Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না : তথ্যমন্ত্রী

    পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না : তথ্যমন্ত্রী

    পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে।

    সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত দুই সপ্তাহে বেশিরভাগ পণ্যের মূল্য কমেছে। গরুর মাংস আমার এলাকায় ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। যেটি কয়দিন আগেও সাড়ে সাতশ-আটশ টাকা ছিল। শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দামও কমেছে। পেঁয়াজের দামটা হঠাৎ করে বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়েছে সে বিষয়ে আমি একমত। এটি বাড়ার কোনো কারণ ছিল না।

    ভারত আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি করার বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাওয়া আমাদের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীর অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়, বলেও মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ।

    হঠাৎ করে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এরইমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। তারা জরিমানা করেছে। এতে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও পুরোপুরি আসেনি। যেকোনো কিছু হলেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার যে মানসিকতা এটির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমেও যদি রিপোর্টিং হয় তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। তবে পেঁয়াজের দাম সহসা কমে যাবে। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে।

    ড. হাছান বলেন, ভোক্তাদের একটা ট্রেন্ড আছে কোনো পণ্যের সংকট হচ্ছে এমন গুজব রটালেও আমরা সবাই গিয়ে এক কেজির জায়গায় পাঁচ কেজি কেনা শুরু করি। এতে করে ব্যসায়ীরা আরো সুযোগ পায়। এটির ক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। তবে পেঁয়াজের দাস সহসা কমে যাবে। এবং ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসবে। সবমিলে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তবে বেশিরভাগ পণ্যের দাম গত দুই সপ্তাহে কমেছে।

  • নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে সবাইকে কাজ করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে সবাইকে কাজ করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমূখর করতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

    তিনি বলেন, সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় তার জন্য ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। প্রত্যেক ভোটারের কাছে ভোটার কার্ড পাঠাতে হবে। ভোটাররা যেনো ভোট কেন্দ্রে এসে উৎসবের আমেজে ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

    শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম-০৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোন ভোটকে হালকাভাবে নিতে নেই। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছিলেন, ভোটের আগে যেই জিতে যায়, সেই হেরে যায়। তাই ভোটের আগে দয়া করে কেউ জিতে যাবেন না। কারণ পিঁপড়ার শক্তিও কিন্তু শক্তি। সুতরাং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে কাউকে বাদ দিতে নাই, সবাইকে রাখতে হবে। সেভাবেই সবাইকে কাজ করতে হবে।

    তিনি বলেন, নির্বাচনকে উৎসবমূখর করতে উঠান বৈঠক, পাড়া বৈঠক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শুরু করে ভোটের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি করতে হবে। না হয় মানুষ ভোট দিতে উৎসাহবোধ করবে না। আমজনতাকে এই ভোটের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা একটা উৎসবমুখর ভোট করবো। মানুষ লাইন ধরে একেবারে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দেবে। ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রেও যেন রেকর্ড করতে পারি, সে জন্য ভোটারদেরকে উৎসাহ দিতে হবে। বাংলাদেশের যাতে রেকর্ড করে আমরা সেরকম একটা রেজাল্ট করতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে সবাইকে।

    সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খাঁন, ইফতেখার হোসেন বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ মাহমুদ, মাস্টার আসলাম খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

  • মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

    মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমন করে রাখার চেষ্টা করা হয়। দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছে। বিশ^ মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে।

    তিনি বলেন, কোনো কোনো সন্ত্রাসীর মানবাধিকার নিয়েও কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সেই সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নাই এবং পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে, যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে। যে সমস্ত বিশ্ববেনিয়া মানবাধিকারের কথা বলে এবং বাংলাদেশেও যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ দশ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, কিন্তু এটি নিয়ে বড় বড় সংগঠনগুলোর কোন কথা ও বিবৃতি নেই। অথচ তারা বরিশালে একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল এবং কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল সেজন্য বিবৃতি দিল। আমি কথাগুলো বলছি, কারণ আগামী পরশু দিন ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।

    শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই ইন্ডিমিনিটি অধ্যাদেশ এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা। দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে, নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করা। একজনের নামের সাথে আরেকজনের মিল আছে, সেজন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয় এবং ফাঁসি কার্যকর হবার পর রায় হয়েছে ফাঁসির, এমন ঘটনাও আছে। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।

    তিনি বলেন, কিছু বিবৃতিজীবী আছেন, বিবৃতি দেওয়ায় তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু বিবৃতিজীবী আছেন। ইদানিং অবশ্য তাদের দেখা যাচ্ছে না, বিবৃতিজীবীরা বেশিরভাগ হারিয়ে গেছেন। দেশে যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, সবসময় যারা এ ধরনের বিবৃতি দেন, তাদের বিবৃতি এখন দেখতে পাচ্ছি না। এই বিবৃতিজীবীরা কই ? জনগণ এদের খুঁজছে, আমিও তাদের খুঁজছি। আমি একটু উদ্বিগ্ন তাদের জন্য। তারা জ¦র কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হলো কিনা তা নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে একই হাসপাতালে একসাথে পাঁচশ’ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আরেকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে হাসপাতালকে অকেজো করে দেয়ার পর সেখানে আইসিইউ’তে থাকা সবগুলো মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এই ধরনের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্ববেনিয়ারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে। আবার ইসরাইলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য সহায়তাও করছে।
    তিনি বলেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই মানবাধিকার লঙ্ঘন, এতে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমি প্রথম থেকেই এটার বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি এবং থাকবো। আমাদের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীও আছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়ে এটার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। আরব রাষ্ট্রগুলোর সমস্ত রাষ্ট্রদূতের সাথে বসে এই ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, কেউ হরতাল-অবরোধের ডাক দিতে পারে, সরকার পতনের ডাক দিতে পারে, সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে পারে, এটিই গণতান্ত্রিক ও বহুমাত্রিক সমাজের রীতি। কিন্তু ঘরে বসে সেই ডাক দিয়ে গাড়ির মধ্যে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, সেটি তো কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। এগুলো একদিকে যেমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অপরদিকে মানুষের অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। আমি আশা করব, সাংবাদিকরা এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবেন, কলম ধরবেন।

    শ্রমিক অধিকারের নামে বছরে ১২ বার বিদেশ সফরকারী দু-একজন শ্রমিক নেতা কারো এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে কিনা প্রশ্ন রেখে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, দেখা গেল, আলপনা আক্তার, কল্পনা আক্তার, জল্পনা আক্তাররা বছরে ১২ বার বিদেশ গেছে, ১৮-২০ লক্ষ টাকা বিমান ভাড়া দিয়েছে। এদের কারো কারো আবার গাড়ি আছে, ঢাকা শহরে বড় বড় ফ্ল্যাট আছে। শ্রমিক সমাবেশে যাবার সময় কিছু দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে কিংবা রিকশায় যান, যদি শ্রমিকরা গাড়ি দেখে ফেলে। এরা কিভাবে এবং কারো এজেন্ট হিসেবে কাজ করে সেটি আজকে স্পষ্ট। এ সমস্ত এজেন্টের ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ জানাবো তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, সিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রুবেল খান, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটু, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।

  • অনলাইনে সংবাদ প্রচারে সতর্ক হতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    অনলাইনে সংবাদ প্রচারে সতর্ক হতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন মিডিয়াগুলোতে সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করা হয়। অসত্য সংবাদ প্রচার করা হয়। এসব সংবাদ প্রচারের আগে কোনো সম্পাদনা করা হয় না। এটি বড় বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংবাদ নিয়ে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। গণমাধ্যমের গাণিতিক বিকাশের কারণে এসব সমস্যা হচ্ছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সতর্ক না হলে নাসিরনগর, রামুর মতো ঘটনা বার বার ঘটবে। এসব আমরা মোকাবিলা করেছি এবং যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

    বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নিউজ পোর্টাল এনএএনটিভি বিডির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, গত ১২ থেকে ১৩ বছরে যত হানাহানি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সবগুলোর পেছনে অনলাইন, ভুয়া নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দায়ী।

    বিএনপির সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারা চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রোল বোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলেও এ ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়। গত ২৮ তারিখ যেভাবে পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করা হয়েছে, বর্বরভাবে সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে। গণমাধ্যমের সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তাহলে এই কাজ তারা করতে পারবে না, করতে পারে না।

    তথ্যমন্ত্রী আরও বলে, যারা সময়ে সময়ে জাতিকে বুদ্ধি দেয় তারা এখন কোথায়। কাউকে ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়। বরিশালে একজনকে ঘুষি মেরেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে, গুলশানে একজনকে ধাওয়া করেছে তাতেও বিবৃতি দিয়েছে। তারা এখন কোথায়। এখন যে মানুষ পুড়িয়ে মারছে, ওনারা কোথায় হারিয়ে গেলেন, জনগণ তাদের খুঁজছে। ওনাদের বুদ্ধি কি এখন লোপ পেয়েছে? নাকি তারা বুদ্ধি করে চুপ করে আছেন। গত ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় ওনারা কোনো বিবৃতি দেন নাই। শুধু বাংলাদেশেও নয়, এখন কিছু কিছু আন্তর্জাতিক বিবৃতিজীবীও আছে। এখন ওনারা কোথায়?

    অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের উদ্দেশ্য সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, ওর মায়ের জন্য দরদ নাই ও দেশের প্রতি কী দরদ দেখাবে? ওরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। আগামী নয়-দশ বছর পর আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে দেখব বঙ্গবন্ধুর প্রজন্ম যারা আছে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, ব্রিটেনেরও প্রধানমন্ত্রী হবেন। এই যোগ্যতা ও দক্ষতা তাদের আছে। এই যোগ্যতা কী তারেক রহমানেরও আছে। ইতিহাসে দুটি জিনিস থাকে, একটা হচ্ছে নায়ক আরেকটা হচ্ছে খলনায়ক। নায়ক হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর প্রজন্ম আর খলনায়ক হচ্ছে তারেক রহমান। সে খলনায়ক হিসেবে ‘পারফেক্ট’ ব্যক্তি।

    এনএএন টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক সাবিহা মুবাশশিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশের ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান শ্যামল, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির ট্রেজারার তানভির হায়দার ভূইয়া প্রমুখ।

  • আবার ক্ষমতায় এলে অগ্নিসন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার করা হবে: তথ্যমন্ত্রী

    আবার ক্ষমতায় এলে অগ্নিসন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচার করা হবে: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০১৩ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অগ্নিসন্ত্রাস হয়েছিল, আর এখন ২০২৩ সালে করা হচ্ছে তারেক রহমানের নেতৃত্বে।

    তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে যারা মানুষ মারছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। আমি প্রতিজ্ঞা করছি- যদি আবারও ক্ষমতায় আসি তাহলে এ অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।

    রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জীবন্ত মানুষ পোড়ানোর অগ্নিসন্ত্রাসে দগ্ধ ও নিহতদের পরিবারের মানববন্ধন ও দায়ীদের দ্রুত বিচার দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসে আহতদের আর্তনাদ সারাদেশে শোনা যাচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও রাজনৈতিক কারণে হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাসের নজির নেই। আজ এখানে আমরা যখন সমাবেশ করছি তখন অনেক মানুষ বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আজও একজন ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়েছে।

    তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ৩৮ জন সাংবাদিককে আহত করেছে। এমনকি এর মধ্যে ২০ জন তাদেরই বিটের সাংবাদিক ছিল। তারা তাদেরও ছাড় দেয়নি। এ বছরে পাঁচ শতাধিক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের অর্থদাতা, হুকুমদাতা, মদদদাতাদের বিচার না করা হলে এ অগ্নিসন্ত্রাস নির্মূল হবে না।

    তিনি আরও বলেন, অন্য একদল লোক চিঠি এবং বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে। আমি বলতে চাই, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয় না, হবেও না।

    শাহাদাত হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে-ঢাবির সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এবং ভুক্তভোগী খুজেদাতুল নাসরিন, আপিল বিভাগের বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যমল দত্তসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

    এছাড়া মানববন্ধনে আনোয়ার হোসেন আনুর স্ত্রী পারভীন বেগম, মাশরুহা বেগম, নিহত নাহিদ মোড়লের মা রুনী বেগম, আহত সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, আলমগীর হোসেন শিমুলের ছেলে, আহত খোকন মিয়াসহ আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

  • দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    দলের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    নির্বাচনে সবসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল, এবং থাকে, অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিতও হয়। তবে আমাদের দলের যারা পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী, তাদেরকে অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    তিনি বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, দেশে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরী হয়েছে। সারাদেশে এখন নির্বাচনী আমেজ বইছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মনোনয়ন ঘোষণা করেছে, এবং তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছে। ৪৪ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এর বাইরেও অনিবন্ধিত অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ৭ই জানুয়ারি যথাসময়ে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা যেটি তৈরী হয়েছে, এতে বিএনপি হতাশ হয়ে গেছে।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনে (রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালি আংশিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের কাছে কয়েকজন দলীয় নেতাকে সাথে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।

    এরপর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নিচে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন, এতে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া ও অঘটন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এব্যাপারে দলের নির্দেশনা কি ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতা ঘোষণা, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা, মনোনয়নপত্র জমা দেয়া এগুলোর মাধ্যমে আসলে পুরো দেশ আজকে নির্বাচনী আমেজের মধ্যে আছে। এই ডামাঢোলের মধ্যে বিএনপি-জামাতের নির্বাচন বর্জনের যে ডাক সেটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। মানুষ এখন নির্বাচনমূখী হয়ে গেছে।

    বিএনপি গতকাল বলেছেন, কয়েকদিনের মধ্যে সরকারের পতন হবে, এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি এখন দৈব-দূর্বিপাকের উপর নির্ভর করছে। দেশে তারা এধরণের ঘোষণা দিয়ে নিজেদেরকে হাস্যস্কর করে তুলেছে। সরকারের পতন নিয়ে তো বহুদিন ধরে বিএনপি দিনক্ষণ ঘোষণা করে।

    তিনি বলেন, বিএনপি বলে, অমুক দিন সরকারের পতন হবে। গতবছর ৩০ ডিসেম্বর দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এবছর ২৮ অক্টোবরও দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল। এভাবে ঘোষণাটাই একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এমন যে তারা কোন দৈব-দূর্বিপাকের উপর নির্ভর করে বলে, অমুকদিন কিছু একটা হবে। যেমনটা, অমুকদিন বৃষ্টি হবে, অমুকদিন বজ্রপাত হবে, অমুক সময়ে সাইক্লোন হবে। বিএনপির ঘোষণাও ঠিক সেইরকম।

    বিএনপির পক্ষ থেকে বিদেশী থাবার যে কথা বলা হচ্ছে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়েও বিদেশী থাবা ছিল, আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির সময়েও বিদেশী থাবা আছে। এখন যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখনও বিভিন্ন দেশি-বিদেশী চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে। তবে, আমাদের সাথে সবার সম্পর্ক চমৎকার।

    তিনি বলেন, আমাদের সরকারের নীতি হচ্ছে, কারো সাথেই বৈরিতা নয়, সবার সাথে মিত্রতা। সেই নীতি নিয়েই আমরা কাজ করি। আমাদের সাথে সমস্ত দেশের ভালো সম্পর্ক। আমরা আমাদের সমস্ত উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগীতা নিয়ে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই।

    এসময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চিশতি, বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আবদুল মোনাফ সিকদার, এমরুল করিম রাশেদ, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন, মুজিবুল ইসলাম সরফি, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  • বিএনপির লজ্জাও হারিয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির লজ্জাও হারিয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির অবরোধকে সবাই বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এরপরও লজ্জা হয় না ওদের। বিএনপির লজ্জাও হারিয়ে গেছে।’

    মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ‘ফিচার সংকলন/এসডিজি ও উন্নয়নমূলক’ বইয়ের উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

    তিনি বলেন, ‘অবরোধের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যানজট হচ্ছে। দূরপাল্লার গাড়িও চলছে। এ যে কর্মসূচি দিয়ে তারা নিজেদের হাস্যকর করছে, আমি বুঝি না তারা এ সিদ্ধান্তগুলো নেয় কীভাবে। এ সব কর্মসূচি কেউ মানছে না, বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিচ্ছে যে, তোমাদের মানি না, কিসের অবরোধ! এভাবে গাড়ি-ঘোড়া চলা মানে, ওদেরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেওয়া। এরপরও লজ্জা হয় না ওদের। যার লজ্জা হারিয়ে গেছে। এ হলো পরিস্থিতি।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। আমাদের দেশে গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল, সেটি আমরা বলতে পারি না। যেভাবে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে জ্বালাও-পোড়াও করা হয়েছে, সময় সময়ে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করা হচ্ছে। এখন একনাগাড়ে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করা হচ্ছে, এগুলো দেশের স্থিতিশীলতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সবকিছুই বিনষ্ট করছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কখনই উন্নয়ন সম্ভবপর নয়।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের দেশে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার যে নেতিবাচক রাজনীতি, এটি দেশের উন্নয়নের জন্য প্রচণ্ড অন্তরায়।’

    নির্বাচন কমিশন বলেছে বিএনপি ভোটে এলে ভোট গ্রহণের তারিখ ঠিক রেখে পুনঃতফসিল দেওয়া হবে, কিন্তু বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ধ্বংসাত্মক এ অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি মনে করি তিনি যথার্থ বলেছেন। আশা করি বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হবে।’

    তারেক রহমান বলেছেন, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর তারিখ সরকার ফেলে দেওয়া হবে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ রকম তো বহু ঘোষণা শুনেছি। যতবার তারা ঘোষণা দেয়, পালিয়ে যায় বা হারিয়ে যায়। এসব ঘোষণা আসলে তাদের হাস্যকর করে তুলেছে। তারা এসব ঘোষণা দিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিএনপি এখন প্রকৃত অর্থে সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাদের নেতারাও সন্ত্রাসী নেতায় পরিণত হয়েছে।’

    ‘একটি নির্বাচিত সরকারকে দিন তারিখ বলে ফেলে দেওয়া এটাই তো একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এই অপরাজনীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসবে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে দেশের বাস্তবতা ওনাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ সিদ্ধান্তটা ওখান থেকে আসে। যারা পলাতক কিংবা যারা নির্বাচন করতে পারবে না, তারাই সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তাদের থলে থেকে তো আস্তে আস্তে সবাই বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি, থলে থেকে যাতে বের না হয় সেটার জন্য একটু সচেষ্ট হবেন।’

  • রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী

    রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরীফ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া ও স্কুল ঘর পোড়ায়, ওরা কোন রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচিও এগুলো নয়। রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সাথে সংলাপ করা যায় না। বরং, তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিক। যারা এই সমস্ত কথা বলেন তাদের কাছে প্রশ্ন, সন্ত্রাসীদের সাথে কি আলোচনা হয় ? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।

    তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত কিছু সৃষ্টি করতে পাওে না, তারা এখন গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, মানুষের ওপর আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ওরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়। বিএনপি-জামাত দেশ-জাতি, সমাজ ও জনগণের শত্রু। সুতরাং এদেরকে সবার চিহ্নিত করে রাখা দরকার। এরা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে।

    শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের তত্ত্বাবধানে এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট ও দৈনিক আজাদী’র অর্থায়নে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গত ১৪ জুন বিএনপির সমাবেশে যাবার সময় মিছিলকারীরা চট্টগ্রামের জামালখান সড়কের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো ভাংচুর করে। সেগুলো পুনরায় স্থাপন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, তাদের অনুকরণে বিএনপি-জামাত পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। রাজনীতির নামে পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস দুনিয়ার কোন জায়গায় হয় নাই। আমরা যখন পাকিস্তান কিংবা পশ্চিমাদের অধীনে ছিলাম তখনও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়ে বহু মিছিল গেছে, এসেছে। এদেশের বায়ান্ন বছরের ইতিহাসে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবন কিংবা জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা হয় নাই। যেটি বিএনপি-জামাত করেছে। সুতরাং এরা দেশ-জাতি এবং সমাজের শত্রু। এরা হিংস্র হায়েনা ও জঘন্য জানোয়ারের চেয়েও হিংস্র। সুতরাং এই জানোয়ারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

    তিনি বলেন, আজকে বাচ্চারা নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। এর মধ্যে একটি স্কুল ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। এই বাচ্চারা কি অপরাধ করেছে ? আমাদের সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে, পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে – কেউ আগুন সন্ত্রাস চালালে কিংবা কেউ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এরকম জানতে পারলেও তাদের ধরিয়ে দিবেন। তাহলে এদেরকে নির্মূল করা সম্ভবপর হবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য গত ১৪ জুন বিএনপি-জামাতের মিছিল থেকে এখানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের চিত্রগুলো ভাংচুর করা হয়। তারা ভাঙচুর করে শুধু ক্ষান্ত হয়নি, ভাঙচুর করার সময় তারা উল্লাসও করেছে। অর্থাৎ এগুলো ধ্বংস করে তারা উল্লসিত হয়েছে। আজকে আবার সেগুলোকে নতুন আঙ্গিকে স্থাপন করা হয়েছে।

    পুনঃস্থাপনের জন্য জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন এবং পৃষ্ঠপোষক ডায়মন্ড সিমেন্ট ও দৈনিক আজাদীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি-জামাত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কি অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল ? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, শেষ আগুন সন্ত্রাসী পর্যন্ত ইনশাল্লাহ নির্মূল করা হবে এই দেশ থেকে।

    বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি আবারো অবরোধের ঘোষণা দিয়ে গতকাল বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে – এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামাতের এই অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুইদিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

  • রাষ্ট্র-সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু বিএনপি, এদের প্রতিহত করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    রাষ্ট্র-সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু বিএনপি, এদের প্রতিহত করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে এখন ইঁদুরের গর্তে ঢুকেছে। তাদের নেতারা গর্তের মধ্য থেকে একটু একটু করে তাকিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে। এখন যারা গাড়িতে চোরাগুপ্তা হামলা চালায়, মানুষের উপর হামলা চালায়, স্কুল-ঘর পুড়িয়ে দেয়, জীবন্ত ৩২জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা সাংবাদিকের বেশ পড়ে গাড়িতে আগুণ দিতে যায়। এই রাষ্ট্র-সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু বিএনপি, এদের প্রতিহত করতে হবে। এরা মানবতারও শত্রু।

    তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে দেশকে ধ্বংস করার জন্য বায়তুল মোকাররমে আগুন দেয়া হয়েছিল, পবিত্র কোরআনে আগুন ও শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সাড়ে তিন হাজার গাড়ি ও বহু ট্রেন-লঞ্চে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। শতাধিক ড্রাইভারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বিএনপি-জামাত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই অগ্নিসন্ত্রাসকে মোকাবেলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। ১৮ সালেও সেই চেষ্টা হয়েছিল, যারা সেই চেষ্টা করেছিল তারা সফল হয়নি। এবারও দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে।

    শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাপ্তাহিক ‘চাঁটগার সংবাদ’ পত্রিকার ১১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে যে দেশটা বদলে গেলো, গত ১৫ বছরে মানুষের মাথাপিছু আয় ৬শ’ ডলার থেকে ১৫ শ’ ডলার ছুঁই ছুঁই, সেই জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক সহ সমস্ত সূচকে আমরা যে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, পাকিস্তান যে আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে হায় হুতাশ করে, বাংলাদেশ কীভাবে তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেলো। আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি, এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে আমরা অতিক্রম করেছি, সেই সত্যটা তো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে হবে।

    তিনি বলেন, ঝড়, বন্যা জলোচ্ছাসের দেশ, জলবায়ুর পরিবর্তন যেখানে নিত্যসঙ্গী, সে দেশে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে কৃষি জমি কম, সে দেশে যে সমস্ত প্রতিকুলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে যে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো সেই গল্পটাও গুমাধ্যমে আসা দরকার।
    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল মানুষ স্বপ্নেও ভাবেনি। কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন যাবে, মানুষ গল্প ও কেচ্ছা শুনেছে। ১৩৩ বছর আগে ব্রিটিশ আমলে পরিকল্পনা হয়েছিল। যখন আমরা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি তখনও মানুষ ভেবেছে এটি আগের মতোই মন ভুলানো গল্প। ট্রেন যে কক্সবাজার যাবে সেটা ভাবেনি। আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যাবে।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামে এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে। আকাশ থেকে শহর চেনা যায় না, পল্লী কবি জসিম উদ্দীনের গ্রাম আর খুঁজে পাওয়া যায় না, এটি এখন বাস্তবতা। গরু দিয়ে হালচাষ করা এখন আমাদের কবিতায় আছে গল্পে, কিন্তু বাস্তবে সেটি আর নেই। গত দশ বছরে কৃষির যে যান্ত্রিকিকরণ হয়েছে সেটি অভাবনীয়। মানুষ গরু বা মহিষ দিয়ে এখন কদাচিৎ চাষ করে। মেশিনের একদিক দিয়ে ধান কাটা হয় আরেক দিক দিয়ে বের হয়। এগুলো আগে আমরা সিনেমায় দেখেছি, অন্য দেশের ডক্যুমেন্টারিতে দেখেছি, এখন এটি বাংলাদেশেও হচ্ছে। এ নিয়ে পত্রিকায় ফিচার দেখি না।

    সাপ্তাহিক চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম , চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, আমীর উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর শিক্ষক প্রফেসর মইনুল ইসলাম, খায়রুল এনাম সুজন বক্তব্য রাখেন।

  • যে দল নিজেদের অফিসের তালা খোলার মানুষ খুঁজে পায় না, তারা কি আন্দোলন করবে : তথ্যমন্ত্রী

    যে দল নিজেদের অফিসের তালা খোলার মানুষ খুঁজে পায় না, তারা কি আন্দোলন করবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বলেছিল তাদের জোটের সঙ্গীদের নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সঙ্গীরাই তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। গতকাল জেনারেল ইব্রাহীমের নেতৃত্বে কয়েকটা দল তাদের জোট থেকে বের হয়ে গেছে। নয়াপল্টনের অফিসে তালা সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ লাগায়নি, নিজেদের লাগানো তালা নিজেরাই খোলার জন্য একজন মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না। যে দল নিজেদের অফিসের তালা খোলার জন্য একজন মানুষ পর্যন্ত খুঁজে পায় না, তারা আবার কি আন্দোলন করবে।

    তিনি বলেন, ইসরাঈলিরা ১৪ হাজার মানুষ মেরে ফেলেছে, তারমধ্যে সাড়ে ৯ হাজার শিশু এবং নারী। ইহুদীরা কিংবা ইসরাঈলিদের যারা মদদ দেয় তারা রাগ করবে বলে বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি, একটি অক্ষর কথাও বলেনি। তাদের উপর আল্লাহর আরশের গজব নাজিল হয়েছে। অথচ গাজায় শিশু ও নারীদের হত্যার বিরুদ্ধে তেলআবিবে স্বয়ং ইহুদীরাই প্রতিবাদ জানিয়েছে, মিছিল করেছে। অন্যদিকে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে, আমি প্রতিদিন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।

    বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক এম. ইসকান্দর মিয়া তালুকদার।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনকে বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে সেটি অভাবনীয়। বিএনপি এখন ইঁদুরের ন্যায় গর্তে ঢুকে গেছে। গর্ত থেকে উপরের দিকে উঁকি দিয়ে কদিন পরপর কর্মসূচি দেয়। তাদের কর্মসূচি কি ? গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো এবং স্কুলের মধ্যে আগুন দেয়া। তাই তাদের সাথে এখন আর মানুষ নেই।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে অভুতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানির নিচ দিয়ে এভাবে টানেল নেই, কক্সবাজারেও ট্রেন গেছে। আজ থেকে একশত তেত্রিশ বছর আগে কক্সবাজারে ট্রেন নেয়ার জন্য সমীক্ষা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেটি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওপাড়ে গিয়ে বক্তব্য দেন দেশে কিছুই হয়নি। একইভাবে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে কিংবা ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারে যাবেন তারাও। তবে তাদের উচিৎ হবে তওবা করে টানেল ও ট্রেনে চড়া।

    উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব এস. এম. আবুল ফজল ও যুগ্ম আহবায়ক মাস্টার রশীদ আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এম হারুণ উর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ শফিউল আলম, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আালী শাহ, ইদ্রিস আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ।

    প্রটোকল ছাড়াই নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে মিশে গেলেন তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সরকারি কোন ধরণের প্রটোকল ও গাড়ি ছাড়াই নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে মিশে গেছেন।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকেই তিনি সরকারি প্রটোকলে থেকে নিজের নির্বাচনী এলাকায় আসতে হতো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কারণে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি রাঙ্গুনিয়া আসেন প্রটোকল ও সরকারি গাড়ি বর্জন করে। উপজেলা সদরের এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়মে মৎস্যজীবি লেিগর সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। এসময় একেবারে সাধারণ একজন মানুষের ন্যায় রাঙ্গুনিয়ার জনসাধারণের সাথে মিশে যান তিনি।

    এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধীর কারণে মন্ত্রী মহোদয়ের গাড়ি বহরে প্রশাসনের প্রটোকল ছিলো না।

  • নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ দিচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী

    নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ দিচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী

    নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    বুধবার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সাংবাদিকতার অ আ ক খ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আজকে দেখলাম যে আরেকটা জোট করে নির্বাচনে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে বিএনপির আরো অনেক সাবেক নেতাকে আমরা দেখছি, বিভিন্ন দলে তারা আসছে। এক্ষেত্রে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করে তাদেরকে নির্বাচনে আনা হচ্ছে কি না, নাকি তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাপ সৃষ্টি করলে তো বিএনপির আরো অনেক নেতা চলে আসতো। আমরা কাউকে চাপ সৃষ্টি করছি না।’

    বিএনপি’র এ অপরাজনীতির সঙ্গে তারা দ্বিমত পোষণ করে। তারা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সহযাত্রী হতে চায় না বিধায় বা এ জ্বালাও পোড়াওয়ের বদনামটা তাদের ঘাড়ে যাতে না পড়ে, সেজন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই তারা বেরিয়ে এসে নতুন জোট করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে বলে আমি মনে করি’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    গতকালকে একটি ব্রিফিং হয়েছে। সেখানে এসেছে, গাড়িতে যারা আগুন দিচ্ছে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে এবং এই ফুটেজ তাদের নেতা-নেত্রীদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এই অর্থায়ন এবং কারা এই নেতা নেত্রী-জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাদেরকে ধরা হয়েছে এবং যারা এই জবানবন্দি দিয়েছে প্রত্যেকেই বিএনপি নেতা। একজন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিও আছে সেখানে।’

    তিনি বলেন, ‘এটি কি জঘন্য, ন্যাক্কারজনক, ঘৃণ্য যে গাড়িতে আগুন দিলে, যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে ১০ হাজার টাকা পেমেন্ট দেওয়া হয়। আবার সেটা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও ধারণ করে সেটি আবার লন্ডনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে তারপর এখানে ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পাঠাতে হয়।’

    এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ- এমন প্রশ্ন রেখে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলোতো জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাজ। জঙ্গি সংগঠনও তো এরকম কাজ করে না। তাদেরকে রাজনৈতিক দল বলা হয় বাংলাদেশে। এবং তাদের সঙ্গে আলোচনার কথাও কেউ কেউ বলে। এখন অবশ্য বলে না আর। এই অপরাজনীতি যারা করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়।’

  • গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত নিয়মিত পয়সা দেয় : তথ্যমন্ত্রী

    গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত নিয়মিত পয়সা দেয় : তথ্যমন্ত্রী

    গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত নিয়মিত পয়সা দেয় বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে গুজব প্রতিরোধ সেল এবং ফ্যাক্টস চেকিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। এসময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়াসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে গুজব রটানো হয় সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবেন– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশে বসে নানা ধরনের গুজব অনেকে ছড়ায়। যেমন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও অনেক গুজব ছড়ানো হয়েছে। এগুলো বিদেশ থেকে ছড়ানো হয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল।

    তিনি বলেন, দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এই গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি-জামায়াত তাদের নিয়মিত পয়সা দেয়। এগুলো তাদের এজেন্ট। আবার পয়সা না দেওয়া ও কম দেওয়ার প্রেক্ষাপটে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে, সেটার অডিও ভাইরাল হয়েছে।

    দেশের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর জন্য যদি একটি রাজনৈতিক দল রটনাকারীদের পয়সা দেয়, এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না– মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

    গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেক জায়গায় তাদের নোটিফাই করা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে কয়েক জায়গায় মামলাও হয়েছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী মামলা করতে আমাদের দলের নেতাদের বলা হয়েছে।

    গুজব রটনাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে আপনার দল বা সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুজব রটনা করলে দুটি চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করি। দেশের মধ্যে থেকে যখন কেউ গুজব রটায় তখন তার বিরুদ্ধে মামলা হয় আইসিটি আইনে। তখন আবার বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হয়, কেন মামলা হলো।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখেন গুজব তো অনলাইনে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়। সেটা তো ডিজিটাল মাধ্যম, আর সেজন্য ডিজিটাল মাধ্যমে মামলা হবে। সেখানে মামলা হলে অনেকেই চেঁচামেচি করে যে কেন মামলা হলো এবং গ্রেপ্তার করলে তো আরও বেশি কথাবার্তা হয়। শেষে কি করেছে সেটি তখন ঢাকা পড়ে যায়। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আরেকটি হলো আমাদের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। যেকোনো মামলা ৫/৭ বছরের আগে হয় না। দ্রুত বিচার আইনে মামলা করলেও এক-দুই বছর লাগে। এটা যে শুধু আমাদের দেশে তা নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেই এমন। কারো কারো শাস্তি হয়নি তা নয়। তবে বিচার প্রক্রিয়া যেহেতু দীর্ঘ তাই একটু সময় লাগে।

    যেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আপনাদের কোনো আলাপ-আলোচনা হয়েছে কি না– জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে সেটা একটা বড় প্রতিবন্ধকতা। ভারত আইন করেছে সকল সার্ভিস প্রোভাইডার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নিবন্ধিত হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউকে আইন করেছে সেখানে নিবন্ধিত হতে হবে। আমাদের দেশে আইনটা এখনো হয়নি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি।

    তিনি বলেন, বার-বার তাগাদা দিচ্ছি এবং এখানে অফিস খোলার কথা বলছি। পাশাপাশি বাংলাদেশি আইনে নিবন্ধিত হওয়ার কথা বলছি। কিন্তু আমাদের এখানে নিবন্ধিত হতে হবে, সেই বাধ্যবাধকতা আরোপ আইনটি এখনো হয়নি। সেটি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, এখন তো আইন করার সময় নেই। আগামী সংসদে এ বিষয়ে আইন হবে বলে আমি আশা করছি।