Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • আপনারা লাফাতেই থাকেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে

    আপনারা লাফাতেই থাকেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত বিদেশিদের কাছ থেকে সাহায্য চাচ্ছে। বিদেশিরা তাদের বাতাস দিচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত হলো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। ফখরুল সাহেব লাফায়, আমীর খসরু লাফায়। সঙ্গে শ্যামা ওবায়েদ, নিপুণ রায়ও লাফায়। আপনারা লাফাতেই থাকেন। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। সেই নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে।

    শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কৃষকলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ কোলে করে আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে গিয়ে লাভ নেই। আপনাদের কোলে বসিয়ে ফিডার খাইয়ে ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না। জনগণ তা হতে দেবে না। আওয়ামী লীগ তা হতে দেবে না।

    আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আপনারা এলেও ভালো না এলেও ভালো। আপনারা ভেবেছেন ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছেন, আওয়ামী লীগ টিকতে পারবে না। কিন্ত আমরা পাঁচ বছর থেকেছি। ২০১৮ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। এই নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেননি, তাহলে তিনি ১৯৮২ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। শুধু শেখ হাসিনা নন, বঙ্গবন্ধুরও কখনো ক্ষমতার লোভ ছিল না। গণঅভ্যুত্থানের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অফার তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

    দেশের উন্নতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশ এখন স্বল্পোন্নত হয়েছে, দারিদ্র্য কমেছে, ২০০৯ সালে বিশ্বে ৬০তম অর্থনীতির দেশ ছিল, আজ ৩১তম। বাংলাদেশ ২৫টি দেশ পেছনে ফেলে এসেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে ভারত সরকার, জাতিসংঘ মহাসচিব প্রশংসা করেছেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এম কামাল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার চলার পথ কণ্টকাকীর্ণ। তাকে ২১ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলে ট্রিলিয়ন ডলারের দেশে পরিণত হবে। শান্তিচুক্তি, সীমান্তচুক্তি হয়েছে শেখ হাসিনার অবদানে। শেখ হাসিনার নির্দেশেই করোনার সময় কৃষকদের ধান কেটে দিয়েছে। তিনি কৃষক শ্রমিক বান্ধবনেতা। তার জন্য দোয়া চাই।

    বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে ও কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলিসহ প্রমুখ।

  • ‘বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার পরও লজ্জা নেই’

    ‘বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দেওয়ার পরও লজ্জা নেই’

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পর পর পাঁচবার কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরও তাদের লজ্জা নেই। এবারও কানাডার আদালত বলেছে, বিএনপি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাচ্ছে। তারা গাড়ি পোড়াচ্ছে, ভাঙচুর করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। সে কারণে তাদের দলের কাউকেই রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে না।’

    মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর নগরীর আর কে রোড এলাকায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপকেন্দ্র পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

    তথ্যমন্ত্রী গয়েশ্বর রায়কে খাবার দেওয়া আর আমান উল্লাহ আমানকে প্রধানমন্ত্রীর ফলমুল পাঠানোকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এই শিষ্টাচার মেনে চলেন। এখন তারা অন্য কথা বললেও দেশের জনগণ তাদের কথা বিশ্বাস করে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেত্রী মতিয়া চৌধুরী ও মো. নাসিমকে কীভাবে রাস্তায় ফেলে লাঠিপেটা করেছে সেটাও দেশের মানুষ দেখেছে।’

    মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন তাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে আনন্দ উচ্ছাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জিলা স্কুল মাঠে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও এই সমাবেশ রংপুর নগরীর ১০ কিলোমিটারব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। এটা জনসমুদ্রে রুপ নেবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মহাসমাবেশ বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রংপুর টেলিভিশন উপকেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রে পরিণত করার সব কাজ শেষ হয়েছে। একনেক সভাতেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আশা করেছিলাম নির্বাচনের আগে কাজ শুরু হবে কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র হবেই।’

    এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারাসহ বাংলাদেশ টেলিভিশন উপকেন্দ্রের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

     

  • বিএনপির সব নেতাই নির্বাচন করতে চান : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির সব নেতাই নির্বাচন করতে চান : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির সব নেতাই নির্বাচন করতে চান মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশগ্রহণ না করে তাহলে বহু ‘উকিল আব্দুস সাত্তার’ দলটি থেকে বেরিয়ে আসবে।

    রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও তাদের কিছু সদস্য অংশ নিতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা বলেছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সব নেতাই নির্বাচন করতে চান। অথচ দলটি তাদের সদস্যদের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর পদেও নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচনও করতে দিচ্ছে না। মানুষ যদি দলটিতে থেকে নির্বাচনই করতে না পারে…। তাদের সবাই নির্বাচন করতে চায়। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে যার বহিঃপ্রকাশ দেখেছি।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা উকিল আব্দুস সাত্তারকে দেখেছি। এ রকম বহু উকিল আব্দুস সাত্তার আগামী নির্বাচনে বেরিয়ে আসবে।

    এরআগে বিদেশি পর্যবেক্ষক দলের সদস্য টেরি এল ইসলে বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে গাইবান্ধায় একটি ঘটনায় নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন। সরকার জোরালোভাবে যার বিরোধিতা করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এবং তারা বিজয়ী হয়েছে। তারা সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলকে ভয় পায় না। সরকারি দলের বিরোধিতার পরেও বেশ কয়েকটি ঘটনায় তারা বিজয়ী হয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা মনে করি, অতীতের মতোই সরকারি যে কোনো পদক্ষেপ সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। আমি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে আমরা তিন প্রতিনিধি এসেছি। এই তিন দেশই বাংলাদেশের বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী। কাজেই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাতে আমাদেরও স্বার্থ রয়েছে। আমরা সবাইকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করছি।

    তিনি আরও বলেন, বিএনপি আমাদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছে। কিন্তু দলটির সদস্যদের সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে বলে আমাদের আভাস দিয়েছে। সরকারি দলের প্রতিনিধি বলেছেন, তারাও বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করছেন। তারা মনে করেন, সরকার ও পার্লামেন্টে দলটি তার বৈধ ভূমিকা রাখতে পারে।

    টেরি ইসলে বলেন, বিএনপি যদি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না-ও করে, তবে দলটির অনেক সদস্য বলেছেন, তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন।

    বিএনপির সেই সদস্য কারা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের নাম বলতে পারবো না। আমরা গোপনীয়ভাবে অনেক কিছু করি, যা আপনারা বুঝতে পারবেন না।

  • বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশ তুলে দেয়ার অপচেষ্ঠার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কলম ধরার অনুরোধ তথ্যমন্ত্রী’র

    বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশ তুলে দেয়ার অপচেষ্ঠার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কলম ধরার অনুরোধ তথ্যমন্ত্রী’র

    রাজনীতির নামে মানুষ ও গাড়িঘোড়া পোড়ানো এবং নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দেয়ার যে অপচেষ্ঠা, সেটির বিরুদ্ধে সাংবাদিক বন্ধুদের কলম ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    তিনি বলেছেন, দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা হচ্ছে। দেশের সম্পদ বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দিতে পারে। সাংবাদিকরা মানুষকে সঠিক নির্দেশনা দিতে পারে। আপনারা কলাম লেখেন, রিপোর্টিং করেন, সর্বোপরি আপনাদের লেখনিতে দেশের সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে জনগণকে রক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

    রোববার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এর আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা প্রসূত। তিনি ২০১৪ সালে সাংবাদিকদের একটি সভায় গিয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের জন্য নিজে থেকে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এখন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সারাদেশের সাংবাদিকদের জন্য একটি ভরসার স্থলে পরিণত হয়েছে। এটির স্থিতি এখন ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। তা আরও বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, আমাদের সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। সেই কারণে করোনাকালে উপমহাদেশের কোথাও সাংবাদিকদের জন্য এককালীন অনুদান দেওয়া হয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্ঠায় সেটি আমরা এখানে করতে পেরেছি। সেজন্য ১০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন। ২০২২ সালে সবমিলিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১০ কোটি টাকার বেশি অনুদান দিয়েছি, এটি কেউ আশা করেনি, কল্পনাও করেনি। চট্টগ্রামে গত তিন-চার বছরে যে পরিমাণ সাংবাদিক অনুদান পেয়েছেন তা গত ৪০ বছরেও কেউ পাইনি।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের চাকুরীর নিশ্চিয়তা নেই, এটি সত্য। আমার অনেক বন্ধুবান্ধব সাংবাদিক, চাকুরী যাওয়ার পর তার যে হাহাকার সেটি আমি নিজ চোখে দেখেছি। সাংবাদিকতায় একবার ঢুকে গেলে বের হতে পারা একরকম অসম্ভব। এটির নিশ্চয়তা হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য গণমাধ্যম নীতিমালা করেছি। এটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মালিকরা সেটির বিরোধীতা করছে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সাংবাদিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রেচুইটি, বীমা এসব হওয়া দরকার। ওয়েজবোর্ডেও রয়েছে এসব বাস্তবায়নের কথা।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদুল আলম, সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।

  • বিএনপি নেতাদের উপর চটেছেন তারেক জিয়া, সেজন্য পেট্টোলবোমা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি নেতাদের উপর চটেছেন তারেক জিয়া, সেজন্য পেট্টোলবোমা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, তারা সেটি আবার প্রমাণ করেছে। গত শুক্রবারের প্রোগ্রামে গন্ডগোল কেন হলো না সেজন্য বিএনপি নেতাদের উপর চটেছে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গন্ডগোল করার উদ্দেশ্যে পরদিন ঢাকা শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে অবস্থান ধর্মঘট অর্থাৎ অবরুদ্ধ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। তারেক জিয়া নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাদের ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেয়ার জন্য এবং পুলিশের উপর আক্রমণ করার জন্য। সেই প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। বিএনপি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মত আবারো পেট্টোলবোমা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে, অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শুরু করেছে।

    তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপি নেত্রী নিপুন রায়ের অডিও বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। আবার বলছে, এটা একটু ভিডিও করে রাখেন, জায়গা মতো পাঠাতে হবে। অর্থাৎ তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠাতে হবে।

    রোববার (৩০ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দোস্ত বিল্ডিং চত্বরে বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সহিংসতার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন গত শুক্রবার ঢাকায় বিএনপি সমাবেশ করেছে, একই সাথে আমাদের যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ যৌথভাবে বিশাল সমাবেশ করেছে। মাত্র সোয়া কিলোমিটার দূরত্বে দুইটি বিশাল সমাবেশ হয়েছে, কিন্তু ঢাকা শহরে বিন্দুমাত্র কোন গন্ডগোল হয় নাই। কারণ আমাদের দলের নেতাকর্মীরা এবং প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রেখেছিল।

    তিনি বলেন, গন্ডগোল কেন হলো না সেজন্য বিএনপি নেতাদের উপর বেজায় ছটেছেন তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং গন্ডগোল করার উদ্দেশ্যে ঢাকা পরদিন শনিবার ঢাকা শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে অবস্থান ধর্মঘট করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এই রাজপথ মানুষের, ঢাকা শহরের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়ার অধিকার কোন রাজনৈতিক দলের নাই। সবাই সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে, সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে পারে, এবং করছেও তারা। সেখানে বাঁধা দেয়া হচ্ছেনা, বরং সহযোগিতা করা হয়েছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, গত শুক্রবার তাদের সমাবেশের জন্য সমস্ত সহযোগিতা করা হয়েছে। তারা যেখানে চেয়েছে সেখানেই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে নগরবাসীকে নগর থেকে বের হওয়া আর নগরে ডুকা বন্ধ করে দেয়ার অধিকার কাউকে সরকার দিতে পারেনা, সে কারণে সেটি সরকার অনুমতি দেয় নাই।

    তিনি বলেন, যারা এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে জনগণের কষ্ট ঘটানের অপপ্রয়াস চালায় সেটি যাতে করতে না পারে জনগণের পাশে থাকা সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। কেউ যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমাদের দলের নেতাকর্মীরা ঢাকার প্রবেশ মুখে সতর্ক পাহারায় ছিল। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের উপর তারা আক্রমণ চালিয়েছে, পুলিশের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে আক্রমণ চালিয়েছে ঠিক একই ভাবে তারা ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ, জনগণ ও বাসের উপর আক্রমণ চালিয়েছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি শনিবার প্রথমার্ধে সাতটি বাস জ্বালিয়েছে, রাতের বেলা আরো গাড়িতে আগুন দিয়েছে। প্রত্যেকটি গাড়ি ব্যক্তি মালিকানাধীন। অনেক কষ্টে গাড়ি গুলো কিনেছে মানুষ। এই গাড়ি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে একটি পরিবারকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, একটি পরিবারের স্বপ্নকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এটি কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না।

    তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে তারা যে আগুন দিয়েছেন সেটি অস্বীকার করলেন। তার মত জঘন্য মিথ্যাবাদী বাংলাদেশের কখনো জন্মগ্রহণ করে নাই। মিথ্যা বলায় যদি কেউ চ্যাম্পিয়ন তাহলে তিনি হবেন। এরকম জঘন্য মিথ্যাচারী রাজনীতিবিদ কখনো বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে নাই। যারা গাড়িতে আগুন দিয়েছেন সেগুলো ভিডিও ফুটেজ আছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেফতার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খোঁচা দিলে জ্বলে উঠে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা আঘাত করলে প্রতিঘাত করার জন্য একসাথে নেমে পড়ে। ওরা দেশের বেদিমূলে আঘাত হেনেছে, আবার জনগণের উপর হামলা পরিচালনা করছে। ওদেরকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় আমরা জানি। বিএনপির নেতারা ঘাপটি মেরে আছে, সেখান থেকে বের হয়ে এখন হামলা পরিচালনা করছে। সুতরাং এই হামলাকারীদের পাড়ায়-মহল্লায় গ্রামে-গঞ্জে প্রতিহত করতে হবে।

    তিনি বলেন, বিএনপি বিদেশীদের কাছে গিয়ে হাতে পায়ে ধরে, তারা আমাদের দেশটাকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাই। আমাদের দেশের জমি সাগরের অংশ বেনিয়ারেদর হাতে তুলে দিতে চাই। একাত্তরেও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে আমাদের পূর্বসূরী মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছে। এখন যারা আমাদের দেশকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাই তাদের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করতে হবে। আমরা জীবন দিয়ে হলেও দেশটাকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে পারি না।

    নেতাকর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের বাকি মাত্র কয়েক মাস। আমরা আগামী নির্বাচনে বিজয় চিনিয়ে না আনা পর্যন্ত রাজপথে নেমেছি রাজপথেই থাকবো। আগুন সন্ত্রাসীদের আমরা এই দেশ থেকে বিতাড়িত করব। বিএনপি নির্বাচন চাই না, তারা চায় দেশে একটি গন্ডগোল পাকাতে। ওরা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ভন্ডুল করতে চাই, সেটি আমরা হতে দিতে পারি না। তাই নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাবো ঐক্যবদ্ধভাবে পাড়ায় মহল্লায় গ্রামেগঞ্জে ওয়ার্ডে ইউনিটে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের এই অপরাজনীতি বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুত পাবার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাই।

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্ব ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, উত্তরজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম, ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা বাসন্তী প্রভা পালিত প্রমুখ।

  • বিএনপির মধ্যে বড় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির মধ্যে বড় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে চায় কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের থেকে তারা সিদ্ধান্ত পায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখলে দলের মধ্যে বড় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

    মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    আগামী ২৭ জুলাই বিএনপি যে সমাবেশ ডেকেছে একই দিনে আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠনও সমাবেশ ডেকেছে। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন- আওয়ামী লীগ সংঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এমন কর্মসূচি ঘোষণ করেছে। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকবে সেদিন এত বড় ঢাকা শহরে অন্য কেউ সমাবেশ ডাকতে পারবে না এমন তো নিয়ম নেই। বিএনপি যখন সমাবেশ ডাকে জনগণ তখন আতঙ্কে থাকে। সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ কিংবা এর সহযোগী সংগঠনগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে- মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা। এটা তাদের দায়িত্ব। সে কারণেই ২৭ জুলাই ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ যৌথভাবে সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা কখনোই সংঘাত তৈরি করতে চাই না। কারণ আমরা সরকারে আছি। দেশে যদি কোনো সংঘাত সৃষ্টি হয় তবে সরকারেরই বদনাম হয়। সুতরাং আমরা সংঘাত চাই না। বিএনপিই সংঘাত তৈরি করার অজুহাত খুঁজছে।

    ড. হাছান বলেন, এর আগে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বে তারা এবং আমরা বড় সমাবেশ করেছি। সেখানে কোনো সংঘাত হয়নি। সেখানে আমাদের দল সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দিয়েছে। আমরা চাই বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালন করুক। কিন্তু বিএনপি অতীতে যেহেতু মানুষের জান মাল এবং সম্পদের ক্ষতি করেছে সেহেতু আমরা সরকারি দল হিসেবে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে মানুষের নিরাপত্তার জন্য একইদিনে সমাবেশ ডেকেছি।

    হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে কোনো সংকট নেই। কিন্তু বিএনপির মধ্যে সংকট রয়েছে। তাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করতে চায় কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের থেকে তারা সিদ্ধান্ত পায় না। এটা একটি বড় সংকট। বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা নেতাকর্মীদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করতে দেয় না। এমনকি সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। এটি একটি দলের আভ্যন্তরীণ সংকটেরই বহিঃপ্রকাশ। অথচ তারা গণমানুষের দল হিসেবে নিজেদের দাবি করে। কখন যে সেই দলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে সেটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।

    মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যে ছোটখাটো একটা বিস্ফোরণ অবশ্য ঘটেছে। কিছু নির্বাচনে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছেন। কেউ কেউ নির্বাচনে জয়ীও হয়েছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখলে এর প্রভাব বিএনপির মধ্যেই পড়বে।

    শোকের মাসে জামায়াতের কর্মসূচির অনুমতির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দেবে। শোকের মাসের ভাবগাম্ভীর্যের বিষয়টি মাথায় রেখেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত দেবে।

  • সরকার কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে না : তথ্যমন্ত্রী

    সরকার কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে না : তথ্যমন্ত্রী

    সরকার কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নেতারা। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টা করছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলকে অনুরোধ জানাব, পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য, ওনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। এখন বাংলাদেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এখন গ্রামের গৃহবধূ, স্কুলের শিক্ষার্থী, রিকশাচালক, ক্ষেতে কাজ করা ব্যক্তিও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এই ইন্টারনেটকে সার্বজনীন করেছে বর্তমান সরকার।

    ড. হাছান বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের স্লোগানই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য ছিল সবার কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করা। গ্রামে-গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া। গ্রামে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে এমন অনেক যুবক আছে। আমরা কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করি না, বরং সহজলভ্যতার সুযোগ গ্রহণ করে বিএনপি তাদের পেইড এজেন্ডা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষদগার, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী থেকে শুরু হরে সরকারদলীয় নেতাদের চরিত্র হনন করছে। তারা তাদের পেইড এজেন্টদের দিয়ে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে এসব করছে। তারা যে পেইড এজেন্ট নিয়োগ করেছে তা এরইমধ্যে প্রমাণিত। তাদের অডিও ক্লিপ ফাঁসও হয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে, মন্ত্রী এবং সরকারি দলের নেতাদের চরিত্র হনন করে তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে তারেক রহমান। সেই বৈঠকের ছবিও আমাদের কাছে আছে। এটা কেবল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে করতে পারছে, যা কখনো সমীচীন না। এগুলো ডিজিটাল অপরাধ।

    তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব ডিজিটাল অপরাধীদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য কাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ওনার উচিত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো। কারণ তিনি ভিডিও কনফারেন্সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিটিং করেন। সেটা শেখ হাসিনার জন্য এটা সম্ভব হয়েছে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো দরকার।

    সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ২০১৮ সালের মতো নয়, বরং পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশ নিক।

    দেশে নির্বাচন পরিস্থিতি ভালো দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ কেউ নষ্ট করছে কি না সেটা এখন দেখার বিষয়। কেউ যদি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় সেটি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার শামিল। নির্বাচন যে কেউ বর্জন করতে পারে কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারো নেই।

    সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক, শাহাদাত হোসেন (রাকিব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিজন কুমার দাস, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্ণা রায়, আসাদ আল মাহমুদ, উবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ, রাকিব হাসান, মহসীনুল করিম লেবু।

  • রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো পৃথিবীর কোথাও নেই : তথ্যমন্ত্রী

    রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো পৃথিবীর কোথাও নেই : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি বেড়েছে রাজনৈতিক অপরাধ। রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানোর ঘটনা পুরো পৃথিবীতে ঘটেছে কি না আমার জানা নেই।

    মন্ত্রী বলেন, রাজনীতির নামে আগুন দেওয়া, মানুষের সম্পদ পোড়ানো, কমিটি পছন্দ হলো না তাই সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, মানুষকে প্রতিহিংসাবশত আক্রমণ তো রাজনৈতিক অপরাধ।

    বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) চার দশক উদযাপন উপলক্ষ্যে ডিআরইউর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজের প্রতি আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। বিশেষ করে সাংবাদিকদের। রিপোর্টিং সমাজ নির্মাণ, সামাজিক স্থিতাবস্থা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

    দেশ সমাজ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে এমন রিপোর্টিং জরুরি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন টেলিভিশন ছিল ১০টি, এখন ৩৫টি সম্প্রচারে আছে। পত্রিকা ছিল সাড়ে ৪০০, এখন ১২০০।

    তবে কিছু ভূঁইফোঁড় সংবাদ মাধ্যম আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু ভূঁইফোঁড় সংবাদপত্র ও আইপি টিভিও আছে। কোনটা যে আসল আর কোনটা নকল বোঝা মুশকিল। আমরা এরইমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি। কর্তৃপক্ষ কী টাকা পাঠাবে, উল্টো নাকি প্রতিনিধিরাই টাকা পাঠায়। এমনও দেখেছি। এগুলো এখন অনেকখানি কমে এসেছে।

    সচিবালয়ে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এরপর উত্থাপিত হয় যে, পৃথিবীর কোনো দেশে সচিবালয়ে ঢোকা এতো সহজ নয় এবং এতো কার্ড দেওয়া হয় না সাংবাদিকদের। তাহলে বাংলাদেশে কেন এতো কার্ড। কিন্তু আমি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিবাদ করেছি। তবে বৈঠকের পর নীতিমালা করে অর্ধেক করা হয়েছে কার্ড দেওয়া। অনেকে কাজ করেন কক্সবাজার, দিনাজপুরে। তার কী কাজ সচিবালয়ে। এগুলো অনেক কমেছে। যদিও এখনো কিছু আছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, যখন মন্ত্রী ছিলাম না তখনই রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আমার যাতায়াত বেশি ছিল। আমি কখনো কোনো সাংবাদিককে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখিনি। আমি দুচোখে যা দেখেছি বুঝেছি তাই করার চেষ্টা করেছি।

    ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশীদ, ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ক্র্যাবের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক নেতারাসহ সাধারণ সদস্যরা।

  • একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদারকে দেখতে গেলেন তথ্যমন্ত্রী, সুস্থতা কামনা

    একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদারকে দেখতে গেলেন তথ্যমন্ত্রী, সুস্থতা কামনা

    জটিল রোগে আক্রান্ত একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদারকে দেখতে গিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান।

    শুক্রবার (২১ জুলাই) রাতে রাজধানীর পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদারকে দেখতে যান তিনি। এ সময় আজাদ তালুকদারের পাশে বেশকিছু সময় কাটান এবং তাঁর চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নেন মন্ত্রী।

    সাংবাদিক আজাদ তালুকদার বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসা নিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তথ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে বর্তমানে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে অসুস্থ আজাদ তালুকদার ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। নিজ এলাকার সন্তান আজাদ তালুকদারের অসুস্থতার শুরু থেকেই নিয়মিত চিকিৎসার খোঁজখবর রাখেন চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ ড. হাছান মাহমুদ।

    সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ আজাদ তালুকদারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন খুব প্রয়োজন মন্তব্য করে এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোনো প্রয়োজনে অতীতের মতো পাশে থাকবেন এবং তাঁর সুস্থতা কামনা করে সকলের দোয়া কামনা করেন।

    এসময় আজাদ তালুকদারের শয্যাপাশে তথ্যমন্ত্রীর সাথে দৈনিক কালবেলা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা উপস্থিত ছিলেন।

  • বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে : তথ্যমন্ত্রী

    বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন।

    তিনি বলেন, বিএনপি এখন পা ভাঙা বাঘ, খাঁচায় বন্দি সিংহ শুধু গর্জন করতে পারে। আর কিছুই করতে পারে না। তারা যদি দেশে শান্তি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে তাহলে সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।

    শুক্রবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন ।

    মন্ত্রী বলেন, বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি শুধু পাকিস্তানে আছে। আমার প্রশ্ন, তারা শুধু পাকিস্তানকে কেন অনুসরণ করে।

    এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আসলাম হোসেন সওদাগর, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সজিত রায় নন্দী, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামিম, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রী সার্কিট হাউস থেকে বের হয়ে জেলা পরিষদের হলরুমে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন তিনি।

  • রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতি ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন : তথ্যমন্ত্রী

    রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতি ভিয়েনা কনভেনশনের লঙ্ঘন : তথ্যমন্ত্রী

    হিরো আলমের ঘটনায় ঢাকায় বিদেশি মিশন থেকে দেওয়া যৌথ বিবৃতির বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক দলের মতো। রাষ্ট্রদূতদের জোটবদ্ধ হয়ে বিবৃতি দেওয়া, এটি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি যা ভিয়েনা কনভেনশনে আছে, সেটির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

    বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘সাংবাদিকের স্মৃতিভাষ্যে বঙ্গবন্ধু’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত যে বিবৃতি দিয়েছেন সে বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, যা রাজনৈতিক দলের মতো। রাষ্ট্রদূতদের জোটবদ্ধ হয়ে বিবৃতি দেওয়া, এটি রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি যা ভিয়েনা কনভেনশনে আছে, সেটির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি বন্ধু রাষ্ট্রদের অনুরোধ জানাব ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার জন্য।

    ভারত কিংবা পাকিস্তানে যখন সহিংসতা হয় বা আশেপাশে অন্যদেশে যখন সহিংসতা হয় সেখানে তো রাষ্ট্রদূতরা এভাবে বিবৃতি দেয় না- উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে কেন এভাবে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে? আসলে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল সুশীল সমাজের কেউ কেউ এগুলো দেওয়ার জন্য তাদেরকে প্ররোচণা দেয়। তাই রাষ্ট্রদূতদের দোষারোপ করার আগে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার আগে আমি মনে করি যারা তাদেরকে প্ররোচণা দেয় তারা এক্ষেত্রে দায়ী। তবে অবশ্যই কূটনীতিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতদের আচরণ ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা প্রয়োজন।

    গত দুইদিনের পদযাত্রায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার যদি পদত্যাগ না করে তাহলে আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে না। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্য স্পষ্ট, ওনারা সহিংসতা করতে চায়, সহিংসতা শুরু করেছে। সহিংসতা শুরু করলে সরকার বসে থাকবে না। যারা সহিংসতা করবে, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করবে সরকার। একই সঙ্গে যারা সহিংসতার সৃষ্টি করবে আমাদের দলও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকবে।

    বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শুক্রবার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে এ সরকারের বিপক্ষে এক দফা দাবি নিয়ে লিফলেট বিতরণ করবে। এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন- হাছান মাহমুদ বলেন, লিফলেট তারা বিতরণ করতেই পারে, তবে রিজভী সাহেব শুক্রবার নামাজ পড়েন কি? আমি দেখলাম তিনি ঢাকা-১৭ আসনের একজন প্রার্থীর বিষয়ে বলেছেন, আমি আজকে ফেসবুকে দেখলাম আমি তার নাম বলতে চাই না, সে প্রার্থী অর্ধপাগল, অর্ধশিক্ষিত। তবে কোনো প্রার্থীকে অর্ধপাগল অর্ধশিক্ষিত বলা সমীচীন নয়।

  • হিরো আলমকে মারধরের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক: তথ্যমন্ত্রী

    হিরো আলমকে মারধরের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক: তথ্যমন্ত্রী

    ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    তিনি বলেন, আমি মনে করি, এটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা।

    একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে একজন প্রার্থীর ওপর হামলা পরিচালনার উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা।
    বুধবার (১৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, (হিরো আলমের ওপর) এই হামলার কোনো প্রয়োজন ছিল না। অনুচিত।

    আমরা গতকালই (১৮ জুলাই) এর নিন্দা জানিয়েছি। যারা এটি করেছেন, তারা সরকারি দলের ওপর কালিমা লেপন করতে চেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এটি করেছেন। সরকার দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তদন্ত চলছে, সেখানে কাদের ইন্ধন ছিল, তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। কিংবা এই ঘটনা ঘটাতে যে প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়েছে, তার পক্ষ থেকে উসকানি ছিল কিনা; তা খতিয়ে দেখা হবে।

    হিরো আলমের ওপর মারধরের ঘটনায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বা অ্যামনেস্টির টুইটকে জাতিসংঘের ও অ্যামনেস্টির বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।

    সে বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন, আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি যে জাতিসংঘের এখানকার আবাসিক প্রতিনিধি কিংবা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের টুইটকে জাতিসংঘের ও অ্যামনেস্টির বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। এভাবে যেটি যা না, সেটিকে তার হিসেবে প্রচার কিংবা সংবাদ তৈরি করা, দিস ইজ ম্যালইনফরমেশন, অপসাংবাদিকতা।

    আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি যদি একটি টুইট করি বা স্ট্যাটাস দিই, সেটি কি সরকারের বক্তব্য হবে? আমি তো তথ্যমন্ত্রী ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কাজেই জাতিসংঘের এখানকার আবাসিক প্রতিনিধি কিংবা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের একটি টুইটকে তাদের বিবৃতি কিংবা উদ্বেগ হিসেবে প্রচার করা সমীচীন না, অপসাংবাদিকতার পরিচয়। অনুরোধ করবো, এগুলো থেকে সবাইকে বিরত থাকতে, সতর্ক থাকতে।

    প্রসঙ্গত, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে রাস্তায় ফেলে পেটায় দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলতে দেখা যায়।

    সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভোট চলাকালে রাজধানীর বনানী এলাকায় বেধড়ক মারধর করা হয় হিরো আলম।