Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • উন্নয়নের প্রশংসায় উপমহাদেশে তোলপাড় অথচ ‘দলকানা’ বিএনপির মুখে শুধুই সমালোচনা : তথ্যমন্ত্রী

    উন্নয়নের প্রশংসায় উপমহাদেশে তোলপাড় অথচ ‘দলকানা’ বিএনপির মুখে শুধুই সমালোচনা : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় ভারত-পাকিস্তানসহ সমগ্র উপমহাদেশ জুড়ে তোলপাড় হলেও ‘দলকানা’ বিএনপির মুখে শুধু সমালোচনাই’।

    মন্ত্রী আজ দুপুরে ঢাকায় মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে দেশের চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির শীর্ষ নেতাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

    চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন এবং প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, আইএমএফ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এবছরের শেষে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। অর্থনৈতিক, মানবিকসহ সমস্তসূচকে আমরা পাকিস্তানকে বহু আগেই এবং অনেক সূচকে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি। বিশেষ করে এখন অর্থনৈতিক সূচক যেমন ‘পার ক্যাপিটা জিডিপি’র ক্ষেত্রেও আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি।’
    শুধু আইএমএফ নয়, এশীয়উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা মহামারির এবছরে ভারত-পাকিস্তনসহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই যেখানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, সেখানে বাংলাদেশ সেই হাতেগোণা কয়েকটি দেশের একটি যাদের প্রবৃদ্ধি ধ্বনাত্বক উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, যে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বিশ্বে সর্বোচ্চ আর মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ সর্বনিম্ন, ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাস যে দেশের নিত্যসঙ্গী, জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে সেই বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব অগ্রগতি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানসহ সমগ্র উপমহাদেশে ব্যাপক আলোচনা- প্রশংসা হচ্ছে।

    ভারতের গণমাধ্যমে খবর ও টক-শো’তে তাদের বুদ্ধিজীবীরা এবং পাকিস্তানের গণমাধ্যমও সরকারের ব্যাপক প্রশংসা করছে। ‘কিন্তু এদেশের একটিমাত্র দল বিএনপি এবং তার কিছু মিত্র এই প্রশংসা করতে পারছেনা’।

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুধু বলে বেড়ায়, সরকার তাদের কথা বলতে দেয় না অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সকালে একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, বিকেলে আরেকবার করেন এবং টিভি খুললেই দেখা যায়, টেলিভিশনগুলোতে তার এই বিষোদগার প্রচার হয়। তারা শুধু অহেতুক বিষোদগারই করতে পারে, প্রশংসা করতে পারেনা।’

    ‘এটি বিএনপির রাজনৈতিক ও চিন্ত-চেতনার দৈন্য এবং তারা যে ‘দলকানা’ অর্থাৎ শুধু দল নিয়ে ভাবে, দেশ ও দশের কথা ভাবে না, সেটিরই বহিঃপ্রকাশ’ বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

    চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালকদের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী চেতনায় এদেশে যে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে ইতোমধ্যেই যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। চলচ্চিত্রে অনুদানের সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ দুই-ই বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিনেমা হল নির্মাণ, বন্ধ হল চালু ও সংস্কারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। সরকার বিশ্বাস করে, দেশের মানুষকে সুস্থ বিনোদন দেয়া ও তরুণ সমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • তথ্যমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত

    তথ্যমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

    তথ্যমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আকরাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    মীর আকরাম হোসেন জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত হলেও তার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তিনি সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

    উল্লেখ্য, করোনার শুরু থেকে সরকার ও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ ছিল তথ্যমন্ত্রীর। এমনকি নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও সরব ছিলেন চট্টগ্রামের এ কৃতি সন্তান।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • আইপি টিভি-ইউটিউব সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না: তথ্যমন্ত্রী

    আইপি টিভি-ইউটিউব সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না: তথ্যমন্ত্রী

    ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন (আইপিটিভি) ও ইউটিউব চ্যানেল নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন।তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতা এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।

    অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা অনলাইনে নানা বিষয়ে সম্প্রচার চালাচ্ছে- এ বিষয়ে কোনো দিক নির্দেশনা আসছে কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ইউটিউব চ্যানেল বা আইপিটিভি নিবন্ধনের জন্য আমরা দরখাস্ত আহ্বান করেছি। সেগুলো তদন্তের কাজ চলছে। প্রাথমিক তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। সেটি হওয়ার পর আমরা নিবন্ধন দেওয়ার কাজ শুরু করব।”

    তিনি বলেন, ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আইপিটিভিগুলো শুধু এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেল হিসেবে কাজ করবে। সমস্ত বিষয়গুলো নরমাল টেলিভিশন চ্যানেলের মতো করার কথা নয়, এ রকম সিদ্ধান্ত ছিল।’

    আইপিটিভির সংবাদ পরিবেশনে বিধি-নিষেরধর কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “ইউটিউব চ্যানেল ও আইপিটিভির ক্ষেত্রে নিয়মিত সংবাদ পরিবেশ করতে পারবে না। এমনিতেই কোনো টেলিভিশন চ্যানেল যখন অনুমতি পায় শুরুতে তারা সংবাদ পরিবেশনের অনুমতি পায় না। সেজন্য তাদের কিছু প্যারামিটার পূরণ করতে হয়, আবার দরখাস্ত করতে হয়। তারপর তারা সংবাদ প্রকাশের অনুমতি পায়। সুতরাং আইপিটিভির ক্ষেত্রেও অন্যান্য সব কিছু করতে পারবে, কিন্তু সংবাদ পরিবেশনের কাজটি তারা আপাতত করতে পারবে না- এটি আমাদের মন্ত্রণালয় নয়, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত। এখনকার সিদ্ধান্ত হচ্ছে তারা সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না।”

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, “পরে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সরকার যে কোনো সময় যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এখনকার সিদ্ধান্ত হচ্ছে তারা নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন করতে পারবে না।”

    অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধন কবে শেষ হবে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “অনলাইন নিবন্ধনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি অনলাইনকে নিবন্ধনের জন্য অনুমতি প্রদান করেছি। বাকিগুলো আমরা ধীরে ধীরে দেব। যেহেতু কয়েক হাজার অনলাইন এগুলো সম্পন্ন করতে কয়েক মাস সময় লাগবে। কারণ বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার পরই কিন্তু আমরা দিতে পারছি। এর আগে তো দিতে পারছি না। সেই কারণেই একটু সময় লাগছে।”

    বেশিরভাগকে নিবন্ধন দেওয়ার কাজ এই বছরের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অনলাইন নিবন্ধনের কাজ এই বছর শেষ হলেই শেষ হয়ে যাবে তা নয়। কারণ অনলাইন তো ভবিষ্যতেও অনেকগুলো প্রকাশিত হবে।”

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে অনুমতি লাগে, টেলিভিশন চ্যানেল খুলতে হলে লাইসেন্স লাগে। ভবিষ্যতে যখন অনলাইন নিবন্ধনের কাজটি শেষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব তখন আমরা ভবিষ্যতে অনলাইন খোলার ক্ষেত্রেও অনুমতির বিষয়টি সংযুক্ত করব।’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সুগভীর, বহুমাত্রিক ও রক্তের অক্ষরে লেখা -তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সুগভীর, বহুমাত্রিক ও রক্তের অক্ষরে লেখা -তথ্যমন্ত্রী

    ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সুগভীর, বহুমাত্রিক ও রক্তের অক্ষরে লেখা’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে আসা ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। তথ্যসচিব কামরুন নাহার ও মন্ত্রীর দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অকৃত্রিম ও অতুলনীয়, যার সাথে অন্য কোনো দেশের সম্পর্কের তুলনা চলে না। আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা, কারণ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সৈন্যরা রক্ত দিয়েছেন। আমাদের এক কোটি মানুষকে ভারত সরকার আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন এই ইতিহাসের পাতায় এটি লিপিবদ্ধ থাকবে।’

    বৈঠকের ওপর আলোকপাত করে মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় চলচ্চিত্রকার শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রটি মুজিববর্ষের মধ্যেই সমাপ্ত করার পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশি পরিচালক ও ভারতীয় সহ-পরিচালকের তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধের ওপরে যৌথভাবে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

    ভারতের ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে বিটিভি এবং বাংলাদেশের প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেখা গেলেও পশ্চিমবাংলাসহ সমগ্র ভারতে দেখার ব্যবস্থা করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, একইসাথে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে যাতে উভয় দেশ উপকৃত হয় বিশেষ করে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো যাতে চট্টগ্রাম বন্দর সহজে ব্যবহার করতে পারে, সেখানে সড়ক ও রেল সংযোগ যাতে দ্রুত চালু হয়, সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    একইসাথে দু’দেশের মধ্যে সাংবাদিকদের সফর বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ আদান-প্রদানসহ গণমাধ্যম খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও চলচ্চিত্র আমদানি-রপ্তানি নিয়েও আলোচনার কথা জানান ড. হাছান। এসময় নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার খানিক বাংলাও বলতে পারেন, উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম এসময় সাংবাদিকদের বলেন, দু’দেশের সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নেয়াই তার লক্ষ্য।

    ধর্ষণ অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোরতম অবস্থানে সরকার

    সাংবাদিকরা এসময় ধর্ষণ অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বিধান রেখে আইন সংশোধনের বিষয়ে বিএনপি’র নেতিবাচক মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনার কথা অনুযায়ী বিএনপি যে বক্তব্য রেখেছে, তাতে প্রশ্ন জাগে- তাহলে কি আইন সংশোধনটা বিএনপি’র পছন্দ হয়নি! সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড রেখে আইন সংশোধন করেছে এটি দমনের জন্য, কারণ আপনারা জানেন বাংলাদেশে যখন এসিড নিক্ষেপ বেড়ে গিয়েছিল, তখন সেটির কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন করার পর তা আর প্রায় ঘটেই না।

    শুধুমাত্র আইন সংশোধন করার মধ্যেই আমাদের কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ রাখবো না, বিচার যাতে দ্রুত হয়, সেটির ওপরও সরকার গুরুত্বারোপ করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বাস্তবতার নিরিখে বলেন, এসবের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিনোদন প্লাটফর্মগুলোতে আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং সমাজের মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো উপাদান যদিএই ব্যধি ছড়ানোতে ইন্ধন দেয়, সেগুলোর ব্যাপারেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে বিএনপি দলগতভাবেই এইসব অপকর্ম করেছিল -তথ্যমন্ত্রী

    নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে বিএনপি দলগতভাবেই এইসব অপকর্ম করেছিল -তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারাতো দলগতভাবে এসমস্ত অপকর্ম করেছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আট বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্ত:সত্ত্বা নারী, ষাট বছরের বয়স্ক নারী পর্যন্ত কেউ রক্ষা পায়নি বিএনপির লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর হাত থেকে। যারা নারী নির্যাতন-ধর্ষনগুলো দলগতভাবে অতীতে করেছে এনিয়ে যখন তারা কথা বলে, তখন হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য হাস্যকর।

    তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা যখন কথা বলেন তখন ভুলে যান তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কি করেছে। এই জন্য এরকম লাগামহীন কথা বলতে পারেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার এধরণের ঘটনা অতীতে যেগুলো ঘটেছে সেগুলোর বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে। এখনো যেগুলো ঘটেছে সেগুলোরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর।

    শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ বেতারের উদ্যোগে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারকে আর সময় দেয়া যাবেনা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা বলেন।

    বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, চট্টগ্রাম বেতারের পরিচালক এসএম আবুল হোসেন প্রমূখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উনারা অবশ্য আমাদেকে সময় দিচ্ছেননা বহু আগে থেকে। ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনের তিন মাসের মাথা থেকে উনারা আমাদেরকে কখনো সময় দিতে চাননি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জনগণ আমাদের সময় দিয়েছে। এবং প্রায় পৌণে ১২ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা একটানা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন, সুতরাং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সময় দিলেন কি দিলেন না, সেটি বড় ব্যাপার নয়, জনগণ সময় দিচ্ছে কিনা সেটিই হচ্ছে মূখ্য বিষয়।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। স্থানীয় সরকার পর্ষদে ৩৩ শতাংশ নারীর জন্য সংরক্ষিত কোটা তিনিই করেছিলেন। নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা পঞ্চাশে উন্নিত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। দেশের ইতিহাসে প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্পীকারসহ নানা পদে নারীর পদায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নতি হয়েছে সেটা পৃথিবীর সামনে বড় উদাহরণ।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যেই ঘটনাগুলো ঘটছে এগুলো যে আগে ঘটে নাই তা নয়। কিন্তু আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকতা ছিলনা বিধায় সেগুলো মানুষ জানতে পারতোনা। নোয়াখালীর ঘটনাটা কোন টেলিভিশন কিংবা কোন পত্রপত্রিকায় এমনকি কোন অনলাইনেও প্রথম প্রকাশ করেনি। এটি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, এরপর অন্যান্য মূলধারার গণমাধ্যম সেটি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কিন্তু এখন কোন ঘটনাই ঢাকা থাকেনা। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাল দিক।

    মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বেতারের ভুমিকার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন স্বাধীন বাংলা বেতারের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশ বিনির্মাণে বেতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। বেতারের অনেকগুলো অনুষ্ঠান অত্যন্ত ভাল এবং জনমানুষের কাছে সেই অনুষ্ঠানমালার ব্যাপক আবেদন রয়েছে। আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে লালন করার ক্সেত্রে বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। দূর্যোগ-দূর্বিপাকে বেতারই কিন্তু মানুষের কাছে খবর পৌঁছায়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্মার্টফোনের ব্যাপকতা বেড়েছে তখন একটি রেডিও বহন করা সম্ভবপর নয়। তাই রেডিওকে অ্যাপসের মাধ্যমে টেলিফোনের আনার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন অ্যাপসের মাধ্যমে বিভাগীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ বেতার মোবাইলেও শোনা যায়।

    তিনি বলেন, ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও আশপাশে পাহাড়সহ নানাকারণে ফেনীতেও চট্টগ্রাম বেতারের অনুষ্ঠান শোনা যায়না। অথচ ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন খুলনা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রতিবন্ধকতা না থাকায় এখানে শোনা যায়। গুরুত্ব বিবেচনায় ব্যবসা বাণিজ্য ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিসহ নানা সংবাদ ও কৃষ্টি সংস্কৃতির চাহিদা রয়েছে সারা দেশে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি ঢাকা কেন্দ্রের মতো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে আপলিঙ্ক করে সেটি আবার বিভিন্ন বেতার কেন্দ্রে ডাউনলিঙ্ক করে সারাদেশে শোনানো হয় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানও খুবসহসা সেভাবে উদ্বোধন হবে। এটি চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের ইতিহাসে বিরাট মাইলফলক হয়ে থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই – তথ্যমন্ত্রী

    কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই – তথ্যমন্ত্রী

    ক্রীড়া ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এর ওয়েভভিত্তিক বিভিন্ন এন্টারটেনমেন্ট অ্যাপসগুলোর ব্যাপারে আসক্তি থেকে আমাদের তরুণ সমাজকে বের করে আনতে হবে। কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই।

    তিনি বলেন, ছেলেরা এখন আর মাঠে গিয়ে খেলে না। আমাদের ছোটবেলায় আমরা মাঠে গিয়ে খেলার জন্য এবং সন্ধ্যার আগে বাসায় না ফেরার জন্য প্রতি সপ্তাহে বাবা-মা’র বকা শুনতাম। আর এখনকার ছেলেদের জোর করে ধরে মাঠে পাঠাতে হয়। বিষয়টা উল্টো হয়ে গেছে। আসলে খেলাধুলার কোন বিকল্প নাই। সেই জন্য খেলাধুলার আয়োজনও করতে হবে। আয়োজন না থাকলে তো ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করবে না। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) একটি ভাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিজেকেএস’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, টুর্ণামেন্ট কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান, সিজেকেএস’র সহ-সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, এহসানুল হায়দার বাবুল, হাছান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস প্রমুখ।

    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ধর্ষণসহ কিশোর গ্যাং নানা অপরাধ করছে, নানা ধরণের অপরাধের সাথে বিভিন্ন কিশোর গ্যাং যুক্ত হচ্ছে। এটি থেকে রক্ষা করার একটি বড় উপায় হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় খেলাধুলার ব্যাপকতা বাড়ানো। এটি অত্যন্ত প্রয়োজন। করোনাকালে আমরা যেভাবে স্থবির হয়ে গেছি, এই স্থবিরতা বেশিদিন রাখা যায় না। এই স্থবিরতা কাটানোর জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নাই। আমি মনে করি খুব শিগগির চট্টগ্রামে লীগের খেলাও আয়োজন করা প্রয়োজন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের কোথাও করোনার কারণে এ টুর্ণামেন্ট শুরু করা হয়নি এখনো। কিন্তু করোনার জন্য জীবন স্তব্ধ হয়ে থাকতে পারে না। আমাদের সবাইকে করোনা মোকাবেলা যেমন করতে হবে, জীবন এবং জীবিকা দুটিই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। একইভাবে জীবনের সাথে ওঁৎপ্রোতভাবে যুক্ত খেলাধুলা, সেটাও আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই করোনাকালে বাংলাদেশে প্রথম সিজেকেএস ফুটবল টুর্ণামেন্টের যাত্রা শুরু করলো। সেজন্য সিজেকেএসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।

    তিনি বলেন, এখানে অনেকে জানেন না বঙ্গবন্ধু নিজেও কিন্তু ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধু যখন স্কুলের ছাত্র তখন স্কুৃল ম্যানেজমেন্টের সভাপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান। তখন শেখ লুৎফর রহমানের টিমের সাথে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন টিমের খেলা হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ায়। সেই খেলায় বাবার টিমকে তিনি হারিয়ে দিয়েছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অকৃত্রিম ও তুলনাহীন : তথ্যমন্ত্রী

    ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অকৃত্রিম ও তুলনাহীন : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অকৃত্রিম। এটির সাথে অন্য কারোর সম্পর্কের তুলনা হয় না।

    আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশের বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। তথ্যসচিব কামরুন নাহার এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রী জানান, ‘এটা হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ ছিল এবং তিনি সচিব মর্যাদায় পদোন্নতি পেয়ে দিল্লী যাচ্ছেন। তার এ পদোন্নতিতে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।’

    তথ্যমন্ত্রী এসময় সদ্যপ্রয়াত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন ও তাঁর প্রয়াণে আবারো গভীর শোক জানান। মন্ত্রী বলেন, ভারতের পাশাপাশি আজ বাংলাদেশেও প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক চলছে।

    ড. হাছান বলেন, ‘হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশের ঢাকা অবস্থানকালে আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে। বিশেষ করে বহু বছরের আলাপ আলোচনার পর গত বছর থেকে ভারতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) পুরো ভারতবর্ষে ফ্রি ডিসের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। একইসাথে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানমালাও সেখানে সম্প্রচার হচ্ছে। এগুলো বড় কাজ, বহু বছর ধরে যা নিয়ে আলাপ আলোচনা চললেও আগে জট খোলেনি। সমস্ত জট খুলে এগুলো করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’

    তিনি বলেন, ‘একইসাথে আপনারা জানেন, ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বায়োপিক নির্মিত হচ্ছে। কোভিডের কারণে এর কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে তবে খুব সহসাই কাজ শুরু হবে। আমরা খুব শিগগিরই দু’দেশের যৌথ প্রযোজনায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি ডকুমেন্টরি ফিল্মও তৈরি করবো।’

    রীভা গাঙ্গুলী দাশ এসময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন প্রণব মুখার্জি মারা গেছেন। সেজন্য ভারতে রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। আজ বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। আপনারা জানেন প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের খুবই বড় বন্ধু ছিলেন। আমি আগেও বাংলাদেশে ৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি, তখন প্রণব বাবু এসেছিলেন। আমি তার সাথে নোয়াখালীতে গান্ধী আশ্রমে গিয়েছিলাম। ওনার সাথে খুব ভালো একটা স্মৃতি রয়েছে।

    আগামী বছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর এবং দু’দেশের সম্পর্ক অনেক প্রাচীন হলেও ২০২১ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর হবে। দু’দেশের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমরা একসাথে কাজ করতে পারি, বলেন হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী।

    বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনারকে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক তিনটি গ্রন্থ ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা হস্তান্তর করেন এবং রীভা গাঙ্গুলীও মন্ত্রীর হাতে স্মৃতিস্মারক তুলে দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মূলধারার সংবাদপত্রের অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    মূলধারার সংবাদপত্রের অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মূলধারার সংবাদপত্রগুলোর অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আটকেপড়া সংবাদপত্রের বকেয়া বিল পরিশোধে আবারও তাগাদাপত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।

    মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ কথা বলেন তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, সম্পাদক পরিষদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত বৈঠক হয়। আজ (মঙ্গলবার) সে রকম একটি বৈঠক ছিল। আমরা সবসময় সংবাদপত্রের বিশেষ করে মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। আজও সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোর নিবন্ধন দ্রুত দেয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি, যেসমস্ত পত্র-পত্রিকাগুলো বের হয় বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির পত্র-পত্রিকার অনলাইন ভার্সন রেজিস্ট্রেশন দেয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি তদন্তের কিছু নেই। কারণ এগুলো তদন্ত করেই বের হয়। সুতরাং আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনের রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করব।

    এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পত্র-পত্রিকার অনেক বিল আটকে আছে। কোনো পত্রিকার ১০ কোটি, ১৫ কোটি, ২০ কোটি টাকা। এরকম করে কয়েকশ’ কোটি টাকার বিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দফতরে আটকে আছে। ওই বিলগুলো যাতে ছাড় করা হয় সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওই সব মন্ত্রণালয় ও দফতরে একটি তাগাদাপত্র দেব। কারণ ইতোপূর্বে পত্র-পত্রিকার বিল ছাড় করার জন্য কেবিনেট ডিভিশন থেকে সব মন্ত্রণালয় ও দফতরে তাগাদাপত্র দেয়ায় কিছু বিল ছাড় হয়েছিল।

    হাছান মাহমুদ আরও বলেন, যে পরিমাণ বিল বকেয়া আছে আর যে পরিমাণ ছাড় হয়েছে- তা খুবই নগণ্য। সেজন্য আমরা আরও একটি তাগাদাপত্র দেব। আজকে সবার সঙ্গে আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চসিকের সকল কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনয়নের উপর তথ্যমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

    চসিকের সকল কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনয়নের উপর তথ্যমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এম.পি’র সাথে ঢাকায় সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    স্বাক্ষাতকালে চসিক প্রশাসক চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান পরিস্থিতি, উন্নয়ন এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

    চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট সংস্কার,জলাবদ্ধতা নিরসনসহ বিভিন্ন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মকান্ডে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি।

    চট্টগ্রামের জনগনের বিনোদন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ছাড়াও নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণেও মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন চসিক প্রশাসক।

    সর্বোপরি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টিও তিনি উত্থাপন করেন।

    চসিক প্রশাসক সুবিধাজনক সময়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আসার আমন্ত্রণ জানান তথ্যমন্ত্রীকে।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে চসিক প্রশাসকের বক্তব্য শ্রবণ করেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের গুরুত্ব বিবেচনা করে চট্টগ্রামের মেগা প্রকল্পসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত এফডিসি’র মাধ্যমে এদেশের চলচ্চিত্র স্থান নেবে বিশ্বাঙ্গনে -তথ্যমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত এফডিসি’র মাধ্যমে এদেশের চলচ্চিত্র স্থান নেবে বিশ্বাঙ্গনে -তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত এফডিসি’র হাত ধরে এদেশের চলচ্চিত্র শিল্প আবার শুধু তার স্বর্ণালী সময়ই ফিরে পাবে, তা নয়, বিশ্ববাজারেও সম্মানজনক স্থান করে নেবে।

    শনিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন- বিএফডিসি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে তথ্যমন্ত্রী বিএফডিসি প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। কর্পোরেশন ও চলচ্চিত্র পরিবারের প্রতিনিধিবৃন্দও এসময় জাতির পিতাকে স্মরণ করে পুষ্পিত শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

    ঢাকায় এফডিসি প্রতিষ্ঠাকে বঙ্গবন্ধুর অনন্য দূরদর্শিতার পরিচায়ক হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে তৎকালীন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে সংসদে উত্থাপিত বিলের মাধ্যমে যে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন, তা বহু কালজয়ী সিনেমা ও গুণী শিল্পীর জন্ম দিয়েছে। এই সিনেমাগুলো আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতাপরবর্তী দেশ গড়তে ভূমিকা রেখেছে। আজ আমরা চলচ্চিত্র জগতসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার এই স্থাপনার হাত ধরে দেশের চলচ্চিত্রকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেবো।

    ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিকে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’ শ্লোগান দিয়ে জাগিয়ে তুলে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন’ বলেন তথ্যমন্ত্রী। ড. হাছান বলেন, ‘বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে তিনিই জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেজন্যই তিনি জাতির পিতা, সেজন্যই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি শুধু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই নয়, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ৭.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছেন, তিনকোটি গৃহহারা মানুষকে পুণর্বাসন করেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন এবং যেসব আইনী কাঠামো গড়েছেন, তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা সমুদ্র ও স্থলসীমা জয় করেছি, তেল-গ্যাসক্ষেত্রগুলো নিজেদের অধিকারে আনতে পেরেছি।’

    মন্ত্রী এসময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্য, শহীদ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের আত্মার শান্তিকামনা করেন।

    এর পরপরই বিএফডিসি চত্বরে চলচ্চিত্র পরিবার আয়োজিত শোক দিবসের সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনার জন্য আজ দেশের সাধারণ নাগরিক ও সাংবাদিক সমাজ দাবি জানিয়েছে। আমি আগে থেকেই বলে আসছি যে, শুধু এই হত্যাকান্ডের কুশীলবই নয়, যারা এর পটভূমি তৈরি করেছিলো, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের জন্য এখনই একটি কমিশন গঠন করা উচিত। মনে রাখতে হবে, এই হত্যাকান্ডের পর যারা এটিকে সমর্থন করেছিলো, দায় তাদেরও আছে।’

    বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার ও বিএফডিসি’র পরিচালক আইয়ুব আলী।

    চলচ্চিত্র পরিবারের সভায় প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রতারকা রোজিনা, দিলারা, রিয়াজ, মৌসুমী, ওমর সানি, শাকিব, অনন্ত জলিল, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরসহ জনপ্রিয় চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলীবৃন্দ সভায় যোগ দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা : তথ্যমন্ত্রী

    বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাঙালি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্বনেতা।’

    তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতি হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে তার নেতৃত্বেই স্বাধীনতা অর্জন করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। সেকারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা।’

    হাছান মাহমুদ আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে তাদের উদ্যোগে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ প্রামাণ্যচিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশের পর হাজার বছর আমাদের কোনো রাষ্ট্র ছিলো না। অনেকেই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা আনতে পারেননি। বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার ভাষাও বাংলা ছিলো না।

    ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। শুধু স্বাধীনতাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রকে ধ্বংস্তুপ থেকে তুলে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন’ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

    ড, হাছান বলেন, ‘ভারতের আশ্রয় থেকে ফেরা এক কোটি সম্বলহীন মানুষ, দেশের ভেতরে আরো দুই কোটি উদ্বাস্তু, ভগ্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা আর শূন্য বৈদেশিক রিজার্ভের দেশকে তিনি যখন সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই যারা এদেশের অভ্যুদয় চায়নি, স্বাধীনতা চায়নি, সেই চক্র স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাকে সপরিবারে হত্যা করে।’ এই হত্যাকান্ড শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, এটি ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, তখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৪ শতাংশ, যা আমরা ৪০ বছর পর, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতিক্রম করেছি। সে বছর দেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলো। অনেক পরিসংখ্যান মতে সেবছর দেশে ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অগ্রগতির সেই ধারায় দেশ আজ উন্নয়নে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যেতো।’

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নপূরণ করে যেতে পারেননি। কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে।

    প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বনেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য এক অনন্য দলিল।

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিও’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব : তথ্যমন্ত্রী

    শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন বিশেষজ্ঞদের মতামতকে ভুল প্রমাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে করোনা ভাইরাসের মতো দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিরোধী দল ঘরের মধ্যে বসে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে টলিভিশনে উঁকি দিয়ে দিয়ে কথা বলে ঘর থেকে বের হয় না। উঁকি দিয়ে কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে। আমরা একদিনও বসে ছিলাম না, জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আমাদের দলের অনেক নেতা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে। আমরা জানি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলে কি হতে পারে, সেটি মাথায় রেখে কাজ করেছি। সংকট মোকাবেলায় জনগণের পাশে থাকতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে এমন শিক্ষা দিয়েছেন।

    সোমবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। এসময় সিইউজে নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন দাবি-ধাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা মাথায় রেখে নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে যারা বেতন পাচ্ছেনা, যারা চাকরীচ্যুত কিংবা দীর্ঘদিন ধরে বেকার এই তিন ক্যাটাগরির সাংবাদিকদের মধ্যে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য এককালীন সহায়তা প্রদান করার জন্য তিনি আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা প্রথম ধাপে সারাদেশে দেড় হাজার সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছি। এটি এই দেড় হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা, পরবর্তী পর্যায়ে আরো চেক বিতরণ করা হবে।

    তিনি বলেন, আপনারা জেনে নিশ্চিত খুশি হবেন আমাদের আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কায়ও সাংবাদিকদের এধরনের সহায়তা করা হচ্ছেনা। সেখানে সহায়তা করা হচ্ছে শুধুমাত্র যারা করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে। আমরাও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের কারণে কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাদেরকেও এককালীন তিন লাখ টাকা করে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কে দেয়া হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে প্রথম মাসে সবকিছু বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অনেককিছু খুললেও এখনো অনেক কিছু খুলেনি। কিন্তু সাংবাদিকদের কাজকর্ম কখনো বন্ধ ছিলনা। সাংবাদিকরা এই করোনা ভাইরাসের মধ্যে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে। সংবাদ সংগ্রহ করেছে, সংবাদ পরিবেশন করেছে, যে কারণে পত্রিকা বের হয়েছে, টেলিভিশনে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। সাংবাদিক ভাই-বোনেরা যদি এভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ না করতো তাহলে পত্রিকায় ও টেলিভিশনের সংবাদ পরিবেশন করা সম্ভবপর হতো না। এর জন্য বহু সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ভাই-বোন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

    তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে শুরু থেকেই সংবাদপত্র টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ার মালিকপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছিলাম যাতে সাংবাদিক ভাই-বোনদের বেতন ভাতা ঠিকমতো দেয়া হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে এমন কোন সেক্টর নাই নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি, সমগ্র বিশ্বব্যাপী এটি হচ্ছে চিত্র। তাই আমি বারংবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই করোনাভাইরাসের মধ্যে আমরা কষ্টটা যেন ভাগ করে নিই। এই দুর্যোগ কিন্তু সব সময় থাকবেনা, তাই দুর্যোগের সময় আমাদের অসুবিধা হলেও আমি সমস্ত গণমাধ্যমের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো সাংবাদিকদের বেতন ভাতা যতোটুকু সম্ভব সঠিক ভাবে যেন পরিশোধ করা হয়।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। যদি তাই না হতো তাহলে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার এত কম হতো না। মৃত্যুর হার উন্নত দেশগুলোর চেয়ে তো কম বটেই এমনকি আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ভারত পাকিস্তানের চেয়েও কম।

    পান থেকে চুন খষলেই হৈ হৈ রৈ রৈ করা সঠিক নয় জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রথম দিকে চট্টগ্রামে অনেক অসুবিধা ছিল, আইসিইউ বেড থেকে শুরু করে নরমাল বেডের সমস্যা ছিল। আজকে আইসিইউ বেড খালি আছে, নরমাল বেডও খালি। প্রথমদিকের পত্র-পত্রিকায় যে সংবাদ গুলো এসেছে সেগুলো আমার চোখে পড়েছে। চট্টগ্রামে রোগী ৫’শ বেড আছে ৪’শ এধরণের খবর পরিবেশিত হয়েছে। অথচ করোনা আক্রান্ত শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হাসপাতালে যেতে হয় না।

    তিনি বলেন, সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদপত্র সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার জন্য, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়ার জন্য, দায়িত্বশীলদের ভূমিকা যাতে আরো সঠিক ভাবে পালন করতে পারে সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। সুতরাং যখন কাজের ত্রুটি হয় সেটি অবশ্যই গণমাধ্যম উঠে আসবে। যখন কাজ ভাল হয় তখন সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন। আজকে যে ভালো পরিস্থিতিতে আমরা আসতে পেরেছি সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

    পরে চট্টগ্রাম বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে করোনা ভাইরাসসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী। এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বিসহ চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর