Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • বঙ্গবন্ধু কন্যা ও তাঁর সরকার খেলাধুলা বান্ধব – তথ্যমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধু কন্যা ও তাঁর সরকার খেলাধুলা বান্ধব – তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার খেলাধুলা বান্ধব। তিনি নিজেও একজন খেলাধুলা বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে।

    তিনি বলেন, আমাদের মেয়েরা ভারতের মেয়েদের হারিয়ে দিয়ে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের যুব ক্রিকেট টিম বিশ্বকাপে জয় লাভ করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সরকার খেলাধুলা বান্ধব সরকার বিধায়।

    শুক্রবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির তালুকদার। খেলার উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার শিশু সদস্য আদেল সাদিক মাহমুদ। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার পূনঃনির্বাচিত মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, সুখবিলাস ফিসারিজ এন্ড প্লান্টেশনের চেয়ারম্যান এরশাদ মাহমুদ, ইডেন ইংলিশ স্কুলের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, চান্দগাঁও শান্তিময় বিহারের অধ্যক্ষ বোধিশ্রী ভিক্ষু।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তরুণদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলার আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সৃজনশীল কাজকর্মে যুক্ত রাখতে হবে। খেলাধুলার অনুপস্থিতির কারণে এখন আমাদের তরুণরা অনেক ক্ষেত্রে বিপথগামী হচ্ছে।

    তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত আসক্তির বিরূপ প্রভাবও পড়ছে আমাদের কিশোর তরুণদের উপর। সেজন্য এভাবে নানা ধরণের টুর্ণামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে খেলাধুলা চালু রাখা অত্যন্ত জরুরী।

    রাঙ্গুনিয়ার খেলাধুলা সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাঙ্গুনিয়া খেলাধুলায় অত্যন্ত সমৃদ্ধ। জাতীয় ফুটবল দলে আমাদের ২/৩ জন খেলোয়াড় প্রতিবছরই থাকে। এখনও রাঙ্গুনিয়ার দুজন খেলোয়াড় জাতিয় দলে আছে। খেলোয়াড় সৃষ্টির জন্য এধরণের ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন প্রতিবছর করার জন্য আয়োজকদের উৎসাহ দেন ড. হাছান মাহমুদ।

    রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার কালিন্দীরানী সড়কের অনেক জায়গায় ভেঙ্গে গেছে, তবে সড়কটির কাজ আগামী এক সপ্তাহ পরেই শুরু হবে। এই রাস্তাটি আরও বড় করে ১৮ ফুট প্রস্থ করার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই সড়ক ও মরিয়মনগর ডিসি সড়কের প্রশস্তিকরণের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তা অতিসত্বর কাজ শুরু হবে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, আবু জাফর চেয়ারম্যান, আবদুল কাইয়ুম তালুকদার, নুর কুতুবুল আলম, মুজিবুল হক হিরু, নাসির উদ্দিন সেলিম, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বাদশা, আবদুর রউফ মাস্টার, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, আবু তাহের, কাউছার নূর লিটন, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, মোহাম্মদ সেলিম, বদিউজ্জামান বদি প্রমুখ।

    ফাইনাল খেলায় নাপিত পুকুরিয়া একতা’৭১ দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে টুর্ণামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুরুশিয়া জুনিয়ার একতা সংঘ। পরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ী এবং রানার্স আপ দলের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন।

  • বিডিআর হত্যাকান্ডের প্রত্যুষে কেন খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলেন প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রী’র

    বিডিআর হত্যাকান্ডের প্রত্যুষে কেন খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলেন প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রী’র

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের দিনে বেগম খালেদা জিয়া, যিনি দিনের বারোটার আগে ঘুম থেকে উঠেননা, তিনি কেন প্রত্যুষে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে চলে গিয়েছিল ? তিনি কেন এদিন তারেক রহমানের সাথে ৩০ থেকে ৪০ বার কথা বললেন ? এই রহস্যগুলো বের হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তাহলেই মুখোশ উম্মেচিত হবে কারা এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিল।

    শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তথ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর পাড়স্থ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিং করেন।

    এসময় সাংবাদিকরা বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার করবেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ নানা ধরণের প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন, এই হত্যাকান্ডের পেছনে আরো কারা কারা আছে সেগুলো নিয়ে তারা ক্ষমতায় গেলে তদন্ত করবেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে এটি আমাদেরও প্রশ্ন, যিনি ঘুম থেকে দুপুর বারোটার আগে উঠেননা, অথচ সেদিন খালেদা জিয়া বিডিআর হত্যাকান্ডের আগে খুব সকালে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন কেন ? সেদিন তিনি তারেক রহমানের সাথে ৩০ থেকে ৪০ বার ফোনে কথা বলেছেন, এটার পেছনে রহস্যটা কি ?

    তিনি বলেন, তখন সদ্য সরকার গঠন করেছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমাদের সরকারের তখনো দুইমাস পূর্তি হয়নি, প্রায় দেড় মাসের মাথায় এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছিল। এই হত্যাকান্ড সংগঠনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অস্থিতিশীল করা।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, দেশের ইতিহাসে নয় শুধু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নিরিখেও এতবড় একটি হত্যাকান্ডের এতগুলো আসামীর বিচার কম হয়েছে। আমাদের দেশের ইতিহাসে এতজন আসামীর বিচার আর হয়নি। বিশ্ব পেক্ষাপটেও এতগুলো আসামীর বিচার কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে মামলা যে কেউ করতে পারে, মামলা করার অধিকার সবারই আছে, তবে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে বিএনপিকে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডা. শাহাদাতকে আমি অনুরোধ জানাবো তার দলের কেন্দ্রিয় নেতাদের প্রশ্ন রাখার জন্য, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ সবল থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে কেন্দ্রিয় নেতারা কেউ চট্টগ্রামে আসলেননা কেন। এমনকি চট্টগ্রামে যে সমস্ত কেন্দ্রিয় নেতা আছেন তারাও কিন্তু নির্বাচনের সময় তার পক্ষে নামেননি। আমির খসরু মাহমুদকে দুয়েকবার দেখা গেলেও তা প্রেস কনফারেন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তার দলের স্থানীয় নেতারাও প্রথমে কিছুটা সরব থাকলেও পরবর্তীতে তারা ঘরের মধ্যে চলে যান। এজন্য ডা. শাহাদাতকে বলবো এই প্রশ্নগুলো তার দলের নেতাদের কাছে করে তাদের বিরুদ্ধেও যাতে একটা মামলা করেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে বাংলাদেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। ডিজিটাল বিষয়টা আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে ছিলনা, সুতরাং ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টিও ছিলনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে যখন একজন সাংবাদিকের চরিত্র হনন করা হয়, একজন গৃহিনীকে যখন অপবাদ দেয়া হয়, একজন সাধারন মানুষ যখন ডিজিটাল আক্রমণের শিকার হন, তিনি কোন আইনে প্রতিকার পাবেন, তখন কোন আইনের বলে সে নিরাপত্তা পাবে, সেজন্য একটা আইনের দরকার। এই জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

    মুশতাক আহমেদের মৃত্যুটা সত্যিই অনভিপ্রেত জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমিও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি, সেখানে কারা কর্তৃপক্ষের কোন গাফেলতি ছিল কিনা সেটা খুঁজে দেখা যেতে পারে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার যাতে নাহয় সেটির জন্য আমরা সচেতন আছি, বিশেষত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাতে এই আইনের অপব্যবহার নাহয়, সেজন্য তথ্যমন্ত্রণালয় ও আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবসময় সচেতন আছি এবং কোনখানে এধরণের ঘটনা ঘটলে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়, বলেন- তথ্যমন্ত্রী।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে খবর দেয়া উচিৎ ডা. জাফরুল্লাহ’র এমন বক্ত্যব্যের বিষয়ে সাংবাকিরা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডা. জাফরুল্লাহতো নানা কথা বলেন, যেমন করোনার টিকার বিরুদ্ধে খুব সোচ্চার ছিলেন, আবার নিজে করোনার টিকা নিয়ে বলেছেন এই টিকা সবার নেয়া উচিৎ। সুতরাং আজকে জাফরুল্লাহ সাহেব যে কথা বলেছেন দুদিন পর দেখবেন নিজের কথারই তিনি আবার অন্য সুরে কথা বলবেন। সুতরাং এটার উত্তর দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা।

  • হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে -তথ্যমন্ত্রী

    হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে -তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাইকোর্ট যদি কোন আদেশ দেন এটিকে বন্ধ করার জন্য, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের আদেশ আমাদেরকে মানতে হবে।

    শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে হাইকোর্ট তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল আল জাজিরার রিপোর্টটা ইউটিউব এবং অন্যান্য চ্যানেল থেকে বাদ দেয়ার জন্য এটা বাদ দিচ্ছেননা কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাইলে আলজাজিরার সম্প্রচার আমাদের দেশে বন্ধ করতে পারতাম, অনেক দেশে বন্ধ করা হয়েছে, এবং বন্ধ রয়েছে। এমনকি ভারতেও কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখনো ৬-৭টি দেশে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তাই আমরা সেই উদ্যোগ নিইনি।

    তিনি বলেন, স্বাধীনতার যেমন দরকার, দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা মানে এই নয়, ভুল, মিথ্যা, পক্ষপাত দুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অপরের স্বাধীনতা হরণকারী সংবাদ পরিবেশন করা। এটা কোনভাবেই সমীচিন নয়। আলজাজিরার রিপোর্ট একটি মিথ্যা বানোয়াট, কিছু কাট পেস্ট করে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি একটি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশঃবতী হয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

    করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপি নেতারা অনেক ধরণের বিরোধীতা করে আসছিল, এখন তারাও ভ্যাকসিন নিচ্ছেন সাংবাদিকরা এবিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন-বিএনপি নেতারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালিয়েছেন, তারা প্রথমে বলেছে সরকার ভ্যাকসিন সময়মতো আনতে পারবেনা, যখন সময়মতো চলে আসলো তখন বললেন এটি নিলে কোন কাজ হবেনা। এই ভ্যাকসিন দিয়ে বিএনপি নেতাদের মেরে ফেলতে চাচ্ছেন এধরণের কথাও বলেছেন তারা।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নানা ধরণের প্রশ্ন তুলে, দায়িত্বহীন অনেক কথা বলে শেষ পর্যন্ত বিএনপির অনেক নেতা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, এবং নেয়ার পক্ষে কথাও বলেছেন, সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। কথা আছেনা ‘গাধা জল ঘোলা করে খায়’, করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির ভুমিকাও সেরকমই ঘটেছে।

    আমরা চাই তারা ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ ও সবল থাকুক, তারা বিরোধী দল, বিরোধীতার ভুমিকায় তারা আছেন, আমাদের বিরোধীতা করুক- বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভুমিকা আসলে কি ছিল সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরনে তিনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিলের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ততো হয়নি এখনো। এটা নিয়ে জামুকাতে আলোচনা হয়েছে মাত্র।

    বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিতো বিরোধী দল, তারা বিক্ষোভ করতেই পারে। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনসহ অন্যান্য যেসমস্ত ইস্যুতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তা হাস্যকর।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ কিংবা পাশবর্তী দেশে যে ধরণের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় সেই নিরিখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে কিন্তু কার্যত মাঠে ছিলনা। ভোটেরদিন তাদের কাউকে দেখা যায়নি।

    তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব কি চট্টগ্রাম এসেছিল ? তিনি কি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন ? একটা মিটিং করেছেন ? অথচ তাদেরতো প্রচারণা চালাতে কোন অসুবিধা ছিলনা।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের নানা বাধ্যবাদকতার কারণে আমাদের দলের এমপি এবং মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের দলের নোতারা যারা প্রতিদিন নয়াপল্টনে কথা বলেন, তাদেরতো কোন সমস্যা ছিলনা। তারা কিন্তু আসে নাই। অর্থাৎ তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু মাঠে ছিলনা, এটি তাদের ব্যর্থতা এবং দলীয় দূর্বলতা, একারণেই এই শহরে তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৪ সালে আমাদের প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন থেকেই বিএনপির পরাজয় শুরু। মাঝখানে একবার আওয়ামী লীগ থেকে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুকে হায়ার করে নিয়ে গিয়ে তারা জয় লাভ করেছিল। তারা কখনোই এই শহরে জয়লাভ করেনি, বরাবরই আওয়ামী লীগই জয়লাভ করেছে। কারণ এটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, সুতরাং এই নিয়ে বিক্ষোভ করে কোন লাভ নেই।

  • একটি চিহ্নিত মহল বিদেশি মিডিয়ার স্লট ভাড়া করে দেশবিরোধী অপপ্রচার করছে : তথ্যমন্ত্রী

    একটি চিহ্নিত মহল বিদেশি মিডিয়ার স্লট ভাড়া করে দেশবিরোধী অপপ্রচার করছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি মিডিয়ার স্লট ভাড়া করে একটি চিহ্নিত চক্র দেশবিরোধী অপপ্রচার করছে। তিনি এদের বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

    আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ’একুশের চেতনায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছিল,স্বনামধন্য একজন আইনজীবীর মেয়ের ইহুদী জামাতাসহ স্বাধীনতাবিরোধী জামাত চক্র, যারা আজ দেশের মানুষের কাছে নিন্দিত, ঘৃণিত, ধিকৃত ও বর্জিত, তারা এখন তাদের অর্থ-বিত্ত দিয়ে মানুষ ভাড়া করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার স্লট ভাড়া করে, মানুষ ভাড়া করে দেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সা¤প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু প্রতিবেদন সেই অপচেষ্টারই প্রতিফলন মাত্র। কিছু ভুল ও অসত্য তথ্য কাট-পেস্ট করে যে ধরনের প্রতিবেদন প্রচার করা হচ্ছে, সেটি আসলে দেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।’

    অতীতে যেমন বঙ্গবন্ধুর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, এখনও দেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এগুলো করা হচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে, কারণ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটি অনেকের পছন্দ হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সঠিকভাবে করোনা মোকাবিলায় সমর্থ হয়েছে, এটি অনেকের গাত্রদাহ, এজন্যই তারা এই ঘৃণ্য নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। কিন্তু এই খেলা খেলে কোন লাভ হবে না।

    বিশ্বব্যাংক এক সময় বড় একটি দেশের সহায়তা নিয়ে এদেশে পদ্মাসেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, সেটি ভেস্তে গেছে। এখনও যেসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেগুলোও ভেস্তে যাবে।’

    মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা পলাতক, যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুন্যালে যাদের বিচার হচ্ছে, তারা এখন বিদেশি গণমাধ্যমের স্লট ভাড়া নিয়ে এসব বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। দেশের মানুষ সজাগ আছে, সতর্ক আছে এবং আওয়ামী লীগের ভিত্তি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই সরকারের ভিত্তি তৃণমূলে প্রোথিত। সুতরাং এই ছোটখাট কাতুকুতু দিয়ে লাভ হবে না।

    ইতিহাসের সূত্র ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ যখন দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই দেশবিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। একে একে আওয়ামী লীগের ৫ জন এমপিকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয় এবং জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এখনও বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে যখন বিশ্ব প্রশংসায় পঞ্চমুখ, মানব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সমস্ত সূচকে যখন আমরা বহু আগে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, করোনাকালে ধ্বনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধির মাত্র ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ যখন বিশ্বে তৃতীয় স্থান অর্জন করে, করোনাকালে অনাহারে মৃত্যুর সকল শংকা মিথ্যে প্রমাণ করে বাংলাদেশ যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছে, সেজন্য যখন সারাবিশ্ব এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, এই সময়ে দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে, এসব তারই অংশ।’

    ড. হাছান এসময় ফেব্রুয়ারি মাসকে মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার মাস এবং একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রথম স্ফুলিঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘ইতিহাস কখনো চাপা থাকে না, ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ছিল। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন ঢাকার কার্জন হলে ‘উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেই সময় যে প্রতিবাদ হয়েছিল, তা তুলেছিলেন সে সময়ের তরুণ ছাত্র নেতা শেখ মুুজিবুর রহমান এবং তিনিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিন্নাহ’র ঘোষণার প্রতিবাদে প্রথম সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তিনি কারাগারে দীর্ঘ অন্তরীণের মধ্যে ভাষার দাবিতে, হত্যা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে অনশন করেছিলেন। এ ইতিহাস সবার জানা নেই।’

    ড. হাছান বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধিকার আদায়ের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’ শ্লোগানে মুক্তির মন্ত্রে জাগ্রত করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এদেশকে স্বাধীন করেছেন এবং প্রথমবারের মতো বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন’।

  • তথ্যমন্ত্রী’র পিতা এডভোকেট নূরুচ্ছফা তালুকদারের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    তথ্যমন্ত্রী’র পিতা এডভোকেট নূরুচ্ছফা তালুকদারের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বৃহত্তর চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র পিতা আলহাজ্ব এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

    অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদারের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর চট্টগ্রাম নগরীর আদালত ভবন জামে মসজিদে আয়োজন করা হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রয়াত এই আইনজীবীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    এতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম জিয়া উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, প্রয়াতের পুত্র বিশিষ্ট সমাজসেবক খালেদ মাহমুদসহ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।

    এদিকে তথ্যমন্ত্রীর ঢাকার মিন্টু রোডস্থ সরকারি বাসভবনে এদিন বাদ আছর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

    চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র পিতা মুক্তিযুদ্ধেও অন্যতম সংগঠক আলহাজ্ব নুরুচ্ছফা তালুকদারের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মঙ্গলবার পালিত হয়েছে।

    সকালে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বিভিন্ন সংগঠন ও জনসাধারণ। এউপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠন খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলসহ পৃথকভাবে নানা কর্মসূচী পালন করেছে।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় দলীয় কার্যালয়ে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম তালুকদারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিস আজগর, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক ইকবাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের, আ.লীগ নেতা কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মুজিবুল ইসলাম সরফি, শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

    এদিকে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা বাচাশাহ (রহ:) মাজারে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে পোমরা আওয়ামী পরিবার। এতে অংশ নেন পোমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল কবির গিয়াসু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছৈয়দুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুসলিম উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আহমেদ আলী নঈমী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, পোমরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ এম বাবুল, ছাত্রলীগ নেতা আছিফুল করিম সাব্বু, একে মামুন, আল আমিন রাজু প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, এডভোকেট আলহাজ্ব নুরুচ্ছফা তালুকদার মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধকালীন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লেিগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করেছিলেন। ২০১১ সালের এইদিনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

  • বিএনপির অভ্যাস হচ্ছে ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’ -তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির অভ্যাস হচ্ছে ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’ -তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন উপনির্বাচনগুলোতে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু নির্বাচনের মাঠে ছিলনা, একইভাবে চট্টগ্রামের নির্বাচনেও মাঠে ছিলনা। কিন্তু বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও রিজভী আহমেদের সংবাদ সম্মেলনে যেসব কথা বলেছেন হেরে যাবার পর মুখ রক্ষার জন্য এসব কথা গুলো তারা বলছেন। নির্বচনে হেরে গেলে বিএনপির অভ্যাসটা হচ্ছে সেরকম, ‘নাচতে নাজানলে উঠোন বাঁকা’।

    বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাতটায় চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে, নির্বাচন শেষ হওয়ার আগ মুহুর্তে আমীর খসরু মাহমুদ চট্টগ্রামে ও রিজভী আহমেদ ঢাকায় বসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, এবং নানা ধরণের প্রশ্ন তুলেছেন, আমরা আগে থেকেই জানতাম এই সমস্ত প্রশ্ন তোলার জন্যই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তারা সব নির্বাচনেই এই সমস্ত গদবাঁধা প্রশ্ন উপস্থাপন করেন এবং অভিযোগের বাক্স খুলে সবসময় বসে থাকেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের ডাটাটা একটু দেখুন, ১৯৯৪ সালের পর থেকে কার্যত বিএনপি কোন ভোটে জিতেনি। মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু সাহেব একবার বিএনপির পক্ষ হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। আসলে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুতো আওয়ামী লীগের মানুষ, বিএনপির কাছে তিনি ভাড়ায় খেলতে গিয়েছিল, যেহেতু তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করেছেন সেকারণে আওয়ামী লীগের অনেক লোক তার পক্ষে কাজ করেছে, সেই কারণে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। তিনি আবার কিন্তু আওয়ামী লেিগ ফেরত চলে এসেছেন। সুতরাং ৯৪ সালের পর থেকে এই শহরের কোন নির্বাচনেই বিএনপি জয় লাভ করেনি।

    বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের বৈষম্যমূলক বিধান আশপাশের কোন দেশে নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে এমন একটি বিধি করেছে, যারা এমপি তারা কোন প্রচারণা চালাতে পারছেনা, কিছুই করতে পারছেনা। অথচ এই শহরে আমার জন্ম, বেড়ে উঠা, এবং এই শহর থেকেই আমার রাজনীতি শুরু, এই শহরের জামাল খাঁন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের মিছিলের কর্মী হিসেবে আমার রাজনীতির জীবন শুরু, আমি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকও ছিলাম। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও কিন্তু এই নির্বাচনে আমরা কোন ভুমিকাই রাখতে পারিনি দলের পক্ষে। এইরকম বৈষম্যমূলক বিধান আশপাশের কোন দেশে নাই।

    তিনি বলেন, ভারতে রাজ্য ও কেন্দ্রের এমপি-মন্ত্রীরা তাদের প্রটোকল ও সুযোগ সুবিধা বাদ দিয়ে সব ধরণের নির্বাচনে দলের পক্ষে প্রচার-প্রচারণাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে। ইংল্যান্ড, কন্টিনেন্টাল ইউরোপসহ অন্যান্য দেশেও পারে কিন্তু আমাদের দেশে পারেনা। দেখে দেখে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারিনা, সরকারি দলের জন্য এটি অদ্ভুদ ও বৈষম্যমূলক বিধান বলে আমি মনে করি।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সন্ত্রাস করেছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নগরীর পাহাড়তলি ইউসেপ কেন্দ্রে বিএনপির আক্রমণে দুইজন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছে, আমবাগান কেন্দ্রে একজন আওয়ামীলীগ কর্মী খুন হয়েছে। পাথরঘাটা কেন্দ্রে বিএনপির আক্রমণে ইভিএম মেশিন ভেঙ্গে দিয়েছে। দেওয়ানবাজার কেন্দ্রে বিএনপি সংখ্যালঘু ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে একজন আওয়ামী লীগ কর্মী এজেন্ট এখনো নিখোঁজ। লালখাঁন বাজার কেন্দ্রে নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের ছেলেকে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করেছে, আরো পাঁচজন আহত হয়েছে। চান্দগাঁও মৌলভী পুকুর পাড় কেন্দ্রে বিএনপির আক্রমণে যুবলীগ কর্মীসহ পাঁচজন আহত হয়েছে, অভিজিৎ নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কাজেম আলী স্কুল কেন্দ্রে যুবলীগ কর্মী সোলাইমান আহত হয়েছে বিএনপির আক্রমণে।

    বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত বলেছেন ওনারা আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচন করেননি, নির্বাচন করেছেন পুলিশের সাথে সাংবাদিকরা এবিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, কেউ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালালে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে সেখানে পুলিশ দলমত নির্বিশেষে সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, লালখাঁন বাজার আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে, লাঠিচার্জ করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেখানে বিএনপি হাঙ্গামা করেছে সেখানেও ব্যবস্থা নিয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগ করেছে সেখানেও ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দায়িত্বইতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা, শান্তি স্থাপন করা।

    নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি একথা বলেছেন দুপুরবেলা, তখন নির্বাচন শেষ হয়নি, আসলে তারা যে হেরে যাচ্ছিলেন, তাদের নেতাকর্মীদৈর নির্বাচনের মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা সেটিকে ডাকা দেয়ার জন্য দুপুরবেলা এটা বলেছেন তিনি, আগামীকালও বহু কথা বলবেন। হেরে গেলে অজুহাত দাঁড় করানোর চেষ্ঠা রিজভী আহমেদ সবসময় করেন। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো অজুহাত দাঁড় করানোর অপচেষ্ঠা না চালিয়ে তাদের দূর্বলতাটুকু কোথায় সেটি খুঁেজ বের করার জন্য।

  • বিত্ত কখনো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা -তথ্যমন্ত্রী

    বিত্ত কখনো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা -তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অর্থবিত্ত রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে এটি হতে পারেনা, বিত্ত কখনো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। যখন বিত্ত রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে তখন রাজনীতি বিক্রি হয়ে যায়। আমরা আমাদের রাজনীতিটা বিত্তের কাছে বিক্রি করতে পারিনা। রাজনীতি থাকবে রাজনৈতিক কর্মীদের হাতে। এটি মাথায় রাখতে হবে সবাইকে।

    শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    ইছাখালীস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, আবুল কাশেম চিশতি, ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, লোকমানুল হক তালুকদার, আকতার কামাল চৌধুরী, আবু জাফর চেয়ারম্যান, ইকবাল হোসেন, আকতার হোসেন খাঁন, গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, এমরুল করিম রাশেদ, আবু তাহের, কামাল উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সবাই দলের কর্মী, আমাদের মূল ঠিকানা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একজন কর্মী হিসেবে আমরা কেউ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েছি, কেউ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কেউ মেয়র কিংবা কাউন্সিলর ও মেম্বার হয়েছি। কিন্তু আমাদের মূল ঠিকানা হচ্ছে দল। তাই দলের সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চারবার ও পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এই পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার পিছনে মূল কারিগর হচ্ছে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, দূরদর্শীতা, সংকট মোকাবেলায় তার সাহস এবং ধৈর্য একইসাথে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি। তৃণমূল পর্যায়ে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি এবং বিস্তৃতির কারণেই আমরা পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়।

    তিনি বলেন, পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেকের মাঝে আলস্য এসেছে। এই আলস্য ঝেরে ফেলতে হবে। এবং একই সাথে দলের মধ্যে কিছু সুবিধাভোগী, কিছু সুযোগসন্ধানী নানাভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। অনেকে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। এগুলোর ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়া আওয়ামী লীগ একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠন। আমাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেক গভীরে পতিত। যেকারণে গত কয়েক বছরে প্রতিটি নির্বাচনে আমরা অত্যন্ত ভাল ফল করতে সক্ষম হয়েছি।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দলই আমাদের মূল ঠিকানা, দলের কারণে আজকে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। সুতারাং সবার উপরে দলীয় কর্মকান্ডকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং একইসাথে দলের নেতা মনোনয়ন করার সময় তাকেই গুরুত্ব দিতে হবে যিনি দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, দলের জন্য নিষ্ঠাবান।

    তিনি বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের দলীয় সভানেত্রীর প্রতি আস্থাশীল এবং দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছেন এসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে। তার অর্থবিত্ত থাক আর না থাক তাকেই দলে আনতে হবে।

  • অন্ন বস্ত্রের সমাধানের পর গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা -তথ্যমন্ত্রী

    অন্ন বস্ত্রের সমাধানের পর গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা -তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন মানুষের তিনটি মৌলিক চাহিদা, অন্ন বস্ত্র এবং বাসস্থান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের অন্ন ও বস্ত্রের সমস্যার সমাধান অনেক আগেই করেছেন। এখন গৃহহীনদের মাথা গোাঁজার জন্য ঠাঁই করে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

    তিনি বলেন, বাসস্থানের সমস্যা এখনও আমাদের দেশে থেকে গেছে। এই সমস্যাকে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষে এবং স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তিতে সমস্ত গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এবং দেশে কোন গৃহহীন মানুষ থাকবে না, সেই ঘোষণা দিয়েছেন। ৭০ হাজারের মতো পরিবারের কাছে জমিসহ ঘরের দলিল হস্তান্তর করে সেই ঘোষণা তিনি আজকে বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

    শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়নের ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এরআগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জমি ও ঘর প্রদান কর্মসুচি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে তথ্যমন্ত্রীসহ রাঙ্গুনিয়ার উপকারভোগী, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতারা উপভোগ করেন।

    রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) রাজিব চৌধুরীর সঞ্চালনায় দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, এডভোকেট আয়েশা আক্তার।

    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, মুজিববর্ষে আমরা গৃহহীনদের ঘর করে দেবো। সেই ঘোষণা শুধু ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তিনি তার রাষ্ট্রযন্ত্র ও দলকে কাজে লাগিয়ে হাজার হাজার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। আজকে একদিনে ৭০ হাজারের মতো ঘর তিনি উদ্বোধন করেছেন।

    তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে আজকে যারা ঘর পেয়েছে তারা কখনও ভাবেনি এই ধরণের একটি জমির মালিকানাসহ দুই রুমের একটি ঘর উপহার পাবেন। এই অভাবনীয় কাজ আজকে জাতীর জনকের কন্যা শেখ হাসিনা করেছেন। আমার জানা নেই পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এভাবে একই দিনে ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর দেওয়া উদ্বোধন হয়েছে কিনা।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আগে ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ, অর্থাৎ আমরা ক্ষুদাকে জয় করেছি। ভরদুপুরে কিংবা সন্ধ্যার পরে শহরের অলিগলিতে কিংবা গ্রাম গ্রামান্তরে “মা আমাকে একটু বাসি ভাত দেন” সেই ডাক এখন আর শোনা যায়না। কারণ বাসি ভাতের সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে অনেক আগে। আজকে কোন ভিক্ষুক চাল ভিক্ষা নেয় না, কারণ চালের প্রয়োজন এখন আর নেই।

    তিনি বলেন, দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন, এরপরও কিছু কিছু ভিক্ষুক আছে। তবে শুধু ভিক্ষুক যে বাংলাদেশে আছে তা নয়, অনেক দেশে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ভিক্ষুক আছে। বাংলাদেশে যদি কেউ ভিক্ষুককে এখন দুই টাকা দেই, ভিক্ষুক তাকে দুইটা গালি দেবে। ৫ টাকা দিলে আপাদমস্তক থাকিয়ে দেখবে, মানুষটা কেমন। লাল রঙের ১০টাকার নোট দিলে মোটামুটি খুশি হবে, তবে পুরাপুরি না। এই হচ্ছে আজকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশে কোন ছেঁড়া কাপড় পড়া ও খালি পায়ে মানুষ দেখা যায়না। আগে আমাদের দেশে বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় আসতো, সেগুলো ধোলাই করে হকার্স মার্কেটে বিক্রি হতো। সেগুলো কিনে আমরা পড়ে সাহেব সাজার চেষ্টা করতাম। আর এখন বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোষাক বিদেশে রপ্তানি হয়, আর সেগুলো বিদেশের বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হয়, এবং সেগুলো পড়ে সেখানকার সাহেবরা তাদের সাহেবগিরি ঠিক রাখে, অর্থাৎ পরিস্থিতি এখন উল্টে গেছে।

    যারা ঘর পেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা ঘর পেয়েছেন তারা কখনও চিন্তা করেননি জমিসহ এরকম একটি ঘর পাবে, কিন্তু তারা ঘর পেয়েছেন। এটি কোন সরকার দিয়েছে সেটি মনে রাখতে হবে। এটি দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার, নৌকা মার্কার সরকার, এটি দেশের সবধরনের ভোটের সময়ও মনে রাখতে হবে। ভোটের সময় আসলে অনেক রকমের দল আপনাদের সামনে হাজির হবে, তাদের বলতে হবে কখনো আমাদের খবর নাওনি, বদমাইশরা আবার এসেছো ধোঁকা দিতে, এমন করে তাদের জবাব দিতে হবে।

    তিনি বলেন, যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকে, এখন যে গৃহহীনরা ঘর পেয়েছে তা অন্যরা ক্ষমতায় এলে কেড়ে নেবে। নৌকা মার্কার সরকার ক্ষমতায় না থাকলে অন্য কাউকেও এভাবে আর কেউ ঘর করে দেবেনা।

    প্রধানমন্ত্রীর আহবানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজের নির্বাচনী এলাকায় নিজের ও দলের নেতৃবৃন্দের অর্থায়নে এধরণের কমপক্ষে ৫০টি ঘর করে দেবেন বলেও জানান অনুষ্ঠানে।

  • চট্টগ্রাম নগর আ’লীগ নেতা তারেক সোলায়মানের ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    চট্টগ্রাম নগর আ’লীগ নেতা তারেক সোলায়মানের ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও ৩১ নং আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিমের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ।

    সোমবার ঢাকার একটি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারেক সোলায়মান সেলিমের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সংবাদে শোকাহত তথ্যমন্ত্রী প্রয়াতের আত্মার শান্তিকামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পে প্রাণ সঞ্চার করছেন প্রধানমন্ত্রী : তথ্যমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পে প্রাণ সঞ্চার করছেন প্রধানমন্ত্রী : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন প্রাণ সঞ্চার করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে যেমন স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেবো, তেমনি বঙ্গবন্ধুর হাতে যাত্রা শুরু হওয়া আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পও বিশ্ববাজারে একটি বিশেষ স্থান করে নেবে”।

    তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে গণভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্যদানের জন্য তিনি এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং তথ্যসচিব খাজা মিয়া স্বাগত বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন কুমার মজুমদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    চলচ্চিত্র যেমন জীবনের কথা বলে, তেমনি সমসাময়িক কালকে সংরক্ষণ করে এবং সমাজকে ফুটিয়ে তোলে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী, তখন ১৯৫৭ সালে ৩ এপ্রিল তিনি তার দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল এনেছিলেন, যার ফলে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।’ সেসময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তখন হিন্দি-উর্দু এবং ভারতীয় বাংলা সিনেমা বাংলাদেশের বাজার দখল করেছিল। বঙ্গবন্ধু এই চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা ও অগ্রগতি শুরু। সেই থেকে বহু কালজয়ী ছবি আমাদের দেশে নির্মিত হয়েছে, বহু কালজয়ী শিল্পীর জন্ম হয়েছে এবং আমাদের চলচ্চিত্র বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’ বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শুধু এই চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণালী দিন ফিরিয়ে আনাই নয় বরং আমাদের চলচ্চিত্র যাতে বিশ্ববাজারেও স্থান দখল করে নিতে পারে, সেই লক্ষ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠিত হতে যাচ্ছে, যা থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে বন্ধ সিনেমা হল চালু করা, চালু হলের আধুনিকায়ন করা যাবে এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করা যাবে এবং এর ফলে দেশে চলচ্চিত্র শিল্প একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।

    এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী প্রতি জেলায় যে তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছেন, সেই কমপ্লেক্সগুলোতে সিনেপ্লেক্সও নির্মিত হবে এবং চলচ্চিত্র শিল্পীদের বহুদিনের দাবিকৃত চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী গঠন করে দিয়েছেন, যা থেকে চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে যারা যুক্ত তারা প্রয়োজনে সহায়তা পাবেন।

    করোনা প্রসঙ্গ টেনে ড. হাছান বলেন, ‘শুধু চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন নয়, প্রধানমন্ত্রী এই করোনাকালে যেভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে গবেষণা সংস্থা ব্লুমবার্গের মতে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলা সক্ষমতায় পৃথিবীতে ২০তম এবং উপমহাদেশে সবার ওপরে। পৃথিবীতে মাত্র যে ২২টি দেশ করোনা মহামারির মধ্যে ধ্বনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে, তারমধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। একইসাথে এই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক উন্নয়নশীল দেশের বহু আগেই প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, খুব সহসা এই ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে।’

    বক্তব্য ও পুরস্কার প্রদান শেষে মিলন ও ভাবনার উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন চিত্র তারকা ফেরদৌস, অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহি, সাইমন সাদিক, মৌ, নুসরাত ফারিয়া প্রমুখ শিল্পীবৃন্দ। কণ্ঠশিল্পী অলক সেন, অপু, লিজা ও লুইপা সংগীত পরিবেশন করেন।

    আজীবন সম্মাননায় ভূষিত বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) এবং অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা’র পক্ষে মাসুদ পারভেজ তার প্রতিক্রিয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    আজীবন সম্মাননা ছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ এর অন্যান্য ২৫ টি বিষয়ে বিজয়ী সিনেমা ও ব্যক্তিবর্গ হচ্ছেন-
    শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (যুগ্ম): ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: নারী জীবন, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: যা ছিলো অন্ধকারে, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে: তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে: সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে: এম ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে: নারগিস আক্তার (হোসনে আরা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে: জাহিদ হাসান (সাপলুডু)।

    শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী (যুগ্ম) নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরীন আক্তার (যদি একদিন), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক: হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), শ্রেষ্ঠ গায়ক: মৃনাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো…) (শাটল ট্রেন), শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যুগ্ম): মমতাজ বেগম (বাড়ির ওই পূর্বধারে…) (মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতিমা-তুজ-জোহরা ঐশী (মায়া, মায়া রে…) (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ গীতিকার (যুগ্ম): নির্মলেন্দু গুণ (ইস্টিশনে জন্ম আমার…) (কালো মেঘের ভেলা) ও ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (কবি কামাল চৌধুরী) (চল হে বন্ধু চল…) (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ সুরকার (যুগ্ম): প্লাবন কোরেশী (আব্দুল কাদির) (বাড়ির ওই পূর্বধারে…) ও সৈয়দ মো. তানভীর তারেক (আমার মায়ের আঁচল…) (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: মাসুদ পথিক (মাসুদ রানা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: মাহবুব উর রহমান (ন ডরাই), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)।
    শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: জুনায়েদ আহমদ হালিম (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক (যুগ্ম): মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বাসু ও মো. ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: সুমন কুমার সরকার (ন ডরাই), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ (ন ডরাই), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা: খোন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়) এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান: মো. রাজু (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

  • যারা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেসব ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে -তথ্যমন্ত্রী

    যারা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেসব ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে -তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন যারা নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করেছে, যারা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেই সব ত্যাগী নেতাদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই তৃণমূল পর্যায়ে দল সুসংগঠিত হবে।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল, এ দলে সুযোগ সন্ধানীদের কোন স্থান নেই। যারা দলের জন্য নিবেদিত তাঁরাই আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রাধান্য যেমন পাবেন, তেমনি দলীয় ভাবেও পদ পদবীতে স্থান পাবেন। আগামীতে কোন কাউয়ার স্থান আওয়ামী লীগে হবে না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা হবে।

    শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল ফোরকান আহমদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম।

    তথ্যমন্ত্রী ড, হাছান মাহমুদ বলেন, এক শ্রেণীর লোক আওয়ামী লীগকে ‘নিরাপদ স্থান’ হিসেবে ব্যবহার করতে দলে ঢুকে পড়ছে। যারা অপকর্মে লিপ্ত, যারা অবৈধ আয়ের পথে রয়েছে, যারা অবৈধ আয়ের টাকা রক্ষা করতে মরিয়া মূলত তারাই দলে অনুপ্রবেশকারী। নৌকায় বেশী যাত্রী হলে ডুবে যাবার উপক্রম হয়, তাই আর কোন যাত্রীর দরকার নেই বলেন- তথ্যমন্ত্রী।

    আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন বিষয়ে নেতাদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর সময় দলের জন্য ত্যাগী, বিশ্বস্তদের নাম পাঠাবেন। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

    কক্সবাজার কেন্দ্রিক সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার চিত্র তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারের মানুষ ভাবেনি এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি বিমান বন্দর হবে। স্বপ্নকে হার মানিয়ে উন্নয়ন হচ্ছে। গৃহহীনকে ঘর দেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, কয়েক বছর আগেও কক্সবাজারের এই চিত্র ছিল না। এখানে যেসব উন্নয়ন কাজ হচ্ছে তা অকল্পনীয়। দেড়শ বছর পর দেশের রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আগামী বছর জুন মাস নাগাদ কক্সবাজারেও রেল যোগাযোগ শুরু হবে, সেটা স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে দেশের প্রতিটি মানুষের চেহারার পরিবর্তন হয়েছে। রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আর ছেঁড়া কাপড়, খালি পায়ে মানুষ দেখা যায়না। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে। গ্রামে-গঞ্জেও ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার। তা আওয়ামী লীগের নেতাদের কারণে সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।

    মতবিনিময় সভায় বার বছর আগের উন্নয়ন এবং এখনকার উন্নয়ন চিত্র মানুষের মাঝে তুলে ধরতে তৃণমূলের দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান -তথ্যমন্ত্রী।

  • নির্বাচন আসলে অভিযোগের বাক্স খুলে বসা বিএনপির অভ্যাসগত স্বভাব : তথ্যমন্ত্রী

    নির্বাচন আসলে অভিযোগের বাক্স খুলে বসা বিএনপির অভ্যাসগত স্বভাব : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেকোন নির্বাচন আসলে বিএনপি অভিযোগের বাক্স খুলে বসে, এটা তাদের চিরচারিত নিয়ম। অনেকগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছে, জয়লাভ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নানা অভিযোগ দিয়েছে, যেইমাত্র জয়লাভ করেছে তাদের মুখটা বন্ধ হয়ে গেছে। সুতরাং নির্বাচন আসলে অভিযোগের বাক্স খুলে বসা বিএনপির অভ্যাসগত স্বভাব।

    শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পোর্ট কানেক্টিং সড়কের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শনশেষে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের প্রার্থী, এজেন্ট ও দলীয় নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে এখন থেকে পুলিশ হয়রানি করছে এবং সরকারি দল প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্বাচনগুলো পরিচালনা করছে, জনগণের দৃষ্টিতে তারা অত্যন্ত সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছে। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে। সুতরাং প্রযুক্তি-নির্ভর অন্যান্য নির্বাচনগুলো যেমন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে, এখানেও সেভাবে নির্বাচন হবে।

    বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজকে পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, পাকিস্তানের টেলিভিশনের টক-শোতে আলোচনা হয় আমাদেরকে দয়া করে একজন শেখ হাসিনা দাও, আমাদের দেশকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আর ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশন টক-শোতে ব্যাপক আলোচনা হয়, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জিডিপি গ্রোথ রেটের ক্ষেত্রে এবং মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, দেশ ও সমগ্র পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত হলেও দেশে একটি পক্ষ কখনো প্রশংসা করতে পারে না। প্রতিদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করতে পারেন না। তাদের বুদ্ধি আছে, কিন্তু আমাদের সরকার সম্পর্কে বলার সময় তাদের বুদ্ধি কেন লোপ পায় সেটি বুঝতে পারি না। তারা যেভাবে কথা বলেন, দেশে যে এত উন্নয়ন হয়েছে সেটি তারা দেখতে পান না, চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা থাকবে, তাদের চোখটা অন্ধের মতো কাজ করবে না, চোখ খুলে তারা এসব বিষয় দেখবে, এটিই হচ্ছে জনগণের প্রত্যাশা।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড, হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী, পৌণে এককোটি মানুষের শহর। এই শহরের উন্নয়নের সাথে দেশের উন্নয়নযুক্ত। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে পুরো দেশের উন্নয়ন। সে কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় চট্টগ্রামের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এক বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রকল্প চলমান আছে। চট্টগ্রাম শহরের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি অল্প সময়ে যেসমস্ত কাজ অসমাপ্ত ছিল সেগুলো তিনি ঠিকাদারদের তাগাদা দিয়ে, প্রশাসনিক নানা ব্যবস্থা নিয়ে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছেন। পোর্ট কানেক্টিং রোডসহ আরো কয়েকটি রাস্তা তার অন্যতম উদাহরণ।

    তিনি বলেন, আউটার রিং রোড হয়েছে, এই আউটার রিং রোডের সাথে কানেক্টিং কিছু রোডের প্রয়োজন। বিদ্যমান প্রকল্পের পাশাপাশি সিডিএ নতুন প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে, যাতে আউটার রিং রোডের সাথে অন্তত তিনটি রাস্তা দিয়ে মূল শহরের সংযোগটা হয়।

    কর্ণফুলি বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা আশা করছি আগামী বছর কর্ণফুলি টানেল আমরা চালু করতে পারবো। এটি উপমহাদেশে প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল-রোড। প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান কিংবা নেপালে এরকম টানেল নেই। প্রধানমন্ত্রী যে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দেন এসব কাজ তারই বহিঃপ্রকাশ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামে বে-টার্মিনালের কাজে হাত দেয়া হয়েছে, সেটি নির্মিত হলে প্রকৃতপক্ষে আরেকটি নতুন চট্টগ্রাম বন্দর হবে। বর্তমান চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং অনেক বড় বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এভাবে গত ১২ বছরে পুরো দেশের চিত্র বদলে গেছে।

    এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রাম পোর্ট কানেক্টিং রোড নিয়ে বিগত তিনটি বছর এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে ছিল। গত ছয়মাসে আমরা অনেক যুদ্ধ করেছি, এটা হচ্ছে চট্টগ্রামের লাইফ লাইন, চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে বাকি বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার তালিকার মধ্যে এটি অন্যতম। এটা নিয়ে গোটা দেশ উদ্বিগ্ন ছিল, এখন এটি দৃশ্যমান হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে আর কোন ভাঙা রাস্তাঘাট খুঁজে পাবেন না, ভাঙা রাস্তাঘাট এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।