Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • খুনিদের খুঁজে খুঁজে শাস্তি দেব : প্রধানমন্ত্রী

    খুনিদের খুঁজে খুঁজে শাস্তি দেব : প্রধানমন্ত্রী

    সাম্প্রতিক সহিংসতায় খুনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের বিচার করতে হবে, তা না হলে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না।

    রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে গণভবনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমার চেষ্টা থাকবে যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, খুঁজে খুঁজে বের করে তারা অবশ্যই যেন শাস্তি পায়— সেটাই আমার প্রচেষ্টা থাকবে, আমি সেটাই করব।

    তিনি বলেন, মানুষ কি দোষ করল যে এভাবে মানুষ খুন করতে হবে। মানুষ খুন করে সরকার পতন– এটা কবে হয়, কখন হয়, সাধারণ মানুষ কী দোষ করেছে।

    অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে নিহত স্বজনদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদেরও সাহায্য চাই। যদি আপনারা কিছু জানেন আমাদের জানাবেন। কারণ, এভাবে বারবার বাংলাদেশটাকে নিয়ে খেলা এটা আর হতে দেওয়া যায় না। কাজেই আমি আপনাদেরই সাহায্য চাই।

    শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখার মতো এই বর্বরতা, জানোয়ারের মতো ব্যবহার, এটা কি কেউ করতে পারে। একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের লাশ ঝুলিয়ে রাখবে পা বেঁধে, যারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত অবশ্যই তাদের বিচার হবে। তাদের বিচার করতে হবে, তা না হলে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না।

    সরকারপ্রধান বলেন, আপনারা দেখেছেন প্রত্যেকটা জিনিস পুড়িয়ে-জ্বালিয়ে ছারখার করে দিয়েছে, যেখানে মানুষ সেবা পাবে সেই জায়গাগুলো। কোভিড হাসপাতাল থেকে শুরু করে যে যে জায়গায় আমরা মানুষের জন্য কাজ করব সেই জায়গা, প্রত্যেকটা জায়গা একে একে পুড়িয়ে দেওয়া। আর এভাবে গুলি করে মানুষকে মারা।

    স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের তিনি বলেন, আপনাদের কাছে শুধু এটুকু বলব, আপনারা সবর করেন। আর আল্লাহকে ডাকেন যেন এসব খুনি-জালেম এদের হাত থেকে আমাদের দেশটা রেহাই পায়।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের দাবি মানা এবং ধৈর্য ধরে তাদের বোঝানো হয়েছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ধৈর্য ধরে সবসময় তাদের বোঝানো, তাদের সঙ্গে কথা বলা, সব চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজ চারদিকে এই হাহাকার। এটা তো সহ্য করা কষ্টকর।

    তিনি বলেন, যারা আন্দোলন করেছে, তাদের সব দাবিই তো মেনে নিয়েছি। তাতেও নাকি দাবি শেষ হয় না। একটা মানি তো আরেকটা। তারপর আরও দুইটা। আবার চারটা। আবার আটটা। এ কি? বার বার বলেছি যে ঠিক আছে, আমরা দেখছি। যা দাবি সবই তো মানলাম।

    সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যতক্ষণ বেঁচে আছি আপনাদের পাশে আছি। আমি আসলে আপনাদের কী বলে সান্ত্বনা দেব? শুধু এটুকু বলব যে আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা, ভাই হারানো সেই এতিম। কাজেই আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আমি আছি আপনাদের জন্য, আপনাদের পাশে।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বজন হারানোর কথা স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো বুঝি আপনাদের কষ্ট, আপনাদের বেদনা। প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই-বোনদের হারানোর ব্যথা নিয়ে আমাদের চলতে হয়। এমনকি লাশটাও তো দেখতে পারিনি, কাফন-দাফনটাও করতে পারিনি। দেশেও ফিরতে পারিনি, ছয় বছর আসতে দেয়নি আমাকে।

    তিনি বলেন, যখন (দেশে) এসেছি, সারা বাংলাদেশ ঘুরছি। চেয়েছি যেন এ দেশের মানুষের.. আমার বাবা বলতেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাব। আমি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে, এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাবে– এটা তো কাম্য না।

    নিহতদের স্বজনরা গণভবনে আসায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, সবাই এসেছেন কষ্ট করে, দুঃসময়ে। আজ যদি ভালো সময় হতো কত হাসিখুশি করে সবাই যেতে পারতেন। আর এখন আমারও আপনাদের চোখের পানি দেখতে হচ্ছে। এটিই সবচেয়ে কষ্ট।

    বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়।

    রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যরা গণভবনে আসেন। তাদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অশ্রুসিক্ত হতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

    এসময় গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

    নিহত পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সময় অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আমাকে দেখেন, আমি কত শোক নিয়ে বেঁচে আছি।

    এসময় গণভবনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রমুখ।

  • ‘আমাকে দেখেন, আমি কত শোক নিয়ে বেঁচে আছি’

    ‘আমাকে দেখেন, আমি কত শোক নিয়ে বেঁচে আছি’

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় নিহত ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘আমাকে দেখেন, আমি কত শোক নিয়ে বেঁচে আছি’।

    রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যরা রোববার (২৮ জুলাই) সকালে গণভবনে পৌঁছান।

    এসময় প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ-খবর নেন। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় আবেগাপ্লুত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও। প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

    এক রাতে বাবা-মা, ভাইসহ নিজের স্বজন হারানোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি।

    প্রধানমন্ত্রী ৩৪ জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ তুলে দেন।

  • ‘দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র থেকেই এমন তাণ্ডব’

    ‘দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র থেকেই এমন তাণ্ডব’

    দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করার ষড়যন্ত্র থেকেই নাশকতাকারীরা এমন তাণ্ডব চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

    আহতদের চিকিৎসায় সরকার সব ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আহত তাদের সুচিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করবে সরকার। পা হারানোদের জন্য কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করাসহ তাদের রোজগারের সুযোগ করে দেওয়া হবে।

    সহিংসতার পুলিশের ওপর আঘাত করার সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, পুলিশের ওপর আঘাত, মানুষ মেরে ঝুলিয়ে রাখা এ কেমন রাজনীতি।

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় আহতদের দেখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি চিকিৎসাধীনদের খোঁজখবর নেন এবং আহতদের সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

  • দলমত নির্বিশেষে আহত সবার চিকিৎসা ও রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

    দলমত নির্বিশেষে আহত সবার চিকিৎসা ও রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

    সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত নির্বিশেষে আহত সবার চিকিৎসা ও আয় রোজগারের ব্যবস্থা সরকার করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সবই করবে সরকার। আহতরা যেই দলেরই হোক চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার।’

    শুক্রবার আহতদের দেখতে গিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কোটা নিয়ে সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও কেন আন্দোলন শেষ হচ্ছে না? বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা-বর্বতার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’

    এসময় প্রধানমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলজে হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আহত সবার সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।

    এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে সহিংসতার সময় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর অবস্থা দেখতে রাজধানীর মিরপুর ১০-এ মেট্রোরেল স্টেশন এবং শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেন।

  • মেট্রোর ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

    মেট্রোর ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহুল প্রতিক্ষিত মেট্রোরেল প্রকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন। টিকেট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ প্রায় সবকিছুই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এককথায় ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে স্বপ্নের মেট্রো স্টেশনটি।

    আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী। নিজেই পুরো স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। একপর্যায়ে স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী। বারবার নিজের অশ্রু সংবরণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। এ সময় ধ্বংসযজ্ঞকারীদের রুখে দিতে জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

    শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যেই গত ১৮ জুলাই মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটওভার ব্রিজে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই একটি ট্রেন ছুটে যায়। পরে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। একই দিনে পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনেও হামলা হয়। সেখানেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষতি হয়েছে।

    এসব দুর্বৃত্তদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।

    তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্র পৌঁছাতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশ যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে। এ দেশ মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে সেটা ব্যর্থ হতে পারে না।

    তিনি আরও বলেন, যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা। ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রোরেল স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।

    দেশবাসীর কষ্ট লাঘবে সরকার যে উন্নয়ন করছে সেগুলো ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কীসের আন্দোলন। তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে। যা ধ্বংসযজ্ঞকে সুযোগ করে দিচ্ছে।

    তিনি বলেন, গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর উপর এত ক্ষোভ কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল তাদেরকে জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে। এসব তাণ্ডব যারা চালিয়েছে তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে।

  • এ ধরনের একটা আঘাতের আশঙ্কা ছিল : প্রধানমন্ত্রী

    এ ধরনের একটা আঘাতের আশঙ্কা ছিল : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার আশঙ্কা ছিল এ ধরনের একটা আঘাত আসবে। সমৃদ্ধির পথে দেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বিএনপি-জামায়াত জোট এ ধরনের হামলা করতে পারে।

    বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) এডিটরস গিল্ড আয়োজিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক এবং হেড অব নিউজদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) আমাদের নির্বাচন করতে দিতে চায়নি, কিন্তু আমরা নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের পর এটা সবাই মেনে নেবে না, সেটাও আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে দিয়েছি, আমরা সরকার গঠন করেছি। আমার একটা আশঙ্কা ছিল যে, এ রকম একটা আঘাত আসবে।

    তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত চক্র অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, ফলে শত শত মানুষ নিহত ও হাজার হাজার লোক আহত হয়েছিল। বোধগম্য যে এটি (শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ড ও আন্দোলন) একটি গুরুতর ষড়যন্ত্র। আমি এমন কোনো ঘটনা দেখতে চাই না, যা দেশে অস্থিতিশীলতা বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা।

    আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল দেশের স্বাধীনতা এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলমান গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করতে অত্যন্ত আগ্রহী। ছাত্ররা যখন মাঠে ছিল তখন আমি কখনই সেনা সদস্যদের মোতায়েন করতে চাইনি। তারা (ছাত্ররা) ঘোষণা করেছিল যে, তারা চলমান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়, তখন আমরা সেনাবাহিনীকে ডেকেছি।

    তিনি আরও বলেন, আমি কারফিউ আরোপ করতে চাইনি। কারণ দেশ বিগত ১৫ বছর ধরে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যারা দেশের জন্য এই ক্ষতি করেছে, তাদের প্রতিহত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কল্যাণ ও জীবিকা নির্বাহের জন্য যেসব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে তারা তা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সব কাঠামোতে আঘাত করেছে। যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা অবশ্যই গণমানুষ। এখন এসব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করার দায়িত্ব জনগণের। এ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি বা আমরা একা কতটা করতে পারি। সাম্প্রতিক ধ্বংসযজ্ঞের টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটামুক্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি যখন মানা হলো তখন তারা কেন জঙ্গিদের এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিল। কোটা মুক্ত আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে, কেন তারা তাদের দেশে এ ধ্বংসযজ্ঞের সুযোগ দিল।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু।

    সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, আমাদের সময় সম্পাদক মাইনুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাজাহান সরদার, ডিবিসির বার্তা সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির আশীষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, ৭১ টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার এডিটর মোল্লা আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত, আরটিভির মামুনুর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার ভাষণটি সম্প্রচার করবে।

    প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

    প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো একযোগে সম্প্রচার করবে।

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে গত তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকায় সহিংসতা চলছে। যার জেরে মঙ্গলবার মারা গেছেন ছয় জন।

    ২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা দুই সপ্তাহ ধরে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

    এর মধ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতেই ফয়সালা করতে হবে।

    বক্তব্যের এক পর্যায়ে সরকারপ্রধান বলেন, কোটা আন্দোলন করার আগে তো তাদের রেজাল্টগুলো দেখা উচিত ছিলো যে- কোথায় তারা দাঁড়িয়েছে! দ্বিতীয়টি হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি পুতিরা (চাকরি) পাবে?

    ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই বক্তব্য নিয়ে রোববার রাতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গভীর রাতে বিক্ষোভে নামেন।

    তারই জের ধরে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কোটা আন্দোলনকারীদের।

  • প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে : কাদের

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে : কাদের

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আদালয়ের রায় বল প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তনের চেষ্টা চলছে। এর পেছনে একটি মতলবি মহল আছে।

    বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনেও তারা ব্যর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আগেও দেখেছি ২০১৮ সালে সড়ক আন্দোলনের ওপর ভর করে তারা আন্দোলনের ফসল কুড়াতে চেয়েছিল। তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, কত মানুষ যে মারা গেছে। টার্গেট করে নিরীহ মানুষ তারা হত্যা করেছে।

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা এখনো বলছি আজ যে কোটা সংস্কার আন্দোলন বাংলাদেশে চলছে, এই আন্দোলনেরও নেতৃত্ব নিয়েছেন সেই লন্ডনের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তার দল সমর্থন দিয়েছে প্রকাশ্যে। তারেক রহমান প্রতিনিয়ত ২০১৫, ১৬, ১৮ সালের মতো এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তিকে লেলিয়ে দিয়েছে। তাদের সমমনা কিছু দলও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

  • বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতির পিতার ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। পরিবার, পরিজন, বাবা-মা সবার মায়া ত্যাগ করে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় নিশ্চিত করেছেন তারা।

    মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‌‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৪-২৫’ এর নির্বাচিত ফেলোদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা সবচেয়ে বেশি মেধাবী। তাদের সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সেটাই আমাদের কর্তব্য। সেই সুযোগটি আমরা করে দিতে চাই। সেই কারণে ফেলোশিপটা চালু করেছি।

    তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল নির্দিষ্ট করেছি। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। আমাদের জনশক্তি স্মার্ট জনশক্তি হবে। আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

  • শত কোটি টাকার মালিক প্রধানমন্ত্রীর আরেক চাকর মান্নান

    শত কোটি টাকার মালিক প্রধানমন্ত্রীর আরেক চাকর মান্নান

    তার নাম মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকর ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। প্রধানমন্ত্রীর ফাই-ফরমাস করছেন। বাজার হাট করে দিতেন এবং জাহাঙ্গীরের (প্রধানমন্ত্রীর আরেক চাকর) চেয়ে এক ধাপ নিচের হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হতো। সেই মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানও এখন ১০০ কোটি টাকার মালিক। আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান করছে। তবে কুমিল্লা নিবাসী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এখন দেশে নেই। তিনি বিদেশে আছেন।

    জানা গেছে, কানাডায় তার বিপুল সম্পত্তি আছে। সেখানে তিনি বাড়ি করেছেন। তার মেয়েকে কানাডায় পড়িয়েছেন। মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মচারী ছিলেন। তাকে কাজের লোক হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু কাজের লোক হয়ে আস্তে আস্তে আওয়ামী লীগের নেতা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ গোপন ফাইল দেখতেন। আগাম সেই ফাইলের খবর বিভিন্ন জনকে জানিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন। পরবর্তীতে তিনি কুমিল্লা অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন। ঢাকায় তার একাধিক বাড়ি রয়েছে। তবে একটা সময় যখন প্রধানমন্ত্রী জানতে পারেন তার (আব্দুল মান্নান) বিপুল বিত্তের কাহিনি, তখন তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে দেশ থেকে পালিয়ে যান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের মেয়ে কানাডার দামী ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছে। বিপুল পরিমাণ সম্পদ সেখানে পাচার করা হয়েছে। কানাডা ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের সম্পত্তি আছে বলে জানা গেছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, জাহাঙ্গীরের মতো মোহাম্মদ আব্দুল মান্নানের যখন অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তথ্য পায় তখনই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্যক্তিগত কর্মচারী থেকে বাদ দেন। তাকে গণভবনে ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে তদন্তগুলো হয়েছিল সেই তদন্তগুলো তিনি প্রধানমন্ত্রীর একদা ঘনিষ্ঠ এরকম একটা ধারণা দিয়ে বাধাপ্রাপ্ত করেছিলেন। এরপর তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যান।

    দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এবং তার স্ত্রীর নামে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তার বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি টাকা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই টাকা সবই বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    উল্লেখ্য যে, আব্দুল মান্নান প্রধানমন্ত্রীর চা সরবরাহকারী, বাজার করার সূত্রে প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে যেতে পারতেন এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ফাইলগুলো দেখতেন। বিশেষ করে বিভিন্ন পদোন্নতি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইলগুলো দেখে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিভিন্ন ব্যক্তিকে অবহিত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ব্লাকমেইল করা, ব্যবসায়ীদের গোপন তথ্য দেয়ার মাধ্যমেও বিত্তবান হয়েছিলেন আব্দুল মান্নান। অবশ্য এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে এর আগেও তদন্ত হয়েছে এবং এ সমস্ত তদন্তের পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিচ্যুতি করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আব্দুল মান্নান প্রধানমন্ত্রীর চাকর হিসেবে বহিষ্কৃত হবার পরও বেশ কিছু ধরে অনিয়ম করেছিলেন। তারপর যখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয় তখন তা টের পেয়ে তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

  • তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে যারা নিজেদের রাজাকার বলতে লজ্জা পায় না তারা কোন চেতনায় বিশ্বাস করে? এমনটাই প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে মন্ত্রণালয়-বিভাগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

    দুর্নীতিবাজদের ক্ষমা করা হবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের বদনাম নিয়ে ভাবি না, দুর্নীতি করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি রোধে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জবাবদিহিতা না থাকলে কাজ সঠিকভাবে শেষ হয় না। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।

    তিনি আরও বলেন, সব দিকে নজরদারি রাখতে হবে। সরকারি কাজে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে পুরস্কৃত করা হবে।

  • ফুটবলের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    ফুটবলের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ফুটবল জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা প্রসারের লক্ষ্যে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

    শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতেন, আমার ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালও ফুটবল খেলতেন। এখন আমাদের নাতি নাতনীরাও ফুটবল খেলছে। দেশের এই জনপ্রিয় খেলার উন্নতির লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা সরকার অব্যাহত রাখবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার চর্চা গড়ে ওঠে। এতে নিজেকে দেশের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেকে দেশের জন্য প্রস্তুত করে তোলা যায়। এ জন্য প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হচ্ছে। সময় পেলে আমি নিজেও ফুটবল খেলা উপভোগ করি।

    এই আয়োজনের জন্য বিএবিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা এগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা না করলে হয় না। এমন আয়োজনের মাধ্যমে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে, যাতে করে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হতে পারে বিশ্ব-পরিমণ্ডলে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে খেলাধুলা ঠিক মতো না করলে কীভাবে চলবে? এজন্য প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। একদিন আমাদের খেলোয়াড়রাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পারদর্শিতা দেখাবে।

    তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার চর্চাও গড়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ফুটবল খেলা হয়েছে। এছাড়া আমার দাদা ফুটবল খেলতেন, বাবাও খেলতেন, ছোট ভাইয়েরা খেলত, এখন নাতিরাও দেখছি ফুটবলই খেলে। ভোরে নামাজ পড়ার পর সময় পেলে নিজেও ফুটবল খেলা দেখি।