Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • বিএনপি’র সরকার পতনযাত্রা যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাবে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি’র সরকার পতনযাত্রা যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগামী ২৮ তারিখ নাকি বিএনপি সরকারের পতনযাত্রা শুরু করবে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টন অফিসের সামনে থেকেও সরকারের পতনযাত্রা শুরু করতে চেয়েছিল, সেটি গোলাপবাগের গরুরহাটে গিয়ে মারা পড়েছিল। এবারও সরকারের বিরুদ্ধে পতনযাত্রা শুরু করতে গিয়ে বিএনপি নিজেদের পতনযাত্রা শুরু করবে। সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির পতনযাত্রা যমুনা কিংবা বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে ডুবে যাবে। আর চট্টগ্রামে করলে কর্ণফুলী নদী কিংবা বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দেয়া হবে।

    তিনি বলেন, দেশটা যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের ওপর শকুনের দৃষ্টি পড়েছে। সেই শকুনের সহযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতির কাকেরা। জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন বিএনপি। তিনি যখন উচ্ছিষ্ট বিলালেন তখন বিভিন্ন দলের নেতারা গিয়ে উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য জড়ো হলেন। ওরা রাজনীতির কাক। বিদেশি শকুনের দৃষ্টি যখন দেশের ওপর পড়েছে তখন রাজনীতির কাকেরা তাদের সহযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই শকুন আর রাজনীতির কাকের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে।

    শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থী সবংর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি জাবেদ জাহাঙ্গীর টুটুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিয়া মনসফ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ জনতা ও রাজপথের দল, আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করার জন্য। ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে বিরোধী দলে থেকে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। আমরা জানি রাজপথে কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়। যারা বোরকা পড়ে হাইকোর্টে জামিন নিতে হাজির হন আর কারো ভেলকিতে গর্তে ঢুকে যান, তারা কতটুকু আন্দোলন করবেন আমরা জানি।

    তিনি বলেন, সিলেটে বিএনপি সমাবেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা জ¦ালাময়ী বক্তৃতা করে বলেছেন, দেশের মানুষ এখন খেতে পারছে না। এরপর সেই সমাবেশে যিনি খাবার সাপ্লাই দিয়েছিলেন তিনি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে বললেন, আমি ১০ হাজার লোকের বিরিয়ানি পাকিয়েছিলাম, ১২ হাজার মানুষ খেয়েছে। নিজেরা মোরগ বিরিয়ানি খেয়ে সমাবেশে বললেন, দেশের মানুষ খেতে পাওে না। বিএনপির সমাবেশ হলো একটা পিকনিক, বিরিয়ানি খাবার জন্যই তারা জনসভায় সমবেত হয়, ২৮ তারিখে একটা বড় পিকনিক করতে চান ওরা। আমরা পিকনিক থেকে ওদেরকে বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচে পাঠিয়ে দেব ইনশাল্লাহ।
    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে শিশুদেরকে পাখি শিকারের মতো শিকার করা হচ্ছে, হাসপাতালে বোমা নিক্ষেপ করে আটশ’ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের গীর্জাও রেহাই পায়নি। সেখানে হামলা চালিয়ে ১৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে প্রতিদিন হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপি দেশ পরিচালনা করার স্বপ্ন দেখে। যখন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে, শকুনরা নাখোশ হতে পারে সেই ভাবনায় তারা কোন কথা বলে না। ওরা আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে। এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। মানবতার বিরুদ্ধে যখন অপরাধ সংঘঠিত হয় তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা পৃথিবী প্রতিবাদ জানায়, তখনও বিএনপি নিশ্চুপ থাকে। তারা দেশের সমস্ত সম্পদ শকুন লুট করে নিলেও নিশ্চুপই থাকবে। এদের হাতে দেশটাকে তুলে দেয়া যাবে না।

    তিনি বলেন, পৃথিবী যখন থমকে গেছে, মানুষ যখন ঘরের মধ্যে আবদ্ধ তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের ঘর করে দেয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। মানুষের স্বপ্নকেও হার মানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ। যে মানুষটি বৃষ্টির সময় অপরের আঙিনায় আশ্রয় নিত, খরতাপে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিত, সে স্বপ্ন দেখত আমার যদি একটা কুড়েঘর থাকত। তাদের স্বপ্নকেও হার মানিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা কুড়েঘর নয়, তাদেরকে জমির মালিকানাসহ পাকাবাড়ি করে দিয়েছেন। পৃথিবীর কোথাও এভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ঘর করে দেয়া হয়নি।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদেরকে প্রচণ্ড পছন্দ করতেন। শেখ রাসেল একজন মেধাবী ও মানবিক শিশু ছিল। আপনারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বক্তব্য-আলোচনায় শুনেছেন শেখ রাসেল কি রকম মানবিক ছিল। আমরা দেশটাকে উন্নত করতে চাই। আমাদের স্বপ্ন একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করা। উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের সাথে সাথে যদি ইউরোপের মত মানবিকতা হারিয়ে যায় তাহলে সেই উন্নত রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই।

    তিনি বলেন, গত একশ’ বছরে ইউরোপের অনেক উন্নতি হয়েছে, মানুষ চাঁদে গেছে, ইউরোপের অনেক দেশে লোকসংখ্যার চেয়ে বেশি গাড়ি আছে। কিন্তু রাস্তায় যখন কোন এক্সিডেন্ট হয়, পাশ দিয়ে শতশত গাড়ি চলে যায় কেউ এক পলক তাকায় না, মানবিকতা হারিয়ে গেছে। আমরা সেরকম রাষ্ট্র চাই না। আমরা উন্নত রাষ্ট্র চাই, একইসাথে একটি মানুবিক রাষ্ট্রও গঠন করতে চাই। আমরা এমন রাষ্ট্র চাই না যে রাস্তায় দামি গাড়ি চলবে, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হাত পেতে থাকা মানুষের প্রতি কেউ ফিরে থাকাবে না।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মনিরুজ্জামান লিটন, সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম নওশের আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উপদেষ্টা মোহাম্মদ আকতার হোসেন খান, সাদাত আনোয়ার সাদী, পৃষ্ঠপোষক হেলাল মোহাম্মদ নূরী, লায়ন আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলশাদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন বাবুল প্রমুখ।

  • বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে ২৮ অক্টোবর: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হবে ২৮ অক্টোবর: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২৮ অক্টোবর সরকারের নয়, বরং বিএনপিরই পতন যাত্রা শুরু হবে এবং সহসাই তাদেরকে নির্বাচন-পরবর্তী আন্দোলনের ঘোষণা দিতে হবে।

    বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিল সদস্যদের সন্তানদের মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়ের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কিছুদিন আগে বলেছিল, অক্টোবর মাসে ফাইনাল খেলা। তারপর বলল, পূজার পরে। আবার বিএনপি মহাসচিব গতকাল (বুধবার) বলেছিলেন, ২৮ তারিখ তারা সরকারের পতনের দাবিতে সমাবেশ করবেন। আর আজকে নাকি তার আগেই সরকারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এখন মানুষ হাস্যরস করে বলে, এটা এবারের ২৮ তারিখ, নাকি আগামী বছরের, নাকি তার পরের বছরের? কারণ গত প্রায় ১৫ বছর ধরে আমরা এই আন্দোলনের হুমকির মধ্যে আছি। বাস্তবতা হচ্ছে, বিএনপির কর্মীরা ছাড়া জনগণের সেখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

    ‘সাবাস সোনার বাংলাদেশ’ সংগীত উদ্বোধন

    গীতিকার হাসানুজ্জামান মাসুমের কথা, বাপ্পা মজুমদারের সুর ও সংগীত এবং গাজী শুভ্রর নির্দেশনায় দেশের বরেণ্য ১০ শিল্পীর গাওয়া দেশাত্মবোধক গান ‘সাবাস সোনার বাংলাদেশ’-এর উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী নকীব খান, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার, এলিটা করিম, দিলশাদ নাহার কনা, সোমনূর মনির কোনাল, কিশোর দাস, জামান সাইফ, সাজ্জাদ হোসেন শাওন ও ইমরান মাহমুদুল গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন।

    এদিন বিকেলে সচিবালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভিডিও সংগীতের উদ্যোক্তা গীতিকার হাসানুজ্জামান মাসুম এবং শিল্পী প্রতিনিধি হিসেবে ফাহমিদা নবী বক্তব্য দেন।

  • আগামী ১০০ দিন দেশকে পাহারা দিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

    আগামী ১০০ দিন দেশকে পাহারা দিতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০১৪ সালে বিএনপি গাড়ি ও মানুষ পুড়িয়েছিল। এতকিছু করেও তারা শেখ হাসিনাকে হটাতে পারেনি। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এ বিষয়ে আমরা খুবই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ দৃঢ়ভাবে অংশগ্রহণ করবে। আশা করবো বিএনপিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং তারা তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করবে।

    তিনি বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ জানাই আগামী ১০০ দিন দেশকে পাহারা দিতে হবে। কারণ দেশটাকে তারা বিশ্ব বেনিয়াদের কাছে তুলে দিতে চাচ্ছে। ক্ষমতা পাহারা দিতে হবে না, ক্ষমতা পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের। কিন্তু দেশটাকে পাহারা দিতে হবে।

    মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশকে তুলে দিতে চায়। তাদের লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়, তারা জানে নির্বাচন হলেও তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না। নির্বাচনের মাঠে তারা যে পানি ঘোলা করছে সেখানে মাছ শিকার করবে অন্যরা। সেটাও তারা জানে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়া। দেশের সম্পদ তুলে দেওয়া।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে যখন নির্বাচনের সময় আসে তখন বিএনপি-জামায়াত ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করে। আজ যে ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো মানুষ শিকার হচ্ছে সে বিষয়ে বিএনপি-জামায়াতের মুখে একটা কথাও নেই। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে সে নিয়েও কোনো কথা নেই। তারেক রহমান নির্দেশ দেয় এটি নিয়ে কোনো কথা বলার দরকার নেই। এটি নিয়ে কথা বললে বিশ্ব মোড়লরা অখুশি হতে পারে। বিশ্ব মোড়লরা অখুশি হতে পারে সেজন্য যারা একটি শব্দও উচ্চারণ করে না তারা যদি সুযোগ পায় তাহলে নিজেদের স্বার্থে দেশটাকেই বিক্রি করে দেবে।’

    বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।

  • ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিশ্চুপ থেকে বিএনপি ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিশ্চুপ থেকে বিএনপি ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে নিশ্চুপ থেকে বিএনপি ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘আজকে যে ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মত করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, হাজার হাজার অসহায় শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, এই নিয়ে বিএনপি ও মির্জা ফখরুলের মুখে কোন কথা নেই, আপনারা এদের চিনে রাখুন।’

    রোববার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাচনী এলাকা শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে জনসভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আমিও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিবাদ জানিয়েছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আর বিএনপি’র মুখে কোনো কথা নাই। একটা বৃহত্তর গোষ্ঠি অখুশি হতে পারে সেই কারণে বিএনপি এই নিয়ে কোন কথা বলে না। অর্থাৎ তাদের অবস্থান ইসরাইলের পক্ষে।’

    ‘ফিলিস্তিনের অসহায় নিরীহ মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে, এই ব্যাপারে যখন সাংবাদিকরা বিএনপি’র মহাসচিবের বক্তব্য চেয়ে প্রশ্ন করে, তখন তিনি বললেন, ‘হামাসের ওপর কিংবা ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর হামলা নিয়ে কথা বলার সময় নাই, আমরা দেশে অনেক সমস্যায় আছি -তার মানেটা কি?’ প্রশ্ন রাখেন হাছান মাহমুদ।

    রাজনীতি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল অক্টোবর মাসে নাকি ফাইনাল খেলা। তারা বলেছিল খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। সেটিও হয় নাই। অর্থাৎ তারা সেমিফাইনালেই হেরে গেছে। তাদের সাথে তো আর ফাইনাল খেলা হয় না। তারা যদি চায়, যুবলীগের সাথে খেলতে পারে। আওয়ামী লীগ তাদের সাথে খেলবে না।’

    প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে জন্য সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়নে দুই থেকে তিন হাজার উপকারভোগী সরকারের নানা ধরনের ভাতা পাচ্ছে। আগেও খালেদা জিয়া, এরশাদ ও জিয়াউর রহমানের সরকার ছিল, কিন্তু এসব ছিলনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান তখন থেকে এসব ভাতা চালু হয়েছে।’

    ‘২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়া এসে ভাতা সংকুচিত করেছিলেন, তাই আবারও যদি সেই বিএনপি ক্ষমতায় আসে, এ ধরনের ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে’ বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী।

    শ্রীপুর-খরন্দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেনের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নুরুল হুদা, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সেকান্দর আলম বাবর প্রমুখ।

  • সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ফণা তুলতে পারে, সতর্ক থাকুন: তথ্যমন্ত্রী

    সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ফণা তুলতে পারে, সতর্ক থাকুন: তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আপামর বাঙালি সাম্প্রদায়িক নয়। সবাই মিলে মিশে একাকার। সেই কারণে এদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাঝে মধ্যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই অপশক্তি অবদমিত হয়েছে।

    কিন্তু সেই অপশক্তি নির্মূল হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেখা যায়, যখন নির্বাচন আসে, তখন এই অপশক্তি আবার ফণা তোলার অপচেষ্টা চালায়। তাই এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

    শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বনানী মাঠে স্থাপিত পূজামণ্ডপে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন আয়োজিত শুভ মহালয়া ১৪৩০ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

    হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, তারপর ধর্মের পরিচয়। কিন্তু এই চেতনার বেদীমূলে আঘাতের ফলে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকা ছিনিয়ে এনেছি।

    মন্ত্রী বলেন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ১৯৭৫ সালের পর সেই সাম্প্রদায়িক ভাবধারা ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।

    হাছান মাহমুদ বলেন, আজ ও সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আমাদের দেশে আছে এবং তারা সময়ে সময়ে তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়।

    নির্বাচনকে সামনে রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গত ১৫ বছরের পথচলায় চেষ্টা করেছি, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের যে মূল চেতনা হারিয়ে গিয়েছিল তা ফিরিয়ে আনার। একটি রাষ্ট্রের কখনো ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ ধরনের মতো আইন থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সেটি বিলুপ্ত করে ভিন্ন আইন করা হয়েছে। এভাবে অনেক কাজ করা হয়েছে।

    দেশে সম্প্রীতির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে সবকিছু ছাপিয়ে বড় উৎসব, বাঙালির উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে পয়লা বৈশাখ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের দেশে যেভাবে বাংলা প্রতিবেশী কোনো দেশেও নেই।

    সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র ও সবার। আর সেটির প্রতিফলন আমরা দেখি দুর্গাপূজা, ঈদ, প্রবারণা পূর্ণিমাসহ সকল ধর্মীয় পার্বণে, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে শামিল হয়।

    শিল্পী মনোজ সেনগুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন গুলশান-বনানী পূজা উদযাপন ফাউন্ডশনের সভাপতি পান্না লাল দত্ত, সাধারণ সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ, সন্তোষ শর্মা প্রমুখ।

    শেষে ফাউন্ডশনের শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

  • লজ্জা-শরম ভেঙে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে চড়ুন, টিকিট কেটে দেবো

    লজ্জা-শরম ভেঙে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে চড়ুন, টিকিট কেটে দেবো

    লজ্জা-শরম ভেঙে বিএনপি নেতাদের পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনে চড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা চুপি চুপি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গেছেন, লজ্জা লাগে। এখনো বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানাবো, লজ্জা-শরম ভেঙে আসুন আপনারা, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনে চড়ুন। টিকিটটা আমরাই কেটে দেবো। আবার বিনা টিকিটে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।’

    বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর ও দিনাজপুর জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

    বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় আওয়ামী লীগের পরিচয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। তৃণমূলের নেতারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যখন বিরোধীদলে ছিলাম, আমরা প্রচণ্ড শক্তিশালী সংগঠন ছিলাম। কারণ আমাদের ভিত্তি জনগণ ও তৃণমূলের নেতাকর্মী। সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে সব ষড়যন্ত্র, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা পরপর তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে।’

    আজও নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে, একটি মহল দেশে তাঁবেদার সরকার বসাতে চায়। হামিদ কারজাই মার্কা সরকার বসাতে চায়। আরেকটি মহল সেটির মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকের এই বৈঠক তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কার্যক্রমের অংশ। কারণ আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি দেশের কোনো শক্তি নেই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে। সেজন্য ঐক্য এবং সংহতির ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’

    পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের উদাহরণ টেনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট তিন দশকের বেশি ক্ষমতায় ছিল সংগঠনের কারণে। মালয়েশিয়া যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই দল পাঁচ দশকের বেশি ক্ষমতায় ছিল সংগঠনের কারণে। সিঙ্গাপুরে যে দলের নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে, সেই দল এখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায়। সেখানেও বহুমুখী গণতন্ত্র, কিন্তু সে দল এখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায়।’

    তিনি বলেন, ‘পরপর চারবার এবং পঞ্চমবারের মতো যদি জনগণ আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়, আগামী পাঁচ বছরে ইনশাআল্লাহ দেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। তাহলে বিশ্ববাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে। আজ যেমন আমরা লি কুয়ানের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর বদলে যাওয়ার গল্প শুনি, মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার বদলে যাওয়ার গল্প শুনি, বিশ্বনেতারা আজ বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প বলেন।’

    বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন জরিপে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৭০ শতাংশ। পরশু আইএমএফ রিপোর্ট দিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ। আর পুরো পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ। আমি জানি না, এসব জরিপ মির্জা ফখরুল সাহেবদের চোখে পড়ে কি না। তাদের চোখেও সমস্যা আছে, কানেও সমস্যা আছে। একই সঙ্গে মনের সমস্যা আছে, বোধশক্তির সমস্যা আছে। এ কারণে তারা এগুলো দেখেও দেখে না, শুনেও শোনে না।’

  • বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুক্তিতে তথ্যমন্ত্রীকে হল মালিকদের ধন্যবাদ

    বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক মুক্তিতে তথ্যমন্ত্রীকে হল মালিকদের ধন্যবাদ

    দেশব্যাপী সর্বোচ্চ সংখ্যক সিনেমা হলে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা।

    সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকালে সিনেমা হল মালিকদের সংগঠনের নেতারা সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে ধন্যবাদ জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো, হুমায়ুন কবীর খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

    চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু বায়োপিক সারাদেশে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য আমরা তথ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয়কে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই। এখনকার যে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তারা মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, পাকিস্তানিদের অত্যাচার, রাজাকার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা ও বাস্তব উপলব্ধি পাবে, সবার মধ্যে আরও দেশপ্রেম জেগে উঠবে।

    ধন্যবাদ জানাতে আসা হল মালিকদের স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা যে এই সিনেমা নির্মাণ শেষ করতে পেরেছি এই জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই কারণ এই ছবি চিত্রনাট্য থেকে শুরু করে প্রতি ধাপে ধাপে প্রধানমন্ত্রী মনিটর করেছেন, দেখেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। শ্যাম বেনেগাল যদি পরিচালক হন এখানে নির্দেশক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং স্ক্রিপ্ট রাইটার যদি অতুল তেওয়ারি হয়ে থাকেন তাহলে স্ক্রিপ্ট রাইটারের প্রধান উপদেষ্টাও হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি একটুও বাড়িয়েও বলছি না, যেটি বাস্তব সেটিই বলছি।’

    বঙ্গবন্ধু বায়োপিক সত্যিকার অর্থে ইতিহাসের একটি দলিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে খোকা থেকে শেখ মুজিব, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হলেন সেটিও এই ছবির মধ্যে উঠে এসেছে। ভারতের পুরো টিম আগামীকাল আসছে। এই ছবি মানুষ দেখবে। এই ছবি জাতিকে নাড়া দেবে। আমি হল মালিকদের ধন্যবাদ জানাই, দেশের প্রায় সব ক’টি হলে প্রায় ২শ’ পর্দায় এক সাথে এই ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে এবং সবাইকে অনুরোধ জানাবো হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখার জন্য।’

    ‘আশা করি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে, বেগম জিয়াও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন’

    এ সময় সাংবাদিকরা ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি বলেছে- এ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এই কথা বারবার বলে আসছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও বলেছিল পরে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো। আমি আশা করবো এবারও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো কি করলো না সেটির চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কি না। বিএনপি ও তার মিত্ররা যদি নির্বাচন বর্জনও করে, জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিকমানের নির্বাচন বাংলাদেশে যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’

    বিএনপি নির্বাচনে আসুক সরকার তা চায় কি না এ প্রশ্নে হাছান বলেন, ‘আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক, সে জন্যই আমরা তাদের বারংবার আহবান জানাচ্ছি। কিন্তু তারা ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার’ মতো বলে যে, নির্বাচনের পরিবেশ নাই এ জন্য আমি নাচবো না অর্থাৎ নির্বাচনে অংশ নেবো না। তারা যদি এতো জনপ্রিয়ই হয়, নির্বাচনে আসুক।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘আর আমাদের সংবিধান অনুযায়ী, স্বচ্ছ নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন তো সরকারের কার্যত কোনো ক্ষমতা থাকে না, একজন কনস্টেবল বা এসি ল্যান্ড বদলির ক্ষমতাও থাকে না। এই ব্যবস্থার ওপর যদি তাদের আস্থা না থাকে, তাদের আসলে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র কোনো কিছুর ওপর আস্থা নাই। দেশের ওপর আস্থা না থাকার কারণেই তো মির্জা ফখরুল সাহেব বলেন- পাকিস্তানই ভালো ছিলো।’

    বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বেগম জিয়া যেন বারংবারের মতো দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। অতীতেও যখন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছিলেন তখনই বিএনপি বলেছিলো এবং তখনও মেডিকেল টিম একই ধরনের ব্রিফ করেছিলো যে, বেগম জিয়ার মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে, বিদেশে না নিলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু স্রষ্টার কৃপায় বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মেধাবী চিকিৎসা, সেবা শুশ্রূষায় তিনি প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান সে জন্য সরকার আন্তরিক এবং যতো ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সেটি করছে। দেশের সবচেয়ে ভালো একটি হাসপাতালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে এটিও বলা হয়েছে, যদি কোনো বাইরের ডাক্তারও আনার প্রয়োজন পড়ে তারা আনতে পারেন। আর বিদেশ পাঠানো সেটি আদালতে এখতিয়ার। যদি তাদের সেটাই করতে হয় তাহলে তারা আদালতে শরণাপন্ন হতে পারেন।’

    সমিতির নেতাদের মধ্যে আমির হামজা, আব্দুল মতিন প্রধান, চান মিয়া, বিল্লাল হোসেন, মাসুদ পারভেজ প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।

  • শান্তির জনপদ রাঙ্গুনিয়ায় অশান্তির অপচেষ্টা সবাই মিলে প্রতিহত করবো : তথ্যমন্ত্রী

    শান্তির জনপদ রাঙ্গুনিয়ায় অশান্তির অপচেষ্টা সবাই মিলে প্রতিহত করবো : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ তার নিজ নির্বাচনী এলাকা নিয়ে বলেছেন, ‘রাঙ্গুনিয়া একটি শান্তির জনপদ। এখানে কেউ কখনো অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেনি। কেউ অপচেষ্টা চালালেও সাথে সাথে দমন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এখানকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে, অশান্তির অপচেষ্টা সবাই মিলে প্রতিহত করবো।’

    শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়াল উপায়ে সংযুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রানসহ সব সম্প্রদায় মিলেমিশে একাকার। সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলিত রক্তের স্রোতে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে।

    সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় শান্তি-সম্প্রীতি যাতে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন। আপনারা বুক ফুলিয়ে হাঁটবেন। এই দেশ আপনাদের, এই মাটি আপনাদের। কেউ শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা চালালে আমরা সবাই মিলে প্রতিহত করবো।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি পরিবার রাঙ্গুনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শাসন করে আসছিল। তারা নির্বাচন আসলে সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালাতো। তাদের অনুসারীরা, তাদের প্রেতাত্মারা এখনো রাঙ্গুনিয়ায় আছে, নির্বাচন আসলে সরব হয়। সুতরাং তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

    নির্বাচন উপলক্ষে মন্ত্রী বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, আমি আপনাদের কাছে এইটুকু নিবেদন করবো যে, গত ১৫ বছরে অমানুষিক কষ্ট করে এলাকায় সময় দিয়েছি। ১৫ বছর আগের কথা মনে করে এলাকায় কি পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, সেই কথাটি দয়া করে সাধারণ মানুষকে মনে করিয়ে দেবেন।’

    বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি এড. পঙ্কজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুপায়ন সুশীলের সঞ্চালনায় উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার সম্মানিত অতিথি, চট্টগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ উদ্বোধনী বক্তা, সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন প্রধান বক্তা, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আ.লীগের সদস্য আকতার হোসেন খাঁন এবং জেলা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও এর ইউনিয়ন পূজা পরিষদ নেতৃবৃন্দ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন। পদুয়া শ্রী গুরু আশ্রমের অধ্যক্ষ প্রসিদ্ধানন্দ সরস্বতী মহারাজ মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও চন্ডীপাঠ করেন।

    সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে শৈবাল চক্রবর্তী ও সুপায়ন সুশীলকে পুণরায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

  • বিএনপি’র রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান করা ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি’র রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান করা ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী

    চট্টগ্রামে বিএনপি’র রোডমার্চে অংশনেয়া বাবার ছবি দেখে ক্ষোভে বিষপান করা রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা নীরব ইমন (২২) কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গেলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ইমনের পাশে কিছু সময় কাটান তথ্যমন্ত্রী। এসময় তিনি অসুস্থ ছাত্রলীগ নেতার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা ও চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য ছাত্রলীগ নেতার বাবা মোহাম্মদ জহিরের হাতে আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।

    এরআগে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকালে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট এলাকার আলকাজ পন্ডিত বাড়ির নিজ বসতঘরে বিষপান করেন নীরব ইমন। সে পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তার বাবা জহির ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি।

    বৃহস্পতিবার ইমনের বাবা মোহাম্মদ জহির (৪৫) চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এরকম একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ইমনের মেসেঞ্জারে পাঠান তার বন্ধুরা। বিএনপির রোডমার্চে তার বাবার অংশ নেয়াকে মেনে নিতে পারেননি ইমন। ক্ষুুদ্ধ ইমন বাড়িতে ছুটে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগারাগি করেন এবং একপর্যায়ে বিষপান করে বসেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

    অসুস্থ ইমন শুক্রবার চমেক হাসপাতালের বেডে শুয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ রাজনীতি করে দেশের উন্নয়নের জন্য, আমার বাবা অনেকদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, কিন্তু তার দল রাঙ্গুনিয়ায় কোন উন্নয়ন করেনি। রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের নেতা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন, হাজার হাজার ছেলেমেয়ের চাকুরি হয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, আমার বাবাকে অনেকবার নিষেধ করেছি সে শুনেনি। বাবা অন্য দলের রাজনীতি করবে আর বন্ধুরা সেটা আমাকে দেখিয়ে দিবে সেটা মেনে নিতে পারিনি। এসময় তার বাবা মোহাম্মিদ জহিরও পাশে উপস্থিত ছিলেন।

    চমেক হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সাত্তার বলেন, বিষপানে অসুস্থ ইমনকে ৪৮ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। প্রথমে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন খারাপ অবস্থায় ছিল। তাকে ওয়াশ করা হয়েছে। এখন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আশাকরি দ্রুতই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে পারবে।

  • নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া বিদেশিরাও সমর্থন করে না : তথ্যমন্ত্রী

    নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া বিদেশিরাও সমর্থন করে না : তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে দেশের গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার পথে হাঁটছে, সেটি এই দেশের মানুষ হতে দিবে না। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কেউ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালালে দেশের মানুষ যেমন প্রতিহত করবে, একইভাবে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া কখনো বিদেশিরাও সমর্থন করে না।

    তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে না, এতেই প্রমাণিত হয় তারা নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। কারণ তাদের কর্মসূচি ও সমাবেশগুলোতে মানুষ হচ্ছে না। ফলে তারা বুঝতে পেরেছে নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনা নাই, তাই নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। এজন্য নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পথে তারা হাঁটছে।

    শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে একুশে পত্রিকা’র সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক আজাদ তালুকদারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

    এরপর চট্টগ্রামে রোডমার্চশেষে বিএনপি বলেছে, এই অক্টোবর হলো তাদের বিজয়ের মাস, সরকারকে ১৮ তারিখের মধ্যে পদত্যাগের সময় বেঁধে দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এরকম আল্টিমেটাম তো বিএনপি গত ১৩-১৪ বছরে বহুবার দিয়েছে। গত ডিসেম্বরেও তাদের আল্টিমেটাম ছিল, তারপর খালেদা জিয়াকে ৪৮ঘণ্টার মধ্যে বিদেশ পাঠানোর আল্টিমেটামও ছিল। এখন ১৮ তারিখ আবার আল্টিমেটাম দিয়েছে। এই বছরের ১৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ১৮ তারিখ, নাকি তারও পরের বছরের ১৮ তারিখ সেটিও অনেকে প্রশ্ন রেখেছে। বিএনপির আল্টিমেটাম ফাঁকা বুলি ছাড়া অন্যকোনো কিছু নয়।

    তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ের সামনে রোডমার্চশেষে যে বক্তব্য রেখেছেন, সেখানে যে সংখ্যক মানুষ হয়েছে, চট্টগ্রামের লালদিঘির পাড়ে অনেক সময় যখন পাগল নাচে তখনও এর কাছাকাছি মানুষ হয়। সুতরাং তাদের কর্মসূচিতে লোক সমাগম সেভাবে হয়নি এবং তারা প্রচণ্ড হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আশা করেছিল, বিদেশিরা তাদেরকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, সেই আশাও বুমেরাং হয়েছে।

    সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্ঠার সাথে বৈঠক হয়েছে এবং জি-২০ সম্মেলনে কিভাবে বিশ^নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে, জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ^নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে, এতে বিএনপি হতাশ হয়ে পড়েছে।

    তিনি বলেন, অনেক হাঁকডাক করে বিএনপি একটা রোডমার্চ করেছে, সেখানে আশানুরূপ মানুষ হয় নাই। আমি দেখতে পেলাম গতকাল তারা কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে প্রচণ্ড যানজট তৈরি করা ছাড়া লোকসমাগম করতে পারেনি।

    এরআগে শোকসভায় প্রয়াত একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি একজন লড়াকু মানুষ ছিলেন। তিনি যেমন অকুতোভয় সাংবাদিক ছিলেন, একই সাথে একজন লড়াকু মানুষ ছিলেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পরও তিনি কিন্তু ক্ষান্ত হননি, দমে যাননি। ক্যান্সারের সাথে অবিরত লড়াই করেছেন। তিনি জানতেন ধীরে ধীরে তার জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে। মৃত্যুর ক’দিন আগে আমি যখন হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যাই, তখন তিনি যেভাবে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং মৃত্যুর পর কি করতে হবে দু’য়েকটি কথাও আমাকে বলেছেন। একটা মানুষ জানেন, তিনি মৃত্যুপথযাত্রী, এরপরও অবিচল, সেই চারিত্রিক দৃঢ়তা আমি তাঁর মধ্যে দেখেছি।

    তিনি বলেন, তার মধ্যে কয়েকটি গুণ ছিল, লড়াকু, অকুতোভয় এবং মেধাবী। দেশে মানুষের গড় আয়ু হচ্ছে প্রায় ৭৩ বছর এবং একজন মেধাবী সাংবাদিক এভাবে অল্প বয়সে চলে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার।
    আজাদ তালুকদার একজন অকুতোভয় সাংবাদিক ছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের অনেক বিষয় অনেকের চোখ এড়ালেও তার চোখ এড়ায়নি। অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তির বিরুদ্ধেও সঠিক রিপোর্টটি করেছেন, যেটি কেউ সাহস করে করেননি। অসংখ্য পত্রিকার ভিড়ে একটা পত্রিকা দাঁড় করানো খুব সহজ কাজ নয়। আবার সেটি পাঠকপ্রিয়তা পাওয়া আরো কঠিন কাজ। কিন্তু তিনি নিজে একা লড়াই করে কোনো বড় গ্রুপের কাছে বিক্রি না হয়ে একুশে পত্রিকা দাঁড় করিয়েছেন।

    একুশে পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নজরুল কবির দীপু’র সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওবায়দুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মহসিন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুবেল খান, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সরওয়ার প্রমুখ।

  • রাজপথে কাকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় আমরা জানি: তথ্যমন্ত্রী

    রাজপথে কাকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় আমরা জানি: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজপথে কাকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় আমরা আওয়ামী লীগ সেটি জানি। দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। দেশে কেউ সহিংসতা করুক সেটি কখনো বরদাস্ত করবো না। রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করতে পারে যে কেউ, তবে নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করবে কখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    রোববার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    ‘বিএনপি বলেছে অক্টোবরে এই সরকারের পতন হবে এবং নতুন সরকার গঠন হবে’- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের পতনের ঘোষণা বহু আগে থেকে দিচ্ছে। ঘোষণা দিয়েছিল গত ডিসেম্বরে পতন হবে। তারেক রহমান দেশে আসবে, বেগম খালেদা জিয়া গুলশান থেকে সমাবেশে চলে আসবেন- এ ঘোষণা দিয়েছিল। এরকম ঘোষণা প্রতি মাসে দেয়, এটি নতুন কোনো ঘোষণা নয়। তবে কয়েকদিন আগে বলেছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশ পাঠানো না হয় তাহলে সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেবে না। ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে এখন ১২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, কিছু তো হয়নি।

    তিনি বলেন, দেশে কেউ সহিংসতা করুক সেটি কখনো বরদাস্ত করবো না। রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করতে পারে যে কেউ। সরকারেরও পদত্যাগ যে কেউ চাইতে পারে। একজন ব্যক্তিও চাইতে পারে বা রাজনৈতিক দলও চাইতে পারে। সেই চাওয়ার অধিকার সবার আছে। কিন্তু দিনক্ষণ ঠিক করে সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে সেটি বলা সমীচীন নয়। সেটি রাজনৈতিক ভাষা নয়। অর্থাৎ যে ভাষায় তারা কথা বলছে, সে ভাষা ইঙ্গিত দেয় দেশে একটি রাজনৈতিক সহিংসতা তারা করতে চায়। সেটি কাউকে করতে দেওয়া হবে না।

    আমি আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে বলছি, আমরা আওয়ামী লীগ রাজপথে কীভাবে কাকে মোকাবিলা করতে হয় সেটি জানি। দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করবে কখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কখন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হবে এটি এ মাসের শেষে হবে, নাকি আগামী মাসের প্রথম দিকে হবে সেটি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করবে। আমরা সবসময় প্রস্তুত নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিও আশা করি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

    জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন। আমরা সাংস্কৃতিক বিষয়সহ দুই দেশের সাংস্কৃতিক গ্রুপের মধ্যে আদান প্রদান যাতে আরও বেশি হয় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান আমাদের কাছে সবসময় উন্নয়নের একটি মডেল। গত ৫২ বছর জাপান যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করেছে, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভবিষ্যতে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে যাতে কাজ করতে পারি সে কথা জানিয়েছি।

    তিনি বলেন, মীরেরসরাই এবং বঙ্গবন্ধু ইপিজেড বা জাপানিজ ইপিজেড স্থাপন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া মাতারবাড়ি পোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ টানলে আমি তাকে জানিয়েছি ফ্রি, ফেয়ার এবং ট্রান্সপারেন্ট নির্বাচন হবে। যদিও নির্বাচন করা, স্থগিত করা সেটি হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু সরকারের ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা থাকে। সেক্ষেত্রে আমরা সর্বাত্মভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবো বলে তাকে বলেছি।

    এছাড়া রাজনীতিকে স্থিতিশীল করতে হলে সব রাজনৈতিক দলের কাজ বা দায়িত্ব। ক্রমাগতভাবে নির্বাচন বর্জন করা সেটি কখনো কারও জন্য সমীচীন নয়। সেই কথা আমি তাকে বলেছি এবং একই সঙ্গে দেশে যাতে কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা না হয়, যেটা ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে হয়েছে। সময় সময় বিএনপি করে এবং এখনো করার অপচেষ্টা করছে, উসকানি দিচ্ছে, এ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।

    তিনি বলেন, জনগণের অংশগ্রহণে, অনেক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও সুন্দর এবং সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে আমি তার সঙ্গে আলোচনায় বলেছি।

  • সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক : তথ্যমন্ত্রী

    সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক, বরং বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যতোবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাচাঁনো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হয় বাড়ি ফেরত গেছে। এখনো বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সরকার সেজন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করছে।

    শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে নতুনভাবে চালুকৃত ক্যাবলকার (রোপওয়ে) উদ্বোধন শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার হত্যার চেষ্ঠা করছে বলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু’র বক্তেব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষার জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেকারণে দেশের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো। দেশে বন আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে দেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিযারি এন্ড ইকো পার্ক স্থাপন করতে পেরেছি। আজ থেকে প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় আগে এই পার্কে আসা-যাওয়া মিলে ২.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ক্যাবল কার (রোপওয়ে) স্থাপন করা হয়েছে। এই পার্কের উন্নয়নের জন্য আরও ১২৬ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, সেই বরাদ্দ থেকে আরও দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। মোট ৪.৪ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপিত হবে। দেশের কোথাও এতো দীর্ঘ ক্যাবল কার নেই। শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে বিদেশের অনেক জাতের পাখি আছে, আমাদের দেশে অনেক সাফারি পার্ক আছে কিন্তু এরকম এভিয়ারি আমাদের দেশে আর কোথাও নাই। এটিই দেশের প্রথম এভিয়ারি পার্ক। আমি মনে করি শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে ক্যাবল কার পুনঃউদ্যোমে যখন চালু হবে তখন দেশ এবং বিদেশের পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্যস্থলে পরিণত হবে।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও উপ প্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও আবদুল্লাহ আল মামুন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী।