙ্গা এসেছিল। আলোচনার মাধ্যমে মায়ানমার সরকার তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়। ১৯৯২ সালে এসেছিল ২ লাখ ৫৩ হাজার। এর মধ্যে ফিওে গেছে ২ লাখ ৩৬ হাজার। বাকিদেও আশ্রয় দেয় ইউএনএইচসিআর’র। এবারের সংখ্যা অনেক বেশি। ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। এদেরকে তাদেও দেশে ফিরিয়ে দিতে আমরা কাজ করছি। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন এজেন্সি এদেরকে এখানে দীর্ঘমেয়াদে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। চার বছর ধরে রাখাইনে কোন মারামারি নেই। শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু ওরা রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার কথা বলে না। উল্টো এখানে কিভাবে তাদেরকে ভাল রাখা যায়, তাদের হিউম্যান রাইটস- এসব অবান্তর কথা বলছে। তারা বলছে, রোহিঙ্গাদের জমির অধিকার দিতে, চাকরিতে বৈষম্য না করতে। তারা আমাদেরকে শর্ত দিতে চায়। আসল কথা হচ্ছে, রোহিঙ্গারা এখানে দীর্ঘদিন থাকলে তাদের চাকুরিও দীর্ঘায়িত হবে। এদের জন্য অনেকে অর্থ বরাদ্দ দেন, কিন্তু সে টাকা কিভাবে খরচ হয় সেটাও আমরা জানি না। রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লা খুন হওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে ছেলেটা মারা গেছে সে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কাজ করছিল। সে রোহিঙ্গাদেও বোঝানোর চেষ্টা করছিল, এখানে নয়, তাদের সুন্দর ভবিষ্যত তাদেও দেশেই। তাই তাদেরকে রাখাইনে ফিরে যেতে হবে। এই আন্দোলন করতে গিয়েই তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মুহিবুল্লাহ’র হত্যা রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারী চিহ্নিত হোক। হত্যাকারীদের শাস্তি হোক।