Category: সিলেট

  • সিলেটে ট্রাক চাপায় পুলিশ সদস্য নিহত

    সিলেটে ট্রাক চাপায় পুলিশ সদস্য নিহত

    সিলেট প্রতিনিধি:

    সিলেটের জৈন্তাপুরে ট্রাকের চাপায় পলাশ গোয়ালা (৩০) নামের এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গত সোমবার রাতে জৈন্তাপুর থানাধীন চিকনাগুল এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত পলাশ গোয়ালা হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার রামপুর চা বাগানের বাসিন্দা। তিনি জৈন্তাপুর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

    নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, রাতেই খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, সোমবার রাতে চিকনাগুল এলাকায় ড্রাম ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ঘটনার পর পর চালকসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও এসময় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক আটক করা হয়। নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

    ২৪ঘণ্টা /বি এম

  • শাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় সুমন দাস বহিষ্কার

    শাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় সুমন দাস বহিষ্কার

    সিলেট প্রতিনিধি:

    শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত সুমন দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্র।

    গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এর আগে গত সোমবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানান, গত সোমবার বিকেলে সিলেট নগরের বাগবাড়ি এলাকায় টিউশনি করে ফেরার পথে সুমন দাস আমার পথরোধ করে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে বাসায় ফেরার জন্য আমি সিএনজি অটোরিকশায় উঠলে সে জোর করে একই গাড়িতে উঠে আমার শরীরে হাত দিতে থাকে। এ সময় আমি চিৎকার শুরু করি ও সিএনজি ড্রাইভারকে বললে তিনি অভিযুক্তকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। পরে প্রক্টর বরাবর আমি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
    বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আবু হেনা পহিল বলেন, আমরা ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নিজেও এ ঘটনা শিকার করেছেন।

    বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আমরা সাময়িক বহিষ্কার করেছি। পাশাপাশি তার চলমান পরীক্ষা ও ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে। উপাচার্য আরো বলেন, যৌন নিপীড়ন এর বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী যারাই এই অপরাধ করবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

    ২৪ঘণ্টা /বি এম

  • দক্ষিণ সুনামগঞ্জে হাসপাতাল চালুর আগেই বিতর্কিত চিকিৎসকের পদায়ন

    দক্ষিণ সুনামগঞ্জে হাসপাতাল চালুর আগেই বিতর্কিত চিকিৎসকের পদায়ন

    সিলেট প্রতিনিধি: 

    দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালুর আগেই এক বিতর্কিত চিকিৎসককে আবাসিক চিকিৎসক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। নতুন ভবন যেখানে এখনো আউটডোর-ইনডোর স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হয়নি সেখানে কিভাবে আবাসিক চিকিৎসক দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুনামগঞ্জ মেডিকেল এসোসিয়েশন।

    তাছাড়া স্থানীয় স্বাস্থ্য সুবিধা বঞ্চিত মানুষজনও এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন যেখানে সরকার সারাদেশে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসকদেরকে মানুষের সেবার জন্য হাসপাতালে পদায়ন করছে সেখানে সেবা চালুর আগেই দুর্নীতির মাধ্যমে দায়িত্ব ফাঁকি দিতেই এমন পদায়ন করা হয়েছে।
    জানা যায়, সদ্য নির্মিত সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু না হওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্তে সেখানে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চালু রয়েছে। তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কোন কার্যক্রম সেখানে নেই। কিন্তু হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে এক চিকিৎসক ডা. মোজাহারুল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে গত বুধবার। তিনি যোগদানও করেছেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সুবিধভোগী একটি বিতর্কিত গোষ্ঠীকে নিয়ে।

    সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছাতক উপজেলার কৈতক ২০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক মোজাহারুল ইসলাম একজন চিকিৎসক। কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে কৈতক হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করায় তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। একের পর এক বিতর্কিত কাজ করে বিব্রত করছেন স্বাস্থ্য বিভাগকেও। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুইজন সংবাদকর্মী থানায় হুমকি ধমকির অভিযোগও করেছিলেন। কৈতক হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেন। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক থাকায় তিনি বারবার পার পেয়ে যাচ্ছিলেন।

    জানা গেছে, সম্প্রতি অনেক বিতর্কিত কাজের কারণে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি তাকে বদলির সুপারিশ করে বলে জানা গেছে। এই বিষয় অবগত হয়ে তিনি দায়িত্ব ফাঁকি দিতে সিভিল সার্জনকে ম্যানেজ করে চালু হয়নি এমন একটি হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসকের তদবির করেন। অবশেষে সিভিল সার্জন ও সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালকের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে তিনি চালু না হওয়া দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসক (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব নিয়ে বদলি হন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত হাসনাত হোসাইন ও কামরুল ইসলাম শিপন সহ কয়েকজন সুবিধাভোগী ব্যক্তি তাকে স্বাস্থ্য বিভাগে তদবির করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে নিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    সুনামগঞ্জের সংস্কৃতিকর্মী মানব তালুকদার বলেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন কার্যক্রমই চালু হয়নি। এই অবস্থায় এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। কারণ জেলা সদর হাসপাতালেই চিকিৎসক নেই। এখানে পদায়ন না করে মূলত জনগণকে সেবাবঞ্চিত করতেই চালু না হওয়া একটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
    সুনামগঞ্জে সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন এক জায়গায় দায়িত্ব পালন কালে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে। তাই তাকে বদলি করা হয়েছে। যেখানে কোন কার্যক্রমই নেই সেখানে কিভাবে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেশি বুঝার দরকার নেই’।
    সুনামগঞ্জ বিএমএ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল হাকিম বলেন, যেখানে কোন কার্যক্রমই নেই সেখানে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া ঠিক হয়নি। কারণ জেলা সদরসহ অনেক চালু হাসপাতাল চিকিৎসক সংকটে ভোগছে। তিনি বলেন, সরকার যেখানে মেডিকেল কলেজগুলো থেকে চিকিৎসক এনে হাসপাতালে পদায়ন করছে। সেখানে সিভিল সার্জন কেনো কার্যক্রম চালু নেই এমন হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিলেন এটা তিনি ভালো বলতে পারবেন।
    হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুর আগেই পদায়নের বিষয়ে স্বাস্থ্য সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া জানান, পদ থাকলেই পদায়ন করা যায়। সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন প্রয়োজন মনে করেছে বিধায় পদায়ন করা হয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/বি এম

  • সিলেটে শিশুসহ নাইজেরিয়ান ৩ নাগরিক আটক

    সিলেটে শিশুসহ নাইজেরিয়ান ৩ নাগরিক আটক

    সিলেট প্রতিনিধি:

    সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে নাইজেরিয়ান নাগরিক আটকের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তের দেড় কিলোমিটার ভেতর থেকে শিশুসহ ৩ জনকে আটক করে গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল। আটকরা হলেন, ইমনানুল ননমেদি ওয়াগাওয়াম (৪২), স্ত্রী পাউল ইবুদি অকিচুকাও (২৭) ও ফেবুর অসিনাচি ওয়াগাওয়াম নামের সাড়ে তিন বছরের এক মেয়ে শিশু।

    শিশুটির পাসপোর্টে জাতীয়তা নাইজেরিয়ান উল্লেখ থাকলেও ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে নয়াদিল্লী। এর আগে গেলো জুন মাসের ২৮ তারিখ সিলেটের সীমান্ত লাগোয়া তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আরও এক নাইজেরিয়ার নাগরিককে পুলিশে সোপর্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেই আটক নাইজেরিয়ার নাগরিকের নাম ওনিবুচুকু স্ট্যালি ইজিডাবু (৩১)।

    এদিকে সকালে এই ৩ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল দেব জানান, গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল তামাবিল স্থলবন্দর এলাকা থেকে শিশুসহ ৩ জনকে আটক করে। তাদেরকে আটকের সময় তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, ৯টি মোবাইলফোন, ৩টি পাসপোর্ট, ১টি ড্রাইভিং লাইসেন্স, ১টি ইন্ডিয়ান আধার কার্ড, ১টি নাইজেরিয়ান এনআইডি কার্ড, ১৬০০ ইউএস ডলার ও ২৮০ ইন্ডিয়ান রুপি জব্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া তারা বৈধ পথে আসছে নাকি অবৈধ পথে প্রবেশ করছে সেসব বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    ২৪ঘণ্টা /বাপ্পা মৈত্র

  • সিলেটে ট্রিপল মার্ডার, ঘাতক স্বামী হিফজুর গ্রেপ্তার

    সিলেটে ট্রিপল মার্ডার, ঘাতক স্বামী হিফজুর গ্রেপ্তার

    সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের গোয়াইনঘাটে দুই শিশুসহ তাদের মাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ওই নারীর স্বামী হিফজুর রহমানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হিফজুরের স্ত্রী নিহত আলিমা বেগম ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তার গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে আঘাতের কারণেই। হিফজুরের পরিবারে নিয়মিত কলহ ছিল, গত দুই মাসে দু’বার সালিশ হয়েছিল। গত শুক্রবার তার শ্যালিকার বিয়ে হওয়ার কথা। সেই বিয়েতে যাওয়া না যাওয়া নিয়েও আলিমা বেগমের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। পারিবারিক কলহের জের ধরেই দুই শিশুসহ তাদের মাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানায় পুলিশ।

    শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন জানান- এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হিফজুর রহমানকে (৩৫) গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর বাহিরের লোক ঘরের ভিতরে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমরা কোনো আলামত পাইনি। এ হত্যাকাণ্ডের আগের দিন দুপুরে হিফজুর তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কথিত পীর আতা মোল্লার কাছে গিয়েছিল গলা ব্যাথার সমস্যা নিয়ে। হিফজুরের প্রতি বছর মানসিক সমস্যা হতো, তখন সে কথিত পীরের কাছে গিয়ে ঝাড় ফু নিত। উদ্ধার করা বটি দা দিয়েই এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সম্পত্তি নিয়ে কোনো ঝামেলা ছিল না হিফজুরের।

    এর আগে গত বুধবার সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে হিফজুরের স্ত্রী আলিমা বেগম (৩০), তার দুই সন্তান মিজান (১০) ও তানিশা (৩)-এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘর থেকেই হিফুজরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই হিফজুরকে পুলিশের হেফাজতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার আচরণ প্রথম থেকেই সন্দেহজনক বলে জানিয়েছিল পুলিশ।

    এঘটনায় আলিমা বেগমের বাবা আয়ুব আলী বাদী হয়ে গোয়ানঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি। ঘটনার পর পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলো সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত এবং বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এখন পুলিশের সন্দেহ আহত হিফজুরের দিকেই ছিল।

    সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ জানান, চিকিৎসাধীন হিফজুর রহমান বর্তমানে সুস্থ আছেন। আজ রবিবার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকরা তাকে ছাড়পত্র দেবেন। চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে এদিন আদালতে তোলা হবে। পাশপাশি মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করবে। হিফজুর রহমান প্রথম থেকেই সন্দেহজনক আচরণ করছেন। তিনি ঘরের ভেতরে অজ্ঞানের ভান করে পড়েছিলেন। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পর বুঝা যায় তার আঘাত গুরুতর নয়। বাইরে থেকে কেউ হত্যার জন্য এলে সাথে করে অস্ত্র নিয়ে আসতো। তাদের ঘরের বটি দা দিয়েই খুন করতো না। বিরোধের কারণে খুনের ঘটনা ঘটলে প্রথমেই হিফুজরকে হত্যা করা হতো কিংবা স্ত্রী সন্তানদের প্রথমে হামলা করলেও হিফুজর তা প্রতিরোধের চেষ্টা করতেন। এতে স্বভাবতই তিনি সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হতেন। আমাদের ধারণা স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে ঘটনা অন্যখাতে প্রবাহিত করতে নিজেই নিজের হাত-পা ছিলে দেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, সাধারণত ঘুমানোর আগে সবাই হাত পা ধুয়ে ঘুমাতে যান। হিফজুরের স্ত্রী সন্তানদের মরদেহের হাত-পাও পরিষ্কার ছিলো। অথচ তার পায়ে বালি ও কাদা লাগানো ছিলো। এতে বুঝা যাচ্ছে সে রাতে ঘুমান নি। পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই হিফজুর স্ত্রী ও সন্তানদের কুপিয়ে খুন করেছেন বলে পুলিশের ধারণা। তাছাড়াও হিফজুর নিজে বলেছে তার স্ত্রীর পিছনে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।

    এলাকার স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত হিফজুরের ঘরের কেউ ঘুম থেকে উঠছিলেন না দেখে প্রতিবেশীরা হিফজুরের ঘরের সামনে যান। এসময় ভেতর থেকে কান্নার শব্দ শুনে দরজায় ধাক্কা দেন তারা। এসময় দরজার সিটকিনি খোলা দেখতে পান তারা। ভেতরে প্রবেশ করে তারা খাটের মধ্যে তিন জনের জবাই করা মরদেহ ও হিফজুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে গোয়াইনঘাট থানায় খবর দিলে একদল পুলিশ গিয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে ও হিফজুরকে হাসপাতালে পাঠায়। হিফজুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দায়ের কোপ রয়েছে। খবর পেয়েই সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

    উল্লেখ্য, হিফজুর তার মামার বাড়িতে ঘর বানিয়ে থাকেন। তার বাড়ি পাশ্ববর্তী গ্রামে। আহত হিফজুর যে ঘরে থাকতেন ওই ঘরটি তার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত। আর পাশের আরও দুটি ঘরে তার মামারা থাকেন। হিফজুর দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/বাপ্পা মৈত্র

  • সিলেটে ঘুমের ট্যাবেলেট খাইয়ে স্বামীকে হত্যা করলেন স্ত্রী

    সিলেট প্রতিনিধি:

    সিলেট নগরে এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শিপা বেগম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরকীয়ার জেরে স্বামী আনোয়ার হোসেনকে ঘুমের ট্যাবেলেট খাইয়ে হত্যা করেছেন বলে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। গতকাল রবিবার বিকেলে রিমান্ড শেষে সিলেট মূখ্য মহানগর আদালতে হাজির করলে শিপা বেগম এই স্বীকারোক্তি দেন।
    সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পরকীয়ার জেরে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেনের খালাতো ভাই শাহজাহান চৌধুরী মাহির সহযোগিতায় শিপা বেগম ঘুমের ট্যাবেলেট খাইয়ে তার স্বামীকে হত্যা করার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন।

    তিনি গত ২৮ এপ্রিল ঘুমের ওষুধ কিনে আনেন ও ২৯ এপ্রিল আনোয়ার হোসেনকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এরপর তিনি মারা যান।
    উল্লেখ্য, গত ২ জুন রাতে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় তার স্ত্রী শিপা বেগমকে সিলেট নগরের তালতলা এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩ জুন দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ১ জুন থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই, সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজারের দীঘিরপার গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন।

    মামলায় পরকীয়া প্রেমের জেরে আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এতে নিহতের খালাতো ভাই শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে প্রধান আসামি ও নিহতের স্ত্রী শিপা বেগমকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়। এছাড়া মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

    ২৪ঘণ্টা/রানা /বাপ্পা মৈত্র

  • শাল্লায় জলমহালে স্বাধীন মেম্বারের অবৈধ দখল ১২ বছর টাকার ভাগ কয়েক প্রভাবশালীর পকেটে

    বাপ্পা মৈত্র সিলেট প্রতিনিধি:

    সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের মূলহোতা মেম্বার শহিদুল ইসলাম স্বাধীন ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ‘ছন উল্ল্যা গোছাখাই জলমহাল’ অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, এই বিলের টাকার ভাগ পাচ্ছেন কে বি ওয়াকফ এস্টেটের ম্যানেজার আব্দুর রহমান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় ও পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমদ। এছাড়াও নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার পর স্বাধীন মেম্বার গ্রেপ্তারের আগের রাতে স্বাধীনের বাড়িতে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে মোশাররফ মিয়া ও রঞ্জন রায়ের বিরুদ্ধে।

    আর তাদের কারণেই এলাকায় বেপরোয়া ছিলেন স্বাধীন। এই বিলটির কারণেই শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটিয়েছে স্বাধীন মেম্বার বলে দাবি এলাকাবাসীর।
    সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় কে.বি ওয়াকফ এস্টেটের স্বত্ব দখলীয় ছন উল্ল্যা গোছাখাই জলমহালটি ২০০৯ সালের পর থেকে প্রকাশ্যে নিলাম করা হয়নি। অথচ এ জলমহালটি প্রকাশ্যে নিলামের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার ও কে বি ওয়াকফ এস্টেটের মেতাওয়াল্লি বরাবরে বার বার আবেদন করে গেছেন উপজেলার নোয়াগাঁও, সন্তোষপুর, চন্দ্রপুর ও নাচনিসহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দা ও মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা। তারা সরকারকে বেশি পরিমাণ রাজস্ব দেওয়ার কথাও আবেদনে উল্লেখ করেন। কিন্তু ঘুরে ফিরে বার বার পেয়ে গেছেন স্বাধীন মেম্বার। তাই এখন এ জলমহালটি দ্রুত প্রকাশ্যে নিলাম করার দাবি করছেন এলাকাবাসী।

    এলাকার লোকজন জানান, সরকারি জলমহাল নীতি মালা উপেক্ষা করে কে বি ওয়াকফ এস্টেটের আব্দুর রহমান নিজে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে এত বছর ধরে এটি করে আসছেন। সে নিজেও অনেক বার শাল্লায় এসেছে। এই আব্দুর রহমানের কারণেই এত বছর ধরে বিলটির বৈধ্য নিলাম হচ্ছে না। আব্দুর রহমানের টাকা পেয়ে ৩ বছরের জায়গায় বিলটি ৫ বছর করে দিয়েছে ২০১৮ সালে। এখন এলাকাবাসী দাবি করছেন, এ জলমহালটির তদারকির দায়িত্ব সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে দিতে। কারণ এ জলমহাল নিয়ে আশেপাশের পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন মেম্বারের বিরোধ চলছিল। স্বাধীন মেম্বার প্রতি বছর বিলটি শুকিয়ে মাছ শিকার করত, যার কারণে আশপাশের ৫ টি গ্রামের মানুষকে জমি চাষের জন্য পানির সংকটে পড়তে হত। বিগত কয়েক বছর ধরেই বিল সেচা নিয়ে কোনো না কোনো গ্রামের মানুষের সাথে স্বাধীন মেম্বারের বিরোধ তৈরী হত। তারই ধারাবাহিকতায় নোয়াগাঁও গ্রাম বাসীর সাথে গত শুকনো মৌসুমে ঝামেলা হয় স্বাধীন মেম্বারের। দিতে হয়েছিল জরিমানা তাকে। তবে আশপাশ গ্রামের অনেকেই মনে করছেন স্বাধীন মেম্বার গ্রামবাসীকে ভয় দেখাতেই নোয়াগাঁওয়ে হামালা, ভাংচুর ও লুটপাত করিয়েছে।

    স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যবলীগের দুই নেতাও এ বিল থেকে টাকার ভাগ পান। সেই সাথে কে বি ওয়াকফ এস্টেটের ম্যানেজারও পান, তিনি আনেক বার এসেছেনও বিলে জানা যায়, ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছন উল্ল্যা গোছাখাই জলমহালটি বৈধ ভাবে নিলামে পান সাবেক বিএমপি নেতা ও মেম্বার শহিদুল ইসলাম স্বাধীনের পিতা কেরামত আলী। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর প্রকাশ্যে নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও ২০০৯ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত এ জলমহালটি প্রকাশ্যে নিলাম হয়নি।

    এলাকাবাসির দাবি- মূলত স্বাধীন মেম্বারের সাথে এ জলমহাল নিয়েই আশেপাশের ৫ থেকে ৬ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক পরিবারের সাথে দ্বন্দ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। সে একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল, আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে এক যুবকের দেয়া স্ট্যাটাসের জেরে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাত চালিয়ে।এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় রাজনীতিবিদ, কে বি ওয়াকফ এস্টেটের ম্যানেজার মো. আব্দুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিলে এ জলমহালটি অবৈধভাবে ভোগ করে চলছেন। এ জলমহাল থেকে কে বি ওয়াকফ এস্টেটে ম্যানেজার মো. আব্দুর রহমান প্রতি বছর মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে যেতেন সিলেটে বসেই। আমরা প্রতি বার স্বাধীন মেম্বারের থেকে দ্বিগুণ টাকা রাজস্ব দিয়ে বিল ইজারা নিতে বিভাগীয় কমিশনার ও কে বি ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লি বরাবরে আবেদন করেও কোন সমাধান পাইনি। প্রতি বছর ধান চাষের সময় এলেই পানির অভাব দেখা দিত, কারণ স্বাধীন মেম্বার বিলটি মেশিন লাগিয়ে শুকিয়ে মাছ শিকার করত। শুকিয়ে মাছ শিকারের কারণে তাকে জরিমানাও দিতে হয়েছে।
    এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা শাল্লা উপজেলার মানুষ হয়েও জলমহালটি বৈধভাবে ভোগদখল করতে পারিনি। কিন্তু শহিদুল ইসলাম স্বাধীন দিরাই উপজেলার বাসিন্দা হয়েও কি ভাবে এত বছর ধরে অবৈধ ভাবে বিলটি ভোগদখল করছে। এই স্বাধীনের কারণে প্রতি বছর আমাদের জমি চাষের সময় পানির সংকটে পড়তে হয়। আমরা এ জলমহালটি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অধীনে ইজারা দিতে দাবি জানাচ্ছি।

    তাহলে আমাদের ধান চাষের সময়ে পানির অভাব হবে না।এলাকার প্রবীণ মুরব্বী ও বর্তমান মেম্বার আবু বক্কর মেম্বার বলেন, এ জলমহালটি প্রকাশ্যে নিলামের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার ও কে বি ওয়াকফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লি বরাবরে বার বার আবেদন করে গেছেন উপজেলার নোয়াগাঁও, সন্তোষপুর, চন্দ্রপুর ও নাচনিসহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দা ও মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা। আমরা সরকারকে বেশি পরিমাণ রাজস্ব দেওয়ার কথাও আবেদনে উল্লেখ করেন। কিন্তু ঘুরে ফিরে বার বার পেয়ে গেছেন স্বাধীন মেম্বার। জলমহালটি দ্রুত প্রকাশ্য নিলাম করার দাবি করছেন এলাকাবাসী।দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহবায়ক প্রদীপ রায় বলেন, মূলত এই বিলটির কারণেই শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটিয়েছে স্বাধীন মেম্বার। এ বিল নিয়ে আশপাশের ৫ গ্রামের সাথে তার বিরোধ দীর্ঘদিনের, সে সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে। আমরা দ্রুত ছন উল্ল্যা গোছাখাই জলমহালটির প্রকাশ্য নিলাম চাই। জলমহালটি প্রকাশ্যে নিলামের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার ও কে বি ওয়াকফ এস্টেটের মেতাওয়াল্লি বরাবরে বার বার আবেদন করে কোন সুফল পাওয়া যায় নি।

    কে বি ওয়াকফ এস্টেটের ম্যানেজার আব্দুর রহমান এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে, এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমি সিলেটে নতুন এসেছি। শাল্লার জলমহালের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।

    ২৪ঘণ্টা/রানা /বাপ্পা

  • হিন্দু গ্রামে হামলা: প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা স্বাধীন মেম্বার গ্রেফতার

    হিন্দু গ্রামে হামলা: প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা স্বাধীন মেম্বার গ্রেফতার

    সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলামকে (স্বাধীন মেম্বার) গ্রেফতার করেছে পিবিআই সিলেট।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ উজ জামান।

    তিনি জানান, শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে প্রযুক্তি সহায়তায় স্বাধীন মেম্বারকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।

    জানা যায়, ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর থেকেই উঠে আসে স্বাধীন মেম্বারের নাম।

    হামলার পরদিন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলায়ও স্বাধীন মেম্বারকে আসামি করা হয়। স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

    হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে এক যুবকের দেওয়া স্ট্যাটাসের জেরে ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হামলার ঘটনা ঘটে।

    অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাজারও লোক মিছিল নিয়ে এসে এই হামলা চালায়।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলাকারীদের বেশিরভাগই আসে স্বাধীনের গ্রাম দিরাইয়ের নাচনি থেকে। স্বাধীন মেম্বারও হামলাকারীদের দলে ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই হামলা হয়।

    স্বাধীন মেম্বারের সঙ্গে জলমহাল নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরে মামুনুল অনুসারীদের সঙ্গে তিনি এই হামলায় অংশ নেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

    প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ দিরাইয়ে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। পরদিন মামুনুলের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন নোয়াগাঁওয়ের এক যুবক।

    এই স্ট্যাটাসের জেরে হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামটিতে হামলা চালিয়ে ৯০টিরও বেশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় দু’টি মামলা এবং স্বাধীনসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

  • করোনায় মারা গেছেন সিলেটের এমপি মাহমুদ উস সামাদ

    করোনায় মারা গেছেন সিলেটের এমপি মাহমুদ উস সামাদ

    সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কায়েস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা ২ টা ৪০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান।

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। এক মাস আগে তিনি করোনার টিকাও নিয়েছিলেন। এরপরও মহামারি থেকে রেহাই পাননি।

    রোববার সিলেট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বিমানে অসুস্থ অনুভব করায় সেখান থেকে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার সকালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। বিকালে পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিলো। সেখানেই তিনি আজ মারা যান।

    মাহমুদ উস সামাদের বড় ভাই আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী ফেসবুকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। পরে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এই সংসদ সদস্য ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গনে করোনার টিকা নেন। এরপর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল না।

    সিলেট-৩ আসনের টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে তার নির্বাচনী এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১১

    সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১১

    ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রশিদপুরে এনা পরিবহন ও লন্ডন এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে কমপক্ষে ১১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ঘটনায় দুই বাসের আরও অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

    শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার রশিদপুর নামক স্থানে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।

    দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩১৭৬) ও সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকামুখী এনা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭৩১১) দ্রুতগতির দুটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এতে বহু যাত্রী হতাহত হয়েছেন। এরমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে চারজনের লাশ উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। অপর ছয়জনের মরদেহসহ বেশ কিছু আহত যাত্রীকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    লন্ডন এক্সপ্রেসের যাত্রী জসিম আহমদ জানান, ঢাকা থেকে আসার পথে বারবার বাসের চালক ওভারটেক করছিলেন। তাকে কয়েকবার সর্তকও করা হয়। কিন্তু কথা শোনেননি। তিনি বাসটি খুব দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন বলে জানান জসিম। সুমন নামে আরেক যাত্রী জানান, লন্ডন পরিবহনের বাসে ২৯-৩০ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের সবাই আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন মারাও গেছেন।

    ফায়ার সার্ভিস সিলেটের ভারপ্রাপ্ত ডিডি মো. কুবাদ আলী সরকার বলেন, ‌‘ঘটনাস্থল থেকে আমরা এসে ১০ জনকে উদ্ধার করেছি। এরমধ্যে সাতজনের মরদেহ রয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন হতাহতকে এর আগেই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

  • সিলেটে মোবাইল চুরির অপবাদে শিশু ছেলেকে নির্যাতন ও জরিমানা

    সিলেটে মোবাইল চুরির অপবাদে শিশু ছেলেকে নির্যাতন ও জরিমানা

    সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার গোটাটিকরে রসমেলা ফ্যাক্টরিতে শাকিল আহমদ (১৩) নামের এক শিশু ছেলেকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে পুলিশ সুপার বরাবারে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

    বুধবার (২ ডিসেম্বর) এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরে মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর এলাকার রসমেলার সত্ত্বাধিকারী ফয়ছল, উস্তার মিয়া, তারেক, সুহেল, সেলিম ও শফিকের বিরুদ্ধে নির্যাতিত শিশুর মা হাছনা বেগম এই অভিযোগ দাখিল করেন।

    অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, সংসারে অভাব অনটনের তাড়নায় পিতৃহারা শিশু শাকিলকে সিলেটের বিসিক শিল্প নগরী গোটাটিকর এলাকার রসমেলা ফ্যাক্টরিতে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরিতে দেন। গত ২৫ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে তার ছেলে শাকিলের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ আনা হয়। এই মিথ্যা অভিযোগে রসমেলার সত্ত্বাধিকারী ফয়ছলের নেতৃত্বে অমানবিক নির্যাতন করা হয় শিশু ছেলেটিকে। এমনকি তারা নানা কুসংস্কারের আশ্রয় নিয়ে শাকিলকে মোবাইল চুর হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়।

    সে সময় তারা তার মাকে ডেকে নিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে মোবাইল ফোন বাবৎ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করার চাপ প্রয়োগ করে। এসময় তিনি ভয় পেয়ে তার বাসার মালিক কাবুল আহমদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়ে ছেলে শাকিলকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। উক্ত টাকা পাওয়ার পরও শাকিলের বেতন ৪ হাজার টাকা কর্তন করেও তারা আরো টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। বর্তমানে হাছনা বেগম ও তার ছেলে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। ছেলে ও নিজের প্রাণ রক্ষার্থে হাছনা বেগম প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/বাপ্পা

  • ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ; ৮ ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

    ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ; ৮ ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

    সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের দুই মাস ৮ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে ওই ঘটনায় গ্রেফতার আট ছাত্রলীগ কর্মীকে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বহুল আলোচিত এই গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরের শাহপরাণ (রহ.) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

    চার্জশিটে অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এমসি কলেজ শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম (২৫), কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), মিসবাহ উর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিন।

    এর মধ্যে রাজন ও আইনুদ্দিন ছাড়া অপর ছয়জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, চার্জশিট দাখিলের প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়ে দুপুর ১২টায় নগরের শাহজালাল উপশহরের এসএমপির উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করা হবে।