Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার: তথ্যমন্ত্রী

    চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ বলেছেন, সরকার দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে এবং বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের বাজার ধরতে চায়।

    সচিবালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিসিএসএস) নবনির্বাচিত নির্বাহী কমিটির সদস্যরা মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র জগতের বন্ধ্যাকাল শেষ হয়েছে। কিন্তু এ শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে আমাদের সময়ের প্রয়োজন।’ মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মাধ্যম।

    তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাজের উপর চলচ্চিত্রের প্রভাব উপলব্দি করে ১৯৫৭ সালে ফিল্ম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (এফডিসি) গঠনের জন্য পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে একটি বিল উত্থাপন করেছিলেন এবং সেই ধারাবাহিকতায় এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

    চলচ্চিত্র হল সমাজের একটি আয়না এবং এটি মানুষের কথা বলে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করার জন্য চলচ্চিত্রের শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

    তিনি বলেন, একটি চলচ্চিত্র মানুষের ইতিহাস, তাদের জীবনযাত্রা এবং দুঃখ এবং সুখের গল্পগুলোকে চিত্রিত করে। তিনি আরো বলে, ‘চলচ্চিত্রে মানুষের জীবন এবং তাদের (জনগণের) চিন্তাভাবনা ফুটিয়ে তুলতে অসামান্য ভূমিকা পালন করে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ দর্শকরা সিনেমা হল বিমুখ হওয়ায় দেশের অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সিনেমা হলগুলো বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থেই সিনেমা হলগুলোকে রক্ষা করা উচিত।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সিনেমা হল মালিকদেরকে সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেয়ার জন্য আমি ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশের জন্য এফডিসিতে প্রায় ৩২২ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্বলিত একটি নতুন ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    তিনি বলেন, আমরা এফডিসির আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করব।

    মন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বিশ্বমানের স্পটে পরিণত হবে। ভালো সিনেমা বাংলাদেশে নির্মিত হচ্ছে এবং কয়েকটি চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছে এবং প্রশংসিত হয়েছে।

    মন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশের জন্য প্রযোজক ও চলচ্চিত্র পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভালো চলচ্চিত্র তৈরি করার আহ্বান জানান।

    বিসিএসএসের সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং মাসুম পারভেজ রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত, নির্বাহী সদস্য অরুণা বিশ্বাস, অঞ্জনা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো ও রোজিনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধাকে জয় করেছি আমরা:তথ্যমন্ত্রী

    শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধাকে জয় করেছি আমরা:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ও তার মিত্রদের নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে গত দশ বছরে বাংলাদেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।

    তিনি বলেন, “ইকোনোমিক লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যদি দিনের পর দিন অবরোধ করে না রাখতো, মানুষের উপর পেট্টোলবোমা নিক্ষেপ ও হামলা পরিচালনা করে জনগণকে জিম্মী করে রাখার যে রাজনীতি সেটা যদি না থাকতো তাহলে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আরো অনেক হতে পারতো।”

    হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটি আয়োজিত ‘শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের এক দশক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আালোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সাবেক এমপি মো. আব্দুচ ছাত্তার।

    হাছান মাহমুদ বলেন, সবকিছুতে না বলার এই নেতিবাচক রাজনীতি দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। অবশ্যই যারা দায়িত্বে থাকবে তাদের সমালোচনা হবে। সমালোচনা পথচলাকে শাণিত করে। সমালোচনা ভুল শুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

    “কিন্তু অন্ধের মতো সমালোচনা দেশ, রাজনীতি ও সমাজ কোনটির জন্য সহায়ক নয়” উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও থাকতে হবে। নাহলে কেউ ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহিত হবেনা।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় উন্নিত হয়েছে। দশ বছর আগে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৬’শ ডলার। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার ছুঁই ছুঁই। ২০০৮ সালে আমাদের দেশে দারিদ্র সীমার নিচে বাস করতো ৪১ শতাংশ মানুষ। বর্তমানে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে ২০ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ দারিদ্র কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। ’

    তিনি বলেন, ৫০’এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের দেশ খাদ্য ঘাটতির জনপদে রূপান্তরিত হয়। তখন এই জনপদে লোক সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭০ লাখ। এখন লোকসংখা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৭০ লাখ। নগরায়ন, রাস্তা প্রশস্তকরণ, স্থাপনা নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে গত ৬০ বছরে মাথা পিছু কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশ খাদ্যে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ রূপান্তর হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেই দেশ যেখানে মাথাপিছু জমির পরিমাণ পৃথিবীতে সর্বনিম্ম এবং মানুষের ঘনত্ব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। সেই দেশ পৃথিবী এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকেও অবাক করে দিয়ে আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে উদ্বেৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

    বাংলাদেশ এখন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে একটি কেইস স্টাডি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বাংলাদেশকে সফল কেইস স্টাডি হিসেবে আফ্রিকার দেশ গুলোর সামনে উপস্থাপন করে। কিভাবে পৃথিবীর সবচে ঘণবসতিপূর্ণ একটি দেশ ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাস, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করে এমন সফলতা অর্জন করেছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষুধাকে জয় করেছে বাংলাদেশ। তাই আমরা পোস্টারে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ চাই লিখি না। লিখি দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধাকে জয় করেছি আমরা। তাই অলিগলিতে কেউ আজ বলে না, মা আমাকে এক মুঠো বাসি ভাত দাও।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর, অন্যতম শিল্পনগরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ নতুন উচ্চতায় উঠেছে। দারিদ্র্য কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। খাদ্যঘাটতির বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে আগে দুর্যোগ হলে বহির্বিশ্বের কাছে সাহায্য আহ্বান করা হতো। এখন আমরা অন্যদের সাহায্য দিই। বিদেশের শোরুমের পোশাকে মেড ইন বাংলাদেশ দেখলে গর্বে বুক ভরে যায়। এ পরিবর্তন, দেশের বদলে যাওয়া শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে হয়েছে।’

  • বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর দুঃসময়ে আস্থার সংকটে ভুগেছেন আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা। কিন্তু আস্থা হারাননি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।

    এমনকি পঁচাত্তর পরবর্তী যখন অনেক নেতাই ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে পড়েছেন ঠিক তখনও তিনি দলের অস্থিত্ব রক্ষায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে দলকে সাজিয়ে নিয়েছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে এম.পি, ১৯৭৮ থেকে আমৃত্যু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েও দলকে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরের কে বি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্মরণসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল আরো বলেন, বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের ত্যাগে আজ দল টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায়। তিনি অসময়ে চলে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে তার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের অনেক সংকট দুর হতো। আজকে শুধু নিজের দল ভারির যে রাজনীতি এবং যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আজ আমরা দেখি তা দেখতে হত না।

    আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পরে যখন আমার বাবা প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন, প্রথম পর্যায়ে আমি ও আমার ছোট ভাই তখন লন্ডনে ছিলাম। সেখানে আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ারের নির্দেশে আমি বাবু চাচার বাসায় যায়।

    তিনিই তখন আমাকে অভয দিয়ে বলেছিলেন, এখন যে দুঃসময় দেখছো, এরচেয়ে কঠিন সময় আমরা পার করে এসেছি। এর চেয়েও কঠিন দুঃসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উপর দিয়ে গেছে। এগুলো কিছুই না। যারা ক্ষমতায় এসেছে, বসেছে, তারা বেশীদিন টিকতে পারবে না।

    নওফেল বলেন, সেদিন তাঁর কথায় আমি আশ্বস্থ হয়েছিলাম, সাহস পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, তোমরা এখানে আছো, তোমাদের কোনো আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমাকে জানাবে। তাঁর নাম্বার আমাকে দিয়েছিলেন।

    দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যৈষ্ঠপুত্র, কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী।

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

  • আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানি করেননি-তথ্যমন্ত্রী

    আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানি করেননি-তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু কখনও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেননি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন। সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সকল লোভ-লালসাকে প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরের কে বি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ যখন মহাবিপর্যয়ের মুখে তখন দলকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বাবু ভাই। তিনি চট্টগ্রামের মাটিতে আওয়ামী লীগের পতাকা উড্ডীন রেখেছেন। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যেসকল নেতার অবদান রয়েছে তার মধ্যে বাবু ভাই ছিলেন একজন।

    আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন চক্রান্তকারীদের প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে বাবু ভাইদের মতো নেতাদের ত্যাগের বিনিময়ে। বাবু ভাই কর্মীদের নেতা ছিলেন, আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন সব সময় এগিয়ে। তিনি শেখ হাসিনার সাথে, আওয়ামী লীগের সাথে, বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে কখনো বেঈমানি করেননি।

    দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যৈষ্ঠপুত্র, কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী।

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

  • প্রধানমন্ত্রী বুলবুল পর্যবেক্ষণে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন

    প্রধানমন্ত্রী বুলবুল পর্যবেক্ষণে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলা পর্যবেক্ষণে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নাকি যথেষ্ট নয়। অথচ ব্যাপক ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ফলে আমাদের প্রাণ ও সম্পদ উভয়ই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আমি বলবো, নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখতে। কারণ, তাদের সময়ে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। বিমান বাহিনীর ৩৫ টিরও বেশি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শুধু ব্যবস্থাপনার ত্রুটিতে, কারণ প্লেন তো উড়িয়েই অন্যত্র নেয়া যেত। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারগুলো চলে এসেছিলো রাস্তায়। যখন মানুষের লাশ পানিতে ভাসছে, সমস্ত চট্টগ্রামে লাশের গন্ধ, তখন নওয়াজ শরিফ আসায় বেগম খালেদা জিয়া একদিনে সাতটি শাড়ি বদল করেছেন।’

    রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কার্যালয়ে ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে শহীদ নূর হোসেন সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার রক্তধমনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, তিনি বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে দেশ ও মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, মেহনতী মানুষের জীবনের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। সেকারণেই শেখ হাসিনার অপর নাম গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশ ও জাতির উন্নয়ন।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘নূর হোসেনের রক্ত বৃথা যায়নি। নূর হোসেনসহ সকল শহীদের রক্তে আমাদের গণতন্ত্র আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। নব্বইয়ের ১০ নভেম্বরের সেই দিন শুধু নূর হোসেন নয়, টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনাও।’

    শহীদ নূর হোসেন দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি তছলিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, নূরুল আমিন রুহুল, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শহীদ নূর হোসেনের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।

  • ফেসবুকে দেখে মুমূর্ষু কিডনি রোগীর চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন তথ্যমন্ত্রী

    ফেসবুকে দেখে মুমূর্ষু কিডনি রোগীর চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন তথ্যমন্ত্রী

    মুমূর্ষু এক কিডনি রোগীর চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে তথ্যমন্ত্রী মুমূর্ষু ওই রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসেন।

    তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাতক্ষীরা সদরের আবদুল্লাহর দু’টো কিডনিই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয় তাকে। কিছুদিন আগে অবস্থা এমন হয়েছিল যে ডায়ালাইসিস করার মতো অর্থও সংকুলান হচ্ছিল না। ফলে যন্ত্রণাময় মৃত্যু ঘনিয়ে আসছিল তার দিকে। এমনই সময় ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাকে বাঁচিয়ে তুলতে এগিয়ে আসেন।

    আবদুল্লাহর একমাত্র ছেলে নাজমুস সাকিবের সঙ্গে (০১৭৭৬-৭৮২১৩৪) যোগাযোগ করে দ্রুত অর্থ সাহায্য পাঠান ড. হাছান মাহমুদ।

    যোগাযোগের সময় সাকিবের মা অঝোরে কাঁদছিলেন। শুধু বলছিলেন, ‘আমার স্বামীকে বাঁচান, আমার স্বামীকে বাঁচান, আমার স্বামীর অবস্থা খুব খারাপ।’

    সাহায্য পেয়ে দ্রুত ডায়ালাইসিসের পর আবার সুস্থ হয়ে ওঠা আবদুল্লাহকে ঘিরে ভীষণ উৎফুল্ল পরিবারটি।

    নাজমুস সাকিব জানান, ‘আমরা তথ্যমন্ত্রী স্যারের জন্য সবসময় দোয়া করি, আল্লাহ তার মঙ্গল করুন, তিনি দীর্ঘজীবী হোন। তার দেয়া সাহায্যে আমার বাবার বেশ ক’টা ডায়ালাইসিস হয়ে যাবে।’

  • দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-তথ্যমন্ত্রী

    দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

    আজ শনিবার ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) দুইদিন ব্যাপি ১৬তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

    সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত দুইদিন ব্যাপি বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী।

    এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য: “Intensification of Livestock and Fisheries for Achieving Food Safety and Nutritional Security: Challenges and Opportunities”।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় কত বড় সেটার উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা নির্ভর করে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা নির্ভর করে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা কর্মের উপর। পৃথিবীতে অনেক ছোট ছোট বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো শিক্ষা ও গবেষণা কর্মে খুবই ভালো।

    ঢাকায় টিচিং এন্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার স্থাপন, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে ভ্রাম্যমান গবেষণা তরী নির্মাণ, হাটহাজারীতে রিসার্চ এন্ড ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাস ও কক্সবাজারে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনসহ সিভাসু অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে যা দেখে আমি মুগ্ধ। সিভাসুর শিক্ষার্থীরা বিদেশে যাচ্ছে এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা কর্মকে সমৃদ্ধ করার জন্য এধরণের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং পেশাজীবীদের এ সম্মেলন জ্ঞান ও গবেষণার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সিভাসু একটি ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ হবে এবং কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে এটি হবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সিভাসু কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার আহ্বান জানান।

    মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে, কমেছে আবাদি জমির পরিমাণ। তারপরও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ আজ বিদেশে খাদ্য রপ্তানি করছে। উন্নয়নের অনেক সূচকে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে এবং কিছু কিছু সূচকে ভারতকেও অতিক্রম করেছে। আর এগুলোর সবই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।

    আগে আমরা ঈদ-উল-আযহার সময় কোরবানির প্রাণীর জন্য পাশ্ববর্তী দেশের উপর নির্ভর করতে হতো। এখন আমাদের পর্যাপ্ত প্রাণিসম্পদ রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে গবেষণা এবং নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে। আর এর পিছনে অবদান রয়েছে সিভাসু’র মতো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষকদের।

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা ছাড়া দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে গবেষণার সুদূর প্রসারী ভূমিকা রয়েছে। সিভাসুকে গবেষণার উন্নত প্লাটফর্ম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পেট্রোনাইজ করলে দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

    দুইদিনের সম্মেলনে মোট ৭টি টেকনিক্যাল সেশনে ৪টি মূল প্রবন্ধ এবং ৫২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। সম্মেলনে বিষয়সংশ্লিষ্ট ৫২টি পোস্টার প্রদর্শিত হয়।

    আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ভারতসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রায় ৩০০ জন বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, পেশাজীবী, এনজিও কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন।

  • উই পোকা যেন সরকারের উন্নয়ন খেয়ে না ফেলে-তথ্যমন্ত্রী

    উই পোকা যেন সরকারের উন্নয়ন খেয়ে না ফেলে-তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, উই পোকা যেন সরকারের উন্নয়ন খেয়ে না ফেলে। জনগণের সামনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড যথাযথভাবে উপস্থাপনা করতে হবে।

    শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, পরপর তিন বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের দলে অনেক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এখন সবাই আওয়ামী লীগ হতে চায়। সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। যেমন তেমন লোক নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই। যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী ইতিমধ্যেই ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা একসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতো সবাই এখন আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, একসময় যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতো, তারা নানাভাবে পদ পদবি পেয়েছে। এ আবর্জনা সম্মেলনের আগেই পরিষ্কার করতে হবে। পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই পদ-পদবির দাবিদার।

    দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। তাই মাদক নির্মূলে দলের সবাইকে কাজ করতে হবে। দলের কারণে আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায়। দল আমাদেরকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছে। কিছু মানুষের কারণে আমাদের দলের দুর্নাম হতে পারে না। তাই এ ব্যাপারে দলের সকল নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

    জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে কক্সবাজার শহরের হিল ডাউন সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, নারী সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি, এথিন রাখাইন প্রমুখ।

    মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ডঃ হাছান মাহমুদ কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছলে তাকে ফুলের সম্ভাষণ জানান জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

    জেলা আওয়ামীলীগের মতবিনিময় সভা শেষে তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ রামু আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি সভায় যোগদান করেন।