Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • বিদেশীদের কাছে নির্বাচন নিয়ে নালিশ করাও একধরনের আচরণ বিধি লংঘন : তথ্যমন্ত্রী

    বিদেশীদের কাছে নির্বাচন নিয়ে নালিশ করাও একধরনের আচরণ বিধি লংঘন : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের কাছে নালিশ করাও একধরনের নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন।

    তিনি বলেন, ‘যে কোন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ উপস্থাপন করা এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ছোট খাটো যে ঘটনা গুলো হচ্ছে, সেগুলো বিদেশীদের কাছে উপস্থাপন করাও তো এক প্রকার নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন।’

    হাছান মাহমুদ আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বিএনপি হাইকোর্টে গিয়েছিল।সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তারা হাইকোর্টে গিয়েছিল ইভিএম এর বিরুদ্ধে। হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি। সর্বোচ্চ আদালতে তাদের অবেদন রিজেক্ট করে দিয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘যেখানে হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি, আবার সেই একই নালিশ বিদেশিদের কাছে গিয়ে উপস্থাপন করা তো আদালত অবমাননার শামিল এবং যে কোন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করা এটিও তো আচরন বিধি লংঘন।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কোন অভিযোগ থাকলে তা ভোটার ও জনগনের কাছে উপস্থাপন করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশী রাষ্ট্রদুতের কাছে উপস্থাপন করা অনেকেই মনে করেন এটিও এক প্রকার আদালত আবমাননার শামিল।

    বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম হচ্ছে একটি অধুনিক প্রযুক্তি। পুরো ভারত বর্ষের সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়েছে এবং ভারতে এই ভোট গ্রহণ বিষয়ে তেমন কোন অভিযোগ ওঠেনি। যুক্তরাষ্ট্রেও ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, এই অধুনকি প্রযুক্তি দিয়ে কেন ভোট গ্রহণের বিরোধীতা করছে বিএনপি তা আমরা বোধগম্য নয়। তবে বিএনপি সব সময়ে অধুনিক প্রযুক্তির বিরোধীতা করে। কারণ তারা প্রযুক্তিকে ভয় পায়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল বাংলাদেশকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তখনকার সরকার প্রধান খালেদা জিয়া সাবমেরিন ক্যাবল সুবিধা গ্রহণ করেননি। কারণ তিনি ভেবে ছিলেন যে দেশের অভ্যন্তরিন গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। কিন্তু পরবর্তিতে আওয়ামী লীগের সরকারের সময় কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযুক্ত হতে হয়েছে।

    তিনি বলেন, ইভিএম এর ক্ষেত্রেও বিএনপির মানসিকতা একই রকম। দেশে এক সময়ে হাত তুলে ভোট হত। পরবর্তিতে ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট নেয়া শুরু হয়। ইভিএম ইতিপূর্বে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন ও সংস্দ নির্বাচনের ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। এতে দেখা গেছে কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিল মারার তেমন কোন অভিযোগ আসেনি। কিন্তু তারপরও তারা ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে তারা পরিজিত হবে তা বুঝতে পেরে আগে থেকেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পথ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার পদটি একটি সাংবিধানিক পদ। যেমন হাইকোর্টের বিচারপতি, সেগুলোও সাংবিধানিক পদ।

    হাইকোর্টের কোন বিচারপতি যেমন তাদের অভ্যন্তরিন বিষয় জনগনের সামনে উপস্থাপন করেন না এবং সেটি নিয়মও নয়। সাংবিধানিক পদে থেকে সেটি করা সমিচিন নয়। এটি একান্তই অভ্যন্তরিন বিষয়। তাই সাংবিধানিক পদে থেকে নিজেদের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিজেদের ফোরামে কথা বলাই ভাল। সেটি জনসমুখে বিশেষ করে গণমাধ্যমের সামেনে বলা, সেটি তার সাংবিধানিক পদের বর খেলাপ কিনা সে বিষয়ে অনেকেই প্রশ্নে তুলেছেন।

  • মায়ানমারকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মানতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    মায়ানমারকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মানতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মায়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অবশ্যই মানতে হবে। তাদের এই রায় প্রত্যাখ্যান করার কোন সুযোগ নাই। এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। সেখানে যতজন বিচারক ছিল তারা সর্বসম্মতভাবে এই রায় দিয়েছেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছে মায়ানমারকে ৪ মাস পর আদালতকে এই রায়ের কতটুকু বাস্তবায়ন করেছে তার রিপোর্ট করতে।

    তিনি বলেন, যেসমস্ত দেশগুলো এই রায়ের আগে মায়ানমার যে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত করেছে, এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্টিকে নির্মূল করেছে সেই ব্যাপারে এতদিন দ্বিধাদ্বন্ধে ছিল আমি মনে করি এই রায়ের পর তারা মায়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করবে।

    এতদিন যারা মায়ানমারকে এই কাজ থেকে নিবৃত্ত করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ করেনি তারা রোহিঙ্গাদের যাতে পূর্ণাঙ্গ নাগরিক অধিকার দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যায় সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই রায়ের পর মায়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করবে। মায়ানমারকে এই রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের “বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা” শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ ও ক্যান্সার রোগীদের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ইউএনও মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমূখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মায়ানমারে যখন সেখানকার রোহিঙ্গা জনগোষ্টির উপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে, যখন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, রোহিঙ্গাদের যখন নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছিল, তখন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি যদি দেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে মায়ানমারের ১০/১১ লাখ মানুষকে খাওয়াতে পারব। সেকারণে তিনি আমাদের সীমান্ত খুলে দিয়েছেন এবং তাদেরকে বাংলাদেশে জায়গা করে দিয়েছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু মায়ানমার যেভাবে সেখানে মানুষ হত্যা করেছে, ছোট শিশুদের হত্যা করেছে, সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষণ করেছে। নির্বিচারে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে, সেটা মানবতা বিরোধী অপরাধ। সেই অপরাধের বিরুদ্ধে ওআইসি’র সকল সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষে গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট অব জাস্টিসে) মামলা করেছে। সেই মামলায় মায়ানমারের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক রায় হয়েছে।

    তিনি বলেন, সেই মামলায় আন্তর্জাতিক আদালত অন্তবর্তীকালীন আদেশে বলেছে মায়ানমারকে অবিলম্বে মানবতা বিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে হবে। সেখানে যে আরও রোহিঙ্গারা রয়েছে তাদের যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়, এবং ইতিপূর্বে যে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সেগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।

    মায়ানমরের সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য যে সমস্ত বাহিনী অপরাধ সংগঠিত করেছে তারা যাতে আর কোনভাবেই এধরণের কাজে যুক্ত না থাকে। এবং তারা যাতে কোনভাবে অন্য কাউকে আর পরোচনা না দেয় সেজন্য এই ঐতিহাসিক রায় দেয়া হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি হিসেবে প্রাথমিকে ১০১ জন শিক্ষার্থীকে ১২শত টাকা করে, ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৯৪ জন শিক্ষার্থীকে ১৫শত টাকা করে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ৯ জন শিক্ষার্থীকে ৩২শত টাকা এবং ডিগ্রী ও অনার্স পর্যায়ে ২ জন শিক্ষার্থীকে ৪ হাজার ৫’শত টাকা করে দেওয়া হয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২শত জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ এবং ২টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সামগ্রী এবং ৩০ জনকে বাইসাইকেল দেওয়া হয়। এছাড়া ২১ জন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ও জন্মগত হৃদরোগীদের র্আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।

  • জনগণ আ’লীগ ও শেখ হাসিনার সাথে আছে : তথ্যমন্ত্রী

    জনগণ আ’লীগ ও শেখ হাসিনার সাথে আছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তাদের এধরণের মিথ্যে ভাষণে জনগণ বিভ্রান্ত হবেন না। জনগণ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সাথে রয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীর বিক্রমের স্মরণে নাগরিক শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    প্রয়াতের বড় ভাই ইসমাঈল হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে চুনতি মেহেরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    বিএনপি নেতা আমীর খসরু চৌধুরীর বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিথ্যা ভাষণ দিয়ে তারা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। তাদের বলবো এ ধরণের মিথ্যে ভাষণ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে লাভ হবেনা।’

    চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন নির্বাচনে ‘প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছেন’ আমীর খসরু চৌধুরীর এমন অভিযোগের জাবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এ আসনের মহানগর অংশে ভোটারের সংখ্যা প্রায় পৌনে ৪ লাখ। তারমধ্যে মোসলেম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মাত্র ৩৬ হাজার ভোট পেয়েছেন। যদি ভোট কেন্দ্র দখল হতো এবং তার ভাষ্য অনুযায়ি এই ধরণের ভোটাররা ভোট দিতো তাহলে বিজয়ী প্রার্থী ৩৬ হাজার নয় ১ থেকে ২ লাখ ভোট পেতেন।

    তথ্যমন্ত্রী এসময় প্রয়াত জয়নুল আবেদীনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘তিনি মানুষের জন্য নিভৃতে কাজ করেছেন, সেকারণে তিনি আজকে এত জনপ্রিয়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ হাজার হাজার মানুষের সমাগত হয়েছে।’

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদীন রাজনীতি করতেন না। কিন্তু তার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার বাসায় কেউ গেলে দেখতে পেতেন, একজন রাজনীতিবিদের বাড়িতে যেভাবে সকাল বেলা প্রচুর মানুষ দেখা করতে যায়, সে রকম মানুষের যাতায়াত। তার গ্রামের বাড়িতেও একইভাবে গণমানুষের যাতায়াত ছিল। রাজনীতি না করেও সারাজীবন তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জয়নুল আবেদীনের হাত ধরে বহুজনের জীবনে পরিবর্তন এসেছে, বহুজন জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, অনেকের জীবনে আমূল পরিবর্তন এসেছে ‘

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতভাগ বিশ্বস্ত জয়নুল আবেদীনের সহায়তা নিতেন, কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমনভাবে পরিবেশন করতেন, তাতে সম্মতি আদায় করা যেত।”

    চট্টগ্রামের বে টার্মিনাল প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য প্রয়াত জয়নুল আবেদীন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসার সুযোগ না পেলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগের কারণে। আজকে বে টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে। শুধু চট্টগ্রামের নয়, বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্প মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদীনের কারণে গতি পেয়েছে।’

    শোক সভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি, কানিজ ফাতেমা এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, আওয়ামী লীগের তথ্যও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আবু রেজা নদভী এমপি।

  • মানবিক মূল্যবোধ সুরক্ষা করতে পারে চলচ্চিত্র : ড. হাছান মাহমুদ

    মানবিক মূল্যবোধ সুরক্ষা করতে পারে চলচ্চিত্র : ড. হাছান মাহমুদ

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির সাথে মানুষ ক্রমশ যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলেছেন, চলচ্চিত্র বর্তমানে অবক্ষয়ের সম্মুখীন মানবিক মূল্যবোধ সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।

    তথ্যমন্ত্রী রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে নয় দিনব্যাপী অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসববের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।

    সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

    ড. হাছান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে চলচ্চিত্রের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ১৯৫৭ সালে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেন এবং তা পাস হয়। এভাবে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্প যাত্রা শুরু করে।

    মন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র আমাদের হাসায়, কাঁদায়, আমাদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস সঞ্চার করে। কখনো কখনো এটি আমাদের মনের গভীরে একটি স্থায়ী দাগ কাটে, যা কখনো মুছে ফেলা যায় না।’

    এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিল – ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’।
    ড. হাছান এ প্রসঙ্গে বলেন ‘এটি সুস্পষ্ট যে, ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক আমাদের একটি আলোকিত সমাজের দিকে চালিত করে।’

    ড. হাছান এ উৎসবের পৃষ্ঠপোষক ও আয়োজকদের তাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা ও সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ জানান।

    সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মকে চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করতে হবে। আর তখনই এ শিল্প এগিয়ে যাবে।’

    উৎসবে আফগানিস্তান, বেলজিয়াম, বসনিয়-হার্জেগোভিনা, চীন, ক্রোয়েশিয়া,প্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইরান, লেবানন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, কাতার, শ্রীলংকা, তুরস্ক,ও বাংলাদেশের প্রায় ১৫০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশের ‘ ন ডরাই’ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেছে।

    ইরানের পরিচালক মিরকারিমী রেজার ক্যাস্টেল অব ড্রিমস এশিয়ান ক্যাটাগরিতে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।

    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

  • নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভারত সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাক্ষাৎ করেছেন।

    এতে বলা হয়, নয়াদিল্লি¬তে রাইসিনা সংলাপে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের অন্যান্য দেশের মন্ত্রীদের সাথে হাছান মাহমুদ বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

    ভারত সফররত বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাতের আমন্ত্রন পান।

    ড. হাছানের সাথে আলাপকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেবার অনুরোধ জানান।

    তথ্যমন্ত্রী এদিন দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামানিয়াম জয়শংকরের সাথে বৈঠক করেন।

    এরআগে মঙ্গলবার তিনি ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদকারের সঙ্গে ভারতে বাংলাদেশ বেতারের দৈনিক চার ঘন্টা সম্প্রচার উদ্বোধন ও বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণে যৌথ প্রযোজনা চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।

    আজ বৃহস্পতিবার হায়দ্রাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটি পরিদর্শন শেষে আগামীকাল শুক্রবার তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

  • সিডিএ’র উদ্দ্যেশে তথ্যমন্ত্রী : পাহাড় কেটে রাস্তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

    সিডিএ’র উদ্দ্যেশে তথ্যমন্ত্রী : পাহাড় কেটে রাস্তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোর আরো যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি খেয়াল করে না।

    তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর মতো একটি প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের নামে রাস্তা বানাতে গিয়ে আজ থেকে দেড়-দুই বছর আগে এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির পাশে ৩০০ ফুট পাহাড় কেটে সমতল করে ফেলেছে। এটি আমাকে প্রচণ্ড পীড়া দিয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, যেভাবে পাহাড় কেটে সেখানে রাস্তা করেছে, এটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম শহরের সৌন্দর্য হচ্ছে পাহাড়। সেই পাহাড়কে সংরক্ষণ করে, পাহাড়কে বজায় রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যায়।

    চট্টগ্রামে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করার সময় পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি ভাবার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভবন বানাতে গিয়ে, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে যেন এই পরিবেশ-প্রকৃতি নষ্ট না হয়, এই নান্দনিকতা যেন হারিয়ে না যায়। সেটি মাথায় রাখতে হবে।

    শনিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এর পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস. এম. মতিউর রহমান, নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল, চবি ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন, ফরেস্ট্রি’র এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    দেশে বনের বাইরে ও ভেতরে গাছের সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ থেকে ১১-১২ বছর আগে বাংলাদেশের বৃক্ষাআচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ছিল ১৯ শতাংশের নিচে, এখন সেটি ২৪ শতাংশের বেশী।

    মানুষ বেড়েছে গত ১১ বছরে, মানুষের জন্য নতুন বসতি নির্মাণ করতে হয়েছে, শহরগুলোর আকার বেড়েছে, একইসাথে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, দুই লেনের রাস্তা চার লেন হয়েছে, শিল্পায়ন হয়েছে, এরপরও বৃক্ষাআচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ বেড়েছে। এর কারণ হচ্ছে, মানুষের মধ্যে গাছ লাগানোর চেতনা জাগ্রত হয়েছে। আগে আমাদের বনভূমিতেই শুধু গাছ ছিল। এখন দেখা যায়, বনভুমির বাইরেও লোকালয়ে প্রচুর গাছ আছে, লাগানো হচ্ছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি ছোট্ট দেশ বাংলাদেশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১শ’র বেশী মানুষের বসবাস। মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ পৃথিবীতে সর্বনিন্ম। এরপরও বাংলাদেশ পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

    বাংলাদেশ আজকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে একটি কেস স্টাডি। কিভাবে পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ, যে দেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ পৃথিবীতে সর্বনিন্ম , ঝড়-বন্যা, জলোচ্ছ্বাস যে দেশের নিত্য সঙ্গী। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত যেখানে দৃশ্যমান, বিদ্যমান, সেই দেশ কিভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হল, এটি আজকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে বড় বিস্ময়, একটি কেস স্টাডি।

    এটি সম্ভব হয়েছে, আমাদের দেশ ছোট হলেও উর্বর দেশ। এখানে বায়ো ডাইভারসিটি এত ব্যাপক, এত প্রাচুর্যময়, সেই কারণে এটি সম্ভবপর হয়েছে।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ লাগানোর প্রস্তাব দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার তিন সন্তানের মধ্যে দ্ইু সন্তানের জন্ম হয়েছে বেলজিয়ামে। জন্মের কয়েকদিন পর আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পেলাম, সেখানে লেখা তোমাদের সন্তানদের নিয়ে অমুক দিন অমুক জায়গায় হাজির হতে হবে। সেখানে একটি গাছ লাগানো হবে এবং একটি নেমপ্লেট দেয়া হবে। সেই গাছটি থেকে যাবে, নেমপ্লেটটিও থেকে যাবে। অর্থ্যাৎ প্রতি সন্তান জন্মলাভের পর সেখানে সন্তানের নামে একটি গাছ লাগানো হয়। সেই গাছটি থেকে যাই। সেটি কাটা হয় না। সে যখন বড় হয়, তখন সে নেমপ্লেট থাকায় গাছটাকে খুঁজে পায়।

    ‘আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ জানাবো, ফরেস্টি ডিপার্টমেন্ট সেক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যত নবজাতকের জন্ম হবে, তাদের নামে যেন একটি করে গাছ লাগানো হয়, সেজন্য একটি এলাকাকে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এটি যদি আপনারা করেন, আপনারা বাংলাদেশে প্রথম কর্তৃপক্ষ হবেন, এই কাজটি করার ক্ষেত্রে। অনেকেই চাইলেও এই কাজটি করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেও পারবে না, কারণ তাদের গাছ লাগানোর জায়গা নেই।’

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার কোন কোন জায়গায় এখন দাবানল ও খরতাপ দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের মত জায়গায় হচ্ছে বন্যা। এটি হচ্ছে পৃথিবীর মাত্র এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার কারণে। মানুষ যেভাবে নির্বিচারে কার্বন নিঃসরণ ঘটাচ্ছে, প্যারিস চুক্তিতে বিভিন্ন দেশ যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছে, সেই প্রতিশ্রুতিগুলো যদি পুরোপুরি বাস্তবায়নও হয়, পৃথিবীর তাপমাত্রা সাড়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে।

    এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার কারণে যেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা দাঁড়িয়েছি। সেখানে তাপমাত্রা সাড়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে সেটি অনুমান করাও কঠিন।

    জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য হুমকি নয় মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগের মোকাবেলা করছি। জলবায়ু পরিবর্তন এখানে বাস্তবতা, হুমকি নয়। এখানে আসবে তা নয়, এটা এসে গেছে। যখন আগ্রাবাদে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়, তখন উচ্চ মধ্যবিত্ত সবাই সেখানে প্লট নিয়েছে, এখন তারা সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।

    কারণ বর্ষাকালে জোয়ারের পানি সেখানে সবসময় আসে। চট্টগ্রাম শহরে আমার পৈত্রিক বাড়ি আশির দশকে আমার বাবা তৈরি করেন। সেখানে কখনো দেখিনি পানি আসে।

    প্রায় ১৫ বছর আগে বাড়ির অভ্যন্তরে ড্রেনের মধ্যে দেখি জোয়ারের পানি আটকে আছে। এর আগে কখনো দেখিনি জোয়ারের পানি বাসা পর্যন্ত চলে আসতে। জোয়ার-ভাটার পানি যেভাবে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় এখন আসছে, এটি আগে ছিল না।

  • শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। আরো খবর : নেতাকর্মীদের বিনয়ী হওয়ার আহবান তথ্যমন্ত্রীর

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেক দেশের চাইতে এগিয়ে।স্বাধীনতার পর যে পাকিস্থান বাংলাদেশ রাস্ট্র হিসেবে টিকে থাকা নিয়ে সন্দেহ করতো সেই পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণ এখন আক্ষেপ করেন। কারণ সমস্ত সূচকে বাংলাদেশ আজকে পাকিস্থানকে অতিক্রম করেছে। আরো খবর : মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনা : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্থানের, বুদ্ধিজীবি ও রাজনীতিবিদরা যখন উন্নত দেশে রুপান্তর করার স্বপ্ন দেখান তখন সে দেশের জনগণ বলেন আমাদেরকে অত স্বপ্ন দেখাবেন না বরং বাংলাদেশ হওয়ার চেষ্টা করেন। এখানেই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার স্বার্থকতা। আরো খবর : খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভীর বক্তব্য তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়-তথ্যমন্ত্রী

    এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং অংগ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দরা বিমান বন্দরে জড়ো হন। তাদের শুভেচ্ছা অভিনন্দনে শিক্ত হন তথ্যমন্ত্রী।

  • মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনা : তথ্যমন্ত্রী

    মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনা : তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতা বিরোধী যে চক্রটি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে সে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অনেকেই মনে করেছেন আওয়ামী লীগ আর কখনো ক্ষমতায় আসবে না। আরো খবর : খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভীর বক্তব্য তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়-তথ্যমন্ত্রী

    তারা দম্ভ করে সে কথাই বলতো। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুহীন আওয়ামী লীগকে মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে লালন করে পুনরায় সু সংগঠিত করে দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ক্ষমতায় আসে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০১ সালের ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। বহু সংগ্রামের মধ্যে ২০০৭ সালে গণতন্ত্রকে আবার বাক্স বন্ধি করা হয়। বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা কারাবরণ করে। এরপরও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে আবার পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করে আওয়ামী লীগ।

    ২০০৮ সালে ধ্বস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা আবার সরকার গঠন করে। সেই ধারাবাহিকতায় জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে পরপর তিনবার সরকার নির্বাচিত হয় শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নতুন প্রজন্মকে ভুমিকা রাখতে হবে। আরো খবর : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আরো খবর : নেতাকর্মীদের বিনয়ী হওয়ার আহবান তথ্যমন্ত্রীর

    এর আগে আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং অংগ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দরা বিমান বন্দরে জড়ো হন। তাদের শুভেচ্ছা অভিনন্দনে শিক্ত হন তথ্যমন্ত্রী।

  • উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ঊনপঞ্চাশ বছরে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে তিনটি উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে রয়েছি। উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।

    তথ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বেতার ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    আলোচনা সভার আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি উদ্বোধনকালে রাজাকারের তালিকা কেন’- বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা কেন- এ প্রশ্ন করে বিএনপি রাজাকারদের পক্ষে নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করেছে।’

    ড. হাছান বলেন, ‘মীর্জা ফখরুল সাহেব তার এ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজাকারদেরই পক্ষ নিয়েছেন। আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের দলের চেয়ারপারসন পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেনএবং তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। ’

    এসময় ‘তালিকায় কিছু ভুল রয়েছে’ বলে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কিছু ভুল রয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন এবং ভুলগুলো অবশ্যই শুধরে নেবার সুযোগ আছে। তবে এ ভুলগুলো কেন হলো, কিভাবে হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করেছে কি না, তা অনুসন্ধান করে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ পরে বেতার চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে আলোচনা সভায় যোগ দেন মন্ত্রী।

    বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ন চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা:মুরাদ হাসান এবং তথ্য সচিব আবদুল মালেক।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের এই ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে বহুদূর এগিয়ে গেছে।মানব উন্নয়নে,সামাজিক উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।

    তিনি বলেন,বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানীরা এই বলে তুষ্ট থাকতো যে,বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না।আজকে এখানে এসে পাকিস্তানীরা আক্ষেপ করে বলে বাংলাদেশ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে।এমন আক্ষেপ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠেও পাওয়া যায়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন,এখানেই হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা, স্বাধীন বাংলাদেশের সার্থকতা।এই উন্নয়ন এবং সার্থকতাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যেকোন মানুষের স্বপ্ন পূরণের তাড়না, তাগাদাও প্রচেষ্টা থাকতে হয় এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,যারা স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি দেখার প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে তার সবস্বপ্ন পূরণ না হলেও অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রীয় জীবনেও স্বপ্ন ছাড়া রাষ্ট্রকে বেশীদূর এগিয়ে নেয়া যায় না।সেকারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ থেকে ১১ বছর আগে দুটি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন।একটি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং অন্যটি হলো দিনবদল। যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হলো তখন অনেকে প্রশ্ন তুলেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ টা আসলে কি? অনেকে হাসিঠাট্টা করেছিল।বিশেষ করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো হাসিঠাট্টা করেছিল।

    তিনি বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয়,বাস্তবতা।ষোল কোটি মানুষের দেশে পনের কোটি সিম ব্যবহারকারী।এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।মুহূর্তের মধ্যে ঢাকার রিকশাওয়ালা ভাই ভোলার মনপুরায় তার স্ত্রীর কাছে পাঁচ’শ টাকা মোবাইলে পৌছে যায় ,এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।মুহূর্তের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী সন্তানের কাছ থেকে পিতার কাছে কয়েকঘন্টার মধ্যে টাকা পৌছায় এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশএবং শস্যক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে কৃষক ভাই পোকার ছবি তুলে সেই ছবি তিনি কৃষি সংক্রান্ত পরামর্শ চাইতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে পরামর্শ চান-এবং মোবাইলে কল দিয়ে জানতে চান কি কীটনাশক ব্যবহার করবেন-এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।

    অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মমতা হেনা লাভলী।স্বাগত বক্তৃতা করেন,বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক(বার্তা) হোসনে আরা তালুকদার।

    আলোচনা সভার পরে বাংলাদেশ বেতারের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

  • সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চয়তা সহ আইনী সুরক্ষা দেবে সরকার-তথ্যমন্ত্রী

    সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চয়তা সহ আইনী সুরক্ষা দেবে সরকার-তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চয়তাসহ আইনী সুরক্ষা দেবে সরকার-এমন ঘোষণা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    তিনি বলেছেন, দেশের ও আইনের স্বার্থে এবং বিচারপতিদের সম্মান রক্ষার্থে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আদালতে নজিরবিহীন হট্টগোলের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগে
    দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন ।

    শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়স্থ কে-স্কোয়ার মিলনায়তনে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের যুগপূর্তি অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনের মাধ্যমে সরকার সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চয়তাসহ আইনী সুরক্ষা দেবে। মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে সম্প্রচার, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন বিদেশে নিয়ে যাওয়া রোধ, ক্যাবল অপারেটরদেরকে দেশীয় টিভি চ্যানেল গুলোর সিরিয়াল নিশ্চিত করাসহ একযুগেও সমাধান না হওয়া বেশ কিছু কাজ তাঁর সময়কালের ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হয় বলে জানান।

    তিনি বলেন, এত বছরেও ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল সম্প্রচার সম্ভব না হলেও সম্প্রতি তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় সেটা সম্ভব হচ্ছে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাস্তবতার নিরিখে সাংবাদিকদের জন্য যা যা করা দরকার সব করবে সরকার । চলতি ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ১২ঘন্টা সম্প্রচার ও আগামী তিন মাসের মধ্যে টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার হবে বলেও ঘোষণা দেন তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি টেলিভিশন ক্যামেরাপার্সনদের সংগঠনটির কল্যাণে এক লক্ষ টাকা সহায়তার ঘোষনা দেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ ও রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তিনি চট্টগ্রামের টেলিভিশন সাংবাদিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ঘোষনাও দেন।

    তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতির উপস্থিতিতে বিএনপির আইনজীবীরা
    যে ধরনের হট্টগোল করেছে, গন্ডগোল করেছে দেশের ইতিহাসে এটি একটি কলংকজনক ঘটনা ও দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে । দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পেছানোতেই বিএনপি’র আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে দেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি এবং মাননীয় বিচারপতিবৃন্দকে এজলাস ছাড়তে হয়েছে।

    নজীরবিহীন এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, দেশের সামগ্রিক আইন-আদালতের প্রতি হুমকি ও সর্বোচ্চ আদালতকে অবজ্ঞা-অসম্মানের শামিল। দেশে আইনের শাসন বজায় রাখার স্বার্থে এঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বেগম জিয়ার জামিন হবে কি হবে না, সেবিষয়ে শুনানি পেছানোতেই যদি সর্বোচ্চ আদালতে হট্টগোল হয়, জামিন হলে তারা জ্বালাও-পোড়াও করে কতটা অরাজকতা করবে, সেটি গভীর উদ্বেগের বিষয়।

    তিনি বলেন, বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা যে এই প্রথম এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা নয়। অতীতে যারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল বৃহস্পতিবারের ঘটনায় তাদের যে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, এটি আদালতের প্রতি হুমকিস্বরূপ।

    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুগপূর্তি অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন। এছাড়াও অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে-ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক ইকবাল, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসিরুদ্দিন তোতা, সাধারন সম্পাদক লতিফা আনসারি রুনা।

    অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেয়া হয় সাংবাদিক এজাজ মাহমুদ ও সৌমেন গুহকে।

    সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের অব্যাহত সহযোগিতা প্রদানের ঘোষণা দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার পেশাজীবী বান্ধব সরকার। সাংবাদিকদের সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের কথাও স্বীকার করে উন্নয়নে সাংবাদিকদের আরও ভূমিকা রাখতে তিনি অনুরোধ জানান।

    বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তার ক্ষেত্রেও আঞ্চলিক বৈষম্য মুক্তি প্রয়োজন। এজন্য তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের কাছে তিনি দাবি জানান।

    এছাড়াও বক্তব্য রাখেন টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক শামসুল ইসলাম বাবু ও সাবেক সভাপতি এনামুল হক।

    সাংবাদিক অনুপম পার্থের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটিতে তিনজন সেরা রিপোর্টার ও ক্যামেরাপার্সনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। রিপোর্টার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম- চ্যানেল-২৪-এর আকরাম হোসেন, দ্বিতীয় যৌথভাবে- দুইজন ফখরুল ইসলাম চ্যানেল-২৪ এবং মোঃ শোয়েব উদ্দিন-যমুনা টিভি,তৃতীয় – প্রণবেশ চক্রবর্তী-৭১ টিভি।

    ক্যামেরাপার্সনদের মধ্যে পুরস্কার পেয়েছেন সেলিম, আবু জাহিদ, দিপংকর দাশ ও বাবুন পাল।

    ডকুমেন্টারীতে পুরস্কার পেয়েছেন এনামুল হক, সেলিম উল্লাহ, অমিত দাশ ও সঞ্জিব দেব বাবু।

    রাত প্রায় বারোটায় অনুষ্ঠানের শেষ অংশে ছিল গ্রহণকারী সদস্য ও পরিবার বর্গের মধ্যে লাকী কুপন ড্র’র পুরস্কার বিতরণ পর্ব। এতে অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চ্যানেল 24 এর রিজিওনাল এডিটর কামাল পারভেজ, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

    শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উৎসব আহ্বায়ক রনী দাশ। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিব।

  • বিএনপির আন্দোলনের হুমকি আদালত অবমাননার শামিল : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির আন্দোলনের হুমকি আদালত অবমাননার শামিল : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য তাদের আন্দোলনের হুমকি আদালত অবমাননার শামিল।
    তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার জামিন দেবে আদালত, সরকার নয়। খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আন্দোলন করার অর্থ বিএনপি আদালত মানে না। বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে প্রমাণিত হচ্ছে তারা দেশের বিচার ব্যবস্থা, আইন-আদালত মানে না।”

    তথ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন মঞ্চ পরিদর্শন পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “সরকার খালেদা জিয়ার জামিন দেয়ার এখতিয়ার রাখে না। তার মানে তাদের আন্দোলন আদালতের বিরুদ্ধে। সে কারণে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে কিছু করে কী না, সেটিই দেখার বিষয়।”

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ করতে চান। জাতি ও দেশকে এগিয়ে নিতে চান। সমাজকে সুন্দর ও শান্তিময় করতে চান। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সম্মেলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলকে আরও গতিশীল এবং সুসংগঠিত করতে চান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্যদিয়ে দলে নতুন নেতৃত্ব আসবে। দলকে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করতেই এ সম্মেলন।

    পরে তিনি আওয়ামী লীগের আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলনের জন্য মঞ্চ তৈরির কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এ সময় গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আজম এমপি, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, সাইফুর রহমান সোহাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এফ এম সোহরাওয়ার্দ্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রকৃতি নিজের কোলে লালন করছে চবিকে:তথ্যমন্ত্রী

    প্রকৃতি নিজের কোলে লালন করছে চবিকে:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেটিকে প্রকৃতি অপরুপভাবে সাজিয়েছে। আমি পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এত সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় দেখি নাই। প্রকৃতি নিজের কোলে লালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে।’

    শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় চবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘এলামনাই এসোসিয়েশন’র প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়তাম তখন শাটল ট্রেনে করে ক্যাম্পাসে যেতাম। প্রথম বর্ষে, দ্বিতীয় বর্ষে শাটলের বগিতে চাপরিয়ে গলা ছেড়ে গান করতাম। এখনও এসবের ইচ্ছা হয়, কিন্তু তা আর হয়ে উঠে না।’

    এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন হলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ১ম অধিবেশনের উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

    এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও সংগঠনের সভাপতি আব্দুল করিম। জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনী উদ্বোধন করা হয়।

    চবির সংগীত বিভাগের পরিবেশনায় জাতীয় অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে এসোসিয়েশনের সদস্য কামরুল হাসান হারুন শোক প্রস্তাব পেশ করেন। এতে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন এবং আগে পরে যারা মারা গেছেন এমন সকলকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।

    পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান উপাচার্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    সাবেক উপাচার্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ড. এম বদিউল আলম, অধ্যাপক ড. মোঃ আলাউদ্দিন, অধ্যাপক মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ ও বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীণ আখতার।

    এদিন সকাল থেকেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য দূরদূরান্ত থেকে আগত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয় চট্টগ্রাম নগরী। বহুল প্রত্যাশিত চবির প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ৮ হাজার এলামনাই নিবন্ধন করেছে।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও সংগঠনের সভাপতি আব্দুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও তথ্য মন্ত্রী হাসান মাহমুদ। চাকসুর সাবেক ভিপি নাজিম উদ্দীন, এবং সাবেক উপাচার্যবৃন্দ।

    এর আগে ২১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’র অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিকাল ৩টায় চবির চারুকলা ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে একটি র‌্যালি স্টেডিয়াম হয়ে সিআরবির শিরিষতলায় শেষ হয়। এরপর বিকেল ৪টায় দেশ বরেণ্য বাউল শিল্পীদের অংশগ্রহণে শিরিষ তলায় বাউল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।