Tag: জেলা প্রশাসক

  • আরও ৮ জেলায় নতুন ডিসি

    আরও ৮ জেলায় নতুন ডিসি

    আরও আট জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (১০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

    এর আগে গত ৬ জুলাই ১০ জেলায় ডিসি পদে পরিবর্তন আনে সরকার। এর তিনদিনের মধ্যে সর্বশেষ রোববার (৯ জুলাই) আরও ১০ জেলার ডিসি পদে রদবদল আনা হয়। এর একদিন পর আবার আজ সোমবার আবার এ পরিবর্তন এলো। ফলে গত পাঁচদিনের মধ্যে ২৮ জেলার ডিসি পদে পরিবর্তন এলো।

    মেহেরপুর, শেরপুর, জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ, রংপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. শামীম হাসানকে মেহেরপুর, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমকে শেরপুর, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. ইমরান আহমেদকে জামালপুর, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপনকে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানকে রংপুর ও রেহেনা আকতারকে মানিকগঞ্জ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) মো. মাহমুদুল হককে নারায়ণগঞ্জ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কিসিঞ্জার চাকমাকে চুয়াডাঙ্গার ডিসি করা হয়েছে।

    অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গার ডিসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, মানিকগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল লতিফকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব, শেরপুরের ডিসি সাহেলা আক্তারকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, রংপুরের ডিসি চিত্রলেখা নাজনীনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, জামালপুরের ডিসি শ্রাবন্তী রায়কে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং মেহেরপুরের ডিসি মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামকে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

  • আরও ১০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক

    আরও ১০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক

    আরও ১০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। রোববার (৯ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওই প্রজ্ঞাপনে সই করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহা. রফিকুল ইসলামকে বরগুনা জেলা প্রশাসক, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব) মো. আবরাউল হাছান মজুমদারকে যশোরের জেলা প্রশাসক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপ-সচিব দেবী চন্দ্রকে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, কক্সবাজারে কর্মরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-সচিব মোহা. খালিদ হোসেনকে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে বরিশালের জেলা প্রশাসক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-সচিব (মহাব্যবস্থাপক) মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদকে ভোলার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব শাহেদ পারভেজকে নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক, আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. নূর কুতুবুল আলমকে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক, বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-সচিব শেখ রাসেল হাসানকে সিলেটের জেলা প্রশাসক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) মো. এহেতেশাম রেজাকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

    এর আগে গত ৬ জুলাই ১০ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয় সরকার।

  • পর্যটনবান্ধব একজন জেলা প্রশাসকের গল্প

    পর্যটনবান্ধব একজন জেলা প্রশাসকের গল্প

    চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখ চট্টগ্রামে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই চট্টগ্রামের মানুষ তার বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকান্ডের স্বাক্ষী হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রামের মানুষের সুস্থ বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এমন কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন যা সকল বিবেচনায় অনন্য।

    অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকের স্বর্গরাজ্য থেকে ১৯৯ একর সম্পত্তি উদ্ধার করে সেখানে দৃষ্টিনন্দন পার্ক তৈরী করেছেন। এলাকার জনসাধারন এবং সংবাদমাধ্যমের লোকজন ভালোবেসে সে পার্কের নাম দিয়েছে ডিসি পার্ক। জেলা প্রশাসন পার্কটিতে এরই মধ্যে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো বাহারি রঙবেরঙের দেশি-বিদেশি ফুল নিয়ে ১০ দিন ব্যাপী ফুল উৎসব করা হয়েছে। বিটিআরসির তথ্য মতে, ১০ দিন ব্যাপী ঐ ফুল উৎসবে প্রতিদিন গড়ে ৬০ হাজার দর্শনার্থীর ঢল নেমেছিলো।

    পর্যটকদের জন্য নিউমার্কেট থেকে পতেঙা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত পর্যটক বাস এবং সর্বশেষ সংযোজন ফুল ডে ট্যুর সার্ভিস। চট্টগ্রামে যোগদান করে তিনি চট্টগ্রামের মানুষের বিনোদনের সুযোগের অভাবের বিষয়টি অনুধাবন করে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।চট্টগ্রামসহ সারা দেশের মানুষের পর্যটনের অন্যতম আকর্ষনীয় স্পট হলো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। এ সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য চট্টগ্রাম শহর থেকে পতেঙা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত সরাসরি কোন বাস সার্ভিস ছিল না। অধিকাংশ পর্যটক সিএনজি/অটোরিকশা ভাড়া করে যেতেন। এতে করে সমুদ্র সৈকতগামী পর্যটকদের ভোগান্তির পাশাপাশি অনেক ভাড়া গুণতে হতো।

    জেলা প্রশাসক ফখরুজ্জামান চট্টগ্রামের পর্যটনপ্রেমী মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্য়ায়ে নিবিড় যোগাযোগ করে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের সহায়তায় পতেঙ্গাগামী পর্যটকদের জন্য জন্য দুইটি ডাবল ডেকার বাসের ব্যবস্থা করেন। বাস দুইটি গত ১০ জুন থেকে টাইগার পাস-ডিসি পার্ক (ফৌজদারহাট)- পতেঙ্গারুটে চলাচল শুরু করে। ডাবল ডেকার বাস দুটির মধ্যে একটি ছাদখোলা, যেখানে বসে কিংবা দাড়িয়ে পর্যকটরা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতগামী পর্যটকগণ বায়েজিদ লিংক রোড়ের দুই পাশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য ও ফৌজদারহাট মেরিন ড্রাইভের মনমাতানো সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করতে করতে সৈকতে পৌছতে পারেন। বাস দুটির ২ টি ট্রিপ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশ্যে নিউমার্কেট ছেড়ে যায় এবং ২ টি ট্রিপ আবার নিউমার্কেট ফিরে আসে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ট্রিপের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি থাকে। শুক্রবার মোট ৩ টি ট্রিপ নিউমার্কেট ছেড়ে যায় এবং আবার ৩টি ট্রিপ ফিরে আসে। শনিবার সকাল ও বিকেল মিলিয়ে মোট ৪ টি ট্রিপ শহর ছেড়ে যায় এবং ৪ টি ট্রিপ ফেরত আসে।পর্যটন বাসে সকল আয়ের মানুষের সামর্থ্য বিবেচনা করে বিআরটিসি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ও কম ভাড়া রাখা হয়েছে। টাইগার পাস হতে ডিসি পার্ক পর্যন্ত ৪০ টাকা, ডিসি পার্ক হতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত ৩০ টাকা, টাইগার পাস হতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত ৭০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

    পর্যটক বাস চালু হওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ছাদখোলা ডাবল ডেকার বাসের ধারণক্ষমতা ৫৫ জন এবং অপর বাসটির ধারণক্ষমতা ৭৪ জন হিসাবে প্রতিদিন ২৫৮ জন যাত্রী চলাচল করতে পারে। বাস দুইটি চালু হওয়ার কয়েকদিন পর থেকে প্রায় প্রতিদিন ধারণক্ষমতার বেশি সংখ্যক যাত্রী চলাচল শুরু করে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়ে যায়। যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামাল দেওয়ার জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বিকালে আরো দুইটি করে বাস বাড়ানো হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বিকালে যাত্রী সংখ্যা ধারণক্ষমতার বেশি থাকলেও সকালে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম থাকে। সকালে যাত্রী কম থাকলেও পর্যটকদের সুবিধা বিবেচনা করে সকালের বাস সার্ভিসও চালু রাখা হয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে ০৮ জুলাই পর্যন্ত ২৭ দিনে মোট ৭৩৯৫ জন পর্যটক বাস দুইটি ব্যবহার করে চলাচল করেছে অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ২৭৪ জন পর্যটক চলাচল করেছে। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পর্যটক বৃদ্ধি এবং তাদের সুবিধার বিষয় বিবেচনা করে ঈদের পরের ২ দিনের জন্য নিউমার্কেট রুটের পাশাপাশি চকবাজার ও বহদ্দারহাট রুটে ২ টি করে ৪ টি বাস সংযোজন করা হয়। পর্যটক বাসের চাহিদা বাড়ায় আগামী কিছু দিনের মধ্যে আরো কয়েকটি বাস সংযোজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    গত ১ জুলাই থেকে প্রতি শুক্রবার ও শনিবার উন্নত বিশ্বের আদলে চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের বিকাশে জেলা প্রশাসক আরো একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাসে চালু করেন ফুল ডে ট্যুর সার্ভিস।এই ট্যুর সার্ভিসের মাধ্যেমে প্রাথমিকভাবে পর্যটকগণ সীতাকুন্ড ইকোপার্ক (সুপ্তধারা ও সহস্রধারা ঝর্ণা), গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত , মহামায়া লেক এবং ডিসি পার্কে ভ্রমণ করছেন।ফুল ডে ট্যুর সার্ভিসের মাইক্রো-বাসগুলো চট্টগ্রামের শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেটে অবস্থিত মোটেল সৈকত এর সামনে থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সকাল ৮ঃ৩০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে এবং সন্ধ্যা ৬.৩০ টার মধ্যে মোটেল সৈকতের সামনে ফিরে আসে। মাত্র ৮৫০ টাকার প্যাকেজটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রোবাস সার্ভিসের পাশাপাশি সকালের স্ন্যাকস , দুপুরের খাবার ,সার্বক্ষণিক ট্যুর গাইডের সুবিধা আছে। পর্যটক বাসের মতো ফুল ডে ট্যুর সার্ভিসও চট্টগ্রামের ভ্রমণপিপাসু মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।চট্টগ্রামের আপামরজনসাধারণ ফুল ডে ট্যুর সার্ভিস নিয়ে উচ্ছ্বসিত।গত ০১ জুলাই হতে চালু হওয়া ডে ট্যুরের প্রথম দিনেই ৪ টি মাইক্রোবাসে ৪০ জন পর্যটক ভ্রমন করেছেন। সর্বশেষ ০৮ জুলাই পর্যন্ত ০৩ দিনে ১৩ টি মাইক্রোবাস ট্রিপে ১২৯ জন পর্যটক ডে ট্যুর সার্ভিস গ্রহন করেছেন। পর্যটকরা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নেয়া এই উদ্দ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করছেন।

    অচিরেই রাঙ্গুনিয়া, বাশখালী , আনোয়ারা ও ফটিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে এ ধরনের ফুল ডে ট্যুর চালু করা হবে বলে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানিয়েছেন।

    বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপনমূলে চট্টগ্রামের পতেংগা ও পারকীসহ জেলার সকল সমুদ্র সৈকতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং অনান্য পর্যটন এলাকার উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী সমন্বয়ের নিমিত্ত “বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি”র অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম জেলার সমুদ্র সৈকতসহ সকল পর্যটন এলাকার উন্নয়নে বিশদ পরিকল্পনা প্রনয়ন এবং তার বাস্তবায়নে সরকারী-বেসরকারী অংশীজনদের নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ঘিরে যত্রতত্র বিদ্যমান বিভিন্ন অস্থায়ী অবকাঠামো সমূহকে আকর্ষনীয় ও জনবান্ধব করে তোলার জন্য বীচ এলাকায় ফুড জোন, কিডস জোন, পাবলিক টয়লেটসহ বিভিন্ন জোনিং এ ভাগ করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।

    চট্টগ্রামে চলমান পর্যটন বান্ধব উদ্যেগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সবচেয়ে পর্যটন সম্ভাবনাময় জেলা। পাহাড়, নদী ও সাগরের মেলবন্ধন সমৃদ্ধ এ জেলায় সঠিক পরিকল্পনা এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন আকর্ষনীয় স্থানে পরিনত করা সম্ভব। এজন্য সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোগক্তাদের এগিয়ে আসা উচিত।

  • চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণের মধ্যে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণের মধ্যে কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর

    চট্টগ্রাম বিভাগগের বিভাগীয় কমিশনার ও বিভাগের জেলা প্রশাসকগণের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২৩-২৪ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়।

    বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ আনোয়ার পাশা। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান (চট্টগ্রাম), ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি (বান্দরবান), মোহাম্মদ শামীম আলম (কুমিল্লা), মোঃ শাহগীর আলম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), মোঃ কামরুল হাসান (চাঁদপুর), দেওয়ান মাহবুবুর রহমান (নোয়াখালী), মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ (রক্ষ্মীপুর), আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান (ফেনী), মুহম্মদ শাহীন ইমরান (কক্সবাজার), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (রাঙামাটি) ও মোঃ সহিদুজ্জামান (খাগড়াছড়ি পার্বত্য)। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। বিগত ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ সরকারী সকল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি দিন বদলের সনদের কথা বলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে গিয়েছি। আগামী ২০২৩ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরী। এজন্য নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

    বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে আগে কি ছিল, আর এখন কি হয়েছে, শেখ হাসিনার মূলনীতি, গ্রাম-শহরে উন্নতি, আমার গ্রাম, আমার শহর। অর্থ্যাৎ গ্রামকে শহর বানাবো না, আমাদের আশপাশে যা কিছু আছে তা নিয়ে শহরের আদলে গ্রামকে সাজাবো-এটাই এপিএ’র মূল বিষয়। আগে অফিসে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা ফাইলে সই করতে হতো, কখন ডাকযোগে চিঠি আসবে, পিয়ন এসে দিয়ে যাবে-আমরা আগে অপেক্ষায় থাকতাম, আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল ধরণের ম্যাসেজ মুহুর্তের মধ্যেই আদান-প্রদান হচ্ছে। মূলতঃ সকল সেবা এখন হাতের মুঠোয়।

  • চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় হ্যান্ডমাইক হাতে প্রচারণায় ডিসি

    চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় হ্যান্ডমাইক হাতে প্রচারণায় ডিসি

    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় নগরের পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপর হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

    শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান নিজেই হ্যান্ডমাইক নিয়ে প্রচারণায় নেমে পড়েন।

    এসময় জেলা প্রশাসক ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উদ্দেশে বলেন, চট্টগ্রামে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এতে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা বেশি। আপনারা দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা অন্য কোথাও আত্মীয়ের বাসা থাকলে সেখানে যেতে পারেন। এবার অনুরোধ করা হচ্ছে। আপনাদের নিরাপদে সরাতে আমরা প্রয়োজনে কঠোর হব।

    এসময় এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত) বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

    এ কারণে চট্টগ্রাম নগরে ২৬ পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদে সরাতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। শনিবার নগরের আকবর শাহ থানার ফয়েজ লেক সংলগ্ন ১ নম্বর ঝিল, ২ নম্বর ঝিল, ৩ নম্বর ঝিল, শান্তিনগর এলাকা, খুলশী থানার লালখান বাজারের মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, পোড়াকলোনী পাহাড়, চান্দগাঁও থানার আমিন জুট মিলস পাহাড়, টাংকির পাহাড়, ভেড়া ফকিরের পাহাড়, বার্মা কলোনীসহ পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন।

    জেলা প্রশাসন জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চট্টগ্রাম শহর ও বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ১ হাজার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা ৫ লাখ এক হাজার ১১০ জন। জেলায় ৮ হাজার ৮৮০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা আবহাওয়ার বার্তা প্রচার করছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের রেসকিউ বোট ও মেডিকেল টিম। পর্যাপ্ত সরঞ্জামসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম প্রস্তুতও রাখা হয়েছে।

  • উপকূলবর্তী এলাকা পরিদর্শনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

    উপকূলবর্তী এলাকা পরিদর্শনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক

    নগরীর উপকূলবর্তী পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলী এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ জেলেপল্লীর জনগণকে সরাতে এসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    শুক্রবার (১২ মে) রাত ১টা পর্যন্ত জেলেপল্লী এলাকার জনগণকে তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

    রাত ১১টা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়।

    এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম, পতেঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হুসাইন মুহাম্মদ, অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত, হালিশহর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন ও জেলা নাজির জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুরের মধ্যে আকমল আলী ঘাট, রাণি রাসমনি ঘাট ও পতেঙ্গা এলাকার উপকূলবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৪-৫ হাজার জেলে পরিবারকে নিরাপদে অপসারণের কার্যক্রম চলছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ উপকূলবর্তী জেলে পরিবারের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

    চট্টগ্রাম মহানগরীর মতো জেলার ছয়টি উপকূলবর্তী উপজেলা সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, সীতাকুণ্ড ও মীরসরাইয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের তত্ত্বাবধানে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামে ১০৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র সহ ২১০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রয়োজন অনুসারে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

    জেলায় পর্যাপ্ত শুকনো খাদ্য, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওরাল স্যালাইন মজুদ রয়েছে।

  • দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে: জেলা প্রশাসক

    দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে: জেলা প্রশাসক

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজারে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মালামাল পুড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। সীতাকুণ্ডে কয়েক দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ও সর্বশেষ সেখানকার ইউনিটেক্স তুলার গুদামে আগুন লেগে ৮০ থেকে ১’শ কোটি টাকার তুলা সামগ্রী পুড়ে গিয়ে মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত পণ্য মজুদ করেছে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে হলে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেক মার্কেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ২৪ ঘন্টা/৭ দিন নজরদারী করে সমিতি কর্তৃক ফুটেজ সংগ্রহে রাখবে এবং ৩ জন কর্মচারী ৮ ঘন্টা করে দায়িত্ব পালন করলে কোন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে কি না তা তাৎক্ষণিক জানা যাবে।

    আজ ১০ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মহানগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নিরাপত্তা জোরদারকরণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ীদের সাথে বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলে।

    তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ইতোমধ্যে জহুর হকার্স মার্কেট, টেরিবাজার, রেয়াজউদ্দিন বাজার ও তামাকুমÐি লেইনে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে, ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও মার্কেটগুলো অগ্নিঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আমরা কয়েকটি টিম গঠন করতে চাই। মার্কেট বা ব্যবসা প্রতিষ্টানে অগ্নিদুর্ঘটনাসহ অন্যান্য দণর্হটনা রোধে যুগোপযুগী পরিকল্পনা গ্রহল করতে হবে। অর্থিক ক্ষতি থেকে কিছুটা হলেও লাঘবে ব্যবসায়ীদেরকে বীমার আওতায় আনা যায় কি না সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মতামত চাওয়া হবে। জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সিটি করপোরেশনকে অবহিত করা হবে।

    ডিসি আরও বলেন, শুধু ফায়ার লাইসেন্স থাকলে হবেনা, অগ্নি নির্বাপনের সুবিধার্থে প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সচল ফায়ার এস্টিংগুইসার ও বালতি ভর্তি বালি রাখতে হবে এবং এগুলোর যথাযথ ব্যবহার জানতে হবে। যে কোন সময় অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে মার্কেটে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওয়াটার রিজার্ভার, ট্যাংক ভর্তি পানি মজুদ ও ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক দলের গাড়ি যাতায়াতের সুব্যবস্থা রাখতে হবে। পরীর পাহাড় ও নন্দনকাননস্থ বিটিসিএল পাহাড়ে ১০ হাজার লিটারের পানির ট্যাংক স্থাপন ও স্থায়ী ওয়াটার রিজার্ভার করা যায় কি না সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে। পানি সংগ্রহের সুবিধার্থে নগরীর সকল পুকুর সংরক্ষণ করে সেগুলোর চতুর্দিকে ওয়াকওয়ে করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এতে করে লোকজন হাঁটাচলা করতে পারবে।

    জেলা প্রশাসক বলেন, মার্কেটে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের তার ঝুঁকিমুক্ত করতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হবে এবং অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে বিদ্যুতের তারের সাথে লাগিয়ে রাখা ডিশ লাইন ক্যাবলগুলো কনসিলের মাধ্যম চিকন পাইপ দিয়ে আন্ডার গ্রাউন্ড দিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন ডিসি।

    অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পংকজ দত্ত, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মোঃ আবদুল মালেক, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবদুল গফফার খান, ক্যাব’র সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব সদস্য সেলিম জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সভাপতি সরওয়ার কামাল, সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম, দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, বিপনি বিতান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সাগির, বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ জানে আলম, জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ জাহেদী, ফকিরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এম.এ আজাদ চৌধুরী প্রমূখ। সভায় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন মার্কেট-দোকান মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামকে স্মার্ট জেলায় রূপান্তরে যে কেউ আইডিয়া শেয়ার করতে পারবে: ডিসি

    চট্টগ্রামকে স্মার্ট জেলায় রূপান্তরে যে কেউ আইডিয়া শেয়ার করতে পারবে: ডিসি

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট জেলা রূপান্তরের নিমিত্তে ‘স্মার্ট চট্টগ্রাম বিনির্মাণ’ শীর্ষক এক কর্মশালা গতকাল ২০ মার্চ সোমবার বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

    কর্মশালায় ডিসি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে প্রথমে স্মার্ট জেলা বিনির্মাণ জরুরী। চট্টগ্রামকে স্মার্ট জেলায় রূপান্তরে স্কুল-কলেজ, সরকারী-বেসরকারীসহ সকল পর্যায়ের যে কেউ আইডিয়া শেয়ার করতে পারবে।

    অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ১৪নং লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসানাত মোঃ বেলাল, ২১নং জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জেলা পুলিশ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক, ইউসিবিএল ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিনিধিসহ ২জন এনজিও প্রতিনিধি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার সকল ইউএনও ও এসি ল্যান্ডবৃন্দ অনলাইনে কর্মশালায় যুক্ত ছিলেন।

    কর্মশালায় চসিক’র ১৪নং লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসানাত মোঃ বেলাল স্মার্ট ইউটিলিটির অংশ হিসাবে আগামী ৬ মাসের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও শহরের মধ্যে ঝুলে থাকা ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্মার্ট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সুচিন্তিত প্ল্যান প্রেজেন্টেশন আকারে পেশ করেন।

    এছাড়া প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের গ্রুপ পর্বের আলোচনায় যত্রতত্র ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার না লাগানো এবং ফুটপাত মুক্ত করে পথচারীদের চলাচলের সঠিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রস্তাবসহ একজন এনজিও প্রতনিধি বাংলা ভাষায় সকল সাইনবোর্ড একই ডিজাইন করার বিষয়ে প্রস্তাব পেশ করেন।

  • উন্নয়ন কাজের বরাদ্ধ ও বাস্তবায়নের হার ছবিসহ জমা দিতে হবে: ডিসি

    উন্নয়ন কাজের বরাদ্ধ ও বাস্তবায়নের হার ছবিসহ জমা দিতে হবে: ডিসি

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। সরকারের প্রত্যেক উন্নয়ন কর্মকান্ড আরও দৃশ্যমান করতে এখন থেকে সকল দপ্তর ও সংস্থার উন্নয়ন বরাদ্ধ, কাজের অগ্রগতি, বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়নের হার ছবিসহ এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ সরকারের আমলে মেগা প্রকল্পসহ দেশের প্রত্যেকটি বড়-ছোট প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান। সরকারের চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ যাতে নি¤œমানের না হয় সে ব্যাপারে তদারকি বৃদ্ধি করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সমন্বয় সভায় এসব বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে। সরকার কোথায় কি উন্নয়ন করছে সেগুলোর ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

    আজ রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সিজেকেএস আউটার স্টেডিয়ামকে মেলার পরিবর্তে পুরোপুরি খেলার মাঠে পরিণত করতে মাঠ ঘিরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো জেলা প্রশাসন কর্তৃক উচ্ছেদ করায় রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল ডিসিকে ধন্যবাদ জানান।

    পটিয়ার সালেহ নূর ডিগ্রী কলেজ, ফটিকছড়ির শামসুল ও গর্জনিয়া মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নিম্নমানের কাজ হওয়ায় এক বছরের ব্যবধানে ছাদ ছুঁইয়ে পানি পড়ে-উপজেলা চেয়ারম্যানদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ডিসি বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে কাজের মান ভালো না হলে লোক দেখানো কাজের প্রয়োজন নেই, গাছ তলায় বসে পড়লে আরও ভালো। শিক্ষা প্রকৌশল বা ফ্যাসিলিটিটিজ ডিপার্টমেন্টের ১৮টি কাজের তালিকা, কোন্ উপজেলায় কোন্ প্রতিষ্ঠান, কোন্ অর্থ বছরে, কাজের অগ্রগতি কতটুকু তার ছবিসহ জেলা প্রশাসককে জানাতে হবে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরকেও এ ব্যাপারে অবহিত করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা, প্রাণি সম্পদ, সমাজসেবা, পরিবেশ অধিদপ্তর, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর, বিসিক, কৃষি সম্প্রসারণ, জেলা ক্রীড়া, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের যে সকল উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান সেগুলো যাতে দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্মত হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও আন্তরিক হতে হবে। নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলো করতে হবে। জেলা পরিষদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে যে প্রকল্পগুলো উপজেলায় যাচ্ছে সেগুলোর গুণগত মান ঠিক রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চট্টগ্রামে জিরো হোম ডেলিভারী নিশ্চিতসহ মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যে সকল সরকারী সম্পত্তি বেদখল হয়েছে সেগুলো তালিকা করে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। পবিত্র এ রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা পর্যায়ে ৩০টি ও নগরীতে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করে যাচ্ছে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে আমরা সফল হবো।

    জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুঃ মাহমুদ উল্লাহ মারূফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (পটিয়া), মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী (চন্দনাইশ), হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), মোঃ জসিম উদ্দিন (মিরসরাই),ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), এস.এম সেলিম (বোয়ালখালী), উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন (বোয়ালখালী) মাহফুজা জেরীন (মিরসরাই), মোঃ শাহিদুল আলম (হাটহাজারী), আবদুস সামাদ সিকদার (রাউজান), আতাউল গণি ওসমানী (রাঙ্গুনিয়া), মোঃ আতিকুল মামুন (পটিয়া), মাহমুদা বেগম (চন্দনাইশ), ফাতেমা তুজ জোহরা (সাতকানিয়া), শরীফ উল্লাহ (লোহাগাড়া), মোঃ মামুনুর রশীদ (কর্ণফুলী), মোঃ ইশতিয়াক ইমন (আনোয়ারা), মোঃ সাইদুজ্জামান চৌধুরী (বাঁশখালী), আনোয়ারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃনাল কান্তি চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, জলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সরকার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উত্তর) মোজাম্মেল হক শাহ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন, জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ ফরিদুল আলম, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ফরিদুল আলম হোসাইনী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শহীদুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা নাজমুস সুলতানা সীমা, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (রাউজান) এর জি.এম মোঃ সরওয়ার জাহান, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক, জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ মোসলেম উদ্দিন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক রিংকু কুমার শর্মা, পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন (মিরসরাই), মুঃ মাহাবুবুল আলম (চন্দনাইশ) প্রমূখ। সভায় সরকারের বিভিন্নস্তরে কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • শনিবার বিএসবিআরএ এর ডাকা মানববন্ধন স্থগিত

    শনিবার বিএসবিআরএ এর ডাকা মানববন্ধন স্থগিত

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনার মামলায় সীমা গ্রুপের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সান্টুকে গ্রেপ্তারের পর তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং কোমরে রশি পেঁচিয়ে মর্যাদাহানিকর ও অপমানজনক অবস্থায় আদালতে হাজির করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) এর ডাকা শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন আয়োজন স্থগিত করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের অনুরোধে মানববন্ধন স্থগিত করা হয়।

    শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম সার্কেট হাউসে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) এর নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান এর সাথে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্যে ডাকা সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন প্লান্ট ধর্মঘটও প্রত্যাহার করা হয়।

    বৈঠক শেষে ডিসি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, সীমা গ্রুপের পরিচালকের সাথে যা হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। এ ঘটনা ভবিষ্যতের যাতে আর কোন শিল্প মালিকের সাথে না ঘটে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি থাকবে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এস এম সফিউল্লাহ; শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সোলায়মান; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন; সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আশরাফুল আলমসহ বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) এর নেতৃবৃন্দ।

  • সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে শিল্পকারখানা নিয়ে ছিনিমিনি নয়: ডিসি

    সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে শিল্পকারখানা নিয়ে ছিনিমিনি নয়: ডিসি

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে কোন শিল্পকারখানা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। আইন না মেনে অনিয়ম করে কেউ শিল্পকারখানা পরিচালনা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়ম-নীতির মধ্যে থেকেই সবাইকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করা। এজন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল খুঁটি শ্রমিক এবং সেই শ্রমিকের নিরাপত্তা, উদ্যোক্তাদের মূলধনের নিরাপত্তা দুটিকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

    আজ সোমবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টায় সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠত জেলার ভারী ও মাঝারি শিল্পপ্রবণ এলাকায় দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ণের নিমিত্তে জেলা প্রশাসক আয়োজিত জরুরী মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় আরও অনেকে। এর আট মাস আগে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ডে প্রতি বছরই দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। যার বেশির ভাগেরই মানবসৃষ্ট। খুব কমই প্রকৃতিগত।

    ডিসি বলেন, আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মধ্যে শুধুমাত্র অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে ৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। অভিযানে ২০ লাখ টাকার অধিক জরিমানা আমরা করেছি। এক বছরের জেল পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। আমি আসার পর একটা লক্ষ্য ছিল, এখানে যাতে কোনও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, যেসব প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম অভিযান পরিচালনা করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে কোনও ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না।

    জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এ দুর্ঘটনা রোধে আমরা একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। এর মধ্যে কিভাবে আমরা দুর্ঘটনা হ্রাস করবো, এটি মানবসৃষ্ট হোক আর প্রকৃতিগত হোক, পরিবেশের দূষণ কিভাবে রোধ করবো, দূষণ থেকে খাল-নদী রক্ষা, ভূ-গর্ভস্থ পানি কিভাবে নিম্নে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে, কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি ও পাহাড় কাটা কিভাবে রোধ করা যাবে, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মালিকদের মূলধনের নিরাপত্তা আমরা কিভাবে নিশ্চিত করতে পারি, এর পাশাপাশি সীতাকুণ্ড এলাকায় কিভাবে আমরা একটি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারবো-সে বিষয়ে সবার মতামত আশা করছি। কর্ণফুলী, আনোয়ারা, মিরসরাই, হাটহাজারী এলাকায়ও শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। সে এলাকা নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

    অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জরুরী মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩, চট্টগ্রামের এসপি মোহাম্মদ সুলাইমান, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আল মামুন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, মহানগর মািত্তযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমদ, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমদ ও ভাটিয়ারি ইউুপ চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম উদ্দিন প্রমূখ। ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, বিস্ফোরক পরিদর্শন, চেম্বার, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ প্রতিনিধি, শিপ ব্রেকার্স, বিভিন্ন কলকারখানার মালিক, পরিচালক, কর্মকর্তা ও শিল্পউদ্যোক্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

  • কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তনের সংবাদ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিসি

    কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তনের সংবাদ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিসি

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, এক শ্রেণির অসাধু চক্র গোপনে কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটা ও অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জমিগুলো অনাবাদি হয়ে যাচ্ছে। এখন থেকে কৃষি জমির টপ সয়েল কর্তনের সংবাদ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী কৃষি জমিতে কোন ধরণের স্থাপনা করা যাবেনা। সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পতিত জমিতে সব্জি চাষ ও বৃক্ষের চারা রোপনের আওতায় এনে ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যেও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করা হবে।

    আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্স। অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে সরকারী জমি ও পাহাড় উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, সরকারী রাস্তা দখল করে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    মালিমিডিয়ার মাধ্যমে বিগত মাসের খাতওয়ারী অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবীর আহম্মেদ, সিএমপি’র এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, দি চিটাগাং চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, সিনিয়র জেল সুপার মোঃ মঞ্জুর হোসেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব (সাতকানিয়া), তৌহিদুল হক চৌধুরী (আনোয়ারা), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন (বোয়ালখালী) মাহফুজা জেরীন (মিরসরাই), সম্রাট খীসা (সন্ধীপ), শাহাদাত হোসেন (সীতাকুণ্ড), সাব্বির রাহমান সানি (ফটিকছড়ি), মোঃ শাহিদুল আলম (হাটহাজারী), আবদুস সামাদ সিকদার (রাউজান), আতাউল গণি ওসমানী (রাঙ্গুনিয়া), মোঃ আতিকুল মামুন (পটিয়া), নাছরীন আক্তার (চন্দনাইশ), ফাতেমা তুজ জোহরা (সাতকানিয়া), শরীফ উল্লাহ (লোহাগাড়া),মোঃ ইশতিয়াক ইমন (আনোয়ারা), মোঃ মামুনুর রশিদ (কর্ণফুলী), পৌর মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুল (পটিয়া) মোহাং জহুরুল ইসলাম (বোয়ালখালী), মহিলা বিষয়ক উপপরিচালক মাধবী বড়ুয়া, সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফরিদুল আলম, মাদকদ্রব্যের সহকারী পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা, পৌর মেয়র মোঃ আইয়ুব বাবুল (পটিয়া) মোহাং জহুরুল ইসলাম (বোয়ালখালী) প্রমূখ। জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।