Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • মার্কিন ভিসানীতির পর উদ্বেলিত বিএনপি পুলিশের ওপর আগের মতো হামলার সাহস পাচ্ছেনা : তথ্যমন্ত্রী

    মার্কিন ভিসানীতির পর উদ্বেলিত বিএনপি পুলিশের ওপর আগের মতো হামলার সাহস পাচ্ছেনা : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পর বিএনপি অনেক উদ্বেলিত হয়েছিল। এখন দেখি বিএনপি ভালো হয়ে গেছে, তাদের মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তারা পুলিশের ওপর আগের মতো হামলা পরিচালনা করার সাহস পাচ্ছেনা। বিএনপির আশা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বলবে। কিন্তু এনিয়ে তারা টু শব্দটি করে নাই। এজন্য তারা প্রচন্ড হতাশ হয়ে গেছে।

    তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গত সোমবার চট্টগ্রামে শ্রমিক সমাবেশ করেছে। তিনি সেখানে কথা ঘুরিয়ে দিয়ে বলেছেন আমরা বিদেশী শক্তির ওপর নির্ভর করিনা। অথচ বিএনপি দিনের বেলায় তারুণ্যের সমাবেশ, হাঁটা কর্মসূচি, বসা কর্মসূচি, মাঝেমধ্যে দৌড় কর্মসূচি দেয়, আবার রাতবিরাতে রুমিন ফারহানা, শ্যামা ওবায়েদ, নিপূন রায়সহ তাদের মহিলা নেত্রীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন এম্বেসিতে ধর্ণা দেয়, উনাদের পায়ে ধরেন। এখন তারা বুঝতে পেরেছে ধর্ণা দিয়ে কোন লাভ হয় নাই। মার্কিন প্রতিনিধি দল এসে ও তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলে নাই। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের এই তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি বিদেশীরাও প্রত্যাখ্যান করেছে।

    মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’র আয়োজন করে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার উদ্দেশ্যে সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মানসে সারাদেশে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। কদিন আগে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে। পরশুদিন খুলনা শহরেও তারুণ্যের সমাবেশ করেছে। আমি দেখলাম সেখানে সব ষাটোর্ধ মানুষ, সবাই ৫০ ও ৬০ বছর বয়সের তরুন। মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যদি তারুণ্যের ডেফিনেশনটা কি একটু বলতেন, তাহলে ভালো হতো।
    তিনি বলেন, বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আজকেও তারা বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। আওয়ামী লীগ গণমানুষ থেকে গড়ে উঠা রাজপথের দল, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমস্ত প্রতিকুলতার মধ্যে উজান ঠেলে এগিয়ে যাওয়ার দল। আমরা রাজপথে আছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে টানা পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাব।

    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাথে আমাদের দলেরও বৈঠক হয়েছে, তথ্যমন্ত্রী হিসেবে আমারসাথে ব্যক্তিগতভাবেও বৈঠক হয়েছে। তারা স্পষ্টত বলেছে যে, আমরা বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন কানুন মেনেই এখানে যাতে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয় সেটিই আমরা চাই। তারা তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার এসব কোন কিছুর কথা বলে নাই। আমাদের দেশ চলবে আমাদের সংবিধান ও আমাদের আইন অনুযায়ি। কারো প্রেসক্রিপশনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ চলবেনা, এটা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। যার ধমনিতে শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্ত স্রোত প্রবাহমান।

    তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন শুরু হয় তখন পৃথিবীর অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে দিয়ে এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েও ফোন করিয়েছিল এই বিচার বন্ধ করার জন্য, বিচার বন্ধ হয় নাই, ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। শেখ হাসিনা সেগুলোর তোয়াক্কা করে নাই, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং রায় কার্যকর হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি চেষ্ঠা করবে গন্ডগোল লাগানোর জন্য, সেই সুযোগ আমরা তাদেরকে দিবনা। তবে কেউ রক্তচক্ষু দেখালে আওয়ামী লীগ জানে কি করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন। বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেব কয়দিন পরপর চট্টগ্রামে আসছেন, এখানে এসে লাভ নাই। যদি বাড়াবাড়ি করেন আপনাদের আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয়া হবে।

    তিনি বলেন, ঢাকা ১৭ আসনের উপ নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপর কালিমা লেপনের উদ্দেশ্যে একজন প্রার্থী হিরো আলমের উপর হামলা করা হয়েছে। তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেটি নিয়েও অনেকের কত মাতামাতি। যারা করেছে তারা দুস্কৃতিকারি। তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এটি করেছে। এটির আমরা নিন্দা জানাই। তবে অনেকে ঘুরে ঘুরে নির্বাচন করেন নির্বাচিত হবার জন্য নয়, নির্বাচন করে প্রচার পাওয়া এবং ঘটনাকে প্রমোট করার জন্য। যাতে আরো বেশি প্রচার পাওয়া যায়। সেটিও মাথায় রাখতে হবে।

    নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কি পদত্যাগ করেন এমন প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে, সেটিই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী।

    শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, নোমান আল মাহমুদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সফর আলী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, চট্টগ্রাম -১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রমুখ।

  • সরকারের ভুল থাকবে, দেখতে হবে দেশটা এগিয়ে গেছে কিনা: তথ্যমন্ত্রী

    সরকারের ভুল থাকবে, দেখতে হবে দেশটা এগিয়ে গেছে কিনা: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে নিশ্চয়ই আমাদের ভুলত্রুটি থাকবে, ভুলত্রুটি মানুষেরই হয়। পৃথিবীর কোন সরকার শতভাগ নির্ভূল কিছু করতে পারেনা। পাঁচ’শ বছর অতীতের সরকারেও ভুল ছিল, আগামী পাঁচ’শ বছর পরের সরকারেরও ভুল থাকবে। তবে দেখতে হবে সরকার দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে কিনা। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক গত সাড়ে চৌদ্দবছরে দেশ এগিয়ে গেছে।

    শনিবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরস্থ রাঙ্গুনিয়া সমিতি আয়োজিত সুধী সমাবেশে রাজধানীর গ্রীণ রোডের বাসা থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    নিজের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সুধীজনের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের এই অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য আপনাদের সহযোগীতা চাই। আমি সব দল ও মতের মানুষের এমপি হওয়ার চেষ্ঠা করেছি। গত সাড়ে ১৪বছর সবার জন্য আমার দুয়ার খোলা ছিল। ভবিষ্যতেও যদি কোন নিবেদন নিয়ে আপনাদের দুয়ারে আসি দয়া করে আপনাদের দুয়ারটাও দলমত নির্বিশেষে খোলা রাখবেন, সেটিই আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা।

    তিনি বলেন, আমার দলের নেতাকর্মীদের সবসময় বলি ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়, মাথা নিচু করে চলতে হয়, বিনয় মানুষকে মহান করে। আমি চেষ্ঠা করছি আপনাদের পাশে থাকার। সরকারের মন্ত্রী ও দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমি প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রামে ও রাঙ্গুনিয়ায় যাই।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, রাঙ্গুনিয়া একটি কৃষি প্রধান জনপদ। চাষাবাদে সুবিধার জন্য তিনটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। আমাদের প্রচুর কৃষি জমি আছে। আগে রাঙ্গুনিয়া থেকে কৃষি পণ্য শহরে আসত, এখনো আসে। তবে, এখন কিছু কিছু কৃষি পণ্য শহর থেকে রাঙ্গুনিয়া যাওয়া শুরু করেছে। প্রচুর কৃষি জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। রাঙ্গুনিয়ায় কৃষি জমি অনাবাদি পড়ে থাকার কারণ নেই।

    তিনি বলেন, অনেক ছেলে বিদেশে গেছে, সেখান থেকে টাকা পাঠায়, পরিবারে অন্যরা কাজ নাকরে জমিগুলো অনাবাদি ফেলে রেখেছে, এতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে। রাঙ্গুনিয়ার কোন কৃষি জমি যাতে অনাবাদি না থাকে সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। কালিন্দীরাণী সড়ক ও মরিয়মনগর ডিসি সড়ক প্রশস্তকরণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

    রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে এমন কোন স্কুল কলেজ ও আলিয়া মাদ্রাসা নেই নতুন ভবন হয়নি। এমন কোন বেসরকারি মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা নেই বরাদ্দ পায়নি। নতুনভাবে ২৮টি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। আগেও অনেকে রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত এমপি ও মন্ত্রী ছিল। তারা কতটুকু করতে পেরেছেন আপনারা জানেন।

    তিনি বলেন, আমি চেষ্ঠা করেছি রাঙ্গুনিয়ার মানুষের কল্যানে কাজ করার। কয়েক হাজার ছেলেমেয়ের চাকুরি হয়েছে। বিএনপি করে এমন পরিবারের চাকুরিও আমার হাত দিয়ে হয়েছে। ১৪ বছর আগে রাঙ্গুনিয়ার আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম মরিয়মনগর ডিসি সড়ক, পারুয়া ডিসি সড়ক ও কালিন্দীরাণী সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আজকে রাঙ্গুনিয়ার সমস্ত রাস্তাঘাট পিচ ঢালাই হয়ে গেছে। এভাবে রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি গ্রাম ও জনপদ বদলে গেছে। আপনারা যদি ভবিষ্যতেও সুযোগ দেন তাহলে মানুষের পাশে থাকার সেই চেষ্ঠা আমার সব সময় থাকবে।

    চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরস্থ এলজিইডি ভবনের কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী মিলনায়তনে রাঙ্গুনিয়া সমিতির আহবায়ক খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়েটের ভিসি ড. রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী, এলজিইডির তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী তফাজ্জল হোসেন, পরিবেশ অদিদপ্তরের পরিচালক হিন্দোল দাশ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা আরহাজ্ব জহির আহমদ চৌধুরী, সিডিএ’র বোর্ড সদস্য মুহাম্মদ আলী শাহ, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারন সম্পাদক মাষ্টার আসলাম খাঁন, আবুধাবী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল প্রমুখ।

  • কোন আলাপেই বিদেশি প্রতিনিধিরা তত্ত্বাবধায়ক কিংবা সরকারের পদত্যাগের কথা বলেননি : তথ্যমন্ত্রী

    কোন আলাপেই বিদেশি প্রতিনিধিরা তত্ত্বাবধায়ক কিংবা সরকারের পদত্যাগের কথা বলেননি : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আশা করেছিল বিদেশি প্রতিনিধিরা এসে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলবে, এটা কেউ বলেনি। কারো সাথে কোন আলাপে এই প্রসঙ্গটাই আসেনি। বিএনপির এক দফা হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার গঠন। এটি বাংলাদেশে যেমন হালে পানি পায়নি, বিদেশিদেরও কারো সমর্থন তারা পায়নি।

    তিনি বলেন, শুধু আলোচনায় এসেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। এমনকি সবার অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন, সেই কথাটাও আসেনি। অবশ্যই আমরা চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সবাইকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই। তবে সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ইউজি ক্যাম্পাসে কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল গত বুধবার পল্টনে সমাবেশ করে একদফা ও বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ দফা ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত পরশুদিন বিএনপি ঘোষণা করেছিল ১ দফা, পরের দিন দেখলাম ৩১ দফা, আসলে বিএনপির কয় দফা এটা নিয়েই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে। বিএনপির যে এক দফা, এটাও ওনারা কিছুদিন পরপর, বছরান্তেই একদফা আন্দোলন বলে। ২০১৩ সাল থেকেই একদফার আন্দোলন শুনে আসছি। এটি হচ্ছে সাপের খোলস বদলানো এবং একই ঢোল বারবার বাজানোর মতো। সাপ যেমন ক’দিন পরপর খোলস বদলায়, বিএনপিও সাপের খোলস বদলানোর মতো বছরান্তে একদফার কথা বলে, এতে নতুনত্বের কিছু নেই।

    তিনি বলেন, নতুনত্ব যেটি আছে, সেটি হচ্ছে তারা উম্মুখ হয়ে বসেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যখন আসবে তখন তারা তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিদেশিদের দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল তারা কত বড় সমাবেশ করতে পারে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, নয়াপল্টনের সামনে পুরো রাস্তাজুড়ে বড়জোড় ৩০ হাজার মানুষ ধরে। সেখানে না হয় আরো ১০ হাজার আমি যোগ করলাম। এর চেয়ে তো বেশি মানুষ হয়নি সেখানে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১২ ঘণ্টার নোটিশে তিনটা রাস্তাজুড়ে আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ করেছি। সবাই দেখেছে কতবড় সমাবেশ আওয়ামী লীগ করার ক্ষমতা রাখে।

    সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নিবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সংলাপ নিশ্চয়ই নির্বাচন কমিশনের সাথে হতে পারে। সুতরাং নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যদি কোন কথাবার্তা বলতে হয় সেটি নির্বাচন কমিশনের সাথে বলতে হবে। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে পারে, তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে আমরাও যাব।
    এর আগে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অন্যান্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সাথে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের কিছুটা তফাৎ রয়েছে। কারণ এখানে অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে এবং এর ফলে এখানে বৈচিত্র্য রয়েছে। এখানে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ আরো অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে এবং এখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সর্ম্পূণ ফ্রি পড়ার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয়। এই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে, চারবছর পড়াশোনার পর কোর্স সমাপ্ত করে একজন শিক্ষার্থীর ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। আপনারাই এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে এই পরিবর্তন সৃষ্টি করেন।

    ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রাম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আশা প্রকাশ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আছি। বিশে^র প্রথম শিল্প বিপ্লব ছিল স্টিম ইঞ্জিন আবিস্কার। এর একশ বছর পরে ভারতবর্ষে রেল চালু হয়। দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন। তৃতীয় শিল্প বিপ্লব ছিল কম্পিউটার আবিষ্কার। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব হচ্ছে আইসিটি বা রোবটিক জগতে প্রবেশ।

    তিনি বলেন, আমরা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান নির্বাচনের ইশতেহার হিসেবে উত্থাপন করেছি। ভারত ও যুক্তরাজ্য করেছে ২০১১ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৮কোটি মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহার হয়, যদিও আমাদের জনসংখ্যা আরও কম। কিন্তু একজন একাধিক সিম ব্যবহারের কারণে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে কেউ পরিবারে টাকা পাঠাতে চাইলে তা এক ঘণ্টার মধ্যে সম্ভব। কুতুবদিয়া, মহেশখালি কিংবা শাহপরীর দ্বীপের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন শিক্ষার্থীও ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস করতে পারে। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আপনারা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত করে তুলছেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশে^র বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাও এই ভার্সিটিতে তৈরি হয়ে উঠছেন। এখন আপনারা বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করতে পারেন, যা শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই বিশ^বিদ্যালের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে।

    এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের প্রতিষ্ঠতা ড. কামাল এখানে আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল স্কুল ও হাসপাতাল গড়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এজন্য আপনাদের আরও কিছু জায়গার প্রয়োজন। আমি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি, আপনারাও আপনাদের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল স্কুল ও হাসপাতাল গড়ে উঠলে এখানে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের রোগীরাও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা পাবে।

    অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য ডেভিড টেলর, কম্পিউটার সায়েন্স ব্রিজ প্রোগাম-এর পরিচালক অধ্যক্ষ শাম্স ফররুখ আহমেদ ও অনলাইনে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. রুবানা হক ও প্রফেসর শাহাদাত হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

    অনুষ্ঠানশেষে কোর্সের শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

  • বিএনপির এক দফা বেলুনের মতো ফুটে যাবে: হাছান মাহমুদ

    বিএনপির এক দফা বেলুনের মতো ফুটে যাবে: হাছান মাহমুদ

    বিএনপির এক দফা বেলুনের মতো ফুটে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    বুধবার (১২ জুলাই) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

    ড. হাছান বলেন, তারা বার বার এক দফা দেয়। ১৩, ১৪, ১৯ এবং ২২ সালের ডিসেম্বরে এক দফা দিয়েছে। তাদের এক দফা বেলুনের মতো ফুটে যায়। এক দফার আন্দোলন মাঠে মারা গিয়েছিল। এবারও তাদের এক দফা ফুটে যাবে।

    তিনি বলেন, বিএনপির অবস্থা হয়েছে সাপের মতো। সাপ যেমন বার বার খোলস পাল্টায়, বিএনপিও বার বার খোলস পাল্টায়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি পাগলা কুকুরের মতো হয়ে গেছে। তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গেও বৈঠক করে। কোনো সন্ত্রাসী, নৈরাজ্যকারী ও ইসরায়েলের এজেন্টদের আমরা ক্ষমতায় আসতো দেবো না।

    সমাবেশের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপসহ শীর্ষ নেতারা।

  • ‘গুজব ছড়ানো নিয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে’

    ‘গুজব ছড়ানো নিয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে’

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে গুজব ছড়ানো হয় সেটি আমাদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এর মাধ্যমে দেশে বিভিন্ন সময় হানাহানি সৃষ্টি হয়েছে। গুজব ছড়ানো এ সমস্ত ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

    বুধবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইইউয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

    ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলগুলোর ব্যাপারে ইউরোপে আইন সংশোধন করা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধি দল বলেছে যে, ইউরোপে প্রতিটি সামাজিক মাধ্যমকে নিবন্ধিত হতে হবে। যেটি আমরা অনেকদিন ধরে বলে এসেছি। ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবসহ সব সামাজিক মাধ্যমকে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলে এসেছি, বাংলাদেশের আইন অনুসারে এখানে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য। কিন্তু তারা এখনো নিবন্ধিত হয়নি। ইইউ একটি ফ্রেমওয়ার্ক ল’ তৈরি করেছে। সব সামাজিক মাধ্যমকে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে। আইন অনুসারে তারা এটি করতে বাধ্য।

    তিনি জানান, যে বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে তা হলো— সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোর দায়িত্বশীলতা আছে।

    মন্ত্রী বলেন, যখন কোনো গুজব ছড়ানো হয় বা বিতর্কিত পোস্ট দেওয়া হয়, সেটি যখন আমরা সরিয়ে ফেলতে বলি তখন তা সরানো হয়। যদিও বা তারা সেটি সরায়, সেটা মাত্র ১০ শতাংশ। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে তারা সরিয়ে ফেলে না। সেসব জিনিস যখন সরানো হয় তখন ইতোমধ্যে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়। কারণ গুজব তো কয়েক ঘণ্টায় ছড়ায়। এতে সামাজিকভাবে হানাহানি তৈরি হয়। আমাদের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করেছি।

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না; প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বিএনপি ছাড়া এ নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান সম্প্রচারমন্ত্রী।

  • ‘যারা লম্বা লম্বা কথা বলে তারাই অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা’

    ‘যারা লম্বা লম্বা কথা বলে তারাই অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা’

    বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আজ লম্বা লম্বা কথা বলে, বিকেল বেলা সমাবেশ করবে তারা সবাই আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা ও নির্মমতার জন্য দায়ী।

    বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, নৈরাজ্য ও মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় সন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ ও ১৯৭৭ সালে সামরিক জান্তার হাতে নির্যাতিতদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, যারা জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছিল তাদের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, বোমা হামলা করা হয়েছিল। এই নির্মমতার জন্য দায়ী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ আজ যারা লম্বা লম্বা বড় বড় কথা বলে, আজ যারা বিকেল বেলা সমাবেশ করবে তারা সবাই হুকুমদাতা ও নির্মমতার জন্য দায়ী।

    তিনি বলেন, আজ আমার বামপাশে জিয়াউর রহমানের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন আর ডানপাশে বিএনপি নেতাদের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন। আজ তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ তাদের বিচার হবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলে, যারা মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, বাংলাদেশকে যারা আহ্বান জানায় তাদের বলব– এসে দেখে যান, এদের বক্তব্য শুনুন, তাদের আর্তনাদ শুনুন। আগে এদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তাহলেই সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।

    মানববন্ধনে অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা হামলা ও নৈরাজ্যের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা, ঢাবি নীল দলের আহ্বায়ক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার।

  • বিএনপি কর্মসূচি করে বিদেশিদের দেখাতে চায় : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি কর্মসূচি করে বিদেশিদের দেখাতে চায় : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তাদের কর্মসূচিগুলো জনগণকে দেখাতে চায় না, বিদেশিদের দেখাতে চায়। বিদেশিরা তাদের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান, তাই তাদের একটু শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে। যা একটি রাজনৈতিক দলের দেউলিয়াত্বকে প্রকাশ করে।

    মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

    বুধবার (১২ জুলাই) বিএনপির এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। রাজধানীতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে কি না– জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নতুন করে এই এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা, এটা যে খুব বেশি গুরুত্ব বহন করে তা কিন্তু নয়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। আমরা অতীতেও দেখেছি, বিএনপি যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় এবং জনজীবনে ভোগান্তি ঘটায়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারই মূল উদ্দেশ্য। সেই সুযোগ আমরা দেব না। আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, আমরাও রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকব, জনগণের পাশে থাকব।

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল যখন দেশে অবস্থান করছে, তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসার কথাও রয়েছে, তার আগে এরকম একটি আন্দোলনকে আপনি কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল এখন দেশে অবস্থান করছে। এসময়ে তাদের এ ধরনের কর্মসূচির দেওয়ার অর্থই হচ্ছে তারা আসলে এ কর্মসূচিগুলো জনগণকে দেখাতে চায় না, বিদেশিদের দেখাতে চায়। বিদেশিরা তাদের শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান, তাই তাদেরকে একটু শক্তি দেখানোর চেষ্টা করছে। আসলে বিদেশিদের কাছে শক্তি প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের (বিএনপি) যদি কোনো অভিযোগ, অনুযোগ থাকে সেটি জনগণের কাছে বলতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, তাদের সমস্ত কর্মসূচির সব কথাবার্তা বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা প্রসূত। যা একটি রাজনৈতিক দলে দেউলিয়াত্বকে প্রকাশ করে।

    আরপিও সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন যখন সন্তোষ প্রকাশ করে (আরপিও নিয়ে) তখন আমি সেটির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করি অবশ্যই। আর নির্বাচন কমিশনই বলছে, আরপিও সংশোধন যেভাবে হওয়ার কথা এবং সংসদে যেভাবে পাস হয়েছে সেটা নিয়ে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরাও তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। আমরা প্রত্যাশা করি, নির্বাচন কমিশন যে শক্তিশালী অবস্থানে আছে, সে শক্তিশালী অবস্থানে থেকে তারা আগামী নির্বাচনকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে পারবে।

    আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য, সেই গণতন্ত্র আজকে হারিয়ে গেছে, আমরা রাজা-রানির রাজ্যে বাস করতে চাই না– মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কখন মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, আমি সে প্রশ্ন রাখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি বাবাসহ কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন। উনি তো মুক্তিযুদ্ধ করেননি। কয়েক দিন আগে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, পাকিস্তানই ভালো ছিল। যে দলের মহাসচিব বলে পাকিস্তানই ভালো ছিল, সেই দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ তার দল তাকে শোকজ করেনি বা পদ থেকে বাদ দেয়নি। অর্থাৎ মির্জা ফখরুলরা বাংলাদেশকে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। তিনি রাজা-রানি বলতে কি খালেদা জিয়াকে বুঝিয়েছেন কি না সেটি হচ্ছে প্রশ্ন।

  • গণতন্ত্র ও সুখী সূচকে অগ্রগতি দেশে সুশাসন ও গণতন্ত্র সংহত হওয়ার প্রমাণ : তথ্যমন্ত্রী

    গণতন্ত্র ও সুখী সূচকে অগ্রগতি দেশে সুশাসন ও গণতন্ত্র সংহত হওয়ার প্রমাণ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এবং সুখী দেশের সূচকে আমাদের সাত ধাপ অগ্রগতি প্রমাণ করে যে দেশে গণতন্ত্র সংহত হয়েছে, সুশাসন রয়েছে।  

    আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অসুস্থ, অসচ্ছল এবং দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ করেন। তথ্য  ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

    সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ধারণাটি জননেত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। তিনিই প্রথম জাতীয় প্রেসক্লাবে ঘোষণা দেন যে মাঝে মধ্যে সহায়তা দেয়ার চেয়ে একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো উত্তম। তার সেই চিন্তা থেকেই প্রথমে কল্যাণ তহবিল গঠন ও তারপর সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠিত হয়। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজকে সত্যিকার অর্থে দেশে যেসব সাংবাদিক কষ্টে থাকেন, দুর্ঘটনায় পড়ে আহত অথবা নিহত হন, তাদের ও পরিবারের জন্য একটি ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

    বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও’র যাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই শুরু হয়েছে উল্লেখ করে  হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালে ছিলো ১০টি টেলিভিশন, এখন ৩৫টি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে। আরো ৭-৮টি সম্প্রচারের অপেক্ষায়। ৪শ’ দৈনিক পত্রিকা ছিলো ২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি। এখন সাড়ে ১২শ’ দৈনিক পত্রিকা। সম্প্রচার হচ্ছে বেসরকারি এফএম ও কমিউনিটি রেডিও, প্রকাশিত হয় হাজার হাজার অনলাইন পত্রিকা। গণমাধ্যমের এই যুগান্তকারী বিকাশ জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গণমাধ্যমবান্ধব নীতির কারণেই সম্ভব হয়েছে।’

    গণমাধ্যমের এই বিকাশের সাথে সাথে গণতন্ত্রের বিকাশও ঘটেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন যে, প্রতিনিয়ত সকাল-বিকাল-সন্ধ্যাবেলায় বিরোধী দল বিশেষ করে মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের নেতারা বলেন- আমাদের কথা বলার অধিকার নাই। তারা তিনবেলা কথা বলেন আর বলেন- আমাদের কথা বলার অধিকার নাই। তাদের এই হাঁকডাক এবং ‘গণতন্ত্র হুমকির সম্মুখীন’ মন্তব্যের মধ্যেই বাংলাদেশ গত বছর গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে ৭৫তম থেকে ৭৩তম স্থানে উন্নীত হয়েছে।”

    আর সুখী দেশ সূচকে আমরা ৭ ধাপ এগিয়েছি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সুখী সূচকে ভারত, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে আমাদের অবস্থান এখন ৯৪তম। ভারতের অবস্থান ১৩৬তম, পাকিস্তানের ১২১তম, শ্রীলংকার অবস্থান ১২৭তম। এটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুশাসনের প্রমাণ, গণতন্ত্রের অভিযাত্রার প্রমাণ।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে গণমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে, প্রয়োজন দায়িত্বশীলতার। আধুনিক গণতন্ত্রের সূতিকাগার যুক্তরাজ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন আছে, গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতাও আছে। সেখানে একটি অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে ১৩০ বছর চলার পর বিশ্বখ্যাত পত্রিকা ‘নিউজ অভ দ্যা ওয়ার্ল্ড’ বন্ধ হয়ে যায়।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের একজন এমপির বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে বিবিসির পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ক’দিন আগে বিবিসির মহাপরিচালককে পদত্যাগ করতে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে টেলিভিশন এবং পত্রিকায় অসত্য বা ভুল সংবাদ বা কারো ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশের কারণে সেই গণমাধ্যমকে মোটা অংকের জরিমানা দিতে হয়। আমাদের দেশে ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে কোনো পত্রিকা বন্ধ হয়নি, কোনো টেলিভিশনের পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়নি।’

    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যমের কাছে আমার একটি বিনীত নিবেদন- স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতার দিকেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তাহলেই গণমাধ্যম গণতন্ত্র সংহত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশ পৌঁছাবে।’

  • ভুটানের রাজাকে বিমানবন্দরে তথ্যমন্ত্রী’র অভ্যর্থনা

    ভুটানের রাজাকে বিমানবন্দরে তথ্যমন্ত্রী’র অভ্যর্থনা

    ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক রোববার (৯ জুলাই) ঢাকায় সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ সময় তাকে বাংলাদেশের পক্ষে অভ্যর্থনা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    ভুটানের রাজধানী থিম্পু থেকে ব্যাংককের পথে ঢাকায় এ বিরতিতে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থানকালে রাজা ওয়াংচুক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেন।

  • আগে আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য, এখন দাবী তুলে মাছ-মাংসের দাম কমাতে : তথ্যমন্ত্রী

    আগে আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য, এখন দাবী তুলে মাছ-মাংসের দাম কমাতে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘দেশ এখন বদলে গেছে, মানুষের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। আগে মানুষ আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য। আর এখন মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হওয়ায় এখন মাছ-মাংসের দাম কমানোর জন্য দাবী তুলে।

    তিনি বলেন, তৃণমুলের নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। গ্রামে গঞ্জে মহল্লায় আমাদের দলকে এই নেতারাই ধরে রেখেছেন। তাই নিজেরাই নিজেদের সমালোচনা না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।

    শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এম শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত চার ইউনিয়নের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবার কাছে বলতে হবে। যারা ভোট আসলে লাফালাফি করে, লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে গিয়ে খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেই, তারা যে সড়ক কিংবা ব্রীজের উপর দিয়ে যায় সেটিও আওয়ামী লীগের করা। করোনাসহ কোন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাদের পাওয়া যায়নি, তাদের বয়কট করে আগামীতেও সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

    তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে সরকারের অভুতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের কারণে। তৃণমূলের নেতারাও সরকারের এসব উন্নয়নের দাবীদার। আমাদের দলের নাম বিক্রি করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের প্রকাশ্যে শায়েস্তা করতে হবে।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চেয়ারম্যান আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং এমরুল করিম রাশেদ ও মাহমুদুল হাসান বাদশার যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, আকতার হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, নিজাম উদ্দিন বাদশা, এম এ মান্নান চৌধুরী, শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রউফ মাস্টার, আহসান হাবীব প্রমুখ।

  • বিশ্বচোর বিএনপি যখন দূর্নীতির অভিযোগ করেন তখন শুধু মানুষ নয় হনুমানও ভেংচি কাটে : তথ্যমন্ত্রী

    বিশ্বচোর বিএনপি যখন দূর্নীতির অভিযোগ করেন তখন শুধু মানুষ নয় হনুমানও ভেংচি কাটে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির ও টাকা পাচারের কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের শাস্তি হয়েছে। লুটের টাকা বিদেশে পাচার করার কারণে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আমেরিকার এফবিআই এসে বাংলাদেশে স্বাক্ষ্য দিয়ে গেছে। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিএনপি বিশ্ব চোরের উপাধি অর্জন করেছিল। সেই বিশ^চোর বিএনপি যখন দূর্নীতির অভিযোগ করেন তখন শুধু মানুষ নয় গাধাও হাসেন, হনুমানও ভেংচি কাটে।

    তিনি বলেন, আজকে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের বিরুদ্ধে একগাধা দূর্নীতির অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যারা নিজেদের দুর্নীতির কারণে পর পর বাংলাদেশকে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করেছিল তারা কারা ? তারা হচ্ছে বিএনপি।

    মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত ২১দিন ব্যাপী অমর একুশে বই মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাপনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা এমপি, বক্তব্য রাখেন অমার একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বই পোড়ানো যেমন অপরাধ, বই না পড়াও অপরাধ। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই প্রদান প্রথা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চালু করেছেন। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রতিবছর ৩৫ কোটির বেশি বই বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল আর কোন দেশে এমন ব্যবস্থা চালু নেই। যেটি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সরকার চালু করেছে।

    তিনি বলেন, অন্যদিকে আপনাদের মনে আছে ২০১৪ সালে সেই নতুন বই সংরক্ষিত ছিল স্কুল ঘরে। সেই বইয়ের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। পাঁচশ স্কুল ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। নির্বাচন প্রতিহতের নামে এই কাজটি করেছে বিএনপি এবং তার নেতৃত্বাধীন জোট। শিক্ষার্থীদের বই নয় শুধু তাদের ভবিষ্যৎ পুড়িয়ে দিয়েছে। সেই পোড়া বই বুকে জড়িয়ে ধরে শিক্ষার্থীরা আহাজারি করেছে। রাজনীতির নামে বই পোড়ানো এমন ঘটনা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে ঘটেছে কিনা সন্দেহ!

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এমন সময় ছিল প্রতিবছর শিক্ষাবর্ষ যখন শুরু হতো তখন দরিদ্র ঘরের অভিভাবকরা অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের কাছে ধর্ণা দিত তার ছেলের পুরনো বইগুলো সংগ্রহ করার জন্য, এটিই ছিল নিয়মিত ঘটনা। সেই ঘটনা এখনো পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আছে। কিন্তু আমাদের দেশে জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে নতুন বই প্রদান প্রথা চালু করেছেন। বাংলাদেশের মতো জনবহুল আর কোন দেশে এমন ব্যবস্থা চালু নেই।

    দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুলের বক্তব্যের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ পৃথিবীর দিকে চোখ মেলে তাকানোর জন্য আর চোখ মেলে নিজেদের চেহারা একটু আয়নায় দেখতে বিএনপি নেতাদেও অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কিভাবে তাদের সময়ে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনা মহামারির কারণে আজকে সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমাদের দেশের মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বই মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বই পড়া ছাড়া মানুষের জীবন কখনো সমৃদ্ধ হয়না। যারা পৃথিবী বদলে দিয়েছে মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে, সাহিত্য বদলে দিয়েছে, পৃথিবীর মানচিত্র বদলে দিয়েছে তারা সবাই বই পড়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আগে পাড়ায় পাড়ায় লাইব্রেরী ছিল, মানুষ গো গ্রাসে বাই পড়তো। এখন তরুন ও কিশোরদের মধ্যে সেই অভ্যাস নাই।

    তিনি বলেন, বই পড়ার অভ্যাসটা কেড়ে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোবাইল ফোনের আসক্তি। এটা বড় যন্ত্রনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যাই ছাত্রছাত্রীরা বই পড়ার চেয়েও মোবাইল ফোনের আসক্তিতেই মগ্ন। এখান থেকে আমাদের কিশোর তরুনদের রক্ষা করতে হবে। বই পড়ার ওপর জোড় দিতে হবে। না হয় আমরা ভবিষ্যতে এমন একটি প্রজন্ম পাব, যেই প্রজন্ম হয়তো প্রযুক্তিতে অনেক সমৃদ্ধ হবে জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবেনা। প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হওয়া আর জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবার মাঝে পার্থক্য আছে। সেজন্য বইমেলার আয়োজন এবং মানুষের পাঠ অভ্যাস পুনরুদ্ধার করা এটি অত্যন্ত প্রয়োজন।

  • বিএনপি সমাবেশের জন্য চাঁদাবাজি করছে: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি সমাবেশের জন্য চাঁদাবাজি করছে: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি সমাবেশের নামে আসলে বড় পিকনিক করছে বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি সে জন্য চাঁদাবাজি করছে।

    তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির সমাবেশগুলো আসলে বড় পিকনিক। সিলেটের সমাবেশে তারা তিনদিন আগে গেছে, হোটেলে খাওয়া দাওয়া, তাস খেলা আবার মাঠের মধ্যে তাবু টানিয়ে রান্নাবান্না করে খেয়েছে- এটা একটা বড় পিকনিক। শীতের সময় আমরা যেমন পিকনিকে যেতাম, বিএনপির নেতাকর্মীরাও শুধু সিলেট অঞ্চল থেকে নয়, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, ঢাকা থেকেও গেছে এবং সেখানে গিয়ে সমাবেশের নামে বড় পিকনিক করেছে। এবং এগুলোর জন্য সারাদেশে চাঁদাবাজি করছে। অনেক ব্যবসায়ী আমাদেরকে অভিযোগ দিয়েছেন- বিএনপি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে বা করার চেষ্টা করছে।’

    সাংবাদিকতার নামে কারো রাজনীতি করা উচিত নয় উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘গতকাল সিলেটে বিএনপির এবং ঢাকার গাজীপুরে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ হয়েছে এবং উপস্থিতির বিচারে দু’টি সমাবেশেই সমপরিমাণ লোক সমাগম হয়েছে বরং গাজীপুরের সমাবেশে কারো কারো মতে বিএনপির সিলেটের সমাবেশের চেয়ে বেশি মানুষ হয়েছে, যদিওবা সেটি কোনো বিভাগীয় বা জেলা সমাবেশ নয়, সেটি ছিল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। কিন্তু কোনো কোনো কাগজে, অনলাইনে দেখলাম যে গাজীপুরের সমাবেশের ছবিটা দিয়েছে মঞ্চের এবং দর্শকের একটা অংশ মাত্র। আর বিএনপির সমাবেশের ছবিটা দূর থেকে নিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে মনে হয় অনেক লোক হয়েছে। অবশ্যই বিএনপির সমাবেশ হবে সেটি পত্রপত্রিকায় প্রচার পাবে। কিন্তু এ ধরণের উপস্থাপনা সমীচীন কি না আপনাদের কাছে প্রশ্ন।’
    এ ক্ষেত্রে বিএনপির প্রভাব বা অর্থায়ন আছে কি না -এ প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীদলের কোনো ইনভেস্টমেন্ট আছে কি না, কিম্বা বিরোধীদল যে জঙ্গিদের সাথে সম্পৃক্ত, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিরোধী দলের হয়ে সেই জঙ্গিদের কোনো অর্থায়ন আছে কি না সেটি একটি বড় প্রশ্ন। তবে আমি আশা করবো যে, শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এ ধরণের অপসাংবাদিকতা করা উচিত নয় বা সাংবাদিকতার নামে রাজনীতি করা সমীচীন নয়। অনেক সময় দেখা যায় সাংবাদিকরা হাউজে যে রিপোর্ট, যে ছবি দিয়েছেন সেটি এডিটিং প্যানেলে গিয়ে পরিবর্তন হয়ে যায়। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’

    ১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে সমাবেশের অনুমতি না দেয়া হলে বিএনপি সারা ঢাকা শহরে সমাবেশ করবে -এ মন্তব্যের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে ধরণের গণসমাবেশ করতে চায় সে জন্য উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে পূর্বাচল। এছাড়া মিরপুর ও বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়েও জায়গা আছে, সেগুলোও অনেকে বলছে। বিএনপি যে সভা সমাবেশ করছে, সরকার তাদেরকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছে। গতকাল সিলেট শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ ছিলো, যাতে তারা নির্বিঘ্নে সভা সমাবেশ করতে পারে। আর আমরা যখন সভা সমাবেশ করতাম, তখন পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিপেটা করতো, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতো আর বিএনপি আমাদের সমাবেশে বোমা ছুঁড়তো। এটিই হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।’

    বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না নিয়ন্ত্রণ করি না করাও হবে না। কিন্তু সমাবেশের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা করে তাহলে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের স্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। আমরা অতীতেও দেখেছি বিএনপি সমাবেশের নামে নানা জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বাস ট্রাক পুড়িয়েছে মানুষ পুড়িয়েছে। আর ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। বিজয়ের মাসে ১০ ডিসেম্বর যদি পাকিস্তানপন্থী বিএনপির লোকজন, মির্জা ফখরুলরা ঢাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় জনগণ তাদেরকে পাকিস্তানিদের মতোই আত্মসমর্পণ করাবে।’

    ২৪ঘণ্টা/এনআর