পটিয়া প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব পটিয়ার কৃতি সন্তান ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, স্বাধীনতা না আসলে বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে আসতে পারতো না। তাই স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারী কর্মকর্তাদের দিনে অন্তত এক ঘন্টা করে বেশী কাজ করতে হবে।
শুধু তাই নয়, তিনি এ বর্ষকে অর্থবহ করতে সরকারী কর্মকর্তাদেরকে দিনে অন্তত একজন মানুষকে বিশেষভাবে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে মানবতার অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহবান জানান।
এছাড়াও তিনি পটিয়ার শিক্ষা ডিজিটেলাইজেশন, জলাবদ্ধতা নিরসন, স্যানিটেশন, মাদক নির্মূল ও অনাবাদী কৃষি জমি গুলোকে আবাদযোগ্য করা এবং সরকারী কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান।
তিনি শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পটিয়ায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময়কালে এ আহবান জানান।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: ইলিয়াস হোসেন এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহাঙ্গীর আলম, পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান ডা: তিমির বরণ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু, থানার অফিসার ইনচার্জ মো: বোরহান উদ্দিন সহ বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা গন এতে বক্তব্য রাখেন।
এর পূর্বে তিনি সকাল ১০ টা থেকে পটিয়ার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অপরিকল্পিত অবকাঠামো ও সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, পটিয়া একটি সাবেক মহকুমা সদর, এ এলাকাটি অনেক জ্ঞানী-গুণির জন্মস্থান হিসেবে হাজার বছর ধরে শিক্ষা এবং সংস্কৃতিতে নানাভাবে অবদান রেখেছে। যার গৌরবকে সমৃদ্ধ করতে হলে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি মূখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: ইলিয়াছ হোসেন সহ বিভিন্ন স্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে প্রথমবারেরমতো শুক্রবার নিজ এলাকায় আসলে তাকে পটিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাহাংগীর ভাইস চেয়ারম্যান ডা: তিমির বরণ চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগম শিরু সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা গণ পটিয়ায় স্বাগত জানান।
তিনি পটিয়ার এয়াকুবদন্ডী স্কুল, পটিয়া আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়, মোহছেনা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহ আমির উচ্চ বিদ্যালয়, সুচক্রদন্ডী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল্লাই ওখাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
এর মধ্যে তিনি শাহ আমির উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় বিদ্যালয়টির নানান বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এ সময় এ বিদ্যালয়টির প্রাইমারী সেকশনটি ৩৮ বছরেও সরকারীকরণ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ সময় বিদ্যালয়ের সভাপতি আ ম ম টিপু সোলতান চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক এসএমএকে জাহাঙ্গীর চট্টগ্রাম ১২ আসনের এমপি সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর সহযোগিতায় ৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবনের কাজ এগিয়ে চলার তথ্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি তারা বিদ্যালয়টির উন্নয়নের জন্য তার সহযোগিতা কামনা করে একটি প্রোফাইল এবং পটিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য গ্রন্থ সহ একসেট বই ও একটি সম্মাননা স্মারক তার কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: ইলিয়াছ হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু জাফর চৌধুরী, সরকারী চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল আলিম, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল হক তালুকদারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।