Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • অপপ্রচারে কান দেবেন না:প্রধানমন্ত্রী

    অপপ্রচারে কান দেবেন না:প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাঝে মাঝে আমরা দেখি, অনেক সময় অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। আমি সবাইকে একটা কথা বলব এই অপপ্রচারে কান দেবেন না।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান এবং ২০১৯-২০ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী পদক এবং অসামন্য সেবাপদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। দেশের মানুষ ভালো আছে। তার পরও একটি গোষ্ঠী চাল নেই, লবণ নেই বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মানুষের মধ্যে বিভান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। যা হোক এসব মোকাবেলা করে আমাদের চলতে হবে।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে, প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে, সে লক্ষ্যে আমরা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করছি। যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর দিচ্ছি। যাদের জমি নেই, তাদের জমি দিচ্ছি। গুচ্ছগ্রাম, আদর্শ গ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অনেককে পুনর্বাসন করছি।

    শেখ হাসিনা বলেন, গরিবের সন্তানরা যেন লেখাপড়া করতে পারে, সেজন্য বৃত্তি-উপবৃত্তি দিচ্ছি। বিনা পয়সায় ছেলে-মেয়েদের বই দেয়া হচ্ছে। আজকের শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়া শিখে মানুষ হতে পারে, তারা যেন এ দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে, সে জন্যই আমরা এ কাজগুলো করছি।

    সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আপনাদের সন্তান, নাতি-পুতিদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলবেন। তারা যেন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারে। দেশকে ভালোবাসতে পারে। যুদ্ধ করে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। বাঙালি বীরের জাতি, এ কথা যেন নতুন প্রজন্মের সন্তানরা জানতে পারে। ভবিষৎ প্রজন্ম বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। কারণ, আমরা বীরের জাতি। বঙ্গবন্ধু তার ৭ মার্চের ভাষণে বলেন, ‘বাঙালি জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না’।

    চিহ্নিত না হওয়া গণকবরগুলো খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেখানে যেখানে গণহত্যা হয়েছে সেই গণহত্যার কবরগুলো খুঁজে বের করা। যেখানে যেখানে গণহত্যা হয়েছে সেই জায়গাগুলো সংরক্ষণের চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।

    সরকারপ্রধান বলেন, বিজয়ের ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মের যারা আসবে তারা জানবে, বিজয়ী জাতি হিসেবে নিজেদের আত্মমর্যাদা বোধ গড়ে উঠবে। মাথা উঁচু করে চলতে শিখবে তারা। কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা আমাদের নিজেদের সম্পদ দিয়ে নিজেদের গড়ে তুলবো। বিশ্ব সভায় সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলব। কারণ আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। আমাদের দেশে ভবিষ্যত প্রজন্মকে আমরা সেভাবে গর্বিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তিন বাহিনী প্রধানসহ সামরিক ও বেসারিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

  • প্রেসিডেন্ট হয়ে ছোট ভাই প্রধানমন্ত্রী করলেন বড় ভাইকে

    প্রেসিডেন্ট হয়ে ছোট ভাই প্রধানমন্ত্রী করলেন বড় ভাইকে

    শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে। সদ্য নির্বাচিত দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বুধবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসের নাম ঘোষণা করেন।

    সরকারের মুখপাত্র বিজয়ানন্দ হেরাত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন মাহিন্দা রাজাপাকসে।

    বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী এপ্রিলে পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে পারে শ্রীলঙ্কায়। এর আগ পর্যন্ত সরকার পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। আর সেই মন্ত্রিসভার প্রধান হবেন তার ভাই মাহিন্দা।

    উল্লেখ্য, গত শনিবার শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক প্রেসিডেন্ট রানা সিংহ প্রেমাদাসার ছেলে সাজিথ প্রেমাদাসাকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন গোতাবায়া।

    এক দশক আগে তামিলদের সঙ্গে গৃহযুদ্ধ অবসানের কৃতিত্ব দেওয়া হয় দুই ভাই মাহিন্দা-গোতাবায়াকে। ওই সময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন মাহিন্দা আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন ছোট ভাই গোতাবায়া।

  • টেনিসকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    টেনিসকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    তরুণ প্রজন্মের শারিরীক ও মানসিক বিকাশে খেলাধূলার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার ক্রিকেট এবং ফুটবলের পাশাপাশি টেনিসসহ অন্যান্য খেলার প্রসারেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে।

    তিনি একইসঙ্গে ক্রিকেট এবং ফুটবলের পাশাপাশি টেনিস অনুশীলনের জন্যেও দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রিকেট, ফুটবল নিয়েই আমরা সবসময় মেতে থাকি। তবে, টেনিসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর খেলাধূলার প্রতি আমরা সবসময়ই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ, খেলাধূলা আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে মানসিক শক্তি জোগায়।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অপরাহ্নে গণভবনে ‘শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট-২০১৯-এ অংশগ্রগণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি এবং কূটনিতিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে একথা বলেন।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রিকেট এবং ফুটবল জনপ্রিয় খেলা হলেও এখন মানুষ টেনিসের সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে। আর এই প্রতিযোগিতা

    আয়োজনের পরে তরুণ প্রজন্ম আরো বেশি করে টেনিসের প্রতি আকৃষ্ট হবে বলে আমি মনে করি।
    তাঁর সরকার টেনিস কোর্ট তৈরী এবং প্রশিক্ষণ প্রদানসহ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্যদিয়ে এই খেলাটির প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি ছেলে-মেয়েদের এই খেলায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন এই খেলাধূলায় এগিয়ে আসে এবং তাঁদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করবো।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খেলাধূলাকে আরো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি এইজন্য যে, তরুণ প্রজন্ম যত বেশি অংশ নেবে ততটাই তাদের মন মানসিকতা আরো ভাল হবে। শারিরীকভাবে সুস্থ হবে এবং নিজেদেরকে আরো বেশি তৈরী করতে পারবে। ’

    তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলায় বিদেশিরা যখন অংশগ্রহণ করে তখন একে অপরের সঙ্গে ওঠা-বসার মাধ্যমে পরস্পরকে জানার একটি সুযোগ পাওয়া যায়। কাজেই সেইদিক থেকে আমি মনে করি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেব, যেটা খুব জরুরী। আমরা টেনিসের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেব।’

    প্রধানমন্ত্র খুলনায় শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট-২০১৯’র মত একটি টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজনে সকল আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। বিশেষকরে এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং এক সময়কার দেশ বরেন্য ফুটবলার এবং বাফুফে সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।

    অন্য অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকায় প্রধানমন্ত্রী সেখানে যেতে না পারার কারণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বলেও উল্লেখ করেন।

    তিনি বিজয়ী এবং বিজিতসহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১৯টি দেশের ২১টি ক্লাবের সকল সদস্যদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে এই টুর্নামেন্টটিকে গুরুত্ব প্রদান করে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারদের প্রতিও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

    যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন প্রতিযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

    অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনসি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহ্সান রাসেল এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী এবং শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।

    যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সহযোগিতায় ১৩ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত খুলনার শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক টেনিস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ‘শেখ রাসেল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট-২০১৯’র আয়োজন করে খুলনা জেলা প্রশাসন।

    বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে এবং ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট কালরাতে পরিবারের অন্যসদস্যদের সঙ্গে ঘাতকের নির্মম বুলেটের শিকার ১০ বছর বয়সের শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টটি গত ১৩ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ভূটান, ভারত, পাকিস্তান, ইরাক, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, তিউনেশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, ক্যামেরুন এবং বাংলাদেশের পুরুষ ও মহিলাসহ মোট ৭৪জন প্রতিযোগী এর তিনটি বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

    প্রতিযোগিতার পুরুষ এককে ভারতের নিতিন কুমার সিনহা এবং মহিলা এককে মঙ্গোলিয়ার মারালোগো চগসোমজাত শিরোপা জয় করেন। আর পুরুষ দ্বৈতে থাইল্যান্ডের চায়ানন কেউসুতো ও উনশায়াট্রং চারোয়েন চাইকুল জুটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

  • প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে যা লিখেছেন ফখরুল

    প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে যা লিখেছেন ফখরুল

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে স্বাক্ষরিত ৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে পূর্ণ বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিটি বিএনপির পক্ষে দলের দুই যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার কাছে হস্তান্তর করেছেন।

    মির্জা ফখরুলের চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সৌজন্যে আমরা জানতে পেরেছি যে, আপনি সর্বশেষ ভারত সফরকালে ৫ অক্টোবর ২০১৯ ভারতের সাথে ৭টি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছেন। এছাড়া একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি রফতানি বিষয়সহ ৩টি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে মর্মে প্রকাশ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ সফরে ভারতের সাথে সর্বমোট কয়টি চুক্তি/ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে সে সম্পর্কে জনগণ অবহিত নয়।

    ইতিমধ্যে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সকল চুক্তিকে জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী তথা বাংলাদেশে বিরোধী চুক্তি হিসেবে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নির্বিকার। অপরদিকে স্বাক্ষরিত এসকল চুক্তিকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী মর্মে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ায় বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভারত দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদীর পানি সংক্রান্ত চুক্তি ঝুলিয়ে রেখেছে অথচ ফেনী নদী থেকে ভারতকে পানি উত্তোলনের চুক্তি, বাংলাদেশের উপকূলে ভারতের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে সহযোগিতা বিনিময়ে ভারতকে আমাদের উপকূলে রাডার স্থাপনের চুক্তি করা হয়েছে। মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মতো স্পর্শকাতর জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট চুক্তি সই করার পূর্বে বিষয়টি নিয়ে কখনও কোন ধরনের পাবলিক ডিবেট অনুষ্ঠিত হয়নি এবং বাংলাদেশের জনগণের মতামত গ্রহণ করা হয়নি।

    সংবিধানের আর্টিকেল ১৪৫ (ক) তে উল্লেখ আছে যে- ‘বিদেশের সাথে সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি তা সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা করবেন। তবে শর্ত হচ্ছে যে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট অনুরূপ কোনো চুক্তি কেবলমাত্র সংসদের গোপন বৈঠকে পেশ করা হবে।’

    কিন্তু ভারতের সাথে যে সকল চুক্তি স্বাক্ষর করা হলো তার কোনটিই জনসম্মুখে কিংবা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়নি। এর ফলে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণই এ সকল চুক্তির খুঁটিনাটি এবং বিস্তারিত বিবরণ সম্পর্কে পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছে। অথচ এ সকল জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির বিষয়ে অবহিত থাকা জনগণের মৌলিক অধিকার, যে অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত রাখা স্পষ্টতই সংবিধানের লঙ্ঘন।

    প্রকৃতপক্ষে ভারতসহ অন্যান্য দেশের সাথে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সম্পাদিত চুক্তিগুলো সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা হয়নি।

    এমতাবস্থায় সংবিধানের আর্টিকেল ১৪৫ (ক) অনুযায়ী ভারতের সাথে এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির পূর্ণ বিবরণী অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ ও জনসম্মুখে প্রকাশ করে জনমনে সৃষ্ট নানাবিধ প্রশ্ন ও সন্দেহ দূর করার আহ্বান জানাচ্ছি।

  • ভারত সফরের তথ্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির চিঠি

    ভারত সফরের তথ্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির চিঠি

    সম্পতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তির তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। দলটির দুই যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও খায়রুল কবির খোকন রোববার (১৭ নভেম্বর) এ চিঠি নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠিটি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী প্রাইভেট সেক্রেটারি-২।

    চিঠিটি গ্রহণ করে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আমি আপনাদের চিঠি গ্রহণ করলাম।

    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরকারি সফরে রয়েছেন। তিনি দেশে ফেরার পরে আপনাদের চিঠিটি পৌঁছে দেবো।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওয়াহিদা আক্তার, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এবং প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দেওয়ার পর বাইরে এসে গণমাধ্যমকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটা চিঠি নিয়ে এসেছিলাম। সেখানে বলা আছে, অতিসম্প্রতি ভারত সফর এবং অন্য দেশের সফরকালীন সময়ে সেই সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তিগুলো হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী সেই চুক্তিগুলো বিষয়ে জনগণের সামনে প্রকাশ করা এবং চুক্তিগুলোর মধ্যে দেশের স্বার্থে হানিকর কিছু হয়েছে কিনা সেগুলো পর্যালোচনার সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ভারত সফর ও সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে শুধুমাত্র জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে কোনো কথা হয়নি। এমনকি রাষ্ট্রপতির কাছে ফাইল গেছে কি না- সে বিষয়ে সাধারণ মানুষ জানে না। কিন্তু সংসদে এটা জানানোর এবং পেশ করার সংবিধানের ১৪৫(ক) ধারা অনুযায়ী সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ তাদের অধিকার রয়েছে এ ব্যাপারে জানার। জনগণের সমর্থিত দল হিসেবে বিএনপির এই দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হয়েছে।

    মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। ১৪৫(ক) ধারা অনুসরণ করে অবিলম্বে এটা সংসদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে এটা পাবলিক ডিসকাশনের ব্যবস্থা হয়। যে পাবলিক অর্থাৎ সাধারণ মানুষই হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক।

    বিএনপি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে, বিষয়টি সংসদে উত্থাপন না করে চিঠি দেয়ার কারণ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে আলাল বলেন, জাতীয় সংসদে আমাদের সদস্য যারা আছেন তারা কয়েকদফা এ ব্যাপারে নোটিশ দিয়েছেন। তাদের নোটিশ গ্রহণ করা হয়নি। বলার সুযোগও দেয়া হয়নি। তাই আমরা এখানে এসেছি।

    উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শনিবার সন্ধ্যাড় চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দুবাই গেছেন।

  • দুবাই এয়ার শোতে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

    দুবাই এয়ার শোতে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী

    দুবাই এয়ার শো- ২০১৯ এবং আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনদিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

    ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

    বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার পর আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে তাকে দুবাইয়ের হোটেল শাংরি-লায় নিয়ে যাওয়া হবে। দুবাই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে উপসাগরীয় এ দেশটি সফরে গিয়েছেন সরকার প্রধান।

    সফরে আগামী ১৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এয়ার শো এবং মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারোস্পেস ইভেন্ট দুবাই এয়ার শো-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

    সারা বিশ্বের ৮৭ হাজার অংশগ্রহণকারী ও ১ হাজার ৩শ’ এক্সিবিটর দুবাইয়ের ভবিষ্যৎ বিমান বন্দর দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টারে এ উপলক্ষে সমবেত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    আগামী ১৭ থেকে ২১ নভেম্বর দুবাইয়ের আকাশে দ্বিবার্ষিক এই এয়ার শোটি অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা হচ্ছে এটি ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত এয়ার শো সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাবে। ২০১৭ সালের শুরু থেকে ১১৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে অর্ডার পাওয়া গিয়েছিল। এতে ৬৩টি দেশের ৭৯ হাজার ৩৮০ জন যোগদানকারী ও ১২শ’এক্সিবিটরকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। তিনদিনের আমিরাত সফর শেষে ১৯ নভেম্বর রাত ১১টায় প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।

  • প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন

    প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন

    আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার সকাল ১১টার কিছু পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি।

    এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।

    এখন সম্মেলনে দিন নির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। এরপর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই সংগঠনের পরবর্তী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হবে।

    ১৯৯৪ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের জন্ম হয়। গঠনতন্ত্র অনুসারে তিন বছর পরপর সম্মেলন করার কথা থাকলেও গত ২৫ বছরে হয়েছে মাত্র দুটি।

    সংশেষ ২০১২ সালে হয় দ্বিতীয় কমিটি। ওই সম্মেলনে সভাপতি করা হয় মোল্লা মো. আবু কাওছার এবং সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথকে। এরপর সাত বছর পর ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংগঠনটির তৃতীয় সম্মেলন।

    সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া তৃতীয় সম্মেলন ঘিরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যরকম আমেজ দেখা গেছে। জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

    ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে তাদের আসতে দেখা যায়। উদ্যানের চারপাশের প্রবেশদ্বার দিয়ে তারা সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করতে থাকেন। প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধনী পর্ব শেষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।

  • ‘পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে কাজেই আর চিন্তা নাই’

    ‘পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে কাজেই আর চিন্তা নাই’

    পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে, আর চিন্তা নাই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

    দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিরকারণ খতিয়ে দেখছে সরকার। এমনকি এর পেছনে কোন চক্রান্ত আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের সমস্যা মোকাবিলায় সরকার বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করছে। এর ফলে মানুষের সমস্যা আর থাকবে না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, এই সমস্যা যাতে না থাকে তাই কার্গো ভাড়া করে আমরা এখন পেঁয়াজ আনা শুরু করেছি। আগামীকাল-পরশুর মধ্যে পেঁয়াজ বিমানে এসে পৌঁছাবে। পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে কাজেই আর চিন্তা নাই।

    শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    সরকারপ্রধান বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে একটা সমস্যা আছে। প্রায় সব দেশেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এটা ঠিক। কিন্তু আমাদের দেশে কেন কী কারণে এত অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ছে -জানি না। এখন আমরা বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করে নিয়ে আসছি। আমরা দেখতে চাই এ ধরনের চক্রান্তের সাথে কেউ জড়িত আছে কি না।

    তিনি বলেন, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনের মূল কারণটা কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্য ইন্ডিয়াতে পেঁয়াজ ১০০ রুপিতে কেজি কেনা বেচা হচ্ছে। শুধু একটা স্টেটে একটু দাম কম। তাছাড়া সার্বিকভাবে সেখানেও দাম বেশি। আমরা যেখান থেকে কিনছি আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

    তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে আবহাওয়ার কারণে অনেক পণ্যের উৎপাদন বাড়ে আবার উৎপাদন কমে। যেহেতু পেঁয়াজটা বেশিদিন রাখা যায় না, কেউ যদি এখন হোল্ডিং করে দাম বাড়িয়ে দু পয়সা কামাতে চায়, তাদের এটাও চিন্তা করতে হবে যে পেঁয়াজ তো পচেও যাবে। এখন তো পচা পেঁয়াজও শুকানোর জন্য চেষ্টা হচ্ছে-তাহলে মানুষকে কষ্ট দেওয়াটা কেন? এভাবে কারা এর পেছনে আছে সেটাও আমাদের দেখতে হবে।

    তিনি বলেন, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনের মূল কারণটা কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অবশ্য ইন্ডিয়াতে পেঁয়াজের দাম ১০০ রুপিতে কেজি কেনা বেচা হচ্ছে। শুধু একটা স্টেটে একটু দাম কম। তাছাড়া সার্বিকভাবে সেখানেও দাম বেশি। আমরা যেখান থেকে কিনছি আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

    সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি সম্মেলন স্থলে এসে উপস্থিত হলে জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এবং বিশেষ অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

    প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ ও সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। এ সময় সাথে ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম বেপারী। অভ্যর্থনা উপ কমিটির পক্ষ থেকে সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ ক্রেস্ট দেন। এ সময় সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রধান অতিথিকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন দুই নেত্রী মাহফুজা বেগম সাঈদা এবং কাজী শাহানারা ইয়াসমিন।

    শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পগোষ্ঠীর পরিবেশনায় দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। দলীয় সংগীত পরিবেশনার পর একে একে থিম সং পরিবেশনার সাথে নৃত্য পরিবেশন থেকে শুরু করে প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের গানে গানে সুরের মূর্ছনায় মেতে ওঠেন সম্মেলন স্থলে আসা নেতাকর্মীরা।

    প্রথম অধিবেশনের পর বিকেলে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে কাউন্সিল অধিবেশন হবে। সেখানেই সংগঠনের পরবর্তী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম।

  • বারো মাসি পেঁয়াজের বীজ উদ্ভাবন করেছে গবেষকরা

    বারো মাসি পেঁয়াজের বীজ উদ্ভাবন করেছে গবেষকরা

    মিশর এবং তুরস্কসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকেও পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিদেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজকে জনগণের নাগালের মধ্যে আনতে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি- টিসিবি সে পেঁয়াজ নেবে এবং বিতরণের ব্যবস্থা করবে। সব জেলায় ট্রাকে করে এই পেঁয়াজ চলে যাবে।’

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে অবহিত করেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন আছি। যাতে মানুষের সমস্যা না হয়।’
    ইতোমধ্যে এক মওসুমের পরিবর্তে ১২ মাস যেন পেঁয়াজ হতে পারে গবেষকরা পেঁয়াজের সে ধরনের বীজ উদ্ভাবন করতে সমর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা এটি বাজারজাত করবো এবং তখন আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকেতে হবে না। নিজেদের চাহিদা মত আমরা উৎপাদন করতে পারবো।’

    সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে টিসিবি’র মাধ্যমে ৪৫ বা ৫০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রয়ের তথ্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে বিরোধীদলের এক সংসদ সদস্যের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের একটি রাজ্যে পেঁয়াজের দাম ৮/১০ টাকা আছে। কিন্তু সেখান থেকে বাইরে পেঁয়াজ যেতে দেয়া হচ্ছে না। তবে, ভারতের অন্যত্র পেঁয়াজের দাম বেশি। সমগ্র ভারতবর্ষে পেঁয়াজ প্রায় একশ’ রুপিতে বিক্রয় হচ্ছে।’

    খাদ্যে ভেজাল প্রসংগে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সম্পর্কে বিরোধীদলের নেতাও বলেছেন, এটা ঠিক। আসলে মানুষের চরিত্র বদলায় না, বারবার অভিযান চালানোর পরেও। তবে, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।’

    অতীতে বিএনপি সরকারের সময় চিংড়িতে লোহা ঢুকিয়ে ইউরোপে রপ্তানির প্রেক্ষিতে সেখানে চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রসংগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বেজাল বন্ধ করে আবারো এই রপ্তানি চালু করেছে। বিএসটিআই’র মানোন্নয়ন করে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বিএসটিআই’র টেস্টিং ল্যাব চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

    তিনি স্থল ও নদী বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন ‘এন্ট্রি’এবং ‘এগজিট পয়েন্টে’ টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

    শিক্ষকদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই তাঁর সরকার প্রায় আড়াই হাজার স্কুল এমপিওভুক্ত করে অন্য সকল শ্রেণী পেশার সঙ্গে শিক্ষকদের বেতনও বাড়িয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে এমপিওভুক্তির একটি মানদন্ড দেয়া হয়েছে যারা এটা পূরণ করবে বাকি থাকলে তারাও এমপিওভুক্ত হয়ে যাবে।

    তিনি বলেন, ‘৬৫ হাজার ৬২৬ জন হেড মাস্টারকে ১১তম গ্রেড দেয়া হয়েছে। ৩ লাখ ৮২ হাজার সহকারী শিক্ষককে ১৩তম গ্রেড দেয়া হয়েছে। শিক্ষকদেরও আমরা আপগ্রেড করে দিয়েছি। তাদের বেতনের পরিমাণ এখন অনেক বেশি।’
    শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণকালীন ভাতা প্রদান এবং ট্রেনিং গ্রহণ করলে তাঁদের চাকরির আপগ্রেডেশনেরও তথ্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী রেল দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিরোধীদলীয় নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মাথায় ব্যথা থাকলে মাথা কেটে ফেলা বা দু,একটা দুর্ঘটনার জন্য রেল বন্ধ করে দেয়ার মনোভাবের সমালোচনা করেন।
    তিনি বলেন, গাড়িতে তো প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। তাহলে কি বিরোধীদলীয় নেতা গাড়িতে চড়া বা বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে কি বিমানে চড়া বন্ধ করে দেবেন?

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ঘটনা নিছকই দুর্ঘটনা, কাজেই এই দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মানুষের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব সেটুকু করতে পারটাই বড় কথা।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার মেট্রো রেল তৈরী করছে। কবে কোথায় মেট্রো রেলে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এটাও তৈরী বন্ধ করে দিতে হবে? তাহলে আমাদের যানজট দূর হবে কিভাবে? স্বল্প সময়ে মানুষ দূর দূরান্তে যাত্রা করবে কিভাবে?

    শেখ হাসিনা দৃঢ়কন্ঠে বলেন, ‘সময়ের গতির সাথে তাল-মিলিয়ে চলতে গেলে আধুনিক প্রযুক্তি আমাদেরকে ব্যবহার করতে হবে। সাথে সাথে দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকেও আমাদের বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে।’

    দেশের রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে এ ধরনের পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
    আর এটি নির্মাণের সময়ই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্জ্যটা রাশিয়া নিয়ে যাবে। এ বিষয়ে আমাদের চুক্তিও হয়েছে এবং এই পাওয়ার প্লান্টকে ঘিরে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের রাশিয়া এবং ভারতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ বঙ্গে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার জন্য সরকার জায়গা খুঁজছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনভাবেই সুন্দরবনের পরিবেশ এবং জীব-বৈচিত্রের কোন ক্ষতি করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্লান্ট। এর ছাইও সিমেন্ট কারখানায় ব্যবহার হবে এবং সেটা কেনার জন্যও হিড়িক পড়েছে, টেন্ডারও দেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, এর চিমনি অনেক উপরে রাখায় প্রায় ১৪ কি.মি. দূরে থাকা সুন্দরবনের দিকে কোনভাবেই এর ধোঁয়া যাবে না এবং প্রকল্প এলাকায় প্রায় ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করা হবে।
    প্রধানমন্ত্রী বুয়েটের ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আবরার নিহত হওয়ার পর পরই ছাত্রদের আন্দোলন শুরুর আগে আইজিপিকে ডেকে ঘটনাস্থলের ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িত সকলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেও পুলিশের ফুটেজ আনায় বাধাদানকারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি দুর্নীতি বিরোধী অভিযান এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিবেশ প্রসংগে বলেন, ‘এখানে আমি দলমত কোন কিছু দেখবো না। এটা আমার নীতির ব্যাপার। অপরাধী যেই হোক শাস্তি তাকে পেতে হবে। কারণ এই সমাজকে তো দুষ্ট চক্রের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থ কখনো বাংলাদেশের কারো কারো জন্য বড় হয়ে যায় এবং যেটা দুর্ভাগ্যের বিষয়।’

  • দেশকে ক্ষুধামুক্ত করেছি এবার দারিদ্র্যমুক্ত করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

    দেশকে ক্ষুধামুক্ত করেছি এবার দারিদ্র্যমুক্ত করতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করেছি। এবার লক্ষ্য দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। দেশের প্রতিটি পরিবারকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চাই।’

    তিনি বলেন, সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের লক্ষ্য- টেকসই উন্নয়ন। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ফলে বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামীতে এটিকে ১৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাই।

    বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে মানুষের জীবন মানোন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় ক্ষুদ্রঋণ আমরা সমর্থন দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম দারিদ্র্য বিমোচন হবে। পরে দেখলাম দারিদ্র্য বিমোচন না হয়ে দারিদ্র্য লালনপালন করা হয়।’

    আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    এর আগে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উপস্থিত হলে জনগণ করতালির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

    কৃষিপ্রধান দেশে এই সরকার কৃষিঋণ সহজ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্গাচাষি ঋণ পেত বিনা জামানতে। আমরাই তাদের ঋণ দিতে শুরু করি। সহজেই কৃষি সরঞ্জাম পেতে কৃষকদের কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষকদের যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার আমরা করি। পাশাপাশি শিল্পায়নের দিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিই। এবং এই শিল্পায়ন যাতে সারা দেশে হয় এবং কৃষিজমিও যেন আমাদের রক্ষা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি।’

    তিনি আরও বলেন, আমরা ভূমিহীনদের ভূমি দিয়েছি। যারা গৃহহারা তাদের ঘর করে দিয়েছি এবং এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। মানুষ যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।

    ‘আমার বাড়ি আমার খামার’সহ বেশ কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে প্রত্যেক গ্রামীণ পরিবারকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে এই সরকারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার জন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কিছু জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা শহরের বস্তিতে বসবাস করে তাদের জন্য ঘরে ফেরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

    তিনি যোগ করেন, ‘জাতির পিতা একটি কথা বলতেন- ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। আমরা ভিক্ষুক জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাই না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি।’

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখন ভূমি ব্যবহারের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই নীতিমালা যাতে যথাযথভাবে কার্যকর হয়, সে পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। কেউ যাতে তিন ফসলি ও দুই ফসলি জমি নষ্ট না করে সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ আমাদের দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, যা আমরা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করে ফেলেছি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

    পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ রচিত ‘এসো সাম্যের গান গাই’ জাগরণের গান পরিবেশন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈন উদ্দিন আবদুল্লাহ। কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় বেগম মতিয়া চৌধুরীকে আজীবন সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের উৎপাদিত পণ্যপ্রদর্শনী ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এ মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।

    দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পিকেএসএফের সহযোগী সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের ১৯০টি স্টল এ মেলায় স্থান পাবে।’

  • সরকার সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

    সরকার সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতিসহ সব ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করে উন্ননের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দল মত নির্বিশেষে সকল ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।’

    প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থসম্পদ অর্জনের সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ সহ অন্যান্য প্রযোজ্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, দুর্নীতির সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যাতে কেউ করতে না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিও অব্যাহত রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের জনগণের কল্যাণে এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের পাশাপাশি ক্যাসিনো, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। দুর্নীতি দমনে সরকারের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনও কাজ করছে।

    তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে দুর্নীতি দমন কমিশন ১৩ হাজার ২৩৮টি অনুসন্ধান, ৩ হাজার ৬১৭টি মামলা রুজু এবং ৫ হাজার ১৭৯টি চার্জশিট দাখিল করেছে। ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন ১৬টি ফাঁদ মামলায় ৬৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া কারা কারা অভিজাত গাড়ি ক্রয় করেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।

  • রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য জিয়াউর রহমান দায়ী : প্রধানমন্ত্রী

    রোহিঙ্গা সমস্যার জন্য জিয়াউর রহমান দায়ী : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির জন্য সাবেক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানকে অভিযুক্ত করেছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পেছনে জিয়াউর রহমানের হাত রয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নাই।’

    প্রধানমন্ত্রী আজ একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের সংসদ সদস্য নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিষয় যদি আপনারা লক্ষ্য করেন ’৭৫ এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশে যে হত্যা, ক্যু এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয় এবং এর পরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যাটাও সৃষ্টি হয় ’৭৬-’৭৭ সালে। আর ’৭৮ সালে এই রোহিঙ্গা সমস্যা শুরু হয়। এটাই বাস্তবতা।’
    বর্তমান সরকার যেকোন সমস্যার শান্তিপূর্ণ

    সমাধানে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি।’

    যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশের মাটি থেকে প্রতিবেশি কোন দেশে কেউ কোন রকমের দেশ বিরোধী বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর সুযোগ দেয়া হবেনা। কোন সন্ত্রাসীর স্থান বাংলার মাটিতে হবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করেছি।’

    তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয় আছে যা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, কিন্তু বাংলাদেশের মাটিকে আমরা কোন সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করতে দেব না।’
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীত সরকারগুলো যা করেছিল, এদেরকে আমরা এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছি এবং বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়-এই নীতিতেই আমরা বিশ্বাস করি।

    সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারত এবং চীনের ভূমিকা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আমরা আমাদের এই প্রতিবেশি দু’টি দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছি এবং এ বিষয়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা আশা করছি।’

    এ বিষয়ে মিয়ানমারের সীমান্তে ঘেঁষে অবস্থিত ভারত-চীন সহ অন্যান্য দেশ যেমন লাওস এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গেও বাংলাদেশ আলাপ-আলোচনা চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ এই প্রতিটি দেশের সীমান্তেই মিয়ানমারের ছোট ছোট ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সমস্যা লেগে রয়েছে। কাজেই এই সমস্যাগুলোর যাতে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আমাদের আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর চীন সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীকে তিনি অনুরোধ করার প্রেক্ষিতে তারা এ বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণের কথা বলেন। যার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারে চীনের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল, তাঁরা বিষয়টি আলোচনা করেছেন এবং মিয়ানমারকে তারাও চাপ দিচ্ছেন।

    তাছাড়া, তাঁর ভারত সফরকালে এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪ তম অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তাঁদের মধ্যে আলাপ হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

    তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যেকের কাছ থেকেই ভাল সাড়া পেয়েছি এবং এই সমস্যাটির যে একটা সমাধান হওয়া উচিত এখন এটা সকলেই অনুধাবন করে। তবে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা হলো মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক সেটা রেখে এই রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে। কাজেই তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’