Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে সে দেশে তিন দিনের দ্বিপাক্ষিক সফর শেষে বেইজিং থেকে ঢাকা ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট (বিজি-১৭০৪) বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

    এর আগে ফ্লাইটটি চীনের স্থানীয় সময় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসে।

    বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত অবস্থানকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করেন।

    সফরের শেষ দিন ১০ জুলাই বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দু’দেশ ২১টি সমঝোতা স্মারক সেই করে এবং সাতটি প্রকল্পের ঘোষণা দেয়।

    প্রধানমন্ত্রী এর আগে এদিন সকালে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গ্রেট হল অব দ্য পিপল প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীকে চীনের প্রধানমন্ত্রী স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকেলে বেইজিং পৌঁছান।

  • টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

    টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী জীবনের মৌলিক অংশ হিসেবে স্বীকৃত। টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পরিবার পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

    আগামীকাল ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেয়া আজ বুধবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা সেবাগ্রহীতার হার বৃদ্ধি পেলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমে, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ রোধ হয়। সন্তান কম থাকলে স্বল্প আয়েও আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকা যায়। পরিকল্পিত পরিবার খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মানবাধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে পরিবার পরিকল্পনার বিকল্প নেই।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটি দক্ষ ও পরিকল্পিত জনকাঠামো বিনির্মাণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহীতার হার বৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা, পরিকল্পিত পরিবার গঠন, মা ও শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, প্রসবকালীন এবং প্রসব পরবর্তী সেবা, বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ মাতৃত্ব, কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য, নারী শিক্ষা ও নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসমূহে সার্বক্ষণিক প্রসূতি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মিডওয়াইফ নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠকর্মীগণ ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সেবাকেন্দ্রগুলো এবং জাতীয় পর্যায়ের ৩টি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, কৈশোরকালীন প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা এবং পুষ্টিসেবা ও পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে। এর ফলে এক মাসের কম বয়সি শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২০ জনে ও মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লাখে ১৩৬ জনে নেমে এসেছে।

    তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারীদের বাদ দিয়ে এদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র এবং জনজীবনের সব ক্ষেত্রে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জেন্ডার সমতা অর্থাৎ নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারী উন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নারী ও কন্যা শিশুর অধিকার এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ সনদ, বেইজিং প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনসহ সব আন্তর্জাতিক সনদ ও পদক্ষেপ অনুসরণ করে আমাদের সরকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজের সকল পর্যায়ে নারী ও কন্যা শিশুর গঠনমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। বাল্যবিবাহ রোধ আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে যথাযথ উপাত্ত সংগ্রহ করে বাল্যবিবাহ নিরোধ করার জন্য আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।’

    তিনি বলেন, ‘আমি সুস্থ-সবল জাতি গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পিত পরিবার গঠনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় ও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন, সকলে মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ তথা জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’

    প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

  • চীন-বাংলাদেশ একসঙ্গে হাত মেলালে বিশাল কিছু অর্জন সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

    চীন-বাংলাদেশ একসঙ্গে হাত মেলালে বিশাল কিছু অর্জন সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

    চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন চীন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে ওয়ার্ল্ড সামিট উইং-এ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানের সময় এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

    সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য উৎকৃষ্ট জায়গা, এমন অবস্থায় চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশি বেশি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই উপযুক্ত সময়। চীন-বাংলাদেশ একসঙ্গে হাত মেলালে বিশাল কিছু অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

    বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ীদের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে নিজেদের অংশীদার খুঁজে নিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

    সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে।

    এসময়, চীনের সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্য বাংলাদেশ আরও বাড়াতে চায় বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    সম্মেলনে বাংলাদেশ ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে ১৬টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। যেখানে চারটি সমঝোতা স্মারকের অধীনে বাংলাদেশে ৪৯০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি সম্মেলনে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বেসরকারি খাতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    যেসব সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে
    নগদ ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মের ডিজিটাল আর্থিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হবে বাংলাদেশে।

    বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়াগের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে ডিইএক্স বাংলাদেশ টেক লিমিটেডও ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মধ্যে।

    মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৩৩ একর জায়গাজুড়ে বৃহত্তম পিএসএফ ও পেট বোতল উৎপাদন কারখানা টেক্সটাইল গ্রেড কারখানা স্থাপনের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য দেশবন্ধু গ্রুপ কেমটেক্স ও চায়না কেমিকেল সিএনসিইসি’র মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।

    চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) ও নিংবো সিক্সিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে বাংলাদেশ চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে বিনিয়োগ অবকাঠামোবিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

    দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনের জন্য বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন লিমিটেডে ও সিএইচটিসি (হেংইয়াং) ইন্টেলিজেন্ট ইভি কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে একটি সমেঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

    বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশনের সঙ্গে নিংবো সান ইস্ট সোলার কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে সিলেটে সোলার পার্ক স্থাপনের জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

    বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। এর মধ্যে হেশেং (হোশাইস) সিলিকন ইন্ডাস্ট্রি কো. লিমিটেডের সঙ্গে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং ঝোংকে গুয়োরুই (ঝুহাই) নিউ ম্যাটেরিয়াল টেকনোলজি কো. লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে ওয়েস্ট লুব্রিক্যান্ট অয়েল রিকভারি অ্যান্ড রিফাইনিং বিষয়ে।

    ঢাকা শহরের জন্য মোবাইক প্রকল্প নিয়ে ইবি সলিউশন লিমিটেড ও হংজি ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

    স্মার্ট কোল্ড চেইন লজিস্টিক সলিউশন নিয়ে ইবি সলিউশন লিমিটেড ও নিংবো শেরিং নিউ এনার্জি টেকনোলজি লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।

    স্থল ও জলপথে সিএনজি পরিবহণে কারিগরি ও আর্থিক বিনিয়োগ খাতে ২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি এবং শিঝুয়াং এনরিক গ্যাস ইকুইপমেন্ট কো. লিমিটেডের (সিআইএসমসি এনরিক) মধ্যে।

    এককভাবে সর্বোচ্চ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ নিটল নিলয় গ্রুপ। জিবো জিনহুয়াটেং পেপার মেশিনারি কো. লিমিটেড, চায়নার সঙ্গে পেপার মেশিনারি খাতে বিনিয়োগ; ঝেংঝো ডংফেং মিড-সাউথ এন্টারপ্রাইজ কো. লিমিটেড, চায়নার সঙ্গে টিবিআর টায়ার প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং শ্যাংডং সুনাইট মেশিনারি কো. লিমিটেড, চায়নার সঙ্গে অ্যারিয়েটেড অটোক্লেভ কংক্রিট (এএসি) ব্লক খাতে বিনিয়োগের জন্য সমঝোতা করেছে কোম্পানিটি।

    এ ছাড়া রাবার মেশিনারি খাতে বিনিয়োগের জন্য নিটল নিলয় গ্রুপ সমঝোতা স্মারক সই করেছে দালিয়াম হুয়াহান রাবার অ্যান্ড প্লাস্টিক মেশিনারি কো. লিমিটেডের সঙ্গে। আর লিথিয়াম ব্যাটারি ও ইলেকট্রিক যানবাহনের জন্য তারা সমঝোতা স্মারক সই করেছে জেডপি টেকনোলজিস (আনহুই) কো. লিমিটেডের সঙ্গে।

  • চীনা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    চীনা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই সময়, আমরা এক সঙ্গে অনেক কিছু অর্জন করতে পারি।

    চীন সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে বেইজিংয়ের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সুবিধা’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

    যৌথভাবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) সাংগ্রিলা হোটেলে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

    বিনিয়োগের জন্য চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের প্রধান সেক্টরগুলোকে বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অবকাঠামো, জ্বালানি ও লজিস্টিক সেক্টরে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।

    এছাড়া বাংলাদেশের সম্ভবনাময় সেক্টর তথ্য-প্রযুক্তি, পর্যটন, কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প এবং উন্নয়ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ নিয়ে আসতে চীনা উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেক্টরেও চীনা বিনিয়োগের বিপুল সম্ভবনা রয়েছে।

    তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, চীন এখানে রিয়েল স্টেট ও সেবা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। এসব সেক্টরের বাইরেও চীনা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা অনুসন্ধান করার আহ্বানও জানান তিনি।

    বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগে আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সক্রিয়ভাবে তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। স্টার্ট আপদের প্রণোদনা, টেক পার্কে বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা তৈরিকে উৎসাহিত করছে।

    তিনি বলেন, আমাদের তরুণ উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ভালো করছে। আমরা আপনাদের আমাদের এই রোমাঞ্চকর যাত্রার অংশ হওয়ার আহ্বান জানাই।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং গ্রিন টেকনোলজিতে প্রচুর সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি।

    বাংলাদেশের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সব আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিবহন রুটের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি কানেকটিভিটি রয়েছে। এছাড়াও আমরা দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব-এশিয়ার কেন্দ্রে।

    বন্দর ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অব্যাহতভাবে আমাদের সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর এবং স্থলপথগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করে যাচ্ছি।

    বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজারের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    বাংলাদেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসা লাভজনক করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ অঞ্চলে বাংলাদেশের বিনিয়োগের পরিবেশ সবচেয়ে উদার।

    সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৮ হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্প ও বিনিয়োগের জন্য এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল ভালোভাবে প্রস্তুত।

    বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সহজ ও সুন্দর করতে সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য করে গড়ে তোলা। এ লক্ষ্য অর্জনে পদ্মা বহুমুখী সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল চালুসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প এবং দেশব্যাপী বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট চালুসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে সস্তা ও দক্ষ জনশক্তি, আইটি ফ্রিল্যান্সারের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

    ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সুবিধা’ শীর্ষক এ সম্মেলনে বাংলাদেশ ও চীনের কয়েকশ উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী অংশ নেন।

    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাণিজ্যবিষয়ক চীনা ভাইস মিনিস্টার লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টং জোউ, এইচএসবিসির চীনা প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।

    বক্তারা দুই দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

    বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে একটি তথ্য চিত্র তুলে ধরেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

    পরে বাংলাদেশ ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

  • বেইজিং পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    বেইজিং পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে তিনি বেইজিং পৌঁছান।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

    এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।

    প্রধানমন্ত্রীর সফর নি‌য়ে গতকাল রোববার এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, সরকারপ্রধা‌নের সফ‌রে দুই দে‌শের ম‌ধ্যে ২০‌টি সম‌ঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে। এ ছাড়া কিছু প্রকল্প ঘোষণারও কথা র‌য়ে‌ছে।

    কোন কোন বিষ‌য়ে সম‌ঝোতা হ‌তে পা‌রে তা জা‌নি‌য়ে হাছান মাহমুদ ব‌লেন, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।

    আগামীকাল ৯ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিন প্রধানমন্ত্রী সাং-গ্রি-লা সার্কেলে ‘সা‌মিট অন ট্রেড, বিজ‌নেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচু‌নি‌টিজ বিটুইন বাংলা‌দেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ওইদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াঙ হুনিনেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জানা‌বেন।

    ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপর দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

    একইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এছাড়া সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থটির চীনা ভাষায় অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন কর‌বেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন প্রদান করে যাবে।

    আগামী ১১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফিরে আসবেন।

  • চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

    চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

    চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (সোমবার) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব গুল শাহানা এ তথ্য জানিয়েছেন।

    চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় বিমান‌টি প্রধানমন্ত্রী‌ ও তার সফর সঙ্গী‌দের নি‌য়ে বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ কর‌বে। বিমানবন্দ‌রে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

    প্রধানমন্ত্রীর সফর নি‌য়ে রোববার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ের আয়ো‌জিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ হানান, সরকারপ্রধা‌নের সফ‌রে দুই দে‌শের ম‌ধ্যে ২০‌টি সম‌ঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে। এ ছাড়া কিছু প্রকল্প ঘোষণার কথা র‌য়ে‌ছে।

    কোন কোন বিষ‌য়ে সম‌ঝোতা হ‌তে পা‌রে তা জা‌নি‌য়ে হাছান মাহমুদ ব‌লেন, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।

    আগামী ৯ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিন প্রধানমন্ত্রী সাং-গ্রি-লা সার্কেলে ‘সা‌মিট অন ট্রেড, বিজ‌নেস অ্যান্ড ইন‌ভেস্ট‌মেন্ট অপরচু‌নি‌টিজ বিটুইন বাংলা‌দেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ওইদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াঙ হুনিনেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। ওইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জানা‌বেন।

    ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপ‌স্থি‌তি‌তে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপর দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

    ১০ জুলাই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এছাড়া সরকারপ্রধান সফ‌রের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’ গ্রন্থটির চীনা ভাষায় অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন কর‌বেন।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন প্রদান করে যাবে।

    আগামী ১১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীন থে‌কে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হ‌বেন।

  • আজ চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    আজ চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৮ জুলাই) সকালে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশে চার দিনের সফরে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এই সফর দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত বিস্তৃত সহযোগিতা অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইট আজ বেলা ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। বিমানটির বেইজিং সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী ৮-১১ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে ১০ জুলাই চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন। বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের এই দ্বিপাক্ষিক সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০টি থেকে ২২টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    রোববার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ সফরকালে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি ও দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগের সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

    তিনি বলেন, সফরকালে দুই দেশের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনেরও ঘোষণা করা হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। সে সময় দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে পৌঁছেছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে বেইজিং সফর করেছিলেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার চীন সফর করেছেন। দুই দেশ আগামী বছর তাদের প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। বিগত ২১-২২শে জুন তার শেষ ভারত সফরের ১৫ দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন এই চীন সফর হতে যাচ্ছে।

    শেখ হাসিনার চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে ৯ জুলাই এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী চীনের বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে চীনের ওয়ার্ল্ড সামিট উইং-এ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। একই দিন বিকেলে, বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ প্রধানমন্ত্রী ও কনসাল্টেটিভ পার্টির প্রেসিডেন্ট মি. ওয়াং- এর মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী পরে তিয়েনানমেন স্কয়ারে পিপলস হিরোদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।

    ১০ জুলাই, প্রধানমন্ত্রী ও চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার লি কিয়াং-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)সহ বেশ কিছু নথিতে স্বাক্ষর করা হবে। পরে তিনি একই স্থানে চীনের স্টেট কাউন্সিলের প্রিমিয়ার আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় যোগ দিবেন। বিকেলে, প্রধানমন্ত্রী বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

    চীন সফর শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে (বিজি১৭০৪) বেইজিং সময় ১১ জুলাই বেলা ১১টায় দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ফ্লাইটটি একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যাবেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিবসহ অন্যান্য সচিব ও সরকারের উচ্চর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।

  • একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘একুশে পদক ২০২৪’ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে জাতি বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ‘অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করবে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেওয়া টাকার পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০২০ সালে তা বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়েছে।

    এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি সরকার নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ‘একুশে পদক’র জন্য ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের নাম ঘোষণা করে। এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে দুজন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় দুজন, ভাষা ও সাহিত্যে চারজন এবং শিক্ষায় একজন বিশিষ্ট নাগরিক এ পুরস্কার পেয়েছেন।

    ভাষা আন্দোলন বিভাগে পুরস্কারের জন্য মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়ার (মরণোত্তর) নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শিল্পকলা বিভাগে সংগীত ক্যাটাগরিতে জালাল উদ্দীন খা (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ (মরণোত্তর), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্রদেব, নৃত্যকলা ক্যাটাগরিতে শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয় ক্যাটাগরিতে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তি ক্যাটাগরিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালিদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলা ক্যাটাগরিতে শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং ক্যাটাগরিতে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবা বিভাগে মো. জিয়াউল হক, রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষা বিভাগে প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু-এ পুরস্কার পেয়েছেন।

    ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কার প্রদান করে। ২০২৩ সালে ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক দেওয়া হয়।

  • দেশের সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিন

    দেশের সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিন

    প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কিছু লোক দেশের অগ্রগতি ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা চায় না। তারা এখন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেশের সমৃদ্ধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে।

    রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিউনিখে ইউরোপ প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেসব দেশে অবস্থান করছেন সেসব দেশের রাজনীতিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাদের বিদেশি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সারা বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি প্রবাসীদের বাংলাদেশে ব্যক্তিগতভাবে বা বিদেশি অংশীদারদের সাথে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, এভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলাদেশ এবং এর জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

    দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়ন নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে এবং ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে যাত্রা শুরু করবে। সুতরাং, প্রবাসী বাংলাদেশিরা একটি উন্নয়নশীল দেশের দিকের যাত্রাকে মসৃণ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।

    এ সময় তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রত্যেককে দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বর্ণনা করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

    এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • জেলেনস্কির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

    জেলেনস্কির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

    মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (এমএসসি) ২০২৪-এর ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কনফারেন্স ভেন্যু হোটেল বেইরিশার অব-এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠকে উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

    একই স্থানে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী এর আগে সকালে সম্মেলনস্থলে নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

    তার আগে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কাতার ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছেন। সফর শেষে শেখ হাসিনা রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মিউনিখ ত্যাগ করবেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।

  • অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সেই অর্থ জলবায়ু তহবিলে দিন

    অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সেই অর্থ জলবায়ু তহবিলে দিন

    অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সেই অর্থ জলবায়ু তহবিলে দেওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বিশ্বনেতাদের কাছে ছয় দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের জন্য সম্পদের সংস্থান করা দরকার। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মানবতার অস্তিত্ব যখন হুমকির মুখে পড়বে, তখন সংকীর্ণ স্বার্থ রক্ষার পথ অনুসরণ করলে তা কোনো সুফল বয়ে আনবে না।

    শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিতে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স ২০২৪-এ ‌‘ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট: স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি তার প্রস্তাবিত পরামর্শে এসব কথা বলেন।

    ছয়টি পরামর্শ তুলে ধরার সময় তার প্রথম পরামর্শ উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সঠিক পথে রাখতে জলবায়ু অর্থায়নের বরাদ্দ ছাড় করার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে পরিকল্পনার ভিত্তিতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দুই বছরে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে হবে।

    তিনি বলেন, এই বছরের শেষ নাগাদ, আমাদের সবাইকে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে বিশেষ করে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে ২০২৫-পরবর্তী একটি নতুন জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একমত হতে হবে।

    তার দ্বিতীয় প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বকে যুদ্ধ ও সংঘাত, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নির্মম হত্যাকাণ্ড থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে যা গাজা ও অন্যত্র বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করছে।

    তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সংঘাতের অনুভূতির বোধ থেকেও অনেক দূরে অনুভূত হয়।

    তার তৃতীয় পরামর্শে তিনি বলেন, জলবায়ুর প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য অর্থায়নের তীব্র ভারসাম্যহীনতা দূর করার জন্য অভিযোজন অর্থায়নের বর্তমান পর্যায় অন্তত দ্বিগুণ করা প্রয়োজন।

    এ লক্ষ্যে অভিযোজনে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ইউরো প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে ধন্যবাদ জানান।

    চতুর্থ পরামর্শে তিনি বলেন, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থ প্রাপ্তি সুগম করার জন্য দীর্ঘকালের অমীমাংসিত সমস্যাটি তাদের সক্ষমতায় বিনিয়োগ করার সুযোগসহ সমাধান করতে হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে অর্থায়ন পাওয়ার জন্য আমাদের শুধু দুটি যোগ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং আরও দুটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    তার পঞ্চম পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অর্থায়নের ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ঋণের বোঝা দূর করতে তাদের জন্য অনুদান ও সুবিধাজনক ঋণ লাভের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থপূর্ণ ফলাফল দেখাতে হবে।

    সর্বশেষ ও ষষ্ঠ পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু কর্মসূচি জন্য বেসরকারি পুঁজি প্রবাহের জন্য সরকারগুলোকে সঠিক পরিকল্পনা, নীতি ও ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রকল্পগুলোর জন্য বেসরকারি পুঁজি আকৃষ্ট করার জন্য উদ্ভাবনী, মিশ্র অর্থায়নের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

    তিনি বলেন, এটি সুস্পষ্ট যে, বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ ছাড়া জলবায়ু অর্থায়নের বিপুল পরিমাণ ঘাটতির কার্যকর সমাধান করা যাবে না।

    শেখ হাসিনা বলেন, সকলেই জলবায়ু প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনে বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নের বর্তমান মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে।

    তিনি বলেন, দুঃখের বিষয়, প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়ন এখনও গুরুতরভাবে অপর্যাপ্ত। ‘জলবায়ু অর্থায়ন’ এবং এর অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতির বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত সংজ্ঞার অনুপস্থিতির কারণে এটি আরও জটিল।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ২০০৯ সালে কোপেনহেগেনে কপ-১৫ চলাকালে শেষ মুহূর্তের সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন যে, আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করা বেশ কঠিন হবে।

    দেশে ফিরে যাওয়ার পর, তিনি স্থানীয়ভাবে অভিযোজন প্রকল্প গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নেন।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এখন স্থানীয়ভাবে পরিচালিত জলবায়ু অভিযোজনের একটি পরীক্ষাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৪৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে প্রায় ৮০০ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, সবগুলোই নিজস্ব সম্পদ থেকে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে

    , আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রতি বছর যে ৭-৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন তার তুলনায় এটি এখনও অপর্যাপ্ত।

    তিনি বলেন, বিষয়গুলোকে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনায় রাখার জন্য, জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) অনুসারে প্রভাব প্রশমনের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন প্রয়োজন বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, অভিযোজনের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক ২১৫-৩৮৭ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। এটা সুস্পষ্ট যে, অর্থায়নের বিপুল ব্যবধান বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড চালু করার মাধ্যমে দুবাইতে কপ-২৮ একটি ইতিবাচক যাত্রা শুরু করেছে।

    তিনি বলেন, আমরা সন্তুষ্ট যে, তহবিলের জন্য ৭৯২ মিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আমরা আশা করি যে, তহবিলে অতিরিক্ত প্রতিশ্রুত অর্থ দেওয়া হবে।

    অর্থায়নের সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে এখন লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের গভর্নিং বোর্ড গঠিত হয়েছে। তিনি প্যারিস চুক্তির নীতিমালা দ্বারা তহবিল পরিচালিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ওডিএ এবং অন্যান্য ধরনের জলবায়ু অর্থায়নের বাইরে তহবিল অবশ্যই নতুন ও অতিরিক্ত অর্থ পাবে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অর্থ সংস্থান করা হয় না।

    তিনি বলেন, তহবিলের পরবর্তী কাজ হল কার্যকর প্রকল্পের জন্য অর্থ ছাড় করা শুরু করা। তহবিল তাদের কাছে পৌঁছানো উচিত যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

    সরকারপ্রধান বলেন, অর্থ ছাড় প্রক্রিয়া সহজ ও নমনীয় করা উচিত। আমরা আশা করি যে, তহবিলের পরিচালনা পর্ষদ এলডিসি এবং সিডস প্রতিনিধিদের মতামতের বিষয়ে যথাযথ মনোযোগ দেবে।

    তিনি আরও বলেন, আমি অবশ্যই বাংলাদেশকে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের সহায়তার প্রথম প্রাপক হিসেবে দেখতে চাই।

    নিজের দেশ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণে আমাদের অবদান নগণ্য (বৈশ্বিক নির্গমনের ০.৪৭%-এর কম) হলেও তার দেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে।

    তিনি বলেন, এটা অনুমান করা হয় যে, এখন থেকে ২০৫০ পর্যন্ত, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের বার্ষিক জিডিপি ক্ষতি হবে ২%, এবং এই হারে ২১০০ সালের মধ্যে, ক্ষতি ৯% পর্যন্ত হবে। আরও অনুমান করা হয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের প্রায় ১৩.৩ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন এবং সহিষ্ণুতার জন্য বার্ষিক বাজেটের প্রায় ৪.৬ শতাংশ এবং জিডিপির ০.৭৪ শতাংশ ব্যয় করে, যার ৭৫ শতাংশ আসে অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে।

    বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড ২০০৯ সালে নিজস্ব সম্পদ থেকে গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তহবিল এ পর্যন্ত প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে ৮০০টিরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।

  • পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তির উদ্যোগ

    পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তির উদ্যোগ

    দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্য- প্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে ১০ দেশের সঙ্গে আইনগত সহায়তা চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বুধবার প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থপাচার রোধে বর্তমানে বাংলাদেশে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ বলবৎ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের গত ২৬ নভেম্বর যা সংশোধিত হয়। এই আইনের বিধান অনুসারে বৈধ বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বা সম্পত্তি নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদেশে পাচারকে মানিলন্ডারিং অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মানিলন্ডারিং অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪ (চার) বছর এবং সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এর অতিরিক্ত অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা ও সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ মূল্যের সমপরিমাণ বা ১০ লাখ টাকা (এর মধ্যে যা অধিক) অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা সহজ করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পারস্পরিক আইনগত সহযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা আইন, ২০১২ জারি করা হয়েছে। এই আইনের আওতায় অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এছাড়া, এটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে বিদেশে পাচার করা সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে গঠিত টাস্কফোর্স পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্য- প্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে প্রাথমিকভাবে ১০ দেশের সঙ্গে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা চুক্তি সইয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাচার করা অর্থ উদ্ধারের বিষয়ে একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় সমন্বয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদনের পর ওই কৌশলপত্রের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পাচার করা অর্থ উদ্ধারের বিষয়ে বিএফআইইউ কর্তৃক একটি গাইডলাইন্স প্রণয়ন করা হয়েছে, যা জাতীয় সমন্বয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।’

    শিগগির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশগুলোতে ২০২৪ সালে মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসা, দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় এবং খাদ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য সরকারি উদ্যোগের প্রভাবে শিগগির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করা যায়। পরিশেষে বলা যায়, সামষ্টিক অর্থনীতিতে নানান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।’