Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন ডিবিপ্রধান হারুন

    প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন ডিবিপ্রধান হারুন

    সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দুর্বার ছুটে চলা শেখ হাসিনাই ফের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। এক নতুন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যার রেকর্ড টানা চতুর্থবারের মতো সরকারপ্রধানের পদ অলংকৃত করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এমন আনন্দক্ষণে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

    সোমবার (৮ জানুয়ারি) হারুন অর রশীদ নিজের ফেসবুকে পেজে ফুল দেওয়া একটি ছবি পোস্ট করেন।

    সেখানে লেখেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্যার অষ্টমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা জানাই।’

    টানা তৃতীয়বারের মতো সরকারগঠন করে ২০১৮ সালেই রেকর্ড গড়েছিল আওয়ামী লীগ। চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে নতুন নজির সৃষ্টি করেছিলেন শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সেই রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল ও তার সভাপতি।

    রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বেসরকারি ফলে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২৫টিতেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২২২ আসন পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে ৬২ আসনে। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১ আসন। আর ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাসদ জিতেছে একটি করে।

  • কারও কাছে মাথা নত করি না, করব না: প্রধানমন্ত্রী

    কারও কাছে মাথা নত করি না, করব না: প্রধানমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জাতির পিতার কন্যা। কারও কাছে মাথা নত করি না, মাথা নত করব না।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছিল গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে। আমি গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ষড়যন্ত্র করে আমাকে আসতে দেয়নি।

    মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে তিনি মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

    এর আগে দুপুর ১টার দিকে কোরআন তেলাওয়াত, গিতা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে এই সমাবেশ শুরু হয়। এরপর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।

    নির্বাচনী জনসভাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আসেন।

    ফরিদপুরের বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দলের প্রার্থী, তাদের নেতাকর্মীরা মিছিল করে এই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। সবুজ, খয়েরি, হলুদ, সাদাসহ বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট, টুপি পরে মিছিল নিয়ে আসেন দলের নেতাকর্মীরা।

    সমাবেশ পরিচালনা করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শা মো. ইশতিয়াক আরিফ।

  • আমরা যে কথা দিয়েছি, সে কথা রেখেছি: প্রধানমন্ত্রী

    আমরা যে কথা দিয়েছি, সে কথা রেখেছি: প্রধানমন্ত্রী

    উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যে কথা দিয়েছিলাম সে কথা রেখেছি। মানুষের কল্যাণ নয় বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল লুটপাট করতে।

    মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জে আয়োজিত ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী স্থিতিশীলতা চায় না। অগ্নিসন্ত্রাস আর জ্বালাও-পোড়াও বিএনপির আন্দোলন। তারা যেন বাস, ট্রাক আর ট্রেনে আগুন দিতে না পারে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।

    জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় তারাগঞ্জ ওয়াকফ এস্টেট সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি রংপুরের মানুষকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তারপর সড়কপথে তারাগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করেন। ছোট বোন শেখ রেহানাও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।

  • মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

    মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। দেশের কিছু মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নাশকতা করছে। আন্দোলনের নামে মানুষ মেরে বিএনপি নির্বাচন বন্ধের ফায়দা লুটবে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না।

    রোববার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবনে বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

    অনুষ্ঠানে ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‌‘এ দেশে স্বাধীনভাবে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। ধর্মকে ব্যবহার করে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়- এমন একটা সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর করে দিচ্ছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবার জন্য এটা প্রযোজ্য।’

    বিশ্বের সব খৃস্টান ধর্মের মানুষকে বড় দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মাটি সবার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে যুদ্ধ করেছে। সবার রক্ত মিশে গেছে এই মাটিতে। এ সময় প্যালেস্টাইনে ইসরাইলের চালানো হামলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কাজ করি এদেশের মানুষের জন্য। আমরা মানবতার কথা বলি। যিশুখৃস্ট মানবতার কথা বলেছেন। মহানবী সা. মানবতার কথা বলেছেন। আমরাও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার কল্যাণে কাজ করছি। সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করছে এই দেশে হাজার বছর ধরে। আমরাও এই নীতি মেনে চলছে। ধর্ম যার যা উৎসব সবার।

    তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় সংঘাত আমরা চাই না। ধর্মীয় রীতি পালনে কেউ বাধা দিক সেটাও আমরা চাই না। আমরা প্রত্যেকে আনন্দ ভাগাভাগি করছি। এটাই সব থেকে আনন্দের। আনন্দ, সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নেই।

    বিরোধী দল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ পুড়িয়ে কী অর্জন করছে তারা, এটাই আমার প্রশ্ন। আমরা চাই সংঘাত বন্ধ হোক। মানুষ পুড়িয়ে নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচনী ফায়দা করবে, এটা এদেশে চলবে না। এই অন্যায় কখনও মেনে নেওয়া যাবে না। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। মানবতার কল্যাণ করাই ধর্মের শিক্ষা।

    গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে বড়দিন উদযাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্যরা।

  • মানুষ ভোটের পক্ষে: প্রধানমন্ত্রী

    মানুষ ভোটের পক্ষে: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ ভোটের পক্ষে, তারা মাঠে নেমে নির্বাচনী প্রচারণায় আসতে চায়। বুধবার হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসলে জনগণের উন্নয়ন হয়। আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকায় ভোট দিলে পুরো দেশ উন্নত হবে।

    তিনি বলেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িত, মানুষ হত্যা করে তাদের ক্ষমা নেই। মানুষ মেরে ভয় সৃষ্টি করে নির্বাচন বন্ধ করা যবে না।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে আজ বুধবার জনসভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সিলেট পৌঁছেছেন। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৬০১ ফ্লাইটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় তাঁকে অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

    বিমানবন্দর থেকে তিনি শাহজালাল ও শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারতে যান। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা করবেন।

    প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আশপাশের এলাকা, চৌহাট্টা, রিকাবীবাজারসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের জড়ো হতে দেখা গেছে।

  • হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত প্রধানমন্ত্রীর

    হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত প্রধানমন্ত্রীর

    আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে বুধবার সকালে সিলেটে পৌঁছান শেখ হাসিনা। প্রথমে তিনি বিভাগীয় নগরীতে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন। সেখানে কিছু সময় কাটান, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। খবর বাসসের।

    পরে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহ পরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এবং ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। উভয় স্থানেই প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা তার সঙ্গে ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী মাজারে যাওয়া আসার সময় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ শ্লোগান এবং হাততালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সিলেটে স্বাগত জানায়।

    বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে দলের নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

     

  • যেকোনো খাতে স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে

    যেকোনো খাতে স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের যেকোনো খাতে স্পেনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে।

    বাংলাদেশে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিতেজ সালাস বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে (স্পেনের উদ্যোক্তারা) স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বাংলাদেশে তাদের পছন্দের যেকোনো খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।

    তিনি বলেন, সালাস তার দেশের কৃষিভিত্তিক শিল্পসহ বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

    স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অনেক উদ্যোক্তা বাংলাদেশ সফর করতে এবং এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’

    তিনি বলেন, স্পেনের হাসপাতাল ও কৃষি যন্ত্রপাতির মান খুবই ভালো।

    বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত উভয়েই দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

  • পেঁয়াজ ইস্যুতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    পেঁয়াজ ইস্যুতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠ পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হঠাৎ দাম বৃদ্ধির পেছনে দায়ী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি।

    সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচ্য সূচির বাইরে আলাদা করে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।

    বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

    সচিব বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) ক্যাবিনেটে না, আলাদাভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বলেছেন। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন- মাঠ পর্যায়ে এখন ক্লোজ মনিটরিং হচ্ছে এবং আজকে তার কিছুটা ইম্প্যাক্ট পাওয়া যাচ্ছে, এটা দেখতে পাচ্ছেন তো আপনারা, পাচ্ছেন না? গতকাল যে ট্রেন্ড ছিল আজকে সে ট্রেন্ড নেই।

    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সুনির্দিষ্টভাবে কী ছিল— জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে নজরদারি বাড়ানো। যারা এসব কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের দিকে নজরদারি বাড়ানো এবং যারা অতিরিক্ত মুনাফা পাওয়ার চেষ্টা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা।

    নির্দেশনা পাওয়ার পর মাঠপর্যায়ে টিম কাজ করছে বলে জানান সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

    প্রসঙ্গত, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের অজুহাতে দেশে অস্থির পেঁয়াজের বাজার। একদিনের ব্যবধানে দাম কেজিপ্রতি দিগুণ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির খবরে বেড়ে যায় দেশি পেঁয়াজের দামও। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। হঠাৎ করে আমদানি বন্ধ এবং দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

  • ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জরুরি জলবায়ু তহবিল প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

    ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জরুরি জলবায়ু তহবিল প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

    ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জরুরি জলবায়ু তহবিল প্রয়োজন বলে এক মতামতে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ‘জলবায়ু সংকটের প্রভাব প্রমত্তা পদ্মা নদীর পানিতে প্রতিফলিত হয়েছে। তবুও এই জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষত প্রশমন, অর্থ এবং অভিযোজনের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া ধীর রয়ে গেছে’, থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কনটেক্সট ফর কনটেক্সটে এক মতামত নিবন্ধে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর ইউএনবির।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৮ সম্মেলনে এসব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    মূল লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতার সীমা বজায় রাখা, গ্লোবাল স্টকটেকের ফলে উচ্চাকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং বিশেষত বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য জরুরিভাবে অর্থ সংগ্রহ করার বিষয়টি নিয়েও তিনি লিখেছেন।

    বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের জন্য বাংলাদেশ মাত্র শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ দায়ী হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সপ্তম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।

    প্রধানমন্ত্রীর মতে, বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে ক্রমবর্ধমান নির্গমনের পরিণতি সহ্য করেছে। যার প্রমাণ ৪০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা, তীব্র তাপপ্রবাহ, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, স্কুল বন্ধ এবং বিধ্বংসী বন্যা, যা কেবল আগস্টেই ৫৫ জনের মৃত্যু এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

    তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সময় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করেছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমতা ৩০ শতাংশে উন্নীত করা, টেকসই কৃষি রক্ষণাবেক্ষণ এবং বিদ্যুৎ গ্রিডের আধুনিকায়নসহ জলবায়ু সহনশীলতার জন্য একটি রূপান্তরমূলক কৌশলের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।

    বন্যা প্রতিরোধ, সমুদ্রপ্রাচীর, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল তৈরি করা এবং স্যাটেলাইট আবহাওয়া ট্র্যাকিং সিস্টেম বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা বিস্তৃত রয়েছে। এই উদ্যোগগুলো দেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য।

    এছাড়া অভিযোজন আন্তঃসংযুক্ত অর্থনীতি এবং খাতগুলোতে প্রবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরিবেশগত ব্যবস্থার বাইরেও প্রসারিত। এর জন্যও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে সৌর প্রযুক্তিকে আরও সাশ্রয়ী মূল্যের করা, ইনভার্টারের ওপর কর সংশোধন করা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা।

    কপ-২৮-এর নেতারা অভিযোজন তহবিলে ১৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিলেও, এটি বার্ষিক ৩০০ মিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। ধনী দেশগুলোকে তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    কপ-২৮-এ সীমিত সময় বাকি থাকায় তিনি কার্বন নিঃসরণকারী বৃহত্তম দেশগুলোকে ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) এবং উন্নত দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আহ্বান জানান।

    শেখ হাসিনার মতে, জলবায়ু অর্থায়নকে অবশ্যই তিনটি মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য তা হলো সামনের ঝুঁকিপূর্ণ বছরগুলো বিবেচনা করে পর্যাপ্ততা, ধারাবাহিকতা এবং ব্যবহারযোগ্যতা।

    তিনি আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অভিন্ন লক্ষ্য, সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ এবং আরও বিলম্বের ব্যয় অনুমোদন করার জন্য গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করার আহ্বান জানান। তাছাড়া চলমান প্রচেষ্টার প্রশংসা করার পাশাপাশি তিনি সর্বশেষ বিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংহতিরও আহ্বান জানান।

    জলবায়ু ঝুঁকি তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মিলিতভাবে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে তাদের মোকাবিলা এবং তুলে ধরার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

  • বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন অনেকাংশে পূরণ করেছি : প্রধানমন্ত্রী

    বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন অনেকাংশে পূরণ করেছি : প্রধানমন্ত্রী

    বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন অনেকাংশে পূরণ করতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অনেক অবদান আছে। তারা যেমন ট্রেনিংয়ে গেছে, তেমনি যুদ্ধক্ষেত্রেও সহযোগিতা করেছে। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নানা নির্যাতনের শিকার হন। অনেকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

    শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেগম রোকেয়া নিজের স্বামীর নামে স্কুল করেছেন। সেখানে ছাত্রী পাওয়া যেত না। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করতেন। সেখানেও নানা বাধার সম্মুখীন হন। তিনি তার লেখায় উল্লেখ করেছেন, যাহা পুরুষ পারিবে, তাহা নারীও পারিবে।

    আফসোস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা আফসোস রয়ে গেছে আমার, খুব ইচ্ছা ছিল একজন নারীকে আমি প্রধান বিচারপতি করে যাবো। কিন্তু আমাদের সমাজে এত বেশি কনজারভেটিভ, এগুলো ভাঙতে সময় লাগে। সেজন্য করতে পারেনি। এ আফসোসটা থেকে গেল।

    তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে নারীদের অনেক বাধা ছিল। সেসময় নারীদের কর্মক্ষেত্রে কোনো সুযোগ দিতো না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মুজিব নারীদের সে সুযোগ দিয়েছেন। আইনেই ছিল জুডিসিয়ারিতে মেয়েরা যোগ দিতে পারবে না। জাতির পিতা আইন পরিবর্তন করেন। পরে আমি এসে এটির পথ আরও সুগম করে দেই। নাজমুন আরা আপিল বিভাগেও যান। আমার একটা আফসোস রয়ে গেছে, আমার ইচ্ছে ছিল, প্রধান বিচারপতিও নারীকে করবো। পারিনি।

    তিনি বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এটাই ছিল পাকিস্তানের আইন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সমস্ত আইনগুলো পরিবর্তন করেন। এই আইন পরিবর্তনের পর থেকে আমাদের দেশের মেয়েরা জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দিতে পারছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমি সরকারের এসে দেখি আমাদের উচ্চ আদালতে কোনো নারী জজ নেই। তখন আমি উদ্যোগ নিলাম, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বলেছি— উচ্চ আদালতে কোনো জজ নিয়োগ দেওয়া হলে তাতে যদি কোনো নারী জজের নাম না থাকে, আমি কখনো ওই ফাইল সই করব না, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাব না। সেই থেকে যাত্রা শুরু।

    তিনি বলেন, ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল। বিজয় অর্জন করেছিল।
    তিনি আরো বলেন, বেগম রোকেয়ার সময় মুসলমান মেয়েরা ঘরে অবরুদ্ধ থাকতো। লেখাপড়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে তার স্বামী সবসময় তাকে সহযোগিতা করেছেন, তার ভাই তাকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি নিজের প্রচেষ্টা উর্দু, বাংলা, আরবি, ইংরেজি, শিক্ষা যেগুলো গ্রহণ করা সেগুলো তার স্বামীর কাছ থেকে শিখেছেন। স্বামীর কাছে আক্ষরিক জ্ঞান এবং বই পড়ার শিক্ষা গ্রহণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি তার ভাইয়ের কাছ থেকেও একটি অনুপ্রেরণা পান। তার স্বামীর নামে একটি স্কুল তৈরি করেন। স্কুল তৈরির পরও তাকে অনেক বাধা বিপত্তি মোকাবিলা করতে হয়। কারণ, স্বামীর নামে যে স্কুল করেছিলেন সেখানে ছাত্রী পড়ানো যেত না। তিনি নিজের বাড়ির বাইরে গিয়ে ছাত্রী সংগ্রহ করে নিয়ে আসতেন। এটা করতে গিয়ে অনেক পরিবারের বাধা এবং অনেক প্রতিবন্ধকতা এসেছে। তিনি দমে যাননি কখনো। তার সাহসী ভূমিকা সব সময় আমরা স্মরণ করি।

    অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

    এবার বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন ৫ নারী। তাঁরা হলেন নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)।

  • নারীকে প্রধান বিচারপতি করার আফসোসটা থেকে গেল : প্রধানমন্ত্রী

    নারীকে প্রধান বিচারপতি করার আফসোসটা থেকে গেল : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার খুব ইচ্ছে ছিল একজন নারীকে প্রধান বিচারপতি করে যাব। সমাজের রক্ষণশীলতার কারণে তা পারিনি। এই আফসোসটা আমার থেকে গেল।

    শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিসে নারীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এটাই ছিল পাকিস্তানের আইন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সমস্ত আইনগুলো পরিবর্তন করেন। এই আইন পরিবর্তনের পর থেকে আমাদের দেশের মেয়েরা জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দিতে পারছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সরকারে এসে দেখি আমাদের উচ্চ আদালতে কোনো নারী জজ নেই। তখন আমি উদ্যোগ নিলাম, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলেছি, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বলেছি— উচ্চ আদালতে কোনো জজ নিয়োগ দেওয়া হলে তাতে যদি কোনো নারী জজের নাম না থাকে, আমি কখনও ওই ফাইল সই করব না, রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাব না। সেই থেকে যাত্রা শুরু।’

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা আর পিছিয়ে নেই। খেলাধুলা থেকে রাজনীতি- সব ক্ষেত্রে নারীরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। সাংবাদিকতা থেকে শিল্পকলা সব জায়গায় নারীরা সফল। এখন ইসলাম ধর্মের কথা বলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নারীদের কেউ আটকে রাখতে পারবে না।

    অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

  • ৫ নারীর হাতে ‘রোকেয়া পদক’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    ৫ নারীর হাতে ‘রোকেয়া পদক’ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    সমাজে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩’ পেয়েছেন পাঁচ বিশিষ্ট নারী।

    আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নারী ও তাদের স্বজনদের হাতে পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    পদকপ্রাপ্তরা হলেন- নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম (মরণোত্তর), নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার ও পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা।

    পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, প্রত্যেককে চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।