Tag: আইনজীবী

  • অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না আলিফের

    অনাগত সন্তানের মুখ দেখা হলো না আলিফের

    তিন বছরের কন্যাশিশু তাসকিয়া। দুনিয়ার অনেক কিছু তার এখনো অজানা। বাবার ভালোবাসা কী— বুঝে উঠার আগেই হারিয়ে ফেললো বাবাকে। আজ থেকে আর কখনো দেখতে পাবে না বাবাকে, হবে না বাবা-মেয়ের আলিঙ্গনও। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইসরাত জাহান তারিন। দেখা হলো না অনাগত সন্তানের মুখও। তার আগেই চাপাতির কোপে না ফেরার দেশে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ।

    মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে নগরের লালদিঘী এলাকায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় চাপাতির এলোপাথাড়ি নিহত হন তিনি।

    আলিফের পরিবার থাকেন চট্টগ্রাামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে। তিনি চট্টগ্রামে থাকতেন ব্যাচেলর হিসেবে। সম্প্রতি আলিফ চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত হয়েছিলেন।

    ‘আম্মু মামাতো আর নেই’

    সাত ভাইবোনের মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ চতুর্থ। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন বড় বোন জান্নাত আরা বেগম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আসরের সময় খবর দিয়েছে একজন সাইফুলের যেন কি হয়েছে। আমার মেয়েটা মেডিকেলে পড়ে। আমি ওকে ফোন দিয়ে বলি যে— তোমার মামার কি হইছে একটু দেখতে যাও তো। পরে মেয়ে আমাকে বলে যে মা মামা তো আর নেই। হাসপাতালে ছুটে এসে দেখি আমার আদরের ভাইটা আর নেই।’

    জান্নাত আরা বেগম আরো বলেন, ‘ওর তিন বছরের একটা মেয়ে আছে। আরেকটা সামনে হবে। ওর বউ চার মাসের গর্ভবতী। ও এখানে একা থাকতো। এই বাচ্চা মেয়েটার কি হবে। আমার পরিবার তো শেষ হয়ে গেলো। কারা মারলো আমার ভাইকে। আমরা এর বিচার চাই। বাড়ি থেকে সবাই রওনা দিয়েছে। এখনো কেউ এসে পৌঁছায় নাই। আমরা সবার জন্য অপেক্ষা করছি।’

  • এশিয়ার সেরা আইনজীবীর তালিকায় ব্যারিস্টার বাবা-মেয়ে

    এশিয়ার সেরা আইনজীবীর তালিকায় ব্যারিস্টার বাবা-মেয়ে

    এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সেরা আইনজীবীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন দেশের প্রখ্যাত দেওয়ানি এবং কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও তার মেয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। এই ব্যারিস্টার বাবা ও মেয়েকে ডিস্ট্রিংগুইশড প্র্যাকটিশনার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

    সম্প্রতি এশিয়া ল’ নামে ডিরেক্টরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, প্রতি বছর এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর সেরা আইনি সহায়তকারী প্রতিষ্ঠান ও আইনজীবীদের তালিকা প্রকাশ করে এশিয়া ল’ ডিরেক্টরি। তাদের নিজস্ব জরিপ ও তথ্যর ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া আইনজীবীদের যোগ্যতা, পেশায় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার আলোকে বিভিন্ন সম্মানজনক উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

    এ বছর ডিস্ট্রিংগুইশড প্র্যাকটিশনার স্বীকৃতি পেয়েছেন ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও তার মেয়ে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। সেরা ল’ ফার্মের তালিকায় স্থান পেয়েছে তাদের আইনি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আখতার ইমাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। বাংলাদেশের ১০ জন বিশিষ্ট আইনজীবী ডিস্ট্রিংগুইশড প্র্যাকটিশনার স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন প্রখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের মত আইনজীবীরা।

    সোমবার (২ অক্টোবর) এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, বাবা ও মেয়ে একসঙ্গে ডিস্ট্রিংগুইশড প্র্যাকটিশনার স্বীকৃতি পাওয়া অত্যন্ত সম্মানের। এতে আইন পেশার প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বেড়ে গেল বলে মনে করি।

    ব্যারিস্টার আখতার ইমাম সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তার মেয়ে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম আপিল বিভাগের আইনজীবী। ছেলে ব্যারিস্টার রেশাদ ইমামও আপিল বিভাগের আইনজীবী। জনস্বার্থে বিভিন্ন আলোচিত মামলায় আইনি লড়াই করে দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন ও সুনাম কুড়িয়েছেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।

  • চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি আইনজীবীদের

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অপসারণ দাবি আইনজীবীদের

    চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের অপসারণ দাবি করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি।

    আজ রোববার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, জেলা আইনজীবীদের জন্য আদালত এলাকায় নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভূমি নিয়ে জেলা প্রশাসক ‘মিথ্যাচার’ করছেন। তিনি আইনজীবীদের সম্পর্কেও অসম্মানজনক কথা বলেছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলা প্রশাসক ক্ষমা না চাইলে আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি এনামুল হক, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম, কফিল উদ্দিন, আবদুর রশিদ, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।

    জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগে আইনজীবীরা যে ভূমিতে ভবন নির্মাণ করেছেন, তা অনুমোদনহীন। এখন যে ভূমিতে তাঁরা ভবন নির্মাণ করতে চান, তারও অনুমোদন নেই।

    এন-কে

  • সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ইসির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।

    বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী অভিযোগ দাখিল করেন। শিশির মনির বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ব্যতীত ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে।

  • অনলাইন এ প্রতারিত হলে কি করবেন?

    অনলাইন এ প্রতারিত হলে কি করবেন?

    ২৪ ঘণ্টা স্পেশাল : মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটার পাশাপাশি ঘরে বসে ইন্টারনেটভিত্তিক অনলাইন শপিং ব্যবসা আমাদের দেশেও এখন খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে। দেশের অভিজাত থেকে মধ্যবৃত্ত এমনকি নিম্ন মধ্যবিত্তরা বর্তমানে অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেসগুলোয় ঝুঁকছেন।

    সম্প্রতি বাহারি পণ্য একেবারে ঘরের দরজায় পৌঁছে দেওয়া ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেমের কারণে খুব দ্রুত অনলাইন কেনাকাটার গ্রাহক, বিশেষ করে তরুণ গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে করোনা পরিস্থিতির কারণে দিন দিন এ ব্যবসা আরো বেড়েছে বহুগুন।

    আবার অনলাইনে শপিং করতে গিয়ে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভুক্তভোগীর সংখ্যাও। অনলাইনে পণ্য কিনে ক্রেতাদের কাছ থেকে সবচেয়ে যে অভিযোগটি বেশি আসছে সেটি হলো ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত ছবির সঙ্গে পণ্যের কোন মিল নেই।

    অনেক অনলাইন ক্রেতাই অভিযোগ করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজ, গ্রুপ ও ওয়েভসাইটে চটকদার বিজ্ঞাপনে যেসব পণ্য দেখানো হয়,অর্ডার করার পর ডেলিভারি করার সময় ক্রেতাদের হাতে পৌছানো হয় নিম্নমানের আরেক পণ্য।

    আবার বিভিন্ন অনলাইন পেজে পণ্যের জন্য অগ্রিম টাকা প্রেরণ করে পণ্য না পাওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। এ ধরনের অভিযোগ বেশি আসছে মোবাইল হ্যান্ডসেট, হাতঘড়ি, ব্লেজার, শাড়ি প্রভৃতি পণ্য নিয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যথাযথ তদারকি না থাকায় এমন প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছে কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।

    কেউ যদি অনলাইনে পণ্য কিনে প্রতারিত হয় সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন কয়েকজন আইনজীবী।

    চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী তপন দাশ বলেন, পণ্য কিনে প্রতারিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়েও দেওয়ানি আদালতে এবং প্রতারণার অভিযোগে ফৌজদারি আদালতে মামলা করতে পারবেন।

    প্রতারিত হলে কিভাবে মামলা করবেন সে বিষয়েও ধারণা দিয়েছেন আরো কয়েকজন আইজীবীর। তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাইট এবং কী ধরনের প্রতারণার শিকার হলেন তা সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে।

    পরবর্তী সময়ে পণ্য কেনা বা হাতে পাওয়ার পর সেটার রশিদ বা ক্যাশমেমো দিয়ে জেলা জজ আদালতে অথবা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করতে পারবেন।

    আদালত আপনার অভিযোগ যাচাই-বাচাই করবেন। এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দিবেন। যদি আদালতে আপনার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় তাহলে আদালত অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড দিতে পারেন অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে।

    এ ছাড়া অনলাইনে পণ্য ক্রয়ের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করা যাবে। অনলাইনে প্রতারিত হওয়ার পর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করাটা সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ।

    সেক্ষেত্রে আপনি ভোক্তা অধিকারের কার্যালয়ে গিয়ে অথবা ওয়েবসাইটে দেওয়া মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারবেন। সেই অভিযোগের পরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর অনলাইন প্রতিষ্ঠান ও অভিযোগকারীর কাছে পোস্টাল রশিদের মাধ্যমে চিঠি পাঠাবেন।

    দুই পক্ষ থেকে শুনানি শেষে অধিদপ্তর ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেবে। এ ক্ষেত্রে জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে দেওয়া হবে।

    এদিকে অনলাইন প্রতারণায় করণীয় সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে।

    এতে উল্লেখ করা হয়, ফেসবুকে অসংখ্য অনলাইন শপিং পেজ রয়েছে, যেগুলো নানা রকমের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে লোকজনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে।

    এর মধ্যে কিছু পেজ পাওয়া যায় যেগুলো কখনো কখনো এক ধরনের প্রোডাক্ট দেখিয়ে অন্য ধরনের প্রোডাক্ট বা নিম্নমানের প্রোডাক্ট ডেলিভারি দিয়ে থাকে। আবার, কিছু কিছু পেজ পাওয়া যায় যেগুলো প্রোডাক্ট অর্ডারের জন্য অগ্রীম মূল্য পরিশোধ করার পরও কোনো প্রোডাক্টই ডেলিভারি দেয় না।

    এক্ষেত্রে, আপনি যদি তাদের চ্যালেঞ্জ করেন তারা আপনার নম্বর বা অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেবে। এ ধরনের পেজগুলো সাধারণত চালু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অ্যাকাউন্টটি হঠাৎ করে ডিঅ্যাকটিভেট করে দেয়।

    এক্ষেত্রে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পরামর্শ : সুপরিচিত বা সুপ্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপ ছাড়া অন্য কোন অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। এক্ষেত্রে তাদের কাস্টমার রিভিউগুলো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিতে পারেন। প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে পুলিশকে অবগত করুন।

    প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে পুলিশকে অবগত করার জন্যও বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেলেন দেশবরেণ্য আইনজীবী মো. কবির চৌধুরী

    চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেলেন দেশবরেণ্য আইনজীবী মো. কবির চৌধুরী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই এক দুটি মৃত্যুর খবর প্রকাশ হচ্ছে গণমাধ্যমে। উপসর্গ নিয়েও মৃত্যু হচ্ছে কয়েকজনের।

    এরই ধারাবাহিকতায় করোনায় মৃত্যুর মিছিলে এবার যোগ হয়েছে আরো একটি নাম। আজ ২ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন দেশবরেণ্য আইনজীবী মো. কবির চৌধুরী। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্টে ডা. আব্দুর রব। তিনি বলেন, অ্যডভোকেট কবির চৌধুরী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার নমুনা সংগ্রহের পর গতকাল রাতে করোনা পজেটিভ আসে। আজ ২ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় তার মৃত্যু হয়।

    করোনায় মৃত্যুবরণকারী মো. নুরুল কবির বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতাকালিন সদস্য। তাছাড়া চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে।

    তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের আইনজীবী সমাজ একজন বটবৃক্ষ ও একজন অভিভাবককে হারাল।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ওএমএসের চালের কার্ড  দেয়ার প্রলোভনে আইনজীবীকে অর্থদন্ড

    ঠাকুরগাঁওয়ে ওএমএসের চালের কার্ড  দেয়ার প্রলোভনে আইনজীবীকে অর্থদন্ড

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে ওএমএসের ১০টাকা কেজি দরের চালের কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আইনজীবী মমতাজুর রহমান বিপুলকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই আইনজীবীকে এই অর্থদন্ড দেয়া হয়।

    অর্থদন্ডপ্রাপ্ত মমতাজুর রহমান বিপুল (৫৪) শহরের আশ্রমপাড়া এলাকার প্রয়াত নাসিরুল ইসলামের ছেলে এবং তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওএমএসের চালের কার্ড করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সবজি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের কাছ থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা নেন ঠাকুরগাঁওয়ের আইনজীবী মমতাজুর রহমান বিপুল। এরপর ওই সবজি ব্যবসায়ীকে চালের কার্ড না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন।

    বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে গোপনে এমন খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন চত্বরে আইনজীবী মমতাজুর রহমান বিপুলকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত বসালে সেখানে ওই আইনজীবী তার দোষ স্বীকার করেন। এরপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের ২০১২ এর ৪৩ ধারায় আইনজীবী মমতাজুর রহমান বিপুলকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম

  • খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ মিয়া আর নেই

    খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ মিয়া আর নেই

    বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ও দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া আর নেই। আজ শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানী ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    সানাউল্লাহ মিয়া কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শ্বাসকষ্ট বেড়ে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

    সানাউল্লাহ মিয়ার সহকারী আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের সিসিউতে সানাউল্লাহ মিয়াকে ভর্তি করা হয়। তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল। প্রচণ্ড খিচুনির কারণে তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকেই শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই আজ রাত পৌনে ৯টায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    সানাউল্লাহ মিয়ার বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রচণ্ড শরীর খারাপ হলে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে বাবাকে ভর্তি করানো হয়। তিনি হাসপাতালের সিসিউতে ছিলেন। প্রচণ্ড খিচুনি ওঠায় তাঁকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ ডাক্তাররা জানান তিনি নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছেন।

    এর আগে গত বছরের ৩ জানুয়ারি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় (স্ট্রোক) আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি হন সানাউল্লাহ মিয়া। এরপরে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। সর্বশেষ তাঁর মুখের বাঁ পাশ বেঁকে যায়।

    সানাউল্লাহ মিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনা করেন। ৩৩ বছর ধরে আইনপেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি।