রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শান মাসুদের পর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাবর আজমও। ব্যাট হাতে ছাড় দিয়ে কথা বলছেন না আসাদ শফিকও। দুই সেঞ্চুরি ও শফিকের ফিফটিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ১০৯ রানের লিড পেলো পাকিস্তান।
বাবর আজমের সেঞ্চুরিটা নাও হতে পারত যদি না এবাদত তার ক্যাচটা মিস না করতেন। ব্যক্তিগত ২ রানে তাইজুলের বলে জীবন পাওয়া সেই বাবর নিজের ইনিংসকে নিয়ে যান সেঞ্চুরির ঘরে। ক্যাচ তুলে দেওয়া সেই তাইজুলের বলেই নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। ৬৮তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলকে চার মেরে সেঞ্চুরি হাঁকান বাবর।
অবশ্য শান মাসুদের মতো সেঞ্চুরি করেই থেমে থাকেননি বাবর। দলের রান বাড়ানোর পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত রানও এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। বাবরের পাশাপাশি তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আসাদ শফিক। টেস্ট স্পেশালিষ্ট শফিকের অবশ্য কোন জীবন পাওয়া লাগেনি। নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলে গিয়েছেন তিনি। দুই ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে দ্বিতীয় দিন শেষে বড় লিড পেতে সাহায্য করে। বাবরের সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি তুলে নেন শফিকও।
অবশ্য ৩৪২ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে পাকিস্তান। ১৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন বাবর এবং ৬০ করে অপরাজিত থাকেন শফিক। এ দুই ব্যাটসম্যান মিলে গড়েন ১৩৭ রানের জুটি।
চা-বিরতির আগে সেঞ্চুরি মিস হতো শান মাসুদেরও। রুবেলের বলটি ব্যাটের কানায় লেগে তালুবন্দি হয় কিপার লিটনের হাতে। অবশ্য তার ক্যাচটির জন্য আবেদন করেননি কিপার, বোলারের কেউই। বাবরের মতই জীবন পেয়ে তিনিও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। শতক হাঁকানোর পরেই তাইজুলের বলে বোল্ড হন তিনি।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই দলকে উইকেট এনে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আজহার ও শানের জুটিতে। সেই জুটিও ভাঙেন আবু জায়েদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ দ্বিতীয় দিন শেষে-
বাংলাদেশ ২৩৩ (মিঠুন ৬৩, নাজমুল ৪৪: আফ্রিদি ৪-৫৩
পাকিস্তান ৩৪২-৩ (বাবর ১৪৩*, শান ১০০: রাহী ২-৬৬)