Tag: চট্টগ্রাম

  • চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনের নেতা জসিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

    চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনের নেতা জসিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

    চট্টগ্রাম নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া জসিম উদ্দিন নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার সিটি কর্পোরেশন ময়লার ডিপো টিসি কলোনি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ওসি কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান বলেন, ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে জসিমের গলার এক পাশে আঘাত করার ফলে হয়তো শ্বাস নালি কেটে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থার আজ বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

    তবে জসিমের পরিবারের অভিযোগ বিএনপির রাজনীতি সাথে সম্পৃক্ত থাকায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

    আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    নিহতের চাচা বশির আহমদ জানান, ময়লার ডিপোর সাথে তাদের বাসা। ডিপোতে নষ্ট ভাত ফেলানোকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে। মূলত আমার ভাতিজা বিএনপি নেতা খসরুর গ্রুপের রাজনীতি করতো। বিএনপি করায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারীদের যেভাবে গুম করে অপহরণ করে হত্যা করা হচ্ছে এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    এর পিছনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মদদ রয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় এসব কর্মকাণ্ডগুলো ঘটছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের বড় ধরনের ব্যর্থতা রয়েছে। তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে না পারায় ঘটনাগুলো বার বার ঘটছে। পুলিশের প্রতি জনগণের যে আস্থা হারিয়েছে সেটি পুনরুদ্ধারে পুলিশকে কাজ করতে হবে এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

  • শাহ আমানতের কর্মী খুনের নেপথ্যে হুন্ডি, ‘বিরোধ ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে’

    শাহ আমানতের কর্মী খুনের নেপথ্যে হুন্ডি, ‘বিরোধ ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে’

    চট্টগ্রামের পতেঙ্গা লিংক রোড এলাকায় শাহ আমানত বিমানবন্দরের কর্মচারী ওসমান সিকদার খুনে তার দুই সহকর্মীর নাম উঠে এসেছে। এ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে তারা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেননি।

    পুলিশের অভ্যন্তরীণ একটি সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন চারজন। ঘটনার আগে হুন্ডির ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে ওসমানের সঙ্গে তার প্রতিপক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়।

    তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওসমান সিকদারসহ সিভিল এভিয়েশনের বেশ কয়েকজন কর্মচারী বৈদেশিক মুদ্রা চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি ওসমানের সঙ্গে ফটিকছড়ির বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। কথা ছিল ওসমান রিয়ালগুলো নিয়ে ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাত্রীদের হাতে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু ওসমান রিয়ালগুলো সেই যাত্রীদের দেননি। তিনি প্রচার করেন রিয়ালগুলো গোয়েন্দা পুলিশ ছিনিয়ে নিয়েছে।

    পরবর্তীতে ওসমানের কাছ থেকে রিয়ালগুলো ফেরত পেতে চাপ দিতে থাকে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তাকে পিটিয়ে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে প্রতিপক্ষ। এরই ধারবাহিকতায় গতকাল শাহ আমানত বিমানবন্দর সংলগ্ন লিংকরোড এলাকার একটি স্থানে নিয়ে তাকে পেটানো হয়। মারধরে অংশ নেয় চারজন। এই মারধরের একপর্যায়েই মারা যান ওসমান সিকদার।

    ওসমান সিকদারের গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশনে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    এই বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনায় গতকালই (বৃহস্পতিবার) ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমাদের দুই কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনাস্থলে তাদের একজনকে হাঁটাহাঁটি করতে দেখা গেছে। আরেকজন লেনদেনের বিষয়টি আগে থেকে জানতেন। তবে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত এটির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য নেওয়া যায় কি না এজন্য আটক করা হয়েছে।

    পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, হুন্ডির ৩০ লাখ রিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন ওসমান সিকদার। মূলত মুদ্রাগুলো অবৈধ পন্থায় বিমানযাত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কথামতো এগুলো বিমানযাত্রীকে দেননি ওসমান। আবার এগুলো ফেরতও দেননি। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন তিনি।

  • চট্টগ্রামের নতুন বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দীন

    চট্টগ্রামের নতুন বিভাগীয় কমিশনার ড. জিয়াউদ্দীন

    চট্টগ্রাম এর বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে পদায়িত হয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দিন।

    মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দীন, সিলেট বিভাগে অতিরিক্ত সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী, খুলনা বিভাগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ সরকার এবং রাজশাহী বিভাগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার আজিম আহমেদকে বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

    চট্টগ্রামে প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

    ওলামা-জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চট্টগ্রামে প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন একদল ব্যক্তি। চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেট ও হাটহাজারী মাদরাসা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে তারা মিছিল শুরু করেন।

    পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, রাত ৮টার দিকে অন্তত দুই শতাধিক লোক নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকা অংশ থেকে মিছিল করে প্রবর্তক মোড় জড়ো হন। এ সময় তারা প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে নানারকম স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

    ওসি আরও বলেন, মিছিলকারীদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে অপরিচিত অনেককেও দেখা গেছে। বর্তমানে প্রথম আলো কার্যালয়ের পাশে পুলিশ অবস্থান করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

    এদিকে রাত ১০টার দিকে হাটহাজারী মাদরাসা এলাকায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীসহ একদল লোক। এ সময় তারা প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

    জানা যায়, রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ‘জোড়া গরু জবেহ’ কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তারা কালো রঙের একটি গরু জবাই করেন। এদিন, সন্ধ্যার পর দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়।

  • মহাসড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তি কারও কাম্য নয়: জেলা প্রশাসক

    মহাসড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তি কারও কাম্য নয়: জেলা প্রশাসক

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম বলেছেন, সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারি ও অন্যান্য স্থান অবরোধ করে রাখে। মহাসড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তি কারও কাম্য নয়। শিল্প-কারখানার সমস্যার কারণে ভবিষ্যতে কেউ যাতে মহাসড়ক অবরোধ করতে না পারে সে ব্যাপারে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হবে। সাম্প্রতিক সময়ে নগরীর হাজারী গলিতে সংঘটিত ঘটনা ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে মিটিং করে সমস্যা সমাধান করতে চাই। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আটককৃত অনিবন্ধিত গ্রাম সিএনজি ও ডকুমেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন গাড়ি ডাম্পিং করার জন্য দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, উত্তর চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও মিরসরবাই উপজেলার কোন জায়গায় ডাম্পিং স্টেশন করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ জায়গা খুঁজে জেলা প্রশাসনের কাছে তালিকা দিলে তা যাচাই-বাছাই করা হবে। আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করলে একটি চমৎকার জেলা প্রশাসন উপহার দিতে পারবো।

    আজ ১০ নভেম্বর রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গত মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সৈয়দ মাহবুবুল হক।

    জেলা প্রশাসক বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, বালি উত্তোলন, পাহাড় কাটা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, খুন, ডাকাতি,চাঁদাবাজি, রাহাজানি, নারী ও শিশু নির্যাতন, রেল থেকে তেল পাচার, রেলপথ, নৌ-পথ ও সড়ক পথে মাদক পাচার রোধ, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ এবং বন্য হাতির উপদ্রব থেকে জানমাল রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

    সভায় জেলার নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) রায়হান উদ্দিন খান বলেন, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি শেষে থানাগুলোকে ঢেলে সাজিয়ে অর্ন্তবর্তী সরকারের নির্দেশনা মতে পুলিশ কাজ করছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডসহ অন্যান্য অংশে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই রোধে অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। অনিবন্ধিত গ্রাম সিএনজি ও ডকুমেন্টের মেয়াদোত্তীর্ণ অন্যান্য গাড়ি রাখার জন্য জেলা ট্রাফিক পুলিশের যখন ডাম্পিং স্টেশন প্রয়োজন হবে তখন আমরা জায়গা নির্ধারণ করতে পারলেও জায়গা অধিগ্রহণের বিষয়টি আমাদের নয়। তবে বাঁশখালী, আনোয়ারা ও সীতাকুন্ডে ডাম্পিং তৈরী করার ব্যাপারে আমরা কাজ করতে পারি। ৫ আগষ্ট পরবর্তী সড়কে যানজট নিরসনে অনেকে ট্রাফিকের নির্দেশনা মানতে চায়নি, এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে এবং ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

    এসপি বলেন, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী থেকে জেলার বিভিন্ন থানা থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুঠ হয়েছে, কিছু কিছু উদ্ধার হয়েছে, যে সকল অস্ত্র ও গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি সেগুলো উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি যৌথ বাহিনীর বাহিনীর অভিযান আরও জোরদার করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দেশের ৬৩ জেলা ও মহানগর পর্যায়ে যারা নাশকতা ও হামলা চালিয়েছে তাদের মধ্যে যারা গ্রেফতার হয়েছে সর্বাধিক ১ থেকে ৩ নম্বর অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা। সঠিক ঘটনায় থানায় মামলা নিতে পুলিশ গড়িমসি করবেনা। তবে যারা ঘটনার সাথে জড়িত নয়, তাদেরকে মামলায় যুক্ত না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

    সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩০৪ জন, আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ৩২ জন, চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৪৭ জন ও গত অক্টোবর মাসে আক্রান্ত ছিল ১ হাজার ৪৩০ জন, মৃত্যুবরণ করেছে ৯ জন এবং চলতি মাসের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত ৩৬৯ জন ও মৃত্যুবরণ করেছে ৭ জন। বিগত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল ২ হাজার ৭৭৯জন, মৃত্যুবরণ করেছিল ১২ জন এবং নভেম্বর মাসে (২০২৩ সাল) ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল ১ হাজার ২৫৪ জন ও মৃত্যুবরণ করেছিল ১৬ জন। আক্রান্তরা সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব বলে তিনি মতামত ব্যক্ত করেন।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) রায়হান উদ্দিন খান, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সৈয়দ মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সাদি-উর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ শরীফ উদ্দিন, মেট্টো এনএসআই’র উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ, র‌্যাব-৭ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল, কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের প্রতিনিধি লেঃ শাকিব মেহবুব, জেলা এনএসআই’র সহকারী মোঃ রেজাউল করিম, আনসার-ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ আবু সোলায়মান, ৪৩ বিজিবি’র প্রতিনিধি সুবেদার মোঃ মশিউর রহমান, ৮ বিজিবি’র প্রতিনিধি নায়েক সুবেদার মোঃ মুনছুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী (ফটিকছড়ি), এবিএম মশিউজ্জামান (হাটহাজারী), হিমাদ্রী খীসা (বোয়ালখালী), মাহফুজা জেরিন (মিরসরাই), রিগ্যান চাকমা (সন্ধীপ), কে.এম রফিকুল ইসলাম (সীতাকুন্ড), আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী (পটিয়া), রাজীব হোসেন (চন্দনাইশ), মিল্টন বিশ্বাস (সাতকানিয়া), জেসমিন আক্তার (বাঁশখালী), মাসুমা জান্নাত (কর্ণফুলি), অংগাজাই মারমা (রাউজান), মিল্টন বিশ্বাস (সাতকানিয়া), ইশতিয়াক ইমন (আনোয়ারা), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির খোন্দকার, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী, মহানগর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রফিকুল্লাহ, বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি খোকন চন্দ্র ঘোষ, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের প্রভাষক মোঃ শাহ আলম, জেলা পিপি এডভোকেট আশরাফ হোসেন, মহানগর পিপি এডভোকেট মোঃ মফিজুল হক ভূইঁয়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি মোঃ আশরাফ উদ্দিন প্রমূখ। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

  • পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যে রুপেই ফিরুক প্রতিরোধ করা হবে

    পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যে রুপেই ফিরুক প্রতিরোধ করা হবে

    একটি ধর্মীয় সংগঠনের অনুসারীরা  হাজারিগলিতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছে । পতিত স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ওই উগ্র ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তাদের সেই স্বপ্ন ছাত্র জনতা রাজপথে রুখে দেবে।

    পুলিশের উপর এসিড নিক্ষেপের প্রতিবাদে বুধবার (৬ নভেম্বর)  বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

    মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসী আক্রমণের প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ।

    রাসেল আহমেদ  বলেন, ‘গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের মানুষ এক রক্তক্ষয়ী কিন্তু অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছে। প্রবল গণরোষের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। সনাতন ধর্মের অনুসারীদের  রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ। পতিত স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করার স্বপ্ন ছাত্র জনতা সফল হতে দেবে না।’

    রাসেল আহমেদ আরও বলেন, ‘হাজারীগলিতে হামলার সাথে যারা জড়িত ছিল তারা ‘জয় শ্রীরাম’ বলে স্লোগান দিয়েছে। আর ফেসবুকে যে মিথ্যা প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছি, একটি উগ্রবাদী কুচক্রী সংগঠনের সমর্থকরাই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত রয়েছে।’

    বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক  এজিএম বাপ্পী, ইবনে হোসাইন, হামিম আবদুল্লাহ।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক  এজিএম বাপ্পী বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশ। একটি উগ্রবাদী সংগঠন দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির জন্য নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। ছাত্র জনতার  বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া স্বৈরাচারের দোসরদের রাজপথে মোকাবিলা করা হবে।’

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার প্রোফাইলে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন। সেখানে ইসকন নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য ছিল। ফটোকার্ড সম্বলিত সেই পোস্ট ৫ নভেম্বর নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেন হাজারী গলির মিয়া শপিং সেন্টারের মোল্লা স্টোর নামে দোকান মালিক ওসমান গণি। আর সেই পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে একইদিন বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয়দের একাংশ সেই দোকান ভাঙচুর করে এবং ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ চালায়।একপর্যায়ে তাকে অবরুদ্ধ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় বিক্ষুব্ধরা পোস্টদাতা ওই ব্যক্তিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হয় বিক্ষুব্ধরা। এরপর তারা পুলিশ ও সেনাসদস্যদের ওপর ‘এসিড’ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা সংঘর্ষে জড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে। এরপরই জড়িতদের গ্রেফতারে রাত আনুমানিক ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা।মঙ্গলবার রাতে হাজারীগলিতে পুলিশের ওপর এসিড নিক্ষেপ, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সাত জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে প্রায় ৮০ জনকে আটক করা হয়।

  • হাজারি গলি থমথমে, সন্দেহভাজন ৮০ জন আটক

    হাজারি গলি থমথমে, সন্দেহভাজন ৮০ জন আটক

    চট্টগ্রাম নগরের হাজারি গলিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন ৮০ জনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে পুরো এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি, দোকানপাট সিলগালা।

    বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরের দামপাড়ায় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলন করে যৌথবাহিনী। যৌথবাহিনীর পক্ষে টাস্কফোর্স-৪ এর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট থানায় প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদসহ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে হস্তান্তরের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং হাজারি গলিসহ নগরীর অন্যান্য এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই সেনাকর্তা বলেন, ‘আইন তার নিজস্ব ধারায় চলবে। মাঠপর্যায়ে আমরা গোয়েন্দা তথ্য যাচাই বাছাই করছি। সে অনুযায়ী আমরা আইনি প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করবো। সরকার পতনের পর যেসব শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছে, সেসব সমাবেশে যেন শান্তি বিঘ্নিত না হয় আমরা সেজন্য সরকারের গাডলাইন অনুযায়ী কাজ করেছি।’

    হাজারি গলির দোকান সিলগালার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ওই এলাকায় সেনা ও পুলিশ সদস্যের ওপর এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে-সেই প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দোকানগুলো সিলগালা করা হয়৷ আমরা সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বেড়াচ্ছি। অতিসত্তর তদন্তকার্যক্রম শেষ করে দোকানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা হবে।’

    আটক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীদের কোনো পলিটিক্যাল পরিচয় আসলে আসে না। তাদের জাতি, ধর্ম, বর্ণ নেই।’

    সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‍্যাব) প্রতিনিধি।

    থমথমে এলাকা, দোকান সিলগালা

    এদিকে, আজ (বুধবার) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাজারি গলির স্বর্ণ এবং ওষুধসামগ্রী বিক্রির দোকান বেশিরভাগই সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অনেক ওষুধ ক্রেতা ওষুধ কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন। আর যেসব দোকান খোলা রয়েছে তারাও অবসর সময় কাটাচ্ছেন।

    কয়েকজন দোকানির সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাতের দিকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও সকাল নাগাদ তা শিথিল করা হয়েছে। সিলগালা করা দোকান কবে খুলবে—তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারাও।

    দেখা গেছে, টেরিবাজার মোড় হয়ে হাজারি গলি সড়কের প্রবেশ পথের গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। অন্যদিকে, কেসিদে সড়কের মুখেই রাখা আছে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যান। ওই সড়কটি বর্তমানে চালু রয়েছে।

    যা ঘটেছিল

    টাস্কফোর্স-৪ এর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় ওসমান আলী নামে একজন ব্যক্তির ইসকনবিরোধী একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে টেরিবাজার এলাকার হাজারি লেইনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আনুমানিক ৫০০ থেকে ৬০০ জন দুষ্কৃতকারী হাজারি লেনে ওসমান আলী ও তার ভাইকে হত্যা এবং দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। স্থানীয় কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যদের ৬টি টহল দল সেখানে পৌঁছায়।’

    তিনি বলেন, ‘বিশৃঙ্খলাকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় জানমাল রক্ষা এবং মবজাস্টিস রোধে যৌথবাহিনী ওসমান আলী ও তার ভাইকে উদ্ধার করে। উত্তেজিত জনতাকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধানের বিষয়টি আশ্বস্ত করা সত্ত্বেও একপর্যায়ে উগ্র বিশৃঙ্খলাকারীরা আরো আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। দুর্বৃত্তরা এ সময় যৌথবাহিনীর ওপর অতর্কিতভাবে জুয়েলারির কাজে ব্যবহৃত এসিড-হামলা চালায় এবং ভারী ইটপাটকেলসহ ভাঙা কাঁচের বোতল ছুঁড়তে শুরু করে।’

    ফের হামলার কথা জানিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘ফলে সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য এবং ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত সেনাসদস্যরা বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন। এছাড়া, ঘটনাস্থলে দুর্বৃত্তরা ইট ছুঁড়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে ফেলে। উদ্ধার অভিযানের পর দুর্বৃত্ত শনাক্তকরণে যৌথবাহিনীর ১০টি টহল দল আনুমানিক ৯টার দিকে ওই এলাকায় গেলে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতকারীরা ফের যৌথবাহিনীর ওপর এসিড সদৃশ ছুঁড়তে শুরু করে। এ সময় যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৮০ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।’

  • চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী লেদু গ্রেফতার

    চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী লেদু গ্রেফতার

    চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো ছাত্রলীগকর্মী আবদুল নবী লেদুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে নগরীর খুলশী থানার গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    পুলিশ জানায়, ১৬ জুলাই থানাধীন মুরাদপুর এন মোহাম্মদ প্লাস্টিকের বিপরীত পাশে জুমাইরা বিল্ডিংয়ের সামনে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিল। আসামি আবদুল নবী লেদু আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর গুলি ছোড়ার সাথে সম্পৃক্ত।

    নিহত ফার্নিচারকর্মী মোঃ ফারুক বহদ্দারহাটে ভাত খাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় মুরাদপুর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিতে নিহত হয়। এ বিষয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানায় মামলা হয়। মামলায় ২৬৯ আসামির মধ্যে তার নাম রয়েছে।

    তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলার তার নাম রয়েছে। ৫ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামির উপস্থিত নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭।

    আসামিকে পাচঁলাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে পলিথিন কারখানায় সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা

    চট্টগ্রামে পলিথিন কারখানায় সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা

    সারাদেশে নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (৩ নভেম্বর) এ অভিযান চালানো হয়।

    এ সময় চট্টগ্রামের আকবর শাহ বিশ্বকলোনী কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি কারখানার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

    এছাড়াও কর্নেল হাট কাঁচাবাজারে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১১৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রামের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাফিল জাহান।

    এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাফিল বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধ করতে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে।

  • রেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক’র হয়রানিমূলক মামলা

    রেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক’র হয়রানিমূলক মামলা

    বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী ফরিদ আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক বর্তমানে বেজার উপ-সচিব মুহাম্মদ রাশেদুল আমিন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী তাপস কুমার দাস এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির স্বত্বাধিকারী এএসএম ইকবাল মোর্শেদকে আসামি করে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা করেন দুদক।

    সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম- ১ এর উপপরিচালক আহসানুল কবীর পলাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

    এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পাহাড়তলী ডিপো হতে ১৪৬ দশমিক ৯২৭ টনের কাঁচা লোহা (পিগ আয়রন) ক্রয়ের চাহিদা প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠানো হয়। ওই অর্থবছরে বাজেট স্বল্পতার কারণে ১৪৬ দশমিক ৯২৭ টনের পরিবর্তে ৮৫ মেট্রিক ক্রয় করা যেতে পারে বলে ক্রয় পরিকল্পনার অনুচ্ছেদ ৫.১-এ উল্লেখ করা হয়। সেই মোতাবেক প্রাক্বলিত ব্যয় নির্ধারণী কমিটি বাজার যাচাইপূর্বক প্রতি টন কাঁচা লোহার দাম ২ লাখ ৩৪ হাজার ১০০ টাকা নির্ধারণ করেন। ওই মালামাল ক্রয়ের আনুমানিক সরকারি খরচ অনুমোদন দেওয়া হয় ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর এবং প্রতিবেদন দাখিল হয় একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর। সবশেষ মালামাল ক্রয়ের চুক্তিপত্র সম্পাদিত হয় ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রাক্কলন ব্যয়ের ৩১ শতাংশ কমে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মালামাল সরবরাহের কাজ পায়। কিন্তু মালামাল সরবরাহ না করে বিল নিয়েছে বলে দুদক অনুসন্ধানে পেয়েছে।  ক্রয়ের প্রাক্কলন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বাজারমূল্য ৩ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ৬০০ টাকা। টেন্ডার কমিটির সদস্যরা ঠিকাদারের সাথে পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়াসহ প্রতারণামূলকভাবে পিপিআর ২০০৮ এর ধারা লঙ্ঘন করে। ফলে চাহিদাকৃত ১৪৬ দশমিক ৯২৭ টনের পরিবর্তে ৮৫ টন সরবরাহ দেখিয়ে মালামাল সরবরাহ না করে সরকারের ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে।

    দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

    কিন্তু মামলায় অভিযুক্তরা বলছেন ভিন্নকথা। তারা বলেন, একটি পক্ষ আমাদের সম্মানহানি করার জন্য এধরণের তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন।

    রেলবুদ্ধারা বলছেন, মালামাল ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান ও মূল্যায়নের সঙ্গে জড়িত কমিটির সদস্যরা মামলার আসামি হলেও মালামাল পরিদর্শন, পরীক্ষণ ও গ্রহণের সঙ্গে জড়িতদের মামলায় আসামি করা হয়নি। প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকসহ মুল্যায়ন কমিটির সদস্যরা মালামাল গ্রহণ ও মুল্য পরিশোধের সঙ্গে জড়িত নয়। ফলে এখানে মালামাল গ্রহণ, পরীক্ষণ ও বণ্টনের সঙ্গে জড়িত দপ্তরগুলো মূলত দায়ী হওয়ার কথা।

    জানা গেছে, প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে ৮৫ মেট্রিক টন পিগ আয়রন ক্রয়ে ইজিপি দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির সঙ্গে চুক্তি হয়। সরবরাহকারী মালামালগুলো জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের পরিদর্শন দপ্তরে সরবরাহ করে। পরিদর্শন দপ্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গ্রহণ করে ও গ্রহণপত্র জারি করে। ওই গ্রহণপত্রের ভিত্তিতে হিসাব বিভাগ থেকে বিল পরিশোধ করা হয়। এরপর মালামালগুলো পরিদর্শন দপ্তর থেকে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক, পাহাড়তলী ডিপো ও সৈয়দপুর জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে পাঠায়। প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকসহ মুল্যায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ দরপত্র আহ্বান ও মুল্যায়নের সংগে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। মালামাল গ্রহন ও মুল্য পরিশোধের সংগে জড়িত ছিলেন না।

  • স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে অর্থপাচার করে ভারতে পালানোর চেষ্টায় প্রতারক  দুই ভাই

    স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে অর্থপাচার করে ভারতে পালানোর চেষ্টায় প্রতারক দুই ভাই

    চট্টগ্রামের স্বনামধন্য মিমি সুপার মার্কেটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মন্দিরা জুয়েলার্সের মালিক রাজেস তলাপাত্র এবং রাকেশ তলাপাত্র এরা দুই জনই আপন ভাই মিমি সুপার মার্কেটে  স্বর্ণ ব্যবসাকে পুঁজি করে সাধারণ গ্রাহক হতে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করে প্রতারক এই দুই ভাই পালিয়েছে। 

    জানা যায়, রাজেস এবং রাকেশের পিতার নাম রনজিত তলাপাত্র। তারা চট্টগ্রামস্থ লাভলেইনে ভাড়া বাসায় থাকেন। তবে মূল বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সদরে। কিন্তুু এরা দুই ভাই দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম মিমি সুপার মার্কেট ২য় তলায়  মন্দিরা জুয়েলার্সের নামের একটি  দোকান খুলে প্রথমে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে পরে আস্তে আস্তে  প্রতারণা শুরু করেন।প্রথমে বিশ্বাস অর্জন করে পরে প্রতিবেশী বন্ধু বান্ধব সকলের কাছ থেকে টাকার প্রয়োজন হলে হাওলাদ নেন,পরে বিশ্বাস জমানোর জন্য আবার ফেরত দিতেন, কিন্তূ আবার হঠাৎ টাকার প্রয়োজন বলে তার দোকানের চেক দিয়ে কোটি কোটি টাকা নিয়ে এখন তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিয়ে উধাও এই প্রতারক দুই ভাই। অনেক লোক জন স্বর্ণ  বন্ধক দিয়ে টাকা নিয়েছেন,এখন সকলের মাথায় হাত,তাদের এই প্রতারনার শিকার হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলে আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু আমি ও একজন ব্যাবসায়ী আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা ধার নিতেন আবার ফেরত দিলে ও এইবার বলল তার খুব জরুরী টাকা দরকার এক মাসের  মধ্যে ফেরত দিবে বলেন।পরে তাদের দুই ভাই কে আমি আমার ব্যাবসায়ী প্রতিষ্টান থেকে নগদ টাকা  ও আমার স্ত্রীর প্রায় বিশ ভরি স্বর্ণ দিয়ে ৮০লক্ষ টাকা প্রদান করলে, তারা  আমার কাছে তাদের মন্দিরা জুয়েলার্স এর চেক প্রদান করেন। কিন্তূ বেশ কয়েকদিন যাবৎ তাদের ফোন বন্ধ পাইলে তাদের বাসায় গিয়ে দেখি তাদের বাসা ও বন্ধ, পাশ্ববর্তী লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন আজ বেশ কয়েকদিন যাবৎ বাসায় আসেন না।  বাড়িওয়ালা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এরা বাসা ছেড়ে চলে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি, আমি কি করব বুঝতে পারছিনা।পরে তাদের বিষয় টি জানাজানি হলে সেই আমার মতে অনেকের কাছ থেকে এই ভাবে তারা শত শত কোটি আরো অনেক বন্ধু বান্ধব এর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে গেছে এই দুই প্রতারক।

     

    আরো জানা যায়, রনজিত তলাপাত্রের দুই সন্তান রাজেস তলা পাত্র এবং রাকেশ তলা পাত্র মিমি সুপার মার্কেটের মন্দিরা জুয়েলার্সের দোকানটি পুঁজি করে বিভিন্ন গ্রাহক হতে স্বর্ণ মেরামত, নিম্মমানের স্বর্ণ বিক্রি, পুরাতন স্বর্ণের বদলে নতুন স্বর্ণ প্রদান, স্বর্ণ বিক্রির অগ্রীম অর্থ সংগ্রহ করে।

    এছাড়াও মিমি সুপার মার্কেটের মন্দিরা জুয়েলার্স দোকানটি বিক্রি করবে বলে বিভিন্ন গ্রাহক হতে কোটি টাকা আত্মসাৎ ও করেছে বলে জানা যায়।

    বর্তমানে মিমি সুপার মার্কেটের মন্দিরা জুয়েলার্স দোকানটিতে অনেক স্বর্ণ ক্রেতা যারা অগ্রীম স্বর্ণ ক্রয়ের জন্য টাকা দিয়েছে ঐ সকল গ্রাহক প্রতিদিন ভীড় করছে। একজন গ্রাহকের তথ্য মতে, দোকানটি বর্তমানে তিনি মিমি সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির মাধ্যমে পাশের দোকানদারকে বিক্রি করেছে। সর্বশেষ তথ্য মতে, তিনি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার সীমান্ত দিয়ে তার পুরো পরিবার ভারতে পালানোর চেষ্টা করছে।

    ভুক্তভোগী লতা মন্ডল বলেন, তলাপাত্ররা স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে সুদের ব্যবসা করে আসছেন। সংসারের দায়বশত প্রায় ১৪ মাস আগে ৭ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বন্ধক রাখি তলাপাত্রের কাছে। এর জন্য প্রতি মাসে তাকে ১৫০০ টাকা করে মোট ২১ হাজার টাকা সুদ দিয়েছি। পরে মূল ২০ হাজার টাকা দিয়ে বন্ধকি চেইনটি আনতে গেলে তিনি অতিরিক্ত আরও ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন।

    আরেক অভিযোগকারী পলাশ দে জানান, তিনি আরোবী জুয়েলার্সের কারিগর। তার দোকানে হিলভিউ এলাকার ফরিদ মোল্লার স্ত্রী সোনিয়া নামের একজন ক্রেতা আসে বন্ধকি রেখে কিছু টাকা নেওয়ার জন্য। সোনিয়া তার বিপদের কথা জানালে তিনি তার মালিকের সঙ্গে পরামর্শ করে পাশের দোকানদার তলাপত্রের কাছে ১৪ আনা ৫ রতি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও এক জোড়া কানের পাশা বন্ধক রেখে ৫০ হাজার টাকা তাকে দেন। মাসখানেক পর মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে গহনা চাইলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। টাকা নিয়েও এখন পর্যন্ত তিনি গহনা ফেরত দেননি।

    পাঁচলাইশের আরেক ভুক্তভোগী রাজিব সেন জানান, মাস চারেক আগে একটি স্বর্ণের গহনা রেখে তলাপত্রের কাছ থেকে ৪৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা সুদ দিয়েছেন তাকে। পরে মূল টাকা ফেরত দিলেও এখনও তিনি তার গহনা ফেরত দিচ্ছেন না। তার কাছে প্রমাণ রয়েছে বলেও তিনি জানান।

    এ বিষয়ে তলাপাত্রদের দোকানে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

    এই ব্যাপারে পাঁচলাইশ  থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সোলায়মান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পাইলে তদন্ত করে  আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।      প্রতিবেদন চলবে …….

  • চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের গণমিছিল

    চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের গণমিছিল

    গণগ্রেপ্তার ও শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে গণমিছিল করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।

    শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজ শেষে নগরীর আন্দরকিল্লা মসজিদ থেকে মিছিল শুরু করেন তারা। নামাজ শেষ হওয়ার পর মসজিদ থেকেই স্লোগান দিতে দিতে সড়কে নেমে আসেন তারা। মিছিল নিয়ে আন্দরকিল্লা-লালদিঘী-কোতোয়ালি মোড় হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে যান আন্দোলনকারীরা।

    আন্দোলনকারীরা যখন নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেন, তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই সময় অনেকে ছাতা নিয়ে, কেউ আবার বৃষ্টিতে ভিজে স্লোগান দিচ্ছেন। ছাত্রদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকশ ছাত্রীও। সবার মুখে একই স্লোগান- উই ওয়ান্ট জাস্টিস।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার ও শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজকের কর্মসূচি। এ কর্মসূচির কাছে বৃষ্টি কিছুই না।

    তিনি আরও বলেন, শুধু ছাত্র-ছাত্রীই নয়, আমাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও অংশ নিয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।