Tag: বাংলাদেশ

  • আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডাঃ ইমরানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

    আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডাঃ ইমরানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত : সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডাঃ মোহাম্মদ ইমরান বলেছেন, আমিরাতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হযেছে, শীঘ্রই ভিসা সমস্যার সমাধান হবে। দীর্ঘ আট বছর ধরে বন্ধ থাকা দেশীয় শ্রমিকদের ভিসা ও ভিসা পরিবর্তন চালু হবে। আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আগামী মার্চ মাস নাগাদ বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকীতে বাংলাদেশ সফর করবেন।

    তিনি গত শনিবার আমিরাতের সর্ববৃহৎ সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ আবুধাবি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিদায় সম্বর্ধনায় সম্বর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন তালুকদার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জায়েদ ভার্সিটির অধ্যাপক ডঃ হাবীবুল হক খন্দকার, দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন মিজানুর রহমান।

    এসময় সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমুর সূচনা বক্তব্যের পর মোহাম্মদ জামশেদ আলম, মউন উদ্দিন, গোলাম কাদের ইফতি, জাহাঙ্গীর কবির বাপ্পী, আলাউদীন, মোহাম্মদ জমির হোসেন, মোহাম্মদ আইয়ুব খান, জাকির হোসেন জসিম, আজিমউদ্দিন সিকদার,আবদুল কাদের সিদ্দিকী, জনাতা ব্যাংকের সিইও আমিরুল ইসলাম, ইনজিনিয়ার আশীষ কুমার বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    অনুষ্ঠানে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, তিনি দূতাবাসের সেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি এমআরপি বিতরন আর আমিরাত ঘোষিত সাধারন ক্ষমায় অবৈধ দেশীয় অভিবাসীদের বৈধ করণের মত চ্যালেন্জিং কাজ সবার সহযোগিতা নিয়ে সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন।

    অনুষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল বিদায়ী রাস্ট্রদূতের বিভিন্ন কাজকর্মের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ডাঃ মোহাম্মদ ইমরান সকলের একজন সত্যিকারের প্রবাসবান্ধব কাছের মানুষ ছিলেন।

  • আমিরাত ভিসা চালু করতে আন্তরিক,বাংলাদেশকে কয়েকটি বিষয়ে মনযোগ দিতে হবে

    আমিরাত ভিসা চালু করতে আন্তরিক,বাংলাদেশকে কয়েকটি বিষয়ে মনযোগ দিতে হবে

    ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত থেকে: বাংলাদেশিদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা খুলে দেয়ার ইচ্ছে আছে দেশটির সরকারের।

    তবে এর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কয়েকটি বিষয়ে মনযোগ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন দুবাই ভিসা সেন্টারের চেয়ারম্যান খামিস আল নাকবি।

    ভিসা খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা পেতে হলে বাংলাদেশ সরকারকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে ইমিগ্রেশন খরচ কমানো, শ্রমিকদের রিক্রুটিং এজেন্সির পক্ষ থেকে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়া, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ও ফ্রি ডিপারচার সার্টিফিকেটের মতো বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে হবে।’

    আমিরাত সরকার খুবই আন্তরিক ভিসা খুলার বিষয়ে। তবে বাংলাদেশকে অবশ্যই এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে এবং এগুলো শ্রমিক ও দুই দেশে সরকারের জন্যই নিরাপদ বলে জানিয়েছেন তিনি।

    এদিকে বাংলাদেশি ভিসা খোলার অনেক কিছুই বেশ কিছুদিন যাবত ইউএই সিস্টেমে আপডেট করা হয়েছে।

    গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এই বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান স্বাক্ষর করেন।

    এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জানুয়ারি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমিরাতে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি আবুধাবি ‘সাস্টেনিবিলিটি উইক’ ও ‘জায়েদ সাস্টেনিবিলিটি অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

  • অবশেষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ

    অবশেষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ

    নানান নাটকীয়তার পর অবশেষে পাকিস্তানের মাটিতে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ।

    পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, পিসিবির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী বাংলাদেশের সফর নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাথে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন।

    জনপ্রিয় ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকইনফো আজ (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    Bangladesh will play three T20Is in Lahore from 24-27 January, with the first Test to be held in Rawalpindi from 7-11 February.

    After the PSL, the one-off ODI will take place in Karachi on 3 April, with the second Test to be played from 5-9 April.

    — ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) January 14, 2020

    সূচি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে পাকিস্তানে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। চলতি মাসের ২৪ থেকে ২৭ জানুয়ারি সিরিজের ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হবে লাহোরে।

    টি-টোয়েন্ট সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে আসবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এরপর ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাওয়ালপিণ্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টেস্ট। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই টেস্ট খেলে দেশে ফিরে আসবে টাইগাররা।

    পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শেষে বাংলাদেশ দল আবারো যাবে পাকিস্তান সফরে। ৩ এপ্রিল করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে একমাত্র ওয়ানডে। এরপর একই ভেন্যুতে ৫-৯ এপ্রিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত দুই দলের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

    অনেক জলঘোলার পর বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের সূচি চূড়ান্ত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত পিসিবি। পাকিস্তানের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী প্রকাশ করেছেন স্বস্তি। সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন খোদ আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর।

  • শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। আরো খবর : নেতাকর্মীদের বিনয়ী হওয়ার আহবান তথ্যমন্ত্রীর

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অনেক দেশের চাইতে এগিয়ে।স্বাধীনতার পর যে পাকিস্থান বাংলাদেশ রাস্ট্র হিসেবে টিকে থাকা নিয়ে সন্দেহ করতো সেই পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণ এখন আক্ষেপ করেন। কারণ সমস্ত সূচকে বাংলাদেশ আজকে পাকিস্থানকে অতিক্রম করেছে। আরো খবর : মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনা : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দ্যেশে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্থানের, বুদ্ধিজীবি ও রাজনীতিবিদরা যখন উন্নত দেশে রুপান্তর করার স্বপ্ন দেখান তখন সে দেশের জনগণ বলেন আমাদেরকে অত স্বপ্ন দেখাবেন না বরং বাংলাদেশ হওয়ার চেষ্টা করেন। এখানেই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার স্বার্থকতা। আরো খবর : খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভীর বক্তব্য তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়-তথ্যমন্ত্রী

    এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং অংগ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দরা বিমান বন্দরে জড়ো হন। তাদের শুভেচ্ছা অভিনন্দনে শিক্ত হন তথ্যমন্ত্রী।

  • উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতার ঊনপঞ্চাশ বছরে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে তিনটি উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে রয়েছি। উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।

    তথ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ বেতারের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বেতার ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    আলোচনা সভার আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি উদ্বোধনকালে রাজাকারের তালিকা কেন’- বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা কেন- এ প্রশ্ন করে বিএনপি রাজাকারদের পক্ষে নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করেছে।’

    ড. হাছান বলেন, ‘মীর্জা ফখরুল সাহেব তার এ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে রাজাকারদেরই পক্ষ নিয়েছেন। আমরা এতদিন ধরে বলে আসছি, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং তাদের দলের চেয়ারপারসন পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেনএবং তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছেন। ’

    এসময় ‘তালিকায় কিছু ভুল রয়েছে’ বলে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘কিছু ভুল রয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন এবং ভুলগুলো অবশ্যই শুধরে নেবার সুযোগ আছে। তবে এ ভুলগুলো কেন হলো, কিভাবে হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ করেছে কি না, তা অনুসন্ধান করে বের করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ পরে বেতার চত্বরে স্থাপিত মঞ্চে আলোচনা সভায় যোগ দেন মন্ত্রী।

    বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ন চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা:মুরাদ হাসান এবং তথ্য সচিব আবদুল মালেক।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের এই ঊনপঞ্চাশ বছর বয়সে বহুদূর এগিয়ে গেছে।মানব উন্নয়নে,সামাজিক উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।

    তিনি বলেন,বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানীরা এই বলে তুষ্ট থাকতো যে,বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না।আজকে এখানে এসে পাকিস্তানীরা আক্ষেপ করে বলে বাংলাদেশ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে।এমন আক্ষেপ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কন্ঠেও পাওয়া যায়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন,এখানেই হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা, স্বাধীন বাংলাদেশের সার্থকতা।এই উন্নয়ন এবং সার্থকতাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যেকোন মানুষের স্বপ্ন পূরণের তাড়না, তাগাদাও প্রচেষ্টা থাকতে হয় এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,যারা স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি দেখার প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে তার সবস্বপ্ন পূরণ না হলেও অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রীয় জীবনেও স্বপ্ন ছাড়া রাষ্ট্রকে বেশীদূর এগিয়ে নেয়া যায় না।সেকারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ থেকে ১১ বছর আগে দুটি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন।একটি হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং অন্যটি হলো দিনবদল। যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হলো তখন অনেকে প্রশ্ন তুলেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ টা আসলে কি? অনেকে হাসিঠাট্টা করেছিল।বিশেষ করে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো হাসিঠাট্টা করেছিল।

    তিনি বলেন, ‘আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয়,বাস্তবতা।ষোল কোটি মানুষের দেশে পনের কোটি সিম ব্যবহারকারী।এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।মুহূর্তের মধ্যে ঢাকার রিকশাওয়ালা ভাই ভোলার মনপুরায় তার স্ত্রীর কাছে পাঁচ’শ টাকা মোবাইলে পৌছে যায় ,এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।মুহূর্তের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী সন্তানের কাছ থেকে পিতার কাছে কয়েকঘন্টার মধ্যে টাকা পৌছায় এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশএবং শস্যক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে কৃষক ভাই পোকার ছবি তুলে সেই ছবি তিনি কৃষি সংক্রান্ত পরামর্শ চাইতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে পরামর্শ চান-এবং মোবাইলে কল দিয়ে জানতে চান কি কীটনাশক ব্যবহার করবেন-এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।

    অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মমতা হেনা লাভলী।স্বাগত বক্তৃতা করেন,বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাপরিচালক(বার্তা) হোসনে আরা তালুকদার।

    আলোচনা সভার পরে বাংলাদেশ বেতারের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

  • বিএনপির আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা করা হয়েছে, নির্যাতন হয়নি:ফখরুল

    বিএনপির আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা করা হয়েছে, নির্যাতন হয়নি:ফখরুল

    বিএনপির আমলে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও নির্যাতন হয়নি দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভারতের সংসদে বলা হয়েছে- বিএনপি সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা জোর গলায় বলতে পারি, বিএনপির আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা করা হয়েছে, নির্যাতন হয়নি। সংখ্যালঘুর ওপর আওয়ামী লীগের আমলে যত নিপীড়ন হয়েছে, তা আর কখনও হয়নি।’

    মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে পূর্বঘোষিত বিএনপির র‌্যালিতে পুলিশ অনুমতি না দেয়ায় তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে করেন মির্জা ফখরুল।

    এদিকে সকাল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মোতায়েন করা হয়। এসময় বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের বের হতে বারবার নিষেধ করতে দেখা যায় পুলিশকে।

    ভারতের নাগরিকত্ব আইন এনআরসি’র প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাদের (ভারত) সংসদে খুব পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। এটা নাকি বিএনপির আমলে হয়েছে। নতুন নাগরিকত্ব বিলে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থানরত সকল অমুসলিম অধিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। কিন্তু মুসলিমরা আবেদনের কোনও সুযোগ পাবে না। মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে না।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটা র‌্যালি হওয়ার কথা ছিল। সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নেতাকর্মীরা কার্যালয় থেকে নিচে নামলে তারা ব্যবস্থা নেবে। আমরা র‌্যালিটি করতে পারলাম না।’

    বিএনপি এই মুহূর্তে কোনও সংঘাতে যেতে চায় না উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকারগুলো নিয়ে কথা বলছি। এখন সভা-সমাবেশ করতেও অনুমতি নিতে হয়। এমনকি সাংগঠনিক কার্যক্রমেও অনুমতি লাগে।’

    ফখরুল বলেন, ‘দলীয় রাজনীতি ঊর্ধ্বে সারা বিশ্বে স্বীকৃত মানবাধিকার। সেই মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য আজকে র‌্যালি করার কথা ছিল। আমাদের দেশে একটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আছে। যার বয়স ১০ বছর, এই সময়ে তারা একটি মামলার তদন্ত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’

    বাংলাদেশে এখন প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘আইন ও সালিশকেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে ১ হাজার ৫৯৯ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ধরনের হত্যার নাম দেয়া হয়েছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’। বিএনপির হিসাবে, এ ধরনের হত্যা ২ হাজারও বেশি সংঘটিত হয়েছে। ১ লাখের ওপর বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীর নামে মামালা দেয়া হয়েছে। আজকে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে যে ব্যক্তি ভিন্ন মত পোষণ করে তাকে হয় গ্রেফতার করা হয়, না হয় গুম করা হয়। এরইমধ্যে অনেক নেতা, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক গুম হয়েছে।’

    পাকিস্তান আমলের চেয়েও গত ১০ বছরে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জাতিসংঘ থেকে বারবার বাংলাদেশকে ডাকা হয়েছে। ৪ বছর আগে মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ যে অঙ্গীকার করেছিল, তা রক্ষা করেনি। এজন্য গতবার সরকারের প্রতিনিধিদের তিরস্কার করা হয়েছে।’

    আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গার্মেন্ট শ্রমিক, বিদেশে নারী শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, কিন্তু সরকার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না।’

    সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার

    বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : দি চেবু চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) ম্যায়নার্দো এলবি.মন্টিলেগ্রি বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন-বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার। তিনি এদেশের অর্থনীতির অদম্য অগ্রযাত্রার ঈর্ষান্বিত সাফল্য ফিলিপাইন্স উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করছে বলে জানান।

    মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ঢাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের কার্যালয়ে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) ও দি চেবু চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই), ফিলিপাইন্স মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ এবং বেসরকারী খাতের উন্নয়নে সমঝোতা স্বারক চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    ম্যায়নার্দো বন্দর নগরী চেবু ও চট্টগ্রামের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করে বেসরকারী খাতের কল্যাণে ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে চিটাগাং চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন।

    চুক্তিতে চিটাগাং চেম্বারের পক্ষে সভাপতি মাহবুবুল আলম ও চেবু চেম্বারের পক্ষে ফিলিপাইন্স এশিয়া ও প্যাসিফিক এ্যাফেয়ার্স এর ইনচার্জ ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ম্যায়নার্দো এলবি.মন্টিলেগ্রি স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সেক্রেটারী মাসুদ বিন মোমেন, ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়ামসহ উভয় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চেম্বারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি বলেন- ফিলিপাইন্সের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ব্যবসা এবং বিনিয়োগ কাঙ্খিত পরিমানে বৃদ্ধি পায়নি। তিনি এ সমঝোতা স্বারক চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসায়ী সমাজ তথা বেসরকারী খাত লাভবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    চেম্বার সভাপতি বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে বর্তমান ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব সরকারের গৃহীত নীতিমালা এবং প্রণোদনামূলক সুযোগ-সুবিধা অবহিত করতঃ বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কসহ চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ফিলিপাইন্স বিনিয়োগ কামনা করেন।

    মাহবুবুল আলম বাংলাদেশের উন্নত মানের চাল, আলু, ফলমূল, ঔষধ, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী যাতে সহজে ফিলিপাইন্স বাজারে প্রবেশ করতে পারে এ ব্যাপারে প্রতিনিধিদলের সহায়তা কামনা করেন।

  • দীপু এসএ গেমসে বাংলাদেশকে প্রথম সোনা উপহার দিলেন

    দীপু এসএ গেমসে বাংলাদেশকে প্রথম সোনা উপহার দিলেন

    নেপালে এসএ গেমসের ১৩তম আসরে প্রথম সোনার পদক জিতল বাংলাদেশ। তায়কোয়ান্দোতে এসেছে কাঙ্ক্ষিত সেই সাফল্য। দেশকে প্রথম স্বর্ণ এনে দিয়েছেন দিপু চাকমা।

    সোমবার হিমালয় কন্যা নেপালে তায়কোয়ান্দো দো হলে পুরুষ একক পুমসায় ঊর্ধ্ব-২৯ কেজি শ্রেণিতে ভারতের প্রতিযোগীকে হারিয়েছেন দিপু।

    এর আগে ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে সর্বোচ্চ দুটি সোনার পদক পায় বাংলাদেশ। শারমিন রুমি ও শাম্মি আক্তার দেশকে ওই দুই স্বর্ণ পদক জয় করেছিলেন।

    আর ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় এ ইভেন্টে প্রথম সোনার পদক অর্জন করেছিলেন মিজানুর রহমান।

  • হুমায়রার হাত ধরে এস এ গেমসে প্রথম পদক পেলো বাংলাদেশ

    হুমায়রার হাত ধরে এস এ গেমসে প্রথম পদক পেলো বাংলাদেশ

    দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর (এসএ গেমস) এর ১৩তম আসরে নারীর হাত দলে প্রথম পদক জিতলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম পদক জিতলেন হুমায়রা আক্তার। মেয়েদের একক কারাতে ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। পরে ছেলেদের একই ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ।

    আগের দিন উদ্বোধন হওয়ার পর এদিনই শুরু হয় ইভেন্ট। তাতে প্রথম স্বর্ণ জিতে পাকিস্তান। পাকিস্তানের শাহিদা নেপালের চঞ্চলা ধনুশ্বরকে হারিয়ে মেয়েদের একক কাতায় জেতেন স্বর্ণ। এই ইভেন্টেই ব্রোঞ্জ জেতেন বাংলাদেশের হুমায়রা।

    পদক জেতার পর প্রতিক্রিয়ায় এই ক্রীড়াবিদ জানান আরও বড় কিছু চেয়েছিলেন তিনি, ‘এবার দেশের হয়ে প্রথম পদক জেতায় আমি খুশি। কিন্তু ফাইনালে যেতে পারলে ভালো লাগত। কাল কুমিতি ইভেন্টে আরও ভাল কিছু এনে দিতে চেষ্টা করব।’

    পরে ছেলেদের এই ইভেন্টে এক কাতাতে হাসান খান বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন ব্রোঞ্জ পদক। এসএ গেমসের দ্বিতীয় দিনে গিয়ে বাংলাদেশের ঝুলিতে জমা পড়ল দুটি পদক।

    এবার সর্বোচ্চ পদক জয়ের আশা নিয়ে নেপাল গিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। বাংলাদেশ এবার পাঠিয়েছে ৫৯৫ সদস্যের বিশাল বহর। এদের মধ্যে ক্রীড়াবিদ ৪৬২ জন এবং কর্মকর্তা ১৩৩ জন। একটি ডিসিপ্লিন (ট্রাইলথন) বাদে বাকি সবকটিতে অংশ নিচ্ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

  • বিশ্বের ৭ম বৃহৎ ডাটা সেন্টারের দেশে পরিণত বাংলাদেশ

    বিশ্বের ৭ম বৃহৎ ডাটা সেন্টারের দেশে পরিণত বাংলাদেশ

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টারের উদ্বোধনকালে এটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের গড়ার পথে আরেক ধাপ অগ্রণী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলাম আমরা।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে এই ডাটা সেন্টারের উদ্বোধন করেন।

    দেশের উন্নয়নের জন্য ডাটা সংরক্ষণ জরুরী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তারই অংশ হিসেবে এই ডাটা সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হলো।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ডাটা সেন্টারটি স্থাপনের পর ডাটা সংরক্ষণের জন্য আমাদের আর অন্য কারো ওপর নির্ভর করতে হবে না। এর মাধ্যমে বছরে সাড়ে ৩শ’কোটি টাকা আয় বা খরচ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।’

    চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির ৭ একর জমির ওপর গড়ে তোলা এই ডাটা সেন্টারটির নির্মাণ কাজ ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পেং যৌথভাবে এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই ডাটা সেন্টারটি ইতোমধ্যেই বিশ্বের সেরা মান নির্ধারণ প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘আপ টাইম ইনস্টিটিউট’ থেকে মাননিয়ন্ত্রণের জন্য সনদ অর্জন করেছে।

    এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে প্রদত্ত সৌর বিদ্যুৎ সুবিধার, চট্টগ্রাম ভেটেরনারি এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কাপ্তাই লেকে ভ্রাম্যমান গবেষণা তরী (রিসার্চ ভেসেল) এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৫টি নতুন জাহাজের ও উদ্বোধন করেন। এটি বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ডাটা সেন্টার। এর আপ টাইম ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এখানে ডাটা স্টোরেজ ব্যাকআপ, রিকভারী, ডাটা সিকিউরিটি, ডাটা শেয়ারিং, ই গর্ভানেন্স, ই সার্ভিস পাওয়া যাবে। এর তথ্য ধারণ ক্ষমতা দুই পেটাবাইট (১০ লাখ গিগাবাইট=১ পেটাবাইট)। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ৩টি, স্পেনের ২টি সৌদি আরব এবং কানাডার একটি করে ‘টায়ার ফোর ডাটা সেন্টার’ রয়েছে।

    ’৯৬ পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারী খাতে মোবাইল ফোন উন্মুক্তকরণ এবং তাঁর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে কম্পিউটার সামগ্রী থেকে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ দেশকে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে ওঠায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

    প্রতিহিংসার রাজনীতির একটি উদাহারণ তুলে ধরে ২০০১ পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের একটি পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানীর কাছ থেকে অর্ধেক দামে ১০ হাজার কম্পিউটার কেনার একটি সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০ হাজার স্কুলকে কম্পিউটার প্রদানের একটি তালিকা করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী নেদারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতায় সেখানকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার কম্পিউটার অর্ধেক দামে ক্রয়ের চুক্তিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, নেদারল্যান্ডের জাতীয় ফুল টিউলিপ’র নামে উক্ত কম্পিউটার কোম্পানীটির নাম হওয়ায় পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়াকে বোঝালো- শেখ রেহানার মেয়ের নামে যেহেতু কোম্পানী (ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকী) তাই ওদের কম্পিউটার নেওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরে সেই কম্পিউটারতো দেশে এলোই না বরং ঐ টিউলিপ কোম্পানীর রুজু করা মামলায় বাংলাদেশকে ৩২ কোটি অতিরিক্ত টাকা জরিমানা গুনতে হলো। নামের প্রতি প্রতিহিংসা দেখাতে গিয়ে খালেদা জিয়া সরকার দেশের ৩২ কোটি টাকা গচ্চা দিল। আর আমরা যে টাকা জমা দিয়েছিলাম তাও গেল। সমস্তটাই লোকসান!’ সে সময় সরকারের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং স্কুল পর্যায়ে কম্পিউটার সরবরাহে তাঁর সরকারের উদ্যোগটাও থেমে গিয়েছিল, বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা মোবাইল ফোনকে জনগণের নাগালের মধ্যে আনায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি এ সম্পর্কে জানতাম (বিএনপি’র এক মন্ত্রীর মনোপলী ব্যবসা) তাই ক্ষমতায় এসেই আমি এই মোবাইল ফোনকে উন্মুক্ত করে দিলাম বেসরকারী খাতে। যাতে প্রত্যেকের হাতে এটি পৌঁছে যায়।’ ‘সত্যিই আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মাণ এবং সারাদেশে ২৮টি আইটি পার্ক স্থাপনের উদ্যোগও তুলে ধরেন।

    সারাদেশে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের উদ্যোগ, ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন এবং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যান্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রযুক্তিকে জনগণের নাগালের মধ্যে নিয়ে যাওয়ায় তাঁর সরকারের সাফল্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপনের প্রসংগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দিত এইডাটা সেন্টারটি তৈরী হয়ে যাওয়ায়। এটি আমাদের দেশের জন্য যথেষ্ট সুযোগ করে দেবে।’

    প্রধানমন্ত্রী ৪টি প্রকল্পকে কেন্দ্র করে প্রকল্প এলাকার প্রশাসন এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার জনগণের সঙ্গে মতবিনিময করেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক সহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ,সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুল উশৈ সিং, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন।

  • গোলাপী টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়

    গোলাপী টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক দিবারাত্রি টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। দলের হয়ে ব্যাট হাতে একাই লড়েছেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের কাছে ইনিংস ও ৪৬ রানে হারল বাংলাদেশ।

    ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হ্যামস্ট্রিং চোটে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধান হার। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ইনিংস হার এড়াতে একাই লড়ে গিয়েছেন মুশফিক। তবে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিককে। ২২ বলে ১৫ রান করে বিদায় নিয়েছিলেন মিরাজ। এবং দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে উমেশের বাউন্স ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তাইজুল।

    টেস্টের তৃতীয়দিন ব্যাটিং করতে নামলে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করেন মুশফিক। রীতিমত ভারতীয় বোলারদের উপর আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মুশফিক। ইনিংস হার এড়ানোর শেষ আশা ছিল মুশফিক কিন্তু উমেশের স্লোয়ারে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে জাদেজার হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। ৭৪ করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ে তখন পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পুরোপুরি। আল-আমিন একটু ব্যাটিং ঝলক দেখালেও বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৯৫ রানে।

    ভারতীয় বোলারদের হয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন উমেশ যাদব এবং চার উইকেট তুলে নেন পেসার ইশান্ত শর্মা।

    এর আগে ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। তবে আগের তিন ইনিংসের মতো এবারও একই দৃশ্য দেখা যায় টপ অর্ডারদের। শুন্য করেই সাজঘরে ফিরতে হয় সাদমানকে। আগের তিন ইনিংসের মতো এ ইনিংসেও রান করতে ব্যর্থ অভিজ্ঞ ইমরুল। পাঁচ রান করে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ‘শুন্য’ রানে আউট হন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। মাত্র পাঁচ করেই উমেশের বাউন্স পুল করতে গিয়ে আউট হন মিঠুন।

    প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১০৬ রানের জবাবে ৩৪৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। বিরাট কোহলির ১৩৬ রানের কল্যাণে তিনশ পেরোয় ভারত। কোহলির সঙ্গে ফিফটি হাঁকিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কা রাহানে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬ (সাদমান ২৯, লিটন ২৪: ইশান্ত ৫-২২)

    ভারত ৩৪৯-৯ (কোহলি ১৩৬, পুজারা ৫৫: আল-আমিন ৩-৮৫

    বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ১৯৫ ( মুশফিক ৭৪, মাহমুদউল্লাহ ৩৯: উমেশ ৫-৫৩)

  • ৮৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন পার বাংলাদেশের

    ৮৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন পার বাংলাদেশের

    গোলাপী বলে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মুশফিক। তার লড়াকু ৫৯ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় দিন পার বাংলাদেশের। ৩৯ রান মাঠ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও ৮৯ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।

    ২৪১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। কোহলির ১৩৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ইশান্তের বলে এল্বিডলিউর শিকার হয়ে কোন রান না করেই সাজঘরে ফিরেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক।

    সাদমান-মুমিনুলের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ মোহাম্মদ মিঠুন। উমেশ যাদবের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে শামির হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিঠুন (৬)। টপ অর্ডারে বাকি ব্যাটসম্যানদের মতো ব্যর্থ ওপেনার ইমরুল কায়েস। মাত্র পাঁচ রান করে স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।

    দুই ব্যাটসম্যানই বেশ দেখেশুনে খেলেন শামি, ইশান্ত, উমেশকে। অহেতুক শট খেলা থেকে বিরত থাকেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। ভারতের পেসারদের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুই ব্যাটসম্যান যখন দলের ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দিচ্ছিলেন তখন আরেক বিপর্যয় নেমে আসে বাংলাদেশ দলের উপর। উমেশের বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পান মাহমুদউল্লাহ। ৩৯ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ।

    রিয়াদ মাঠ ছাড়লে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটির গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিক। পুরো সিরিজে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ফিফটি হাঁকান মুশফিক। দলীয় ১৩৩ রানে ইশান্তের আউটসাইড অফস্ট্যাম্পের বল ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। তবুও তাইজুলকে নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। তবে শেষদিকে আফসোস হয়ে থাকে তাইজুলের উইকেট। দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে ইশান্তের বাউন্স মোকাবেলা করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তাইজুল।

    শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিন শেষে ৭০ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের হয়ে বল হাতে চার উইকেট লাভ করেন ইশান্ত শর্মা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬ (সাদমান ২৯, লিটন ২৪: ইশান্ত ৫-২২

    ভারত (১ম ইনিংস) ৩৪৯-৯ (কোহলি ১৩৬, পূজারা ৫৫: আল-আমিন ৩-৮৫

    বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ১৫২-৬ (মুশফিক ৫৯*, মাহমুদউল্লাহ ৩৯*: ইশান্ত ৪-৩৯