Tag: বাংলাদেশ

  • বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিং ব্যর্থতায় সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

    বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিং ব্যর্থতায় সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

    এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে পরাজয়ের পর বাংলাদেশ দলে চলছিল থমথমে পরিস্থিতি। তারপরও শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে দলটির অধিনায়ক শানাকার মন্তব্যের জবাব চলছিল একের পর এক। মিরাজের কথাকে ভুল প্রমাণ করে শেষ চারে উঠলো লঙ্কানরা। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় সর্বনাশ বাংলাদেশের! ২ উইকেটের জয় লঙ্কানদের, এশিয়া কাপ শেষ বাংলাদেশের!

    মেহেদী হাসান মিরাজ (৩৮), আফিফ হোসেন (৩৮), সাকিব আল হাসান (২৪), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২৭) ও মোসাদ্দেক হোসেনের (২৪*) দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৮৩ রান করে বাংলাদেশ। এরপর একাদিক জীবন পেয়ে কুশাল মেন্ডিস ৬০ ও অধিনায়ক দাসুন শানাকার ৪৫ রানের ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯.২ ওভারেই জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।

    ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই টাইগার বোলারদের ওপর চওড়া হয় দুই লঙ্কান ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস। যদিও কুশলের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন মুশফিক। তবে উদ্বোধনী জুটি বড় হতে দেননি পেসার এবাদত। নিশাঙ্কাকে ২০ রানে ফেরানোর ঐই একই ওভারেই আসালাঙ্কাকে ফেরান এই পেসার। এর ঠিক দুই ওভার না যেতেই লঙ্কান শিবিরে আবারো এবাদতের আঘাত। এবার ফেরান গুনাথিলাকাকে।

    যদিও ৪ বার জীবন পাওয়া কুশল মেন্ডিস একপ্রান্ত আগলে রেখে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। তবে পঞ্চমবারে এসে আর রক্ষা মেলেনি এই ব্যাটারের। তাসকিনের শিকার হয় ৬০ রান করে মাঠ ছাড়েন কুশল। এরপর শানাকার ব্যাট চওড়া হলেও লঙ্কানদের শেষ রক্ষা হয়ে উঠেনি। শেষদিকে করুনারত্নের ছোট ক্যামিও পর আশিতার ৩ বলে ১০ রানে ভর করে ২ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লঙ্কানরা। ফলে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেলো টাইগাররা। এদিন দলের হয়ে এবাদত নেন ৩ উইকেট, তাসকিনের শিকার ২ উইকেট। মাহেদি এবং মুস্তাফিজ ১ করে উইকেট লাভ করেন।

    এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অঘোষিত নকআউট এই ম্যাচে দারুণ এক পুঁজিই পেয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট খুইয়ে তুলেছে ১৮৩ রান। তাতে লঙ্কানদের সামনে চ্যালেঞ্জটা দাঁড়াল ১৮৪ রানের।

    দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মাটিতে আগে ব্যাট করে জেতার কীর্তি অন্তত শেষ এক বছরে খুব বেশি নেই। তাই অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চাইছিলেন টস জিতে ফিল্ডিং করতেই। তবে টস হেরে সে চাওয়া আর পূরণ হয়নি তার। শ্রীলঙ্কা ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশকে।

    ওপেনিং বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ বহুদিন ধরেই। সেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে আজ লাল সবুজের প্রতিনিধিরা ওপেন করতে পাঠায় মেহেদি হাসান মিরাজ আর সাব্বির রহমানকে। আশা জাগানিয়া শুরুর পরও ওপেনিং জুটি বড় হয়নি, ১৯ রানেই বিদায় নেন সাব্বির রহমান।

    তবে মিরাজকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা দারুণভাবেই কাজে লেগে গেছে বাংলাদেশের জন্য। সাব্বিরের বিদায়ের পর রান তোলার দায়িত্বটা নিজ কাঁধে তুলে নেন তিনি। তার ব্যাটে চড়েই মূলত পাওয়ার প্লে শেষে ৫৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ।

    বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া মিরাজ অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৬ বলে ৩৮ রান তুলে তিনি বিদায় নেন পরের ওভারেই।

    এরপর মুশফিক এসে ১৫০০ টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন, তবে ফেরেন এরপরই। সাকিব আল হাসানও রানের গতি বাড়ানোর তাগিদে ফেরেন ২২ বলে ২৪ রান তুলে। ৮৭ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ খানিকটা চাপেই পড়ে গিয়েছিল।

    ৩১ বলে ৫৭ রান তুলে সেই চাপটা দূর করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর আফিফ হোসেনের জুটি। ২২ বল খেলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলে আফিফ ফেরেন এরপর। এর দুই বল পরই মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ২৭ রান করে ফিরলে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

    এবার বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। ৯ বলে ৪ চারের মারে তিনি খেলেন ২৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। শেষে সঙ্গী হিসেবে পান তাসকিন আহমেদকে, মোসাদ্দেকের সঙ্গে তার ৬ বলে এক ছক্কায় খেলা ১১ রানের ছোট্ট ক্যামিওতে ভর করে ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়ে ফেলে বাংলাদেশ! কিন্তু ম্যাচটা যেটা হলো না!

  • আফগানিস্তানের সুপার ফোর নিশ্চিত

    আফগানিস্তানের সুপার ফোর নিশ্চিত

    আশা জাগিয়েও পারল না বাংলাদেশ। ‘ফেভারিট’ আফগানিস্তানই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বের করে নিল। ‘দুই জাদরান’ ইব্রাহিম এবং নাজিবুল্লাহর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বোলারদের তুচ্ছ করে জয় তুলে নিল আফগানিস্তান। আর তাতে এশিয়া কাপ গ্রুপ ‘বি’র চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে মোহাম্মদ নবির দল। আর আফগানদের বিপক্ষে হোঁচট খেয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু হলো টাইগারদের। বাংলাদেশের দেওয়ার ১২৮ রানের লক্ষ্য ৯ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় আফগানিস্তান। ৭ উইকেটের বড় হার উপহার দেয় বাংলাদেশকে।

    ইনিংসের শুরুতে আফগান শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ১১ রান করে সাজঘরে পাঠান স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে। এরপর হজরতউল্লাহ জাজাই ইনিংসকে বড় করার চেষ্টা করলেও মোসাদ্দেকের বলে লেগ বিফোরের কবলে পড়ে ২৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। তৃতীয় উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ নবী দ্রতু ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে আফগানরা। তবে পরবর্তীতে সে চাপকে জয় করে মাঠ ছাড়েন দুই ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান।

    এদিন প্রথম থেকেই বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছিলেন টাইগার বোলাররা। তবে ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে ১৭ এবং ১৮তম ওভারে। প্রথমে মুস্তাফিজ এরপর সাইফউদ্দিনকে কচুকাটা করেছেন আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহ। ১৭ বলে ৪৩ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এছাড়া ৪১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন ইব্রাহিম জাদরান।

    বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব, মোসাদ্দেক এবং সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজ ৩ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও পাননি কোন উইকেট, এছাড়া সাইফউদ্দিন ২ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৭ রান।

    এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন এই ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বে ফেরা সাকিব আল হাসান। নিশ্চয়ই ব্যাটসম্যানদের প্রতি আস্থা রেখেই আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাটসম্যানরা যেন সেটার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন।

    ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মুজিব বোলিংয়ে আসতেই ঘাম ছুটে যায় বাংলাদেশের দুই ওপেনারের। সেই ওভারের শেষ বলে তার ক্যারম বল বুঝতে না পেরে লাইন মিস করে বোল্ড হন নাঈম (৮ বলে ৬)।

    তার পরের ওভারের শেষ বলে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে ব্যাটের সঙ্গে বলের সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন বিজয়, বল গিয়ে আঘাত হানে পায়ে। রিভিউ নিয়ে বিজয়ের ধীরগতির ইনিংসের সমাপ্তি নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে মোটে ৫ রান করেছেন তিনি।

    দুই ওপেনারকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি মুজিব। নিজের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবকেও ধরাশায়ী করেছেন তিনি। আগের ওভারে পেসার নাভিন-উল-হকের টানা দুই বলে দুই চার মেরে শুরুতে উইকেট হারানোর চাপ হালকা করার চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। তবে মুজিবের ঘূর্ণিতে তাকেও হার মানতে হয়। মুজিবের বলে জায়গা করে নিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরেছেন ৯ বলে ১১ রান করে।

    এরপর বোলিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয় বলেই মুশফিকুর রহিমের (১) উইকেট তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিন জাদুকর রশিদ খান। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাওয়া আফিফ হোসেনও (১২) কাটা পড়েছেন তার বলেই। মুশফিক-আফিফ দুজনকেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরের পথ চিনিয়েছেন রশিদ। মাত্র ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে এর আগে কখনো এত কম রানে ব্যাটিং লাইনআপের অর্ধেক হারায়নি টাইগাররা।

    রশিদের বলে সাজঘরের পথ ধরার আগে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ২৫ বলে ২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন আফিফ। এরপর ষষ্ঠ উইকেট মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেকের ৩১ বলে ৩৬ এবং সপ্তম উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক-মেহেদী হাসানের ২৪ বলে ৩৮ রানের জুটিতে ১২৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

    ২৭ বলে ২৫ রান করে রশিদ খানের বলে হাঁটু গেঁড়ে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে তালুবন্দি হন মাহমুদউল্লাহ। ১২ বলে ২ চারে ১৪ রান করে শেষ ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান। আর ৩১ বলে ৪ চার এবং ১ ছয় সহযোগে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন।

  • মালয়েশিয়ার জালে বাংলাদেশের মেয়েদের গোল উৎসব

    মালয়েশিয়ার জালে বাংলাদেশের মেয়েদের গোল উৎসব

    মালয়েশিয়াকে ৬-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। গুনে গুনে ৬ বার জালে বল পাঠিয়ে গোল উৎসব করলো স্বাগতিকরা।

    বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরুতেই আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ। ম্যাচের নবম মিনিটে মারিয়া মান্ডার কর্নার থেকে আঁখি দলকে লিড এনে দেন। আর ম্যাচের ২৬ মিনিটে ডানদিক থেকে স্বপ্নার ক্রসে বক্সের মধ্যে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে বল জালে পাঠান সাবিনা। ৩০ মিনিটে সাবিনার ক্রস থেকে আঁখি গোলপোস্টের সামনে থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে বক্সের মধ্যে ঢুকে ফাঁকা পোস্টে বল জড়ান স্বপ্না। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এক হালি গোল দেয় মালয়েশিয়ার জালে।

    ৬৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ৫-০ করেন মনিকা চাকমা। ৭৪ মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে দলের ষষ্ঠ গোল করেন কৃষ্ণা রাণী সরকার।

  • দুই বছর পর বাংলাদেশ-ভারত বাস চলাচল শুরু

    দুই বছর পর বাংলাদেশ-ভারত বাস চলাচল শুরু

    করোনা মহামারির কারণে দুই বছর যাবত বন্ধ ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাস চলাচল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আজ থেকে চালু হচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) আন্তর্জাতিক বাস সেবা।

    আজ শুক্রবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় রাঝধানীর মতিঝিলে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বাস সার্ভিস উদ্বোধন হয় । সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিআরটিসি।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব মো. তাজুল ইসলাম।

    স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের ৫টি আন্তঃসীমান্ত রুটে বাস চলাচল করত। এগুলো হলো- ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-শিলং-গুয়াহাটি-ঢাকা, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা-আগরতলা এবং ঢাকা-খুলনা-কলকাতা-ঢাকা।

    পাঁচটি রুটের মধ্যে ঢাকা-সিলেট-শিলং-গুয়াহাটি-ঢাকা রুট ছাড়া বাকি ৪টি রুটে শুক্রবার থেকে বাস সেবা চালু হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বিআরটিসি।

  • বাংলাদেশকে ‘১০’ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা

    বাংলাদেশকে ‘১০’ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা

    সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। চট্রগ্রাম টেস্টে ড্রয়ের পর এই হারে কার্যত সফরকারীদের কাছে সিরিজও খোয়ালো স্বাগতিকরা।

    চট্রগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্রয়ের পর ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

    শেষ পর্যন্ত দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ৷ তবে টাইগারদের এই পুঁজি যে যথেষ্ট ছিল না, লঙ্কান ব্যাটাররা সেটা হারে হারে প্রমাণ করে দেন। প্রথম ইনিংসে কুশল মেন্ডিস ও দীনেশ চান্ডিমালের সেঞ্চুরিতে ৫০৬ রানে অলআউট হওয়ার আগে ১৪১ রানের বড় লিড পায় সফরকারীরা।

    ১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো একই ম্যাচের দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হন ওপেনার তামিম ইকবাল। ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারানো দলপতি মুমিনুল হকও ফেরেন শূন্য হাতে।

    এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ২ এবং আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় মাত্র ১৫ রানে আউট হলে টাইগারদের বিপদ বাড়তে থেকে। সেখান থেকে আর উইকেট না হারিয়ে ১১ রানের জুটিতে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেন প্রথম ইনিংসের দুই নায়ক মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের চেয়ে ১০৭ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করে টাইগাররা।

    আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার পঞ্চমদিনের শুরুতে অবশ্য লঙ্কান পেসারদের ভালোই সামলাচ্ছিলেন। ব্যক্তিগত ৯ রানে কাসুন রাজিথার বলে আম্পায়ার লিটনকে ক্যাচ আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান এই টাইগার ব্যাটার। তবে রাজিথার পরের ওভারে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। আউট হওয়ার আগে মুশফিক করেন ২৩ রান।

    লিটনকে সঙ্গে নিয়ে সাকিব কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। লিটন ৫২ ও সাকিব ৫৮ রানে ফিরে গেলে হারের খুব কাছে চলে যায় বাংলাদেশ। এরপর ব্যাট হাতে মোসাদ্দেক কিংবা অন্য কেউই তেমন কিছুই করতে পারেননি। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৮ রানের লিডে ১৫৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

    ২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি লঙ্কানদের। দুই ওপেনার ফার্নান্দো ও করুনারত্নে মাত্র তিন ওভারেই সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেন। ১০ উইকেটের বড় জয় নিয়ে চলতি বছর নিজেদের প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল সফরকারীরা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর
    টস: বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৩৬৫/১০ (১১৬.২ ওভার)
    মুশফিক ১৭৫*, লিটন ১৪১, তাইজুল ১৫
    রাজিথা ৬৪/৫, আসিথা ৯৩/৪

    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ৫০৬/১০ (১৬৫.১ ওভার)
    ম্যাথিউস ১৪৫, চান্দিমাল ১২৪, করুনারত্নে ৮০, ধনঞ্জয়া ৫৮, ওশাদা ৫৭
    সাকিব ৯৬/৫, এবাদত ১৪৮/৪

    বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ১৪৯/৫ (৪৬ ওভার)
    সাকিব ৫৮, লিটন ৫২
    আসিথা ৫১/৬, রাজিথা ৪০/২

    শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ২৯/০ (৩ ওভার)
    ফার্নান্দো ২১*, করুনারত্নে ৭*

    ফল: শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটে জয়ী।

  • বাংলাদেশের দারুণ সূচনা তামিম-জয়ের ব্যাটে

    বাংলাদেশের দারুণ সূচনা তামিম-জয়ের ব্যাটে

    চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার জড়ো করা ৩৯৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে – রান নিয়ে, হারায়নি কোনো উইকেট।

    অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ১৯৯, দীনেশ চান্দিমালের ৬৬ ও কুশল মেন্ডিসের ৫৪ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫৩ ওভারে ৩৯৭ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে একাই ৬টি উইকেট শিকার করেন ১৫ মাস পর একাদশে সুযোগ পাওয়া নাঈম হাসান। এছাড়া সাকিব আল হাসান ৩টি ও তাইজুল ইসলাম ১টি উইকেট শিকার করেন।

    লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়। গত ১৩ ইনিংসে এই প্রথম উদ্বোধনী জুটিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপের দেখা মিলল। ১৯ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬ রান জড়ো করেছে টাইগাররা।

    ৫২ বল মোকাবেলা করে ৩৫ রানে অপরাজিত আছেন তামিম। আরেক অপরাজিত তরুণ ওপেনার জয় ৬৬ বলে ৩১ রান করেছেন। দুজনই পাঁচটি করে চার হাঁকিয়েছেন। এখনও সফরকারীদের চেয়ে ৩২১ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিন শেষে)
    টস : শ্রীলঙ্কা

    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ৩৯৭/১০ (১৫৩ ওভার)
    ম্যাথিউস ১৯৯, চান্দিমাল ৬৬, কুশল ৫৪, ওশাদা ৩৬, বিশ্ব ১৭*
    নাঈম ১০৫/৬, সাকিব ৬০/৩, তাইজুল ১০৭/১

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৭৬/০ (১৯ ওভার)
    তামিম ৩৯*, জয় ৩১*
    আসিথা ১৫/০, বিশ্ব ১৭/০

    বাংলাদেশ ৩২১ রানে পিছিয়ে।

  • ম্যাথিউসের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৬৪

    ম্যাথিউসের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৬৪

    চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিন শেষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শেষ সেশনে উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম।

    প্রথম সেশনে দুই উইকেট তুলে নেওয়ার পর দ্বিতীয় সেশন কাটে উইকেটবিহীন। প্রথম সেশনে যেখানে ২ উইকেটে ৭৩ রান তুলেছিল সেখানে চা-বিরতির আগে স্কোরবোর্ডে ১৫৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন কুশল মেন্ডিস।

    এমনকি ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাথিউসও। উইকেটবিহীন একটি সেশন কাটানোর পর স্বাভাবিকভাবে হতাশ হওয়ার কথা। তবে তৃতীয় সেশনে শুরুতে সেটি কাটিয়ে দেন তাইজুল। ৫৪ রান করা মেন্ডিসকে ক্যাচ আউট করে সাজঘরে ফেরান তাইজুল।

    ধনঞ্জয়া এসে একটু আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করেন। তবে ধনঞ্জয়া ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। তাঁর আগেই তাঁকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। তাঁর করা বলটি ব্যাটের কানায় লেগে দারুণ এক ক্যাচ নেন স্লিপে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়।

    তবে আম্পায়ার নিশ্চিত আউটে সাড়া দেননি। ফলে বাধ্য হয়েই রিভিউ নেন মুমিনুল। রিভিউতে দেখা যায় পরিস্কার ব্যাটের সঙ্গে সংযোগ ছিল বলের। সাথে সাথেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার।

    ১৮৩ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন পর ম্যাথুসকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন চান্দিমাল। ম্যাথিউসও ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে। নিজের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরিটি আসে বাউন্ডারি মেরে। নতুন বল হাতে নেওয়ার পর শরিফুলের ওভারে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।

    শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিএ ২৫৮ রান করেই প্রথম দিন শেষ করে শ্রীলঙ্কা। ৩৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন চান্দিমাল ও ২১৩ বলে ১১৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন ম্যাথিউস। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম দিনে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন নাঈম হাসান।

  • বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়

    বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় জয়

    নিউজিল্যান্ডে গিয়ে উপমহাদশের দলের জন্য জয় তুলে নেওয়া রীতিমত স্বপ্ন। বাংলাদেশ সেই স্বপ্নকেই স্পর্শ করল মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টাইগাররা গড়েছে ইতিহাস। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মুমিনুল হকের দল।

    ১৭ রানের লিড নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড লিডকে ৩৯ রানে নিয়ে যেতেই অলআউট হয়ে যায়। প্রথম ৫ উইকেটের ৪টিই শিকার করেছিলেন যিনি, সেই এবাদত হোসেন ইনিংসে শিকার করেন ৬ উইকেট। প্রায় ৯ বছর পর কোনো বাংলাদেশি পেসারের ৫ উইকেটের শিকারের এই কীর্তি (যা একইসাথে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশি কোনো বোলারের সেরা বোলিং) গড়ে দেয় ঐতিহাসিক জয়ের রাস্তা।

    ইঞ্জুরির কারণে ছিলেন না মাহমুদুল হাসান জয়, তাই নিয়মিত ওপেনার সাদমান ইসলামের সাথে ওপেনিংয়ে নামতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। ৪০ রানের মামুলী লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ হারায় দুই ওপেনারকেই। তবে অধিনায়ক মুমিনুল হকের সাবধানী ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

    ৪৪ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত মুমিনুলের সাথে জয়ের সাক্ষী ছিলেন মুশফিকুর রহিম, যিনি ৭ বলের মোকাবেলায় ৫ রান করেন। মুশফিকের ব্যাট থেকেই আসে জয়সূচক রান। ১৬.৫ ওভারে নির্ধারিত ৪০ রান ছুঁয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

    নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়। টেস্টে এবারই প্রথম নিউজিল্যান্ডকে হারাল বাংলাদেশ। র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ পাঁচে থাকা কোনো দলের বিপক্ষে ঘরের বাইরে প্রথম জয়ও এটি। এছাড়া নিজেদের ৬১ টেস্টের মধ্যে বিদেশের মাটিতে প্রথম জয়।

    বাংলাদেশের কাছে এই ম্যাচ হেরে সিরিজ জয়ের সুযোগ হারিয়েছে কিউইরা। এতে ভাঙার পথে নিজেদের মাটিতে তাদের টানা ৮ সিরিজ জয়ের রেকর্ড। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কিউইদের টানা ১৭ জয়ের রেকর্ড ভেঙে প্রথম দল হিসেবে জয়ের কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৩২৮/১০ (১০৮.১ ওভার)
    কনওয়ে ১২২, নিকোলস ৭৫, ইয়ং ৫২, টেলর ৩১, ল্যাথাম ১
    শরিফুল ২৬-৭-৬৯-৩, মিরাজ ৩২-৯-৮৬-৩, মুমিনুল ৪.১-০-৬-২

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৪৫৮/১০ (১৭৬.২ ওভার)
    মুমিনুল ৮৮, লিটন ৮৬, জয় ৭৮, শান্ত ৬৪, মিরাজ ৪৭, ইয়াসির ২৬, সাদমান ২২, মুশফিক ১২;
    বোল্ট ৩৫.২-১১-৮৫-৪, ওয়াগনার ৪০-৯-১০১-৩, সাউদি ৩৮-৪-১১৪-২

    নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস : ১৬৯/১০ (৭৩.৪ ওভার)
    ইয়ং ৬৯, টেলর ৪০, রাচিন ১৬, ল্যাথাম ১৪
    এবাদত ২১-৬-৪৬-৬, তাসকিন ১৪-৩-৩৬-৩

    বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ৪০/২ (১৬.৫ ওভার)
    শান্ত ১৭, মুমিনুল ১৩*, মুশফিক ৫*, সাদমান ৩
    জেমিসন ১২/১, সাউদি ২১/১

    ফল : বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।

  • সাফে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

    সাফে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

    মালদ্বীপে আজ শুরু হচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৩তম আসর। প্রথম দিনই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

    মালের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায়

    নতুন কোচ অস্কার ব্রুজনের অধীনে ১৮ বছরের শিরোপার খরা কাটাতে মালদ্বীপে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।

    আসরে অন্য দলগুলোর তুলনায় শুধু শ্রীলঙ্কাই র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে।

    প্রথম ম্যাচ জয়ে শুরু করতে চান কোচ অস্কার ব্রুজন। নতুন ফরমেশন ৪-১-৪-১ এ দল মাঠে নামাতে পারেন স্প্যানিশ কোচ।

    এদিকে, ম্যাচের আগে দুঃসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। জ্বরের কারণে লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না মাঝমাঠের নির্ভরতার প্রতীক সোহেল রানা।

    সাফে দু’বার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ১টি করে জয়ে সমতায় দু’দল। যদিও সবশেষ ৬ দেখায় ৪টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ।

    এন-কে

  • দেবের শিডিউলের অপেক্ষায় প্রযোজক

    দেবের শিডিউলের অপেক্ষায় প্রযোজক

    বাংলাদেশের লোকেশনে ‘কমান্ডো’ চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের জন্য টালিগঞ্জের অভিনেতা, সাংসদ দেবের শিডিউলের অপেক্ষায় রয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘শাপলা মিডিয়া’।দেবের শিডিউল পেলে আগামী জানুয়ারীর মধ্যেই দৃশ্যধারণ শেষ করার আশা করছেন সিনেমাটির পরিচালক।

    সিনেমাটি পরিচালনা করছেন পরিচালক শামীম আহমেদ রনী। জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে।

    কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে এ সিনেমার দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ও এপ্রিলে দুই দফায় বাংলাদেশে শুটিংয়ের পরিকল্পনা থাকলেও মহামারীর কারণে তা সম্ভব হয়নি বলে জানান প্রযোজক সেলিম খান।

    দেবের আসার ব্যপারে জানতে চাইলে সেলিম খান বলেন , “তিনি তো এমপি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হওয়ার পর ভারত সরকার তাকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেবে। আমরা শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি এলেই শুটিংয়ে যাব।”

    আসছে জানুয়ারির মধ্যেই এ সিনেমার দৃশ্যধারণ শেষ করার আশা করছেন সেলিম খান।

    গত বছরের ডিসেম্বরে সিনেমার টিজার প্রকাশ করেছিল শাপলা মিডিয়া। সেই টিজার দেখে ‘দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কষ্ট পাওয়ায়’ তা সরিয়ে নেওয়া হয় বলে পরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন পরিচালক শামীম আহমেদ রনি।

    এ সিনেমায় দেব ছাড়াও মাজনুন মিজান, ফজুলুর রহমান বাবু, শিবা শানু, জাহারা মিতুসহ আরও অনেকে অভিনয় করছেন।

    এন-কে

  • নিউইয়র্কে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘‌বাংলা কর্নার’ উদ্বোধন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

    নিউইয়র্কে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘‌বাংলা কর্নার’ উদ্বোধন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

    ‘মুজিব বর্ষ’ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে নিউইয়র্কে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে।

    নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরি’র সহযোগিতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন স্থানীয় সময় গতকাল এ কর্নার উদ্‌বোধন করেন। তিনি এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

    এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন সি. ল্যু, কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট ডোনাভান রিচার্ডস এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস এম. ওয়ালকট। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির সদস্য ও সাংবাদিকেরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কম্যুনিটির সর্ববৃহৎ আবাসস্থল নিউইয়র্কের কুইন্স বোরো, যেখানে ইংরেজি, স্প্যানিশ ও চীনা ভাষার পরেই বাংলা চতুর্থ বৃহৎ ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সে কারণে কুইন্স বোরোতে অবস্থিত কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ উদ্‌বোধন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। ‘বাংলা কর্নারে’ মোট ৩০৯টি বই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। বইগুলো বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিষয়ে বাংলাদেশের প্রথিতযশা লেখক ও সাহিত্যিকদের লেখা।

    এ ছাড়া বাংলাদেশের উপন্যাস, গল্পসমগ্রসহ শিশু-কিশোর উপজীব্য বই এ কর্নারে স্থান পেয়েছে।

    ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পর পর তিন বছর কুইন্সের মূলধারাকে সম্পৃক্ত করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুইন্সে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি-আমেরিকানদের জন্য কনস্যুলেট যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষ্যে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ২০২০ সালে এই ‘বাংলা কর্নার’ বিপুল পরিসরে উদ্‌বোধনের কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীকালে এ বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন সীমিত পরিসরে কোভিড সংক্রান্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করে ‘বাংলা কর্নার’টির উদ্‌বোধন করা হয়।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উদ্‌বোধন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘২০২১ সাল বিভিন্ন দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ বছর আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং আজ (গতকাল) জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন।’

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এ ছাড়া এ বছর বাংলাদেশের আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি হলো—বাংলাদেশ এ বছরই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সব সূচকে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, সে কারণে এ বছরের এ দিনে ‘বাংলা কর্নার’-এর শুভ উদ্‌বোধন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তিনি এ সময় কুইন্স লাইব্রেরিকে ঘিরে তাঁর অতীত স্মৃতিচারণ করেন। তিনি আরও বলেন, আমরাই একমাত্র জাতি, যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাঁদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের নিয়ে এই ‘বাংলা কর্নার’-এ আসবেন এবং বই পড়বেন। তিনি এই বিশেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ৩২টি ভাষণের সংকলণ ও বিশ্লেষণ এবং প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৭৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির লেখা সংবলিত বিশেষ সংকলন কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিকে উপহার দেন।

    বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুজিববর্ষে স্থাপিত এই ‘বাংলা কর্নার’টি আমাদের বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিসহ অন্যান্য মূলধারার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কনস্যুলেটের যোগাযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

    নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ও ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস এম. ওয়ালকট অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণ প্রদান এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক বাংলা ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে এক অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি এ প্রসঙ্গে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধুর বারংবার কারাবরণের সময়কাল উল্লেখ করে বলেন মুজিব বর্ষে এই ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন যথার্থ প্রতীকী এবং গুরুত্ব বহন করে।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন সি. ল্যু, এবং কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট ডোনাভান রিচার্ডস এবং সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস। প্রত্যেকেই বাংলা ভাষাকে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি-আমেরিকানদের কাছে তুলে ধরার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এর মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষী সবার বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।

    বক্তব্য শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর নিজের লেখা বেশ কয়েকটি বই কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট ডেনিস ওয়ালকটের হাতে তুলে দেন। কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস এম. ওয়ালকট কমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে একটি সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। এই বইগুলো কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির প্রধান শাখায় ছয় মাস প্রদর্শিত হবে এবং পরবর্তীকালে উক্ত লাইব্রেরির বিভিন্ন শাখায় বইগুলো সংগৃহীত থাকবে।

    এন-কে

  • প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

    প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

    স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

    আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ, আরেফিন নগরে সকাল ১১টায় ফুল ও ঔষধি গাছের চারা লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ—উপাচার্য অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানগণ, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক ও কর্মকতার্বৃন্দসহ বিএনসিসি ক্যাডেটরা।

    বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পর্যায়ক্রমে ফলজ, বনজ, ফুল ও ঔষধিসহ নানা প্রকারের কয়েক হাজার চারা লাগানো হবে বলে জানান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক । সবুজ ক্যাম্পাস বিনির্মাণ ও পরিবেশ বাঁচাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।

    এন-কে