Tag: বাংলাদেশ

  • মাসুদ-বাবরের সেঞ্চুরিতে লিড পেল পাকিস্তান

    মাসুদ-বাবরের সেঞ্চুরিতে লিড পেল পাকিস্তান

    রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শান মাসুদের পর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাবর আজমও। ব্যাট হাতে ছাড় দিয়ে কথা বলছেন না আসাদ শফিকও। দুই সেঞ্চুরি ও শফিকের ফিফটিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ১০৯ রানের লিড পেলো পাকিস্তান।

    বাবর আজমের সেঞ্চুরিটা নাও হতে পারত যদি না এবাদত তার ক্যাচটা মিস না করতেন। ব্যক্তিগত ২ রানে তাইজুলের বলে জীবন পাওয়া সেই বাবর নিজের ইনিংসকে নিয়ে যান সেঞ্চুরির ঘরে। ক্যাচ তুলে দেওয়া সেই তাইজুলের বলেই নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। ৬৮তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলকে চার মেরে সেঞ্চুরি হাঁকান বাবর।

    অবশ্য শান মাসুদের মতো সেঞ্চুরি করেই থেমে থাকেননি বাবর। দলের রান বাড়ানোর পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত রানও এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। বাবরের পাশাপাশি তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আসাদ শফিক। টেস্ট স্পেশালিষ্ট শফিকের অবশ্য কোন জীবন পাওয়া লাগেনি। নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলে গিয়েছেন তিনি। দুই ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে দ্বিতীয় দিন শেষে বড় লিড পেতে সাহায্য করে। বাবরের সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি তুলে নেন শফিকও।

    অবশ্য ৩৪২ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে পাকিস্তান। ১৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন বাবর এবং ৬০ করে অপরাজিত থাকেন শফিক। এ দুই ব্যাটসম্যান মিলে গড়েন ১৩৭ রানের জুটি।

    চা-বিরতির আগে সেঞ্চুরি মিস হতো শান মাসুদেরও। রুবেলের বলটি ব্যাটের কানায় লেগে তালুবন্দি হয় কিপার লিটনের হাতে। অবশ্য তার ক্যাচটির জন্য আবেদন করেননি কিপার, বোলারের কেউই। বাবরের মতই জীবন পেয়ে তিনিও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। শতক হাঁকানোর পরেই তাইজুলের বলে বোল্ড হন তিনি।

    এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই দলকে উইকেট এনে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আজহার ও শানের জুটিতে। সেই জুটিও ভাঙেন আবু জায়েদ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ দ্বিতীয় দিন শেষে-

    বাংলাদেশ ২৩৩ (মিঠুন ৬৩, নাজমুল ৪৪: আফ্রিদি ৪-৫৩

    পাকিস্তান ৩৪২-৩ (বাবর ১৪৩*, শান ১০০: রাহী ২-৬৬)

  • প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ

    প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ

    পাকিস্তান সফরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিঠুনের অর্ধশতকে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

    এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে ইনিংসের তৃতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান। এর পরের ওভারে আব্বাসের বলে লেগ বিপরের ফাঁদে পরে ফিরেন আরেক ওপেনার (৩) তামিম ইকবাল।

    দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাদের দু’জনে ৫৯ রানের জুটিতে দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ। তবে উইকেটে থিতু হয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার অভ্যাসটা রয়েই গেল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের।

    আজ একই ভুল করলেন টাইগার অধিনায়ক মমিনুল হক। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল চেজ করতে যেয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যাক্তিগত ৩০ রানে ফিরে যান মমিনুল। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত ৩৩ রানের জুটি গড়লেও ৬ চারে ৪৪ রান করে আব্বাসের বলে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত ফিরলে দাঁড়াতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ। আফ্রিদির বলে ২৫ রান করে ফিরেন তিনি।

    এরপর ষষ্ঠ উইকেটে লিটন ও মিঠুনের মধ্যকার ৫৪ রানের দারুণ জুটি গড়লেও। ৪৬ বলে ৭ চারে ৩৩ রান করে হারিস সোহেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন।

    লিটন ফিরলেও সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫৩ রান তুলেন মিঠুন ও তাইজুল। তবে ২৪ রান করে তাইজুল ফিরলেও দুর্দান্ত অর্ধশতক তুলে নেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ রান করে মিঠুন ফিরলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

    পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি। এছাড়া হারিস ও আব্বাস নেন দুটি করে উইকেট।

    পরবর্তীতে আলো স্বল্পতায় আর ব্যাট করতে নামে নি পাকিস্তান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:(প্রথম দিন শেষে) –
    বাংলাদেশ: ২৩৩/১০ (৮২.৫)
    মিথুন ৬৩, শান্ত ৪৪
    আফ্রিদি ৪/৫৩, হারিস ২/১১

    বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন।

    পাকিস্তান একাদশ: শান মাসুদ, আবিদ আলি, আজহার আলী (অধিনায়ক), বাবর আজম, হারিস সোহেল, আসাদ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস, নাসিম শান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।

  • চীন থেকে ফেরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়

    চীন থেকে ফেরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়

    চীন থেকে বাংলাদেশে ফেরা ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

    আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর-এর কার্যালয়ে এতথ্য জানিয়েছেন তিনি।

    মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘চীন থেকে দেশে ফেরা ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এদের মধ্যে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়।’

    এখন পর্যন্ত চীন থেকে আসা ৮ হাজার ৩৯৬ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে আগের মতো সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলেন আইইডিসিআর পরিচালক।

    মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দেশের সব স্থলবন্দরে স্ক্রিনিং মেশিন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে চীন থেকে আসা সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

  • জয়ের সেঞ্চুরিতে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

    জয়ের সেঞ্চুরিতে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

    প্রথমবারের মত কোনো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ইতিহাস রচনা করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে বাংলাদেশের যুবারা। টাইগারদের জয়ে মূল অবদান ডানহাতি ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়ের।

    বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পচেফস্ট্রুমে আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১১ রান। শুরুতে কিউইদের দারুণভাবে চেপে ধরলেও শেষদিকে বেকহাম হুইলার গ্রিনঅলের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহ জড়ো করে কিউইরা।

    দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান আসে গ্রিনঅলের ব্যাট থেকে। ৮৩ বলের মোকাবেলায় ৫টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে এই ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া নিকোলাস লিডস্টোন ৪৪ ও ফার্গুস লেলম্যান ২৪ রান করেন।

    বাংলাদেশের পক্ষে পেসার শরিফুল ইসলাম ৩টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া দুই স্পিনার শামিম হোসেন ও হাসান মুরাদ ২টি করে এবং আলোচিত স্পিনার রকিবুল হাসান ১টি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৩ রানেই তানজিদ হাসান তামিমকে (৯ বলে ৩) হারায় বাংলাদেশের যুবারা। ওয়ান ডাউনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কে দর্শক হিসেবে রেখেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (২৯ বলে ১৪)। ৩২ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে দল চাপে পড়ে গেলে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মাহমুদুল। কিউই বোলারদের ভোগানোর পাশাপাশি আগলে রাখছিলেন দলকেও।

    তৌহিদ হৃদয়ের সাথে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৬৮ রানের পার্টনারশিপ। জুটি ভাঙে হৃদয় ৪৭ বলে ৪০ রান (৪টি চার) করে বিদায় নিলে। তবে শাহাদাত হোসেনের ধৈর্যশীল ব্যাটিং দারুণ সঙ্গ দেয় মাহমুদুলকে। শাহাদাতের সঙ্গ পেয়ে শতক তুলে নিতে ভুল করেননি মাহমুদুল।

    তবে ম্যাচ জয়ের নায়ক দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। দলীয় ২০১ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে ১২৭ বলের মোকাবেলায় ১০০ রান করেন ১৩টি চারের সাহায্যে। শাহাদাতের সাথে তার ১০১ রানের জুটি ভাঙলেও শাহাদাত অধিনায়ক আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। শাহাদাত ৫১ বলে ৪০ ও আকবর ২ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ জয় পায় ৩৫ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই।

    নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১টি করে উইকেট শিকার করেন ক্রিশ্চিয়ান ক্লার্ক, ডেভিড হ্যানকক ও আদিত্য অশোক।

    ৯ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

    দ্বিতীয় সেমিফাইনাল, সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯

    নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯: ২১১/৮ (৫০ ওভার)
    গ্রিনঅল ৭৫*, লিডস্টোন ৪৪, লেলম্যান ২৪
    শরিফুল ১০-২-৪৫-৩, শামিম ৬-১-৩১-২, মুরাদ ১০-১-৩৪-২, রকিবুল ১০-১-৩৫-১

    বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ২১২/৪ (৪৪.১ ওভার)
    মাহমুদুল ১০০*, হৃদয় ৪০, শাহাদাত ৪০*, ইমন ১৪, আকবর ৫*, তামিম ৩
    হ্যানকক ৭-০-৩১-১, ক্লার্ক ৯-০-৩৭-১

    ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৬ উইকেটে জয়ী।

  • পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা

    পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা

    পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে লড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যার প্রথমটি ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্য আজ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    মুমিনুল হককে অধিনায়ক করে ঘোষিত দলে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন । বাংলাদেশের সবশেষ ভারত সফরের দলে থাকা দুই ওপেনার- সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস নেই ঘোষিত দলে। তাছাড়া বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন, পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও।

    তাদের বাদ পড়ার ভিড়ে দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

    ব্যক্তিগত কারণে ভারত সফরের দল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তামিম। যার ফলে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্ট সিরিজে খেলতে দেখা যায়নি তাকে। পাকিস্তান সফরের দলে আবারও ফিরেছেন তিনি।

    ইঞ্জুরির জন্য সাদমান ইসলামের পাকিস্তান সফরে অনিশ্চিত, এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। তার জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও লাভ হয়নি। পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তাকে ছাড়াই পাকিস্তান সফরে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সাদমানের মতো একই কারণে কপাল পুড়েছে আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসেরও।

    এই দুই ওপেনারের ছিটকে যাওয়ায় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সৌম্য সরকার ও শান্তকে।

    প্রসঙ্গত, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে চলতি মাসের ৪ তারিখ পাকিস্তান যাবে টাইগাররা। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে সাদা পোশাকের লড়াইয়ের পর দেশে ফিরে আসবে মুমিনুলরা। এরপর সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে এপ্রিলে আবারও পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। এ যাত্রায় করাচিতে অনুষ্টিত হবে দু’দলের মধ্যকার শেষ টেস্টটি।

    পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের বাংলাদেশ দল: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, আল-আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন ও সৌম্য সরকার।

  • প্রোটিয়াদের উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

    প্রোটিয়াদের উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

    আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। যুবাদের বিশ্ব আসরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার শেষ চারে জায়গা করে নিল টাইগাররা।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) পচেফস্ট্রুমে স্বাগতিক দলকে ১০৪ রানের পরাজয়ের স্বাদ দেয় আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রোটিয়ারা গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে।

    টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। তবে ধীর-স্থির ভঙ্গিতে খেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইমন। তার বিদায়ের পর সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। তবে তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দেখেশুনে খেলে যান ইমন। দুজনই পূর্ণ করেন অর্ধ-শতক।

    অর্ধ-শতক তুলে নেন শাহাদাত হোসেনও। তাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬১ রান।

    দলের পক্ষে তামিম ৮৪ বলে ৮০, শাহাদাত ৭৬ বলে ৭৪ ও হৃদয় ৭৩ বলে ৫১ রান করেন। এছাড়া ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক আকবর। দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের পক্ষে ফেকো মলেটসেন দুটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৩৪ রানে। ওপেনার খানিয়া কোটানিকে সাজঘরে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। সাকিব ও শরিফুল ইসলামের সাথে প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার রকিবুল হাসান। মূলত রকিবুলের ঘূর্ণিতেই খেই হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

    অবশ্য প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লুক বিউফোর্ট। তবে তার একক প্রচেষ্টা সফল হয়নি সতীর্থদের সঙ্গহীনতায়। ৯০ বলে ৬০ রান করে দলের পক্ষে একমাত্র উল্লেখযোগ্য স্কোর তার। এছাড়া ৩৪ রান আসে জনাথন বার্ডের ব্যাট থেকে। শেষপর্যন্ত ৪২.৩ ওভার ব্যাট করে প্রোটিয়াদের ইনিংস থামে ১৫৭ রানে। বাংলাদেশ পায় ১০৪ রানের জয়।

    বাংলাদেশের পক্ষে রকিবুল একাই শিকার করেন পাঁচটি উইকেট। এছাড়া সাকিব দুটি এবং শরিফুল ও শামিম একটি উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: দক্ষিণ আফ্রিকা

    বাংলাদেশ ২৬১/৫ (৫০ ওভার)
    তামিম ৮০, শাহাদাত ৭৪, হৃদয় ৫১
    মলেটসেন ৪১/২, ভ্যান ভুরেন ৪৬/১

    দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৭ (৪২.৩ ওভার)
    বিউফোর্ট ৬০, বার্ড ৩৫, লিস ১৯
    রকিবুল ৩২/৫, সাকিব ৪১/২, শরিফুল ২৮/১, শামিম ৩৬/১

    ফল: বাংলাদেশ ১০৪ রানে জয়ী।

  • শেষ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত,পাকিস্তানের সিরিজ জয়

    শেষ টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত,পাকিস্তানের সিরিজ জয়

    লাহোরে বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

    সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও টানা বৃষ্টির কারণে টসও অনুষ্ঠিত হয়নি।

    শেষ ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ২-০ তে সিরিজ জিতে নিল স্বাগতিক পাকিস্তান। সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হলেও ব্যাটসম্যানদের খেলা দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে তারা ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি খেলছেন।

    দুই ম্যাচেই ব্যাটসম্যানরা ডট বল বেশি উপহার দিয়েছেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং টাইগারদের কাছ থেকে দেখা যায়নি। ফলস্বরূপ প্রথম ম্যাচে ৫ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

    তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ধাপে ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। আপাতত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা দেশে ফিরে আসবেন। পরবর্তীতে টেস্ট দল আবার পাকিস্তান সফরে যাবে।

    এপ্রিলে একমাত্র ওয়ানডে এবং দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে ফের পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ। করাচিতে ওয়ানডে এবং দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ৩ এপ্রিল করাচিতে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ এবং পরে ৫-৯ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

  • ব্যাটসম্যানরা ভীত, রান করার ইচ্ছে এবং ক্ষুধা নেই:ম্যাকেঞ্জি

    ব্যাটসম্যানরা ভীত, রান করার ইচ্ছে এবং ক্ষুধা নেই:ম্যাকেঞ্জি

    পাকিস্তান সফরে লাহোরে অনুষ্ঠিত পরপর দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং এপ্রোচ নিয়ে সমালোচনার কম হয়নি। এবার তার সাথে যোগ দিলেন পাকিস্তান সফরে না যাওয়া টাইগার দলের আফ্রিকান ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি। তার মতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভীত অবস্হা কাজ করছে। আর তাদের মধ্যে রানের ইচ্ছা কিংবা ক্ষুধা কোনটাই দেখছেন না তিনি।

    আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ম্যাকেঞ্জি এ নিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলে অভিজ্ঞতার অভাব নেই। প্রথম দিনের ব্যাটিংই হতাশ করতে শুরু করেছে। ক্রিকেটারদের ভালো করার ইচ্ছার অভাব খুব হতাশ করেছে। ক’বছর ধরে ক্রিকেটারদের স্ট্রাইক রোটেড করে খেলা, বোলারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা ইত্যদি বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু টি-২০ তে ক্রিকেটারদের সেটা প্রয়োগের কোন চেষ্টা চোখে পড়ছে না।’

    দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ব্যাটসম্যানের মতে, ‘ইচ্ছার সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের ভালো করার ক্ষুধা আছে বলেও মনে হচ্ছেনা। ডমিঙ্গোসহ অন্য সবাই ক্রিকেটারদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার কথা বলছেন। দলের অনেকে নতুন, কারো জন্য দলে ফেরার লড়াই। আমরা বুঝি তাদের মধ্যে চাপ আছে। কিন্তু কোচ-নির্বাচকরা তাদের অভয় দিচ্ছেন। মাঠে গিয়ে ঠিকমতো প্রয়োগ করার কথা বলছেন। সেটাই তারা পারছে না।’

    পাকিস্তান সফরে দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও কথা বলেন ম্যাকেঞ্জি, ‘নতুন কোচ হিসেবে রাসেল ডমিঙ্গো বিভিন্ন কম্বিনেশনে দল সাজিয়ে পরীক্ষা করছেন। দলে এখন এক, দুই কিংবা তিনে ব্যাট করার ব্যাটসম্যান বেশি। কিন্তু চার কিংবা পাঁচ-ছয়ে ব্যাট করতে আলাদা কোয়ালিটির ক্রিকেটার দরকার। কারণ তাদের মাউন্ড সেট ভিন্ন হতে হয়। উইকেটে গিয়েই রান তুলতে হয়।’

    ম্যাকেঞ্জি দলের ক্রিকেটারদের প্রতিভা নিয়ে জানান, প্রতিভার অভাব নেই এই দলে। তাদের দলের জন্য স্বার্থপর হতে বললেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। দলকে ম্যাচ জেতাতে স্বার্থপরতা করতে বললেন।

    তার মতে, ‘ক্রিকেটারদের মধ্যে ধারাবাহিক হওয়ার ক্ষুধা নেই। তারা সবসময় পরের ম্যাচ খেলার চিন্তা করে। সেজন্য ৪০-৬০ রান করার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে। কিন্তু এটা তো ভুল মানসিকতা। আমি তাদের বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান বানাতে চাই। বাংলাদেশের সেরা করতে চাই। আমি সেভাবেই উন্নতির চেষ্টা করছি। কিন্তু তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক।’

    তামিমের ব্যাটিং নিয়ে নীল ম্যাকেঞ্জি তার মতামতে বলেন, ‘আমারও মনে হয় তামিম ধীরে খেলেছে। কিন্তু সে ক’টা ইনজুরি থেকে এসেছে। আরও কিছু সমস্যার মধ্যে ছিল সে। তামিম বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। সবাই জানে সে কি করতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, দুই ম্যাচে রান পাওয়াটাই তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তামিম এখন আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। এখন তাকে ৫৫ বলে ষাটের ঘরের রানটা আশির কোটায় নিয়ে যেতে হবে।

  • ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে, সূচি প্রকাশ

    ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে, সূচি প্রকাশ

    ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসছে বাংলাদেশ সফরে আসছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল।

    রবিবার (২৬ জানুয়ারী) জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফরের সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশ সফরে এবার একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডের পাশাপাশি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা।

    আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল মার্চ মাসে। তবে বিসিবি আগেই জানিয়েছিল এগিয়ে আসছে সিরিজটি। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসছে ১৫ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে।

    বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখে শুরুতেই একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। একমাত্র টেস্টের আগে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে প্রস্তুতি ম্যাচটি। দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দু’দলের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট। মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

    টেস্টের পর চট্টগ্রামে পাড়ি জমাবে উভয় দল। সেখানে ১, ৩ ও ৬ মার্চ তিনটি ওয়ানডেতে লড়বে দুই দল। দিবারাত্রির সবকয়টি ওয়ানডেই অনুষ্ঠিত হবে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

    বন্দরনগরীতে ওয়ানডে সিরিজ শেষে করে আবারও ঢাকায় ফিরে আসবে দু’দল। এরপর মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে উভয় দল। হোম অব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ই মার্চ।

    প্রায় মাসব্যাপী সফর শেষে ১২ই মার্চ নিজ দেশে ফিরে যাবে সফরকারীরা।

    জিম্বাবুয়ে দলের বাংলাদেশ সফরের সূচি-

    ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি- দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ।
    ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি- একমাত্র টেস্ট; শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা।

    ১ মার্চ- প্রথম ওয়ানডে; জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম।
    ৩ মার্চ- দ্বিতীয় ওয়ানডে; জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম।
    ৬ মার্চ- তৃতীয় ওয়ানডে; জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম।

    ৯ মার্চ- প্রথম টি-টোয়েন্টি; শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা।
    ১১ মার্চ- দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি; শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা।

  • সহজ জয়ে সিরিজ জয় পাকিস্তানের

    সহজ জয়ে সিরিজ জয় পাকিস্তানের

    লাহোরে টানা দুই জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল পাকিস্তান। আগামী সোমবার তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ খেলায় জিততে না পারলে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।

    পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে গতকাল মাত্র ১৪১ রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর আজকে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও টসে জিতেছিল টাইগাররা। টসে জিতে একইভাবে আগে ব্যাটিং করে আরো করুণ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন টাইগার বাহিনী। চরম দুর্ভোগের দিনে আজকে পাকিস্তানকে মাত্র ১৩৭ রান টার্গেট দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে পরপর দুইদিন টানা লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন তামিমরা।

    পাকিস্তানে এমনিতেই সহজে কেউ খেলতে যেতে চায় না। তাই দেশটির ঘরের মাঠে খুব কম ম্যাচ আয়োজিত হয়। তারপরও কখনো এতো কম রান স্কোর করেনি কোনো দল। আজকে বাংলাদেশের করা ১৩৬ রানই হচ্ছে লাহোরের স্টেডিয়ামে করা সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। গতকাল পর্যন্ত সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৪১ রান। আর সেই লজ্জার রেকর্ডেরও মালিক বাংলাদেশ।

    দুইম্যাচেই তামিমদের মন্থর গতির ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল যেন তাঁরা ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। পাকিস্তান এমনিতেই ভালোভাবে ফিল্ড সেটআপ করে রেখেছিল। আর বাংলাদেশিরাও প্রচুর ডট বল দিয়ে নিজেরাই নিজেদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে অহেতুক উইকেটও পড়েছে। এছাড়াও অলস্যতার কারণে রানআউট হওয়ার প্রবণতাও দেখা গিয়েছে। আর খুব কমই সাহসী শট খেলতে পেরেছেন বাংলাদেশিরা। যে কারণে আজো ভালো অবস্থানে নেই টাইগাররা।

    এদিন বাবর ও হাফিজের হার না মানা ইনিংসে ৯ উইকেটে জিতল পাকিস্তান। এর ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিল স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বল মোকাবেলায় বাবর ৬৬ ও ৪৯ বল মোকাবেলায় ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন হাফিজ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৬/৬ (তামিম ৬৫, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, মেহেদী ৯, আমিনুল ৮*, লিটন ৮, সৌম্য ৫*, হাসনাইন ২/২০)।

    পাকিস্তান: ১৬.৪ ওভারে ১৩৭/১ (হাফিজ ৬৭*, বাবর ৬৬*)।

    ফল: পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী।

  • মালিকের ব্যাটে পাকিস্তানের সহজ জয়

    মালিকের ব্যাটে পাকিস্তানের সহজ জয়

    লাহোরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫৮ রান করেন শোয়েব মালিক।

    আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টাইগারদের দেওয়া সে লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। শুরুতেই দলের অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শফিউল। বাংলাদেশের মতো ধীরগতিতে শুরু করেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরাও। দলীয় ৩৫ রানে মুস্তাফিজের কাটারে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ হাফিজ (১৭)।

    অবশ্য তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। শোয়েব মালিক ও আহসান আলীর দায়িত্বশীল ব্যাটিং পাকিস্তানকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। উইকেট থেকে তেমন সুবিধা পাচ্ছিলেন না ব্যাটসম্যানরা। সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন দুই ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় ৮১ রানে আমিনুলের বলে আহসান আউট হলে ম্যাচ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

    তবে সেখান থেকে আর ম্যাচ বের করে আনতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। উইকেট পড়তে ততক্ষণে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় পাকিস্তান। শেষদিকে আরও দুই উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের তবে ততক্ষণে ম্যাচ পুরোপুরি পাকিস্তানের হাতেই ছিল। ফিফটি হাঁকান মালিক। শেষ ওভারে পাঁচ রানের প্রয়োজন হলে তিন বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।

    এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও তামিম ইকবাল। তবে শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে ব্যাট করেন তামিম। তার সঙ্গে ধীরগতির ব্যাট করেন নাঈমও। পাওয়ার-প্লে’তে যথেষ্ট রান তুলতে ব্যর্থ হন এই দুই ওপেনার। দুই জনের স্লো ইনিংসের কারণে ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

    দুই ব্যাটসম্যান মিলে ৬৬ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন। দুই জনের জুটি ভাঙে রান আউটের মাধ্যমে। তবে এ দুই ব্যাটসম্যানের স্লো ব্যাটিংয়ের কারণে ততক্ষণে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তামিমের বিদায়ের পর কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করেন নাঈম। দ্বিতীয় উইকেটটিও আসে রান আউটে। সাদাব খানের অসাধারণ থ্রোতে রান আউটের শিকার হন লিটন।

    লিটনের বিদায়ের পর আউট হন নাঈমও। ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৪৩ রান করে সাদাবের বলে আউট হন তিনি। তারপর থেকে কেউই ঠিকমত ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ১৯ রানে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ ১৪১-৫ (ওভার ২০)

    নাঈম ৪১, তামিম ৩৯: আফ্রিদি ১-২৩

    পাকিস্তান ১৪২-৫ (ওভার ১৯.৩)

    মালিক ৫৮*, আহসান ৩৬: আল-আমিন ১-১৮

  • লাহোরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    লাহোরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    লাহোরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের দলনেতা।

    বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হচ্ছে দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের। তারা হলেন- হ্যারিস রউফ ও আহসান আলি।

    পাকিস্তান একাদশ: আহসান আলি, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), শাদাব খান, হ্যারিস রউফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাসনাইন।

    বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাইম, আফিফ হোসেন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।