Tag: বাংলাদেশ

  • মুশফিক-মমিনুল-নাঈমে মিরপুর টেস্ট বাংলাদেশের দখলে

    মুশফিক-মমিনুল-নাঈমে মিরপুর টেস্ট বাংলাদেশের দখলে

    মিরপুরে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের তৃতীয় দিনে মুমিনুল হকের শতকের সাথে মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরির পর নাঈম হাসানের স্পিন বিষে চালকের আসে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮৬ রানে লিড নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ দল।

    মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুঁটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পরে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিনে আজ (সোমবার) মুমিনুল ৭৯ এবং মুশফিক ৩২ রান নিয়ে আবার ব্যাট করতে নামেন।

    দিনের শুরুর দিকেই ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ১৫৬ বলে ক্যারিয়ারের নবম এবং অধিনায়ক হিসেবে প্রথম শতক পূরণ করা বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ১২টি চার হাঁকান। ৩৫২ রানে লাঞ্চ বিরতিয় যায় বাংলাদেশ। দুপুরের খাবার সেরে এসে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিকও। ১০০ রানের কোটা পূরণ করতে ১৬০টি বল ব্যবহার করেন তিনি।

    এরপর খানিক ছন্দপতন হয় বাংলাদেশ শিবিরে। ১৩২ রানে থাকা মুমিনুল আউট হলে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ২২২ রানের পার্টনারশিপ। খানিক পর মিঠুনও ১৭ রান করে ফিরে গেলে মুশফিককে সঙ্গ দেন লিটস দাস। টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করা লিটন নিজের অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ৯৩ বলে।

    ফিফটির স্বাদ পাওয়া লিটন ৫৩ রানে সাজঘরে ফেরার পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসবে টেস্টে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। একই সাথে তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে এ ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

    মুশফিকের দ্বিশতকের পর ৬ উইকেটে দলীয় ৫৬০ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল। যেখানে মুশফিক ২০৩ এবং তাইজুল অপরাজিত থাকেন ১৩ রান নিয়ে।

    শেষ বিকেলে বাংলাদেশ থেকে ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নামে জিম্বাবুয়ে। যেখানে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার নাঈম হাসান। শূন্য রানে ফেরান ওপেনার মাসভাউরেকে। পরের বলেই নাঈমের শিকার নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নামা টিরিপানো।

    পরে দলকে আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে ৯ রানে দিনের খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ থেকে ২৮৬ রান পিছিয়ে কাসুজা ৮ এবং টেলর ১ রান নিয়ে আগামীকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে: প্রথম ইনিংস- ২৬৫/১০
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।

    দ্বিতীয় ইনিংস- ৯/২
    কাসুজা ৮*, টেলর ১*; নাঈম ৪/২।

    বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৬০/৬ ডিক্লেয়ার
    মুশফিক ২০৩*, মুমিনুল ১৩২, শান্ত ৭১; লোভু ২/১৭০, তাসুমা ১/৮৫।

  • শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

    শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

    একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে আজ সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশি বোলাররা। অলআউট করেছে ২৬৫ রানে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর ও মুমিনুল হকের ফিফটিতে ২৪০ রানে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।

    মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে দলীয় অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার নাঈম হাসান।

    আজ (রোববার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে চাকাভা ৭ এবং টিরিপানো ০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। আগের দিনের সাথে ১৪ রান যোগ করার পর ৮ রানে থাকা টিপানোকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। ৪ রান বাদে অ্যাইন্সলে লোভুকে একই পথের সারথী বানান ডানহাতি এ পেসার।

    শেষদিকে চাকাভা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে চার্ল্টন শুভার পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩০ রানে থাকা চাকাভাকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের রাশ টেনে ধরেন স্পিনার তাইজুল। ফলে ২৬৫ রানে গুঁটিয়ে যায় সফরকারীরা।

    পরে সাইফ হাসানকে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা সাইফ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি, ফিরেছেন ৮ রান করে। এরপর শান্তকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৮ রান জড়ো করেন দুজন।

    তামিম ৪১ রানে আউট হয়ে গেলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সাথে ৭৬ রানের পার্টনারশিপের পর শান্ত আউট হন ৭১ রান করে। এরপর মু্শফিকুর রহিমকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন মুমিনুল।

    অর্ধশতক হাঁকানো দলীয় অধিনায়ক অপরাজিত আছেন ৭৯ রান নিয়ে। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে দিন শেষ করা বাংলাদেশের পক্ষে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। আগামীকাল ম্যাচের তৃতীয় দিন ৭ উইকেট হাতে রেখে জিম্বাবুয়ে থেকে ২৫ রানে পিছিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকরা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে: ২৬৫/১০ (১০৬.৩ ওভার)
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।

    বাংলাদেশ: ২৪০/৩ (৭১ ওভার)
    মুমিনুল ৭৯, শান্ত ৭১, তামিম ৪১; নিয়াউচি ১/৪১, টিরিপানো ১/৪০।

  • মিরপুরে প্রথমদিন নাঈম ও আরভিনের

    মিরপুরে প্রথমদিন নাঈম ও আরভিনের

    সাদা পোশাক গায়ে হতাশার বৃত্তে আটকে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলনামূলক দুর্বল দল জিম্বাবুয়েকে পেয়েছে মুমিনুল হকরা। সিরিজের একমাত্র টেস্টের শুরুর দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। নাঈম হাসানের শিকার ৪ উইকেট।

    পাঁচদিনের ক্রিকেটে টানা ৬ ম্যাচ জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ দল। একটা মাত্র জয়ের খোঁজে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী জিম্ববুয়ের মুখোমুখি হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শনিবার শুরু হওয়া ম্যাচে টস ভাগ্য কথা বলে জিম্বাবুয়ের হয়ে। পিচের ধরণ পড়তে পেরে আগে ব্যাট করতে দু’বার ভাবেননি দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।

    তবে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শুরুটা সুখকর হতে দেননি বাংলাদেশি পেসার আবু জায়েদ রাহী। দলীয় ৭ রানে ফেরান ওপেনার কেভিন কাসুজাকে। এরপর স্বাগতিক বোলারদের নাস্তানুবাদ করে ছাড়েন দুই ব্যাটসম্যান প্রিন্স মাসভাউর এবং আরভিন। আগমনী চৈত্রের বার্তা দেওয়া তপ্ত রোদে টাইগার বোলারদের শাসন করে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মাসভাউর।

    দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ১১১ রানের পার্টনারশিপের মাথায় বাংলাদেশ দলের ত্রাতা হয়ে আসেন স্পিনার নাঈম হাসান। নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফেরান ৬৪ রানে ব্যাট করা মাসভাউরকে। খানিক বাদে নাঈমকে রিভার্স সুইপ করত গিয়ে নিজের উইকেট বিসর্জন দেন টেলর। সাজঘরের পথ ধরেন ১০ রান করে।

    এরপর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে লড়ে যান আরভিন। তবে রাজাকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি নাঈম। নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেছেন ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায়। নতুন ব্যাটসম্যান টিমিসেন মারুমাকে তুলে নেন রাহী। লেগ বিফোরের ফাদে ফেলেছেন ৭ রানের সময়।

    অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে খেলে টেস্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন আরভিন। তবে দিন শেষের এক ওভার আগে ১০৭ রান করে নাঈমের চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরতে হয় বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানকে। ফলে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। টিরিপানো ০ এবং চাকাভা ৭ রান নিয়ে আগামীকাল (রোববার) দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    জিম্বাবুয়ে ২২৮/৬ (৯০ ওভার)
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, রাজা ১৮; নাঈম ৪/৬৮, রাহী ২/৫১।

  • মুজিববর্ষে অঙ্গীকার হবে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা:তথ্যমন্ত্রী

    মুজিববর্ষে অঙ্গীকার হবে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মুজিব বর্ষে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করার লক্ষ্যে নতুন করে শপথ নেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তথ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ঢাকা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (ডিজেএ) সভায় বক্তৃতাকালে বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হবে বাংলাদেশ থেকে সকল অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা।

    ডিজেএ’র ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করা হয়।

    হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি যদি নেতিবাচক রাজনীতি না করতো, তাহলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেতো। বিএনপি সরকারের সবকিছুরই সমালোচনা করে। কিন্তু সরকারের ভাল কাজ ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তাদের স্বীকার করা উচিত।

    মন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) সাধারণ মানুষকে অবরুদ্ধ করেছে, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষ মেরেছে। বাস, ট্রাক ও লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, স্কুলগামী শিশুদের উপর বোমা নিক্ষেপ করেছে। আমি আশা করি যে, জনগণ তাদের অপরাজনীতি থেকে মুক্ত হবে।

    বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোল ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা কি চান, তারা নিজেরাই তা জানেন না। বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে তাদের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ আরো বলেন, তাদের (বিএনপি) লক্ষ্য বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ইস্যু পুঁজি করে অপরাজনীতি করা। তারা বেগম জিয়ার ভাল চান না।

    মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকসহ অনেক আর্থ-সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বের কারণে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুবাদে এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ গৃহনির্মাণসহ দ্রুত নগরায়ন ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কারণে চাষের জমি কমে আসার পরও এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কৃষি জমি এক ইঞ্চিও বাড়েনি অথচ বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে এটা এখন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কেস স্টাডির বিষয় হয়েছে।
    মন্ত্রী বলেন, পল্লী অর্থনীতি জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা অন্য দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

    মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, মুজিব বর্ষের মধ্যেই বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে।

    তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কোন স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তব এবং দিন এখন বদলে গেছে।

    বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিজেএ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জেসমিন জুই অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জহিরুল হক মিলু।

  • করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে বাংলাদেশ

    করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চীনকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে বাংলাদেশ

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ এক অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের কাছে কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর করেছেন।

    সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে দশ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, পাঁচ লাখ ফেসমাস্ক, দেড় লাখ ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পঞ্চাশ হাজার জুতার কভার এবং আট হাজার গাউন।

    অনুষ্ঠানে মোমেন করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল উহান শহর থেকে ৩ শ’ ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সরকারের পাশে দাঁড়াতে চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো চীনে প্রেরণের জন্য তাঁর মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন এবং এসকল সরঞ্জাম বাংলাদেশে তৈরি করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, চীন থেকে ফিরে আসা শিক্ষার্থীরা করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি এবং এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনও করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি।

    বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

    তিনি বলেন, চীন করোনভাইরাস শনাক্ত করতে বাংলাদেশকে ৫ শ’ উন্নত মানের কিট সরবরাহ করছে।

    লি জিমিং বলেন, করোনাভাইরাস সনাক্তকরণে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে চীনা দূতাবাস বেইজিং জেনোমিক্স ইনস্টিটিউট থেকে এই ৫ শ’ টেস্ট কিট অর্ডার করেছে।

  • বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনা খুঁজে দেখার ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ

    বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্ভাবনা খুঁজে দেখার ওপর রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ

    নেপালের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাইওয়াল আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার গুরুত্বারোপ করেন।

    রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, সাক্ষাৎকালে আবদুল হামিদ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজে দেখার এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে উভয় দেশ লাভবান হবে।

    আবদুল হামিদ দ্বিপক্ষীয় বন্ধন জোরদারে দু’দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিনিধিদের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, বেশ কিছু নেপালী ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশে লেখাপড়া করছে এবং তারা পরীক্ষায়ও ভাল করছে। তিনি শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক খাতেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের বন্ধুপ্রতীম দু’দেশের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধিতে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।’

    রোহিঙ্গা ইস্যুকে বাংলাদেশের জন্য বিরাট সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার জন্য নেপাল সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

    বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে প্রদীপ কুমার বলেন, বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ইস্যু বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং পর্যটন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা সম্প্রসারণ সহায়ক হবে।

    বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সম্প্রতি কাঠমান্ডু সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

  • টেস্ট দল ঘোষণা : নতুন মুখ ২, বাদ ৪ ক্রিকেটার

    টেস্ট দল ঘোষণা : নতুন মুখ ২, বাদ ৪ ক্রিকেটার

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য একমাত্র টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    বাংলাদেশের সবশেষ খেলা রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দল থেকে মোট চার পরিবর্তন এনে ঘোষণা করা হয়েছে দলটি।

    পাকিস্তান সফরের দলে থাকলেও জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে জায়গা হয়নি চার ক্রিকেটারের। তারা হলেন- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আল-আমিন হোসেন, সৌম্য সরকার ও রুবেল হোসেন। দল থেকে তাদের ছিটকে যাওয়ার বিপরীতে দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, ও তাসকিন আহমেদ।

    তাছাড়া রবিবার ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ইয়াসির আলি চৌধুরী ও পেসার হাসান মাহমুদ।

    প্রসঙ্গত, দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফর। একমাত্র টেস্টের আগে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে প্রস্তুতি ম্যাচটি। দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দু’দলের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

    টেস্টের পর সিলেট পাড়ি জমাবে উভয় দল। সেখানে ১, ৩ ও ৬ মার্চ তিনটি ওয়ানডেতে লড়বে দুই দল। দিবারাত্রির সবকয়টি ওয়ানডেই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

    ওয়ানডে সিরিজ শেষে আবারও ঢাকায় ফিরে আসবে দু’দল। এরপর মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে উভয় দল। হোম অব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ই মার্চ।

    প্রায় মাসব্যাপী সফর শেষে ১২ই মার্চ নিজ দেশে ফিরে যাবে সফরকারীরা।

    জিম্বাবুয়ে টেস্টের বাংলাদেশ দল: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও ইয়াসির আলি চৌধুরী।

  • আকবরদের ফুলের মালায় বরণ

    আকবরদের ফুলের মালায় বরণ

    চ্যাম্পিয়নরা আসছে, তাই বিমানবন্দরে ঘণ্টা তিনেক আগেই ক্রিকেট ভক্তদের জটলা। চ্যাম্পিয়ন দলকে বরণ করে নিতে তর সইছে না তাদের। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে জেতা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটি নিয়ে বেরিয়ে এলেন। বিকেল ৫ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামে চ্যাম্পিয়নদের বহন করা বিমানটি। পরে ভিআইপি লাউন্ঞ্জে যুব ক্রিকেট দলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। নাজমুল হাসানের সঙ্গে ছিলেন বিসিবির পরিচালকেরা। প্রায় একসঙ্গে মিষ্টিমুখও করানো হয় ক্রিকেটারদের।

    ক্রিকেটারদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মিরপুরে স্টেডিয়াম জুড়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। প্রধান ফটকের সামনে ঝুলছে বিশাল আকৃতির ব্যানার। বড় অক্ষরে লেখা- ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন। এখন শুধুই আকবরদের অপেক্ষা। টাইগার যুবাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দর থেকে ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি।

    গত ৯ ফেব্রুয়ারি আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের ছেলেদের কোণঠাসা করে বিশ্বকাপের ট্রফিটা নিজেদের দেশে নিয়ে এসেছ আকবর আলীরা। দেশের প্রথম বিশ্বজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে ক্রিকেটাঙ্গন। তাইতো বিশ্বজয়ী যোদ্ধাদের বরণ করে নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিভিন্ন আয়োজন করেছে। সেই আয়োজনের অংশ হিসেবে টাইগার যুবাদের বহণ করার জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেটির গায়ে লাল-সবুজে সাকিব-অভিষেকদের বিশ্বজয়ের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।

    চ্যাম্পিয়নদের বিশ্বজয়ের উপলক্ষে বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে কাটা হবে বিশাল কেক। সেখান থেকে ভিআইপি প্রোটোকলে খেলোয়াড়দের ক্রিকেট বোর্ডে নিয়ে আসবে বিসিবি। সেখানে ক্রিকেটারদের নিয়ে আলাদা কথা বলবেন বিসিবি সভাপতি। এরপর সন্ধ্যা সাতটায় অধিনায়ক আকবর, বিসিবি সভাপতি পাপন ও কোচ নাভিদ নেওয়াজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন।

  • বাংলাদেশ-ভারতের পাঁচ ক্রিকেটারের শাস্তি

    বাংলাদেশ-ভারতের পাঁচ ক্রিকেটারের শাস্তি

    অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল শেষে অশোভন আচরণের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের পাঁচ ক্রিকেটারকে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। সেদিনের ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শাস্তি দেয় ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি।

    ফাইনাল ম্যাচ শেষে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক এবং ধাক্কাধাক্কি করে এই পাঁচ খেলোয়াড় ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন বলে জানিয়েছে আইসিসি।

    শাস্তি পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয়। ক্রিকেটাররা অনূর্ধ্ব-১৯ বা ‘এ’ দলের হয়ে সামনের ওয়ানডে অথবা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করবেন।

    শাস্তি পাওয়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তিন ক্রিকেটার হলেন- তৌহিদ হৃদয় (১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ), শামীম হোসেন (৮ ম্যাচ নিষিদ্ধ) এবং রকিবুল হাসান (৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ)। ভারতের দুই ক্রিকেটারের মধ্যে আকাশ সিং নিষিদ্ধ হয়েছেন ৬ ম্যাচ আর লেগস্পিনার রবি বিষ্ণুইকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ ম্যাচ।

    গত রবিবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে বাংলাদেশের রকিবুল হাসান জয়সূচক শেষ রানটি নেওয়ার পর উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। এ সময় মাঠে থাকা ভারতীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি, এমনকি সামান্য ধাক্কাধাক্কিও হয়।

    পতাকা নিয়ে টানাহেঁচড়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলী। কিন্তু অধিনায়কের ক্ষমা প্রার্থনাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। পুরো ঘটনা নিয়ে গতকাল তদন্ত প্রতিবেদন দেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয়।

    গ্রায়েম ল্যাব্রয় জানান, বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার ও ভারতের দুই খেলোয়াড় আইসিসির বিধিবিধানের ২.২১ ধারা ভঙ্গ করেছেন।

    বাংলাদেশের তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামিমের ক্ষেত্রে সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। স্পিনার রকিবুল চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এ পয়েন্টগুলো তিনজনেরই ক্যারিয়ারে আগামী দুই বছর থেকে যাবে।

    ভারতের আকাশ ৮ সাসপেনশন ও ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। বিষ্ণয় প্রথম অপরাধের জন্য ৫ সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর ২৩তম ওভারে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর বাজে ভাষা ব্যবহার করায় পেয়েছেন আরও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। পাঁচ ক্রিকেটারই এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন।

    এ শাস্তির ফলে আগামী দুই বছর জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে শাস্তি ভোগ করতে হবে এই পাঁচ ক্রিকেটারকে। ১ সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা এ দলের একটি ম্যাচ খেলতে না পারার শাস্তি। সে অনুযায়ী বেশ বড় শাস্তিই জুটেছে এই পাঁচ ক্রিকেটারের।

  • ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেল সিনিয়ররা

    ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেল সিনিয়ররা

    গতরাতেই অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিকারী আকবর বাহিনী।

    তবে তারা যতটা মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন আজ ঠিক ততটাই ম্লান করলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিকারী সিনিয়র দল৷ রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের কাছে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের মধ্যেই ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরেছে মমিনুল-তামিমরা। এই নিয়ে বিদেশের মাটিতে টানা ৪ টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ৷

    তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার। আজ সকালে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে বাকি ব্যাটসম্যানরা সেটাই ছিল দেখার বিষয়। দিনের শুরুতেই মমিনুলের আউটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় টাইগার ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নের পথে হাটা। আবারো সেই একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তি। সেট হয়ে ফিরে যাওয়া৷ মমিনুক ফিরেন ৪১ রানে।

    তারপর রুবেলকে নিয়ে ২৬ ও রাহিকে নিয়ে ৯ রান যোগ করেন লিটন। তিনি নিজেও আবারো কাটা পড়েন বলতে গেলে সেই ৩০ এর ঘরেই। এই নিয়ে শেষ ১১ ইনিংসে ৮ বারই সেট হয়েও ফিফটির দেখা পাননি লিটন। ইয়াসির শাহর বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে যান ২৯ রানে। লিটনের যাওয়ার সাথেই সাথেই পরাজয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত তারা অল আউট হয় ১৬৮ রানে৷ ফলে ইনিংস ও ৪৪ রানের জয় পায় পাকিস্তান৷ পাকিস্তানের নাসিম শাহ ও ইয়াসির শাহ ৪ টি করে উইকেট নেন।

    এর আগে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ ও পাকিস্তান ৪৪৫ রান করে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    বাংলাদশ (১ম ইনিংস):
    ২৩৩/১০, মিথুন- ৬৩, শান্ত- ৪৪। আফ্রিদি- ৪/৫৩

    পাকিস্তান (১ম ইনিংস):
    ৪৪৫/১০, বাবর- ১৪৩, মাসুদ- ১০০। রাহি- ৩/৮৬, ৩/১১৩।

    বাংলাদেশ (২য় ইনিংস):
    ১৬৮/১০, মমিনুল- ৪১, শান্ত- ৩৮। নাসিম- ৪/২৬, ইয়াসির- ৪/৫৮।

  • নাসিমের রেকর্ড গড়া হ্যাটট্রিকে ইনিংস পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

    নাসিমের রেকর্ড গড়া হ্যাটট্রিকে ইনিংস পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

    পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার পর পরাজয় এড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের নাজুক অবস্থা। পরাজয় তো বটেই, টাইগারদের লড়তে হচ্ছে ইনিংস পরাজয় এড়ানোর জন্য।

    জোড়া অর্ধ-শতক ও জোড়া শতকের পর বাংলাদেশের জন্য লড়াইটাকে কঠিন করে তোলেন নাসিম শাহ। তরুণ এই পেসার সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাজঘরে ফিরিয়ে।

    তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে ৮৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে। ৪৫ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে মুমিনুল হকের দলের সংগ্রহ ১২৬ রান। মুমিনুল ৩৭ ও লিটন শূন্য রানে ক্রিজে রয়েছেন।

    শুরুতে তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান ভালো শুরুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন। তবে সাইফ ১৬ ও তামিম ৩৪ রান করে আউট হলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়ে নাসিম হ্যাটট্রিক করে বসলে। শান্ত ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরার সময়ও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়ানো সহজ ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু নাসিমের শিকার হয়ে তাইজুল ও রিয়াদ এবং এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ইয়াসির শাহর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।

    তাইজুল, রিয়াদ ও মিঠুন তিনজনের কেউই স্কোরবোর্ডে কোনো রান জড়ো করতে পারেননি। বাংলাদেশ যতটুকু আশাই ধারণ করছে, তার বাহক অধিনায়ক মুমিনুল। পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে হলে লিটন দাসকে নিয়ে মূল লড়াই চালিয়ে যেতে হবে তাকেই।

    তার আগে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে জড়ো করে ৪৪৫ রান। বাংলাদেশের পক্ষে আবু জায়েদ রাহী ও রুবেল হোসেন তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তাইজুল পান দুটি উইকেট। বাংলাদেশের সুযোগ হাতছাড়ার সুবিধা আদায় করে পাকিস্তানের হয়ে শতক হাঁকান বাবর আজম (১৪৩) ও শান মাসুদ (১০০)। এছাড়া হাসির সোহাইল ৭৫ ও আসাদ শফিক ৬৫ রান করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে)

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস- ২৩৩
    মিঠুন ৬৩, শান্ত ৪৪, লিটন ৩৩
    শাহীন ৫৩/৪, হারিস ১১/২

    পাকিস্তান ১ম ইনিংস- ৪৪৫
    বাবর ১৪৩, শান ১০০, হারিস ৭৫
    রাহী ৮৬/৩, রুবেল ১১৩/৩

    বাংলাদেশ ২য় ইনিংস- ১২৬/৬
    শান্ত ৩৮, মুমিনুল ৩৭*, তামিম ৩৪
    নাসিম ২৬/৪, ইয়াসির ৩৩/২

    ইনিংস ব্যবধান এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮৬ রান।

  • বিশ্বকাপ জিততে যুবাদের লক্ষ্য ১৭৮ রান

    বিশ্বকাপ জিততে যুবাদের লক্ষ্য ১৭৮ রান

    দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শরিফুল-অভষেকদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে মাত্র ১৭৭ রানে অল আউট করেছে বাংলাদেশ যুব দল। ফলে প্রথমবারের মত কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে বাংলাদেশের দরকার ১৭৮ রান।

    টসে জিতে বোলিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই বাংলাদেশি পেসার শরি ও সাকিব। প্রথম ৬ ওভারে ফেন মাত্র ৮ রান। এরপর নিজের প্রথম ওভারে এসেই উইকেট তুলে নেন ফাইনালে একাদশে আসা অভিশেক দাস। ফিরিয়ে দেন ভয়ঙ্কর সাক্সেনাকে।

    তবে জেসওয়াল ও তিলাক ভার্মার ৯৬ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরার প্রয়াস চালায় ভারত। তবে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এসে তিলাক ভার্মাকে ৩৮ রানে ফিরিয়ে দেন সাকিব। ফলে আবারও চাপে পড়ে ভারত। এর দুই ওভার পরেই ভারতীয় শিবরে আঘাত হানেন রকিবুল। ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গার্গকে ৭ রানে ফিরিয়ে দেন তিনি।

    তবে দুর্দান্ত খেলে ভারতের ইনিংস একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন জেসওয়াল। দারুণ খেলে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক৷ এগিয়ে যাচ্ছিলেন নিজেত শতকের দিকে। তবে ব্যক্তিগত ৮৮ রান করে শরিফুলের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ফিরে যান তিনি। এরপরের বলেই উইকেটে আসা ভিরকে ০ রানে ফিরিয়ে ভারতকে আবার ব্যাকফুটে ঠেলে দেন শরিফুল।

    এরপরের ওভারেই দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে সেট ব্যাটসম্যান জুরেলকে রান আউটের ফাদে ফেলে ফিরিয়ে দেয় বাংলাদেশ।

    যুব বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। টানা ৯ ম্যাচ জিতে নিজেদের টানা জয়ের রেকর্ড নতুন করে লিখেছেন আকবর আলি-মাহমুদুল হাসান জয়রা।

    অন্যদিকে ভারত তাদের শেষ ১৮ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩টিতে হেরেছে। চলতি টুর্নামেন্টে তারাও বাংলাদেশের মতোই অপরাজিত। যে কারণে, শিরোপা জেতার জন্য টাইগারদের সামর্থ্যের শেষ বিন্দুটুকু দিয়ে খেলতে হবে তাদের।

    ফাইনালে আজ এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। হাসান মুরাদের জায়গায় দলে এসেছেন পেসার অভিষেক দাস।

    বাংলাদেশ একাদশ:
    তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ ইমন, মাহমুদুল হাসান, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদত হোসেন, শামিম হোসেন, আকবর আলি, তানজিম হাসান সাকিব, রকিবুল হাসান, অভিষেক দাস, শরিফুল ইসলাম।

    ভারত একাদশ:
    ইয়াসভাসি জেসওয়াল, দিবায়ানস সাক্সেনা, তিলাক ভার্মা, প্রিয়াম গার্গ, ধ্রুব জুরেল, সিদ্ধেশ ভির, অথর্ব অঙ্কলেকার, আকাশ সিং, কার্তিক তিয়াগি, রভি বিষ্ণুই, শাস্বত রাওয়াত