Tag: প্রধানমন্ত্রী

  • স্কুলে শিশুদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

    স্কুলে শিশুদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

    চালক থেকে শুরু করে পথচারী সকলকেই সড়কে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আরো সচেতন হবার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার সকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেই দেশে উন্নয়ন হয়। তাই বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে যেন এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যোগাযোগ করতে পারবে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসময় সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে আরো সচেতন হবার আহ্বান জানান তিনি। ড়ধরণের ট্রাক কোন কোন সড়কে চলতে পারবে না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    এছাড়া, স্কুল থেকেই শিশুদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়ার উপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

    সরকার প্রধান বলেন, ট্রাফিক আইনসহ রাস্তায় চলাচল ও পারাপার সম্পর্কে সকলকে আরো সতর্ক থাকতে হবে।

  • নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্পসহ মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

    মেট্রোরেল দুটির বেশিরভাগ অংশই মাটির নিচ দিয়ে যাবে। ১০ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩০ হাজার ৪৬৬ কোটি, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫১৫ কোটি ৮৪ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৬৯ হাজার ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মোট টাকার মধ্যে দুই মেট্রোরেল প্রকল্পেই ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

    মেট্রোরেলের এই দুই প্রকল্পসহ মোট তিনটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পেল। প্রথমে অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেল প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এমআরটি লাইন- ৬)’ প্রকল্প। আজ অনুমোদন পাওয়া নতুন দুই প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)’ এবং ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দান রুট’ প্রকল্প।

    এছাড়াও অনুমোদন পাওয়া ৮ প্রকল্প হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘ডোমার-চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ (জেড-৫৭০৬), ডোমার(বোড়াগাড়ী)-জলঢাকা-(ভাদুরদরগাহ) (জেড-৫৭০৪) এবং জলঢাকা-ভাদুরদরগাহ-ডিমলা (জেড-৫৭০৩) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ ও ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘গৃহায়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প’, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ ও ‘ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইনম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ফর মুহুরী ইরিগেশন প্রজেক্ট (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।

    নতুন মেট্রারেল প্রকল্প:
    লাইন-১ এর আওতায় মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল হবে।

    লাইন-৫ এর আওতায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল হবে।

    আর এমআরটি লাইন-৬ রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল সিটি সেন্টার পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। লাইন-৬ প্রকল্পে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি সাত লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি ৪৮ লাখ এবং জাইকা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ ২১ হাজার টাকা। ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    প্রথম বা লাইন-৬ প্রকল্পের চেয়ে আজকের একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্প বড় ও খরচও অনেক বেশি। তবে লাইন-৬-এ নির্মাণের জন্য ১২ বছর সময় ধরা হলেও এই নতুন দুই প্রকল্পে কম সময় ধরা হয়েছে। এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়নের জন্য সময় ধরা হয়েছে ৭ বছরের কিছু বেশি, অর্থাৎ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের জন্য সময় ধরা হয়েছে সাড়ে ৯ বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

    এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং ২৯ হাজার ১১৭ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার বৈদেশিক ঋণ।

    সড়ক পরিহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রকল্প দুটিতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ প্রদান করছে। প্রথমটিতেও জাইকা ঋণ প্রদান করেছে।

    ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট রেট ধরে প্রকল্পটি দুটির আর্থিক ও অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দুটি প্রকল্পই আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। তবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।

    এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় না নিয়ে অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় নেয়া হয়েছে প্রকল্প দুটির ক্ষেত্রে। আর্থিক ক্ষতি একটি থাকবে দুই হাজার ৪২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং অন্যটিতে ৭ হাজার ৩২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর অর্থনিতিক দিক থেকে একটি প্রকল্পে ৯৪৯ কোটি ৯৭ লাখ এবং অন্যটিতে ৫ হাজার ৩০ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা লাভ হবে।

  • আবরারের হত্যাকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

    আবরারের হত্যাকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

    দ্রুত সময়ের মধ্যে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, দোষী যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। আলোচিত এই হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    সোমবার বিকালে আবরারের বাবা-মা ও ভাই গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের এই আশ্বাস দেন সরকারপ্রধান।

    গণভবন সূত্র জানায়, বিকাল পাঁচটায় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া বেগম এবং ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ গণভবনে যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এসময় প্রধানমন্ত্রী আবরারের মা রোকেয়া খাতুনকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন।

    এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাৎকালে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি মায়ের আসনে থেকে ঘটনার পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই।

    জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমি দেখতে চাইনি কে কার লোক। আপরাধী কে বা কোন দল করে সেটা বিবেচনা করিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় কিছু শিক্ষার্থী ভিডিও ফুটেজ আটকানোর চেষ্টা করেছে। সেটা তারা কেন করেছে তা এখনো আমার বোধগম্য নয়। তা না হলে হয়তো সব অপরাধী আরও আগেই গ্রেপ্তার হতো।

    তিনি আবরারের মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বলব আমাকে দেখেন। স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। আমিও এক রাতে সব হারিয়েছিলাম। আমি তখন বিচারও পাইনি।

    এই সময় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ও বাবা বরকতউল্লাহ প্রশাসন ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আবরার হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা প্রায় সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

    অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ১১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। এছাড়া ১৯ আসামিকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি-প্রধানমন্ত্রী

    নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছি-প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী জাগরণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কারণ তিনি বুঝেছিলেন নারী কর্মক্ষম না হলে সমাজ ও পরিবারে তার মর্যাদা বাড়ে না। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নারীদের নির্যাতন করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সেসব নারীদের উদ্ধার করে তাদের পূর্ণবাসন করেছেন বঙ্গবন্ধু। সে সময় অনেক নির্যাতিত নারীকে তাদের পিতারা মেনে নিতে চায়নি। বঙ্গবন্ধু সে সময় সেসব নারীদের জন্য নিজে পাত্র দেখে বিয়ে দিয়েছিলেন। পিতার পরিচয় না থাকলে তিনি পিতার জায়গায় তার নাম লিখে এবং তার ধানমণ্ডির ৩২ এর বাসার ঠিকানা দিয়েছিলেন।

    আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ১৫ বছর পর মহিলা শ্রমিক লীগের এ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে বিচার বিভাগে নারীরা অংশ নিতে পারবে না এমন আইন তিনি বাতিল করে নারীদের সে সুযোগ দিয়েছিলেন। এখন অনেক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু ৭২’র সমাজে কিন্তু এ অবস্থা ছিল না। সে সময় নারীদের নিয়ে সমাজের চিন্তা ভাবনা পশ্চাৎপদ ছিল বলে নারীদের এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব ছিল।

    কোন নারীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তাকে সমাজই পরিত্যক্ত করে দিত। বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান আমাদের দিয়েছেন তাতে সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা শিক্ষিত জাতি পারে একটা দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে। দারিদ্রমুক্ত সমাজ গড়তে হলে নারীকেও শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে হবে। আমরা এ সুযোগ করে দিয়েছি।’

    নারীকে তার মর্যাদা নিয়ে কাজ করার জন্য আমাদের সরকার কাজ করেছে। আমরা মেয়েদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য কাজ করেছি। ৯৬’এ ক্ষমতায় এসে প্রাথমিক শিক্ষায় নারী শিক্ষকদের জন্য ৬০ ভাগ কোটা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট ফান্ড থেকে যারা বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিতে বিদেশে যান তাদের মধ্যে ৭৫ ভাগই নারী। আমি নারীদের সব সময়ে অগ্রাধিকার দিয়েছি।

    আশ্রয়ণ প্রকল্প করে ভূমিহীন, নিঃস্ব পরিবারের জন্য ঘর দেওয়া হয়েছে। এর দলিল স্বামী ও স্ত্রী দু জনের নামেই করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন ঝামেলা হলে নারী অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে। আমরা গ্রামের নারীদের সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছিলাম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এ ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা ধারণা করেছিল যে, কমিউনিটি ক্লিনিকের কারণে নৌকা বেশি ভোট পাবে। কিন্তু ক্লিনিক বন্ধ করেও আওয়ামী লীগের ভোট তারা বন্ধ করতে পারে নাই।’

    শিক্ষায় মেয়েরা পিছিয়ে ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ব্যাপক হারে বৃত্তি দিয়েছি। পরীক্ষার রেজাল্টেও তারা ভালো করছে। বেদে থেকে শুরু করে চা শ্রমিক পর্যন্ত সকলকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বৃদ্ধ, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা চালু করেছি। প্রায় ৮৪ লক্ষ মানুষ এ ভাতা পাচ্ছে। প্রতিবন্ধি ছাত্র ছাত্রীকে বেশি করে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’

    নারীরা যেন আর কোন ক্ষেত্রেই পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখন নারীরা পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, সেনা, বিমান, নৌ বাহিনী থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত হচ্ছে। তার তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর স্ব স্ব ক্ষেত্রে রেখে যাচ্ছেন। নারী ক্ষমতায়নে আমরা সমতা এনেছি।’

    বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে কোন দল করে আমি তা দেখিনি। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনতে হবে। ভিসি সকল দাবি মেনে নিলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এটা তো হওয়ার কথা না। আমি আন্দোলন দেখে নির্দেশ দেইনি। আমার কথা হলো এমন ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পেয়ে যেতে পারবে না।’

  • ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন

    ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন

    এ বছর শান্তিতে নোবেল পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।

    ইরিত্রিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে দুই দশকের দীর্ঘ সীমান্ত যুদ্ধ নিরসনে ভূমিকা রাখা তাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

    বিবিসি জানায়, নরওয়ের অসলোতে ঘোষিত ১০০তম শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আবি আহমেদ। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার পর নোবেলের জন্য তার নাম ঘোষণা করে নোবেল কর্তৃপক্ষ।

    দুই দশক আগে আফ্রিকার সবচেয়ে দরিদ্র দুই দেশ ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার সীমান্তে শুরু হয় ভয়াবহ এই যুদ্ধ। মাত্র দুই বছর সেই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।

    ২০০০ সালে দু’দেশের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হলেও সীমান্তে এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা রয়ে যায়। দীর্ঘ এই সংঘাতে নিহত হয় আরও বিপুলসংখ্যক মানুষ।

    ২০১৮ সালের আগস্টে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই এই যুদ্ধ নিরসনে কাজ করেন ৪৩ বছর বয়সী আবি আহমেদ।

    অবশেষে ইরিত্রিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি কার্যকরের মাধ্যমে অবসান ঘটে দীর্ঘ এই সংকটের।

  • নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার

    নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার জেলা ও উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জেলা ও উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষের কাছে নিরাপদ খাবার পানি পৌঁছে দেয়া।

    তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে কেবল ঢাকা নয়, বিভাগীয় শহরগুলোতেও নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করছি।

    প্রধানমন্ত্রী আজ মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের জশলদিয়ায় পদ্মা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ফেজ-১) ঢাকার সাভারের তেতুলঝরায় ওয়েল ফিল্ড কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট (ফেজ-১) এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গান্ধাপুর ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

    প্রথম ২টি প্রকল্পের যথাক্রমে ৪৫ কোটি ও ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ এবং শেষের প্রকল্পটির ৫০ কোটি লিটার পানি শোধনের সক্ষমতা রয়েছে।

    এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরবরাহ বিভাগের সচিব হেলাল উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি-জিমিং, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হু কাং-ইল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

    এতে রাজধানীর ক্রম বর্ধমান পানি চাহিদা মেটাতে এই ৩ প্রকল্প এবং বিগত ১০ বছরে ঢাকা ওয়াসার গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে দেখানো হয়।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ পানি’ সরকারের এই শ্লোগানকে ধারণ করে ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর বস্তিগুলোতে আইনসম্মত ও নিরাপদ পানি সংযোগের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে। পর্যায়ক্রমে সব বস্তি পানি সরবরাহের আওতায় আনা হবে।

    তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সব বিভাগীয় শহরে ভূ-উপরিস্থ পানির উৎসের মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
    প্রধানমন্ত্রী ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাপ কমাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা না কমালে আমাদেরকে গুরুতর পরিণতির মোকাবেলা করতে হবে।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থার জন্য শিল্পাঞ্চল ও আবাসিক এলাকায় জলাধার নির্মাণ এবং বর্জ্য ও দূষিত পানি নিষ্কাশনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী সেচ কাজে বৃষ্টি ও ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ৪ হাজার ৭শ’ জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব নদীর নাব্যতা বজায় রাখা ও তা জলাধার হিসেবে ব্যবহার করতে নদী খননের কাজ চলছে।

    তিনি বলেন, পরিষোধনের মাধ্যমে ৭ হাজার পুকুর লবণাক্ততামুক্ত হয়েছে। এছাড়া লবণাক্ত অঞ্চলে ৩২ হাজার ৬শ’ গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
    তিনি বলেন, মানুষের নগরমুখী প্রবণতা বন্ধ করতে গ্রামের জনগণের কাছে নাগরিক সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে তাঁর সরকার কাজ করছে।

    সবার জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি সরবরাহ, স্যুয়ারেজ এবং ড্রেনেজ সিস্টেম নিয়ে আমাদের সরকার তিনটি মাস্টার প্লান তৈরি করেছে পাশাপাশি ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যুয়ারেজ এ্যাক্ট, ন্যাশনাল ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড স্যানিটেশন এ্যাক্ট ২০১৪ পাস এবং ১৯৯৯ সালে জাতীয় পানি নীতি এবং ন্যাশনাল পলিসি ফর আর্সেনিক মিটিগেশন এন্ড ইমপ্লিমেন্টেশন প্লান গ্রহণ করা হয়।

    এমডিজি’র সফল বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের ঘোষিত এসডিজি-২০৩০ এর ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৬ নম্বর হচ্ছে ‘সবার জন্য স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পর্যাপ্ত সুযোগ নিশ্চিত করা। আমরা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজি সমন্বিত করেছি এবং এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

    নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে কিছুই না করার তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, আমরা ঢাকা মহানগরীকে ‘পানি সংকটের’ মধ্যে পাই এবং এই সংকট কাটাতে আমরা সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট নির্মাণ করি। পুনরায় ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরে একই পরিস্থিতি পাই এবং আমরা তখন সায়েদাবাদ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ২ ও ৩ নির্মাণ করি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ২০৪১ সাল নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছি।

  • ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাস নয়,এলপিজি যাবে : প্রধানমন্ত্রী

    ভারতে প্রাকৃতিক গ্যাস নয়,এলপিজি যাবে : প্রধানমন্ত্রী

    ভারতের সঙ্গে গ্যাস রপ্তানির যে চুক্তি হয়েছে সেটা প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, আমদানি করা এলপি গ্যাস বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

    বুধবার বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান এবং ভারত সফর শেষে ফিরে এসে এ ব্যাপারে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    এই চুক্তির বিরোধিতা করায় বিএনপির সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘যারা আজ এলপি গ্যাস বিক্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা ২০০১ সালে প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির জন্য আমেরিকার কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তাদের এখন এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অধিকার নেই।’

    সেই সময় আমেরিকাকে গ্যাস রপ্তানির আশ্বাস না দেয়ায় ক্ষমতায় ফিরতে পারেননি বলে জানান শেখ হাসিনা।

    সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জানি প্রশ্নটা আসবে। ভারতে যে গ্যাস যাবে সেটা এলপিজি, এটা প্রাকৃতিক গ্যাস নয়। আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না। রিফাইনের পর তা ব্যবহারযোগ্য হয়। এছাড়া আমাদের দেশে গ্যাস উত্তোলনের সময় কিছু তেল আমরা পাই, যা থেকে পেট্রোল হয়, কিছু এলপিজি হয়।’

    ‘দেশে এখন পাইপলাইনে গ্যাসের অভাব। এজন্য রান্নার কাজে আমদানি করে সিলিন্ডারে ভরে সরবরাহ করছি। আপনারা জানেন, আগে খুব অল্প পরিমাণে এলপিজি ছিল। দুটি বেসরকারি এবং একটি সরকারি কোম্পানি আমদানি করত। এখন এটা বিভিন্ন কোম্পানি করছে। আমরা এটাতে উৎসাহিত করছি। এক সময় ১৬০০ টাকার সিলিন্ডার এখন ৯০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশে এখন এলপিজির বেসরকারি অনুমোদিত ২৬টি, আগের আছে কয়েকটি কোম্পানি। আর ১৮টি কোম্পানি উৎপাদন করছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘ত্রিপুরায় যা দিচ্ছি এটা আমদানি করা গ্যাস। দেশে সরবরাহ করে কিছু ত্রিপুরা দিচ্ছি। যারা বলছেন গ্যাস দিয়ে দিচ্ছে, যারা এটা নিয়ে সোচ্চার, বিশেষ করে বিএনপি, তাদেরকে ২০০১ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তখন আমেরিকা আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাস চায়। আমি বলেছিলাম দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে থাকলে দেব। এই কারণে তখন ক্ষমতায় ফিরতে পারিনি।’

    বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আজ যারা গ্যাস বিক্রি করে দিচ্ছে বলছে তারা কিন্তু গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল।’

    ২০০১ সালে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসায় একটি দাওয়াতের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই বৈঠকে আমি, জিল্লুর রহমান, খালেদা জিয়া ও মান্নান ভূঁইয়া আমরা চারজন ছিলাম। সেখানে মার্কিন দূত গ্যাস রপ্তানির প্রস্তাব দেন। আমি বললাম, আমরা দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ না করে এটা দিতে পারি না। আমি চলে এসেছিলাম। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও এসে আমাকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি রাজি হইনি। এতে আর ক্ষমতায় ফিরতে পারিনি।’

  • এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি : প্রধানমন্ত্রী

    এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি : প্রধানমন্ত্রী

    কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাড়পত্র কবিতা থেকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

    বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নেয়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুরা দেশকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবে, সে কারণেই বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা যাতে আমাদের সমাজে চলতে পারে, সে কারণে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে চাই।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কতজন প্রতিবন্ধী শিশু আছে সে হিসাব করেছি আমরা। ১৬ লাখের ওপর প্রতিবন্ধীকে আমরা মাসিক ভাতা দিতে শুরু করেছি। তাদের যেন কেউ অবহেলা করতে না পারে। সকল প্রতিবন্ধী শিশুকে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা দিচ্ছি। যেসব শিশু পড়ালেখা করছে তাদের আমরা বৃত্তি দিচ্ছি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বই করে দিয়েছি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের জন্য তাদের ভাষায় বই করে দেয়া হয়েছে। আমরা বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছি।

    তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকে শিশুদের যেমন ভালোবাসতেন শিখেছিলেন। তেমন শিখেছিলেন মানুষকে ভালোবাসতে। যে কারণে স্বাধীনতার পরে তিনি শিশুদের জন্য আইন করে দিয়েছিলেন। নারী এবং শিশুদের শিক্ষা অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নারী ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। এ সময় শিশু একাডেমির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বুধবার

    প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বুধবার

    নিউইর্য়ক ও ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

    জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইর্য়ক সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বেশ কয়েক দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে’ অংশ নিতে ৩ থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত নয়াদিল্লি সফর করেন।

  • দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

    চারদিনের ভারত সফর শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিমানটি।

    এর আগে ভারতের স্থানীয় সময় রাত ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটি থেকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে দেশে রওনা হন শেখ হাসিনা।

    এই সফরে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া তিনটি যৌথ প্রকল্পও উদ্বোধন হয়েছে। এর আগে শনিবার দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই সাতটি চুক্তি হয়। চুক্তি ও সমঝোতাপত্র বিনিময়ের পর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

    এছাড়া ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কারে’ ভূষিত করা হয়। হোটেল তাজমহলে এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ইশা মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।

    গত বৃহস্পতিবার সকালে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে এই সফর করেন তিনি। সফরের প্রথম দুই দিনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট’-এ যোগ দেন।

  • সোনিয়া গান্ধীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর কুশল বিনিময়

    সোনিয়া গান্ধীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর কুশল বিনিময়

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সাথে কুশল বিনিময় করেছেন।

    সোনিয়া গান্ধী বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোটেল তাজে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে তাদের মধ্যে এ কুশল বিনিময় হয়।

    বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, এ সময় দুই নেত্রী তাদের পুরনো দিনের কথা স্মরণ করেন। বৈঠককালে শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
    সোনিয়া গান্ধীর মেয়ে প্রিয়াংকা গান্ধী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাজনীতিতে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রিয়াংকাকে অভিনন্দন জানান। এ সময় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের জন্য সোনিয়া গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানান।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, শেক হেলাল উদ্দিন এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ইন্ডিয়ান ইকোনোমিক সামিটে যোগ দিতে ৩ অক্টোবর ভারতে আসেন। এ সময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। আজ শেখ হাসিনা ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লী ত্যাগ করবেন।

  • ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয় : জয়শঙ্কর

    ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয় : জয়শঙ্কর

    ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয় ভারত।

    শনিবার শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

    পারস্পরিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এই সাক্ষাতে উষ্ণ আলোচনা হয়েছে জানিয়ে টুইট করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভীশ কুমার।

    তিনি লিখেছেন, ভারত যে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব’ দেয়, তা তুলে ধরেছেন জয়শঙ্কর।

    এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

    আজ দুপুরে নয়া দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে দুই প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসবেন। সেখানে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।

    টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই শেখ হাসিনার প্রথম ভারত সফর। নরেন্দ্র মোদীও টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।