Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • পালানোর ইতিহাস বিএনপির : তথ্যমন্ত্রী

    পালানোর ইতিহাস বিএনপির : তথ্যমন্ত্রী

    ‌‘আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাবে’ বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পালানোর ইতিহাস তো বিএনপির। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া আর রাজনীতি করবেন না এই মুচলেকা দিয়ে বিদেশ চলে গেছেন। এবং তার সঙ্গে আরও অনেকেই পালিয়ে গেছেন।

    শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সংসদের (বাচসাস) নতুন কমিটির অভিষেক ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    হাছান মাহমুদ বলেন, আজ শুধু সরকারে নয়, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ দেশের সব পেশার মানুষের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আগের তুলনায় অনেক গভীরে প্রোথিত হয়েছে। সেকারণেই বিএনপির গাত্রদাহ, কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। যে দলের মহাসচিব বলে পাকিস্তান আমলই ভালো ছিল, তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে তা সহজেই অনুমেয়। তারা আসলে পাকিস্তানের পক্ষে।

    বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার ও জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করা থেকে বিএনপি যদি বিরত থাকে তাহলে তাদের সভা-সমাবেশ নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। সরকার এক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা করছে এবং সেই কারণেই তারা সমাবেশ করতে পারছে।

    ‘আর আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে হামলা করা হয়েছিল, ২৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বিরোধী দল থাকাকালে আওয়ামী লীগ অফিসের দুপাশে কাঁটা তারের স্থায়ী বেড়া ছিল, তার বাইরে আমাদের যেতে দেওয়া হতো না। তখন শেখ হেলাল এমপিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার জনসভায় হামলা করে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল। সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের জনসভায় হামলা করা হয়েছিল, এস এম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারের জনসভায় হামলা করে তাদের হত্যা করা হয়েছিল। এভাবে আমরা বিরোধী দলে থাকতে আমাদের শতশত নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির সমাবেশে তো বোমা বা গ্রেনেড দূরে থাক, একটি পটকাও তো ফোটে নি।

    এর আগে বক্তৃতায় বাচসাসের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে তারা তাদের লেখনী ও চিত্রের মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।

    ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ। বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রায় ২০০ সিনেমা হল আবার চালু হয়েছে শুনে তিনি অত্যন্ত উৎসাহিত হয়েছেন এবং আমাকে বলেছেন সবাইকে আরও সিনেমা হল নির্মাণের জন্য বলতে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ ও পুরোনো হল সংস্কারের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিল গঠিত হয়েছে। কেউ যদি মার্কেটে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করতে চায় তাহলে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে। ব্যাংকগুলোকেও আমরা ঋণ দিতে উদ্বুদ্ধ করব।

    আমাদের সিনেমা শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, খুব সহসাই বিশ্ব অঙ্গনে আরও ভালো জায়গা করে নেবে, আশাপ্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী পাভেল রহমান, চিত্রনায়ক ওমর সানী ও বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

    এ দিন বাচসাস সম্মাননা-২০২২ এ ভূষিত হন সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রাবেয়া খাতুন (মরণোত্তর), সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক (মরণোত্তর), একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার (মরণোত্তর), বরেণ্য সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী (মরণোত্তর), সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক জাগরণে অনবদ্য অবদানের জন্য লিয়াকত আলী লাকী, সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানে আনিসুল হক, নাটক ও চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানে মাসুম রেজা, একুশে পদকপ্রাপ্ত ফটো সাংবাদিক ও বাচসাস সদস্য পাভেল রহমান, চলচ্চিত্র শিল্প ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের জন্য চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

    এছাড়া টিভি সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য মোজাম্মেল বাবু, চলচ্চিত্র প্রযোজনায় বিশেষ অবদানে হাবিবুর রহমান খান, হাসিনা: এ ডটার’স টেল চলচ্চিত্রের জন্য পিপলু আর খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, বরেণ্য সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান, চারুশিল্পী, অভিনয় ও নির্দেশনায় আফজাল হোসেন, চলচ্চিত্র শিল্পে অবদান রাখার জন্য চিত্রনায়ক শাকিব খান ও সংগীতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী কোনাল ও ইমরান মাহমুদুল।

    ২৪ঘণ্টা/এনএম

  • বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩১তম অর্থনীতির দেশঃ তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩১তম অর্থনীতির দেশঃ তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আমলের চেয়ে ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে রিজার্ভ এখন প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

    তিনি বলেন, ‘ বিএনপি আমলের শেষে ২০০৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিলো সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও কম, যা শেখ হাসিনার আমলে ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি বা পিপিপি ভিত্তিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩১তম অর্থনীতির দেশ।

    তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ ও সদস্য লেখক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।

    ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন

    মন্ত্রী বলেন, করোনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে এখন বিশ্বের প্রায় সব দেশই রিজার্ভের সঞ্চয় ভেঙ্গে চলছে। একটি দেশে ৩ মাসের আমাদানি ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকাই যথেষ্ট, সেখানে আমাদের ৫ মাসের রিজার্ভ রয়েছে। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই।

    ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে অথচ বিএনপি যখন ২০০৬ সালে ক্ষমতা ছাড়ে তখন রিজার্ভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের কম, ৩.৪৬ বিলিয়ন ডলার। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন রিজার্ভ ছিল ৬.১ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটিকে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছেন এবং তখন করোনার কারণে আমদানি বন্ধ ছিলো। এখন করোনা যখন একটু কমেছে, বিনিয়োগ শুরু হয়েছে, আমদানি বেড়েছে, সে কারণে রিজার্ভ কিছুটা কমে ৩৬.৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কমলেও যেখানে দেশে ৩ মাসের আমাদানি ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকাই যথেষ্ট, সেখানে আমাদের ৫ মাসের রিজার্ভ রয়েছে।’

    পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি দেশ এখন সঞ্চয় ভেঙ্গে খাচ্ছে অর্থাৎ রিজার্ভ থেকে খরচ করছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পৃথিবীর পঞ্চম অর্থনীতি ভারতে রিজার্ভের পরিমাণ গত দুই বছরের মধ্যে এখন সর্বনিম্ন। পাকিস্তান রিজার্ভ ভেঙ্গে খাচ্ছে। মাত্র ৫ লাখ মানুষের দেশ যে ভুটানের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বলে আমরা জানতাম, সেই ভুটান এবং এমন কি যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রিজার্ভ ভেঙ্গে খাচ্ছে। যে যুক্তরাষ্ট্র রিজার্ভ জ্বালানি কখনো ব্যবহার করে না, সবসময় আমদানির জ্বালানি ব্যবহার করে, জ্বালানি কেনার পয়সা যথেষ্ট না থাকার কারণে সেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের রিজার্ভ জ্বালানি খরচ করছে। ‘দিজ আর ডকুমেন্টেড এন্ড পাবলিশড এভরিহোয়ার’, ইন্টারনেটে খুঁজলে আপনারাও এ তথ্যগুলো পাবেন। সুতরাং এই বিশ্ব প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, তাতে অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি।’

    মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি তুরস্ক থেকে পরশুদিন এসেছি, সেখানে ৮০% মূল্যস্ফীতি, পাকিস্তানে ৩০% মূল্যস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্রে ১০% এর বেশি, যুক্তরাজ্যে খাদ্যের ক্ষেত্রে প্রায় ২০% মূল্যস্ফীতি, আমাদের দেশে সেই পরিস্থিতি হয়নি, কয়েক মাস আগের তুলনায় একটু বেড়েছে। যেভাবে অনেকে ‘হৈ হৈ রৈ রৈ’ রব তুলে এই বিশ্ব পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন আমি সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানাবো মানুষের সামনে বিশ্ব পরিস্থিতিটা উপস্থাপনের জন্য। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।’

    মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে কোনো সংকট তৈরি হলে, দেশে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাক তৈরি হলে একটি পক্ষ এই হবে, সেই হবে বলে মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের অপচেষ্টা চালায়। করোনার শুরুতে তারা বললো ‘লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা যাবে, রাস্তায় মানুষের লাশ পড়ে থাকবে’। স্রষ্টার কৃপায় একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। আবার যখন সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনার টিকা আনা হলো, তখন বিএনপির পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে গুজব রটানো হলো যে এই ভারতীয় টিকায় কাজ হবে না, এটি গ্রহণ করবেন না। এটি কি একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দল বলতে পারে! সেটির সমালোচনা তো দেখি নাই। পরে তারাই আবার কেউ গোপনে, কেউ প্রকাশ্যে টিকা নিলেন।

    যখন আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করলাম তখন তারা জনসম্মুখে বললেন, ‘এই সেতু জোড়াতালি দিয়ে হচ্ছে, এই সেতুতে কেউ উঠবেন না’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, তারা লজ্জায় এখনো সেতুতে ওঠেননি, না কি রাতের বেলায় গোপনে গেছেন সেটি খবর নিতে হবে। সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি দায়িত্বহীনতার, জনগণকে বিভ্রান্ত করা, গুজব রটনারও তো সমালোচনা হওয়া প্রয়োজন।

    ড. হাছান বলেন, যারা সাংবাদিক, যারা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন, যারা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করেন, সমাজের দর্পণকে সচল রাখার জন্য কাজ করেন, তাদের এই বিষয়গুলো জনগণের সামনে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। কারণ, আপনারা জাতির বিবেক হিসেবে কাজ করেন, সমাজকে সঠিক তথ্য দেন, সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করেন।

    এর আগে জুরিবোর্ড গঠন করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের জন্য ডিআরইউকে অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই উদ্যোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের লেখনী আরো উৎসাহিত হবে। আমাদের অনেক প্রথিতযশা সাহিত্যিক সাংবাদিক ছিলেন, অনেকেই জীবনের কোনো এক পর্যায়ে সাংবাদিকতা করেছেন। গল্প-উপন্যাস বিভাগে সাংবাদিক রাজীব নূর, কবিতা-ছড়া বিভাগে সাংবাদিক হাসান হাফিজ এবং প্রবন্ধ ও গবেষণা বিভাগে সাংবাদিক এম মামুন হোসেনের হাতে ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ৩৫জন সাংবাদিক লেখক সম্মাননা গ্রহণ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী সকাশে এনডিআই প্রতিনিধি দল : এদিন বিকেলে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) ফর ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্সের এশীয়-প্রশান্ত অঞ্চলের পরিচালক জেমি স্পাইকারম্যানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী হাছান এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সফররত এনডিআই প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন ও দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

     

  • তথ্যমন্ত্রী আবারও করোনায় আক্রান্ত

    তথ্যমন্ত্রী আবারও করোনায় আক্রান্ত

    আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    রোববার পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে স্বজনহারা মানুষদের মাঝে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ত্রাণ ও অর্থসহায়তা বিতরণ শেষে ঢাকা ফিরে পরদিন যথারীতি দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ অনুভব করেন মন্ত্রী। বিকেলে সচিবালয় ক্লিনিকের চিকিৎসকরা দেখেন তার শরীরে বেশ জ্বর। তাদের পরামর্শে আইইডিসিআরের (ইনস্টিটিউট অভ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ) মাধ্যমে টেস্ট করানো হয়। মঙ্গলবারের রিপোর্টে দেখা যায় তিনি কোভিড পজিটিভ।

    সপ্তাহের কর্মদিবসগুলোতে ঢাকা ও বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় দায়িত্ব পালন শেষে প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে চট্টগ্রামে নিজ নির্বাচনী এলাকা সফরকারী ড. হাছান আগেও দু’বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমবার বিএসএমএমইউতে ভর্তি অবস্থায়ই শেষ দিকে হাসপাতালেই নথিপত্র স্বাক্ষর করেছেন, পরেরবার বাসাতেই ছিলেন। এবারও মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে রয়েছেন মন্ত্রী। ড. হাছান মাহমুদ করোনাক্রান্ত হলেও তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ও সকলের দোয়া চেয়েছেন।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • জিএম কাদের-রিজভী শিক্ষিত হয়েও অশিক্ষিতের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন : তথ্যমন্ত্রী

    জিএম কাদের-রিজভী শিক্ষিত হয়েও অশিক্ষিতের মতো বক্তব্য দিচ্ছেন : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও বিএনপি’র রুহুল কবির রিজভী শিক্ষিত মানুষ বলে জানতাম। তারা শিক্ষিত হয়েও অশিক্ষিতের মত বক্তব্য দিচ্ছেন।

    তিনি বলেন, আমাদের বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে সুদের ব্যয় হচ্ছে জিডিপি’র মাত্র ২ শতাংশ। সরকারি ঋণ হচ্ছে জিডিপির ৩৬ শতাংশ। জিডিপির ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত সরকারি ঋণ নেয়া যায়। সেই জায়গায় আমাদের ঋণ আছে মাত্র ৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ কম আছে। আমাদের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির মাত্র ১৬ শতাংশ। জিডিপির ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ নিরাপদ। সে জায়গায় আমরা বৈদেশিক ঋণ নিয়েছি জিডিপির মাত্র ১৬ শতাংশ। এই অর্থনৈতিক ইনডেক্সগুলো যে সমস্ত রাজনীতিবিদরা পড়েন না, তাদের কি বলবো।

    শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হতে পারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বক্তব্য ও বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে গেছে বলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এর আগে স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলার ২৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা এক জিনিষ নয়। বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের একটি কিস্তি পরিশোধ করার ক্ষেত্রেও কখনো দেরি করেনি, সময়মতো ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরের দিকে। জিএম কাদের সাহেব শিক্ষিত মানুষ বলে জানতাম। তিনি কেন উদ্ভ্রান্ত এবং বিএনপির রিজভী’র মতো কথা বললেন, কিংবা অশিক্ষিত মুর্খের মত কথা বললেন সেটি আমার বোধগম্য নয়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, কদিন আগে কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান রিজিওনাল ক্যাপিটালিস্ট ব্লুমবার্গ ডাটা নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ইনডেক্স প্রকাশ করছে। সেখানে তালিকায় ২৫টি দেশের নাম দেয়া হয়েছে। সেই তালিকায় অনেক বড় বড় দেশ আছে। কিন্তু বাংলাদেশের নাম নাই। এই সংবাদগুলো কি এই সমস্ত রাজনীতিবিদরা পড়েন না ? না পড়েই তারা যে সমস্ত বক্তব্য রাখছেন, এগুলো তো গুজব রটানোর সামিল। আমি আশা করবো, শিক্ষিত মানুষগুলো যেন অশিক্ষিতের মতো কথা না বলেন।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সেই কারণেই ব্লুমবার্গের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম যে ডাটা সংগ্রহ করেছে সেখানে অনেক বড় বড় দেশ পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকা, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, তুরস্ক, মেক্সিকো, মরক্কোসহ বহু দেশের নাম থাকা সত্ত্বেও সেখানে বাংলাদেশের নাম নাই। আমাদের রাজনীতিবিদ যারা এই নিয়ে কথা বলছেন, তাদেরকে বলবো একটু পড়াশোনা করার জন্য।

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা তো আদালতের রায় মানে না জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আইজীবীরাই তো আদালতে প্রধান বিচারপতির দড়জায় লাথি মেরেছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রধান বিচারালয়ে তারা লাথি মেরেছিল। তারা তো আইন-আদালত কোনটায় মানে না, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে বিধায় আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্যকে আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে জেলে যেতে হয়, আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার হয়। বিএনপি আইন আদালত মানে না, সেজন্য তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়, আদালতের সাথে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আদালত কর্তৃক শাস্তি পাওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেজন্য মির্জা ফখরুলের উচিৎ বিবৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো।

    নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপি যাবে না – বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বিএনপি তো নির্বাচনকেই ভয় পায়। নির্বাচনকে যেহেতু ভয় পায়, সেজন্য নির্বাচন কমিশন সংলাপে যাবে না বলে খবর বেরিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। আশা করবো, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, তারা ইসি সংলাপে যাবে। সেখানে গিয়ে তাদের ওজর-আপত্তি থাকলে সেটা জানিয়ে আসবে।

    বিএনপির রিজভী সাহেবের বক্তব্যের জবাব দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না জানিয়ে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি সবসময় উদভ্রান্তের মতো কথা বলেন। পদ্মাসেতু নির্মাণের সময় উদভ্রান্তের মতো কথা বলেছে, নির্মিত হয়ে যাবার পর ওনাদের উদভ্রান্তির মাত্রা আরো কয়েক ডিগ্রি বেড়ে গেছে। করোনার টিকা দেয়ার সময় নানা গুজব রটানোর সাথে তারা যুক্ত ছিল।

  • জঙ্গল সলিমপুর হবে আধুনিক শহরঃ তথ্যমন্ত্রী

    জঙ্গল সলিমপুর হবে আধুনিক শহরঃ তথ্যমন্ত্রী

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধভাবে আর কেউ পাহাড় কেটে বিক্রি ও বসত গড়ে তুলতে পারবেনা। সেইদিন শেষ। এ এলাকা নিয়ে সরকারের মহাপরিকল্পনা রয়েছে। জঙ্গল সলিমপুরের ১৪শ একর এর বিশাল এলাকা সরকারী খাস জায়গা। পুরো এলাকা একটি ইকো পার্কে পরিণত হবে।

    শুক্রবার (১ জুলাই) বিকালে জঙ্গল সলিমপুর পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি।

    তিনি বলেন, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দী বহনকারী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সেখানে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়া এখানে ইকো পার্কের ভেতরে স্পোর্টস ভিলেজ, মডেল মসজিদ যেমন থাকবে, জাতীয় তথ্যকেন্দ্র, নভোথিয়েটার, বেতার কেন্দ্র, জাতীয় হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, পাঁচ তারকামানের হোটেলসহ আরো অনেক কিছু হবে। এখানে একটি স্টেডিয়ামও তৈরী হবে। যেটার বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের সাথে আমার আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন একটি জায়গা দিতে, আমরা জঙ্গল সলিমপুরের জায়গা সিলেক্ট করেছি। এখানে আধুনিক মানের আর্মি স্টেডিয়াম নির্মিত হবে।

    তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার তাই জনগনের অসুবিধা করে কিছু হবেনা। জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধভাবে যুগ যুগ ধরে বসবাসরতদের পুনর্বাসন করেই যা করার করা হবে। সর্বোপরী জঙ্গল সলিমপুর হবে একটি আধুনিক নগরী।

    পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ, সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফজলে করিম চৌধুরী নিউটনসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • নিজে গাড়ি চালিয়ে গ্রাম ঘুরে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন তথ্যমন্ত্রী

    নিজে গাড়ি চালিয়ে গ্রাম ঘুরে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন তথ্যমন্ত্রী

    নিজে গাড়ি চালিয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিজ গ্রাম সুখবিলাসসহ আশপাশের গ্রাম ঘুরে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    মঙ্গলবার (৩ মে) দুপুরের পর সহধর্মিণী নুরান ফাতেমাকে সাথে নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় সুখবিলাস ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন তিনি। নামাজের পর সুখবিলাসস্থ বাড়িতে আত্মীয় স্বজনসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারনের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আগত অতিথিদের নানা পদের নাস্তা, সেমাই ও বিরিয়ানি দিয়ে আপ্যায়ন করেন তথ্যমন্ত্রী।

    তথ্যমন্ত্রী’র ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ জানান, বিকেলে সহধর্মিণী নুরান ফাতিমাকে সাথে নিয়ে সুখবিলাসসহ আশপাশের গ্রামবাসীর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে বের হন তথ্যমন্ত্রী। এসময় মন্ত্রী নিজে একটি খোলা জিপ চালিয়ে গ্রামের মেঠোপথ ধরে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে মুরুব্বিদের সালাম বিনিময় ও ঈদ শুভেচ্ছা জানান।

    এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান আবু জাফর, তথ্যমন্ত্রীর বাল্যবন্ধু অনুপম বড়ুয়া, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যোগ দেন।

  • ঢালাও সব অনলাইন বন্ধ করা সমীচীন হবে না : তথ্যমন্ত্রী

    ঢালাও সব অনলাইন বন্ধ করা সমীচীন হবে না : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা ও রাখার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। আদালতের নির্দেশনা পেলে সেই অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব। কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হবে। আবার নতুন করে কিছু দেওয়া হতে পারে।

    ব্যাঙের ছাতার মতো এত অনলাইন আসলেই দেশের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে ঢালাওভাবে সব অনলাইন বন্ধ করাও সমীচীন হবে না বলেও জানান মন্ত্রী।

    আজ বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

    গতকাল মঙ্গলবার অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত অনলাইন ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো অনলাইন বের হবে না এমন কোনো নিয়ম নেই। আজকে যে পত্রপত্রিকা আছে সেগুলো ছাড়া ভবিষ্যতে আর কোনো পত্রপত্রিকা বের হবে না এমনও কোনো নিয়ম নেই। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। তবে যার যেমন ইচ্ছা একটা অনলাইন খুলে বসবে। আবার যেমন ইচ্ছা তেমন সংবাদ পরিবেশন করবে, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করবে, গুজব রটানোর কাজে ব্যস্ত হবে, অন্যের চরিত্র হনন করবে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হবে, কোনো ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সেখানে লেখালেখি হবে, এটি কোনোভাবেই সমীচীন নয়। এমন নিউজ পোর্টাল বন্ধের ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ অবশ্যই সহায়ক হবে। আমরা কিছু অনলাইন বন্ধ করব। পাশাপাশি আমরা এটি আদালতের নজরে আনব। যাচাই-বাছাই ছাড়াই যদি সবগুলোকে একসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেটি কতটুকু সমীচীন সেটাও ভাববার বিষয়, সেটিও আমরা আদালতের নজরে আনব।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যেভাবে অনলাইনের নিবন্ধন দিচ্ছি, একইভাবে ইউটিউব বা আইপিটিভি নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এখনো কাউকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি করার যে সুযোগ রয়েছে এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

    এর আগে গতকাল মঙ্গলবার অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

    এন-কে

  • তথ্যমন্ত্রী’র মানবিক উদ্যোগ : রাঙ্গুনিয়াবাসী পেলেন লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান

    তথ্যমন্ত্রী’র মানবিক উদ্যোগ : রাঙ্গুনিয়াবাসী পেলেন লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও আশপাশের উপজেলার মানুষের কল্যাণে একটি লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান চালু করা হয়েছে।

    দীর্ঘদিন ধরে লাশ বহন করতে গিয়ে রাঙ্গুনিয়াবাসী নানা ভোগান্তির স্বীকার হতো। তথ্যমন্ত্রী’র মানবিক উদ্যোগে এই প্রথম লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান পেলো রাঙ্গুনিয়াবাসী। এতে রাঙ্গুনিয়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ লাঘব হবে।

    বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে এটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যানটি পরিচালিত হচ্ছে।

    এছাড়া তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরও একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স পাঁচ বছর ধরে দিবা-রাত্রি রাঙ্গুনিয়ায় রোগী পরিবহনে সেবা দিয়ে আসছে।
    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়াসহ আশপাশের উপজেলা গুলোর অনেকে প্রবাসে থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেখানে অনেকসময় দূর্ঘটনার শিকার হয়ে রেমিটেন্সযোদ্ধারা প্রাণ হারান। তাদের লাশ বিমানে দেশে আনার পর অনেকসময় ফ্রিজার ভ্যানের অভাবে সমস্যায় পড়তে হয়। চট্টগ্রাম শহরের কোন হাসপাতালে কারো মৃত্যু হলে সেই লাশ রাঙ্গুনিয়ায় নিতেও বিপাকে পড়তে হয় অনেক সময়।

    এধরণের মানবিক সহায়তায় শুধু রাঙ্গুনিয়া নয়, আশেপাশের উপজেলাতেও ফ্রিজার ভ্যানটি সেবা প্রদান করবে।

    তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়াবাসীর জন্য এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েক বছর আগে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়। এবং সরকারের পক্ষ থেকেও তিন বছর আগে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়েছিল। এ দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ার মুমুর্ষ রোগীরা নিয়মিত সেবা পাচ্ছে। ফ্রিজার ভ্যানটি চালু হওয়ায় লাশ বহন ও সংরক্ষণের সংকট নিরসনে সহায়ক হবে বলে আমি আশা করি।

    লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান চালু উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দোয়া মাহফিলে অংশ নেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রাসাদ চক্রবর্তী, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা আকতার হোসেন খাঁন ও পৌর কাউন্সিলার জসিম উদ্দিন শাহ প্রমুখ।

  • যারা ইতিহাস বিকৃতি ঘটায় তারা ইতিহাসের দুস্কৃতিকারী :তথ্যমন্ত্রী

    যারা ইতিহাস বিকৃতি ঘটায় তারা ইতিহাসের দুস্কৃতিকারী :তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা ইতিহাস বিকৃতি ঘটায়, তারা ইতিহাসের পাতায় এক ধরণের দুস্কৃতিকারী। স্বাধীনতার এই সুবর্ণ জয়ন্তিতে আমি আশা করবো এতদিন ধরে বিএনপিসহ যেসমস্ত দল এই ভুলগুলো করেছেন, তারা সেই ভুল থেকে বের হয়ে আসবে, তাহলেই দেশের মানুষ তাদেরকে সাধুবাদ দিবে।

    তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম তারা স্বাধীরতার সুবর্ণ জয়ন্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছরে সত্যটাকে মেনে নিবেন, ইতিহাসকে মেনে নিবেন। কিন্তু তারা জন্মলগ্ন থেকে যে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়ে আসছেন কয়েকদশক ধরে, ৭ই মার্চ পালন করতে গিয়েও সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নাই।

    শনিবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সী-বীচে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) আয়োজিত সিটি আউটার রিং রোডে সাইকেল লেইন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, বোর্ড সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, কে.বি.এম শাহজাহান, জসিম উদ্দিন শাহ, এম আর আজিম, রোমানা নাছরিন, সচিব আনোয়ার পাশা প্রমূখ।

    পতেঙ্গায় সিটি আউটার রিং রোডে সাইকেল লেইন উদ্বোধন শেষে সাইক্লিস্টদের সাথে সাইকেল চালান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কদিন আগে আমরা ৭ই মার্চ উদযাপন করেছি, যেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীরতার সংগ্রাম,” পরেরদিন পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সদর দপ্তরে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল, চতুর শেখ মুজিব কার্যত পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিলেন। আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় ছিলনা। তাকে আবার সেজন্য অভিযুক্তও করা যাচ্ছেনা।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এমনভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, জনগণ বুঝতে পেরেছিল কি করতে হবে। তখন সবাই মাঠে নেমে পড়েছিল, “বাঁশের লাঠি তৈরী কর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর” স্লোগানে। কিন্তু পাকিস্তানিরা সেটা বুঝতে পারে নাই, বুঝলেও অভিযুক্ত করতে পারে নাই। এখন দেখলাম ৭ই মার্চ পালন করতে গিয়ে বিএনপি যে বক্তব্য দিল, পাকিস্তানিরা যেমনি বুঝতে পারে নাই, তেমনি বিএনপিও বুঝতে পারে নাই। পাকিস্তানিদের বুঝের সাথে বিএনপির বুঝের খুব মিল রয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে কয়েকবছর আগে মানুষ ধারণা করেনি পতেঙ্গা সৈকতে এমন একটি সী-বীচ হবে। এটি যখন প্রথম উম্মুক্ত করেছিল সেটি সবাইকে অবাক করেছিল। একেবারে দুবাই সী-বিচের আদলে এত সুন্দর করে এটাকে সাজানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, পতেঙ্গা সী-বীচ আগেও ছিল, পৃথিবীর পরিবর্তনের সাথে সাথে সেটির আধুনিকায়ন প্রয়োজন হচ্ছে, যেটি বহুবছর হয়নি, বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে সিডিএ’র মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে সী-বীচের সৌন্দর্যমন্ডিত হয়েছে।

    চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সী-বীচের অন্যতম আকর্ষণ ও উপাদান হচ্ছে বালুচর। এখানে আগে যে পরিমাণ বালুচর ছিল সেটা হারিয়ে গেছে। বীচ বলতে বালুচরকেই বুঝায়, দুবাই সী বীচে প্রথমে বালি ছিলনা, পরে বাইরের খেকে বালি এনে সেখানে বালুচর বানানো হয়েছে। প্রয়োজনে বাইরের থেকে বালি এনে এখানেও বালুচর করতে হবে।

    তিনি বলেন, প্রথম থেকেই সিডিএ’র কাছে নিবেদন ছিল এখানে একটা সাইকেল লেইন রাখার। আমি বিদেশে পড়ালেখা কালে সাইকেল চালিয়ে ভার্সিটিতে আসা-যাওয়া করতাম। আমাদের শহরগুলোতেও যদি এধরণের সাইকেল লেইন করতে পারলে ভালো হতো। চট্টগ্রাম শহরের দুয়েকটি রাস্তায়ও সাইকেল লেইন করার জন্য সিডিএকে অনুরোধ জানান -তথ্যমন্ত্রী।

  • বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর দলের এত বিদেশ প্রীতি কেন প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রী’র

    বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর দলের এত বিদেশ প্রীতি কেন প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রী’র

    বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর দলের এত বিদেশপ্রীতি কেন প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, এগুলো বহু বছরের পুরনো অসুবিধা। তাঁর যে আর্থাইটিজের সমস্যা সেটি বিশ বছরের পুরনো সমস্যা। সেই সমস্যা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বিএনপির মতো একটি বড় দলের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সমস্যাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার দেখানো সমীচিন নয়।

    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, তিনি আদালত কর্তৃক খালাস পাননি, আদালত থেকে জামিনও পাননি। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দয়া পরবশ হয়ে প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে তাকে মুক্তি দিয়েছেন ছয়মাসের জন্য। যেটি একদফা বাড়ানো হয়েছে, আরো একদফা বাড়ানোর জন্য তারা আবেদন করেছেন, এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তাঁকে বিদেশেই নিয়ে যেতে হবে এই প্রশ্ন কেন? চিকিৎসা তো বাংলাদেশেও আছে।

    শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নতুন তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। এরপর বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে, তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে না, দেশের বাইরেও নিতে দেয়া হচ্ছে না বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

    বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে রাশেদ হাসান ও আঁখি মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্য। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজান উল আলম, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার প্রমুখ।

    বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য হাঁটু বা কোমরের ব্যথা নিয়ে রাজনীতি না করতে বিএনপিকে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আদালত থেকে জামিন বা খালাস না পাওয়া সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়াকে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে মুক্তি দিয়ে ঘরে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সে জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেয়া। সেটি না দিয়ে বরং তিনি বলছেন, তাকে বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে তো অনেকেরই চিকিৎসা হয়, আমাদের অনেক এমপি এই করোনাকালে মৃত্যুবরণ করেছেন, কাউকে কিন্তু বিদেশ নিয়ে যাওয়া হয়নি। অনেকেই এদেশে চিকিৎসা করে ভালো হয়েছেন।

    বিএনপি একদিকে বিশেষ বিবেচনায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা ও করুণা চাচ্ছে অন্যদিকে কথায় কথায় বলছে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী কারো করুণা নিয়ে বাঁচতে চান না। এই সাংঘর্ষিক বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনিকভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে। তারা আবার সরকারের পতনও চাচ্ছেন। আবার বলছেন আমরা কোন করুণা চাই না।

    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যে আজকে মুক্তি নিয়ে জেলখানার বাইরে ঘরে অবস্থান করছেন সেটি বঙ্গবন্ধু কন্যার মানবিকতার কারণে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে সেই নিবেদনটুকুই করেছিলেন। বিএনপি নেতাদের কথা এবং কাজের মধ্যে সবসময় দ্বিচারিতা। এই ক্ষেত্রেও আমরা সেটি লক্ষ্য করছি।

    বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নতুন তালিকাভুক্ত শিল্পীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যতবেশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে, যতবেশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে আমাদের তরুণ ও যুবকরা সম্পৃক্ত হবে ততবেশি তাদের মননশীলতার বিকাশ হবে। আজকে তরুণরা যে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে পড়ছে, মাদকাসক্ত হচ্ছে, এগুলো থেকে রক্ষা করার ক্ষেত্রেও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।

    তিনি বলেন, জঙ্গিবাাদ ও মৌলবাদ বিভিন্ন জায়গায় মাথাচাড়া দিয়েছে, আমরা অতীতে বিশ্লেষণ করে দেখেছি, যে সমস্ত জায়গায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বেশি সেখানে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে ঘিরে যেন ব্যাপক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও উৎসব হয়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অবস্থান চট্টগ্রামে হলেও এটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক কোন কেন্দ্র নয়, এটি একটি জাতীয় কেন্দ্র। যারা কেন্দ্র পরিচালনার সাথে জড়িত এবং যারা শিল্পী-কলাকুশলী আছেন তাদেরও এটি মাথায় রাখতে হবে। আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রে গান গাইলে শুধু চট্টগ্রামেই দেখা যেতো, এখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে কেউ পারফর্ম করলে সেটি সমগ্র দেশে দেখা যায়। তাই সমগ্র দেশের চিন্তাটা মাথায় রেখে পারফর্ম করতে হবে। একই সাথে অনুষ্ঠান পরিকল্পনা থেকে সবকিছু সমগ্র বাংলাদেশের নিরিখে করতে হবে। শুধুমাত্র এই অঞ্চলের আঞ্চলিক বিষয়গুলোকে পরিবেশন না করে সমগ্র বাংলাদেশের বিষয়টা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

    তিনি বলেন, দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের আরো ছয়টি কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই প্রকল্প প্রি-একনেকে পাশ হয়েছে, শিগগির কার্যক্রম শুরু হবে।

  • ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গী বানানোর চেষ্ঠা করা হয়-তথ্যমন্ত্রী

    ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গী বানানোর চেষ্ঠা করা হয়-তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে অনেককে বিপথগামী করা হয়, অনেককে জঙ্গী বানানোর চেষ্ঠা করা হয়। এগুলোর বিরুদ্ধেও আলেম সমাজ কথা বলেন, আমি অনুরোধ জানাবো আরো কথা বলে এগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার জন্য।

    তিনি বলেন, ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম, ইসলাম অন্যের উপর জুলুমের কথা বলেননি। আমাদের নবী করিম (সা.) কখনো অন্যের ওপর জুলুম করেন নাই, করাকে প্রশ্রয় দেন নাই, কেউ করলেও তাকে শাস্তি দিয়েছেন। সুতরাং জবরদস্ত করে কোন কিছু ছাপিয়ে দেয়া ইসলাম কোনদিন সমর্থন করেনা।

    শনিবার (৬ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া বাংলাদেশ আয়োজিত যৌতুক ও মাদক বিরোধী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া’র চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কাশেম নুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার যুগ্ন মহাসচিব এরশাদ মাহমুদ, তরুণ সংগঠক ফারাজ করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যাপক নূ ক ম আকবর হোসেন, রাজনীতিক ড. মাসুম চৌধুরী, আল্লামা মাসউদ হোসাইন আলকাদেরী, এডভোকেট আব্দুর রশিদ দৌলতি প্রমূখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের এই জনপদে ইসলাম কায়েম হয়েছে কোন যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে নয়, অলি আউলিয়াদের মাধ্যমে ইসলাম এখানে কায়েম হয়েছে। সুতরাং আজকে অনেকে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেই, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তরুণদেরকে বিপথগামী করে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আলেম সমাজের সোচ্চার ভুমিকা রাখা প্রয়োজন।

    তিনি বলেন, এই দেশ সবার, সব মত এবং দলের মানুষের, সবাই মিলে যুদ্ধ করে আমাদের এই দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা সবাই মিলে এই দেশটাকে গড়তে চাই।

    প্রতিবছর যৌতুক বিরোধী সমাবেশ আয়োজনের জন্য আন্জুমানে রজভীয়া নূরীয়া’র চেয়ারম্যান আবুল কাশেম নুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এরকম সামাজিক আন্দোলন যদি আলেম সমাজের পক্ষ থেকে করা হয় তাহলে এটির বড় একটা প্রভাব সমাজের ওপর পড়ে। কারণ আলেম সমাজ হচ্ছে সমাজের স্বাভাবিক নেতা। সুতরাং একজন আলেম বা তাদের নেতৃত্বাধীন কোন সংগঠন যখন যৌতুক এবং মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যৌতুক বন্ধ করার ক্ষেত্রে এবং আমাদের যুব সমাজের ওপর মাদকের যে হিংস্রথাবা সেটি রোধ করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

    তিনি বলেন, যৌতুক বিরোধী আইন আছে, কিন্তু আইন অনেকে মানেনা। শুধু আইন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী দিয়ে যে সবকিছু হয়না সেটির প্রমাণ হচ্ছে যৌতুক। যৌতুক বন্ধ করার জন্য মাওলানা আবুল কাশেম নুরীর নেতৃত্বে সামাজিক যে আন্দোলন ডাকা হয়েছে সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন অবশ্য একটি কাজ হয়েছে কেউ আর আগের মতো যৌতুক দাবী করেনা।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, তরুণ সমাজ নানা কারণে মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগুচ্ছে। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপের মাধ্যমে মাদক নির্মূল করা সম্ভবপর নয়। এজন্য পরিবারকে দায়িত্ব নিতে হবে তরুন সমাজদের মনমানসিকতা গড়ে তোলার জন্য তাদেরকে সেভাবে পরিচালনা করা হয়। একই সাথে সামাজিক প্রতিরোধ ও আন্দোলন যদি থাকে তাহলে সবকিছুর সমন্বয়ে মাদকরোধ করা সম্ভব হবে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মাদকাসক্তির পাশাপাশি আমাদের কিশোর তরুণদের মাঝে ফেসবুক আসক্তি দেখা দিয়েছে। কিশোরদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, কিন্ত মা-বাবা খবর রাখেনা সন্তানরা মোবাইলে কি করতেছে। এজন্য আমি মনেকরি যৌতুক ও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত আসক্তির বিরুদ্ধেও কথা বলা প্রয়োজন।

  • বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়েছিল -তথ্যমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়েছিল -তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাঙালি একটি নিরস্ত্র জাতি ছিল, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের একটি ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বললেন, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো, শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। সেদিন নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র বাঙালিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এমন একটি ভাষণ ছিল, যার লাঠি আছে সে লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল, যার ঘরে দা আছে, লাইসেন্স করা বন্দুক আছে তা নিয়েই বেরিয়ে পড়েছিল। যে ভাষণ আজও যে কেউ শুনলে যেভাবে উদ্দীপ্ত হয়, গায়ের লোম যেভাবে খাড়া হয়ে যায়, এমন কোন নেতার ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসে প্রকৃতপক্ষে কেউ দেননি।

    শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মো. শামসুল হক। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো, আতাউর রহমান, সহ সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈন উদ্দিন, এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মঈন উদ্দিন রাশেদ, জসিম উদ্দিন, আফতাব উদ্দিন আহমেদ, স্বজন কুমার তালুকদার, আবদুল্লাহ আল বাকের ভুইঁয়া, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো এমন আবেদনময় ও উদ্দীপ্ত করার ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে কেউ দেননি। ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর কোন নোট ছিল না, তিনি একনাগাড়ে বলে গেছেন। পৃথিবীতে অনেক ভাষণ আছে অনেক অর্থবহ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাঁর এ ভাষণে একটা নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীকে সশস্ত্র জনবাহিনীতে রূপান্তর করে প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে লেখা হয়েছিল, চতুর শেখ মুজিব প্রকৃতঅর্থে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণা করার জন্য তাকে অভিযুক্তও করা যাচ্ছে না। এমনভাবে বঙ্গবন্ধু বললেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এর মাধ্যমে সেদিন রিপোর্টার ও তরুণদের উদ্দীপ্ত করেছিল এই ভাষণ। এখনো এই ভাষণ শুনলে মানুষ থমকে দাঁড়ায়, এজন্য বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ভাষণ। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ অসাধারণ ও অনন্য বিধায় জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর অপপ্রচার চালানো হয় জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ দলীয় নেতাকর্মীদের সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনের প্রচার বেশি করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বড়বড় স্লোগান ও ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়ার চেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে অপপ্রচারগুলোর বিরুদ্ধে সুপ্রচার চালানো, উন্নয়ন ও অর্জনের প্রচার করা। সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রপচারের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও আওয়ামী লীগের অর্জনগুলো তুলে ধরা। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের ভালো প্রচার ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার কর্মীদেরও মূল্যায়ন করবো।

    বিএনপি ৭ই মার্চ পালন করবে ঘোষণা দেয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এতদিন পরে তাদের বোধোদয় হলো। মির্জা ফখরুল সাহেব এটিও বলেছেন ৭ই মার্চ ইতিহাস, এই ইতিহাসকে আমাদের স্বীকার করতে হবে। আমি ফখরুল সাহেবদের বলবো বাকি যে ইতিহাস বিকৃতি করেছিলেন, সেটাও ভুল স্বীকার করে বাকি ইতিহাসগুলোও স্বীকার করে নেন। তাহলে জাতি আপনাদেরকে সাধুবাদ দিবে।

    তিনি বলেন, বিএনপির এখন নানা ধরণের মিছিল আছে : দৌড় মিছিল, চোরাগোপ্তা মিছিল, হঠাৎ মিছিল। গতকাল বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রিজভি আহমেদ নাকি একটি চোরাগোপ্তা মশাল মিছিল করেছেন। তাদের বলবো এভাবে চোরাগোপ্তা মিছিল ও মানুষের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা করে লাভ হবে না। সত্যিকার অর্থে জনগণের কাছে যদি যেতে চান তাহলে ইতিহাসকে মেনে নিন, যেভাবে ৭ই মার্চকে মেনে নিয়েছেন। এতদিনের অপরাজনীতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চান।
    বিএনপি ও তাদের মিত্ররা মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর জন্য মায়াকান্না করছেন, তাঁর মৃত্যুতে আমি নিজেও ব্যথিত। কিন্তু মুশতাক আহমেদ কেন গ্রেফতার হয়েছেন প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি করোনা মহামারি নিয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরণের পোস্ট দিচ্ছিলেন। একটি পেজ থেকে নানাভাবে গুজব ছড়াচ্ছিলেন, সেই কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিন কেন পাননি, সেটি কোর্ট বলতে পারবে, এই এখতিয়ার কোর্টের। তাঁর মৃত্যুটা স্বাভাবিক মৃত্যু, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এভাবে ছেলেধরা নিয়েও গুজব ছড়ানো হয়েছিল।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে যখন কোন অর্জন হয়, আমরা যখন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেলাম, তখন একটি পক্ষ লেগে গেল অন্য বিষয় নিয়ে মাঠ গরম করার জন্য। অথচ এটি নিয়ে একটি অভিনন্দন তাদের মুখ থেকে আসেনি। এটি তাদের একপেশে ও চিন্তার দৈন্যতা। দেশের অর্জন যে তাদের চোখে পড়ে না, কানে যায় না সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একটি উন্নত রাষ্ট্র রচনা করার জন্য। সেই স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি বঙ্গবন্ধু। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন আজকে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের আগেই বাংলাদেশ নাম লিখাতো উন্নত দেশের কাতারে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাঁই সাইঁ করে উন্নত দেশের কাতারে নাম লেখাতে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর বছরে জাতিসংঘ ফাইনাল রিকমেন্ডেশন দিয়েছে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে। এটি আমাদের দেশের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবচে’ বড় অর্জন।