চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কালারপুল সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ সেতুর উদ্বোধন করেন। এসময় যান চলাচলের জন্য দেশের আরও ৯৯টি সড়ক সেতু উদ্বোধন করা হয়।
চট্টগ্রাম প্রান্তে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শত সেতু উদ্বোধন করা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার। এ রকম ঘটনা কিন্তু হয়নি। সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ, সুন্দরভাবে ব্যবহার করা, এটার নিরাপত্তা দেয়া আপনাদের নিজ নিজ দায়িত্ব। আমি মনে করি এই সেতু নির্মাণের ফলে প্রতিটি অঞ্চলে আর্থ-সামাজিক উন্নতি আরও ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর বিভিন্ন সড়কে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু পুনর্নির্মাণ, ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট নির্মাণ করেছি। বহু সড়ক আজকে আমরা মহাসড়কে রূপান্তর করেছি, যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়। চার লেন বা ছয় লেন করেও সেতু করেছি। কারণ আমরা চাই যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হোক।
সেতুগুলো নির্মাণের ফলে কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। ’
১০০ সেতু উদ্বোধনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫টি, সিলেট বিভাগে ১৭টি, বরিশাল বিভাগে ১৪টি, ময়মনসিংহে ছয়টি, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও রংপুরে পাঁচটি করে, ঢাকায় দুটি ও কুমিল্লায় একটি। ৮৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৫ বছর আগে পটিয়ার কালারপুল সেতু বার্জের (নৌযান) ধাক্কায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। এরপর ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় গার্ডার সেতু।
সেতুটি চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে শিকলবাহা খালের পূর্ব তীরসহ এই জনপদের প্রায় অর্ধশত ভারী শিল্প কারখানার স্থবিরতা কেটে যাবে। ২০০৭ সালে বেইলি সেতু বিধ্বস্ত হওয়ার সাত বছর পর ২০১৪ এখানে আরও একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ওই সময় যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেতুটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে বছর না ঘুরতেই ভেঙে পড়ে সেতুর একাংশ। পরে সেতুটি আবারও নির্মাণ করা হয়।
২৪ঘণ্টা/এনআর