Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • ফেব্রুয়ারিতে জার্মানি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    ফেব্রুয়ারিতে জার্মানি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানির মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে যোগ দিতে জার্মানি যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানি ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে জার্মানি যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সাইডলাইনে দেশটির চ্যান্সেলরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়, তবে আলোচনা চলছে।

    বৈঠক প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। আমার কাছে সেই শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।

    তিনি বলেন, বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। শুধু জার্মানি ও ফ্রান্সের সরকারপ্রধানের অভিনন্দন বার্তার লিখিত কপি আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রদূত।

    গতকাল বুধবার পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সলজ। এক অভিনন্দন বার্তায়, প্রধানমন্ত্রীর শক্তিশালী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি ও সফলতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন চ্যান্সেলর।

    এর আগের দিন ২৩ জানুয়ারি গণভবনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর একটি অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

  • প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত হুইপরা

    প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত হুইপরা

    সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে নবনিযুক্ত হুইপরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাস ভবন গণভবনে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    অন্য হুইপরা হলেন— ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩ আসন), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২ আসন), মো. নজরুল ইসলাম বাবু ( নারায়ণগঞ্জ-২ আসন), সাইমুম সরওয়ার কমল (কক্সবাজার-৩) এবং মাশরাফী বিন মুর্তজা (নড়াইল-২ আসন)।

    চিফ হুইপ ও হুইপের কাজ

    চিফ হুইফ হলেন সংসদে সরকারি দলের মুখপাত্র। চিফ হুইপের সঙ্গে কয়েকজন হুইপ থাকেন। তারা সবাই সংসদ সদস্য। চিফ হুইপ ও হুইপের প্রধান কাজ সংসদে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করা।

    হুইপের দায়িত্বের মধ্যে আরও রয়েছে- নিজ দলের সদস্যদের পার্লামেন্ট বা আইনসভায় নিয়মিত হাজির করার ব্যবস্থা করা, সংসদে কোনো বিল উত্থাপিত হলে দলীয় সব সদস্যরা যেন দলের পক্ষে ভোট দেন তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদাক্রম অনুযায়ী, চিফ হুইপ পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদা ভোগ করেন। আর হুইপ ভোগ করেন প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা।

  • স্বতন্ত্র এমপিদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    স্বতন্ত্র এমপিদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

    তিনি জানান, আগামী ২৮ জানুয়ারি (রোববার) সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটের দিকে সরকারি বাসভবন গণভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সকল সতন্ত্র সংসদ সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন সতন্ত্রদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

    প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২২৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যাদের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টির আসন অর্ধেকের বেশি কমে নেমেছে ১১টিতে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

    এদিকে, বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে নতুন মন্ত্রিসভায়। নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি বিদায়ী মন্ত্রিসভার অনেকেই। আর প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছেন ১৪ জন। নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য ৩৭ জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ শপথ নিচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ইতোমধ্যে ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

  • কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধিকারীদের খুঁজে বের করা হবে

    কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধিকারীদের খুঁজে বের করা হবে

    কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধিকারীদের খুঁজে বের করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জরুরি সভার স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, অস্বাভাবিকভাবে ও দুরভিসন্ধি করে যারা পণ্য মজুত করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দেশে আর কখনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।

    বাজার নিয়ে কেউ যেন কোনো খেলা খেলতে না পারে, সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

    তিনি আরও বলেন, দল ক্ষমতায় থাকলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে, সেটা এবার প্রমাণিত হয়েছে। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা অন্য পথে হাঁটছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছি। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এবারের নির্বাচন নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটেছে। এখন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলিতা দরকার। ভোট হতে দেবে না, ভোটার যেতে দেবে না— এমন হুমকির পরও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।

    তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল দেশের মানুষ। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা পেয়েছে মাত্র ৩০ আসন। এরপর থেকে তারা দেশজুড়ে সহিংসতা, অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। নির্বাচন করবে না সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু এ দেশের মানুষ নির্বাচন গ্রহণ করেছে। অথচ কিছু আঁতেল ভোট নিয়ে ধুম্রজাল তৈরির চেষ্টা করছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম কমার কথা, কেন বাড়লো সেটাই প্রশ্ন। কেউ যদি অবৈধভাবে মজুদ করে থাকে, তাকে সাজা পেতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন, নির্বাচন কীভাবে করব— সেটা নিয়ে সভায় আলোচনা হবে। দেশের একটা গোষ্ঠী অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে। কিন্তু এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হতে দেওয়া হবে না। অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

  • হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    হস্তশিল্প পণ্যকে বর্ষপণ্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিফ) ২০২৪ উদ্বোধনকালে তিনি এ ঘোষণা দেন।

    তিনি বলেন, প্রতিবছর একটি পণ্যকে বর্ষপণ্য করে দেই। এবার হস্তশিল্প জাত পণ্যকে ২০২৪ সালের বর্ষপণ্য হিসাবে ঘোষণা করছি। কারণ এটা নারীদের কর্মসংস্থান তৈরি করবে। নারীদের স্বাবলম্বী করতে হবে, সেজন্য এটি তাদের সহায়ক হবে। নারীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নারীরা যেসব পণ্য তৈরি করবে সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। জয়িতা ফাউন্ডেশন করে দিয়েছি, সেখানে নারীরা নিজেদের তৈরি পণ্য নিজেরা বিক্রি করতে পারে।

    তিনি বলেন, আজকের কূটনীতি রাজনৈতিক নয়, এটি হবে অর্থনৈতিক কূটনীতি। বিদেশে আমাদের সব দূতাবাসকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি, এখনকার ডিপ্লোমেসি এটা পলিটিক্যাল ডিপ্লোমেসি না, ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি হবে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি দূতাবাস ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি, কী আমরা রপ্তানি করতে পারি বা কোথা থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি- সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রপ্তানি বহুমুখী করতে হবে। পোশাকের পাশাপাশি পাট ও অন্যান্য পণ্যের জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে। আমাদের নতুন বাজার খুঁজতে হবে। সেজন্য আমাদের আরও পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে।
    বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

  • ক্ষমতা আমার কাছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ: প্রধানমন্ত্রী

    ক্ষমতা আমার কাছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এজন্য কৃতজ্ঞ যে, টানা চারবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগের সুযোগ নয়। আমার কাছে এটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের একটি সুযোগ, মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ, মানুষকে সেবা দেওয়ার সুযোগ।’

    ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ রোববার তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)।

    নতুন বছরের শুরুতেই বাণিজ্য মেলা শুরুর রেওয়াজ বহু বছরের। কিন্তু ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে মেলা পিছিয়ে যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, মাসব্যাপী এই মেলায় এবার সব মিলিয়ে ৩৩০টি স্টল থাকবে।

    বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। কোভিড মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা করা যায়নি। এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা চলে যায় পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি)।

    ইপিবি জানিয়েছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করবে। পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশীয় পণ্য রপ্তানির বড় বাজার খোঁজার লক্ষ্য রয়েছে।

  • নির্বাচন শেষ হলেও দেশবিরোধীদের চক্রান্ত শেষ হয়নি : প্রধানমন্ত্রী

    নির্বাচন শেষ হলেও দেশবিরোধীদের চক্রান্ত শেষ হয়নি : প্রধানমন্ত্রী

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হলেও দেশবিরোধীদের চক্রান্ত শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি নির্বাচন বাতিলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা উন্নয়নের ধারা রুখতে পারবে না। অন্ধকার পথে বিএনপি। তারা আলো ঝলমল নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্ধকারের গলিপথ খোঁজে। তারা জানে মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ। এর চেয়ে ভালো কিছু জানা নেই।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির লিফলেট বিতরণ উল্টো ভোট দিতে জনগণকে উৎসাহিত করেছে। বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট প্রত্যাখ্যান করে দেশবাসী ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়েছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা ভোট দিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, সরকার জনগণের সেবক। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।”

    শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে সরকার জনগণের সেবক। সেই ঘোষণা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই ঘোষণাটাই দিয়েছি– আমি প্রধানমন্ত্রী না, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করব, যেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি।”

    আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। জনমত সৃষ্টি করেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।”

    অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, “ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। আমরা এই গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছি। আমরা যুদ্ধের পক্ষে না, শান্তির পক্ষে। অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই। অস্ত্রের টাকা মানবকল্যাণে, শিশু বিকাশে ব্যয় হোক।” এ সময় ফিলিস্তিনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আরও সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

  • যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী

    যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী

    নির্বাচনের আগে যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব ঘটনায় যারা হুকুম দিয়েছে, খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    রোববার (১৪ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, সবার হাতে মোবাইল ফোন, সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে। যারা এই কাজগুলো (জ্বালাও-পোড়াও) করছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা জ্বালাও-পোড়াওয়ের জন্য হুকুম দিয়েছে, তাদেরও আমরা গ্রেপ্তার করছি। আর যেন কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে না পারে, এটাই আমরা চাই।

    তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেক কাজ, আমরা যে কাজগুলো করে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছি, এটাকে আমাদের টেকসই করতে হবে। এটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আপনারা জানেন, ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত কখনো শেষ হয় না, কাজেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই, শক্ত একটি ঘাঁটি আছে বলেই যেকোনো ষড়যন্ত্র আমি মোকাবিলা করতে পারি। আপনারা আমার শক্তি। টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়ার মানুষই আমার বড় শক্তি, বাংলাদেশের জনগণ আমার শক্তি। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। রাস্তাঘাট, পুল, ব্রিজ, এখন যেগুলো বাকি আছে আমরা সেগুলো করব। গ্রামের মানুষ শহরের সব নাগরিক সুবিধা পাবে। আমার গ্রাম আমার শহর, সেভাবে প্রত্যেকটা গ্রাম গড়ে তুলব। যাতে কোনো মানুষের কষ্ট না হয়।

    শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে, বাংলাদেশেও জিনিসের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশের মানুষের খাবারের যাতে অভাব না হয়, সেই ব্যবস্থা আমাদের নিজেদের করতে হবে।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের মানুষ কাজ করলে এ দেশকে কেউ পেছনে টানতে পারবে না। যারা কখনো এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে দিতে চায়নি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, তারা বাংলাদেশের কখনো উন্নতি চায় না। সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

  • ‘নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণই বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ’

    ‘নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণই বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাই হচ্ছে নতুন সরকারের মূল কাজ।

    শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তার নিজ নির্বাচনী এলাকার (গোপালগঞ্জ-৩) নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আমাদের প্রধান কাজ হলো চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা, দাম নিয়ন্ত্রণ করা এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

    বাজারে খাদ্যদ্রব্যের কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে বড় ধরনের কোনো সমস্যা দেখি না, তবে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ এবং রাজধানী ঢাকায় বসবাসকারী মানুষ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। মনে হচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনগণের ভোগান্তি বাড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। এ জন্য আমাদের যথাযথভাবে তদারকি বাড়াতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ইয়েমেনে হুতিদের ওপর হামলার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরেকটি আঘাত আসতে পারে।

    বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি, স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র দুই ভাগে বিভক্ত। এক হচ্ছে খুনি বা অপরাধী, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার নিশ্চিত করা হয়েছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে। আরেকটি আন্তর্জাতিক স্তরের। অন্যান্য কারণ ছাড়াও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের ওপর অনেক দেশের কুদৃষ্টি রয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশ, আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করব, আমরা আকারে ছোট হতে পারি, কিন্তু আমাদের বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে, তারাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু দেশের মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এটাই স্বাভাবিক এবং সে কারণেই বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো এই জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটায়।

    শেখ হাসিনা বলেন, আগামী দিনে নতুন সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে।

    দ্রুত মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা গঠনে বিলম্বের যৌক্তিকতা কী? আমরা সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করি না, আমরা জানতাম নির্বাচন করব, আমরা নির্বাচনে জিতলে বা নির্বাচনে হেরে গেলে আমরা কী করব, আমরা কেন সময় নেব, কেন সময় নষ্ট করব।

  • এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়: প্রধানমন্ত্রী

    এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়: প্রধানমন্ত্রী

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এ বিজয়কে গণতন্ত্রের বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    একই সঙ্গে তিনি এই অঙ্গীকার করেন, জনগণের রায়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসায় সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।

    শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে নতুন মন্ত্রিসভা। এরপর জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইতে সই করার সময় শেখ হাসিনা এই অঙ্গীকার করেন।

    দর্শনার্থী বইতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির পথে বাংলাদেশের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’ একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন।

    তিনি আরও লেখেন, ‘৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। এই বিজয় জনগণের বিজয় এবং গণতন্ত্রেরও বিজয়।’

    এর আগে শুক্রবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা।

    গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনের মধ্যে ২২২ আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা চতুর্থবার ও সবমিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পঞ্চম মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হয়েছেন ২৫ মন্ত্রী এবং ১১ প্রতিমন্ত্রী। একই অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন তারা।

  • প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চমবার শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চমবার শপথ নিলেন শেখ হাসিনা

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চমবারের মতো শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় শেখ হাসিনাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

    এ শপথের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা ৪র্থ মেয়াদে এবং মোট পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর শপথের পর অন্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

    শপথ অনুষ্ঠানে সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ এবং প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ফলে এবারসহ ৫ বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড করলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন।

    সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান।

    এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন। ওই তালিকার একটি কপি তিনি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।

    আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

    উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।

    নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।

  • নির্বাচনে জয়লাভে প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআইর অভিনন্দন

    নির্বাচনে জয়লাভে প্রধানমন্ত্রীকে এফবিসিসিআইর অভিনন্দন

    দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর নেতারা।

    মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এফবিসিসিআই নেতারা।

    দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন সংগঠনের সভাপতি। দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে অবদান রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, মিস শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী (রনি), মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআই পরিচালক ড. মুনাল মাহবুব প্রমুখ।