Tag: চট্টগ্রাম

  • চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার গ্রেপ্তার

    চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার গ্রেপ্তার

    ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘ক্যাডার’ হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করা চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে নগরীর অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।

    তিনি বলেন, অনন্যা আবাসিক এলাকার একটি নির্জন বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন সরোয়ার। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গত ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা ও তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সরোয়ার। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

    সরোয়ারের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ২০২০ সালে গ্রেপ্তারের পর জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক ছিলেন তিনি।

    সরোয়ারের নাম চট্টগ্রাম পুলিশের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীর’ তালিকাতেও রয়েছে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

  • চট্টগ্রামে ৩০ মামলায় গ্রেপ্তার ৮৪৭

    চট্টগ্রামে ৩০ মামলায় গ্রেপ্তার ৮৪৭

    কোটা আন্দোলন ঘিরে চট্টগ্রাম নগরীর বড়পোল মোড়ে নাশকতার অভিযোগে নতুন করে আকবরশাহ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এতে ৩৭ জনকে এজাহারনামীয় ও ৭০ থেকে ৭৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে আকবরশাহ থানার পাক্কা রাস্তার মোড়ে কিছু লোক জড়ো হয়ে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

    পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ জুলাই রাত থেকে শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৪৭ জনকে।

    সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার ঘটনায় ১৯টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ জনসহ মোট ৪৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

    চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন ঘিরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় ১১টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনসহ মোট ৩৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

  • চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ

    চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ

    চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে।

    বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টায় সেতুর বাকলিয়া অংশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয় এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, এ সময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ছোঁড়ে পুলিশ। জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট ছুঁড়ে মারেন। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ও পথচারী অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    এদিকে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগে ওই এলাকায় কিছু কিছু বাস, টেম্পো, অটোরিকশা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল করলেও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করার পর যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে নগরের অন্যান্য এলাকায় কিছু গণপরিবহন চলাচল করছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল তেমন একটা নেই।

    সিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আশরাফুল আলম বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অবস্থান নেওয়ার তথ্য আছে পুলিশের কাছে। এজন্য নাশকতা এড়াতে পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়েছে বলে জানান তিনি।

  • চট্টগ্রামে সংঘর্ষ: চার মামলায় আসামি সাড়ে ৭ হাজার

    চট্টগ্রামে সংঘর্ষ: চার মামলায় আসামি সাড়ে ৭ হাজার

    চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও দুই ব্যক্তি বাদী হয়ে চারটি মামলা দায়ের করেছেন। এসব মামলায় অজ্ঞাত সাড়ে সাত হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার নগরের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

    নগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫০০০ থেকে ৬৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে তিনটি মামলা হয়েছে পাঁচলাইশ থানায়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং সংঘর্ষে আহত একজনের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আরও মামলা দায়ের হবে।

    তিনি বলেন, এছাড়াও নগরের খুলশি থানায় একজনের নাম উল্লেখসহ সাড়ে পাঁচশত জনকে আসামি করা হয়েছে। একজন ভুক্তভোগী মামলাটি করেছেন। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।

    পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, তিনটি মামলার মধ্যে হত্যার দায়ে করা মামলায় অজ্ঞাত সাড়ে ৬ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বিস্ফোরণের দায়ে ১০০-১৫০ এবং হামলার ঘটনায় এক নারী ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

    তিনি জানান, নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন

    ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন

    চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

    প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

    গতকাল সোমবার দুপুর থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।

    আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধে গোটা রাজধানী অচল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সর্বত্র শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে এসেছেন। দুপুরের পর থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব ও চানখারপুল এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।

    শেষ খবর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন।

  • চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ৩

    চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ৩

    চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। দুজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে।

    নিহতদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিম(২০), ফারুক নামের ফার্নিসার দোকানের কর্মচারী,  অপরজন পথচারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ওয়াসিমের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলায়। সে নগরীর বহদ্দারহাটে থাকতো।

    মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, বলেন, দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত আরও ৯ জন আসছে।

    জানা গেছে, এদিন বিকেল ৩টা থেকে নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহর আশপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম কলেজের এক শিক্ষার্থী ও একজন পথচারী নিহত হন। ষোলশহর শিক্ষা বোর্ড এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মাঝে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছে। মুরাদপুর অংশে অবস্থান নিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা।

    সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতদের একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী, আরেকজন পথচারী। দুজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে।

    উল্লেখ্য, চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা বা নাতিপুতি’ বলা হয়েছে অভিযোগ করে রোববার রাত থেকে প্রতিবাদ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। এবার সেই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

  • শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ষোলশহর

    শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ষোলশহর

    চট্টগ্রাম নগরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাংবাদিক, পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

    সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় নগরীর ষোলশহর এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিট) সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ ঘটনায় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা ষোলশহর রেল স্টেশন ও মোড়ে অবস্থান নেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুই নম্বর গেট ও মুরাদপুর এলাকায় অবস্থান নেন।

    এরপর বিকেল ৫টায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে দুই নম্বর গেট থেকে ষোলশহরের দিকে আসেন। এরপর সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বেশ কয়েকবার বিকট শব্দ শোনা গেছে।

    এসময় আন্দোলনকারীরা রেল লাইন থেকে পাথর নিয়ে নিক্ষেপ করতে থাকেন। তখন তাদের হাতে বাঁশ, লাঠিও দেখা যায়। অন্যদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতেও পাথর, বাঁশ, লাঠি দেখা যায়।

    এতে দীপ্ত টিভির করেসপন্ডেন্ট লতিফা রুনা পায়ে আঘাত পান। পুলিশের এক সদস্যও রক্তাক্ত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে।

    অন্যদিকে পুলিশকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে দেখা গেছে। জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।

  • কোটা আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    কোটা আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

    কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে মিছিল নিয়ে ২ নম্বর গেটে আসেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে চকবাজারের দিকে যান।

    মিছিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চবি অধিভুক্ত কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এর আগে, বিকেল ৪টায় চবির শাটল ট্রেনে চড়ে শিক্ষার্থীরা ১৮ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে আসেন।

    শিক্ষার্থীরা এ সময় আমার ভাইয়ের রক্ত কেন? প্রশাসন জবাব চাই, আমার বোনের রক্ত কেন? প্রশাসনের জবাব চাই, চট্টগ্রাম-কুমিল্লায় রক্ত কেন? প্রশাসনের জবাব চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন।

    আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আসাদ বলেন, আমরা সাড়ে চারটায় (বিকেল) পূর্ব ঘোষিত স্থানে আসার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েছি। ট্রেনে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় বেশি লাগে। আনুমানিক ৫টার দিকে আমরা ষোলশহর স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছি। এরপর ২ নম্বর গেট হয়ে প্রবর্তকের দিকে যাচ্ছি। ওখান থেকে চকবাজার হয়ে ষোলশহর স্টেশনে ফেরার কথা রয়েছে।

    আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক মো. রাসেল আহমেদ ও মো. আরেফিন বলেন, আমরা এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অতিক্রম করছি। রোগীদের কথা বিবেচনা করে আমরা কোনো শ্লোগান ছাড়া হাসপাতাল এলাকা অতিক্রম করছি। আমাদের আন্দোলনে কারও যেন সমস্যা না হয়, সেটি মাথায় রেখেই আমাদের কর্মসূচি পালন করছি।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দাবি না মেনে নিয়ে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে। পুলিশ অন্যায়ভাবে আমাদের ওপর হামলা করছে। আমরা এসব মেনে নিব না।

    উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রাম-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

  • তরুণীর ভারতে হারানো আইফোন উদ্ধার করল চট্টগ্রাম ডিবি

    তরুণীর ভারতে হারানো আইফোন উদ্ধার করল চট্টগ্রাম ডিবি

    ভারতীয় তরুণীর হারিয়ে যাওয়া একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে। গত ৬ জুন থানার রিয়াজউদ্দিন বাজারের জলসা মার্কেট থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। এরপর আইনিপ্রক্রিয়া মেনে রোববার (৭ জুলাই) ভারতের কলকাতায় মোবাইলটি পৌঁছে দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

    রোববার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে সিএমপির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইলটির মালিক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বাসিন্দা দীপান্বিতা সরকার। তিনি একটি মেডিকেলে স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৬টা থেকে ৭টা ৫ মিনিটের মধ্যে কলকাতার মহেশতলা থানার এলাকায় তিনি মোবাইলটি হারিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দীপান্বিতা মহেশতলা থানায় একটি অভিযোগ করেন।

    কিছুদিন পরে দীপান্বিতার কাছে একটি ই-মেইল যায়। এতে তিনি জানতে পারেন হারানো মোবাইলটি চট্টগ্রাম শহরে চালু হয়েছে। তখন তিনি সিএমপির অফিসিয়াল পেজে যোগাযোগ করে তার অভিযোগের কপি ও মোবাইল চালু হওয়ার লোকেশন পাঠান। ম্যাসেজ পেয়ে সিএমপির পক্ষ তাকে আশ্বস্ত করা হয় মোবাইলটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সিএমপি জানায়, হারানো মোবাইল উদ্ধার করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় নগর ডিবির বন্দর ও পশ্চিম জোনকে। এ জোনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রবিউল ইসলাম ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেন।

    এসআই মো. রবিউল ইসলাম বলেন, মোবাইলটিতে কোনো সিম ঢুকানো হয়নি। তাই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তদন্ত শুরু করা হয়। যেহেতু মোবাইলের লোকেশন রিয়াজউদ্দিন বাজারের জলসা মার্কেটে দেখানো হয়েছে, সেটিকে সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করি। প্রথমে রিয়াজউদ্দিন বাজারে কারা ভারত থেকে চোরাই মোবাইল আনে তার খোঁজ নিয়ে তালিকা প্রস্তুতি করি। এ তালিকায় চারজনের নাম পাওয়া যায়। এর মধ্যে তিনজনই তামাকুমুন্ডি লেন এলাকার। বাকি একজন হলেন জলসা মার্কেটের। এ কাজে আমার ৭-৮ দিন সময় লাগল।

    তিনি আরও বলেন, শনাক্ত হওয়ার পর আমরা জলসা মার্কেটে টার্গেট করা দোকানে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত দোকানমালিক ফোনটি একজন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। গত ৬ জুন মোবাইলটি আমরা পাই। এরপর থেকে জলসা মার্কেটের ওই দোকানটি বন্ধ রয়েছে। আমরা শিগগিরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করব। এছাড়াও রিয়াজউদ্দিন বাজারে চোরাই মোবাইলের মার্কেটে বড় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

    এসআই রবিউল বলেন, একমাস আগে উদ্ধার হলেও ভারতীয় নীতিমালার কারণে কোনো মাধ্যমে মোবাইলটি ওই দেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ ভারতে ব্যবহৃত মোবাইল পাঠানোর নিয়ম নেই। একপর্যায়ে গত রোববার আমাদের বিশ্বস্ত এক লোকের মাধ্যমে মোবাইলটি ওই তরুণীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হারানো মোবাইল অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি হয়েছেন এবং পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, সিএমপির পেজে মেসেজ পেয়ে আমরা বিষয়টি নিয়ে তৎপর হই। এ ঘটনায় ডিবির একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে মোবাইলটি উদ্ধার করেছে। রোববার ভারতীয় নাগরিকের হাতে মোবাইলটি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

  • চট্টগ্রামের অধিকাংশ বিপণিবিতানে নেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা

    চট্টগ্রামের অধিকাংশ বিপণিবিতানে নেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা

    চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ বিপণিবিতানে নেই নিজস্ব কোনো আগুন নেভানোর ব্যবস্থা। ফলে এখানে আগুন লাগলে বড় রকমের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সবাই। ফায়ার সার্ভিস বলছে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে মার্কেটগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এসব মার্কেট প্রতিষ্ঠার সময় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পরিকল্পনায় রাখা হয়নি, যার ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রতিটি মার্কেট।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রামের ব্যস্ততম রেয়াজুদ্দিনবাজার মোড় থেকে স্টেশনরোড পর্যন্ত ছোট-খাটো বিপণিবিতানের সংখ্যা অন্তত চার শতাধিক। এসব মার্কেটে প্রতিদিন লক্ষাধিক দোকান-কর্মচারী, মালিক ও ক্রেতার সমাগম ঘটে। রোজায় ক্রেতার সংখ্যা বাড়ে আরও কয়েকগুণ।

    কিন্তু সরু ঘিঞ্জি পরিবেশে অপরকিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব মার্কেটে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। কোনো কারণে এসব মার্কেটে আগুন লাগলে পরিস্থিতি কী হবে তা ভেবে শঙ্কিত ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই।

    ক্রেতারা বলছেন, বিপণিবিতানগুলোতে নিজস্ব কোনো আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই বলে আগুন লাগলে বড় ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।

    ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমন ঘিঞ্জি পরিবেশে শত শত দোকান থাকায় যে কোনো সময় এখানে আগুন লাগতে পারে। মার্কেটের এক মাথায় কিছুদিন আগেও আগুন লেগেছিল।

    সম্প্রতি বিভিন্ন আগুনের ঘটনার পর বিপণিবিতানগুলোকে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা রাখার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহাকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা পরামর্শ দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা তা না মানলে অগ্নিঝুঁকির পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। তবে আমরা আশা করছি মার্কেট কর্তৃপক্ষ আমাদের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করবেন।’

    এদিকে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ কবির দুলাল জানান, এসব মার্কেট প্রতিষ্ঠার সময় যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। এতকাল পর এসে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়াও কঠিন।

    তবে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট গুটিয়ে নিচ্ছে ওমান এয়ার

    চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট গুটিয়ে নিচ্ছে ওমান এয়ার

    চট্টগ্রাম থেকে এবার ফ্লাইট পরিচালনা কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে ওমান এয়ার। আগামী ৮ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দিচ্ছে ওমানের জাতীয় বিমান সংস্থাটি। এ দিন শেষ ফ্লাইট ছেড়ে যাবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। এরপর চট্টগ্রাম কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এয়ারলাইন্সটির। এ নিয়ে মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রাম থেকে বিদেশি দু’টি বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইট তুলে নিল।

    এদিকে, ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও হঠাৎ ওমান এয়ারের বন্ধের ঘোষণায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে এ অঞ্চলের যাত্রীদের। পাশাপাশি এর প্রভাবে মধ্যপাচ্য রুটের বিমান ভাড়াও ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও এয়ারলাইন্স সংশ্লিষ্টরা। শুধু তাই নয়, ওমরাহ মৌসুম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে টিকেটেও। বন্ধের ঘোষণাতেই অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলোর ওমরাহ টিকেটের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর নিয়ে জানা যায়, ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম-মাস্কট রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর কার্যক্রম শুরু করে ওমান এয়ার। যার ফলে মধ্যপাচ্যের দেশ ওমানে অবস্থানরত চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রবাসীদের যাতায়াত সুবিধাও অনেকটা বৃদ্ধি পায়। শুরুর দিকে সপ্তাহে পাঁচদিন ফ্লাইট পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে প্রতিদিনই ফ্লাইট চালু করে এয়ারলাইন্সটি। যদিও চালু হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করেছিল ওমান এয়ার। সর্বশেষ মহামারী কোভিডের সময় কিছুদিন ফ্লাইট বন্ধ ছিল। বর্তমানে সপ্তাহের রবি, সোম, বুধ এবং শুক্রবার ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। তবে এবারের বন্ধের ঘোষণা অনেকটাই ‘রহস্যময়’ বলে ধারণা সেবা প্রদানকারী এজেন্সিগুলোর।

    জানতে চাইলে ওমান এয়ার চট্টগ্রাম স্টেশন প্রধান মো. আসিফ চৌধুরী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৮ মার্চের পর চট্টগ্রাম থেকে ওমান এয়ারের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে। তবে ঢাকা থেকে যথারীতি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। চট্টগ্রামে ওমান এয়ারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে, সর্বশেষ ফ্লাইটেও ৯৫ শতাংশ যাত্রী রয়েছে। শুধুমাত্র ‘নেটওয়ার্ক রি-রাউটিং’র কারণে সাময়িক বন্ধ হচ্ছে।’

    বাড়বে টিকেটের মূল্য, দুর্ভোগের শঙ্কা :

    চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পরিচালিত হওয়া ওমান এয়ারের বেশিরভাগ যাত্রী জেদ্দা ও মধ্যপ্রাচ্যগামী। এতদিন ওমান এয়ারে করে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ওমানের মাস্কট হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে পারতেন যাত্রীরা। কিন্তু চাহিদা থাকার পরও ওমান এয়ারের এমন ছন্দপতনের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের রুটে ভাড়া বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। পাশাপাশি ওমরাহ যাত্রীদেরও চড়ামূল্যে টিকেট ক্রয় করতে হবে। যাত্রীদের চরম দুর্ভোগেও পড়তে হবে বলে মনে করছেন সেবা প্রদানকারী এজেন্সিগুলো।

    এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্স অব বাংলাদেশ (আটাব) চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ‘ইতোপূর্বে ওমান ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। হয়তো এর প্রভাবের কারণে এখন চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট তুলে নিচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে প্রচুর ওমরা যাত্রী আছে। তাদের দুর্ভোগে পড়তে হবে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের রুটের টিকেট মূল্যও বেড়ে যাবে।’ হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘এখন ওমরার মৌসুম। এতদিন বাংলাদেশ বিমানসহ পাঁচটি এয়ালাইন্স ওমরাহ যাত্রী পরিবহন করতো। কিন্তু জানুয়ারি থেকে জাজিরা এয়ালাইন্স বন্ধ, এখন ওমান এয়ারলাইন্সও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ওমরা যাত্রীদের এত চাপ কীভাবে সামাল দিবো, তাতে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। অনেকে ঢাকা থেকে টিকেট কাটতে হচ্ছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই এয়ারলাইন্সটি তাদের কার্যক্রম শুরু করবে।’

    জেড. আই. ট্রাভেল্স এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের সিংহভাগ প্রবাসীর অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যে। যারা চট্টগ্রাম থেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারতেন। কিন্তু এভাবে এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট বন্ধ হতে থাকলে প্রবাসীরা আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি চরমদুর্ভোগেও পড়তে হবে। সামনে মধ্যপ্রাচ্যের রুটের টিকেটের মূল্যও অনেক বেড়ে যাবে।’

  • এসএসসি ২০০০ চট্টগ্রাম ডিভিশন’র মিলনমেলা সম্পন্ন

    এসএসসি ২০০০ চট্টগ্রাম ডিভিশন’র মিলনমেলা সম্পন্ন

    “এসো মিলি উচ্ছ্বাসে প্রাণের আবেগে হৃদয়ে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসার বন্ধনে।” বন্ধু শব্দটা ছোট হলেও এর পরিধি এতটায় বিস্তৃত যে পরিমাপ করার সাধ্য কারো নেই। তারপর ও ছোট পরিসরে বলতে গেলে বন্ধু মানেই আত্নার টান, ভালবাসার বন্ধন, হৃদয়ের সংস্পর্শ, একে অন্যের ছায়া, বড় রকমের ভরসার জায়গা।

    হাতে লাটিম নাটাই নিয়ে মাঠ-ঘাট, বই খাতা কাঁধে চেপে সেই প্রাইমারী স্কুল, দুষ্টমির সেই স্কুলের বারান্দা, স্যারদের হাতে ইচ্ছে করে মাইর খাওয়ানো আবার সেই হাতে ভাগ করে একই বক্সের টিফিন খাওয়া, বন্ধুত্বের সূচনা টা এভাবে হলেও সম্পর্কের দৃঢ়তা বেড়েছে, অন্যভাবেও।

    প্রাইমারির গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর শেষ করতে ও অনেক নাম না জানা মানুষের সাথে বন্ধুত্বের আর্বিভাব হয় আমাদের। কেউবা জীবনের তাগিদে, কেউবা উচ্চতর ডিগ্রির জন্য দেশ ছেড়ে ভিনদেশে। এভাবে আমরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে ও মনের সেই টান টা রয়েই গেছে। সবার ব্যস্ততার মধ্যেও যেন একই প্লাটফর্মে থাকতে পারি, একে অন্যের পাশে দাঁড়াতে পারি, সেই উদ্যোগে গড়ে ওঠে ০০/০২ ব্যাচের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে SSC 2000 & HSC 2002 Chattogram Division যেখানে এখন বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা প্রায় চার হাজার।

    দূর দুরন্ত থেকে ছূটে আসা সহস্রাধিক বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের সুন্দর মনোরম পরিবেশ অফিসার্স ক্লাব চট্টগ্রামে ২০০০(এস.এস.সি.) এর দুই যুগ পূর্তি উৎযাপন উপলক্ষে গ্রুপের একটি গেট টুগেদার প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।

    টি-শার্ট বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রোগ্রাম শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। যার বিবেচ্য বিষয় হিসেবে ছিল খিচুড়ি, শুভেচ্ছা বক্তব্য, ফটোসেশন, সম্মাননা, দুপুরের খাবার চুই ঝালের মেজবান, ডিজে, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বিকালের নাস্তা, র‍্যাফেল ড্র এছাড়া ও নিজেদের সুখ-দুঃখের গল্প। ভবিষ্যৎ এ ভালো কোনো পরিকল্পনা,কাউকে স্বপ্ন দেখানো বা নিজে স্বপ্ন দেখা আর অজস্র স্মৃতিচারন, সব মিলিয়ে আজ আকাশে বাতাসে প্রানের সঞ্চালন যেন চট্টগ্রামে।

    মহামিলনের এই সন্ধিক্ষণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা হয় সন্ধ্যা সাড়ে সাত টায়। গ্রুপটির মূল মন্ত্র “দেশব্যাপী ছড়ানো ছিটানো ব্যাচমেট করব সংঘবদ্ধ ব্যাচের জাগরণ সৃষ্টিতে হব মোরা ঐক্যবদ্ধ”।

    এসএসএস ২০০০ ও এইচএসসি ২০০০২ চট্টগ্রাম ডিভিশন ফেসবুক গ্রুপ পরিচালনা কমিটি এবং অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটি উক্ত মিলনমেলায় আগত সকল বন্ধুদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে অনুষ্ঠান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে এবং অনুষ্ঠানের ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সকল বন্ধুদের অনুরোধ করেছেন।