Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • বিএনপির পরবর্তী পরিকল্পনা দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা: প্রধানমন্ত্রী

    বিএনপির পরবর্তী পরিকল্পনা দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা: প্রধানমন্ত্রী

    ‘বিএনপি সারাদেশে অবরোধের নামে আগুন-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষদের ক্ষয়ক্ষতি করছে। তারা আগামী মার্চ মাসের দিকে দেশের এমন অবস্থা করবে, দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা আছে, যেভাবেই হোক এদেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।’

    শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জে দুই দিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজ নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

    মতবিনিময়কালে বিএনপি কীভাবে নির্বাচন করবে এমন প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির নেতা কে? তাদের কোনো নেতা নেই। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। একসময় বলেছিল- নির্বাচন হতে দেবে না। উস্কানি আছে যে, নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে।

    এসময় সরকারপ্রধান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, কোনো অবস্থাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা যাবে না।

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, এখন তারা (বিএনপি) নির্বাচন করবে না। ২০১৪ সালে একই কথা বলেছিল। আসলে তারা নির্বাচন করবে কীভাবে, বাস্তব কথাটা কি? বাস্তব হলো ২০০৮ সালের নির্বাচন। এ নির্বাচন নিয়ে তো কেউ কোন প্রশ্ন তোলে না। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিল।

    এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কোটালীপাড়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে সেখানে থেকে ফিরে যান টুঙ্গিপাড়ায়।

    এ সভায় আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ধরণের দিক নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খোন্দকার, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসেন তন্ময় এমপিসহ কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করে। পরে তিনি নিজ বাসভবনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

  • প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরের কোনো সম্পর্ক নেই

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাহাঙ্গীরের কোনো সম্পর্ক নেই

    নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয়ে অনৈতিক কাজ করছেন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং। তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানানো হয়েছে।

    বুধবার (৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিতা: মৃত রহমত উল্যাহ, রহমত উল্যাহ কেরানী বাড়ি, গ্রাম: নাহারখিল, ইউনিয়ন: খিলপাড়া, উপজেলা: চাটখিল, জেলা: নোয়াখালী- নিজেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে বেড়াচ্ছেন।

    তার সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। ’

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

    প্রয়োজনে নিকটস্থ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নিন। ’

  • পতেঙ্গা টার্মিনাল বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী

    পতেঙ্গা টার্মিনাল বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী

    সৌদি আরব বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের রয়েছে গভীর শ্রদ্ধা ও আস্থা। আমরা সৌদি আরবকে সবসময় কাছাকাছি পেয়েছি।

    বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে আয়োজিত বেসরকারি গ্লোবাল অপারেটর আরএসজিটিআই এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব ও জি২জি ভিত্তিতে সৌদি সরকার মনোনীত বেসরকারি গ্লোবাল অপারেটর আরএসজিটিআই এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি শক্তিশালী এবং টেকসই অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই কনসেশন চুক্তি অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের দুই দেশের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি এবং অটল অঙ্গীকারের উদাহরণ। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র আরও জোরদার করবে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি আস্থা-সহযোগিতার জন্য আমি সৌদি সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চাই, বিশেষ করে সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য আরও ধন্যবাদ জানাই সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী ও তার প্রতিনিধিদলের প্রতি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আপনাদের সবার অঙ্গীকার আমরা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।

    পতেঙ্গা কনটেইনার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের আশার বাতিঘর। স্বয়ংসম্পূর্ণ এই আধুনিক টার্মিনালটি আমাদের বন্দরের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে এবং নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য সহজতর করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান ও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির পথও সুগম করবে। এটি বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের ব্যবসা- বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল ইন্টারন্যাশনাল সৌদি সরকার মনোনীত একটি স্বনামধন্য গ্লোবাল টার্মিনাল অপারেটর। এই টার্মিনাল অপারেটরকে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় মনোনীত করার জন্য আমি সৌদি সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। সৌদি সরকারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার স্বীকৃতি।

    তিনি আরও বলেন, আরএসজিটিআই আগামী ২২ বছরের জন্য পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালটি পরিচালনা করবে। আরএসজিটিআই যে সুনামের সঙ্গে জেদ্দা পোর্ট টার্মিনালসহ অন্যান্য টার্মিনাল পরিচালনা করছে, সেই দক্ষতা ও প্রযুক্তিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালটি পরিচালনা করবে বলে আমি আশা করি। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত হবে। ফলে দেশের আমদানি-রপ্তানি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতি লাভবান হবে।

    এসময় প্রধানমন্ত্রী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পিপিপি কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সি গেটওয়ে টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানান।

  • দেশকে রক্ষা করতে হলে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    দেশকে রক্ষা করতে হলে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের লক্ষ্য ছিল নদী রক্ষা, নাব্যতা বজায় রাখা এবং দূষণ থেকে রক্ষা করা।

    সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা ও দূষণ রোধে প্রণীত মহাপরিকল্পনার আলোকে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে, তার সরকারের প্রথম মেয়াদে নদী ড্রেজিং শুরু হয়েছিল এবং পলি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

    তিনি বলেন, নদী প্রশিক্ষণের নামে এক সময় উর্বর ফসলি জমিতে বেড়িবাঁধ তৈরি করা স্বাভাবিক ঘটনা ছিল, নদীর ধারে যেসব শিল্পকারখানা গড়ে ওঠে সেগুলোর বর্জ্য সাধারণত নদীতে ফেলে। স্যুয়ারেজ লাইনের সব বর্জ্যও নদীতে যায়, যার ফলে দূষণ বাড়ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দূষণের কারণে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে দুর্গন্ধ আসা খুবই বেদনাদায়ক। আমরা যাই করি না কেন, প্রথমে আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, নদীর গভীরতা বিবেচনা করতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই বর্ষাকালে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের লক্ষ্যে নদীর পাশে একটি বাফার জোন তৈরি করতে হবে।

    সরকারপ্রধান পরিবেশ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে যেকোনো উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।

    তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবাইকে সব শহরের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছি। আমরা যে পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানির প্রবাহ সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। এটা খুবই দুঃখজনক যে অতীতে দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি পরিকল্পিতভাবে হয়নি।

    তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে এটি ঘটেনি, এমনকি ১৯৭৫ সালের পরে অবৈধ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারীরা, যারা অস্ত্র নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে এসেছিল, তারা দেশের সামগ্রিক সমন্বিত ও পরিকল্পিত উন্নয়নে মনোযোগ দেয়নি। যে কারণে পরিবেশগত সমস্যাগুলো উপেক্ষিত হয়েছে এবং নদীগুলোও দখল করা হয়েছে।

  • অগ্নিসন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই : প্রধানমন্ত্রী

    অগ্নিসন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সকালে গণভবনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে বলেন, ‘অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

    এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড সহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারবে বা গাড়ি, রেল, যানবাহন পোড়াবে বা অগ্নি সংযোগ করবে বা যারা হুকুমদাতা বা অর্থদাতা তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কারন আমরা যদি সেই ব্যবস্থা না নেই এই জ্বালাপোড়াও তো তারা চালাতেই থাকবে।

    তিনি বলেন, আমি দেখি অনেকেই বলেন কেন এদের অ্যারেস্ট করা হলো। কিন্তু তারা এটা বলে না এরা অগ্নিসন্ত্রাসী, এরা পুলিশ হত্যা করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। আর এখন ডিজিটাল যুগ সাধারণ মানুষই এদের ভিডিও তুলে রাখে এবং সাথে সাথে সেই ছবিও পাওয়া যায় এবং এই সন্ত্রাসীরা একেবারে চিহ্নিত। কাজেই যারাই সন্ত্রাসী কর্মকা- বা ভাঙচুরে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে এবং সেটাই আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করে যাচ্ছে এবং সেটাই করা হবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এভাবে মানুষকে পোড়াবে, মানুষের সম্পদ নষ্ট করবে, জাতীয় সম্পদ নষ্ট করবে তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।’

    তিনি বলেন, আমি আশা করি, এদের অন্তত শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা এগুলো বন্ধ করবে। আর বন্ধ না করলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা আমাদের নিতেই হবে। এটা হল বাস্তবতা। শুধু দুঃখ লাগে আমাদের ছেলে-মেয়েগুলো তাদের ফাইনাল পরীক্ষাটা ভালোভাবে দিতে পারল না।

    শেখ হাসিনা বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি সম্পর্কে বলেন, যতক্ষণ তারা সঠিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছে ততক্ষণ কিন্তু তাদের কোন অসুবিধা ছিল না এবং এতে করে বিএনপি এবং তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবমূর্তিও বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডগুলো পরিচালনা করার পর এখন জনগণ থেকে তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।

    অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বক্তৃতা করেন।

    চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে দক্ষ জনশক্তি আমাদের গড়ে তুলতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দেশে-বিদেশে যেখানে কাজ করুক না কেন, মাতৃভাষার সঙ্গে তাদের একটি বা দুটি অন্য ভাষা শিখানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। তাতে সারা বিশ্বে আমাদের কর্মসংস্থানের আরো সুযোগ হবে। আজকাল ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজস্ব ইউনিয়নে বসে অনেকেই বিদেশে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে।

    তিনি বলেন, এখন প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। সেজন্য তাদের শিক্ষাটাও প্রযুক্তিনির্ভর এবং বহুমুখীকরণ করা দরকার।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে তার সরকার শিক্ষার হার পেয়েছিল দেশে ৪৪ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকার এটি ৬৫ শতাংশে নিয়ে এসেছিল, বিএনপি জামাত সরকার ২০০১ পরবর্তী সময়ে তাঁর সরকারের রেখে যাওয়া শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ থেকে আবার ৪৫ ভাগে নামিয়ে ফেলে। যাকে সরকার টানা তিন মেয়াদের শাসনে ৭৬.০৮ ভাগে উন্নীত করেছে।
    জানুয়ারি মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় তিনি আশা করেছিলেন নভেম্বরের মধ্যেই স্কুলের পরীক্ষাগুলো শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বিএনপি’র অবরোধ এবং জ্বালাও-পোড়াও এবং সন্ত্রাসের কারণে সেটি ব্যাহত হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

    ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াটা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য সংশ্লিষ্ট মহল যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি আশবাদ ব্যক্ত করেন।

    ২০১৩ এবং ১৪ সালে নির্বাচন বানচালের নামে জ্বালাও পোড়াও এবং অগ্নিসন্ত্রাসের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো দিনও কোনো রাজনৈতিক দলের অধিকারে তাঁর সরকার হস্তক্ষেপ করেনি। সে সময় তিন হাজারের মতো মানুষ তারা পুড়িয়েছে। সেখানে বহু মানুষ পুড়ে মারা গেছে, এখনো সেই আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে অনেকে যন্ত্রনাকাতরভাবে দিন কাটাচ্ছে। বাস, ব্যক্তিগত যানবাহন, লঞ্চ, স্টিমার, ট্রেন এমনকি স্কুল, সরকারি দপ্তর কিছুই সে অগ্নিসন্ত্রাস থেকে বাদ যায়নি।

    তিনি বলেন, সে সময় যারা আসামি ছিল বা পলাতক ছিল যখন এই বিএনপি এবং তাদের রাজনৈতিক সমমনা দলগুলো আবারো তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করেছে তারা বহাল তবিয়তে ফিরে এসেছে। শান্তিপূর্ণ সভা যখন করেছে তাদেরকে কোন বাধা দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারা আবার সেই জ্বালাও পোড়াও শুরু করল বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর থেকে তাদের যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সেখানে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, সেখানে ভাঙচুর করা, জাজেজ কোয়াটারে ভাঙচুর করা ও হামলা, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা, পুলিশ হসাপতালে হামলা, অ্যাম্বুলেন্স, বাস সহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা, রেললাইন কেটে রেখে দিয়েছে যেন রেলের বগি পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনগণ সচেতন থাকায় তারা সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ স্থানে বিষয়গুলো অবহিত করায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রেল রক্ষা পেয়েছে। তারপরও তারা আমাদের কমিউটার ট্রেন পুড়িয়েছে, সাংবাদিকদের উপর হামলা ও নির্যাতন করেছে, মহিলাদের উপর আক্রমণ করেছে। আর এখনতো প্রতিদিন অগ্নিসন্ত্রাস করেই যাচ্ছে। ফলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানোয় একটি ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

    ‘কাজেই জনস্বার্থে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমাদের নিতেই হবে,’ দৃঢ়কন্ঠে সতর্কবাণী পুনব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা একটা উন্নত জীবন পাক। সুস্বাস্থ্যের অধিকারি হোক এবং সুন্দরভাবে তারা বেড়ে উঠুক।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছি তারই সৈনিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলুক’।
    বিএনপির অবরোধ-হরতাল এবং জ¦ালাও পোড়াওয়ের মধ্যেও নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারায় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

    এবারের পরীক্ষার ফলে মেয়েরা এগিয়ে থাকায় তিনি তাদের অভিনন্দন জানিয়ে ছেলেরাও পিছিয়ে থাকবেনা বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কৃতকার্যদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের পাঠে আরা মনোনিবেশ করার মাধ্যমে আগামীতে ভাল ফল করার আহবান জানান এবং তাদেরকে এজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তিরস্কার না করে বরং সমব্যাথী হিসেবে পাশে থেকে প্রেরণা যোগানোর জন্যও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকগণের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

  • এইচএসসিতে মেয়েদের পাসের হার বেশি, পিছিয়ে যাচ্ছে ছেলেরা

    এইচএসসিতে মেয়েদের পাসের হার বেশি, পিছিয়ে যাচ্ছে ছেলেরা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এইচএসসিতে ছাত্রীদের পাসের হার বেশি, এটার জন্য ধন্যবাদ। সবসময় আমাদের শুনতে হয়— জেন্ডার ইকুয়ালিটি। এখন তো দেখি উল্টো হচ্ছে, ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবারই দেখি মেয়েদের পাসের হার বেড়ে যাচ্ছে। এখন ছেলেদের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

    রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, একসময় আমাদের দেশে মেয়েদের পড়াশোনা করতে দেওয়া হতো না, এখনো অনেক দেশে মেয়েদের পড়তে দেওয়া হয় না। আমাদের মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে সেজন্য তাদের আন্তরিক অভিনন্দন। ছেলেদের বলছি- তোমরাও পিছিয়ে থেকো না, পড়াশোনা করো সমানতালে চলো।

    সরকারপ্রধান বলেন, যারা পাস করেছে তাদের অভিনন্দন। যারা হয়তো ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি, তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অভিভাবকদের বলবো, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের সহানুভূতি দেখাতে হবে।

    ধমক বা গালমন্দ থেকে অভিভাবকদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিনীত অনুরোধ থাকবে, কাউকে ধমক বা গালমন্দ করবেন না। এগুলো কোমলমতি এই ছেলেমেয়েগুলো নিতে পারে না। বরং সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে সহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে তারা ভালো করতে পারবে।

    তিনি বলেন, শুধুমাত্র পড়ে পাস করলে হবে না, সেটা অর্থবহ হতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যথেষ্ট হতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, ২০২১ ও ২০২২ সালে সমস্ত বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি, যুক্তিসঙ্গতভাবে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সে সময় আমি দেখেছি, আমাদের এইচএসসি বা সমমনা পরীক্ষার ফলাফল ৬০ দিনে দেওয়ার যে একটা রীতি, সেটা কিন্তু আপনারা অব্যাহত রেখেছেন। সেটার জন্য আপনাদেরকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৩ সালের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন। সেখানে আমি বলব- সংখ্যাটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

    এদিকে ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাসের হারেও এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

    এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুরের পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন।

    গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন

    ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাবে।

    চলতি বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট; আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা (চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

  • প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর

    প্রধানমন্ত্রীর কাছে এইচএসসির ফল হস্তান্তর

    উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    রোববার সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।

    দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুরের পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন।

    গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন

    ফল প্রকাশের পর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) এবং এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এ ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও ফল সংগ্রহ করা যাবে।

    চলতি বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট; আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা (চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

  • প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে পারেন ৩৩৬২ মনোনয়নপ্রত্যাশী

    প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেতে পারেন ৩৩৬২ মনোনয়নপ্রত্যাশী

    দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ডাক পেতে পারেন নৌকা প্রতীকের ৩ হাজার ৩৬২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী।

    শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    সূত্র জানায়, আগামী রোববার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা ভাবছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে কখন, কোথায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ রাতেই এ সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু হতে পারে।

    এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলে গত ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। এই চার দিনে ৩৩৬২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেন।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এই চার দিনে মোট তিন হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে অনলাইনে ১২১ জন ফরম কিনেছেন। ফরম বিক্রি করে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা আয় হয়েছে দলটির।

    ঢাকা বিভাগে বিক্রি হয়েছে ৭৩০টি ফরম। চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫৯টি, সিলেট বিভাগে ১৭২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৯৫টি, বরিশাল বিভাগে ২৫৮টি, খুলনা বিভাগে ৪১৬টি, রংপুর বিভাগে ৩০২টি এবং রাজশাহী বিভাগে ৪০৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। কয়েকটি বাদে প্রতিটি আসনে নৌকার মাঝি হতে লড়ছেন ১১ জন।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

    এছাড়া সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

  • নির্বাচনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৯ ইসলামি দলের সাক্ষাৎ

    নির্বাচনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৯ ইসলামি দলের সাক্ষাৎ

    গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ৯ ইসলামি দলের ১৪ নেতার একটি প্রতিনিধিদল। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

    বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন তারা। একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।

    বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তারা। পরে নেতাদের প্রতিনিধিদলটি শেখ হাসিনাকে একটি ক্যালিওগ্রাফি উপহার দেন।

  • অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কিছুই অর্জন করা যায় না : প্রধানমন্ত্রী

    অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে কিছুই অর্জন করা যায় না : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে কিছুই অর্জন করা যায় না। কোনো কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি প্রয়োজন। সেজন্য অগ্নিসন্ত্রাসের পথ পরিহার করে জনগণের কল্যাণে কাজ করা এবং তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন।

    মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের চলমান রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    অনুষ্ঠানে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০২২-২৩ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পদকপ্রাপ্ত (শান্তিকালীন) সদস্যদের পদকে ভূষিত করা হয়।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবার কল্যাণ কামনা করি, শান্তি কামনা করি। আমি জানি, অগ্নিসন্ত্রাস বা জ্বালাও-পোড়াও মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। আমি জানি না, একটা মানুষ কীভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এটা করত।২০১৩ ও ১৪-এর পর এখন আবার সেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। কীভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে পোড়াতে পারে? যারা এটা করে এদের চেতনা ফিরে আসুক, আমি এটাই চাই।

    বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা ধরে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করি।

    ’৭৫ এর হারাতে বসা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তার সরকার আবার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে লাখো বাঙালি স্বাধীনতার জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেই স্লোগানও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যে ৭ মার্চের ভাষণ এ দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল, সেই ভাষণও নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আজ সেই ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্থান পেয়েছে। আড়াই হাজার বছরে সামরিক-বেসামরিক নেতারা যত ভাষণ দিয়েছে, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এটুকু আমরা করতে পেরেছি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিহ্নগুলো চিহ্নিত করা, যেখানে গণকবর আছে সেগুলো সংরক্ষণ করা, স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রত্যেকটি উপজেলায় আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স তৈরি করেছি। সেখানে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি ধরে রাখার জন্য মিউজিয়াম হবে। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।

    সরকারপ্রধান বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বীরত্বের ইতিহাস জানানো দরকার। স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই আজকে আমরা নিজেদের পরিচয় দিতে পারি। কিন্তু একসময় সেটা পারিনি। এখন আমাদের স্বাধীন দেশে আমরা স্বাধীনভাবে চলতে পারি।

    তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শুধু দেশে নয়, বিদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেকে জীবন দিয়েছেন। তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

    এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

  • সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী

    সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী

    সশস্ত্র বাহিনী আজ জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।

    মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সোমবার দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠনের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করছি।’

    তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষানীতি যুগোপযোগী করে জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, ২০১৮ প্রণয়ন করেছি। অ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা সিএমএইচগুলোকে অত্যাধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছি।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতার পর একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। সেনাবাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আর্মড স্কুল এবং প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরও অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট গঠন করেন। তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভারত ও যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ করেন।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে সে সময়ের অত্যাধুনিক সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান, এয়ার ডিফেন্স রাডার ইত্যাদি বিমানবাহিনীতে যুক্ত করেন। তিনি ১৯৭৪ সালেই একটি প্রতিরক্ষানীতি প্রণয়ন করেন। দুর্ভাগ্য, জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর বাধাগ্রস্ত হয় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা।’

    তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আমরা সরকার গঠন করি। নতুন প্রজন্মের নিকট মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরি। সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ নেই। ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ এবং মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং এবং আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। আমরাই সর্বপ্রথম ২০০০ সালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ করি।’

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা অর্জন করে।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর একটি বিশেষ গৌরবময় দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা এ দিনে সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে একতাবদ্ধ হন।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।’

    সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেম, পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবেন এমন আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।’

    বাণীতে তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সব শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

    এসময় সশস্ত্র বাহিনী দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

  • ভিয়েতনাম-থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি : প্রধানমন্ত্রী

    ভিয়েতনাম-থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি : প্রধানমন্ত্রী

    ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য-জার্মানি এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডের বাজারকে ছাড়িয়ে যেতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন এবং ইনভেস্টমেন্ট এক্সপোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে এ দেশ। সে সময় যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলো এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে যাতে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।

    তিনি বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যা আছে। সেটাকে আমরা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাবো। তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে আমরা গড়ে তুলছি।

    প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র
    শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও রপ্তানির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেশকে গড়ে তোলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আসার সুযোগ করে দিয়েছে। সে কারণে দেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পালটা নিষেধাজ্ঞা না হলে আমাদের অর্থনীতিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতাম।

    তিনি বলেন, অনেক আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। দেশের এই অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির নেতৃত্বে রয়েছে আমাদের বেসরকারি খাত। আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, এটা অব্যাহত থাকবে।

    তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। গত ১৫ বছরে আমরা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বেসরকারি খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। আশা করা হচ্ছে, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৪১ সালে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ।